Tareq Nurul Hasan's Blog, page 14

October 10, 2015

শ্রোতার আসর- কে শুভেচ্ছা

শ্রোতার আসরের দশ বছর পূর্তির পরিবেশনা দেখে একটা চমৎকার সুখানুভূতি নিয়ে শনিবারের রাতে বাসায় ফিরতে ফিরতে ভাবছিলাম আমার মেলবোর্ন জীবনেরও দশ বছর হয়ে গেলো। দশ বছর, একটা লম্বা সময় আসলে। 
এই দূর পরবাসে একটা বাংলা গানের দলের দশ বছর পূরণ করে ফেলাটা কিন্তু মুখের কথা নয়।  প্রবাসে বসে বাংলা ভাষা, সঙ্গীত বা সংস্কৃতির চর্চা করা কী পরিমাণ কষ্টসাধ্য একটা কাজ, এটা যারা না করেছেন, তারা আসলেই জানেন না। ঘরের খেয়ে বোনের মোষ তাড়ানো - এটা অনেকের কাছেই কেবলই একটা কথার কথা, কিন্তু এই কথাটির একদম শত ভাগ বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় এধরনের দলগুলোয়। নিজেদের চাকরি, সংসার, ছেলে পেলে, অন্যান্য সামাজিকতা এই সব কিছু করে তারপরে একেকটা প্রোগ্রামের জন্যে সময় বের করতে হয়। কাজের পরে প্র্যাকটিস, সবার সময় মিলানো, গায়কদের সাথে যন্ত্রশিল্পীদের সমন্বয়, মঞ্চের যোগাড়যন্ত্র, কখনো আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার জন্যে ছোটা, কখনো সেটা ছাড়াই...। এই সব মিলিয়ে একটা এলাহি কারবার আসলে।এই এত কিছু করে করে একটা গানের দল আজকে দশ বছর পূর্ণ করে ফেললো, তাদের শুভেচ্ছা না জানিয়ে উপায় নেই। শ্রোতার আসরকে তাই শুভেচ্ছা জানাই।মেলবোর্নে গান শুনতে গিয়ে নিদারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে প্রায়ই। কখনো পুরো অনুষ্ঠান দেখে মনে হয়েছে সপ্তম শ্রেণির শিশুকিশোরের ট্যালেন্ট শো দেখছি, যে যা পারছে, অথবা যা পারছে না, সব কিছু নিয়েই মঞ্চে উঠে যাচ্ছে। কেউ কেউ এক সময় গাইতেন, এখন মঞ্চে মাইক দেখে ভাবলেন দিই না একটা গান গেয়ে- এরকম মনোভাব নিয়ে গেয়ে দিলেন একটা গান, এমনও হয়েছে। এক অনুষ্ঠানে একবার আবেগতাড়িত এক ভদ্রলোক হারমোনিয়াম টেনে হঠাত ‘এবার একটা পুজোর গান শোনাই’ বলে গেয়ে উঠলেন ‘আমার পূজার ফুল ভালবাসা হয়ে গেছে... ’! বিশ্বাস করুন, আমার হৃদযন্ত্র তার ক্রিয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল সেদিন!এই এত কিছুর মাঝখানে শ্রোতার আসর অনেকটা সুবাসের মতন। ওদের সবচেয়ে যেটা বেশি ভাল লাগে, তা হচ্ছে অভিনবত্ব। একটা পুরো অনুষ্ঠান সলীল চৌধুরীকে নিবেদন করে করা, এই প্রবাসে বসে ভাবা যায় এরকম? অথবা কখনো শচীন দেব বর্মনের গান দিয়ে সাজানো, কখনো থিম বেছে নেয়া হয় চিঠি, কখনো বাদল দিনের গান। এরকম চমৎকার সব অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ করে দিয়েছে আমাদের শ্রোতার আসর।চমৎকার সব যন্ত্রশিল্পী রয়েছে এই দলটায়। পরিচিত গান, কিন্তু নতুন নতুন এরেঞ্জমেনটে গেয়ে কী শ্রুতিমধুর হয়ে ওঠে শেষমেশ।ইউটিউবে গিয়ে গিয়ে পছন্দের গান শুনি আমরা প্রায় সবাইই। কিছু গান বারবার শোনা হয়। দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই গানগুলো হয় সুপরিচিত শিল্পীদের গাওয়া। অথচ শ্রোতার আসরের অনুষ্ঠান দেখে এসে এমন হয়েছে, আমি ইউটিউব ঘুরে ঘুরে বার বার হয়ত শুনছি আমার অসম্ভব ভাল লাগা গান ‘কে যাস রে’, কিন্তু অবাক হয়ে দেখি, আমি হয়ত শুনছি শ্রোতার আসরের সিমিনের গাওয়া ভার্সনটাই। একই ভাবে বার বার শুনি কাঁকনের গাওয়া ‘কেউ কোন দিন আমারে তো’। এই ব্যাপারটা আমার নিজের কাছেও ভাল লাগে, মনে হয়, একজন শিল্পীর এটাই তো সত্যিকারের প্রাপ্তি, শ্রোতার মনের ভেতরে ঢুকে পড়াটা।আজকের অনুষ্ঠানটাও এক কথায় চমৎকার হয়েছে। অনেক ভাল লেগেছে শমী-র ‘তখন তোমার একুশ বছর...।’  গায়কদের মঞ্চে নিয়ে এসে তাদের সাথে কথা বলে বলে দর্শকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রচলন অন্তত এই প্রবাসে খুব বেশি দেখিনি। এ ব্যাপারটা কত যে হয়েছে, একটা লম্বা অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি ফিরতে ফিরতে ভেবেছি, আচ্ছা ওই গানটা খুব ভাল লেগেছিল, কে যেন গেয়েছিল? দেখি সেটা আর মনে নেই। এত কম মানুষদের মাঝেও গানের শিল্পীরাই কেমন করে যেন আড়ালে থেকে যায়। তাই, এভাবে শিল্পীদের সামনে নিয়ে আসা, দর্শকদের মাঝে নিয়ে আসার ব্যাপারটা প্রশংসার যোগ্য। এই খানে বলে ফেলি, অন্তত আজকের পরিবেশনার স্টাইলের জন্যেই, গায়ক বা বাদ্যযন্ত্রীদের সাথে সাথে প্রায় সমান কৃতিত্ব দিতেই হবে উপস্থাপক আতিক রহমানকে। ওনার সাবলীলতা এবং রসবোধ আজকের অনুষ্ঠানের প্রাণ ভোমরা হয়ে ছিলো।আরও ভাল লেগেছে মালা-র একদম হৃদয় নিংড়ানো গান ‘বলি মা তোর চরণ ধরে...’। কী যে ভাল লাগে কেউ যখন একদম অন্তর থেকে গায়! ভাল লেগেছে মৌলী, হিমানী, অনিন্দ্য, চঞ্চলজাকি আমানের গানও।শ্রোতার আসরকে বলি, দশ বছর পরে আপনাদের প্রাপ্তি  আসলে কী জানেন? আমরা গান-প্রেমীরা মেলবোর্নের প্রায় সব অনুষ্ঠানেই হাজিরা দেই। সব অনুষ্ঠানে যাই এক ধরণের জুয়া খেলার মত করে, হয়ত গান ভাল লাগবে, হয়ত লাগবে না। হয়ত সন্ধ্যাটা সুন্দর কাটবে হয়ত কাটবে না। কিন্তু শ্রোতার আসরের অনুষ্ঠান দেখতে যখন যাই, আমরা সেই আশা নিয়ে যাই যে আজকে একটা ভাল অনুষ্ঠান দেখতে যাচ্ছি, ভাল কিছু গান শুনতে যাচ্ছি। 
সেই আশা দিনে দিনে আরও বেড়ে উঠুক, আপনাদের জন্যে রইলো শুভকামনা। 
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on October 10, 2015 07:34

September 30, 2015

বাংলা ভুলে গেছি!

সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাদের কী কী মনে হতে পারে? সবচেয়ে প্রচলিত যেটা হয়, গভীর ঘুম ভাঙ্গার পরে হঠাত বুঝে উঠতে খানিক সময় লেগে যায় যে, এখন কোথায় আছি। ছোটবেলায় এরকম হতো, আমি কি গ্রামের বাড়িতে আছি নাকি নিজের বিছানায় শুয়ে সেটা বেশ খানিকক্ষণ বুঝতে পারতাম না।
হোস্টেলে থাকাকালীন সকালে ঘুম ভাঙ্গতো বাঁশির শব্দে। ছুটিতে বাসায় ফিরতাম যখন মাঝে মাঝে কোথা থেকে যেন বাঁশির শব্দ শুনতে পেতাম, ঝট করে ঘুম ভেঙ্গে কিছুক্ষণ বুঝতে পারতাম না কোথায় আছি এখন, বাসায় নাকি কলেজে!
এখন এই মাঝবয়সে এসে মাঝে মাঝেই সকালে উঠে আয়নায় তাকিয়ে মনে হয় বুড়ো হয়ে যাচ্ছি বেশ। মেটামরফোসিস গল্পের কথা মনে পড়ে যায়, যে গল্পে একদিন সকালে হঠাত উঠে গ্রেগর দেখে যে সে একটা পোকা হয়ে গেছে, মানুষ নেই আর।
স্কুল জীবনে কোন কোন কঠিন বিষয়ের পরীক্ষার দিন সকালে উঠেই সবার আগে আমার মনে হতো, কাল কী কী পড়েছি সব ভুলে গেছি, কিচ্ছু মনে নেই! সাংঘাতিক আতঙ্কে কাটতো কিছু মুহুর্ত। 
আজ সকালে উঠে, হাতে কিছু সময় পেয়ে, পত্রিকা খুলে বসলাম। প্রথম আলো। সেখানে চিত্র সমালোচনার পাতাটি পড়তে গিয়ে আমার পরিষ্কার মনে হল, আমি নির্ঘাত বাংলা ভুলে গেছি।
ভাল করে পড়ে দেখলাম লেখাটি আসলে বাংলাতেই লেখা, কিন্তু পড়ে সত্যিই অনেক কিছু বুঝতে পারছি না। লেখকের নাম মতিন রহমান, পরিচিত লাগলো নামটি, এই নামে একজন সিনেমা পরিচালক আছেন বলে মনে পড়ছে, জানি না তিনিই লেখক কিনা। লেখাটির কিছু শব্দের ব্যবহার বুঝিনি, কিছু বাক্য মনে হয়েছে অসমাপ্ত, কোন অর্থ দাঁড় করাতে পারেনি। কিছু শব্দের অর্থও জানি না মনে হল। লেখা থেকেই কিছু উদাহরণ তুলে দিচ্ছি, অর্থ বুঝিয়ে দিতে যদি কেউ এগিয়ে আসেন তাঁকে আগাম ধন্যবাদ!   


‘গল্পের আঙ্গিক বৈশিষ্ট্যে ধৃত হয়েছে ভারতীয় পরিবারের ছেলেমেয়ে যারা উচ্চশিক্ষায় বিদেশে গিয়ে হোটেল, রেস্তোরাঁয়, রেলস্টেশনে প্রেমখেলায় সময় কাটায়।’ - এ বাক্যটায় প্রথম চারটা শব্দের অর্থ করতে পারছি না, শেষটুকুও না। 
‘অজয়ের চরিত্রভাবে প্রশ্ন জুড়ে গল্পে বিরতি ঘোষিত হয়।’ - মানে বুঝিনি। 
‘বেশ কিছু কৌতুক ও উপভোগ্য রহস্য দৃশ্যের মাঝ দিয়ে গল্পটি নায়ক-নায়িকার ভাবমূলক দাবি থেকে অজয়ের বাবা বোধমূলক প্রাপ্তির দিকে নিয়ে যায়। অজয়ের বাবার নাট্য রসানুভূতিমূলক দৃশ্য বেশ উপভোগ্য।’ - ভাবমূলক দাবি, বোধমূলক প্রাপ্তি, রসানুভূতিমূলক দৃশ্য- এই ব্যাপারগুলো আসলে কী?  
‘গীতদৃশ্যে শিল্পীদের অঙ্গমুদ্রার বর্ণনাত্মক ভঙ্গি সুসামঞ্জস্য।’-  মিলছে না মনে হচ্ছে। 
‘ক্যামেরার অহেতুক কারিগরি কৌশলগতি থেকে আশিকী ভারমুক্ত।’ - কৌশল, ঠিক আছে, গতি কেন?
‘বৃষ্টিভেজা সকাল’সহ প্রতিটি গানের গীতসংলাপ শ্রুতিমধুর।’ - গীতসংলাপ, এটা কী, এবং কেন?
রাহুল ও শ্রুতির চুম্বনপূর্ব দৃশ্যে ক্লোজড শটে নীরবতা উভয়ের স্পটে যোগসূত্রের নির্মাণ।’- এ বাক্যের কোথায় শুরু, কোথায় শেষ, স্পট কী? পুরো বাক্যের কী মানে দাঁড়ায়?
অজয়কে উদ্ধার করতে রাহুলের গাড়ি চালিয়ে আসা ইন্টারকাট রীতিতে গড়ে তোলা দৃশ্যটি সম্পাদকের মস্তিষ্ক–প্রসূত করতে বাসনা। তবে স্টিম ইঞ্জিন ট্রেনের আগুয়ান গতিময় শটের সঙ্গে কম্পার্টমেন্ট দৃশ্যের স্টোটিক শটগুলোর সংযোগ ধারাবাহিকতা বিভ্রাট ঘটায়।’ - মস্তিষ্ক-প্রসূত করতে বাসনা কী জিনিস? স্টোটিক শট কী?
যৌথ দেশের যৌথ মেধাশ্রমে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে নির্মিত আশিকী প্রথাবদ্ধ প্রেম কাহিনির চর্বিতচর্বণ। দর্শকের দৃষ্টিতে সময় কাটানো সিনেমা খোলা। এম এ আজিজ ও অশোকপতি পরিচালকদ্বয়ের ‘হিস্টরি রিপিট’।’ - সিনেমা খোলা এটা কী? খায় না মাথায় দেয়?
পুরোটা কয়েকবার পড়লাম। বুঝিনি ভাল করে এখনো। আরও ক’বার পড়বো কিনা ভাবতে ভাবতেই  মনে হল তার চেয়ে সিনেমাটাই দেখে ফেলা ভাল হবে। আমার অবুঝমূলক ভাবনা আগুয়ানিত হয়ে মস্তিষ্ক গীতসংলাপে সুসামঞ্জস্য হয়ে যাবে! 
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on September 30, 2015 19:45

September 23, 2015

আবারও বিজ্ঞাপন


এক বহু বছর আগে রহস্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার আহবান জানিয়ে দেয়া বিজ্ঞাপনে চমৎকার একটি কথা পড়েছিলাম, এতদিন বাদেও কথাটা পষ্ট মনে আছে, “ বিজ্ঞাপন না দিয়ে ব্যবসা করা আর অন্ধকারে কোন সুন্দরীর দিকে চেয়ে মিষ্টি করে হাসা একই কথা; তুমি জানো তুমি কী করছ, অথচ আর কেউ জানে না।’’ বলেছিলেন, Steuart Henderson Britt। এই লেখাটা লিখতে লিখতেই একবার গুগল করে নিশ্চিত হয়ে নিলাম, গুডরিডসে পাওয়া গেলো, মূল কথাটা এরকম- “Doing business without advertising is like winking at a girl in the dark. You know what you are doing but nobody else does.”। ইংরেজিটা পড়ে আরেকবার চমৎকৃত হলাম সেবা’র অনুবাদে, এত সুন্দর বাংলা অনুবাদ সেবা প্রকাশনী না হলে আসলেই পেতাম না আমরা।  একাডেমিক কিছু কাজে গত কিছুদিন দেশবিদেশের নানা বিজ্ঞাপন দেখে বেড়াচ্ছি। মজার এবং অদ্ভুত সব আইডিয়ার বিজ্ঞাপন দেখে ব্যাপক আনন্দ পেয়েছি বলা যায়। কয়েকটার কথা বলি এখানে। ১/ এই বিজ্ঞাপনটা পৃথিবীর প্রাচীনতম বিজ্ঞাপনগুলোর একটি। একটি রোমান ব্রোথেলের বিজ্ঞাপন। বড় পায়ের পাতা দিয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া আছে, কোন দিকে যেতে হবে।


২/ মাত্র এক শতাব্দী আগেও সিগারেটের বিজ্ঞাপন দেয়া হতো ডাক্তারদের রেফারেন্স দিয়ে, এই সিগারেট খেলে গলা চুলকায় না, খেয়ে দেখুন ভাইসকল! 


৩/ বউ কীভাবে পেটানো হয় এ নিয়ে বই বের হতো একসময়, সেসবের বিজ্ঞাপনও হতো। 


মজার বিজ্ঞাপন লিখে সার্চ করলে আরও অনেকগুলোর খোঁজ পাওয়া যাবে, বেশ ভাল রকমের অবসর বিনোদন, সন্দেহ নেই। 
দুই সাধারণত পত্রিকার ইভার্সনটা পড়া হয় এখন। মানে, স্ক্যান করে যে পাতা গুলো তুলে দেয়া হয় সেগুলো। সত্যিকারের পত্রিকার একটা আমেজ আসে তাতে, এ জন্যেই মূলত। সুবিধা হচ্ছে, শুধু খবরই নয়, খবরের সাথে সাথে মূল পত্রিকায় ছাপা হওয়া বিজ্ঞাপন দেখা যায় স্ক্যানের কল্যাণে। সেদিন প্রথম আলোর চট্টগ্রাম বিষয়ক আঞ্চলিক পাতায় একটা অদ্ভুত বিজ্ঞাপন দেখলাম! সেই বিজ্ঞাপনের কথা বলছি, তার আগে একটা গল্প বলে নিই। দেশে গেলে আত্মীয়দের সাথে আলাপের সময় অদ্ভুত সব কথা শুনতে হয়, যেহেতু বহুদিন পর পর দেশে যাই, নিজেকে ব্যাকডেটেড ধরে নিয়ে প্রায় বেশিরভাগ কথাই গিলে ফেলি কোন প্রতিবাদ ছাড়া। এবারে এক আত্মীয়ের বাসায় যেতে হল, উনার ছেলে সম্প্রতি গাড়ি কিনেছেন একটা। পেশায় ডাক্তার। পরিশ্রমী ছেলে, অল্প সময়ে উন্নতি করছে বেশ। অনেক ভাল লাগে দেখে। আমি যাবার পরে খানিক আলাপ- সালাপের পরেই সেই আত্মীয় জিজ্ঞেস করলেন, “ তা অস্ট্রেলিয়ায় যেতে এখন কত টাকা লাগে?” আমি প্রশ্ন বুঝতে পারলাম না, প্রথমে ভাবলাম মেলবোর্ন থেকে ঢাকার প্লেনের টিকেটের দাম জানতে চাইছেন বোধহয়। এটা ওনার কী কাজে লাগবে বুঝতে না পারলেও উত্তর দিলাম সুন্দর করে, “জ্বি, ষাট হাজার টাকার মতো লেগেছে এবার, কমবেশি হয় মাঝে মাঝে।” উনি হাত নেড়ে আমাকে উড়িয়ে দিয়ে বললেন, “আরে না না, সেটা না, ওখানে একবারে গিয়ে থাকার জন্যে কত লাগে এখন? শুনেছি তো দশ-পনের লাখ টাকা হলেই নাকি এখন চলে যাওয়া যায়।” আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বসে রইলাম, আমার অনেক বন্ধুই সম্প্রতি ওদেশে থাকবার জন্যে আবেদন করেছে এবং করছে, তাদের নানা ঝুট-ঝামেলার গল্প শুনি, নানা নিয়মের বেড়াজাল নিয়ে অভিযোগ শুনি। বেকুবগুলা কোন মতে পনের লাখ টাকা যোগাড় করতে পারে না? ধুর! গত বছর দশেকের মেলবোর্ন-স্মৃতি এক পলকে চোখের সামনে দিয়ে ভেসে গেলো, পড়াশোনার সেই দৌড়ের ওপর থাকার দিনগুলো থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত নানা স্মৃতি। শুনেছি মৃত্যুর আগে নাকি এরকম ফ্ল্যাশব্যাক দেখা যায়, ওই সোফায় বসেই ঘেমে নেয়ে গেলাম, মরে টরে যাচ্ছি না তো? নাহ, মরছি না সহজে, মরে গেলে পরের লাইনটা শুনতে পেতাম বলুন? সোফায় এক পা তুলে দিয়ে আয়েশি ভঙ্গিতে বসে আমার আত্মীয় ভদ্রলোক বললেন, “এত করে বললাম এখন কিনিস না, তা না, গাড়ি কিনবেই। পনের লাখ টাকা চলে গেলো। গাড়িটা না কিনলে তো অস্ট্রেলিয়ায় চলে যেতে পারতো!” 

তিনপ্রথম আলোর সেই পাতায় নিচের বিজ্ঞাপনটা দেখে আমার এই স্মৃতি মনে পড়লো। 
আমার আত্মীয় ভদ্রলোক আগেই এই বিজ্ঞাপন দেখেছিলেন কি না বলতে পারবো না, এরকম সাঙ্ঘাতিক বিজ্ঞাপন কেমন করে পত্রিকায় ছাপা হয় জানি না। দেশে বিজ্ঞাপন নিয়ে নীতিমালা বলবত আছে কি না তাও জানি না, কিন্তু এভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে ধোঁকাবাজি করার উদাহরণ খুব একটা চোখে পড়ে না। কিছুদিন আগে হলে শুধু হেসেই উড়িয়ে দিতাম এটাকে। কিন্তু আমরা এক আজব দেশের বাসিন্দা, যে দেশের লোকে চাঁদের বুকে সাঈদীকে দেখে প্রতিবেশীর ঘর ভেঙ্গে দিয়ে এসে নাক ডেকে ঘুমায় রাতে, কোন অপরাধবোধ ছাড়াই। সে দেশের লোকে এরকম বিজ্ঞাপন দেখে ছুটবেনা এরকম গ্যারান্টি কে দিবে? আর এই বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব কে নিবে? পত্রিকা, নাকি সরকার? 
জানা নেই। 
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on September 23, 2015 04:53

September 13, 2015

আমার বন্ধু রাশেদ...

যারা এখনো দেখেন নি, তারা এখান থেকে আমার বন্ধু রাশেদ সিনেমাটি দেখে ফেলতে পারেন। চমৎকার প্রিন্ট। আপনি দেখুন, সাথে আপনার সন্তানদেরও দেখান। দেখতে না চাইলে শর্ত জুড়ে দিন, বলুন, এটা না দেখলে হ্যারি পটার দেখাতে নিয়ে যাবো না কিন্তু। তবু কাজ না হলে, চকোলেটের লোভ দেখান। তারপরেও, যেভাবেই হোক, সিনেমাটি তাদের দেখতে দিন। এর প্রয়োজন আছে, বিশ্বাস করুন।

 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on September 13, 2015 21:34

August 26, 2015

বইদ্বীপ বিষয়ক আপডেট এবং সুখবর।


বইদ্বীপ নিয়ে আরও কিছু কাজ এগিয়েছি। বইয়ের ইল্লেগাল শেয়ারিং এর ব্যাপারটা আটকানো যাচ্ছিল না কিছুতেই। এবারে ভাল একটা বুদ্ধি পেয়েছি। এরকম একটা নোটিশ দিয়েছি আপাতত বইদ্বীপে। '' বাংলা ইবইকে পাঠকদের মুঠোফোনে পৌঁছে দেবার জন্যে আমরা উদ্যোগী হয়েছি আরও। এই পর্যায়ে বইদ্বীপের প্রায় সকল বই গুগল প্লে এবং গুগল বুক স্টোরে তুলে দেয়া হয়েছে। দেশ ও বিদেশের সকল পাঠক গুগল বুকে আমাদের লেখক বা বইয়ের নাম ধরে সার্চ দিলেই বইদ্বীপের বইগুলোর খোঁজ পেয়ে যাবেন। আরও সুখবর হচ্ছে ধীরে ধীরে আমরা আইবুক স্টোরেও আমাদের বই তুলে দিচ্ছি। বেশিরভাগ বইয়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে শীঘ্রই। ভবিষ্যতে আমাদের পরিকল্পনা আছে বইদ্বীপের বইগুলোকে কেবল মাত্র গুগল বুক এবং আইবুক স্টোরের মাধ্যমেই পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার। ''প্লে বুক এবং আইবুক এর মাধ্যমে বই বিতরণের ফলে অবৈধ শেয়ারিং এর ব্যাপারটা আর থাকবে না। এর ফলে লেখকেরা বেশ খানিকটা শান্তিতে থাকতে পারবেন বলে আশা করতে পারি। আরও একটা ভাল সুবিধা হয়েছে দেশের পাঠকদের জন্যে। বইদ্বীপ থেকে তুলে দিচ্ছি কারণটা ঃবাংলাদেশ থেকে পাঠকেরা বইদ্বীপের বই কিনবেন কী ভাবে?বাংলাদেশ থেকে পাঠকেরা গুগল বুকস এবং আইবুকসের মাধ্যমে বইদ্বীপের বই কিনতে পারবেন। দেশীয় বাজারে, বিশেষ করে কম্পিউটার বা ফোনের দোকানে এবং \'এখানেই\' বা \'বিক্রয়\' ডট কমের মত অনলাইন শপগুলোয় গুগল এবং আইটিউন্স ক্রেডিট কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করে বাংলাদেশি পাঠকেরা সহজেই আইবুক অথবা গুগল বুক অ্যাপস-এর মাধ্যমে বইদ্বীপের বই কিনতে পারবেন।
5 likes ·   •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on August 26, 2015 05:51

মুখ ঢেকে যায় ...

রাজপ্রাসাদের সৈন্যরা সব শেষ, উজিরের মরল খানিক আগেই, বীরবেশে আমি রাজার ঘরে ঢুকতে যেতেই রাজকন্যা ফোন দিলো, আমার মুঠোফোনের স্ক্রিনে ছবি সমেত নাম ভেসে উঠলো তার, কঙ্কাবতী! আমি তো চমকে উঠলাম। হাতের চকচকে খোলা তলোয়ার সাই করে বগলে চেপে অন্য হাতে কল রিসিভ করেই বললাম, হাআআলোওওও, নেমজ কুমারস, ডালিমস কুমারস!ফোনের অপর প্রান্ত থেকে কেউ একজন উদগ্রীব গলায় ডেকে উঠলো, কনফু, ঘুমাচ্ছিস?
ঘুম? আমি? ঘুউউম?
আরে তাই তো! বেঘোরে ঘুমুচ্ছিলাম, ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই রাজা উজির মারছিলাম বেশ। এবারে একদম ধপাস করে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। রাজ্য রাজপাট সিংহাসন সব গায়েব। আমি ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসলাম, কানে তখনও সোনার কাঠি রূপার কাঠি, আই মিন, ফোন।
অফিস-ফেরতা বউ কল দিয়েছে, শহর থেকে ফিরবার ট্রেন মাঝপথে আটকা পড়েছে, নিয়ে আসতে হবে গিয়ে।
খুব দ্রুতই রূপকথার ঘুম কাটিয়ে স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করলাম। ঠিকানা জেনে নিলাম ঝটপট, তারপরে গুগল ম্যাপে সার্চ, ম্যাপ জানালো ২৮ মিনিটের পথ। চিরকালীন অভ্যাসে নিচের বাটনে চাপ দিয়ে মোবাইলটা উইন্ডস্ক্রিনের হোল্ডারে চাপিয়ে দিয়ে শিষ বাজাতে বাজাতে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দিলাম, এবার গুগলই পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে।
পৌঁছতে যখন মিনিট পাঁচেক বাকি, তখন খানিক সন্দেহ হতে লাগলো। আমার মন বলছে এখন সোজা যাবার কথা, তাহলে গুগল ম্যাপ কেন ডানে যেতে বলছে? এতটাই নিশ্চিত ছিলাম যে আমি সোজা রাস্তায়ই গেলাম। কিন্তু ম্যাপ সাথে সাথে ট্যাঁ ট্যাঁ করে উঠল, ডানে যাও, ডানে যাও। আমি তবু খানিকদূর গিয়ে দেখি একি ব্যাপার, বাধ্য হয়ে গাড়ি থামিয়ে ম্যাপে আমার গন্তব্য ঠিকঠাক দিয়েছি কি না দেখতে গেলাম। ধুর, ভুল ঠিকানা দিয়ে বসে আছি!
আবারও ঠিকানা লিখলাম ওখানে, তারপরে অভ্যেসমতন সার্চ বাটন ছুঁইয়ে স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখি সর্বনাশ, ঠিকানা দেখাচ্ছে আমার গন্তব্যই, তবে যেখানে চাপ দিয়ে ডিরেকশান চালু করার কথা ওখানে দেয়া আছে কাছাকাছি একটা রেস্তোরাঁর নাম! ব্যাপারটা বুঝে উঠতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লেগে গেল আমার, তারপরেই হঠাৎই বুঝে গেলাম!
বিজ্ঞাপন!
আমার সঠিক গন্তব্যের অপশান দেয়া আছে নতুন একটা জায়গায়। কিন্তু অভ্যেস বশে যেখানে আঙুল যাবার কথা ওখানেই ঘাপটি মেরে আছে সেই রেস্তোরাঁর বিজ্ঞাপন।

হায় গুগল। ম্যাপেও এরকম জোরজবরদস্তি টাইপ বিজ্ঞাপন দিতে হল? জিমেইল বা ইউটিউবে, এমনকি গুগলের সার্চে টার্চেও বিজ্ঞাপন মানিয়ে যায়, ওদেরও তো পেট চালাতে হবে।
কিন্তু গুগল ম্যাপের মত একটা জরুরি জায়গায় বিজ্ঞাপনের গিয়াঞ্জাম দেখে ভাল লাগলো না। এ যেন পাবলিক টয়লেট থেকে বেরুবার মুহুর্তে আবিষ্কার করা যে টয়লেট রোল নেই, নতুন রোলের জন্যে এখন বসে বসে দেখতে হবে ম্যাগি নুডলসের বিজ্ঞাপন, শেষ হলেই পরে বাক্স ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবে ঝকঝকে নতুন টয়লেট রোল!
সত্যিই সেলুকাস, মুখ তো বটেই, আজকাল ম্যাপও... ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে!
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on August 26, 2015 05:41

August 12, 2015

আমার শহরে...

রীতিমতন কাকভেজা হয়ে গেছি, পেছন থেকে মামা তাড়া দিচ্ছিল তাড়াতাড়ি ঢুকে যেতে ঘরে, তবু দরজার সামনে পৌঁছে আনমনে দাঁড়িয়ে গেলাম হঠাৎ।
বৃষ্টি ঝরেই যাচ্ছে অবিরল, মাথা মৃদু ঝাঁকিয়ে খানিকটা বৃষ্টি ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করি আমি, কিছু ক্লান্তিও ঝরে পড়ে সাথে। কয়েক সেকেন্ড বিরতি দিয়ে অবশেষে বাসার দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ি ভেতরে, বহুবার দেখা সিনেমার ছবিদের মতন পরিচিত ঘরদোর সব।
ডান হাতের ভারি ব্যাগটা বাহুল্যের মত জড়িয়ে ছিল যেন এতক্ষণ, সেটা নামিয়ে রেখে ধীর পায়ে আম্মার বিছানার পাশে গিয়ে দাঁড়াই আমি।
কেউ একজন এসে ইতিমধ্যেই বলে গেছে যে আমি এসেছি, আম্মা তাই তাকিয়েই ছিল এদিকে। আমি এসেছি বলে জ্বলজ্বল করছে তার চোখ দুটা। মুখে হাসির মত একটা ভঙ্গি করা, আমি দেখতে পাই তবু অনেক যন্ত্রণা মিশে আছে তাতে।
তোমার ছেলে ফিরে এসেছে আম্মা। কেউ বলে না, তবু মনে মনে শুনতে পাই আমি বলছি যেন ফিসফিসিয়ে, ফিরে এসেছে তোমার ছেলে, আম্মা।
গত কুড়ি বছর ধরে এভাবে বার বার ফিরে আসা আম্মার কাছে। কখনো কিছু মাসের বিরতিতে, কখনো কিছু দিনের, আর ইদানীং সেটা গড়িয়েছে কিছু বছরে। এই ফিরে আসার অনুভূতি তবু কখনও পুরনো হয় না।হাসিমুখ থেকেই আচমকা কান্না বেরিয়ে আসে তার। আমি পাশে বসে আম্মার বাম হাত আমার মুঠোতে পুরে নিই, ডান হাত বাড়িয়ে আমার মুখ ছোঁয়ার চেষ্টা করে আম্মা, কিন্তু ভুলে গেছে যে সে হাতে অত শক্তি অবশিষ্ট নেই তার আর। আমি নিজেই হাত বাড়িয়ে পড়ে যেতে থাকা ডান হাতটাও ধরে ফেলি, নিয়ে আমার গালে চেপে ধরি জোরে।
হাসি আর কান্নায় মাখামাখি আধো আধো বোলে কী যেন বলে ওঠে আম্মা, আমি বুক ভরে আমার শৈশবের ঘ্রাণ নিতে থাকি তার হাত থেকে, আমার সেসব কথা আর শোনা হয় না।
*
কুমিল্লার রাস্তাগুলো ছোট হয়ে গেছে যেন, অথবা আমার দেখার চোখ হয়তো বুড়ো হয়ে গেছে।
রাস্তায় তাকিয়ে জিলা স্কুলের সাদা ইউনিফর্ম পরা আমাকে দেখতে পাই এখানে ওখানে, খুলে যাওয়া জুতা এক হাতে নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাড়ি ফিরছি যেন আমি। আবার দুই হাত ছেড়ে দিয়ে সাইকেল চালাতে থাকা আমাকেও দেখতে পেলাম কয়েকবার, আনন্দে হই হই করছি মুখ দিয়ে।কান্দিরপাড়ে দাঁড়িয়ে মাথা তুলে আকাশ দেখি, পুরনো আকাশ দেখে মন ভাল লাগে। এ শহরে হঠাৎ করে কোথা থেকে এত মানুষ এলো কে জানে। এসেছ, থাকো, কিন্তু তোমরা সবাই একে ভালো বাসো তো? কে জানে!
এ পাশের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থেকে মানুষ দেখি কেবল। রাস্তা পার হওয়া দরকার, ও পাশ থেকে রিকশা নিতে হবে, দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি, সামনের লোকেরা সরে গেলেই রাস্তা পার হবো। মানুষ দেখতে দেখতে এক সময় টের পাই, মানুষের সারি শেষ হবার নয়, আমাকে এরা জায়গা দিবে না আসলে আমার শহরে। টের পেতেই কেমন অস্থির হয়ে উঠি, বিহ্বল হয়ে উঠি, তারপরে হঠাৎই কাঁধ ঝাঁকিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ি, ভিড় ঠেলে ঠেলে পার হয়ে যাই রাস্তা, পার হয়ে মন ভাল লাগে, আহা, আমার শহর!রিকশায় যেতে যেতে দীঘির পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বুড়ো বাদামওয়ালার সাথে চোখাচোখি হলে আমরা দুজনেই চমকে উঠি। বাদাম মাপবার নিক্তি নড়ে ওঠে তার, আমাকে চিনবার চেষ্টায় চোখ ছোট করেছে দেখে আমি চেনা মানুষের মত হাসি একটু। চিনেছি আমি আমার শৈশবের ‘মাই এইম ইন লাইফ’-কে! পেছন ফিরে দেখি সে হাসি ফিরে এসেছে আমার কাছে, বড় ভাল লাগে তখন। আহা, আমার শহর।
*
বহুদিন গরম আর বৃষ্টি এ দুটোকে এক সাথে পাই না। অনভ্যস্ত গরমে অস্থির লাগে যখন, বৃষ্টির ছোঁয়া এসে শান্তি দিয়ে যায় অবলীলায়।
মাথার ওপরে আহ্নিক গতির সাথে পাল্লা দিয়ে ঘুরতে থাকে ফ্যান, দোতলার জানলা দিয়ে চেয়ে দেখি, কাঁঠাল গাছের ডালে বসে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বিরক্ত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে একটা চড়ুই। তুমি কে হে? আগে দেখিনি তো?- আমাকে জিজ্ঞেস করলো সে ব্যাটা। জবাবে শুধু একটু হাসলাম কেবল আমি, জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে চড়ুইয়ের কাছ থেকে অল্প কিছু ভাগ নিতে চাইলাম বৃষ্টির ফোঁটার, বিরক্ত মুখ করেই অভিশাপ দিতে দিতে উড়ে চলে গেলো সে।চড়ুই জানে না, আমাদের ডানায় মেখে থাকে কত কত মায়া আর স্মৃতির ওজন, বারে বারে তারাই তো ফিরিয়ে নিয়ে আসে আমাকে এইখানে, আম্মার কাছে, আমার শহরে।
1 like ·   •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on August 12, 2015 23:19

March 25, 2015

September 8, 2014

একটি হাউ-টু ব্লগঃ যেভাবে আপনার স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাবেন-

শুরু------------------গত বছর ডিসেম্বরে  দেশে যাবার পরে একটা অচিন্ত্যনীয় ব্যাপার হলো।
সারা দেশে তখন নির্বাচন পূর্ববর্তী আন্দোলন আর অবরোধ, সেই সাথে লেগে আছে হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও...। দেশে যাবার আগে আগে শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনেকেই বললেন এরকম পরিস্থিতিতে না যেতে, নির্বাচন শেষ হোক, পরিস্থিতি শান্ত হোক, তারপর যাওয়া যাবে। আমি তেমন একটা গা করলাম না। নিজের দেশে যাচ্ছি, সেটার জন্যে আবার পরিস্থিতি বিবেচনা কী? অনেককেই দেখেছি দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে দেশে যাবার আগে ‘ওয়েদার’এর খোঁজ নেন, তা না হলে দেশে গিয়ে অসুখে পড়েন, আমার এখনও এরকম হয়নি। একবার শুধু অতিরিক্ত নিমন্ত্রণের চাপে পেটের বারোটা বেজে একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে ছিলাম কদিন, এ ছাড়া আমার এতদিনকার চিরচেনা ‘ওয়েদার’ কখনোই আমাকে বিপদে ফেলেনি। আর এইসব হরতাল, অবরোধ এসব তো আমাদের নির্বাচনী কালচার, ডরাইলেই ডর, নইলে তেমন কিছু না। এরপরও অনেকের প্রশ্নের জবাবে মজা করে বলেছি, বেশি খারাপ পরিস্থিতি হলে ঘরের মধ্যেই শুয়ে বসে কাটিয়ে দিবো না হয়, তাতেই বা কী আসে গেল?আমার সেই মজা করে বলা কথা-ই যে সত্যি হয়ে যাবে সেটা তখন বুঝিনি। দেশে যাবার পরে আমার আগমন উপলক্ষেই কি না কে জানে, হরতাল অবরোধের ঘনত্ব ও পুরুত্ব দুইই বেড়ে গেলো, আমি পুরো তিন সপ্তাহ ঢাকায় আটকে রইলাম, একবারের জন্যেও আমার নিজের শহর কুমিল্লায় যেতে পারলাম না!
এরকম কিছু আসলে স্বপ্নেও ভাবিনি। কুমিল্লায় যেতে পারছি না, আমি?!?সৌভাগ্য এই যে আমার দুই মা-ই তখন ঢাকায়, মানে আমার আম্মু আর নানু। আম্মুর চিকিৎসার জন্যে মীরপুরে একটা অস্থায়ী ডেরায় উঠেছেন, তাঁকে দেখভাল করতে রয়েছেন নানু। কিন্তু এদিকে কুমিল্লায় আমার বাকি সব আত্মার আত্মীয়রা, আমার মামা, খালা আর সব পিচ্চি পিচ্চি কাজিনরা, যারা আমার অপেক্ষায় মোটামুটি পাগল-প্রায়। সপ্তাহে একদিনের জন্যে অবরোধ তোলা হয়, কিন্তু যানজট ঠেলে দিনে দিনে কুমিল্লায় গিয়ে ফিরে আসার উপায় নেই। একবার গেলেও ফিরতে হলে পরের সপ্তাহের অবরোধ-হীন দিনের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে, সেটাও সম্ভব না কারন আম্মু-নানু ঢাকায়।
এই দোটানার মধ্যে থেকেও একবার অবরোধ না-থাকার আগেরদিন ব্যাগ কাঁধে নিয়ে আমরা দুই ভাই বাস স্টপে গিয়ে বসে থাকলাম, আজ যদি কোন ভাবে বাস ছাড়ে তাহলে রাতে গিয়ে কাল রা্তেই ফিরে আসার চেষ্টা করা যাবে হয়তো। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বসে থেকেও লাভ হলো না, সরকারী বাসের কাউন্টার থেকে বলা হলো যাত্রাবাড়ির পরে কোথায় যেন ব্যাপক ভাংচুর হয়েছে, বাস যাবে না! এরকম হতাশার মধ্যে দিয়েই দেখি ছুটি প্রায় শেষ,  আমারও মেলবোর্নে ফেরার সময় হয়ে গেলো। মুঠোফোনের অপর-প্রান্তে আমার দুখী দুখী কাজিন ভাই-বোনেদের গলা শুনে মন খারাপ হয়ে যায়।
ফিরবার আগের দিন এক কাজ করলাম। অনলাইনে বই কেনার একটা ওয়েবসাইট থেকে ওদের সবার জন্যে নানা রকম বই অর্ডার করলাম। একই বইয়ের চার/পাঁচ কপি করে প্রতিটি, সব মিলিয়ে আটটি বা নয়টি করে বই প্রত্যেকের জন্যে। আমি যেতে পারছি না কিন্তু এই বইগুলো যাচ্ছে ওদের কাছে, এই ভেবে খানিকটা হলেও শান্তি পেলাম। মেলবোর্ন ফিরে আসার মাস তিনেক পরেই শুনি ওদের প্রায় সবারই সব বই পড়া হয়ে গেছে। খুব খুশি হলাম শুনে। পুরস্কার হিসেবে আরো নতুন নতুন বই পাবে, এরকম আবদারে আমি এত সহজেই রাজি হয়ে গেলাম যে ওরা খুশিতে বিশ্বাসই করতে পারছিলো না।
স্বপ্ন-
----অনেকদিন ধরেই মনে মনে ভেবে আসছিলাম আমাদের গ্রামের কিশোর/তরুন বয়েসী ছেলে-মেয়েদের জন্যে একটা কিছু করবো।
নানা পরিকল্পনা করি, বন্ধুদের বলি, কিন্তু স্থবিরতা কাটাতে পারি না। তিথি নিজেই ওদের গ্রামের স্কুলে প্রতি বছর একটা বৃত্তি-মতন দিয়ে আসছে কয়েক বছর ধরে, কিন্তু আমার কেন যেন বড় কিছুই করা হয়ে উঠছিলো না। তো, এবারে দেশে গিয়ে এই বই পাঠানোর পরে একটা বুদ্ধি মাথায় এলো, কেন না আমাদের গ্রামের স্কুলে একটা লাইব্রেরির অন্তত শুরুটা করে দেয়া যাক! আমাদের গ্রাম নয় শুধু এমনকি আশপাশের কোন গ্রামেও লাইব্রেরি বলে কিছু নেই, সেখানকার মানুষেরা লাইব্রেরি বললে বুঝে উপজেলা শহরের বইয়ের দোকান!
তিথিকে বলতেই সানন্দে রাজি হয়ে গেলো। আমি আমার বড় মামার সাথে কথা বললাম, মামা জানালেন ব্যাপারটা অসম্ভব নয়, কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে হবে।
খানিকটা আশার আলো দেখতে পেয়ে আমি এবারে কোমর বেঁধে লাগলাম একটা ঝকঝকে প্ল্যান করে ফেলার জন্যে। যেন বেশ তো, ধরা যাক দু’একটা ইঁদুর এবার। :)
বাজেট-
--------
আমরা দু’জনেই সীমিত আয়ের মানুষ। এর ভেতরে থেকেই যা করার করতে হবে ভেবে নিলাম। দুয়েকজন পরিচিত ও বন্ধু-বান্ধব ডোনেট করতে চাইলো, কিন্তু আমি ভাবলাম ব্যাপারটা শুরু হোক আগে, দেখি কেমন দাঁড়ায়, তারপরে বড় আকারে করা যাবে। তাই আপাতত ডোনেশান নেয়ার চিন্তা বাদ দিলাম।
আগেও বলেছি, বছরে এক বা দু’বার আমরা দেশ থেকে বাংলা বই আনাই। সেটা, ইদানিংকালে আরও বেশি খরচান্ত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, তবু প্রতি বছরই আমরা অল্প কিছু টাকা জমানোর চেষ্টা করি এই খাতে।
ভাল খবর হচ্ছে, এই করে করে গত কয়েক বছরে আমরা আমাদের চাহিতামতন অনেক বই নিয়ে এসেছি এখানে। সেগুলো পড়ে শেষ করে উঠতে আরও কিছু বছর চলে যাবে আশা করি। আপাতত নিজেদের জন্যে অনেক বেশি বই আনানোর প্রয়োজন পড়বে না।
তাই, এই বইয়ের পেছনের বাজেটটুকু আমরা নির্দ্ধিধায় লাইব্রেরির জন্যে বরাদ্দ করে দিলাম। শুধু তাতে কুলাবে না বলেই মনে হলো, তাই এদিক সেদিকের সাংসারিক খরচ কাটাকুটি করে বরাদ্দ করা হলো আরও কিছু অর্থ।
প্রক্রিয়া
--------একবার ভাবা হলো গ্রামের বাজারে একটা ঘর ভাড়া নিয়ে করা হবে লাইব্রেরি।
কিন্তু আমার মাথা থেকে কেন যেন স্কুলের ব্যাপারটা যাচ্ছিলো না। অবশেষে, আমাদের গ্রামের হাই স্কুলের হেডমাস্টারকে প্রস্তাব দেয়া হলো, যদি স্কুলের একটা ছোট ঘর উনি ব্যবহার করতে দিতে রাজি হন, আমরা তাহলে সেখানে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং গ্রামবাসীদের জন্যে একটা লাইব্রেরি শুরু করে দিবো। তিনি সানন্দে রাজি হলেন তাতে। স্কুলের একটা বড় হলঘরের একপাশে বেড়া দিয়ে নতুন একটা ঘর তৈরি হলো। মাটি ফেলে, এবং আরও কিছু মেরামতের পরে সেটা ব্যবহার উপযোগী করা হলো।
এর মধ্যেই আমি বই অর্ডার করতে শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে অর্ডার দিলাম মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক পছন্দের বইগুলো, প্রছুর কিশোর-উপযোগী বই, এবং সেবা প্রকাশনীর প্রচুর বই। অন্যদিকে যোগাযোগ করলাম ঢাকা-কমিক্সের মেহেদী হক-এর সাথে। সেখান থেকে বের হওয়া সবগুলো কমিক্সও অর্ডার করে দিলাম।
লাইব্রেরির জন্যে বানানো হলো বুকশেলফ, আলমিরা, পড়ার জন্যে চেয়ার টেবিল। সব আয়োজন শেষ করে আমার দুই মামা গিয়ে হাজির হলেন আমাদের গ্রামে, একটা স্বপ্নের সূচনা করে দিয়ে আসতে।




বইদ্বীপ গ্রন্থাগার
--------------------
লাইব্রেরির একটা নাম দরকার ছিলো। বই সংক্রান্ত ব্যাপার স্যাপার নিয়ে অনেক ভেবেও আর কোন নাম পেলাম না খুঁজে, তাই ভাবলাম আমার ইবুকের সাইট বইদ্বীপেরই একটা প্রজেক্ট হিসেবে এটাকে সাথে রাখা যায়।
লাইব্রেরির নাম তাই বইদ্বীপ গ্রন্থাগার।
মাস দুয়েক ধরে চালু রয়েছে এটা। সদস্য হবার জন্যে ফি হিসেবে টাকা নেয়া হয় না এই লাইব্রেরিতে। আমি বলেছি, সদস্য ফি হচ্ছে একটা বই। ওখানে বসে পড়তে সদস্য হবার দরকার নেই, কিন্তু বই বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে যে কোন মূল্যের একটা বই জমা দিয়ে সদস্য হতে পারবে যে কেউ।
গ্রামের মুরুব্বীদের দাবি অনুযায়ী একটা বাংলা পত্রিকা রাখা হচ্ছে সেখানে। যেন লোক সমাগম বাড়ে।
আমাদের পরিকল্পনা হলো, বাজেট অনুযায়ী বছরে এক বা দু’বার নতুন বই কেনা হবে এ লাইব্রেরির জন্যে। সেই সাথে আশপাশের গ্রামের অন্তত অল্প কয়েকটা স্কুলে আস্তে আস্তে করে দেয়া হবে লাইব্রেরি।
নানা রকম স্বপ্ন দেখি মনে, ভেবেছি, কোন স্কুলে আগে দেয়া হবে, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পরিচ্ছন্নতা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা যেতে পারে স্কুলগুলোর মধ্যে, বিজয়ী স্কুল সবার আগে পাবে লাইব্রেরী ঘর।
বিজ্ঞান মেলা ধরণের কিছু আয়োজনের পরিকল্পনাও আছে, এ জন্যে বিজ্ঞান প্রজেক্ট বিষয়ক বেশ কিছু বইও আছে লাইব্রেরিতে। সেই সাথে ভালো রেজাল্ট ও আর্থিক সামর্থ্যের ভিত্তিতে একটা বাৎসরিক বৃত্তি দেয়া হবে আগামী বছর থেকেই। সবচেয়ে বেশি বই-পড়ুয়াদের পুরস্কৃত করার একটা পরিকল্পনাও মাথায় আছে এখনো।
ব্যাপারটা শেষমেষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বা কেমন হবে, সেটা এখুনি বলা মুশকিল। কিন্তু খুব ভাল কিছুই যে হবে এ বিষয়ে আশা করতে দোষ দেখছি না কোনও।
হইলো না শেষ-
-----------------
আমি কথা বলে দেখেছি, ‘একটা কিছু’ করার মানসিকতা রাখেন আমাদের পরিচিত মানুষদের অনেকেই, যাদের অনেকেই সেটাকে বাস্তবায়িত করতে পারেন না সময়, সুযোগ, পরিকল্পনা ও বাস্তব ধারণার অভাবে।
এই পোস্টটি আসলে তাদেরকে ভেবেই লেখা। কেউ যদি পড়ে উৎসাহিত হয়ে আরও বিশদ জানতে চান, আমি সানন্দে তাঁদেরকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে রাজি।

অর্থের হিসাব লিখে পোস্টটাকে জটিল করতে চাইনি বলে লিখিনি, কিন্তু জেনে অবাক হবেন এই পুরো ব্যপারটা করতে খুব বেশি খরচের প্রয়োজন হয় না আসলে। যে কোন স্বচ্ছল পরিবারই এরকম একটা প্রোজেক্ট চালাতে পারেন মন চাইলে, অথবা দু’তিনটে পরিবার মিলে এক সাথে।
একটু সদিচ্ছা, খানিকটা যোগাযোগ আর অল্প একটু সময় দিলেই এরকম কিছু করা আর অসম্ভব থাকে না।
---- তারেক নূরুল হাসান ০৯/০৯/২০১৪
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on September 08, 2014 23:59

নতুন বইঃ ইবই রন্ধন প্রণালী



ইবইয়ের ধারণা এখনো আমাদের অনেকের কাছেই নতুন। বইদ্বীপ নামের সাইটটি শুরু করার পরে যখন লেখকদেরকে ইবই ফরম্যাট করার ব্যাপারে সাহায্য করা শুরু করলাম, তখন দেখি আমাকে অনেক সহজ যেমন একবার চুটকি বাজিয়েই উত্তর দেয়া যায়, এরকম থেকে শুরু করে অনেক কঠিন, যেগুলোতে মাথা দিয়ে প্রায়-দৃশ্যমান জলীয় বাষ্প বের হয়, এরকম প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
সেসব প্রশ্ন মাথায় রেখে এই বইটি তৈরি করা।
আমার মূল উদ্দেশ্য হলো সহজবোধ্যভাবে এবং সাধারণ উপায়ে ইবই এর জন্যে পান্ডুলিপি প্রস্তুতের উপায় বলে দেয়া  সবাইকে। তবে এ ক্ষেত্রে বলে নেয়া ভালো, এ বইটি কোন স্বতসিদ্ধ নির্দেশিকা নয়। নানা রকম ট্রায়াল এন্ড এরর পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে চেষ্টা করতে করতে অবশেষে এখন ইবুক তৈরির জন্যে একটি নির্দিষ্ট কার্যপ্রণালি অনুসরণ করি, এটি একান্তই আমার নিজস্ব এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি। নতুন প্রশ্নের মুখোমুখি হলে বা নতুন প্রযুক্তির খোঁজ পেলে এই বইটি নিয়মিত নতুন সংস্করণের মাধ্যমে হালনাগাদ করার আশা রাখি।
সবাইকে শুভেচ্ছা, শত ইবুকের মালিক হোন সবাই, এই আশা রাখি। :)বইটি পেতে এখানে ক্লিক করুন।

 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on September 08, 2014 18:14

Tareq Nurul Hasan's Blog

Tareq Nurul Hasan
Tareq Nurul Hasan isn't a Goodreads Author (yet), but they do have a blog, so here are some recent posts imported from their feed.
Follow Tareq Nurul Hasan's blog with rss.