Tareq Nurul Hasan's Blog, page 5

November 1, 2023

পারাপার | শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়


 

এই একটা বইয়েরই তিনটা কপি রয়েছে আমার কাছে।

প্রথমটা বহু বছর আগে ছোটমামার দেয়া উপহার। নিজে দেশ ছেড়ে চলে যাবার আগে মামা কিনে দিয়েছিল। তার দু’বছর বাদে আমি দেশ ছাড়ি যখন, তখন আরও দু’টি বাংলা বইয়ের সাথে এটি ছিল আমার সঙ্গী। মামা নেই, তবে এই বইয়ের প্রচ্ছদ ওল্টালে দ্বিতীয় পাতায় মামার হাতের লেখা এখনও আছে। ‘পারাপার’ আমার খুব প্রিয় বই। এই বুড়ো বয়সে এসে সবচেয়ে প্রিয় বইয়ের তালিকা এখন আর খুব ছোট নেই। অনেকগুলো বইয়ের নাম সেখানে গাদাগাদি করে আছে। ওয়ানডে ক্রিকেটের বেস্ট অলরাউন্ডারের তালিকার মত সেখানে বইয়ের নামের বদল হয় নিয়মিতই। তবে, সবচেয়ে প্রিয় বই বলে একটা কিছু যে হতে পারে, এই ধারণা আমার ভেতরে প্রথম এসেছিল ‘পারাপার’ পড়ার পরে। এই বইয়ের সবাই; ললিত, সঞ্জয়, তুলসী, রমেন- এরা প্রত্যেকে যেন আমিই। ললিতের মতই ‘নিজের মন না বোঝা’ কোনো এক শাশ্বতীর দিকে তাকিয়ে যেন জীবন কাটিয়ে দিচ্ছি আমিও। আমি যেন তুলসীর মত ভীতু কেউ, হঠাৎ আয়নায় আগন্তুক দেখে চমকে যায় যে। অথবা আমি যেন সঞ্জয়, সুযোগসন্ধানী কোনো বেনিয়া, তবে বন্ধু-অন্তপ্রাণ। অথবা রমেন, রেলে কাটা মানুষকে যে বুকে টেনে বসে থাকে, পিয়ানো বাজিয়ে যে গায় পূব বাংলার মাঝিদের গান। বহুবার পড়ায় এই বইটা জীর্ণ হয়ে যাচ্ছিল দেখে, আরেকটা কপি কিনতে চাইলাম, প্রথম কপির ব্যবহার যেন থামিয়ে দিতে পারি। দ্বিতীয় পাতার বলপেনের লেখাটা যেন বিলীন না হয়ে যায়। শুনে পরের কপিটা কিনে দেশ থেকে পাঠিয়েছিল বড় আপু। আর তৃতীয় কপিটা কিনে দিয়েছিল তিথি, ত্রিশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আনন্দ একটা কপি বের করেছিল, এ দেশের ভাষায় যাকে বলে ‘লার্জ প্রিন্ট’, অনেকটা সেরকম। আজ ২ নভেম্বর, এই উপন্যাসের লেখক শীর্ষেন্দুর জন্মদিন। মানুষ বেঁচে থাকলে নাকি বদলায়। লেখকেরাও মানুষ, বদল তাই অবশ্যম্ভাবী। তবু, আজ সেই পুরনো পারাপারের লেখক শীর্ষেন্দুকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। যে পারাপারের ছাপা অক্ষরগুলোয় আমার অনেকগুলো অস্তিত্বের গল্প লেখা।
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on November 01, 2023 20:55

July 28, 2023

Consider This | Chuck Palahniuk



বইয়ের লেখক Chuck Palahniuk কে চিনতাম না। তবে তাঁর ঝুলির সবচেয়ে বিখ্যাত বইয়ের নাম Fight Club জানতে পেরে এই বইটা উল্টে পাল্টে দেখার ইচ্ছা হল। 

লেখালেখির কলাকৌশল নিয়ে এ বই। তবে নির্দিষ্ট কোনো ফর্মুলা বা কার্যবিধি দেয়া নেই এটায়। বরং ছোট ছোট বিভিন্ন দিক নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা, উপলব্ধি আর পর্যবেক্ষণ বলে গেছেন লেখক। 

পড়তে সহজ ও আগ্রহোদ্দীপক লেগেছে, টানা পড়ে শেষ করে ফেলা গেল। তবে বারবার হয়ত পড়া হবে না। 


 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on July 28, 2023 03:21

July 4, 2023

ঊনগল্প | বিবর্তন



মানুষ বেঁচে থাকলে বদলায়,

আর মরে গেলে স্ক্রিনশট হয়ে যায়।
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on July 04, 2023 17:15

June 29, 2023

The Boy, the Mole, the Fox and the Horse | Charlie Mackesy



 

কুইন্সটাউন এয়ারপোর্টের ওয়েটিং লাউঞ্জে কয়েকটা খাবার দোকানের পাশে একটা বইয়ের দোকানও আছে। ফ্লাইটের জন্যে অপেক্ষা করার ফাঁকে সেখানে ঢুকে প্রথম কয়েকটা পাতা উল্টেই এই বইটা বেশ ভাল লেগে গেল।

এরকম মোটা নিবের কালি-কলমের লুজ স্ট্রোকে আঁকা আর জলরং এর ওয়াশ দেয়া ইলাসট্রেশন আমার খুব ভাল লাগে। অনেকটা মোটা তুলির টানের মত।বইয়ের গল্পটাও বেশ। অবশ্য নির্দিষ্ট কোনো গল্প আছে এখানে, সেরকমটা বলা যাবে না। বরং এখানে একটা ভ্রমণের গল্প বলা। আর সেই ভ্রমণের বাঁকে বাঁকে দারুণ সব আত্মোপলব্ধি জুড়ে দেয়া। "আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া হচ্ছে কোনো ঘটনায় আমরা কী প্রতিক্রিয়া দেখাব সেই স্বাধীনতা থাকা।" এই কথাটা, এবং এরকম আরও কয়েকটা কথা খুব সুন্দর করে বলা এখানে। কেমন স্বস্তি দেয় মনে, এক ধরনের অ্যাফার্মেশনের মত। বুড়ো হয়ে গেছি বলেই হয়ত এখন আর উপদেশ-ঘেঁষা কথা খুব বেশি উপভোগ করতে পারিনা। তবে এই বইটা পড়ে যেতে বেশ শান্তি লাগলো। সব মানুষই হয়ত কোনো না কোনো ভাবে একটা বোধিবৃক্ষের খোঁজ করে মনে মনে।
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on June 29, 2023 17:16

June 26, 2023

ঊনগল্প | আশীর্বাদ ২০২৩ | তারেক নূরুল হাসান


 

অনাহারে চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে দেখতে পেয়ে ভিক্ষা চাইতে আসা মানুষটাকে দরজার পাশে বসিয়ে বেশ খানিকটা ডাল-ভাত খেতে দিল বাড়ির গৃহিনী।

পেট পুরে খেতে পেয়ে খুউব খুশি হল সে।
বাড়ির ছোট খোকন খেলতে বেরুচ্ছিল। গৃহিনী বলল, 'একটু দোয়া করে দেন ওকে।'

সন্তুষ্ট ভিখারী খুব করে গায়ে মাথায় আশীর্বাদের হাত বুলিয়ে দিল খোকনের। আর মুখে বলল, 'অনেক দোয়া করি বাপ, বড় হয়ে জীবনে অনেক বড় কন্টেন্ট হও, বংশের মুখ উজ্জ্বল করো।'

আশীর্বাদ ২০২৩ | তারেক নূরুল হাসান 
(২৭/০৬/২০২৩)
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on June 26, 2023 17:18

June 23, 2023

সূর্যমুখীর এরোপ্লেন | ইন্দ্রাণী


 

এই বইটার আমার কাছে আসবার কোনো কথা ছিল না। তবু যে এটা পথ খুঁজে নিয়ে ঠিকই আমার কাছে পৌঁছে গেল, তার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারন রয়েছে। সেটা কী হতে পারে, তা জানতেই হয়ত আজ বইটা হাতে তুলে নেয়া হল। আর তারপরেই সূর্যমুখীর এরোপ্লেন আমাকে একটা ভীষণ টার্বুলেন্সের মধ্য দিয়ে উড়িয়ে নিয়ে চলল যেন।


বিগত অনেকগুলি বছর ধরে ইন্দ্রাণীদির লেখা অনিয়মিতভাবে পড়া হয়েছে অনলাইনে। কিন্তু দুই মলাটের ভেতরে এক সাথে এতগুলো গল্পসহ এই বইটা যেন একটা ঘুমিয়ে থাকা বোমা।

গল্পগুলোর ভেতরে অনেক চিন্তার উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। বোঝা যায়, এলেবেলে করে এগুলো লেখা হয়নি, বরং সময় নিয়ে, যত্ন নিয়ে এদের পরিচর্যা করা হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার যে ধরনের গল্প সবচেয়ে পছন্দের, এগুলো একদম সেই টেক্সটবুক থেকে উঠে এসেছে যেন। গল্প যেন নয় শুধু, পাতার পর পাতা জুড়ে যেন ছবি বসানো হয়েছে পর পর। অথবা যেন একটা ছবিরই বই এটা, সব ছবি মিলে গল্প হয়ে গেছে হঠাৎ করে। লেখা দিয়ে ছবি আঁকা সহজ কাজ নয়। কিন্তু এত সাবলীলভাবে সেটা এ বইয়ে করা হয়েছে, মনে হবে এর চেয়ে সহজ কিছু নেই বোধহয় আর। ইন্দ্রাণী যেন নিজের গল্পের সেই কালো টুপি পরা ম্যাজিশিয়ান। শব্দের ওপর, ভাষার ওপর, চরিত্রের ওপর এই অনায়াস দখল প্রতিটি লেখকেরই আরাধ্য।

সমকালীন গল্পে যারা নতুন কিছু খুঁজে বেড়ান; সেটা বিষয়ে হোক, বা বয়ানে, তাদের বলব এই বইটা পড়ুন। আশাহত হবেন না, বরং বইটা শেষ করে আমার মতই বেশ খানিকক্ষণ হতভম্ব হয়ে বসে থাকতে হতে পারে।

সবগুলো গল্পই ভাল লেগেছে, তবু আলাদা করে বলতে হয় উইদাউট আ প্রিফেস, পিং পং, সূর্যমুখীর এরোপ্লেন, যাপনকাল, প্রস্তুতি পর্ব, মুকুলের বাড়ি, এগুলোর কথা। মোট বারোটি গল্প নিয়ে এই সংকলনটি প্রকাশ করেছে গুরুচন্ডা৯ প্রকাশনী। বইটির দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১৩০ টাকা।
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on June 23, 2023 17:15

June 19, 2023

মহাশূন্যের গন্ধ নাকি পোড়া মাংসের মত | মিনহাজ রহমান


চমৎকার একটা থ্রিলার পড়ে ফেললাম। লেখক মিনহাজ রহমানের খোঁজ পেয়েছি অনেক বছর হয়ে গেল। বাংলা ইবুক প্রকাশের চেষ্টায় আমি একটা সাইট খুলেছিলাম, নাম ছিল বইদ্বীপ প্রকাশনী। আমার নিজস্ব খামতিসহ আরও বিভিন্ন কারণে এই প্রকল্প নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছে, তবে সে সময়কার কিছু সম্পর্ক এখনও টিকে আছে। মিনহাজ রহমানের একটা বই প্রকাশিত হয়েছিল বইদ্বীপ থেকে। নাম- চন্দ্রগ্রস্ত। সেটা ছিল একটা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। এই বইটাকেও সেই দলে ফেলা যায় বোধহয়।


তবে থ্রিলার হলেও এই উপন্যাসের ভাষা বেশ উইটি। প্রচুর ইমেজারি ব্যবহার করেছেন লেখক। আর অনেক ক্লু ছড়িয়ে রাখা বই জুড়ে। যেগুলো মজা নষ্ট করেনি, বরং বই শেষ করে ক্লুগুলির কথা মনে করিয়ে বই পড়ার আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক। আনরিলায়েবল ন্যারেটর এর একটা চমৎকার উদাহরণ হয়ে থাকবে এ বইটা আমার কাছে। এই টেকনিকটা খুব ঝামেলাপূর্ণ, খানিক এদিক ওদিক হলে গল্পের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও মিনহাজ রহমানের পরিমিতিবোধ ঈর্ষণীয়। চরিত্রগুলি বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে, নিজেদের মধ্যে আলাপগুলিও অবান্তর মনে হয়নি।

বইটি প্রকাশ করেছে দ্বিমত প্রকাশনী। ওদের আর কোনো বই আগে হাতে আসেনি আমার। এই বইয়ের প্রোডাকশন কোয়ালিটি বেশ ভাল লাগল। ভাল কাগজ, সুন্দর ছাপা। ইদানিং দেশ থেকে কেনা নতুন বই খুললেই যেটা হচ্ছে, বই হাতে নিয়ে আঠার উৎকট গন্ধ পাইনি। আর অনেকদিন পরে বাংলাদেশ থেকে ছাপা একটা থ্রিলার পড়লাম যেটায় বানান ভুল খুব একটা চোখে পড়েনি।

স্পয়লার না দিয়ে কীভাবে এই বইটা নিয়ে লেখা যায় সেটা ভেবে খুব দ্বিধায় ছিলাম। এক কথায় বলতে গেলে, বাংলা থ্রিলারের নতুন লেখকদের মধ্যে এরকম পরিণত মান বেশ বিরল।

লেখকের জন্যে অনেক শুভকামনা থাকলো। আশা করি লেখা থামাবেন না তিনি, বরং আরও নিয়মিত লিখে যাবেন।
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on June 19, 2023 17:43

June 15, 2023

সত্যজিতের শতবর্ষ একশোয় ১০০ | হিল্লোল দত্ত


এবারে দেশ থেকে নিয়ে আসা আরেকটা বই, সত্যজিৎকে নিয়ে একশটা তথ্যের সংকলন এটা। যেমনটা আশা করেছিলাম, বেশ অনেকগুলি অজানা তথ্য জানতে পেরেছি পড়ে। যেমন জন্মের পরপর সত্যজিতের নাম আসলে কী রাখা হয়েছিল, অথবা তাঁর সিনেমার সাথে সম্পর্কিত কয়েকজন মানুষের কিছু গল্প। অনেক ঘটনাকে সূত্র মিলিয়ে এক জায়গায় আনায় সেগুলোর ভেতরের মিল-অমিল নতুন করে চোখে পড়েছে। লেখক যে বেশ খেটেছেন এই বই লিখতে গিয়ে সেটা স্পষ্ট, আগে জানা কথাগুলিও তাই আড্ডার মেজাজে আবার পড়তে গিয়ে মন্দ লাগেনি।


একটা স্পেশাল ধন্যবাদ লেখককে। হিন্দি জ্ঞানে বেশ টানাটানি আছে আমার, তাই 'তেরে বিনা জিন্দেগি সে কোই শিকওয়া তো নেহি' এই কথাটার মানে এতদিন ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারিনি। এই বইয়ের কল্যাণে সেটা জানা হলো।

বইয়ের বাঁধাই চমৎকার। শক্তপোক্ত। ভাল লেগেছে। একটা ব্যাপার মনে হলো অবশ্য। প্রায় একশটি চ্যাপ্টার এই বইয়ে। সবগুলো নতুন পৃষ্ঠায় শুরু না করে যদি খানিক ফাঁকা রেখে পর পর ছাপা হতো, আমার ধারণা বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩০/৩৫ শতাংশ কমিয়ে আনা যেত। সে ক্ষেত্রে দামও কম রাখা যেত হয়ত। প্রকাশক এ কথাটা ভেবে দেখতে পারেন।

আর, কেন যেন বইয়ের ছবিগুলো সব নেগেটিভ প্রিন্ট এসেছে। এই ভুলটা পরের সংস্করণে ঠিক হয়ে যাবে আশা করি।

সব মিলিয়ে, সংগ্রহে রাখার মত হয়েছে এই বইটা। প্রচুর পেজমার্ক আর পেন্সিলের দাগ জমে গেছে বইটা শেষ করতে করতে। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হলে উল্টে পাল্টে দেখা যাবে।
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on June 15, 2023 17:41

March 24, 2023

জীবন স্মৃতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


 এখনো পড়া শেষ হয়নি। শীতের সকালের অল্প স্বল্প রোদ পোহানোর মত করে প্রতিদিন দু তিন পাতা করে পড়ে যাচ্ছি। বিশ্বভারতী থেকে বের হওয়া গেরুয়া প্রচ্ছদের বই, ঝকঝকে ছাপা, ছিমছাম সাইজ। চোখেরও আরাম, আবার হাতে নিয়েও আরাম। 

এই শতবর্ষী বই পড়তে পড়তেও মাঝে মাঝে যখন উচ্চৈস্বরে হেসে উঠতে হচ্ছে, নিজেই চমকে যাচ্ছি। পৃথিবীর সব সৃজনশীল মানুষই সবচেয়ে বেশি যে সংশয়ে ভোগে, তা হচ্ছে প্রাসঙ্গিকতা। সময়ের সাথে সাথে আর 'রিলেটেবল' না থাকতে পারার ভয়। রবীন্দ্রনাথ এসবকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন আসলে! 

আজ পড়তে গিয়ে দেখি এক জায়গায় ছেলেবেলায় স্কুলে অর্থ না বুঝে কোরাসে শেখা একটা গানের কথা লিখেছেন। অর্থ না জানায় শুধু শব্দগুলো শুনতে কেমন লিখেছেন তিনি।

'কলোকি পুলোকি সিংগিল মেলালিং মেলালিং মেলালিং।' 

পরে অনেক ভেবে খানিক পাঠোদ্ধার করতে পেরেছেন তিনি, Full of glee, singing merrily, merrily, merrily. 

তবে, প্রথম শব্দ 'কলোকি' আসলে কী সেটা তিনিও বের করতে পারেননি। 

এইটুকু পড়ে মনে হলো, এমনকি জমিদার রবীন্দ্রনাথের যা ছিল না, সামান্য প্রজা আমার সেটা আছে। তা হচ্ছে, গুগল। 🙂 

পরের শব্দগুলো গুগল করতেই পুরো গানটা পেয়ে গেলাম! সেই কলোকি মানে হচ্ছে - Follow me! 

শনিবারের সকালে তাই রবীন্দ্রনাথ পড়তে পড়তে নিজেকে হঠাৎ করে আর্কিমিডিসের মতন চেঁচিয়ে বলতে শুনলাম, ইউরেকা!

 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on March 24, 2023 21:49

February 14, 2023

অন্ধকার ও আলো দেখার গল্প | সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

 


সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম অদ্ভুত গল্প লেখেন। সবগুলো গল্পেই কথক হিসেবে তিনি নিজেই উপস্থিত। সব কয়টি গল্পই উত্তম পুরুষে লেখা। সেখানে গল্পের কথকের পেশা অধ্যাপনা, যিনি আবার লেখালেখিও করেন। কোনো কোনো গল্পে তাঁকে কেউ 'মনজুর' বলেও ডাকে। ইন্টারেস্টিং! সব গল্পেই তিনি পাঠককেও টেনে নেন, এবং মাঝে মাঝে পাঠককে ডেকে সম্বোধনও করেন। পাঠকের সাথে আলাপ করতে করতেও এগিয়েছে কিছু কিছু গল্প।


তবে গল্পে নিজে উপস্থিত থাকলেও গল্পের কথকের খুনী হয়ে যেতে কোনো বাধা নেই। আবার কখনো কখনো কথকের উপর রাগ বা বিরক্তি তৈরিও থেমে থাকে না। এ দিক দিয়ে লেখক সত্যিই উদার।

উন্নত মানের গল্পের বেসিক নিয়ম হচ্ছে, Show, don’t tell; এটা ওনার গল্পে একেবারেই খাটে না। অনেক বেশি টেলিং এখানে, শোয়িং এর বদলে। কিন্তু তাতে করে গল্প জমে যেতে আটকাচ্ছে না একদম। বরং সব গল্পই শুরু করে শেষ না করা পর্যন্ত থামা যাচ্ছে না। তার মানে কী দাঁড়ালো? তার মানে হলো এই যে, লিখতে জানলে গল্প যে কোনোভাবেই বলা যায়। নিয়ম কানুনের নিকুচি করলেও সমস্যা নেই কোথাও।

পুরো বইটা পড়ে মনে হলো, যদি গল্পের ভেতরকার রহস্যময় এবং আধিভৌতিক উপাদানগুলো না থাকতো, এ গল্পগুলোকে অনায়াসে লেখকের আত্মজৈবনিক স্মৃতি বলে চালিয়ে দেয়া যেত।

তবে সেটা যে যাচ্ছে না, বোধকরি এখানেই লেখকের সাফল্য। 
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on February 14, 2023 12:36

Tareq Nurul Hasan's Blog

Tareq Nurul Hasan
Tareq Nurul Hasan isn't a Goodreads Author (yet), but they do have a blog, so here are some recent posts imported from their feed.
Follow Tareq Nurul Hasan's blog with rss.