Tareq Nurul Hasan's Blog, page 11
February 2, 2020
দি কিউরিয়াস কেইস অব এমাজন বেস্ট সেলিং বুক-
ক্রিকেটে মাঝে মাঝে কিছু অদ্ভুত ধরণের রেকর্ডের কথা শোনা যায়। ধরা যাক নতুন একজন বোলার কোনও এক ম্যাচে খেলতে নেমে এক উইকেট নিলো, সাথে সাথে জানা গেলো, এই উইকেটের মাধ্যমে আজ একটা বিশ্ব-রেকর্ড হয়ে গেছে! কী সেটা?মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, বলছি। ক্রিকেট ইতিহাসে যে সব বোলাররা ১০ মিটারের বেশি দৌড়ে, তারপরে একটু থেমে, আকাশের দিকে তাকিয়ে আড়াই মিটার হেঁটে আবার এক মিটার দৌড়ে এসে উইকেটের ডান পাশ দিয়ে ঢুকে বাম হাত ঘুরিয়ে বল করেন, তাদের মধ্যে আবার যাদের বয়স ২১ এর কম কিন্তু সাড়ে বিশের বেশি, তাদের মধ্যে আবার যারা ডান পায়ে দৌড় শুরু করেন, কিন্তু শেষ করেন বাম পায়ে, এবং তাদের মধ্যে যারা ডান হাতে ব্যাট করেন কিন্তু সিঙ্গারা খান বাম হাতে, সেই সমস্ত বোলারদের মধ্যে ইনিই প্রথম যিনি ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে পঞ্চম স্লিপে ক্যাচ ধরিয়ে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যানের উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছেন! সুতরাং, পরের ম্যাচে এই বোলারকে যদি পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় - একজন রেকর্ডধারী বোলার হিসেবে, আগে পিছের সমস্ত শর্ত বাদ দিয়ে, আপনি কিন্তু বলতে পারবেন না এটা সঠিক নয়। কারণ রেকর্ড কিন্তু হয়েছে। কিন্তু কী করে কী হয়েছে এত খোঁজ কে-ই বা নিতে যায়! পরিতাপের বিষয়, এমাজন বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকা অনেকটা এই ক্রিকেট রেকর্ডের মতই।
বিশ্বে প্রচলিত অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ন বেস্ট সেলার তালিকা রয়েছে, যারা বই বিক্রির হিসাব নিকাশ করে নিয়মিত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতি সপ্তাহে, এই তালিকা প্রকাশ করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় - NYT Best Seller, USA Today Best Seller, Wall Street Journal Best-Selling Book List ইত্যাদি। মোটের ওপর তিন থেকে চার হাজার বইয়ের দোকান থেকে বই বিক্রির তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই বাছাই এর পরে সাধারণত তালিকা প্রকাশ করে থাকে এরা। অবশ্য, তারপরেও যে এসব তালিকা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হবে সেটির কোনও নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু তা ভিন্ন ব্যাপার, অন্য এক সময়ে সেটা নিয়ে কথা বলা যাবে। আজ আমরা কথা বলছি এমাজনের তালিকা নিয়ে। বাস্তবতা এটাই, এমাজনের বেস্ট সেলিং বইয়ের তালিকা অন্য তালিকাগুলোর মত গ্রহণযোগ্য নয়। এমাজন স্টোরে প্রতিটি বইকে একেকটি ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়। লেখক নিজেই প্রায় পাঁচশত ক্যাটাগরি থেকে বেছে নিয়ে বইটি একটা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে রাখতে পারেন। সেই ক্যাটাগরির আবার নানা রকম সাব ক্যাটাগরি রয়েছে। ধরা যাক, একটা ক্যাটাগরি রয়েছে মেডিক্যাল বই। এখন তার ভেতরে সাব ক্যাটাগরি হচ্ছে সাইকোলজি, তার ভেতরে মুভমেন্টস। এবং তারও ভেতরে ট্রান্সপারসোনাল। এখন ধরা যাক, এরকম সাব সাব সাব ক্যাটাগরির কোনও একটায় থাকা একটি বই সেদিন ৫ কপি বিক্রি হলো, এবং এই পাঁচ কপি বিক্রির মাধ্যমেই সেটি সেই সাব সাব সাব ক্যাটাগরির সেদিনের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া একশত বইয়ের তালিকার ১০০ নম্বরে জায়গা পেয়ে গেল। তাহলে এমাজন তখন করবে কী, সেই বইয়ের ওপরে একটা কমলা রঙের বেস্ট সেলার বইয়ের ছাপ মেরে দিবে। ব্যস, একবার সেই ছাপ পেয়ে গেলেই কিন্তু সেই বইয়ের লেখক দাবি করতে পারেন তাঁর বইটি এমাজন বেস্ট সেলার, ক্রিকেট খেলার সেই বোলারের মতই। এবং সেটির স্ক্রিনশট নিয়ে নিজের কাছে রেখে দিতে পারেন। তারপর সেই মতে নিজেকে এমাজন বেস্ট সেলার বলে প্রচারও চালাতে পারেন। এখনকার সময়ে বিশেষ করে Indie Author দের কাছে এই প্রক্রিয়াটি বেশ জনপ্রিয়, কারণ ভাগ্যে মিলে গেলে এখানে বই আপলোডের প্রথম দিনেই সেই সাব সাব সাব ক্যাটাগরির কল্যাণে বেস্ট সেলার খেতাব পেয়ে যাবার একটা প্রবল সম্ভাবনা থাকে, হোক না সেটা মাত্র ঘন্টাখানেকের জন্যেই! না, ইয়ার্কি নয়, সত্যিই বলছি। এমাজন দিনের কোনও কোনও সময়ে প্রতি ঘণ্টায় এই তালিকা হালনাগাদ করে থাকে। সুতরাং অনেক বইই এই তালিকায় ঘন্টাখানেকের বেশি জায়গা ধরে রাখতে পারে না। ২০১৭ এর ফেব্রুয়ারিতে ব্রেন্ট আন্ডারউড নামে এক লোক নিজের পায়ের ছবি তুলে এক পৃষ্ঠার একটি ইবই হিসেবে সেটি এমাজনে প্রকাশ করেন। তারপরে বন্ধুদের ফোন করে সেই বইয়ের কয়েকটি কপি কিনতে অনুরোধ করেন। মজার ব্যাপার হলো, মাত্র চার কপি বিক্রি করে তিনি বেস্ট সেলার তালিকায় তুলেছিলেন সেই বইটিকে! মজার সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁর লেখার লিংকটি নিচে দিয়ে দিলাম, আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন। অবশ্য এ কথাও স্বীকার করতে হবে যে, এমাজনের সব বেস্ট সেলাররাই এই দলের তা কিন্তু নয়। ট্র্যাডিশনাল উপায়ে বই প্রকাশ না করে, কিন্ডলের সেলফ-পাব্লিশের মাধ্যমে বই প্রকাশ করে হাজার বা লক্ষাধিক কপি শুধু এমাজনেই বিক্রি করেন, নিয়মিত, এরকম লেখক তালিকাও বেশ লম্বা। যে কোন বিচারে এবং যে কোন তালিকার সাথে প্রতিযোগিতা করেই তারা সত্যিকারের বেস্ট সেলার তকমার যোগ্য। সেসব লেখক কারা, তা তাঁদের বইয়ের রেটিং, রিভিউ বা কতদিন ধরে বইগুলো সে তালিকায় রয়েছে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সহজেই সে বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়। তাহলে মোদ্দা কথা হলো, কোনও হঠাৎ লেখক যদি নিজের বইকে আচমকা এমাজন বেস্ট সেলার দাবি করেন, দাবিটা মিথ্যাই হবে, এরকম কোনও ব্যাপার নেই। এমনকি এই দাবি করাটা বেআইনিও নয়। তবে হ্যাঁ, সেটিকে গুরুত্ব দেয়া যাবে কি না, সে সিদ্ধান্ত একান্তই পাঠকের।
p.p1 {margin: 0.0px 0.0px 0.0px 0.0px; font: 13.0px 'Helvetica Neue'; color: #000000; color: rgba(0, 0, 0, 0.85); min-height: 15.0px} p.p2 {margin: 0.0px 0.0px 1.0px 0.0px; text-indent: 20.0px; font: 12.0px 'Kohinoor Bangla'; color: #000000; min-height: 18.0px} p.p3 {margin: 0.0px 0.0px 1.0px 0.0px; text-indent: 20.0px; font: 12.0px 'Kohinoor Bangla'; color: #000000} p.p4 {margin: 0.0px 0.0px 1.0px 0.0px; text-indent: 20.0px; font: 12.0px Kalpurush; color: #000000; min-height: 19.0px} p.p5 {margin: 0.0px 0.0px 1.0px 0.0px; text-indent: 20.0px; font: 12.0px Times; color: #0000e9; -webkit-text-stroke: #0000e9} span.s1 {font: 12.0px Helvetica} span.s2 {font: 12.0px 'Kohinoor Bangla'; color: #000000; -webkit-text-stroke: 0px #000000} span.s3 {font: 12.0px Times; text-decoration: underline ; font-kerning: none; color: #0000e9}
লিংকঃ ব্রেন্ট আন্ডারউডp.p1 {margin: 3.0px 0.0px 0.0px 0.0px; font: 13.0px Kalpurush; color: #000000; color: rgba(0, 0, 0, 0.85); min-height: 20.0px} p.p2 {margin: 3.0px 0.0px 1.0px 0.0px; text-indent: 20.0px; font: 12.0px Kalpurush; color: #000000; min-height: 19.0px} p.p3 {margin: 3.0px 0.0px 1.0px 0.0px; text-indent: 20.0px; font: 12.0px Kalpurush; color: #000000} p.p4 {margin: 3.0px 0.0px 1.0px 0.0px; text-indent: 20.0px; font: 12.0px Kalpurush; color: #0000e9; -webkit-text-stroke: #0000e9} span.s1 {color: #000000; -webkit-text-stroke: 0px #000000} span.s2 {text-decoration: underline ; font-kerning: none; color: #0000e9}
বিশ্বে প্রচলিত অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ন বেস্ট সেলার তালিকা রয়েছে, যারা বই বিক্রির হিসাব নিকাশ করে নিয়মিত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতি সপ্তাহে, এই তালিকা প্রকাশ করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় - NYT Best Seller, USA Today Best Seller, Wall Street Journal Best-Selling Book List ইত্যাদি। মোটের ওপর তিন থেকে চার হাজার বইয়ের দোকান থেকে বই বিক্রির তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই বাছাই এর পরে সাধারণত তালিকা প্রকাশ করে থাকে এরা। অবশ্য, তারপরেও যে এসব তালিকা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হবে সেটির কোনও নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু তা ভিন্ন ব্যাপার, অন্য এক সময়ে সেটা নিয়ে কথা বলা যাবে। আজ আমরা কথা বলছি এমাজনের তালিকা নিয়ে। বাস্তবতা এটাই, এমাজনের বেস্ট সেলিং বইয়ের তালিকা অন্য তালিকাগুলোর মত গ্রহণযোগ্য নয়। এমাজন স্টোরে প্রতিটি বইকে একেকটি ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়। লেখক নিজেই প্রায় পাঁচশত ক্যাটাগরি থেকে বেছে নিয়ে বইটি একটা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে রাখতে পারেন। সেই ক্যাটাগরির আবার নানা রকম সাব ক্যাটাগরি রয়েছে। ধরা যাক, একটা ক্যাটাগরি রয়েছে মেডিক্যাল বই। এখন তার ভেতরে সাব ক্যাটাগরি হচ্ছে সাইকোলজি, তার ভেতরে মুভমেন্টস। এবং তারও ভেতরে ট্রান্সপারসোনাল। এখন ধরা যাক, এরকম সাব সাব সাব ক্যাটাগরির কোনও একটায় থাকা একটি বই সেদিন ৫ কপি বিক্রি হলো, এবং এই পাঁচ কপি বিক্রির মাধ্যমেই সেটি সেই সাব সাব সাব ক্যাটাগরির সেদিনের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া একশত বইয়ের তালিকার ১০০ নম্বরে জায়গা পেয়ে গেল। তাহলে এমাজন তখন করবে কী, সেই বইয়ের ওপরে একটা কমলা রঙের বেস্ট সেলার বইয়ের ছাপ মেরে দিবে। ব্যস, একবার সেই ছাপ পেয়ে গেলেই কিন্তু সেই বইয়ের লেখক দাবি করতে পারেন তাঁর বইটি এমাজন বেস্ট সেলার, ক্রিকেট খেলার সেই বোলারের মতই। এবং সেটির স্ক্রিনশট নিয়ে নিজের কাছে রেখে দিতে পারেন। তারপর সেই মতে নিজেকে এমাজন বেস্ট সেলার বলে প্রচারও চালাতে পারেন। এখনকার সময়ে বিশেষ করে Indie Author দের কাছে এই প্রক্রিয়াটি বেশ জনপ্রিয়, কারণ ভাগ্যে মিলে গেলে এখানে বই আপলোডের প্রথম দিনেই সেই সাব সাব সাব ক্যাটাগরির কল্যাণে বেস্ট সেলার খেতাব পেয়ে যাবার একটা প্রবল সম্ভাবনা থাকে, হোক না সেটা মাত্র ঘন্টাখানেকের জন্যেই! না, ইয়ার্কি নয়, সত্যিই বলছি। এমাজন দিনের কোনও কোনও সময়ে প্রতি ঘণ্টায় এই তালিকা হালনাগাদ করে থাকে। সুতরাং অনেক বইই এই তালিকায় ঘন্টাখানেকের বেশি জায়গা ধরে রাখতে পারে না। ২০১৭ এর ফেব্রুয়ারিতে ব্রেন্ট আন্ডারউড নামে এক লোক নিজের পায়ের ছবি তুলে এক পৃষ্ঠার একটি ইবই হিসেবে সেটি এমাজনে প্রকাশ করেন। তারপরে বন্ধুদের ফোন করে সেই বইয়ের কয়েকটি কপি কিনতে অনুরোধ করেন। মজার ব্যাপার হলো, মাত্র চার কপি বিক্রি করে তিনি বেস্ট সেলার তালিকায় তুলেছিলেন সেই বইটিকে! মজার সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁর লেখার লিংকটি নিচে দিয়ে দিলাম, আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন। অবশ্য এ কথাও স্বীকার করতে হবে যে, এমাজনের সব বেস্ট সেলাররাই এই দলের তা কিন্তু নয়। ট্র্যাডিশনাল উপায়ে বই প্রকাশ না করে, কিন্ডলের সেলফ-পাব্লিশের মাধ্যমে বই প্রকাশ করে হাজার বা লক্ষাধিক কপি শুধু এমাজনেই বিক্রি করেন, নিয়মিত, এরকম লেখক তালিকাও বেশ লম্বা। যে কোন বিচারে এবং যে কোন তালিকার সাথে প্রতিযোগিতা করেই তারা সত্যিকারের বেস্ট সেলার তকমার যোগ্য। সেসব লেখক কারা, তা তাঁদের বইয়ের রেটিং, রিভিউ বা কতদিন ধরে বইগুলো সে তালিকায় রয়েছে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সহজেই সে বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়। তাহলে মোদ্দা কথা হলো, কোনও হঠাৎ লেখক যদি নিজের বইকে আচমকা এমাজন বেস্ট সেলার দাবি করেন, দাবিটা মিথ্যাই হবে, এরকম কোনও ব্যাপার নেই। এমনকি এই দাবি করাটা বেআইনিও নয়। তবে হ্যাঁ, সেটিকে গুরুত্ব দেয়া যাবে কি না, সে সিদ্ধান্ত একান্তই পাঠকের।
p.p1 {margin: 0.0px 0.0px 0.0px 0.0px; font: 13.0px 'Helvetica Neue'; color: #000000; color: rgba(0, 0, 0, 0.85); min-height: 15.0px} p.p2 {margin: 0.0px 0.0px 1.0px 0.0px; text-indent: 20.0px; font: 12.0px 'Kohinoor Bangla'; color: #000000; min-height: 18.0px} p.p3 {margin: 0.0px 0.0px 1.0px 0.0px; text-indent: 20.0px; font: 12.0px 'Kohinoor Bangla'; color: #000000} p.p4 {margin: 0.0px 0.0px 1.0px 0.0px; text-indent: 20.0px; font: 12.0px Kalpurush; color: #000000; min-height: 19.0px} p.p5 {margin: 0.0px 0.0px 1.0px 0.0px; text-indent: 20.0px; font: 12.0px Times; color: #0000e9; -webkit-text-stroke: #0000e9} span.s1 {font: 12.0px Helvetica} span.s2 {font: 12.0px 'Kohinoor Bangla'; color: #000000; -webkit-text-stroke: 0px #000000} span.s3 {font: 12.0px Times; text-decoration: underline ; font-kerning: none; color: #0000e9}
লিংকঃ ব্রেন্ট আন্ডারউডp.p1 {margin: 3.0px 0.0px 0.0px 0.0px; font: 13.0px Kalpurush; color: #000000; color: rgba(0, 0, 0, 0.85); min-height: 20.0px} p.p2 {margin: 3.0px 0.0px 1.0px 0.0px; text-indent: 20.0px; font: 12.0px Kalpurush; color: #000000; min-height: 19.0px} p.p3 {margin: 3.0px 0.0px 1.0px 0.0px; text-indent: 20.0px; font: 12.0px Kalpurush; color: #000000} p.p4 {margin: 3.0px 0.0px 1.0px 0.0px; text-indent: 20.0px; font: 12.0px Kalpurush; color: #0000e9; -webkit-text-stroke: #0000e9} span.s1 {color: #000000; -webkit-text-stroke: 0px #000000} span.s2 {text-decoration: underline ; font-kerning: none; color: #0000e9}
Published on February 02, 2020 03:54
দি কিউরিয়াস কেইস অব এমাজন বেস্ট সেলিং বুক-
ক্রিকেটে মাঝে মাঝে কিছু অদ্ভুত ধরণের রেকর্ডের কথা শোনা যায়।
ধরা যাক নতুন একজন বোলার কোনও এক ম্যাচে খেলতে নেমে এক উইকেট নিলো, সাথে সাথে জানা গেলো, এই উইকেটের মাধ্যমে আজ একটা বিশ্ব-রেকর্ড হয়ে গেছে! কী সেটা?
মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, বলছি।
ক্রিকেট ইতিহাসে যে সব বোলাররা ১০ মিটারের বেশি দৌড়ে, তারপরে একটু থেমে, আকাশের দিকে তাকিয়ে আড়াই মিটার হেঁটে আবার এক মিটার দৌড়ে এসে উইকেটের ডান পাশ দিয়ে ঢুকে বাম হাত ঘুরিয়ে বল করেন, তাদের মধ্যে আবার যাদের বয়স ২১ এর কম কিন্তু সাড়ে বিশের বেশি, তাদের মধ্যে আবার যারা ডান পায়ে দৌড় শুরু করেন, কিন্তু শেষ করেন বাম পায়ে, এবং তাদের মধ্যে যারা ডান হাতে ব্যাট করেন কিন্তু সিঙ্গারা খান বাম হাতে, সেই সমস্ত বোলারদের মধ্যে ইনিই প্রথম যিনি ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে পঞ্চম স্লিপে ক্যাচ ধরিয়ে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যানের উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছেন!
সুতরাং, পরের ম্যাচে এই বোলারকে যদি পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় - একজন রেকর্ডধারী বোলার হিসেবে, আগে পিছের সমস্ত শর্ত বাদ দিয়ে, আপনি কিন্তু বলতে পারবেন না এটা সঠিক নয়। কারণ রেকর্ড কিন্তু হয়েছে। কিন্তু কী করে কী হয়েছে এত খোঁজ কে-ই বা নিতে যায়!
পরিতাপের বিষয়, এমাজন বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকা অনেকটা এই ক্রিকেট রেকর্ডের মতই।
বিশ্বে প্রচলিত অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ন বেস্ট সেলার তালিকা রয়েছে, যারা বই বিক্রির হিসাব নিকাশ করে নিয়মিত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতি সপ্তাহে, এই তালিকা প্রকাশ করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় - NYT Best Seller, USA Today Best Seller, Wall Street Journal Best Selling Book List ইত্যাদি।
মোটের ওপর তিন থেকে চার হাজার বইয়ের দোকান থেকে বই বিক্রির তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই বাছাই এর পরে সাধারণত তালিকা প্রকাশ করে থাকে এরা।
অবশ্য, তারপরেও যে এসব তালিকা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হবে সেটির কোনও নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু তা ভিন্ন ব্যাপার, অন্য এক সময়ে সেটা নিয়ে কথা বলা যাবে। আজ আমরা কথা বলছি এমাজনের তালিকা নিয়ে। বাস্তবতা এটাই, এমাজনের বেস্ট সেলিং বইয়ের তালিকা অন্য তালিকাগুলোর মত গ্রহণযোগ্য নয়।
এমাজন স্টোরে প্রতিটি বইকে একেকটি ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়। লেখক নিজেই প্রায় পাঁচশত ক্যাটাগরি থেকে বেছে নিয়ে বইটি একটা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে রাখতে পারেন। সেই ক্যাটাগরির আবার নানা রকম সাব ক্যাটাগরি রয়েছে।
ধরা যাক, একটা ক্যাটাগরি রয়েছে মেডিক্যাল বই। এখন তার ভেতরে সাব ক্যাটাগরি হচ্ছে সাইকোলজি, তার ভেতরে মুভমেন্টস। এবং তারও ভেতরে ট্রান্সপারসোনাল। এখন ধরা যাক, এরকম সাব সাব সাব ক্যাটাগরির কোনও একটায় থাকা একটি বই সেদিন ৫ কপি বিক্রি হলো, এবং এই পাঁচ কপি বিক্রির মাধ্যমেই সেটি সেই সাব সাব সাব ক্যাটাগরির সেদিনের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া একশত বইয়ের তালিকার ১০০ নম্বরে জায়গা পেয়ে গেল। তাহলে এমাজন তখন করবে কী, সেই বইয়ের ওপরে একটা কমলা রঙের বেস্ট সেলার বইয়ের ছাপ মেরে দিবে।
ব্যস, একবার সেই ছাপ পেয়ে গেলেই কিন্তু সেই বইয়ের লেখক দাবি করতে পারেন তাঁর বইটি এমাজন বেস্ট সেলার, ক্রিকেট খেলার সেই বোলারের মতই।
এবং সেটির স্ক্রিনশট নিয়ে নিজের কাছে রেখে দিতে পারেন। তারপর সেই মতে নিজেকে এমাজন বেস্ট সেলার বলে প্রচারও চালাতে পারেন।
এখনকার সময়ে বিশেষ করে Indie Author দের কাছে এই প্রক্রিয়াটি বেশ জনপ্রিয়, কারণ ভাগ্যে মিলে গেলে এখানে বই আপলোডের প্রথম দিনেই সেই সাব সাব সাব ক্যাটাগরির কল্যাণে বেস্ট সেলার খেতাব পেয়ে যাবার একটা প্রবল সম্ভাবনা থাকে, হোক না সেটা মাত্র ঘন্টাখানেকের জন্যেই!
না, ইয়ার্কি নয়, সত্যিই বলছি। এমাজন দিনের কোনও কোনও সময়ে প্রতি ঘণ্টায় এই তালিকা হালনাগাদ করে থাকে। সুতরাং অনেক বইই এই তালিকায় ঘন্টাখানেকের বেশি জায়গা ধরে রাখতে পারে না।
২০১৭ এর ফেব্রুয়ারিতে ব্রেন্ট আন্ডারউড নামে এক লোক নিজের পায়ের ছবি তুলে এক পৃষ্ঠার একটি ইবই হিসেবে সেটি এমাজনে প্রকাশ করেন। তারপরে বন্ধুদের ফোন করে সেই বইয়ের কয়েকটি কপি কিনতে অনুরোধ করেন। মজার ব্যাপার হলো, মাত্র চার কপি বিক্রি করে তিনি বেস্ট সেলার তালিকায় তুলেছিলেন সেই বইটিকে! মজার সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁর লেখার লিংকটি নিচে দিয়ে দিলাম, আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন।
অবশ্য এ কথাও স্বীকার করতে হবে যে, এমাজনের সব বেস্ট সেলাররাই এই দলের তা কিন্তু নয়। ট্র্যাডিশনাল উপায়ে বই প্রকাশ না করে, কিন্ডলের সেলফ-পাব্লিশের মাধ্যমে বই প্রকাশ করে হাজার বা লক্ষাধিক কপি শুধু এমাজনেই বিক্রি করেন, নিয়মিত, এরকম লেখক তালিকাও বেশ লম্বা। যে কোন বিচারে এবং যে কোন তালিকার সাথে প্রতিযোগিতা করেই তারা সত্যিকারের বেস্ট সেলার তকমার যোগ্য। সেসব লেখক কারা, তা তাঁদের বইয়ের রেটিং, রিভিউ বা কতদিন ধরে বইগুলো সে তালিকায় রয়েছে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সহজেই সে বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়।
তাহলে মোদ্দা কথা হলো, কোনও হঠাৎ লেখক যদি নিজের বইকে আচমকা এমাজন বেস্ট সেলার দাবি করেন, দাবিটা মিথ্যাই হবে, এরকম কোনও ব্যাপার নেই। এমনকি এই দাবি করাটা বেআইনিও নয়।
তবে হ্যাঁ, সেটিকে গুরুত্ব দেয়া যাবে কি না, সে সিদ্ধান্ত একান্তই পাঠকের।
লিংকঃ ব্রেন্ট আন্ডারউড ঃ https://qz.com/902504/how-to-become-a...
ধরা যাক নতুন একজন বোলার কোনও এক ম্যাচে খেলতে নেমে এক উইকেট নিলো, সাথে সাথে জানা গেলো, এই উইকেটের মাধ্যমে আজ একটা বিশ্ব-রেকর্ড হয়ে গেছে! কী সেটা?
মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, বলছি।
ক্রিকেট ইতিহাসে যে সব বোলাররা ১০ মিটারের বেশি দৌড়ে, তারপরে একটু থেমে, আকাশের দিকে তাকিয়ে আড়াই মিটার হেঁটে আবার এক মিটার দৌড়ে এসে উইকেটের ডান পাশ দিয়ে ঢুকে বাম হাত ঘুরিয়ে বল করেন, তাদের মধ্যে আবার যাদের বয়স ২১ এর কম কিন্তু সাড়ে বিশের বেশি, তাদের মধ্যে আবার যারা ডান পায়ে দৌড় শুরু করেন, কিন্তু শেষ করেন বাম পায়ে, এবং তাদের মধ্যে যারা ডান হাতে ব্যাট করেন কিন্তু সিঙ্গারা খান বাম হাতে, সেই সমস্ত বোলারদের মধ্যে ইনিই প্রথম যিনি ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে পঞ্চম স্লিপে ক্যাচ ধরিয়ে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যানের উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছেন!
সুতরাং, পরের ম্যাচে এই বোলারকে যদি পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় - একজন রেকর্ডধারী বোলার হিসেবে, আগে পিছের সমস্ত শর্ত বাদ দিয়ে, আপনি কিন্তু বলতে পারবেন না এটা সঠিক নয়। কারণ রেকর্ড কিন্তু হয়েছে। কিন্তু কী করে কী হয়েছে এত খোঁজ কে-ই বা নিতে যায়!
পরিতাপের বিষয়, এমাজন বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকা অনেকটা এই ক্রিকেট রেকর্ডের মতই।
বিশ্বে প্রচলিত অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ন বেস্ট সেলার তালিকা রয়েছে, যারা বই বিক্রির হিসাব নিকাশ করে নিয়মিত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতি সপ্তাহে, এই তালিকা প্রকাশ করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় - NYT Best Seller, USA Today Best Seller, Wall Street Journal Best Selling Book List ইত্যাদি।
মোটের ওপর তিন থেকে চার হাজার বইয়ের দোকান থেকে বই বিক্রির তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই বাছাই এর পরে সাধারণত তালিকা প্রকাশ করে থাকে এরা।
অবশ্য, তারপরেও যে এসব তালিকা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হবে সেটির কোনও নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু তা ভিন্ন ব্যাপার, অন্য এক সময়ে সেটা নিয়ে কথা বলা যাবে। আজ আমরা কথা বলছি এমাজনের তালিকা নিয়ে। বাস্তবতা এটাই, এমাজনের বেস্ট সেলিং বইয়ের তালিকা অন্য তালিকাগুলোর মত গ্রহণযোগ্য নয়।
এমাজন স্টোরে প্রতিটি বইকে একেকটি ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়। লেখক নিজেই প্রায় পাঁচশত ক্যাটাগরি থেকে বেছে নিয়ে বইটি একটা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে রাখতে পারেন। সেই ক্যাটাগরির আবার নানা রকম সাব ক্যাটাগরি রয়েছে।
ধরা যাক, একটা ক্যাটাগরি রয়েছে মেডিক্যাল বই। এখন তার ভেতরে সাব ক্যাটাগরি হচ্ছে সাইকোলজি, তার ভেতরে মুভমেন্টস। এবং তারও ভেতরে ট্রান্সপারসোনাল। এখন ধরা যাক, এরকম সাব সাব সাব ক্যাটাগরির কোনও একটায় থাকা একটি বই সেদিন ৫ কপি বিক্রি হলো, এবং এই পাঁচ কপি বিক্রির মাধ্যমেই সেটি সেই সাব সাব সাব ক্যাটাগরির সেদিনের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া একশত বইয়ের তালিকার ১০০ নম্বরে জায়গা পেয়ে গেল। তাহলে এমাজন তখন করবে কী, সেই বইয়ের ওপরে একটা কমলা রঙের বেস্ট সেলার বইয়ের ছাপ মেরে দিবে।
ব্যস, একবার সেই ছাপ পেয়ে গেলেই কিন্তু সেই বইয়ের লেখক দাবি করতে পারেন তাঁর বইটি এমাজন বেস্ট সেলার, ক্রিকেট খেলার সেই বোলারের মতই।
এবং সেটির স্ক্রিনশট নিয়ে নিজের কাছে রেখে দিতে পারেন। তারপর সেই মতে নিজেকে এমাজন বেস্ট সেলার বলে প্রচারও চালাতে পারেন।
এখনকার সময়ে বিশেষ করে Indie Author দের কাছে এই প্রক্রিয়াটি বেশ জনপ্রিয়, কারণ ভাগ্যে মিলে গেলে এখানে বই আপলোডের প্রথম দিনেই সেই সাব সাব সাব ক্যাটাগরির কল্যাণে বেস্ট সেলার খেতাব পেয়ে যাবার একটা প্রবল সম্ভাবনা থাকে, হোক না সেটা মাত্র ঘন্টাখানেকের জন্যেই!
না, ইয়ার্কি নয়, সত্যিই বলছি। এমাজন দিনের কোনও কোনও সময়ে প্রতি ঘণ্টায় এই তালিকা হালনাগাদ করে থাকে। সুতরাং অনেক বইই এই তালিকায় ঘন্টাখানেকের বেশি জায়গা ধরে রাখতে পারে না।
২০১৭ এর ফেব্রুয়ারিতে ব্রেন্ট আন্ডারউড নামে এক লোক নিজের পায়ের ছবি তুলে এক পৃষ্ঠার একটি ইবই হিসেবে সেটি এমাজনে প্রকাশ করেন। তারপরে বন্ধুদের ফোন করে সেই বইয়ের কয়েকটি কপি কিনতে অনুরোধ করেন। মজার ব্যাপার হলো, মাত্র চার কপি বিক্রি করে তিনি বেস্ট সেলার তালিকায় তুলেছিলেন সেই বইটিকে! মজার সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁর লেখার লিংকটি নিচে দিয়ে দিলাম, আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন।
অবশ্য এ কথাও স্বীকার করতে হবে যে, এমাজনের সব বেস্ট সেলাররাই এই দলের তা কিন্তু নয়। ট্র্যাডিশনাল উপায়ে বই প্রকাশ না করে, কিন্ডলের সেলফ-পাব্লিশের মাধ্যমে বই প্রকাশ করে হাজার বা লক্ষাধিক কপি শুধু এমাজনেই বিক্রি করেন, নিয়মিত, এরকম লেখক তালিকাও বেশ লম্বা। যে কোন বিচারে এবং যে কোন তালিকার সাথে প্রতিযোগিতা করেই তারা সত্যিকারের বেস্ট সেলার তকমার যোগ্য। সেসব লেখক কারা, তা তাঁদের বইয়ের রেটিং, রিভিউ বা কতদিন ধরে বইগুলো সে তালিকায় রয়েছে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সহজেই সে বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়।
তাহলে মোদ্দা কথা হলো, কোনও হঠাৎ লেখক যদি নিজের বইকে আচমকা এমাজন বেস্ট সেলার দাবি করেন, দাবিটা মিথ্যাই হবে, এরকম কোনও ব্যাপার নেই। এমনকি এই দাবি করাটা বেআইনিও নয়।
তবে হ্যাঁ, সেটিকে গুরুত্ব দেয়া যাবে কি না, সে সিদ্ধান্ত একান্তই পাঠকের।
লিংকঃ ব্রেন্ট আন্ডারউড ঃ https://qz.com/902504/how-to-become-a...
Published on February 02, 2020 03:54
January 13, 2020
সত্যজিতের ছবি ও খেরোর খাতাঃ সুনীত সেনগুপ্ত
একটা সিনেমা নির্মাণের আগে দীর্ঘ প্রস্তুতি নিতেন সত্যজিৎ রায়। তাঁর খেরোর খাতা ভরা থাকতো চিত্রনাট্যের খসড়ার বিভিন্ন সংস্করণে। এক বা দুইবার নয়, বহু বহুবার করে সেসব খসড়া পাতায় কাটাকুটি করতে করতে তবে চূড়ান্ত হতো নির্দিষ্ট কোন দৃশ্য অথবা সংলাপ। চরিত্রের একটা সম্ভাব্য রূপ তিনি স্কেচ করে রাখতেন। কোথায় কোন প্রপস ব্যবহৃত হবে, সে সবের লিস্ট, দেখতে কেমন হবে সব কিছু টুকে রাখা থাকতো সেখানে। কোন একটা নির্দিষ্ট দৃশ্য, সেটা আসলেই প্রাসঙ্গিক হবে কি না, সেই প্রশ্ন করতেন তিনি খেরোর খাতায়। এবং প্রশ্নের পরে প্রশ্ন, এবং হাজারো কাটাকুটি, যতক্ষণ পর্যন্ত দৃশ্য অথবা সংলাপ প্রাসঙ্গিক এবং স্বাভাবিক না শোনাবে। সুন্দর কিছু সৃষ্টির পেছনে প্রস্তুতি অর্থাৎ হোমওয়ার্ক খুব জরুরি, এ ব্যাপারটা আমি খুব বিশ্বাস করি। সেটা একটা গল্প বা উপন্যাস লেখাই হোক, অথবা সিনেমা পরিচালনা। আমাদের আজকের এই তাড়াহুড়ার যুগে বাস করে যারা সৃষ্টিশীল কাজে জড়িত, তাদের জন্যে এই বইটি একটি চমৎকার রিমাইন্ডার হিসেবে কাজ করতে পারে। p.p1 {margin: 0.0px 0.0px 3.0px 0.0px; text-indent: 14.2px; font: 11.0px 'Kohinoor Bangla'; color: #000000} p.p2 {margin: 0.0px 0.0px 0.0px 0.0px; text-indent: 14.2px; font: 11.0px 'Kohinoor Bangla'; color: #000000} span.s1 {font-kerning: none} span.s2 {font: 11.0px 'Helvetica Neue'; font-kerning: none}
বইয়ের লেখক সুনীত সেনগুপ্ত-র আর কোন লেখা পড়িনি কখনও। কিন্তু কেন পড়িনি সেটাই ভাবছি। এত চমৎকার ভাবে তিনি খেরোর খাতা থেকে সত্যজিতের ভাবনা চিন্তাকে একই সাথে মায়া এবং জহুরির নির্ভূল দক্ষতায় বইয়ের পাতায় তুলে এনেছেন যে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। উপরি পাওনা হিসেবে বলতে হবে, এত সুন্দর বাংলা পড়তে পেলে মনে অদ্ভুত একটা প্রশান্তি আসে। তার জন্যেও লেখককে পূর্ণ নম্বর দিতে হয়।
Published on January 13, 2020 14:13
September 11, 2019
জন্মদিনের সকালে -
‘জীবন থেকে জটিলতা কমাই’- এটাই ছিল আমার চা, সিগারেট অথবা মদ্যপান থেকে দূরে থাকবার প্রধান অনুপ্রেরণা। কাছের বন্ধুরা মজা করে বলে এসেছে, ‘গরম চা-এর প্রীতি নেই, এ আবার কেমন লেখক?’ চা-কে ভালবাসতে পারিনি বলেই আজও হয়তো ঠিকঠাক লেখক হয়ে ওঠা হলো না আমার। কিন্তু ইদানীং নতুন এক প্রেম এসেছে জীবনে, বেশি বয়সের প্রেমের মতন পরিণত সেটা। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ইলেকট্রিক কেটলে পানি চড়িয়ে দিই। রান্না ঘরের জানালা দিয়ে কখনো রোদের টুকরো আসে, কখনো কেবলই ধূসরতা। সেদিক থেকে চোখ ফিরিয়ে হাত বাড়াই বাহারি দেখতে একটা কৌটোর দিকে। তার ভেতর থেকে চামচে করে উঠে এসে সেটা বসে থাকে চুপচাপ আমার মাঝারি আকৃতির মাগ-এ। খানিক পরে গরম পানির সাথে মিশে গিয়ে হয়ে যায় আমার ইদানীংকালের সবচেয়ে প্রিয় পানীয়- ব্ল্যাক কফি। আরেকটা অদ্ভুত ব্যাপার, কোন একটা সকাল যায় না এখন, যেদিন ব্ল্যাক কফি বানাতে গিয়ে মার্কেজের সেই বুড়ো কর্নেলকে আমার মনে পড়ে না, একটা চিঠির অপেক্ষায় যার জীবন কেটে যাচ্ছিলো। কফির কাপে চামচ নাড়তে নাড়তে আমি সেই অপেক্ষারত মুখটাকে দেখি রোজ। একদিনও তার ব্যতিক্রম হয় না। কফির কাপ হাতে পাশাপাশি আমরা যেন এক সাথে বুড়ো হয়ে যাচ্ছি প্রতিদিন। শুধু, আজ সকালে, সেই বুড়োটার সাথে আরও একটা মুখ খুব মনে পড়ছে। সেই মুখটাকে আমি আর কখনো দেখতে পাবো না। কিন্তু প্রায় সাইত্রিশ বছর আগের এই দিনে, প্রথম চোখ মেলেই আমি তাঁকে দেখেছিলাম যখন, আমি নিশ্চিত জানি, আমরা দু’জনেই দু’জনকে দেখে অনাবিল হেসে উঠেছিলাম। যেন পরস্পরের ভরসা হয়ে উঠেছিলাম আমরা মুহুর্তেই, যেন বলছিলাম, থোড়াই পরোয়া করি আমরা আর কাউকে! আমাদের তো আমরা আছি। p.p1 {margin: 0.0px 0.0px 0.0px 0.0px; text-indent: 16.0px; font: 12.0px Kalpurush; color: #000000} span.s1 {font-kerning: none}
তোমাকে খুব মনে পড়ে আম্মা। এই দিনটায় তুমি আমার মা হয়ে জন্মেছিলে, তোমাকে ছাড়া আমার আর কিছু ভালো লাগে না।
তোমাকে খুব মনে পড়ে আম্মা। এই দিনটায় তুমি আমার মা হয়ে জন্মেছিলে, তোমাকে ছাড়া আমার আর কিছু ভালো লাগে না।
Published on September 11, 2019 19:40
August 21, 2019
আমার প্রথম বই: আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
p.p1 {margin: 0.0px 0.0px 10.0px 0.0px; text-indent: 35.0px; font: 18.0px 'Iowan Old Style'; -webkit-text-stroke: #000000} span.s1 {font-kerning: none}
বাংলা সাহিত্যে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের জায়গা আমার কাছে এক নম্বর। তাঁর পরে কুড়ি পর্যন্ত আর কেউ নেই, বাকি সবার নম্বর শুরু একুশ থেকে। লেখকের অগ্রন্থিত লেখার সংকলনে ‘আমার প্রথম বই’ নামের এই লেখাটি প্রথম পড়ি। এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ব্যক্তিগত রচনা শিরোনামের অংশটিতে। এখানে তিনি লিখেছেন তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই ‘অন্য ঘরে অন্য স্বর’ নিয়ে। বইটির গল্পগুলো লেখাকালীন ভাবনার কথা খানিকটা এসেছে, তবে বেশি এসেছে সেটির বই হয়ে প্রকাশকালীন কর্মযজ্ঞের ঘটনাগুলো। ইলিয়াসের গল্পের ঝিম ধরানো বর্ণনা-ভঙ্গি তাঁর অন্য গদ্যগুলোয় সাধারণত থাকে না, এখানেও তাই হয়েছে। তবে বাড়তি পাওনা হিসেবে এ লেখাটায় চলে এসেছে একটা আমুদে টোন। অনেকটা মজলিশি ভঙ্গিতে তিনি বলে গেছেন বই প্রকাশের জন্যে প্রকাশকদের দরজায় দরজায় ঘোরার কথা, তাঁদের প্রত্যাখ্যানের কথা। তারপরে যখন প্রকাশক পেলেন, কেমন করে তাঁর সব বন্ধুরা ঝাঁপিয়ে পড়লো কম্পোজ থেকে প্রুফ দেখার লম্বা আয়োজনে। এই একটি লেখায়ই আমরা জেনে যাই, লেখকের অত্যাশ্চর্য বন্ধুতালিকার কথা, যেখানে ছিলেন কায়েস আহমেদ, শওকত আলীর মত লেখক, আবার একই গুরুত্ব নিয়ে ছিলেন পুরান ঢাকার রুটিওয়ালা কিংবা জগন্নাথ কলেজের লাইব্রেরির পিওন। এঁরা সবাই লেখকের প্রথম বই প্রকাশের খুশির সাথে কেমন করে একাত্ম বোধ করেছিলেন, পড়তে পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। পুরো লেখাটি কী ভেবে পড়ে রেকর্ড করে ফেলি। পছন্দের লেখা নিয়ে আমার অবশ্য এই বদভ্যাসটি আছে। লেখার ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করেছি আমার পুরনো একটি ভিডিও, ইলিয়াসের পোর্ট্রেইট আঁকার সময়ে যেটা রেকর্ড করা হয়েছিলো আগেই। আমি কুমিল্লার মানুষ, উচ্চারণ আমার কোন কালেই ভালো নয়, আঁকাও যাচ্ছে তাই। আর লেখা নিয়ে বরং কিছু নাই বলি, কারণ স্বয়ং ইলিয়াস নিজের লেখা নিয়ে কয়েক জায়গায় বলেছেন, ‘আমার তোতলা কলম’, আর আমি তো কোন ছার। p.p1 {margin: 0.0px 0.0px 10.0px 0.0px; text-indent: 35.0px; font: 18.0px 'Iowan Old Style'; -webkit-text-stroke: #000000} span.s1 {font-kerning: none}
তবু, এই সব কিছু মিলিয়ে, এই পুরো ব্যাপারটি আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে আমার শ্রদ্ধা হিসেবে নিবেদন করতে খুব ইচ্ছা হলো।
বাংলা সাহিত্যে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের জায়গা আমার কাছে এক নম্বর। তাঁর পরে কুড়ি পর্যন্ত আর কেউ নেই, বাকি সবার নম্বর শুরু একুশ থেকে। লেখকের অগ্রন্থিত লেখার সংকলনে ‘আমার প্রথম বই’ নামের এই লেখাটি প্রথম পড়ি। এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ব্যক্তিগত রচনা শিরোনামের অংশটিতে। এখানে তিনি লিখেছেন তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই ‘অন্য ঘরে অন্য স্বর’ নিয়ে। বইটির গল্পগুলো লেখাকালীন ভাবনার কথা খানিকটা এসেছে, তবে বেশি এসেছে সেটির বই হয়ে প্রকাশকালীন কর্মযজ্ঞের ঘটনাগুলো। ইলিয়াসের গল্পের ঝিম ধরানো বর্ণনা-ভঙ্গি তাঁর অন্য গদ্যগুলোয় সাধারণত থাকে না, এখানেও তাই হয়েছে। তবে বাড়তি পাওনা হিসেবে এ লেখাটায় চলে এসেছে একটা আমুদে টোন। অনেকটা মজলিশি ভঙ্গিতে তিনি বলে গেছেন বই প্রকাশের জন্যে প্রকাশকদের দরজায় দরজায় ঘোরার কথা, তাঁদের প্রত্যাখ্যানের কথা। তারপরে যখন প্রকাশক পেলেন, কেমন করে তাঁর সব বন্ধুরা ঝাঁপিয়ে পড়লো কম্পোজ থেকে প্রুফ দেখার লম্বা আয়োজনে। এই একটি লেখায়ই আমরা জেনে যাই, লেখকের অত্যাশ্চর্য বন্ধুতালিকার কথা, যেখানে ছিলেন কায়েস আহমেদ, শওকত আলীর মত লেখক, আবার একই গুরুত্ব নিয়ে ছিলেন পুরান ঢাকার রুটিওয়ালা কিংবা জগন্নাথ কলেজের লাইব্রেরির পিওন। এঁরা সবাই লেখকের প্রথম বই প্রকাশের খুশির সাথে কেমন করে একাত্ম বোধ করেছিলেন, পড়তে পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। পুরো লেখাটি কী ভেবে পড়ে রেকর্ড করে ফেলি। পছন্দের লেখা নিয়ে আমার অবশ্য এই বদভ্যাসটি আছে। লেখার ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করেছি আমার পুরনো একটি ভিডিও, ইলিয়াসের পোর্ট্রেইট আঁকার সময়ে যেটা রেকর্ড করা হয়েছিলো আগেই। আমি কুমিল্লার মানুষ, উচ্চারণ আমার কোন কালেই ভালো নয়, আঁকাও যাচ্ছে তাই। আর লেখা নিয়ে বরং কিছু নাই বলি, কারণ স্বয়ং ইলিয়াস নিজের লেখা নিয়ে কয়েক জায়গায় বলেছেন, ‘আমার তোতলা কলম’, আর আমি তো কোন ছার। p.p1 {margin: 0.0px 0.0px 10.0px 0.0px; text-indent: 35.0px; font: 18.0px 'Iowan Old Style'; -webkit-text-stroke: #000000} span.s1 {font-kerning: none}
তবু, এই সব কিছু মিলিয়ে, এই পুরো ব্যাপারটি আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে আমার শ্রদ্ধা হিসেবে নিবেদন করতে খুব ইচ্ছা হলো।
Published on August 21, 2019 17:33
June 26, 2019
শাম্মী
২০০৪ সালের কোন এক বিকেল। হঠাৎ সিদ্ধান্তে একটা জরুরি কাজে আমাকে যেতে হবে দিল্লী। ‘বহু দূর’- অর্থে দিল্লী না, সত্যি সত্যি নয়া দিল্লী। দিন সাতেকের কাজ। এই প্রথম দেশের বাইরে যাওয়া হচ্ছে আমার। বন্ধুদের সবাই প্রায় পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত, একেবারে একা যেতে হবে এই নিয়ে একটু ভাবনায় ছিলাম। শাম্মী-কে জিজ্ঞেস করলাম, যাবি নাকি আমার সাথে? শাম্মী খুব বেশি সময় নিলো না, কয়েক মুহুর্ত চিন্তা করে বললো, যাবে। কিন্তু ওর ভিসা করানো নেই, পাসপোর্টও মাইমানসিং-এ, আর আমার যাবার পরিকল্পনা আগামীকাল। আমি বললাম, নিয়ে আয় পাসপোর্ট। শাম্মী দৌড়ালো মাইমানসিং। পরদিন সকালে সেই পাসপোর্ট নিয়ে সোজা ইন্ডিয়ান এমব্যাসিতে। একবারে ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে গেছে। আমি বলেছি, ভিসা পেলে সোজা বাস স্টপে চলে আসবি, আর না পেলে হলে চলে যাবি। দুপুর পর্যন্ত ভিসা-র কোন খবর নেই। আমি ঢাকা-কোলকাতা বাসে দুইজনের জন্যে দু’টা টিকেট কেটে নিয়ে বসে আছি। এর মাঝে ওর মোবাইলের ব্যাটারি গেছে মরে। খোঁজ নেয়ার উপায়ও বন্ধ। একটু পর পর ঘড়ি দেখছি, সময় বেশি বাকি নেই। বাস ছাড়ি ছাড়ি করছে। শেষ মুহুর্তে পড়ি মরি করে শাম্মী দৌড়ে ঢুকলো বাসে, মুখে সেই চিরপরিচিত সব দাঁত বের করা হাসি। ভিসা পেয়েছে! আমাদের যাত্রা শুরু হলো। ভারত যাত্রা। আমি আমার কাজের চিন্তায় খুব বেশি কিছু ভাবতে পারছি না, কিন্তু শাম্মী সবসময়ের মতই বিন্দাস, মাথায় একটা ক্যাপ চাপিয়ে আরাম করে ঘুরে বেড়াচ্ছে! কোলকাতায় আমাদের প্রথম স্টপেজ। সেখানে দুদিন থেকে পরের গন্তব্য দিল্লী। কোলকাতা থেকে দিল্লীর ট্রেনে উঠে হতভম্ভ হয়ে গেলাম। বাদ বাকি যাত্রীরা সবাই দেখি বিছানা-বালিশ-লেপ নিয়ে এসেছে। কেন তা কিছুই বুঝতে পারছি না। কিন্তু খুব বেশি অপেক্ষা করতে হলো না, রাত হতেই বুঝে গেলাম কারণ। ভয়ংকর ঠাণ্ডা পুরো ট্রেনে, জানালা লাগিয়েও মানানো যাচ্ছে না। ট্রেন ছুটছে, সেই সাথে কোন একটা ফুটোফাটা দিয়ে হুহু করে বাতাস ঢুকছে। আমার সাথে লেপ দুরে থাকুক, একটা গরম কাপড় নেই। ঠাণ্ডায় জমে গেছি একেবারে। নিচের বাংকে তাকিয়ে দেখি শাম্মী ওর ব্যাগ থেকে সাথে করে নিয়ে আসা দু’টা লুঙ্গি এক সাথে করে মাথা ঢুকিয়ে গিট্টু মেরে দিয়েছে। লুঙ্গি আমার খুব অপছন্দের একটা জিনিস, কিন্তু সেই প্রথম লুঙ্গি সাথে নেই বলে ব্যাপক আফসোস হলো। দিল্লী-তে পৌঁছে আমার কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিস্তর ঘুরে বেড়াচ্ছি। লাল কেল্লা, কুতুব মিনার, কিচ্ছু বাদ নেই। এমনকি মাঝে সিনেমা হলে গিয়ে মারদাঙ্গা দু’টা সিনেমাও দেখে ফেলেছি। সেরকম ঘুরতে ঘুরতেই হঠাৎ একবার থেমে গিয়ে শাম্মী বললো, সবচেয়ে জরুরি কাজটাই কিন্তু করা হয় নাই। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কী? শাম্মী আঙ্গুল উঁচিয়ে দেখিয়ে দিলো সামনে, একটা বিশাল হলুদ রঙের ইংরেজি অক্ষর, এম। ম্যাকডোনাল্ডস! তখন পর্যন্ত কেবল টিভি-তেই দেখেছি, কখনও সত্যি সত্যি দেখিনি। মন্ত্রমুগ্ধের মত আমরা ঢুকলাম গিয়ে সেখানে, পেট পুরে বার্গার খেলাম। খেয়ে দু’জনেই খুব ভাব নিতে লাগলাম। হু হু বাবা, ম্যাকাস। অমর একুশে হলে আমার দুই রুম পরেই থাকতো শাম্মী। প্রায় প্রতি সকালে আমার ঘুম ভাঙলেই টের পেতাম আমার পায়ের দিকটায় বসে কেউ একজন পত্রিকা পড়ছে। ঘুমের ভান ধরে ইচ্ছে করেই পা দিয়ে ঠেলা দিতাম বার কয়েক। শাম্মী বিরক্ত হতো, আর যে কোন বিরক্তিতে শাম্মীর এক শব্দের প্রতিবাদ ছিল, ‘অই’! খুব মেধাবী ছিল ও। বুয়েটে সিভিলে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ওর জেদ ছিল কম্পিউটার নিয়েই পড়বে, পরের বছর তাই পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা ভার্সিটিতে চলে এলো কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগে। সবসময়ে শুনে এসেছি, ও দেশে থাকবে না। ক্যানাডা চলে যাবে। পত্রিকা খুলে প্রথমেই আমরা সবাই পড়তাম খেলার পাতা। শাম্মী পড়তো, চলতি বিশ্ব। ওর কথা হচ্ছে, দেশেই যখন থাকবো না তাহলে দেশের খবর পড়ে কী হবে, এখন থেকেই বহির্বিশ্বের খবর নিয়ে তৈরি থাকা ভালো। তিথি-র একবার শখ হলো রান্না করে খাওয়াবে আমাকে। রোকেয়া হল থেকে রান্না হয়ে টিফিন বক্সে করে খিচুড়ি আর বিফ চলে এলো অমর একুশে হলে। আমি সেসব নিয়ে খেতে বসলাম, সাথে শাম্মী। তিথির রান্না প্রথম খাচ্ছি, আমি তো ব্যাপক আপ্লুত। শাম্মী-কে জিজ্ঞেস করলাম, কী রে, কেমন লাগছে? শাম্মী খেতে খেতেই ভাবলেশহীন হয়ে উত্তর দিলো, ভালাই, তয় কইস লবণ একটু কম হইছে! এরকমই ছিল শাম্মী। মনের কথা অকপটে বলে দিত মুখে। কোন ঘোরপ্যাঁচ ছিল না, মাথায় বা চিন্তায়, মনে ও না। একদিন রুমে ফিরে দেখি আমার বিছানায় পা গুটিয়ে চুপ করে বসে আছে। মন ভালো না, দেখেই বুঝে গেলাম। আমি এটা সেটা জিজ্ঞেস করে শেষমেশ জানতে চাইলাম, কী হয়েছে তোর? শাম্মী ওর পকেট থেকে একটা চিঠি বের করে দিলো, ওর মায়ের লেখা। কী যে মায়া মাখানো ছিল সেই চিঠিটা! আমার এখনো মনে আছে চিঠির কথাগুলো। ওর ইচ্ছে পূরণ হয়েছিল জানি, ইউনি শেষ করে শাম্মী সত্যিই দেশের বাইরে চলে গিয়েছিলো। আর আজ সকালে হঠাৎ খবর পেলাম, এবারে দেশ নয় শুধু, এই জগত ছেড়েই ও চলে গেছে অনেক দূরে, না ফেরার দেশে। আসলে টেরই পাইনি, কবে কেমন করে যে এই বয়সে পৌঁছে গেলাম, যেখানে বন্ধু হারানোর কষ্টগুলো আস্তে আস্তে ছুঁয়ে দেয়া শুরু করবে আমাদের। শাম্মীর চলে যাওয়াটা কেমন একটা ধাক্কা দিলো মনে, হঠাৎ দুপুরে অচেনা কারও কড়া নাড়ার শব্দের মতন কেমন চমকে দিল যেন। হয়তো অর্থহীন আর অবাস্তব আমাদের এই চাওয়া, তবু মন থেকে চাই, আমাদের এই বন্ধুটা ভালো থাকুক।
Published on June 26, 2019 06:19
May 18, 2019
অক্ষয় মালবেরিঃ মণীন্দ্র গুপ্ত
এই বইটির পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখবার ক্ষমতা আমার নেই।
আমি দীন হীন এক শব্দ কাঙাল, নিজের সমস্ত অপারগতা হাতের আঙুলে জড়িয়ে আমি এই বইটি পাশে নিয়ে বসে চুপ করে নিজের বোধিলাভ প্রত্যক্ষ করতে পারি শুধু, আর কিছু নয়।
এর চেয়ে সুন্দর কিছু আজ অব্দি খুব বেশি পড়িনি, এই জীবনে এর চেয়ে স্বপ্নিল কিছু আর বেশি পড়তে পাবো না, এটাও জানি।
নিজের সীমাহীন খামতি আর মুগ্ধতা এইখানে শুধু লিপিবদ্ধ করে রাখলাম।
Published on May 18, 2019 05:46
March 29, 2019
শিবব্রত বর্মনের গল্প সংকলন- বানিয়ালুলু
এখন পর্যন্ত এ বছরে আমার পড়া সবচেয়ে চমৎকার বাংলা বই এর নাম- ‘বানিয়ালুলু’। ইচ্ছে হচ্ছে লোকেদের ডেকে এনে ধরে ধরে পড়াই বইটা। আমাদের যাদের বাংলা কল্পবিজ্ঞানের হাতেখড়ি হয়েছে ‘কপোট্রনিক সুখ দুঃখ’ বা ‘তোমাদের জন্যে ভালবাসা’ বইগুলোর মাধ্যমে, তাঁদের কাছে বাংলা কল্পবিজ্ঞানের জগতে বিজ্ঞানের চেয়েও মানবিকতার পাল্লার ভার বেশি। আমি নিশ্চিত যে আমার সমবয়সী বাংলা পাঠকদের সবচেয়ে প্রিয় গল্পের নামের তালিকায় থাকবে ‘টুকুনজিল’, কিংবা ‘টুকি ও ঝাঁ এর প্রায় দুঃসাহসিক অভিযান’ অথবা ’নিউটনের ভুল সুত্র’ গল্পগুলো। বিষয় এবং গল্প বলার ভঙ্গিতে সুস্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে, তবুও বলতে দ্বিধা নেই, ’বানিয়ালুলু’ বইটি পড়তে গিয়ে বহুদিন বাদে সেই বইগুলো পড়ার আমেজ এবং আনন্দ ফিরে পেলাম। বইয়ের প্রথম গল্পের নামই ‘বানিয়ালুলু’। এই গল্পটা পড়ে খানিকটা আশাভঙ্গ হয়। এটা যতটা না কল্পবিজ্ঞান, তারচেয়ে বেশি বেশ উচ্চমানের সারকাজম। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, পরের গল্পগুলো পড়তে গিয়ে টের পাই, বানিয়ালুলু নামের গল্পটা এক কথায় এই পুরো বইটির প্রস্তাবনা। লেখক এই গল্প দিয়েই যেন আমাদের স্বাগত জানিয়েছেন তার তৈরি করা একটা অদ্ভুত জগতে। অনেকটা যেন বাকি বইয়ে ঢোকার আগে প্রস্তুতিপর্বের কাজ করে এই গল্পটা। পরের প্রায় সবকটি গল্পই চমৎকার অথবা দুর্দান্ত বিশেষণে বিশেষায়িত হবার যোগ্য। ‘দুই শিল্পী’ ভাল লেগেছে, কিন্তু হঠাত করে শেষ হয়ে গেছে মনে হলো। ‘প্রতিদ্বন্ধী’ পড়ে লেখকের কল্পনাশক্তির বিস্তার দেখে অভিভূত হয়েছি। মনে মনে বেশ কয়েকবার অজান্তেই প্রশংসা করেছি গল্প এগিয়ে নেবার পারদর্শিতার। বেশ কিছু গল্পে লম্বা বর্ণনা দিয়েছেন লেখক, গল্পের মূলে ঢুকবার আগে। যেমন ধরা যাক ‘ডঃ মারদ্রুসের বাগান।’ সেই বর্ণনাগুলো ঝুলে যাবার একটা আশংকা ছিল, কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম শেষমেশ আগ্রহ ধরে রেখে পুরো গল্পটা টেনে নিয়ে যেতে পেরেছেন তিনি, অতিরিক্ত মনে হয়নি আর সেগুলো। সবচেয়ে বড় কথা, যে বাগানের আপেল অথবা কমলাগুলো আসলে শেক্সপিয়রের সনেট, সে বাগানে আরেকটু লম্বা সময় কাটাতে পারলে ক্ষতি নেই। ‘ভেতরে আসতে পারি?’, ’দ্বিখন্ডিত’ এবং ’বহুযুগের ওপার হতে’ সবগুলোই খুব ভাল মানের গল্প। খেয়াল করে দেখলাম, একেবারে নতুন বিষয়ে লেখা গল্পে লেখক যেমন দক্ষ, তেমনই গল্পের বিষয় যেখানে পুরনো- সে গল্পের বর্ণনায় তিনি সাবলীলভাবে নতুন কোন ভঙ্গি নিয়ে এসেছেন। p.p1 {margin: 0.0px 0.0px 0.0px 0.0px; font: 14.0px 'Kohinoor Bangla'} span.s1 {font: 14.0px 'Helvetica Neue'}
বইটিকে পাঁচের ভেতর নির্দ্বিধায় সাড়ে চার দিব আমি। লেখক শিবব্রত বর্মনের লেখা আগে পড়িনি কখনো, কিন্তু এখন থেকে তিনি আমার অবশ্যপাঠ্যের তালিকায় পাকাপাকি জায়গা করে নিলেন।
Published on March 29, 2019 15:50
মুহম্মদ জাফর ইকবাল-এর অবিশ্বাস্য সুন্দর পৃথিবী
এই বুড়ো বয়সে এসে বই পড়তে গিয়ে চশমার কাচ ঝাপসা হয়ে আসা খুবই বিব্রতকর। এদিক ওদিক তাকিয়ে মুখে একটা গোবেচারা হাসি ঝুলিয়ে চশমা পরিষ্কার করে আবার মুখ ডুবিয়ে দিয়েছি পড়ায়।
পড়তে পড়তে অনেকবার গা দুলিয়ে হেসেছিও। গা দোলাবার কারণ, লাইব্রেরিতে বসে পড়ছি তাই শব্দ করা যাবে না, শব্দ আটকানোর অসম্ভব পরিশ্রমের বহিঃপ্রকাশ এই গা দোলানো।
মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে এসে সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে এরকম কৌতুক করে লিখতে পারা মানুষ খুব বেশি নেই পৃথিবীতে। নিজেকে হত্যা করতে উদ্যত মানুষটাকে যেন গণপিটুনিতে মেরে ফেলা না হয়, স্ট্রেচারে শুয়ে হাসপাতালে যেতে যেতে সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার মানুষের সংখ্যা আরও কম। সুস্থ হয়ে জেলে গিয়ে সেই লোককে দেখে আসবার সাহস দেখে শিউরে উঠেছি।
সবচেয়ে হাসি পেয়েছে লেখককে দেখতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কথাতে, ”আপনি কনুই দিয়ে একটা গুঁতো দিতে পারলেন না?” হাহাহা !
দুর্জনের মুখে ছাই আর পেটে কনুইয়ের গুঁতো দিয়ে এভাবেই আপনি আরও যুগ যুগ বেঁচে থাকুন, খুব প্রিয় মুহম্মদ জাফর ইকবাল!
Published on March 29, 2019 15:48
March 7, 2019
সুহানের বই, ইবইয়ের প্রচ্ছদ এবং বইদ্বীপ
p.p1 {margin: 0.0px 0.0px 0.0px 0.0px; line-height: 15.0px; font: 12.0px SolaimanLipi; color: #16191f; -webkit-text-stroke: #16191f; background-color: #ffffff} span.s1 {font-kerning: none} span.s2 {font: 12.0px Monaco; font-kerning: none}
খুব চমৎকার একটি প্রচ্ছদসহ সুহানের এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে বইমেলা’ ২০১৯ এ।
বইদ্বীপ থেকে ইবুক হিসেবে প্রকাশের জন্যে আমরা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন আমিই হঠাত প্রস্তাব করি, ইবুকের জন্যে একদম নতুন একটা প্রচ্ছদ করলে কেমন হয়? সুহান রাজি হতেই এঁকে ফেলি এই প্রচ্ছদ। এবং ওর দোনোমনাকে পাত্তা না দিয়ে প্রচ্ছদে লেখকের নামের ফন্ট সাইজ বড় করে দিই বইয়ের নামের চেয়ে, ঠিক যেমনটা দেখি বহির্বিশ্বের বইগুলোয়।
আমাদের দেশে এখনো অবশ্য ইবুক বলতেই আমরা বুঝি প্রকাশিত বইগুলোর স্ক্যান করা পাতাগুলো জুড়ে দিয়ে তৈরি একটা পিডিএফ ফাইল। কিন্তু ইবুক মানে তা নয়। হার্ডকাভার এবং পেপারব্যাক যেমন বইয়ের দু’টা সংস্করণ, ইবুক হলো তৃতীয় সংস্করণ। ইপাব বা মোবি তে বাংলা অক্ষর পড়বার আনন্দই অন্যরকম। বইদ্বীপের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন বিরামহীন ভাবে ইবুকের কার্যকারিতা নিয়ে প্রচার চালিয়েছি। সেটা করতে গিয়ে টের পেয়েছি, আমরা বাংলাদেশিরা কাগজের মেইলের বদলে ইমেইলকে মেনে নিয়েছি নিঃসংকোচে, কিন্তু বইয়ের বদলে ইবইয়ের কথা এলেই খুঁজি শুধু স্ক্যান করা পিডিএফ! এ কথা খুব কম মানুষকে বোঝাতে পেরেছি যে ইবই এর আলাদা অস্তিত্ব যত দ্রুত মেনে নেয়া যাবে, বাংলা বইয়ের প্রচার ও প্রসার তত বেশি দ্রুতগামী হবে।
সুহানের এই বইটি অনেকগুলো কারণে আমার কাছে বিশেষ একটা বই। প্রথমত এটি খুব ভালো মানের একটি উপন্যাস। অনেকদিন বাদে সমসাময়িক কোন লেখকের লেখা পড়ে এতটা আশান্বিত ও আনন্দিত হয়েছি। আর দ্বিতীয়ত, বইদ্বীপ থেকে এই প্রথম কোন বাংলা বইয়ের আলাদা ইবুক প্রকাশিত হলো, ছাপা বইয়ের ইসংস্করণ নয়, সত্যিকারের আলাদা ইবই, যার রয়েছে আলাদা প্রচ্ছদ ও কন্টেন্ট। এই ব্যাপারটি আমার জন্যে অপরিসীম আনন্দের। এই সুযোগ করে দেবার জন্যে সুহান রিজওয়ান-কে তাই অনেক ধন্যবাদ জানাই।
বইটি পাওয়া যাচ্ছে এখানেঃ
https://www.boidweep.com/2019/03/blog-post.html
খুব চমৎকার একটি প্রচ্ছদসহ সুহানের এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে বইমেলা’ ২০১৯ এ।
বইদ্বীপ থেকে ইবুক হিসেবে প্রকাশের জন্যে আমরা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন আমিই হঠাত প্রস্তাব করি, ইবুকের জন্যে একদম নতুন একটা প্রচ্ছদ করলে কেমন হয়? সুহান রাজি হতেই এঁকে ফেলি এই প্রচ্ছদ। এবং ওর দোনোমনাকে পাত্তা না দিয়ে প্রচ্ছদে লেখকের নামের ফন্ট সাইজ বড় করে দিই বইয়ের নামের চেয়ে, ঠিক যেমনটা দেখি বহির্বিশ্বের বইগুলোয়।
আমাদের দেশে এখনো অবশ্য ইবুক বলতেই আমরা বুঝি প্রকাশিত বইগুলোর স্ক্যান করা পাতাগুলো জুড়ে দিয়ে তৈরি একটা পিডিএফ ফাইল। কিন্তু ইবুক মানে তা নয়। হার্ডকাভার এবং পেপারব্যাক যেমন বইয়ের দু’টা সংস্করণ, ইবুক হলো তৃতীয় সংস্করণ। ইপাব বা মোবি তে বাংলা অক্ষর পড়বার আনন্দই অন্যরকম। বইদ্বীপের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন বিরামহীন ভাবে ইবুকের কার্যকারিতা নিয়ে প্রচার চালিয়েছি। সেটা করতে গিয়ে টের পেয়েছি, আমরা বাংলাদেশিরা কাগজের মেইলের বদলে ইমেইলকে মেনে নিয়েছি নিঃসংকোচে, কিন্তু বইয়ের বদলে ইবইয়ের কথা এলেই খুঁজি শুধু স্ক্যান করা পিডিএফ! এ কথা খুব কম মানুষকে বোঝাতে পেরেছি যে ইবই এর আলাদা অস্তিত্ব যত দ্রুত মেনে নেয়া যাবে, বাংলা বইয়ের প্রচার ও প্রসার তত বেশি দ্রুতগামী হবে।
সুহানের এই বইটি অনেকগুলো কারণে আমার কাছে বিশেষ একটা বই। প্রথমত এটি খুব ভালো মানের একটি উপন্যাস। অনেকদিন বাদে সমসাময়িক কোন লেখকের লেখা পড়ে এতটা আশান্বিত ও আনন্দিত হয়েছি। আর দ্বিতীয়ত, বইদ্বীপ থেকে এই প্রথম কোন বাংলা বইয়ের আলাদা ইবুক প্রকাশিত হলো, ছাপা বইয়ের ইসংস্করণ নয়, সত্যিকারের আলাদা ইবই, যার রয়েছে আলাদা প্রচ্ছদ ও কন্টেন্ট। এই ব্যাপারটি আমার জন্যে অপরিসীম আনন্দের। এই সুযোগ করে দেবার জন্যে সুহান রিজওয়ান-কে তাই অনেক ধন্যবাদ জানাই।
বইটি পাওয়া যাচ্ছে এখানেঃ
https://www.boidweep.com/2019/03/blog-post.html
Published on March 07, 2019 07:14
Tareq Nurul Hasan's Blog
- Tareq Nurul Hasan's profile
- 21 followers
Tareq Nurul Hasan isn't a Goodreads Author
(yet),
but they
do have a blog,
so here are some recent posts imported from
their feed.

