অভিজিৎ > অভিজিৎ's Quotes

Showing 1-9 of 9
sort by

  • #1
    অভিজিৎ রায়
    “প্রায়শই ধর্মবাদীরা ধর্মগ্রন্থের একটি নির্দিষ্ট আয়াত বা শ্লোকের মধ্যে আধুনিক বিজ্ঞান খুঁজে পান। ...একমত। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ধর্মগ্রন্থে ‘আধুনিক বিজ্ঞানের’ সন্ধান পাওয়া যায়, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলো প্রকাশ পাওয়ার পর, তার আগে নয়। কারণ বিজ্ঞানের দায় পড়ে নি ধর্মগ্রন্থ থেকে দীক্ষা নিয়ে আলোর সন্ধান লাভ করতে, বরং ধর্মগুলোই জেনে গেছে, বিজ্ঞান ছাড়া তারা টিকে থাকতে পারবে না।' (অবিশ্বাসের দর্শন)”
    অভিজিৎ রায়, অবিশ্বাসের দর্শন

  • #2
    অভিজিৎ রায়
    “ধর্মীয় বিশ্বাসগুলোর ডিএনএ কিংবা প্রোটিনের মতো কোন ভৌত রূপ হয়তো নেই, কিন্তু অন্য সকল ক্ষেত্রে এটা প্রকৃত ভাইরাসের মতোই কাজ করে।" (বিশ্বাসের ভাইরাস)”
    অভিজিৎ রায়, বিশ্বাসের ভাইরাস: বিশ্বাসের বিবর্তনীয় বিশ্লেষণ

  • #3
    অভিজিৎ রায়
    “ধর্মকে আসলে স্রেফ ভাইরাস হিসেবেই চিহ্নিত করা প্রয়োজন। ধর্মের সংক্রমণ, পুনরুৎপাদন এবং প্যারাসাইটিক বৈশিষ্ট্যগুলো কেবল ভাইরাসের মধ্যেই দেখা যায়। এমনকি ভাইরাসের চিকিৎসার ব্যাপারটিও ধর্মের সাথে অনেকটাই মেলে।

    (বিশ্বাসের ভাইরাস)”
    অভিজিৎ রায়, বিশ্বাসের ভাইরাস: বিশ্বাসের বিবর্তনীয় বিশ্লেষণ

  • #4
    অভিজিৎ রায়
    “বহু বিজ্ঞানীই আজ মনে করেন এক কারণ বিহীন কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের (Quantum Fluctuation) মধ্য দিয়ে এই মহাবিশ্বের উৎপত্তি হতে পারে, যা পরবর্তীকালে সৃষ্ট মহাবিশ্বকে স্ফীতির (Inflation) দিকে ঠেলে দিয়েছে, এবং আরও পরে পদার্থ আর কাঠামো তৈরির পথ সুগম করেছে । এগুলো কোনো কল্পকাহিনি নয়। মহাবিশ্ব যে শূন্য থেকে উৎপন্ন হতে পারে প্রথম এ ধারণাটি ব্যক্ত করেছিলেন এডওয়ার্ড ট্রিয়ন ১৯৭৩ সালে ‘নেচার’ নামক বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নালে । এরপর আশির দশকে স্ফীতি তত্ত্বের আবির্ভাবের পর থেকেই বহু বিজ্ঞানী প্রাথমিক কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশরে ধারণাকে স্ফীতি তত্ত্বের সাথে জুড়ে দিয়ে মডেল বা প্রতিরূপ নির্মাণ করেছেন। শূন্য থেকে এই মহাবিশ্ব উৎপত্তির ধারণা যদি অবৈজ্ঞানিক এবং ভ্রান্তই হতো, তবে সেগুলো প্রখ্যাত বৈজ্ঞানিক সাময়িকী (Scientific Journal) গুলোতে কখনোই প্রকাশিত হতো না। মূলত স্ফীতি তত্ত্বকে সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে, এবং প্রায় সবগুলোতেই এই তত্ত্ব অত্যন্ত সাফল্যের সাথে এ পর্যন্ত উত্তীর্ণ হয়েছে ।
    (অবিশ্বাসের দর্শন, শূন্য থেকে মহাবিশ্ব)”
    অভিজিৎ রায়, অবিশ্বাসের দর্শন

  • #5
    অভিজিৎ রায়
    “আমাকে আক্রমণ করা সহজ। আমি ফারাবীর মতোন পারভেজ আলমকে হত্যার হুমকি দেই না, থাবা বাবাকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখি না, হুমায়ুন আজাদকে মেরে রক্তাক্ত করি না, বুকে ওড়না না পড়ে মাথায় পরার জন্য কোন মেয়েকে শরিয়া মোতাবেক পাথর মারি না, বিমান নিয়ে টুইন টাওয়ারের উপর ঝাপায় পড়ি না, মসজিদ-মন্দির ভাঙাভাঙি করি না। বরং কেউ বিপদে পড়লে সাহায্যই করি যতটুকু পারি। কোন মুক্তচিন্তার ব্লগার আক্রান্ত হলে তাকে দেশের বাইরে কিভাবে পাঠানো যায় তা চিন্তা করি, দেশের এবং বাইরের মানবতাবাদী সংগঠনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই, এমনকি পাঠাগার গড়তে কারো সাহায্য লাগলে এগিয়েই যাই। আমি ‘সালাফি সেক্যুলার’ না হলে হবে কে! ফারাবী? নাকি আইসিস?

    ('সালাফি সেক্যুলার' ট্যাগ-এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে পারভেজ আলমকে উত্তর)”
    অভিজিৎ রায়

  • #6
    অভিজিৎ রায়
    “থাবা বাবাকে হত্যার পর আনসারুল্লাহটিমের বানানো যে ভিডিও ছাড়া হয়েছিল ইউটিউবে আর ফেসবুকে। বিভিন্ন সহি হাদিসসের ভিত্তিতেই ঐ হত্যাকে জায়েজ করা হয়েছিল ভিডিওতে। ভিডিওতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল, নবী মুহম্মদ যেভাবে কাব ইবনে আশরাফ, আসমা বিন্তে মারওয়ানের মত কবিদের হত্যা করেছিলেন ইসলামের আর নবীর বিষেদগার করার শাস্তি হিসেবে, ঠিক একই ভাবে থাবা বাবাকে মেরে ফেলাও জায়েজ হয়েছে। চিন্তা করে দেখুন প্রাচীন কালের অশিক্ষিত ধর্মাবতারদের বাণী বুকে করে যেভাবে থাবা বাবা হত্যায় মোটিভেটেড হয়েছে একটা অত্যাধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ কিছু ছাত্র – এ থেকে বোঝা যায় এই ‘ডেঞ্জারাস মিম’ কতটা শক্তিশালী। আবুরাফেকে হত্যার জন্য যেরকম ৫/৬ জনের সাহাবীদের দল গঠন করা হয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় থাবা বাবাকেও হত্যা করা হয়েছে, এবং তারা প্রকাশ্যেই বলে – যে কারণে ব্লগার রাজীবকে হত্যা করা ফরজ ছিল, এবং তার সব সহযোগীদের ও হত্যা করা ফরজ।

    (বিশ্বাসের ভাইরাস)”
    অভিজিৎ রায়, বিশ্বাসের ভাইরাস: বিশ্বাসের বিবর্তনীয় বিশ্লেষণ

  • #7
    অভিজিৎ রায়
    “এই বইটি লেখার প্রাক্কালে একটি গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের খোঁজ পেয়েছিলাম; রবার্ট রাইটসের লেখা ‘মরাল অ্যানিম্যাল’ । বইটিতে রাইটস বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে চার্লস ডারউইনের জীবনের নানা ঘটনাপ্রবাহকে ব্যাখ্যা করেছেন। ডারউইনের শৈশব এবং কৈশোর জীবন, এমার সাথে তাঁর প্রণয়, বিয়ে, মধুচন্দ্রিমা, স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ততা, সন্তানের জন্ম, সন্তানের প্রতি ভালবাসা, তাদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রভৃতি বহু কিছু বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের কাঠামোতে ফেলে বিশ্লেষণ করেছেন। আমি আশাবাদী হয়তো একদিন কোন সাহসী এবং বিজ্ঞানমনস্ক রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ কেবল ‘প্লেটোনিক প্রেম’ এবং ‘মাতৃস্নেহের খিদে’ দিয়ে বিশ্লেষণ সমাপ্ত করবেন না, বিশ্লেষণকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন আধুনিক বিজ্ঞানের বিবর্তনীয় যাত্রাপথে।”
    অভিজিৎ রায়, ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো: এক রবি-বিদেশিনীর খোঁজে

  • #8
    অভিজিৎ রায়
    “আমাদের মহাবিশ্ব যদি কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মধ্য দিয়ে স্থান-কালের শূন্যতার ভিতর দিয়ে আবির্ভূত হয়ে থাকে, তবে এই পুরো প্রক্রিয়াটি কিন্তু একাধিকবার ঘটতে পারে, এবং হয়ত বাস্তবে ঘটেছেও। এই একাধিক মহাবিশ্বের অস্তিত্বের ব্যাপারটি প্রাথমিকভাবে ট্রিয়ন আর পরবর্তীতে মূলতঃ আদ্রে লিন্ডে এবং আলেকজাণ্ডার ভিলেঙ্কিনের গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে। সৃষ্টির উষালগ্নে ইনফ্লেশনের মাধ্যমে সম্প্রসারিত বুদ্বুদ (Expanding Bubbles) থেকে আমাদের মহাবিশ্বের মতই অসংখ্য মহাবিশ্ব তৈরী হয়েছে, যেগুলো একটা অপরটা থেকে সংস্পর্শবিহীন অবস্থায় দূরে সরে গেছে। এ ধরনের অসংখ্য মহাবিশ্বের একটিতেই হয়ত আমরা অবস্থান করছি অন্য গুলোর অস্তিত্ব সম্বন্ধে একেবারেই জ্ঞাত না হয়ে।”
    অভিজিৎ রায়, শূন্য থেকে মহাবিশ্ব: উৎপত্তি ও অস্তিত্বের সাম্প্রতিকতম ধারণা

  • #9
    অভিজিৎ রায়
    “শূন্যতা আমাদের অস্তিত্বের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শূন্যতার মাধ্যমেই আমাদের অস্তিত্ব প্রকাশমান, হয়তো শূন্যতার মাঝেই আমরা সবাই হব বিলীন একদিন। আমাদের অস্তিত্বকে ঠিকমতো বুঝতে হলে শূন্যতাকে বোঝা ছাড়া আর কোনো রাস্তা খোলা নেই।”
    অভিজিৎ রায়, শূন্য থেকে মহাবিশ্ব: উৎপত্তি ও অস্তিত্বের সাম্প্রতিকতম ধারণা



Rss