জলজ লকার Quotes
জলজ লকার
by
Mahrin Ferdous103 ratings, 3.94 average rating, 47 reviews
জলজ লকার Quotes
Showing 1-6 of 6
“আমি জানি না, মানুষ কেন একটা পরীক্ষা, খাতার নম্বর কিংবা ব্যর্থতা নিয়ে আটকে যায়। থেমে যায়। কেন ইঁদুরের মতো কোনো কলে আটকে থাকা প্রাণী হতে চায়। কেন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ চায় কেউ তাদের পথ দেখিয়ে দিক, কেউ বলে দিক এভাবে সফলতা পাবে, ওভাবে আসবে সুখ। এভাবে আগালে তুমি ক্ষমতাশীল হবে, ওখানে গেলে তুমি জনপ্রিয়তা পাবে। এগুলোর বদলে মানুষ কেন সৃষ্টির আনন্দ খুঁজে নেয় না? কেন বোঝে না জীবনকে চাইবার নিজস্ব নানা পথ আছে। চর্চা আছে। বেঁচে থাকা মানে ভাবগম্ভীর কোনো ভবনের তলে হাঁসফাঁস করা না, বেঁচে থাকা মানে জীবনের বর্ণ-গন্ধ-শিল্প ছায়ায় নিবিড়ভাবে নিজেকে জড়িয়ে রাখার আনন্দ।”
― জলজ লকার
― জলজ লকার
“বেশির ভাগ মানুষ স্কুলজীবন নিয়ে প্রচুর পরিমাণে আবেগী ও স্মৃতিকাতর হলেও আমার বিশ্বাস কলেজজীবন হলো সেই সময় যখন আসলে আমাদের বেঁচে থাকার হিসাব-নিকাশ ও দর্শন বদলে যায়। দুই থেকে আড়াই বছরের সেই সময়টা যেমন গতিময়, তেমনই অস্থির। বয়সটাও টালমাতাল। আমরা না ছোটো, না প্রাপ্তবয়স্ক। এই বয়সে কখনো ধাওয়া করে স্কুলজীবনের পিছুডাক, কখনোবা দূরবর্তী কোনো নিষিদ্ধ আহবান যা আমাদের বারবার বলে প্রচলিত সব নিয়ম ভেঙে ফেলতে।”
― জলজ লকার
― জলজ লকার
“হয়তো আমার ভেতরে কোথাও এক সেকেলে সত্তা বাস করে। প্রযুক্তিকে মনে হয় প্রাণহীন। যতটুকু ব্যবহার না করলেই নয় ততটুকুই শুধু করি। বই পড়ার সময়টুকু আমার একান্ত নিজের। বইয়ের সাদা কালো অক্ষর, কাগজের পাতা, মোটা কিংবা পাতলা মলাটে খোদাই করা শিরোনাম আমার হাত দিয়ে স্পর্শ করতে, অনুভব করতে ভালো লাগে। ভালো লাগে বইয়ের পুরানো কিংবা নতুন ঘ্রাণ। মনে হয় আমি নিজেকে খুঁজে পাই সেই ঘ্রাণে। খুব বেশি হলে আমি কোনো পোর্টেবল রিডিং লাইট কিনতে পারি অন্ধকারে বই পড়ার জন্য, কিন্তু সেটুকু বাদে আর কোনো যন্ত্রের কাছে নিজেকে বাঁধতে চাই না।”
― জলজ লকার
― জলজ লকার
“পরিবারকে সময় দিয়ো। কারণ একসময় যত সামনে আগাবে দেখবে বাকি সব পেছনে পড়ে আছে। চাইলেও সেখানে ফিরতে পারবে না। কারণ, পৃথিবী খণ্ড খণ্ড হয়ে যাচ্ছে। আমরা স্বীকার করি বা না করি। সাম্যতার, রাজনৈতিক উন্নতির, কিংবা ভালোভাবে বেঁচে থাকার যে আদর্শ নিয়ে আমরা কথা বলতাম তার সব কিছুই তলিয়ে যাচ্ছে চোরাবালিতে। হয়তো কোনোদিন আর ফিরবে না।”
― জলজ লকার
― জলজ লকার
“আগে আগে ক্লাসে গিয়ে পেছনের একটা বেঞ্চে বসে বসে গল্পের বই পড়তাম আমি। আর কেউ না কেউ চলে আসলেই বইটা লুকিয়ে ফেলতাম ব্যাগের ভেতর। এই সময়টুকু খুব প্রিয় ছিল আমার। একান্ত নিজের। মনে হতো, আমি সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন। মনে হতো, আমার নিজের হয়তো একটা গ্রহ আছে। সেই গ্রহে আমি একাই রাজত্ব করি। বইয়ের জগৎ থেকে একেক বার একেকজন লেখক, কবি, গল্পের চরিত্র আমার সেই গ্রহে এসে ঘুরে যায়। আমার সাথে গল্প করে যায়। একা একা কথা বলার অভ্যাসটা সম্ভবত আমার তখন থেকেই গড়ে উঠেছিল। সেই অভ্যাস আছে এখনো।”
― জলজ লকার
― জলজ লকার
