রিভিউ আর রেটিং

রেটিং দেবার সময় অনেক রিভিউয়ার শুরু করেন সেই ফার্স্ট সেমিস্টারে পরিচিত হওয়া শিক্ষকদের মতো আচরণ। একটা নাম্বার দিলে যেন কিডনি খুলে দিতে হবে তাকে। কারণ হিসেবে তারা বলে থাকেন, “যে বই অসাধারণ এবং মাইন্ড ব্লোইং, তাকেই দেব ৫। অনেকদিন মনে থাকার মতো বই হলে ৪। ভালো, তবে এমন কোন স্মরণীয় কাজ না হলে দেব ৩।”

আমি এমন রেটিং করি না। আমার রেটিং আরও সহজ, তবে আমার চোখে আরও বেশি যৌক্তিক।

৫ দেব তাকে যা আমার মনে থাকবে। মানে, আগামিকালই ভুলে যাবো না। ৪ পাবে, যদি প্রায় মনে রাখার মতই একটা কাজ হয়, তবে অল্পের জন্য পারেনি। ৩ পাবে সেসব বই, যা পড়ে আমার বিরক্ত লাগেনি একটুও, তবে একেবারে সাদামাটা সব। এর থেকে কম কিছু হলেই ২। আর যা পড়ে ১০ পাতায় যাওয়া কঠিন তা পাবে এক। তবে বাজে লেখার (বর্ণনাভঙ্গি) বই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধারণ করলে সেটা ২ বা ৩ পেতে পারে।

যদি আমি এখন আমার পড়া শ্রেষ্ঠ বইকে ৫ দেই, যেমন ধরুন অল কোয়াইট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট, তাহলে তো রবীন্দ্রনাথের অর্ধেক বইকে আমার দিতে হবে ১। তবে বাকি বইদের কী দেব? মাইনাস?

এজন্য রেটিং দেবার সময় অতো বাড়াবাড়িরকমের কড়াকড়ি আমার কাছে কিছুটা অযৌক্তিক মনে হয়। আপনি অতো ফেয়ার থাকতে কখনোই পারবেন না। তাহলে অধিকাংশ ক্লাসিককেও ১ দিতে হবে আর সাধারণ বইদের দিতে হবে নেগেটিভ টেন। মাত্র ৫ রেটিংয়ের মধ্যে এত ভ্যারিয়েশন আনা সম্ভব নয়। কাজেই ৫ পাওয়ার জন্য সবটা খুলে-টুলে দিতে হবে এমন ধারণা আমি এনডোর্স করি না। কাজটা আগা থেকে গোড়া ঠিকমতো করা হয়েছে মনে হলেই ৫ দেব, কারণ সেক্ষেত্রে এটা আমার মনে রাখার মতো স্টোরি-ই হবে নিশ্চয়।
11 likes ·   •  0 comments  •  flag
Share on Twitter
Published on February 25, 2023 18:14 Tags: র-ট
No comments have been added yet.