Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
মিসির আলীর মত বাস্তব যুক্তিবাদী মানুষ, সম্পুর্ণভাবে পরাবাস্তবতার জগতে ঢুকে যায় এ উপন্যাসে। যতক্ষণ পড়েছিলাম, ততক্ষণ বেশ ভালো লাগলেও উপন্যাস শেষে এক রাশ জিজ্ঞাসা, মাথার ভিতর উকি দিয়ে গেছে। যা হয়তো কখনোই আর আমাদের জানা হবে না।
মিসির আলীর পেশেন্ট হয় ৯ বছরের তিন্নি। তিন্নি অন্য সাধারণ বাচ্চা থেকে ভিন্ন। যাকে চিকিৎসা করতে গিয়ে মিসির আলীকে গলদঘর্ম হয়ে যেতে হয়। মিসির আলী মনোবিজ্ঞানের বই বাদ দিয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান পড়া শুরু করেন। একটি ছোট বাচ্চা তার কী এমন কী সমস্যা থাকতে পারে, যার জন্য বাড়ির সবাই আতঙ্কে থাকে, কিন্তু কেন এমনটা হয়? মিসির আলী কি পারবেন এ রহস্যের সমাধান করতে? পাঠপ্রতিক্রিয়া: হুমায়ুনের অকাল প্রয়াণ বাস্তবিকভাবেই মিসির আলীর ও মৃত্যু ঘটিয়েছে। তবুও হিমু-রুপার মিলন হবে কি না এই প্রশ্নের তুলনায় এই উপন্যাসে উল্লেখিত মিসির আলী পুত্রের কী হত, এই প্রশ্নটাই আমাকে আলোড়িত করে বেশি।
এক ছাত্রবন্ধু (মানে একদা আমার ছাত্র, আর সে দশা কাটার পর থেকে আমার বন্ধু)-র মুখেই কথাটা প্রথম শুনি: “ভূত নেই, কিন্তু পড়ে খুব ভয় করবে, এমন গল্প খুঁজছ? তুমি মিসির আলি সিরিজ পড়ো|” কথাটার ১০০% সত্যতা টের পেয়েছিলাম “দেবী” পড়তে গিয়ে| তারপর, “নিশীথিনী” পড়ে একটু আশাহত হয়েছিলাম, আর “নিষাদ” পড়ে মনটা এক অদ্ভূত ব্যথায় ভরে গেছিল| কিন্তু আজ, “অন্যভুবন” পড়ে আমি আবার ভয় পেলাম| বা, আরও সঠিকভাবে লিখলে, একটা অজানা আশঙ্কায় মনটা ভরে গেল| আমাদের এই রোজকার রুটিনে বাঁধা ক্লান্তিকর আর সংস্কার-জর্জরিত জীবনের আড়ালে কি তাহলে চলছে অন্য কোন পুতুলখেলা, যাতে আমরা পুতুল, আর সুতো ধরে রয়েছে আমাদের বুদ্ধির অগম্য কোন শক্তি? কতদিন চলবে এই খেলা? আর আমাদের জন্যে কোন ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে আছে সেই খেলার শেষে? এইসব প্রশ্ন কিন্তু বাজারি সায়েন্স-ফিকশন বা ফ্যান্টাসি পড়লে আদৌ মাথায় আসে না| কিন্তু সহজ মানুষের জীবনে যখন দানা বাঁধে এমন রহস্য যা একই সঙ্গে ভাবায় আর অসহায় করে তোলে, তখন গল্প আর নিছক কল্পনা থাকে না, তা হয়ে যায় আমাদের জীবনের প্রতিচ্ছবি|
হে হুমায়ূন, আপনার লেখা অতুলনীয়| আমি আজ অবধি এমন লেখা পড়িনি, আর কোথাও পড়তে পাব বলেও মনে হয়না|
ন'বছরের একটি ছোট্ট মেয়ে,তিন্নি।সে গাছেদের কথা বুঝতে পারে।আবার মানুষের মনের কথাও বুঝতে পারে।জন্মের সময় তার মা তার বাবাকে বলেছিলো,'আমার পেটের ভেতর একটি গাছ জন্ম নিচ্ছে!' প্রশ্ন হলো,তিন্নি আসলে কি?মানুষ নাকি গাছ?নাকি দুটির সংমিশ্রণে কিছু একটা?উত্তর খুঁজতে হবে মিসির আলিকে।
অসাধারণ একটি প্লট।হুমায়ূন আহমেদের বর্ণনায় যা হয়ে উঠেছে আরও দুর্দান্ত।কিছুটা সায়েন্স ফিকশন,কিছুটা রহস্য - সব মিলিয়ে খুবই উপভোগ্য।
এক তারা কম দিলাম গল্পের লজিক্যাল ব্যাখ্যা না থাকার কারণে।হুমায়ূন আহমেদ ব্যক্তিগতভাবে রহস্য পছন্দ করতেন।তার প্রতিফলন মিসির আলির বইয়ে পাই।মিসির আলি যুক্তিবাদী মানুষ হলেও তিনি বারবার রহস্যের কাছে পরাস্ত হচ্ছেন ব্যাপারটা ভাল্লাগে না।
tf ,not again. 😑😑😑 I was hoping it would be a DRYAD story. Then Sci-fi/Fantasy মিলিয়ে , পূর্বের গল্পগুলোর মতো Incomplete করে রেখে দিল। Misir&Nilu= Milu 😂 LMAO
বই এর পৃষ্ঠা তো শেষ হয়ে গেল কিন্তু গল্প তো শেষ হলো না। সাধারনত হুমায়ূন স্যারের ৯০% গল্পই আমি পড়ার ২-৩ মাসের ভিতরে ভুলে যাই, এমনকি পড়ার পড়েও মনে থাকে না বইটা পড়া। আবার বেশ কিছু বই আছে যার দাড়ি কমা মুখস্ত না হলেও বার বার পড়তে ইচ্ছা করে। ডায়লোগ মুখস্ত হয়ে গেলেও পড়তে ইচ্ছা করে। অন্যভুবন পুরোটা না হলেও অনেকটা সেইরকম একটা গল্প। এইবার পড়ার আগে ভেবেছিলাম হয়তো এবার আর আগের মত "শেষ হইয়াও হইল না শেষ" মনে হবে না। কিন্তু অন্যান্য অসমাপ্ত বই এ নিজের মত যুক্তি তর্ক দিয়ে একভাবে সমাপ্ত করি কিন্তু অন্যভুবন এর বেলাই আমি বরাবরের মতোই ব্যর্থ! তবে সফল হওয়ার মাঝে তৃপ্তি হতো? নাকি বার বার ব্যর্থতা থেকে তৃপ্তি পাই বলে ফিরে আসি?
১. যে রহস্যের অবতারণা করা হলো বইতে তার কিনারা বা বৈজ্ঞানিক কোন ব্যাখ্যা পেলাম না; কিছু অনুমান আর অধিকাংশ অন্ধকার রেখেই শেষ করে ফেলা হলো। একটি কল্পবিজ্ঞানে শুধু কিছু অনুমান আর বাকিটুকু ভাসা ভাসা ধারণা দিয়ে রহস্যের গ্রন্থিমোচন করার ব্যাপারটা মেনে নেওয়া কষ্ট।
২. তবে এই বইটি কল্পবিজ্ঞান হওয়ার যোগ্যতা তখনই হারিয়েছে যখন টেলিপ্যাথিকে এতে রীতিমত সমর্থন করা হয়েছে। টেলিপ্যাথি অবশ্যই একটি অপবিজ্ঞান; আর কোন কল্পবিজ্ঞানে অপবিজ্ঞানের কোন জায়গা থাকার কথাই না।
বইটিকে কল্পবিজ্ঞান না, একটি রহস্য উপন্যাস হিশেবেই পড়তে হবে। আর এভাবে পড়তে পারলে বেশ রোমাঞ্চকর কিছু সময় কাটবে, এটা নিশ্চিত।
রহস্যটা জমলো না, যুক্তিহীন মনে হলো। মিসির আলী বরাবর চেষ্টা করেন যুক্তিনির্ভর সমাধানে যেতে। এইবারে এখানে গাছ এবং মানুষের মাঝে সম্পর্ক তৈরিতে তিনি যে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা নিয়ে আমার যথেষ্ট দ্বিধা আছে। যদি ধরেও নেই এই ব্যাখা সত্য,তাহলে আরেকটা বিষয় মনের মধ্যে একটা খটকা রেখে দেয়। সেটা হলো টেলিপ্যাথির মাধ্যমে কথোপকথন এর বিষয়টা। এটা মানা গেলো না। আমার কেনো যেনো মনে হয়েছে, টেলিপ্যাথির বিষয়টা অতিরঞ্জিত ভাবে বার বার না আসলে, আমি গল্পটাকে মেনে নিতাম।
নয় বছর বয়সী একটি মেয়ে, যে অতিপ্রাকৃত হিসেবে বেশ চমৎকার উপন্যাস। তবে মিসির আলী সিরিজের সাথে একে আসলে খাপে খাপ বলে মেলানো গেলো না।
বরাবরের মতো, এখানেও স্বপ্নের ব্যবহার ছিলো। তবে এবারের স্বপ্নকে দেয়া হয়েছে অন্যমাত্রা। "নিষাদ" এ এতো সুন্দরভাবে স্বপ্নকে ব্যবহার করা হয়েছে যে, আমার সন্দেহ আছে এতো বৈজ্ঞানিক ভাবে, অতিপ্রাকৃতের মিশেলে আর কোনো উপন্যাস আমাদের সাহিত্যে আছে কিনা। এই জায়গায় "অন্যভুবন" আমাকে হতাশ করেছে।
নীলুর অংশটা পুরোই অপ্রয়োজনীয় ছিলো। প্রথমে সাবপ্লট ভেবেছিলাম কিন্তু একে মেইন প্লটের অংশ বানিয়ে রহস্যটা এলোমেলো করে দিলেন। নাহ, এই উপন্যাসটা হতাশ করলো।
অন্যভুবন হুমায়ূন আহমেদ বরকত উল্লাহ সাহেবের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী একদিন রাতে হঠাৎ বললেন, আমার মধ্যে যে বাচ্চাটি বেড়ে উঠছে সে আসলে মানুষ নয়, সে আসলে গাছ। মেয়েটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার কিছুদিন পর মা মারা গেল। মেয়েটির নাম তিন্নি। কিন্তু মেয়েটির বয়স ৬ হওয়ার পরও মেয়েটি কথা বলতে শিখল না। ডাক্তাররা পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে বললেন মেয়েটির কোন সমস্যা নেই। হঠাৎ একদিন মেয়েটি তার বাবাকে ঘুম থেকে তুলে বলল, ‘বাবা, এই বিকেলে ঘুমাচ্ছ কেন?’
তাছাড়া তিন্নি যেকোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। অন্যদের মাথায় অসহনীয় ব্যাথা তৈরি করতে পারে। দিনে দিনে তার অস্বাভাবিকতা ক্রমশ বাড়ছিল। সে ছাদে উঠে সারাদিন বসে থাকত। এবং যেদিন খুব ভালো রোদ উঠত সেদিন তিন্নি কোন কিচ্ছু খেতে চাইত না। প্রায়শই সে তাদের বাড়ির বাগানে একা একা হাঁটে। তিন্নি ছবি আঁকতে পছন্দ করে। তার সকল ছবিই গাছের। সেই গাছগুলো আবার আমাদের দৃশ্যমান জগতের গাছের মতো না। সেই গাছের রঙ লাল-হলুদ। সেই গাছে পাতা নেই। গাছের ডাল লতানো। সেই লতাগুলো যেন আকাশ ছুয়েছে।
বেশ কিছুদিন পরের কথা, মিসির আলীর স্ত্রী নিলু একদিন বলল, আমাদের সন্তান মানুষ নয়, সে একটা গাছ…
মিসির আলীর প্রথম তিনটা বইয়ের মতো এরও কোন সমাপ্তি নেই। বইয়ের পৃষ্ঠাসংখ্যা ৫০ এর মতো। কিন্তু এই বই পাঠক পড়ে শেষ করতে পারবে না। বই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু পাঠক রয়ে যাবে অসংখ্য স্বিধার সমুদ্রে।
মিসির আলি সিরিজের চতুর্থ বই 'অন্যভুবন'। বইটির গল্প মানুষের টেলিপ্যাথিক ক্ষমতাকে উপজীব্য করে গড়ে উঠেছে।
মিসির আলির কাছে একদিন এক লোক আসে। সাধারণত কোনো দরকার ছাড়া তাঁর কাছে কোনো লোক আসেনা। তাই যখন জানতে পারেন কেউ একজন তাঁর সাথে দেখা করতে এসেছে, তিনি বুঝতে পারেন কোনো প্রয়োজনেই এসেছে। কাজের মেয়ে রেবার নিকট লোকটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেও ভুল পর্যবেক্ষণের কারণে সঠিক তথ্য দিতে পারেনা। মিসির আলি দেখা করেন লোকটির সাথে। সেই লোকটি তাঁর সমস্যার সমাধানের জন্য মিসির আলিকে টাকা দিতে চান। তবে মিসির আলি জানান তিনি কোনো টাকা নেন না। তিনি এই বিষয়ে শখের বশেই কাজ করেন।
লোকটি তাঁর সমস্যার কথা খুলে বলেন। লোকটির বাড়ি ময়মনসিংহ এবং নাম বরকতউল্লাহ। তিনি একজন ব্যবসায়ী। স্ত্রী মারা গিয়েছেন অনেক আগেই। একটি মেয়ে আছে আট-নয় বছরের। তবে মেয়েটি স্বাভাবিক না। জন্মের পর সাধারণত একবছরের মধ্যে বাচ্চারা কথা বলতে শিখলেও তিন্নি নামের মেয়েটি কোনো কথা বলেনা। অনেক ডাক্তার দেখানো হলেও কোনো কাজ হয়নি। ডাক্তাররা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কোনো সমাধান পায়নি। হঠাৎ করে একদিন তিন্নি কথা বলা শুরু করে এবং এমনভাবে কথা বলে যেন সবকিছুই জানে। তিন্নি এমন সব প্রশ্নের উত্তর জানে যা তার জানার কথা না। মিসির আলি মেয়েটি সম্পর্কে আগ্রহী হন এবং বরকতউল্লাহর সাথেই ময়মনসিংহ চলে যান। সেখানে গিয়ে আশ্চর্য এক অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
মিসির আলি সিরিজের এই বইটার সমাপ্তি আমার মোটেই ভালো লাগেনি। হুট করে যেন লেখক ব্যাখ্যাহীন সমাপ্তি টেনেছেন। তিন্নি ও মিসির আলির দ্বৈরথ ভালো ছিল। হ্যাপি রিডিং।
ব্যস্ত সময় যাচ্ছে ভীষণ। বইপত্তর তেমন একটা পড়তে পারছি না, আর এদিকে মাথাটাও ধরসে ক্যামন। তাই ভাবলাম হালকা কিছু তুলে নেই হাতে। সেই হিসেবেই পড়ে ফেলা। বাট আমি ভুল ছিলাম! বইটা ওজনে হালকা হলেও হালকা নয় মোটেও।অস্তিত্ব অনস্তিত্ব নিয়ে বেশ একটা নাড়া দিয়ে যায়। হুমায়ূন আহমেদের এই ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগে আমার৷ অনেকেরই এন্ডিং নিয়ে সমস্যা থাকতে পারে, পছন্দ নাও হতে পারে কিন্তু আমার কাছে এন্ডিং ততটা গুরুত্বপূর্ণ নাহ৷ জার্নি টা-ই আসল। সো পড়তে চাইলে পড়তে পারেন। এটা নিয়ে পরে সময় করে বিস্তারিত লিখবো নে।
এ গল্পের কাহিনী ময়মনসিংহের ব্যবসায়ী বরকতউল্লার মাতৃহারা কন্যা তিন্নিকে নিয়ে।বয়স নয় বছর। সে অতি অদ্ভুত।সবার মনের কথা বুঝতে পারে,সবাইকে কষ্টও দিতে পারে,ক্ষুদা লাগে না তার।সে গাছেদের কথা বুঝতে পারে।অদ্ভুত গাছ আকে, লতানো, বেণী করা।সে এসবের কূল কিনারা বের করতে পারে না। এক সময় তিন্নিই মিসির আলিকে ঢাকা ফিরে যেতে বলে আর এও বলে যে তিনি এখানকার সব কথা ভুলে যাবেন।এর অনেকদিন পর তিন্নি মারা যায়,তার বাবাও। একদিন উকিল নোটিশ পাঠায় মিসির আলিকে যে বরকতউল্লাহ নামের এক ব্যবসায়ী তার নামে এক বিশাল বাড়ি আর কিছু টাকা দিয়ে গেছেন।মিসির আলি কিছুই বুঝতে পারেন না।এর মধ্যে নীলুর সাথে তার বিয়ে হয় এবং তিনি ঐ বাড়ি যান। নীলুর বাড়িটা বেশ পছন্দ হয় আর বছরের অর্ধেকটা সময় সে সেখানেই থেকে যায়।সেখানে এক অদ্ভুত গাছ আছে,তিন্নির চিত্রের মতো। নীলু সন্তান সম্ভবা হলে সে মিসির আলীকে বলে যে তার পেটে গাছ বড় হচ্ছে, এই বলে লজ্জা পেয়ে যায়!পুনশ্চ ঠিক এই কথাই তিন্নির মা বলতো তিন্নি পেটে থাকা কালীন সময়ে, আবার তিন্নির মা পেটে থাকাকালীন সময়ে তিন্নির নানী বলতো একথা। মিসির আলির ছেলেটা জন্মানোর পর হামাগুড়ি দেয়া শিখলে খালি ছাদে চলে যায়, রোদে বসে থাকে।এ কাজ করতো তিন্নি :)
কেমন এলোমেলো ধরণের লাগে এই গল্পটা আমার। কেমন খাপছাড়া। নিষাদ- এ মিসির আলিকে তার এক বন্ধু বলেন যে বিজ্ঞানের মানুষকে বিজ্ঞান নিয়ে থাকতে দিতে, আপাতত এটাই বলতে ইচ্ছা হচ্ছে। তিন্নির আর গাছের রহস্য তো শেষ করা হয়ই নি বরং, টেনে আনা হলো নীলুকে!? কেন?
ব্যাপারটা হতাশাজনক, কারণ, লেখক সাইফাই তো কম লিখেননি। বইটা কৌতূহল ঠিকই জাগায়, তবে মিটাতে পারে না।
আমি তোহ গাছ লতাপাতা যা আছে সবকিছুর সাথেই কথা বলি -_- যাই হোক, মিসির আলীর মতো এমন যুক্তিবাদী মানুষ এ উপন্যাসে তিন্নির রহস্যটাকে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারে নি। মানুষ আসলে গাছ হয় কি করে?!
এখানে চরিত্রের মূলে একটি মেয়ে থাকে। মেয়েটির একধরনের টেলিপ্যাথিক ক্ষমতা ছিলো। সে প্রায় প্রায়ই গাছের সাথে কথা বলতো, রাতবিরাতে ঝোপঝাড়ে গিয়ে অপেক্ষা করতো। মা মারা যাওয়ার তার বাবা বরকতুল্লাহ তাকে একাই বড় করতে থাকেন। জন্মের সময় তার মা বলেছিলেন " আমার এই মেয়েটা একটা গাছ"..... বাকিটুকু জানতে বইটা পড়ে আসতে পারেন। গল্পটা সুন্দর তবে আহামরি তেমন কিছুনা।
ভালো লাগছিলো। কিন্তু শেষটা ঐ একইরকম (হুমায়ূনীয় স্টাইল)। এমন এক জায়গায় এসে গল্প শেষ করে দিবেন যেখানে আপনার জানার আগ্রহটা তুঙ্গে থাকবে, মনে অনেক প্রশ্ন জাগবে। কিন্তু উত্তর পাবেন না😐
মিসির আলীর সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার, যুক্তি এবং পর্যবেষন ক্ষমতা বারবারই ভালো লাগে।
অন্যভুবন বুক মিভিউ মিসির আলী সিরিজের চতুর্থ পর্ব। আগের বইটি ছিল প্যারালাল ইউনিভার্সের উপর। আর এই বই অন্য ডাইমেনশনের, যে জগত বৃক্ষের। যদিও আগের মত রহস্য অনুদঘাটিত। আগে উনি হ্যালুসিনেশন, টেলিপ্যাথি, ইএমএস ইত্যাদি নানান তথ্য দিয়ে ব্যাখ্যা বিশ্লেষনের চেষ্টা করে আসলেও এই পর্বে তিনি প্রকৃতির রহস্যের কাছে উদার আত্মসমর্পন করেছেন। টেলিপ্যাথি ক্ষমতা আসলে লোভনীয় বিষয়। এই বইয়ে আপনি তা অনেক ক্ষেত্রে মিস করবেন। কে না চায় এই টেলিপ্যাথি। মোটামুটি তাকে বিশ্বের শক্তিধর ব্যাক্তিতে পরিনর করতে সক্ষম। দেখে ফেলা যায় মনের সত্য। অপরাধীরা কত সহজে পার পেয়ে যায়, অটোপসি রিপোর্ট পালটে হয়ে যায় সুইসাইড কেস। অথচ সবাই দেখে সবাই জানে-কিন্তু কাগজই আলাদা। এত অসহায়, এত অসহায়। হয় টাইম মেশিন দিয়ে সেই সময়ে যাও নাইলে টেলিপ্যাথি। তবে টেলিপ্যাথি মনের সৌন্দর্য টা মিস করে ফেলে। মানুষকে রহস্যকে ভয় পাবে, ভালোওবাসবে। কাউকে ভালোবাসি বলার পর সেই রহস্যময় হাসি, সেই চোখের চাহনি, বা ঘুরে চলে যাওয়া!!! বলেন টেলিপ্যাথি আগেই উত্তর দিলে সে আনন্দটা, সেই অপেক্ষার রোমাঞ্চটা কী পেতেন? মিসির আলীর বই ভাবায়, পর্যবেক্ষনে সম্মোহিত করে। নখ খুটা থেকে পরনের কাপড়। তাই মিসির আলী পড়ে পাত্র পাত্রী দেখতে যাওয়া বারন। কি থেকে কি বলে ফেললাম। আপনার মিসির সুন্দর হউক এই কামনায়।