Tareq Nurul Hasan's Blog, page 15

August 27, 2014

কবিতাঃ তোমাকে নয়-

তোমাকে নয়-
-----------------আমার কেবলই কেড়ে নেবার স্বভাব-
যা কিছু ভাল লাগে কিংবা লাগার,
তার সব, সব কিছুই চাই আমার।ঐ দোকানীর রাংতা মোড়ানো স্বপ্ন ভরা বয়াম,
ও পাড়ার ঐ দুরন্ত ব্যাটসম্যানটির সুনাম,
অদ্ভুত সব চকমকি মার্বেল, আর-
অগোছালো চুলে মায়ের অনিচ্ছুক বিলি কাটার আরাম।আরও, আরও কত কী-ই,
পত্রিকার রঙীন নর্তকী-
দূর সমুদ্রের সেই রাগে ফুঁসে ওঠা ঢেউ,
ভরা বর্ষায় পাশের ছাতার বিহবল কেউ।কেড়ে নিয়েছি আমি সবই, যখন যা চেয়েছি নিজের করে।
আজ তবু এতদিনের পরে-
যখন জীবন নিচ্ছে একটা অহেতুক বিরতি,
দ্বিধার কাঁটায় চোখে পড়ছে শুধুই তোমার অনুপস্থিতি।স্বভাবের বাইরে দাঁড়িয়ে নির্নিমেষ দেখে গেছি,
আমাদের হৃদয়েরা হয়ত মন ভুলে খেলেছিলো কানামাছি।।তবু, আজ জেনো, সত্যি এটাই-
আমার কেড়ে নেয়া সুখের তালিকায়-
তুমি নাই।-----
তারেক নূরুল হাসান
১৪/০৭/২০১৪
মেলবোর্ন
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on August 27, 2014 08:59

কবিতাঃ অপ্রকাশ

অপ্রকাশপ্রণয় সে গোপন গভীর থাকা ভালো।শহরের উষ্ণতম সরোবরের অভিমানী জলে-
শীত-দুপুরে কোন ঘুম ভাঙানিয়া স্নান,
তারও চেয়ে ভালো, ডুবে ডুবে ডুবে
পানকৌড়ির অলৌকিক আহবান।ডাহুক পাখীর প্রেমের মতন জেনো,
আমাদের সংক্ষিপ্ত অবকাশ।
ভালো বাসা না বাসার দোলাচলে,
সংশয়ে আকুল আশ্বাস।তারচে’ বরং এসো, দূরে সরে যাই।
দেখো ঢের ভাল এই নীরবতা,
এ মাঝির মন ভাঙা গানে,
সহসা ব্যাকুল হয়, বৈঠায় মাপা গভীরতা।গভীরতা শোনো, গোপনীয় থাক।
এ প্রণয় না হয়, না হোক সবাক।।যে নদীর না ওঠা সে ঢেউ,
অথবা সে নদীটির সুগভীর জল;
ভালোবেসে চুপ থাকা ভালো,
ছুঁয়ে থেকেও না-ছোঁয়া অতল।।-----
তারেক নূরুল হাসান
২২/০৫/২০১৪
মেলবোর্ন
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on August 27, 2014 08:58

December 14, 2012

বইদ্বীপ প্রকাশনীর সাইট-


বাংলা ইবই নিয়ে আলাদা একটা সাইট তৈরি করলাম। ঠিকানা এখানে- বইদ্বীপ প্রকাশনী। 
মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলায় ইবই প্রকাশনা সম্পর্কিত সুবিধা, অসুবিধা, জটিলতা ইত্যাদি বিষয়ে মতবিনিময় করা। কেউ ইবই প্রকাশ করতে চাইলে নিজেরাই নিজেদের সহযোগিতা করা যাবে এই ব্লগের মাধ্যমে।
বাংলায় প্রকাশিত ইবইগুলোর একটা তালিকামতন রাখাও আরেকটা উদ্দেশ্য। যদিও মনে করি, কদিন বাদে বাংলা ইবই-এর জোয়ারে তালিকা রাখা আর সম্ভবপর হবে না। :)
ইবই নিয়ে নিজেদের চিন্তা-ভাবনা, প্রশ্ন ইত্যাদি শেয়ারের জন্যে চলে আসুন বইদ্বীপ প্রকাশনীর  সাইটে

 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on December 14, 2012 05:02

December 4, 2012

ইলিয়াসের ঘোড়া: আমার নতুন বই


বেশ কিছুদিন ধরেই সময় দিচ্ছিলাম এটার পেছনে। অবশেষে আজকে জিনিসটা ফাইনাল হলো। আমার নতুন বইটা প্রকাশিত হলো স্ম্যাশওয়ার্ডস থেকে। এটি পুরোপুরিই ইবুক। আপাতত প্রিন্টেড ভার্সানে যাবার কোন পরিকল্পনা নেই।
বইটি বিনামূল্যে নামানো যাবে নিচের লিংক থেকে। ইলিয়াসের ঘোড়া- তারেক নূরুল হাসানবইটি যারা পড়বেন, তাদের মতামত জানবার জন্যে অপেক্ষায় রইলাম। 
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on December 04, 2012 00:41

December 3, 2012

সহী দিননামা

৭১
একাত্তর নামে নতুন একটা চ্যানেল হয়েছে দেখছি।
এখানে বাংলা টিভি দেখা বেশ হ্যাপার কাজ। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের নানা প্যাকেজ নিতাম একসময়, কিছু বিজ্ঞাপন আর স্প্যাম ভরা ফ্রি সাইট দিয়েও কাজ চলেছে একদা, আপাতত সব ঘুরে টুরে আইপিটিভি বাক্সে থিতু হয়েছি। বেশ ভালই সার্ভিস দিচ্ছে। যদিও সবগুলো বাংলা চ্যানেল আসে না। অনেকগুলো ভালো চ্যানেলই নেই, সময়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট নেই, মাছরাঙাও নেই। কিন্তু একাত্তর কেমন করে যেন চলে এলো। এবং আসার পর থেকেই, ক্রিকেটের জন্যে যদি চ্যানেল নাইন খুলে বসে না থাকি, তাহলে যে চ্যানেলটা এখন বেশি দেখা হয়, তার নাম একাত্তর।

দেশের প্রথম ফুল হেইচডি চ্যানেল বলে দাবি করছে প্রায়শই, ছবির মানও আসলেই চমৎকার। ওদের দুটা ডকুমেন্টারি দেখলাম, দুটোই বেশ ভাল লেগেছে। ঘুরে ফিরে যদিও দেখাচ্ছে বারেবারেই। অনুষ্ঠান নির্মাণেও খানিকটা ভিন্নতা চোখে পড়ছে। হঠাৎ করে সেই একুশের সামিয়া জামান আর সামিয়া রহমানকে একসাথে আবার দেখতে পেয়েও ভাল লাগছে বেশ।

আমার শুধু একটা ব্যাপারেই খটকা, নামটা নিয়ে। একুশ চলে, বায়ান্নও, হয়তা বিজয় বা স্বাধীনতা-র মত শব্দগুলোও বহুব্যবহারে জৌলুশ হারিয়ে সর্বসাধারণের পকেটের রুমাল হয়ে গেছে। কিন্তু, আমার মনে হচ্ছে, একাত্তর নাম দিয়ে কাউকে অনুমোদন না দিলেই পারতো সরকার। আমাদের দেশেতো কোন কিছুই ধ্রুব নয়। এ টিভির মালিকপক্ষ কে বা কারা জানি না, ধরে নিলাম যোগ্য লোকেরাই মালিক এখন। কিন্তু সরকার বদলালে যে সেটাও বদলাবে না তার নিশ্চয়তা কী? অথবা, সময়ের সাথে সাথে মালিকের চরিত্রও বদলে যাবে না তারই বা গ্যারান্টি কী?

একাত্তর নামের চ্যানেল যদি একসময় জামাতপন্থী আচরণ শুরু করে সেটা মেনে নিতে খারাপই লাগবে।

টু ডু, টা ডা

অনেক কিছু করবো করবো বলে ভাবি। একটা লিস্ট ঝুলিয়ে রাখা আমার ঘরের নোটিশ বোর্ডে। মোবাইলেও নানা রকম লিস্ট। সপ্তায় অন্তত একটা ব্লগ লিখবো বলে ভাবি, হয় না। বেশ কিছু গল্প লেখা শুরু করে মাঝপথে আটকে আছে, শেষ করা হয়ে উঠছে না।

তবে হবে নিশ্চয়। সেদিন লিস্টের শেষে গোটা গোটা হরফে বড় করে লিখে দিলাম, ফিনিশ সামথিং!!

কিছু একটা তো শেষ কর বাপ!

তালাশ
আমির খানের মুভি দেখা হয় নিয়মিত। রাং দে বাসান্তির পরে আমির খান কোন না কোন ভাবে জড়িত আছেন এরকম ছবি মিস না করার চেষ্টা করি। খুব একটা লস হয়নি এখন পর্যন্ত। এমনকি অফ ট্র্যাকের কিছু ছবি যেমন ডেলহি বেলি অথবা ধোবিঘাটও বেশ ভাল লেগেছে।
সম্প্রতি দেখলাম তালাশ।

আমার কাছে মনে হয়, ভুতের সিনেমার সবচেয়ে বড় মাইনাস পয়েন্ট হলো যে তারা ভুতের সিনেমা। এটুকু যদি মেনে নেয়া যায়, তাহলে তালাশ আসলে বেশ ভাল একটা ছবি। সাসপেন্স ছিল যেখানে যেটুকু দরকার, একদম ঠিক সময়ে রহস্যের জট খুলেছে। ছবির সবচেয়ে দুর্বল দিক হলো অতৃপ্ত আত্মা বিষয়ক লজিক এবং সেটুকু প্রতিষ্ঠা করার অংশটুকু। কিন্তু এখানেও ব্যাক টু স্কয়ার ওয়ান, মানে ওই যে, যদি আমরা এটা মেনে নিয়ে দেখা শুরু করি যে এটি আসলে একটি ভুতের সিনেমা...।

সবমিলিয়ে মন্দ লাগেনি।

গ্রিশাম
রাহাত খানের অমল ধবল চাকরি পড়া শেষ হলো। যে ভাললাগা নিয়ে শুরু করেছিলাম বইটা, শেষ করলাম সে পরিমাণ মুগ্ধতা নিয়েই। এমন কিছু আহামরি গল্প নয়, সেই সময়ের কয়েকজন যুবক যুবতীর প্রাত্যহিক জীবনের খন্ডচিত্র নিয়ে লেখা। কিন্তু মুগ্ধ হয়েছি ভাষার ব্যবহার দেখে, ঐ অল্প পরিসরেই লেখকের চিন্তার গভীরতা দেখেও চমকে উঠেছি বারকয়েক।

সমান্তরালে শেষ করলাম জন গ্রিশামের দি ফার্ম। পড়া শেষে খানিক ভেবেছি নানা বিষয়ে।
দেখলাম যে, বড় হয়ে আসলে খুব বেশি থ্রিলার পড়িনি। থ্রিলারের নব্বই-ভাগই পড়া হয়েছে কিশোর বয়সে, সেবা প্রকাশনীর বদৌলতে। সে সময়ে ঘটনার গলিঘুঁপচিতে হারিয়ে যেতাম থ্রিলার পড়তে পড়তে। নায়কের মৃত্যু আশঙ্কায় একেবারে জায়গামতন গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠতো তখন। লাস্যময়ী নায়িকার লাল টুকটুকে অধরের কল্পনায় কত রাত নির্ঘুম কেটে গেছে। পড়ার জগতের দরজা খুলে দিয়ে থ্রিলার ব্যাপারটা কেমন করে যেন মাঝে লম্বা সময় ডুব মেরে ছিলো।

সম্প্রতি আবার ফিরে এসেছে সে বিপুল বিক্রমে। জেফরি আর্চারের দুটা বই দুমাদুম পড়া হয়ে গেলো। এ প্রিজনার অব বার্থ এবং ফলস ইম্প্রেশান। পড়তে পড়তেই গল্পের গাঁজাখুরিত্ব নিয়ে বেদম হাসি পেয়েছে। এ প্রিজনার অব বার্থ এর মত এরকম হাস্যকর অবাস্তবতা এমনকি থ্রিলারেও দেখা যায় না। কিন্তু আশ্চর্য এই, এটা টের পাওয়ার পরেও বইটা শেষ না করে উঠতে পারিনি। পড়ছি আর লেখককে গাল মন্দ করছি, ধুর ব্যাটা কী সব লিখছে, কিন্তু রাতের খাবার পরে মাথার পাশে ল্যাম্প জ্বেলে পড়তে পড়তে রাত ভোর করে ফেলেছি। থ্রিলারের মজা আবার ফিরিয়ে আনলো এই আর্চার মশাই।

তুলনায় গ্রিশাম পড়ে আরও ভাল লাগলো। গ্রিশামের আরও কিছু বই টপাটপ পড়ে ফেলতে হবে।
লিস্টে আরও কিছু ভাল বইও আছে। আজ থেকে ধরলাম মঈনুল আহসান সাবের এর ঠাট্টা। মণিকা রশিদকে ক্রমাগত জ্বালাতন করে করে অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ কিছু বই পেলাম। ওগুলো পড়া ধরতে হবে। হিমু ভাই একেবারে আচমকাই আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন উদয়ন ঘোষের লেখার সাথে। আগে পড়িনি, এমনকি শুনিওনি। আপাতত তার ছোটগল্পের বইটির ভূমিকা পড়ে কাছা মেরে বসলাম।

ভ্রমণ আনন্দময় হবে সন্দেহ নেই।

 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on December 03, 2012 18:37

November 16, 2012

:-(

 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on November 16, 2012 03:46

November 14, 2012

ইদানিং বেশ কিছু নতুন বই পড়ছি

ইদানিং
---------


বছর-খানিক ধরেই খুঁজে পাচ্ছিলাম না ব্যাটাকে। অথচ খুঁজছিলাম, অনেকদিন ধরেই। আমার বুকশেলফের আড়ালে, বালিশের পাশে জমে থাকা অলস অন্ধকারে, অথবা কাজ শেষে বাড়ি ফিরে জমাটি করে বসে থাকা সোফার আরামে। কিন্তু বাস্তবিক প্রায় হারিয়েই ফেলেছিলাম তার খোঁজ। শেষমেষ একটা ষড়যন্ত্র করতে হলো। নিজের সাথে নিজেই চোখ রাঙাতে হলো। একদিন সকালে উঠে আয়নায় নিজেকে জোরসে ধমক লাগালাম, চোপ রাও বদমাশ, যা বলি তা-ই করো।

তো, করলাম। চুপচাপ। বাধ্য মানুষটির মতো ফেইসবুকের ডিএকটিভেট বাটন চেপে দিলাম। জুকারবার্গের নীল দৈত্য কঁকিয়ে উঠলো, কেন কেন?
বললাম, না হে, এটা সাময়িক বিচ্ছেদই কেবল, পাকাপাকি ছাড়াছাড়ি নয়, আবার আসিব ফিরে, সহসাই।

তারপর বুকশেলফের বইগুলোকে ওলট পালট করে ঝাড়াঝাড়ি করে নিলাম। একটা করে বই জায়গা করে নিলো আমার সবকটা চারণভূমিতে। গাড়িতে একটা, সোফার পাশে একটা, একটা ডাইনিং টেবিলে, বিছানায় বালিশের পাশে একটা, আঁকাআঁকির টেবিলে একটা।
ড্রপবক্সের একাউন্ট থেকেও ঝেড়ে মুছে বিদায় জানিয়ে দিলাম সব কটা অনাবশ্যক ফাইলকে। তার বদলে সেটা ভর্তি হয়ে গেলো হাজার-খানেক ই-বুকে।

এবং, তারপরে, সহসাই খুঁজে পেলাম তাকে। আমার হারিয়ে যাওয়া বই পড়ার তুমুল অবসরকে। ওহ, মাই প্রেশাস, এতদিন কোথায় ছিলে?

বেশ কিছু নতুন বই
------------------------


বছরে অন্তত একবার বই আনাবার একটা বদভ্যাস গড়ে উঠেছে আলগোছে। প্রবাসী হবার পর থেকেই। বইয়ের জন্যে আমি আর আমার বউ মনে মনে অল্প অল্প করে টাকা জমাই। আনানোর পরিমাণ নির্ভর করে কত জমাতে পারলাম তার উপরে। কোনবার নিজেদের ফাঁকি দিয়ে খানিক বেশি জমাতে পারলে বই আসে পঁচিশ কেজি। আর টানাটানির বছরে আসে মেরে কেটে দশ কেজি।
এই দশ আর পঁচিশের সীমানা আমাদের নিজেদের করা নয়। এটা ফেডেক্সের বদান্যতা। ওদের দুটা প্যাকেজে, হিসেবে করে দেখেছিলাম, পোস্ট অফিসের ইএমএসের খরচের চেয়ে খানিকটা বেশি লাগে। কিন্তু পাবার গ্যারান্টি আর দ্রুততার সাথে সেটুকু আপোষ করা চলে।
কিন্তু এবারে বই আনাতে গিয়ে ব্যাপক ধরা খেলাম। ফেডেক্সের খরচ বেড়ে গেছে প্রায় দ্বিগুণ। এটুকু আমাদের সাধ্যের বাইরে। ফেডেক্স দিয়ে হয়তো এই শেষবারের মত কিছু বই আনানো হলো, পরের বছর থেকে পোস্টাপিসের দুয়ারে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে নিশ্চিত।

পড়ছি
---------------



একসাথে কয়েকটি বই পড়তে শুরু করা আমার স্বভাব। গত সপ্তা নাগাদ শেষ করে উঠলাম কিছু। মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘ও’ পড়া হলো। মোটামুটি লাগলো পড়ে। সব কটি গল্পের শুরুই চমৎকার, কিন্তু শেষটুকু আর সুন্দর থাকেনি কেন জানি। প্রথম দু’টি গল্প পড়ে আমার এমনও মনে হলো, হায়, শেষমেষ জাফর ইকবাল স্যারও বাজে গল্প ছাপাতে শুরু করলেন?

অতীন বন্ধ্যোপাধ্যায়ের পঞ্চাশটি গল্পের সংগ্রহ শুরু করেছিলাম, পড়ছি এখনও। এনার লেখা আগে পড়িনি। এখন পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছে, লেখার ভঙ্গি রীতিমতন মনোমুগ্ধকর। ছেঁড়া পাজামা নামের গল্পটি পড়ে একদম শিউরে উঠলাম! একেবারে অন্তর ছুয়ে গেলো! গল্পের শেষ লাইন বা শেষ প্যারায় চমক দেয়ার একটা অভ্যাস খেয়াল করলাম লেখকের, কিন্তু এটা নিয়মিত কিনা সেটা আরো পড়ার পরে বলতে পারবো।

রাহাত খানের অমল ধবল চাকরি পড়ছি। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সদস্য হবার প্রথম দিকের কোন মাসে পড়েছিলাম তাঁর দিলুর গল্প। গল্পটা এখন আর সঠিক মনে নেই, কিন্তু সেই কিশোর বয়সে সাংঘাতিক ভাল লেগেছিলো এটুকু মনে আছে। অমল ধবল চাকরি পড়তে পড়তে লেখককে মনে মনে লম্বা সেলাম ঠুকলাম। এত স্মার্ট ভাষা, এত স্মার্ট ভাবনা সেই আদ্যিকালে কোন জাদুবলে যে আমাদের রাহাত খান আর মাহমুদুল হকেদের পকেটস্থ ছিলো কে জানে! বইটা শেষ করতে করতেই রাহাত খান যে আমার প্রিয় লেখকদের তালিকায় উঠে আসবেন সন্দেহ নেই।

স্টিফেন কিং এর লেখা একটা নন-ফিকশান বই পড়লাম- ‘অন রাইটিং’।  
কিং মূলত হরর থ্রিলার লেখক। আমার পড়াপড়ির অভ্যেসের শুরু রূপকথা আর সেবার থ্রিলারগুলো দিয়েই। তাই এখনও চটপট চানাচুর-ভাজার মত থ্রিলার পড়ে ফেলতে বেশ পছন্দ করি। অন রাইটিং বইটা লেখালেখির উপরে। ক্রিয়েটিভ রাইটিং এর উপরে এর আগেও বেশ কিছু বই পড়েছি, কিন্তু সেসবের সাথে এই বইটার অনেক পার্থক্য রয়েছে। ঐ বই গুলো মূলত উপদেশে ভরপুর। এটা করা চাই, ওটা কিন্তু নয়। কিন্তু কিং এই বইটায় সেসব থেকে অনেক দূর দিয়ে হেঁটেছেন। বইটার প্রথম ভাগে তার নিজের লেখকজীবনের শুরুর কথা আছে। কেমন করে, এবং কোন পারিপার্শ্বিকতার ভেতর থেকে তার ভেতরের লেখক স্বত্তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো সেসবেরই বর্ণনা সেখানে। এটুকু বেশ আত্মজীবনীর মত করে পড়ে ফেলা যায়। বইয়ের শেষভাগে কিছু না-দিলেই-নয় উপদেশ রয়েছে। কিন্তু সেটাও এমনই আপন আপন স্টাইলে দেয়া যে পড়ে মনে হয় না লেখালেখির ক্লাস করছি। সবমিলিয়ে বেশ ভাল একটা বই।

অতীন আর রাহাত খানের সাথে ব্যালেন্স করার জন্যে কাল থেকে শুরু করেছি জন গ্রিশামের ‘দি ফার্ম’।

টানটান উত্তেজনা একেবারে যাকে বলে। আপাতত ৬২ পৃষ্ঠায় আছি। পড়ছিলামই খানিক আগেও, এর মাঝে হঠাৎই মনে হলো, যাই লোকজনদের খানিক বিরক্ত করে আসি গিয়ে।
অতঃপর আর কি, তাই হেতু এই জ্বালাতন-ধর্মী ব্লগের জন্মলাভ। :)
 •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on November 14, 2012 21:01

Tareq Nurul Hasan's Blog

Tareq Nurul Hasan
Tareq Nurul Hasan isn't a Goodreads Author (yet), but they do have a blog, so here are some recent posts imported from their feed.
Follow Tareq Nurul Hasan's blog with rss.