গভীরে যাও (Dig Deeper)
(Now available online in India, only Rs 200)

My book of poems that I let go.
Written in my Mother Tongue, Bengali, this is a set of poems written over a few decades, whenever I was completely alone. They travelled with me through four residence moves and two country moves. Then I decided to let them go; with them, a part of my soul, that I never wanted to let go.
By publishing these in very old-style Bengali language, I’m trying to make sure that only veterans get to read the poems and get to understand them. By publishing them, I wanted to reach out to all those who cry themselves to sleep even today, afraid of letting go, and tell them, “You are not alone”.
(Please do not use Google translate. Google will destroy the ethos of the poems)
“বি এ পাশ মেয়ের বিরহের গান মানায়না”।
সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ ছায়াছবিতে উত্তমকুমার কোনো এক প্রসঙ্গে এই উক্তিটি করেন। সেটা মনে একটা খটকা ধরিয়েছিল।
তাই কি? সত্যিই কি শিক্ষাদীক্ষা, জ্ঞান-গম্মি, অর্থ-বিত্ত-মান-সম্মান থাকলে কেউ বিরহে কাতর হয়ে বালিশ ভেজায়না? রাতের পর রাত ছটফট করেনা? সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবেনা, “আজ একশো-পাঁচ দিন হল…”। আয়নায় নিজের দিকে তাকালে একটা নিথর মুখ চোখে পড়েনা?
এইমাত্র একজন বিশালদেহী, টেকো, মধ্যবয়সী আফ্রিকান ভদ্রলোক মুখে মাস্ক পড়ে আমার সামনে দিয়ে হেঁটে ‘স্টারবাক্স’-এ ঢুকল। আমি কানাডায়, আমার বাড়ির সামনের একটা ‘স্টারবাক্স’এর প্যাটিওতে বসে লিখছি। ওনাকে দেখেই আমার মনে হল, “ইনিও নিশ্চই কোনোদিন বিরহের গান গেয়েছিলেন?”
নাঃ ! ‘নায়কের’ ওই উক্তিটি খুবই ভুল। তথাকথিত পড়াশোনার সাথে হৃদয়ের কোনো সম্পর্কই নেই। যদিও অদ্ভুতভাবে দুটো স্থান আমাদের মস্তিস্কের একই ভাগে — লিম্বিক জোন-এ। অত্যাশ্চর্যভাবে, মানুষ যতটাই বিরহে কাতর হয়ে বালিশ ভেজায়, তার ব্রেনে ততটাই গাঢ়ভাবে বিদ্যমান করে তার পথ চলার প্রেরণা। এক কথায়, মানুষের মস্তিষ্কের একই স্থানে ব্যাতিত করে তার ব্যাথা দেওয়ার ক্ষমতা, এবং সেই স্থানেই বিরাজমান সেই ব্যাথার ওষুধ। গবেষনায় দেখা যায় যে যে যত বেশী বিরহের গান করে, সে তত তাড়াতাড়ি সেই চোট সামলে উঠতে পারে। মোটকথা, বিরহে যে যত বেশী কাতর, সে ততই ঝড়ের বেগে জীবনে উন্নতি করতে পারে।
আমার এই কবিতার সংকলন সেই কোন এক যুগের এক বিরহের কাহিনী। সেই বিরহকে জয় করার কাহিনী। এখানে-সেখানে ছড়ানো সেই কবিতার মলিন পৃষ্ঠাগুলো দেখি আমার মুখাপেক্ষী হয়ে তাকিয়ে আছে বছরের পর বছর ধরে। তিন বার বাড়ি বদল, দেশ বদলের সময়ে স্যুটকেসের কোনো এক কোণায় কবিতাগুলো ভরে নিয়ে চলেছি। ফেলতে পারিনি কোনদিনই সেই হৃদয়াঘাতের ১৯৮৬-র রব। যত্তসব!
তাই আজ ভাবলাম, রেখে আর কি হবে? এমন বালিশ-ভেজানো ক্রন্দন তো আমার একার নয়। এ তো সকলের। সব বোকাদের। বিলিয়ে দি বরং! আমাদের সময় প্রেম ছিল লুকোনো, অন্তরে, মনের আড়ালে, অস্পষ্টতায়, অহংবোধের বেড়াজালে। অপেক্ষায়, অশ্রুতে ভেজা। তাই আমাদের আশির দশকের অনভিজ্ঞ মন, আর আজকের যুগের ইন্টারনেটের সপাট চাবুকের প্রশিক্ষায় গড়া অভিজ্ঞ মনের মধ্যে হয়তো অনেক ফারাক। মন অনেক পরিপক্ক, অনেক প্রস্তুত। তথাপি, প্রকাশের ভাষা আলাদা হলেও, কয়েক প্রজন্ম টপকিয়ে এ বেদনা তো সবার। কোপ তো সকল সরল মনে একই ভাবে পরে। জর্জড়িত করে। যেন গভীর খাদে পদস্খলন হয়। সেই খাদ থেকে কাদা মেখে, রক্ত গায়ে উঠে দাঁড়াতে হয়। অনেক রাত অনিদ্রায়, অনেক দিন গুনে গুনে, ধীর পায়ে আবার সেই খাদের চূড়ায় উঠতে হয়। এ কাল্পপ্নিক নয়। এ কালের নিয়ম। সকলেরই জীবনে হয়। সকলে গাথা রচনা করে না। ভুলে যায়। বা কালের স্রোতে সে সব কথা হারিয়ে যায়। আজকে আমিও অনেক বদলে গেছি। আজ আর ষাট দশকের সাদা-কালো উত্তম-সুচিত্রার প্রেম প্রভাবিত করেনা। এইসব ভেবে কবিতাগুলো যেভাবে আছে, ঠিক সেভাবেই তন্ময়ী আর সুদিপ্তর হাতে তুলে দিলাম।
এই কবিতাগুলো ১৯৮৬ থেকে রচনা। পড়লে মনে হতে পারে, আরে এ তো বিদ্যাপতির যুগের কবিতা! আসলে আমাদের সময় এতো বাংলা কবির সংস্পর্শে আসা হয়নি। রবীন্দ্রনাথ, বিভূতিভূষণ আর শরৎচন্দ্রের বাইরে যেতেই পারিনি। তাই কবিতাগুলোতে সেই আস্বাদেরই পুর্ণ ছাপ।
এই বইটির মুক্তি পাওয়ার জন্য লিমেরিক লাভার্স পাবলিশার্স’ কাছে আমি ঋণি। ওদের অনুপ্রেরনায় আর পথনির্দেশে আমার মলিন হয়ে যাওয়া কবিতাগুলো আজ প্রাণ পেল। সরলতার অশ্রুতে স্নান করে আমার পাঠকেরা যেন আবার নির্মল, সতেজ হয়ে উঠতে পারে, এই কামনা করি।
Get the book of poems here: গভীরে যাও


