ইছামতী Quotes

Rate this book
Clear rating
ইছামতী ইছামতী by Bibhutibhushan Bandyopadhyay
945 ratings, 4.26 average rating, 112 reviews
ইছামতী Quotes Showing 1-9 of 9
“বর্ষার দিনে এই ইছামতীর কূলে কূলে ভরা ঢলঢল রূপে সেই অজানা মহাসমুদ্রের তীরহীন অসীমতার স্বপ্ন দেখতে পায় কেউ কেউ..কত যাওয়া-আসার অতীত ইতিহাস মাখানো ঐ সব মাঠ, ঐ সব নির্জন ভিটের ঢিপি--কত লুপ্ত হয়ে যাওয়া মায়ের হাসি ওতে অদৃশ্য রেখায় আঁকা। আকাশের প্রথম তারাতা তার খবর রাখে হয়তো।”
Bibhutibhushan Bandyopadhyay, ইছামতী
“এসব ভবিষ্যতের মেয়ে, অনাগত দিনের আগমনী এদের অলক্তরাগরক্ত চরণধ্বণিতে বেজে উঠেছে, কেউ কেউ শুনতে পায়। আজ গ্রাম্য সমাজের পুঞ্জীকৃত অন্ধকারে এইসব সাহসিকা তরুণীর দল অপাঙক্তেয়--প্রত্যেক চন্ডীমন্ডপে গ্রাম্য বৃদ্ধদের মধ্যে ওদের বিরুদ্ধে ঘোঁট চলচে, জটলা চলচে, কিন্তু ওরাই আবাহন করে আনচে সেই অনাগত দিনটিকে।”
Bibhutibhushan Bandyopadhyay, ইছামতী
“দুঃখকে বাদ দিয়ে জগতে সুখ নেই- প্রকৃত সুখের অবস্থা গভীর দুঃখের পরে... দুঃখের পূর্বের সুখ অগভীর, তরল, খেলো হয়ে পড়ে। দুঃখের পরে যে সুখ - তার নির্মল ধারায় আত্মার স্নানযাত্রা নিষ্পন্ন হয়, জীবনের প্রকৃত আস্বাদ মিলিয়ে দেয়। জীবনকে যারা দুঃখময় বলেছে, তারা জীবনের কিছুই জানেনা, জগৎটাকে দুঃখের মনে করা নাস্তিকতা। জগত হলো সেই আনন্দময়ের বিলাস-বিভূতি। তবে দেখার মত মন ও চোখ দরকার।”
Bibhutibhushan Bandyopadhyay, ইছামতী
“কত লোকের চিতায় ইছামতীর জল ধুয়ে নিয়ে গেল সাগরের দিকে, জোয়ারে যায় আবার ভাঁটায় উজিয়ে আসে, এমনই বারবার করতে করতে মিশে গেল দূর সাগরের নীল জলের বুকে। যে কত আশা করে কলাবাগান করেছিল উত্তর মাঠে, দোয়াড়ি পেতেছিল বাঁশের কঞ্চি চিরে বুনো ঘোলডুবরির বাঁকে, আজ হয়তো তাঁর দেহের অস্থি রোদ-বৃষ্টিতে সাদা হয়ে পড়ে রইল ইছামতীর ডাঙ্গায়। কত তরুণী সুন্দরি বধূর পায়ের চিহ্ন পরে নদী দুধারে, ঘাটের পথে, আবার কত প্রৌঢ় বৃদ্ধার পায়ের দাগ মিলিয়ে যায়... গ্রামে গ্রামে মঙ্গলশঙ্খের আনন্দধ্বনি বেজে ওঠে বিয়েতে, অন্নপ্রাশনে, উপনয়নে দুর্গাপূজোয়, লক্ষ্মীপুজোয়... সেসব বধূদের পায়ের আলতা ধুয়ে যায় কালে কালে, ধূপের ধোঁয়া ক্ষীণ হয়ে আসে... মৃত্যুকে কে চিনতে পারে, গরীয়সী মত্যমাতাকে?”
Bibhutibhushan Bandyopadhyay, ইছামতী
“অল্প বুদ্ধি লোক আগে বিরাটকে বুঝতে চেষ্টা করে না, আগে থেকেই সেই অনন্তের সঙ্গে একটা সম্বন্ধ পাঠিয়ে বসে থাকে। অসীমের ধারণা না হোক, সেই বড় কল্পনাও তো একটা রস। রস উপলব্ধি করতে জানে না - আগেই ব্যগ্র হয়ে সেই অসীমকে সীমার গন্ডিতে টেনে এনে তাঁকে ক্ষুদ্র করতে”
Bibhutibhushan Bandyopadhyay, ইছামতী
“সমাজ সমাজ করে গেল এ মহা-মূর্খের দল।”
Bibhutibhushan Bandyopadhyay, ইছামতী
“ছেলে অবাক হয়ে বাপের মুখের দিকে তাকায়। কি সুন্দর, নিষ্পাপ অকলঙ্ক মুখ ওর। চাঁদে কলঙ্ক আছে কিন্তু খোকার মুখে কলঙ্কের ভাঁজও নেই।”
Bibhutibhushan Bandyopadhyay, ইছামতী
“নানা প্রকার অজ্ঞানতায় ও মূঢ়তায় নিজেকে ডুবিয়ে রেখেও অজ্ঞানী ব্যাক্তি ভাবে, আমি বেশ আছি, আমি কৃতার্থ!”
Bibhutibhushan Bandyopadhyay, ইছামতী
“পরের বাড়ি যেতে হবে যে। না হয় আর এক বছর। তারা খাঁটিয়ে নেবে তবে খেতে দেবে। বসে খেতে দেবে না। চকি ঘুম এলি তারা শোনবে না।”
Bibhutibhushan Bandyopadhyay, ইছামতী