Abul Hashim
Born
in Calcutta , India
January 27, 1905
Died
October 05, 1974
Genre
![]() |
আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি
2 editions
—
published
1978
—
|
|
![]() |
Arabic Made Easy
11 editions
—
published
1969
—
|
|
![]() |
The Creed of Islam
2 editions
—
published
1997
—
|
|
![]() |
As I See It
|
|
![]() |
ইসলামের মর্মকথা
by |
|
![]() |
In retrospection
|
|
![]() |
Arabic Made Easy
|
|
![]() |
Arabic Made Easy
|
|
![]() |
ARABIC MADE EASY
|
|
![]() |
Arabic made easy
|
|
“গান্ধী ও তাঁর সঙ্গীরা বঙ্গীয় সরকারের অতিথি হিসাবে নোয়াখালী যান এবং সেখানে অবস্থান করেন। গান্ধীর নোয়াখালী সফর নোয়াখালী ও কুমিল্লা এই দুই জেলায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর মুসলমানদের নিষ্ঠুর আচরণের ব্যাপারে পৃথিবীর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিলো। কলকাতা এবং বিহারে ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকাংশই ছিলো মুসলমান। গান্ধী কলকাতা বা পাটনা কোথাও সফর করেননি।”
― আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি
― আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি
“মিস্টার চুন্দ্রীগড়ের সভাপতিত্বে ৫ই আগস্ট দুটি সভা অনুষ্ঠিত হলো। পূর্ব পাকিস্তানের বিধানসভার সদস্যদের সভায় পূর্ব পাকিস্তান পার্লামেন্টারী পার্টির নেতৃত্বের জন্য সুহরাওয়ার্দী খাজা নাজিমুদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন এবং পরাজিত হলেন। খাজা নাজিমুদ্দীন পঁচাত্তরটি ভোট পান এবং সুহরাওয়ার্দী পান মাত্র ঊনচল্লিশটি। সুহরাওয়ার্দী পরাজিত হওয়ার পরমুহূর্তে বসিরহাটের আবদুর রহমানকে সঙ্গে করে পার্শ্ববর্তী কক্ষে যেখানে পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম লীগের পার্লামেন্টারী পার্টির সদস্যরা তাঁদের নেতা নির্বাচিত করার জন্য বসে ছিলেন সেখানে ছুটে গেলেন। আবদুর রহমান সুহরাওয়ার্দীর নাম প্রস্তাব করলেন এবং সুহরাওয়ার্দী পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম লীগের পার্লামেন্টারী পার্টির নেতা নির্বাচিত হলেন। এটা ছিলো দেবতাদের উপভোগ করার মতো এক দৃশ্য। যে ব্যক্তি একমুহূর্ত আগেও পাকিস্তানে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্খা পোষণ করেছিলেন তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম লীগের পার্লামেন্টারী পার্টির নেতা হিসেবে নিজের নাম প্রস্তাব করলেন।”
― আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি
― আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি
“সংসদ কক্ষে ২৯শে জুন বঙ্গীয় বিধানসভার সদস্যদের এক যুগ্ম সভা অনুষ্ঠিত হলো। যুগ্ম সভা পাকিস্তানে যোগদানের পক্ষে ভোটদান করল। এর পনেরো মিনিট পর দুটি সভা অনুষ্ঠিত হলো। একটি বাংলার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অন্যটি বাংলার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের অঞ্চলের। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের সদস্যরা বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে এবং হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের সদস্যরা বঙ্গভঙ্গের পক্ষে ভোট প্রদান করলেন। বাংলা দুই ভাগে বিভক্ত হলো। কম্যুনিস্ট পার্টির সদস্যরা বঙ্গভঙ্গের পক্ষে ভোট প্রদান করেন।
কম্যুনিস্ট পার্টি বঙ্গভঙ্গের পক্ষে ভোট প্রদান করেছিলেন কিন্তু সিলেটের গণভোটে তাঁরা আসাম থেকে সিলেটকে বিচ্ছিন্ন করার বিপক্ষে ভোট দেন। যখন গণভোট আসাম থেকে সিলেটকে বিচ্ছিন্ন করার পক্ষে রায় প্রদান করল তখন কমিউনিস্ট পার্টি দাবী জানালেন যে, সিলেটের হিন্দু অধ্যুষিত থানাগুলিকে সিলেট থেকে যেন আলাদা করে আসামের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।”
― আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি
কম্যুনিস্ট পার্টি বঙ্গভঙ্গের পক্ষে ভোট প্রদান করেছিলেন কিন্তু সিলেটের গণভোটে তাঁরা আসাম থেকে সিলেটকে বিচ্ছিন্ন করার বিপক্ষে ভোট দেন। যখন গণভোট আসাম থেকে সিলেটকে বিচ্ছিন্ন করার পক্ষে রায় প্রদান করল তখন কমিউনিস্ট পার্টি দাবী জানালেন যে, সিলেটের হিন্দু অধ্যুষিত থানাগুলিকে সিলেট থেকে যেন আলাদা করে আসামের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।”
― আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি