Tareq Nurul Hasan's Blog, page 2

March 1, 2025

I have more souls than one | Fernanndo Pessoa

 



সমুদ্রের বুকে বয়ে চলা নৌকারা নিজেকে ভাবে পাখি, আর পালগুলো যেন ডানার মতন। তাদের দেখে মনে পড়ে যায়, কী যেন একটা হবার কথা ছিল আমার, যা হতে পারিনি। সেই বেদনা আমায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়...।


(আমি বুঝতে পারি, নিজেকে পাখি ভাবতে থাকা একটা বিষণ্ণ নৌকা আমি।)

I See Boats Moving by Fernando Pessoa

I see boats moving on the sea.
Their sails, like wings of what I see,
Bring me a vague inner desire to be
Who I was without knowing what it was.
So all recalls my home self, and, because
It recalls that, what I am aches in me.

Translated from Portugese by Johnathan Griffin.
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on March 01, 2025 18:40

February 23, 2025

এটা আমার দর্শনের নোটখাতা নয় | আরিফ রহমান



আগ্রহ নিয়ে পড়া হল বইটা। ছোট করে বলতে গেলে, এখানে বলা হয়েছে আমাদের আরও সহমর্মী হবার কথা, ভিন্ন বিশ্বাসের (এবং মতের) মানুষদের ব্যাপারে সহনশীল হবার সদিচ্ছা থাকার কথা। মুখে এ কথাগুলো অনেকেই বলে থাকি, তবে নিজেদের কাজে তার প্রতিফলন আনা সহজ নয়। আর সহজ নয় বলেই একটা পুরো বই লিখে ফেলতে হল।

ছাপার গন্ডগোলে মাঝের কয়েকটা পাতা ফাঁকা পেয়েছি, পরের সংস্করণে ঠিক হয়ে যাবে হয়ত।

লেখকের ভাবনার গতিপথ, সুন্দর করে আলাপের ভঙ্গিতে বুঝিয়ে লেখার কারনে, অনুসরণ করে যাওয়া সহজ হয়েছে।
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on February 23, 2025 18:38

January 18, 2025

সুহান রিজওয়ান-এর জার্নাল



দু হাজার পনের থেকে বিশ, এই ছয় বছরে লেখা সুহানের দিনলিপির বাছাইকৃত ভুক্তির সংকলন এই বই। ফেসবুক টুইটারের এই যুগে দিনলিপি লিখে রাখার মত মানুষ খুব বেশি আছে বলে মনে হয় না; সুহান সেই বিরল মানুষদের একজন।

ব্যক্তিগত জার্নাল হলেও লেখার গুণে, সেই সাথে, 'আমি' বা 'আমার' শব্দের বাহুল্য নেই বলে (যেটা আসলে লেখারই আরেক গুণ) এই বইটির বক্তব্য ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে গেছে, হয়ে দাঁড়িয়েছে সময়ের প্রতিচ্ছবি। প্রতিটা নতুন বছর শুরুর সাথে সাথে চোখ বুজে একবার ভাবার চেষ্টা করলাম, ওই সময়টায় কোথায় ছিলাম আমি। যেনবা দেশ থেকে বহুদূরে বসে যে শূন্যতা অনুভব করি প্রতিনিয়ত, পাজলের একটা টুকরোর মত এই বইটা যেন কিছুটা তা পূরণে সাহায্য করে আমায়।

ভালো লাগার মত অংশ রয়েছে অনেক, দারুণ সব উক্তি, কোটেশন, বই বা লেখকের উল্লেখ, পেন্সিলে দাগিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছি। তবে, উপন্যাস তৈরির সময়টায়, তৈরি হতে থাকা উপন্যাসিকের অন্তরে যে টানা পোড়েন, এ অংশগুলোই মনে জায়গা করে নিয়েছে বেশি। All reacti
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on January 18, 2025 16:58

January 16, 2025

ছোটগল্প সমগ্র | মতি নন্দী



মতি নন্দীর উপন্যাস পড়েছি আগে, ছোটগল্প পড়া ছিল না। প্রায় সত্তরটার মত গল্প রয়েছে এই বইয়ে। হাতে গোনা তিন চারটে বাদে বেশিরভাগই ভাল লেগেছে। এরকম হয় না সাধারণত।

এমন সব মানুষের সাথে দেখা করিয়ে দিলেন মতি নন্দী, যাদের সাথে সাধারণত দেখা হয় না আমাদের। অবাক হয়েছি নিজের গণ্ডিবদ্ধ জীবনের কথা ভেবে। একটা গল্প কয়েকবার পড়া হল, 'শহরে আসা'। কী দারুণ গল্পটা!

লেখায় কোথাও ভাষার মারপ্যাঁচ বড় একটা নেই। প্রতিটা গল্প যেন হাতে ধরা যায়, ছোঁয়া যায়, চেনা যায়।
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on January 16, 2025 16:55

January 13, 2025

অর্ধেক জানুয়ারি-



লিলি-রোজ বিনতে জ্যাক স্প্যারো দারুণ অভিনয় করে। এতটা আশা করিনি। মতি নন্দী-র ছোট গল্পও, এতটা আশা করিনি। কে জানত এত ভাল গল্প লেখেন তিনি। কোনো অং বং চং নেই, গল্প বলছি বলে অহেতুক টালবাহানা নেই, সলিড সব গল্প একেবারে। সেগুলো পড়ার ফাঁকে ফাঁকে তবু হেলাল হাফিজকে মনে পড়ল অনেকবার। বড় বেদনার মত বেজে গেলেন তিনি বুকে, বারবার, বারবার। 'পান্তাভাতে' পড়তে পড়তেও মনে হল একবার, গুলজার যদি চিনতেন হেলাল হাফিজকে, কত ভালই না হতো। পান্তাভাতে বইটায় নিজের নামে একটা চ্যাপ্টারের মালিক হয়ে যেতেন তিনি হয়ত। অথবা, যেমনটা ফিটজেরাল্ড বা এজরা পাউন্ড জায়গা পেয়েছেন হেমিংওয়ের প্যারিসের স্মৃতিতে। অবশ্য স্মৃতিতে জায়গা পেলেই বা কী আসে যায়। ইমতিয়ার শামীম চিরসত্যের মত তবু বলে যান, কোভিডে মরুক বা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে লাগা আগুনে, সেই মরাকে আরও একবার করে মারে চেনা জানা মানুষেরাই। মানুষ তাই বাঁচাবে মানুষকে, এতটুকুও হয়ত আশা করি না আর।

 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on January 13, 2025 21:20

January 7, 2025

পান্তাভাতে । গুলজার

 


গুলজারকে কত ভূমিকায়ই না দেখি। সবচেয়ে বেশি চেনা হলেন গীতিকার গুলজার। অথবা কবি। পান্তাভাতে পড়তে পড়তে পরিচালক আর চিত্রনাট্যকার গুলজারকেও জানা হলো ভালো করে। পাঞ্জাবি পরিবারে জন্ম নেওয়া গুলজারের বাংলা প্রীতি অসামান্য, এতটাই যে নিজেকে বাঙালী বলে পরিচয় দিতে দ্বিধা করেন না। তাঁর দীর্ঘ জীবনে সঙ্গী হওয়া আরও কিছু মানুষ, যাদের সবাই আমাদের চেনা, তাঁদের কথা উঠে এসেছে এই বইয়ের লেখাগুলোয়। বিমল রায়, সলীল চৌধুরী, কিশোর কুমার, সঞ্জীব কাপুর, শর্মিলা, ঋত্বিক ঘটক, রাহুল দেব বর্মন, মহাশ্বেতা দেবী, ভীমসেন যোশী, রবিশংকর, এরকম আরও অনেকে। টুকরো টুকরো স্মৃতির মত লেখাগুলো, কোনোটাকেই পূর্ণাঙ্গ বলা যাবে না হয়ত। বরং অনেকটা স্ন্যাপশটের মত। ছবির অ্যালবামের মতই, জমিয়ে রাখা যায়। 

 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on January 07, 2025 20:12

December 22, 2024

হলুদের গাঢ় সমাচার | ইমতিয়ার শামীম


এই বছর ইমতিয়ার শামীমের আরও কয়েকটি বই আনা হলো দেশ থেকে। বাতিঘরের কাছে লিস্ট দেয়া ছিল, ছোটভাই মেলবোর্নে আসার সময় নিয়ে এলো সাথে করে। 


হলুদের গাঢ় সমাচার একটা ছোটগল্প সংকলন। সব মিলিয়ে ১৫ টা গল্প। গল্পগুলো প্রায় সবই সাম্প্রতিক, গল্পের বিষয়বস্তুতেও সমসাময়িক ঘটনা ও চরিত্র প্রাধান্য পেয়েছে।  কোভিড, কোনো কারখানায় লাগা আগুন, ধর্মকে ব্যবহার করে জমিদখল, একটা বোমা হামলার ষড়যন্ত্র - এরকম সব বিষয়। ইমতিয়ার শামীমের গল্প পড়লে মনে হতে থাকে, একটা ঘটনাই কত ভিন্ন ভিন্ন চোখেই না দেখা যায়! 

 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on December 22, 2024 19:36

December 13, 2024

হেলাল হাফিজ

"বড়ো বেদনার মতো বেজেছ তুমি হে 

আমার প্রাণে,

মন যে কেমন করে মনে মনে 

তাহা মনই জানে। " 


১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ 

 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on December 13, 2024 19:01

December 6, 2024

গল্প

 গল্প দু'রকম। 

ভুলে যাওয়ার মত গল্প, আর মনে রাখার মত গল্প। 



 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on December 06, 2024 20:03

November 9, 2024

নো ওয়ান রাইটস টু দ্য কর্নেল | গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ

রেমন্ড কারভারের একটা গল্প আছে, নাম- 'কল ইফ ইউ নিড মি'। এটা দেখলেই আমার কেন জানি মনে হয়, 'মাঝে মাঝে পত্র দিয়ো'। জগজিৎ সিং এর ওই গানটা খুব পছন্দ, 'কিসকা চেহরা আব মে দেখু, তেরা চেহরা দেখকার'। আর আমি শুনি, 'বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর'।

রোজ সকালে কফির কাপে চামচ নাড়তে নাড়তে এই বুড়ো কর্নেলকে খুব মনে পড়ে। বছরের পর বছর লঞ্চঘাটে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো সে, একটা চিঠি আসার কথা তাঁর নামে। মার্কেজের লেখা এই নাতিদীর্ঘ নভেলা আমার খুব প্রিয়। মাঝে মাঝেই এর পাতা উল্টাই, আর নতুন নতুন দৃশ্য চোখে জ্যান্ত হয়ে ওঠে যেন। এবারে যেমন মনে হলো, কর্নেল দম্পতির একমাত্র সন্তানের মৃত্যু হয়েছে, তবু বাড়ির পোষা মোরগটাকে হারানোর আসন্ন ভয় কি কোথাও কোথাও ছেলে হারানোর বেদনাকে ছাড়িয়ে গেছে? হয়ত। এখানে, এখন নিয়ম করে মাসে একবার ডাক্তার দেখাতে যাই। হাতে সিরিয়াল নাম্বার লেখা স্লিপ নিয়ে অপেক্ষা করি ক্লিনিকের ওয়েটিং রুমে। সামনের স্ক্রিনে একের পর এক নাম্বার ভেসে ওঠে, আর পাশে বসে থাকা মানুষেরা একজন একজন করে উঠে ভেতরে ঢুকে যায়। প্রতিবার স্ক্রিনে আওয়াজ হলেই চট করে একবার তাকিয়ে দেখি আমার ডাক এলো কিনা। আসে না, আমার অপেক্ষা লম্বা হতে থাকে। আর কে যেন আমার কানের কাছে বিড়বিড় করে বলতে থাকে, নো ওয়ান রাইটস টু দ্য কর্নেল।
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on November 09, 2024 03:11

Tareq Nurul Hasan's Blog

Tareq Nurul Hasan
Tareq Nurul Hasan isn't a Goodreads Author (yet), but they do have a blog, so here are some recent posts imported from their feed.
Follow Tareq Nurul Hasan's blog with rss.