রিটিন ঘুরে তাকাল, প্রায় তার বয়সী একটা মেয়ে তার কাধ স্পর্শ করেছে। মেয়েটির মুখ ভাবলেশহীন, অন্তত সে নিজে এরকম একটা ভাব দেখানোর চেষ্টা করছে। রিটিন অবশ্যি এই ভাবলেশহীন মুখের পিছনে খুব সূক্ষ্ম একধরনের উত্তেজনা লক্ষ করল। রিটিন মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করল, "তুমি কি আমাকে কিছু বলবে?"
Muhammed Zafar Iqbal (Bengali: মুহম্মদ জাফর ইকবাল) is one of the most famous Bangladeshi author of Science-Fiction and Children's Literature ever to grace the Bengali literary community since the country's independence in 1971. He is a professor of Computer Science & Engineering at Shahjalal University of Science and Technology (SUST). Before that, Iqbal worked as a research scientist in Bell Communication Research for six years until 1994.
Birth and Family Background: Iqbal was born on 23 December 1952 in Sylhet. His father, Foyzur Rahman Ahmed, was a police officer. In his childhood, he traveled various part of Bangladesh, because of his father's transferring job. Zafar Iqbal was encouraged by his father for writing at an early life. He wrote his first science fiction work at the age of seven. On 5 May 1971, during the liberation war of Bangladesh, the Pakistan's invading army captured his father and killed him brutally in the bank of a river.
Education: Iqbal passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1968 and HSC exam from Dhaka College in 1970. He earned his BSc in Physics from Dhaka University in 1976. In the same year Iqbal went to University of Washington to obtain his PhD and earned the degree in 1982.
Personal Life: Iqbal married Dr. Yasmeen Haque in 1978. Yasmeen is the Dean of the Life Science Department, Head of the Physics Department, Provost of the Shohid Janoni Jahanara Imam Hall and a researcher at SUST. They have two children - son Nabil and daughter Yeshim. Yeshim translated the book Amar Bondhu Rashed (Rashed, My Friend) written by her father. Iqbal's elder brother, Humayun Ahmed, was the most popular author and film-maker of Bangladesh since its independence. Humayun died after a nine-month struggle against colorectal cancer on the 19 July 2012. His younger brother, Ahsan Habib, is the editor of the satirical magazine, Unmad and one of the most reknowned cartoonist of Bangladesh.
Academic Career: After obtaining PhD degree, Iqbal worked as a post-doctoral researcher at California Institute of Technology (CalTech) from 1983 to 1988. He then joined Bell Communications Research (Bellcore), a separate corporation from the Bell Labs (now Telcordia Technologies), as a Research Scientist. He left the institute in 1994 and joined the faculty of the Department of CSE of SUST.
Literary career: Iqbal started writing stories from a very early age. Iqbal wrote his first short story at the age of seven. While studying in the Dhaka University Iqbal's story Copotronic Bhalobasa was published in a local magazine. But, a number of readers at that time felt that the story was based on a foreign story. To answer this allegation, he later rewrote the story and published the story in collection of stories named Copotronic Sukh Dukkho. Since then he is the most popular writer both in Bengali Science-Fiction and in Juvenile Leterature of the country.
Other Activities and Awards: Zafar Iqbal won the Bangla Academy Award, the highest award in literature in Bangladesh, in 2004. Iqbal also played a leading role in founding Bangladesh Mathematical Olympiad. In 2011 he won Rotary SEED Award for his contribution in field of education.
সাইন্স ফিকশন কী তা ছোটবেলা থেকে জাফর ইকবাল স্যারের কাছ থেকেই জেনেছি । স্যারের নতুন নতুন সাইন্স ফিকশনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকতাম পুরো বছর। অবশ্য স্যার কখনো হতাশ করতো না। প্রত্যেকটি সাইন্স ফিকশনই মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়তাম। নতুন কয়েকটা বাদে প্রায় সবই পড়া শেষ। রিটিন বইটা বেশ কিছুদিন ধরেই কাছে ছিল। অনেক দিন সাইন্স ফিকশন পড়া হয়না তাই শুরু করে দিলাম। হতাশ হয়নি কিন্তু সেই আগের মতো ফিল পেলাম না। অনেক প্রশ্নেরই উত্তর পেলাম না। প্রকৃতির বিষয়টা পুরোটাই ধোঁয়াশাতে থেকে গেল।
বইটির প্রধান চরিত্র রিটিন । তাদের এইখানে মানুষকে জেনেটিক উপায়ে ডিজাইন করা , একশো বছর আগে থেকেই নির্ধারিত করা কে কি করবে । কে লেখা পড়া করবে কে কি করবে সবকিছুই নির্ধারিত । রিটিন কে পড়ালেখার জন্য ডিজাইন করা হয় নি , কিন্তু সে পড়াশোনা করতে চায় । কিন্তু তার জন্য নির্ধারিত তাকে ক্যাটাগরি সি , অর্থাৎ তাকে শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এর জন্য ডিজাইন করা । কিন্তু সে লেখাপড়া করবেই ।এরপর এখান থেকে সেখানে, সেখান থেকে এখানে। ক্যাটাগরি এ এর বিরুদ্ধে প্লান। এবং ৫০০ বছর অতীতে গিয়ে তাদের তথ্যভান্ডার ধ্বংস করা ইত্যাদি ইত্যাদি। কিছুটা টার্মিনেটর মুভির মতো অতীতে গিয়ে ভবিষ্যৎের সমাধান করা। মাথা পুরো আউলা ঝাউলা।
রিয়েলি রিয়েলি ক্লোজ টু ফোর স্টারস। আমি খুব করে চাচ্ছিলাম আমি এই বইটাকে চার তারা দেই। কারণ- ১। কভার, ২। বইয়ের হাই কোয়ালিটি পৃষ্ঠা ৩। গল্প এবং চরিত্রগুলো।
আমার মনে হয় এটা গত কয়েক বছরে জাফর ইকবাল স্যারের লেখা ভাল সায়েন্স ফিকশনগুলোর একটা। কিন্তু সমস্যা একটাই যে আমি বড় হয়ে গেছি এবং আমি বড় হয়েছি তার লেখা এর থেকে জমজমাট সায়েন্স ফিকশন পড়ে। সুতরাং আমার এক্সপেক্টেশন এবং আমার ১৭ বছরের ভাইয়ের এক্সপেকটেশন ওনার কাছ থেকে একই না। এই বইটাকে আমার এভারেজ আর অনেক ভালোর মাঝামাঝি লাগলেও তার কাছে 'অনেক জোস' লেগেছে।
রিটিন চরিত্রটা আমার মনে হয় যাকে বলে স্টিল দা শো। প্রটাগোনিস্ট হলেই যে এমন হবে তা কিন্তু মোটেই সত্যি না। রিটিনকে ভাল লাগে বেশ। আর সময় পরিভ্রমণ জিনিসটা ভাবতে গেলে কিন্তু খুব জটিল। সবাই এ ব্যাপারটাকে কোন রকম খুঁত ছাড়া সহজে গল্পে ব্যাবহার করতে পারেনা। একটা লুপহোল থাকেই। সেদিক দিয়ে জাফর স্যার উত্রে গেছেন ভালভাবেই।তবে আমি জানিনা কেন প্রথম অংশের মাঝামাঝি জায়গাটা আমার কাছে একটু স্লো লেগেছে। আর আমি এই যে 'এ' ক্যাটাগরির সুপিরিয়র মানুষদের সম্পর্কে আরও একটু বেশি জানতে চাচ্ছিলাম যেটা অনুপস্থিত ছিল।
আমার ধারণা আমার মতো যারা স্যারের লেখা পড়ে বড় হয়েছে তাদের আসলে আগের সব কথা ভুলে একটা সম্পূর্ণ নিউট্রাল পয়েন্ট অফ ভিউ নিয়ে এখনকার লেখাগুলো পড়া উচিত। এটলিস্ট ওনার লেখার টার্গেট পাঠক যারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নাহলে হয়তো স্যারের ভাল লেখাগুলোও 'থোর বড়ি খাড়া খাড়া বড়ি থোর'ই লাগবে।
মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ধরেই আমার সায়েন্স ফিকশনের শুরু। আহ, কিযে আনন্দ পেতাম কিশোর বয়সের সেই লেখাগুলা পড়ে। কিন্তু উনার লেখার একটা প্যাটার্ন আছে, যেটা পড়তে পড়তে বুঝা যায় খুব ভাল করেই। সে হিসাব করলে উনার আগের লেখাগুলায় অনেক বৈচিত্র ছিল। বিশেষ করে ত্রিনিত্রি রাশিমালা, মহাকাশে মহাত্রাস আর নয় নয় শুন্য তিন তোহ আমার কাছে মাস্টারপিস। কিন্তু এখন আর কেন জানি আগের সেই বিচিত্রতা পাই না। কে জানে, হয়ত আমারই জিহবা লম্বা হয়ে গেছে। কিন্তু এই গল্পটায় মজা পেলাম নাহ। কেন জানি মনে হল লিখতে হয় দেখে লিখেছেন।
মুহাম্মদ জাফর ইকবালের বই পড়ার সময় এমনিতেই এখন কেমন জানি একটা মাইন্ডসেট চলে আসে, ঠকা খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে দেন হাতে নেই বই। এইবার এই বইটায় এমন সারপ্রাইজ পাবো তা ভাবিনি। বেশ সিম্পল কাহিনী, অনুমান ও করে ফেলা যায় এন্ডিং অনেক আগে থেকে, কিন্তু এক্সিকিউশনেই সার্থকতা উনার বইয়ের।
খালি একটাই আফসোস আমার। উনি প্রতিটা বইয়ে বেশ ভালো একটা ব্যাকড্রপ ক্রিয়েট করেন, তারপর হঠাৎ করে শেষ করে দেন বইটা। কি হয় স্যার, একটা ৫০০+ পেজের উপন্যাস লিখলে? ২০০ পেজের বইয়ে এতো সুন্দর সাই-ফাই ডাইস্টোপিয়ান পৃথিবী, তাদের সমাজ ব্যবস্থা, সামাজিক অসঙ্গতি, বিদ্রোহ - সব তুলে আনতে পারেন উনি, আরো ২০০-৩০০ পেজে ক্যারেক্টারগুলোকে কত সুন্দর করা যাইতো চিন্তা করসেন? এইযে এক বসায় শেষ করে ফেললাম বইটা, ওমন ৫০০+ পেজ হইলে তো এই ইউনিভার্সে কয়েকটা দিন কাটানো যাইতো। বইয়ের দাম অবশ্য তখন গ্যালাক্সি পার হয়ে যাইতো, সেটা আরেক চিন্তার বিষয়।
অনেকদিন পর মুহাম্মদ জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন পড়লাম। কাহিনী প্রথমদিকে কিছুটা উনার গতানুগতিক সায়েন্স ফিকশনের মতো হলেও শেষের দিকে এসে ভালো লেগেছে। দ্য বুক ডিজার্ভস দিস কাইন্ড অফ এন্ডিং। খুব করে চাচ্ছিলাম যে শেষটা এমনই হোক।
বই শুরু হয় রিটিন নামের এক যুবকের গল্প দিয়ে যে এমন এক পৃথিবীতে বাস করে যেখানে মানুষে মানুষে ক্যাটাগরির বিভাজন তৈরির মাধ্যমে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ পৃথিবীর প্রায় সব সাধারণ মানুষের জীবনকেই নিয়ন্ত্রণ করে। রিটিনের ক্যাটাগরি সি'র মানুষেরা চাইলেও পড়াশোনা, জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চায় অংশ নিতে পারে না। তাদের আজীবন ক্যাটাগরি এ'র দাসত্ব করেই কাটাতে হয়। কিন্তু সে চেয়েছিল তার গন্ডির বাইরে গিয়েও কিছু একটা করতে, আর সেটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। ঘটনাচক্রে সে একটি বিদ্রোহী দলের সাথে যুক্ত হয় যারা মানুষে মানুষে এই বিভাজন ভেঙে ফেলে সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। আর একাজের জন্য রিটিনকে বেছে নেওয়া হয়, পাঠানো হয় এক গোপন মিশনে। আর বাকিটা জানতে বইটি পড়ে ফেলুন।
বইয়ের ইলাস্ট্রেশন, কভার, পেজ কোয়ালিটি দারুণ ছিল।
"যে কষ্ট মানুষ সইতে পারে না, মানুষকে সেই কষ্ট কেন পেতে হয় আমি জানি না।"
গল্পের শুরুটা বরাবরের মতোই মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ধাঁচের। এবং সেটাই স্বাভাবিক। অতীতে পড়ে আসা গল্পগুলোর সঙ্গে পরিচিত আবহ এই গল্পে পাওয়া যাবে। কারণ লেখক একই। সুতরাং অবাক হবার কিছু নেই। গল্প অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জয়জাত্রা সূচক, এবং কোনও অর্থেই খারাপ নয়। যেটা খারাপ সেটা হচ্ছে পাঠক হিসাবে আমার বয়স কিছুটা বেড়েছে, এবং এই জাতীয় গল্প একাধিক পড়ে ফেলেছি ইতিমধ্যেই। তবে যদি আরও বছর দশেক আগে এই বই পড়তাম তাহলে নিঃসন্দেহে চমৎকার লাগত। তাই গল্পের মূল্যায়ন সেই ভিত্তিতেই করলাম। রেটিংও সেই কথা মাথায় রেখেই দিলাম। আমি বড় হয়ে গেছি এটা কোনও অর্থেই লেখকের দোষ নয়, আমারও দোষ নয়। তাই শুধু শুধু নির্দোষ বইটিকে শাস্তি দেবার কোনও মানে দেখি না।
রিটিন পড়ে ভাল লেগেছে। যেহেতু ফিকশন সেহেতু কিছু গোঁজামিল আছে, এবং প্রযুক্তিগত ভাবে কিছু কিছু বিষয় অসম্ভব। তবুও গল্প তার মানবিক আবেদন পূর্ণ করেছে, যথাসাধ্য।
সত্যি বলতে এবার বইমেলায় যাবার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমার ধারণা ছিলো না জাফর ইকবাল স্যার এর কি কি বই এসেছে মেলাতে। ঘুরতে ঘুরতেই বইটির উপর চোখ পড়ে গেলো। চমৎকার প্রচ্ছদ। ঝকঝকে প্রিন্ট। হাতে নিয়েই মন ভালো হয়ে যাবার মত ব্যাপার। প্রচ্ছদের জন্য রেটিং ৪ দিয়ে দেয়া যেতে পারে!
সময় পরিভ্রমনের উপর লেখা বইটিতে অ্যাডভেঞ্চারের কমতি ছিলো না। রিটিন চরিত্রটিকে আমার খুবই ভালো লেগেছে। সাজানো সুন্দর গল্প। জাফর স্যার এর বেশিরভাগ সাইন্স ফিকশনে দুষ্টের দমন শিষ্টের চালন টাইপ যে ব্যাপারটা থাকে এটিও তা ব্যতিক্রম নয়। শৈশব-কৈশোর কে একটু পেছনে ফেলে আসার কারণেই হয়তো অনেকদিন বইটির মুগ্ধতায় বুঁদ হয়ে থাকা হবে না তবে বইটি সুখ পাঠ্য ছিলো। হ্যাপী রিডিং! ^_^
লেখার মান তলানিতে এই উপন্যাসে, গুগল ট্রান্সলেট করলে যেমন বাংলা লেখা হয় অনেকটা তেমন বাংলায় লেখা এই উপন্যাস, আর প্লট দর্শন সব পুরনো কাসুন্দি নতুন বোতলে ভরেছেন জাস্ট লেখক, বই বের করতেই হবে এমন মনোভাব থেকে লিখেছিলেন বইটা বলে মনে হল।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের ক্রেনিয়াল কিংবা সেরিনা পড়ে যতটা হতাশ হয়েছিলাম, তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি মুগ্ধ রিটিন পড়ে। কারণ অনেক দিন পর স্যার এমন একটা সায়েন্স ফিকশন লিখলেন যেটাকে 'শিশুতোষ' করে তোলার জন্য অহেতুক প্রচেষ্টা করা হয়নি, বরং নতুনত্ব আছে। এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তিটা সময় পরিভ্রমণ। আমি পড়তে শুরু করার পর এ বিষয় নিয়ে কোনো সাইফাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল লেখেননি, এটা নিশ্চিত। মানুষের আবেগ-অনুভূতির দিকটা বরাবরের মতোই খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে...মানুষে মানুষে বিভাজন দূর করার বিপ্লবী চেতনাও কাহিনীর প্রধান অনুঘটকগুলোর একটি। রিটিনের সাথে তানুস্কার বিচ্ছেদের জায়গাটা কিছুটা পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছবি টাইপ, কিন্তু বুকের ভেতর হাহাকার সৃষ্টি করবে। বিজ্ঞানের বিষয়গুলো কতটা হার্ডকোর হয়েছে সেটা বোঝার ক্ষমতা আমার নেই। তবে '৫০০ বছরের ঘুম' জিনিসটা একটু খটকা লাগায় পুরো সময় পরিভ্রমণের ব্যাপারটা নিয়ে। যাকগে, ওসব নিয়ে বেশি বলে গল্পের মজা নষ্ট করে লাভ নেই। পাঁচতারা দেওয়াই যায়, কিন্তু দিলাম না কারণ কাহিনীর সমাপ্তি কীভাবে হবে সেটা আগে থেকেই কিছুটা আঁচ করা যায়। কিন্তু সমাপ্তিটা প্রায় নিখুঁত হয়েছে, বলতেই হবে। বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলংকরণ চমৎকার হয়েছে, মেহেদী হকের কোনো তুলনা নাই। বইয়ের ভেতরে আরও কিছু আঁকা থাকলে ভালো হতো। যাই হোক, রিটিন পড়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম! আমার আশঙ্কা ছিল স্যারের লেখার ধার হয়তো কমে যাচ্ছে নাহয় আমি বড় হয়ে যাচ্ছি খুব :p আশা করি স্যার আরো ভালো ভালো সায়েন্স ফিকশন উপহার দেবেন আমাদের। :)
স্যারের লেখার রেসিপি অনেকটা আগের মতই আছে। একজন নায়ক/নায়িকা থাকবে। সাথে সাহায্য করার মত কেউ একজন- যে থাকবে প্রেরণা। আস্তে আস্তে তারা অসম্ভব কোন একটা কিছুর একটা করার জন্য চেষ্টা চালাবে। সেটা হয়তো এস্টাবলিশমেন্ট/ বিভাজন প্রথা/ সমাজের শক্তিশালীদের বিরুদ্ধে - এইতো!!
মনে হয় বেশ বড় হয়ে গেছি,বয়স আর সেই কৈশোরে আটকে নাই যে টান টান উত্তেজনা নিয়ে পড়বো। কেমন যেন নির্বিকারচিত্তে শেষ করে ফেললাম।
স্যারের বৈজ্ঞানিক ধারণাগুলোর ভিত্তিগুলা এক্ষেত্রে কিছুটা নতুন। বিশেষত সময় পরিভ্রমণ নিয়ে। তা বাদে আদি মানবিক বোধগুলা, সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান, নিজেরটুকু বিসর্জন দিয়ে অন্যের জন্য করা- একইভাবে উপস্থিত।
মজার ব্যাপার হলো, বড় হলেও এখনো সেই টুকুনজিল, কাচসমুদ্র, দুঃস্বপ্নের দ্বিতীয় প্রহর, নয় নয় শূন্য তিনের মত উত্তেজনা নিয়ে স্যারের বইয়ের জন্য অপেক্ষা করি। হয়তো সামনেও করবো।
আমি কি আর ওইরকম কিছু পাব? স্যার আর লিখবেন না?
না কি আসলেই বয়স আর অনুভূতিজাত ক্ষেত্রে Point of no return এ চলে গেছি?
রিটিন হাসি মুখে বলল, "তোমাকে একটা কবিতা শোনাই, নয় আট আট এক আট তিন চার সাত নয় সাত সাত পাচ তিন পাচ--" . তানুস্কা হি হি করে হেসে বলল, "আমি তার শরীরের বিশেষ একটা অংশ সার্জারি করে বিশেষ অন্য একটা অংশে সেটাকে ঢুকিয়ে রাখারা কথা বলেছিলাম।" . রিটিন বলল, "খোলা মাঠে যখন সারি সারি টিউলিপ লাগানো হয়, তার মাঝে যখন একটা শিশু হেঁটে যায়। নেচে নেচে বলে আমি ফুলের সুবাস খাই আমি চাঁদের আলো খাই। আমি ফুলের রেণু মেখে স্নান করি, চাঁদের আলো খাই। কুয়াশার মাঝে ডুবে যাই-- মেঘের মাঝে ভেসে যাই--" তারপর রোবোট গুলো অচল হয়ে পড়ে রইল।
A very easy read and it is probably one of his best science fictions. The narration follows Ritin, a 23 years old, from future who is a type C human who plans a revolt against the type A humans who are the oppressors and the ruler of the future world. He, with the help of his fellow type C humans and a type A human scientist, who helps them to build the time capsule, prepares for time travel to the past to change their fate and destroy the hierarchy. Was he able to make the jump? Did he meet the girl he once loved? What happened to the future world where type A humans were the minority but clever enough to create a difference among humans?
You will find the answers in the end. I loved the ending and I think this is the only ending this book deserved. But I have one complaint, he could have stretched the story a bit, 250-300 pages of this could have been enough.
রিটিন নিচু গলায় বলল, "যে কষ্ট মানুষ সইতে পারেনা, সে কষ্ট মানুষকে কেন পেতে হয় আমি জানি না।" তারপর মুখে জোর করে একটু হাসি ফুটিয়ে বললো, "অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে তানুস্কা, তুমি এখন যাও, তোমাকে অনেকটা পথ যেতে হবে।"
Just about an average sci-fi novel. Nothing new or revolutionary. It might be fascinating for those who are venturing in the sci-fi genre for the first time.
কি পড়লাম কি বুঝলাম.. টের পাইলাম না অথচ বই শেষ হয়া গেল
কি পেটের ভিতর গুড়গুড় করছে? কাহিনী শোনার জন্য অকা সংক্ষেপে বলতেসি...
অনেক অনেক বছর পরের কথা.. পৃথিবীর কোন এক দেশে বাস করতো অতি সাধারণ একটা ছেলে। নাম রিটিন.. অনাথ অতি সাধারণ, ভালমানুষ গোছের জ্ঞানপিপাসু একটা ছেলে। কপাল মন্দ! বেচারা সি ক্যাটাগরির মানুষ।
এইবারে একদল মানুষ লাফিয়ে উঠবে! ইয়েস!! পাইসি... এইটা অমুক বই না? তমুক বইয়ের নায়ক এমন থাকে না
প্লিজ! একটু অফ থাকেন। শুনেন কাহিনী.. এইটুক পড়ে আমিও যথেষ্ট লাফাইসি। যা বলছিলাম... বেচারার জ্ঞান সাধনায় বাধা দেয় নিরাপত্তারক্ষী রোবটেরা। অপরাধ- সে ফাইজলামি করে একটা রোবটকে মেটাকোড দিয়ে অকেজো বানিয়ে ফেলে। আর ক্যাটাগরি এ'র মানুষদের মতো সে-ও পড়াশোনা করতে চায়!
এত বড় সাহস! লোয়ার লেভেলের মানুষ আপার লেভেলে উঠতে চায়! বিচারকরা বেচারাকে জেলে পাঠায় দেয়। যেহেতু নায়ক মানুষ, ফাঁসী টাঁসী হয়ে গেলে ঝামেলা.. আর তাই কাহিনী ঘটানোর পর সে ছাড়াও পেয়ে যায়
এবারে শুরু হয় আসল খেলা " গাহি সাম্যের গান.. মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান " এই মূলমন্ত্রে দিক্ষিত হয়ে টেররিস্ট দলে যোগ দেয় ( টেররিস্টরা হল যারা এই বিভাজন মুক্তির জন্য আন্দোলন করছে) তারপর নায়ক যায় তার মিশনে... যেই মিশন থেকে আগে বেঁচে ফিরে নাই কেউ!
কিন্তু নায়ক বলে কথা! মিশন শেষে সে বেশ বহাল তবিয়তেই বেঁচেবর্তে আছে।
ওয়েট! আমার চৌদ্দগুষ্টি তুলে গালাগাল দেয়ার আগে একটা কথা শুনে যান.. আমি কিন্তু কাহিনীর অর্ধেকে আছি। এরপর টুইস্টের পর টুইস্ট। সেইগুলা না হয় আপনারাই পড়ে নেন। মাথা চক্কর দিলে স্যার দায়ী
এই হইল আমার রিভিউ অথবা পাঠ প্রতিক্রিয়া অথবা প্রলাপ বহুদিন পর স্যারের কোন বই পড়ে অনেক মজা পাইসি। একটু অন্যরকম ফ্লেভার। যা বললাম সবই আমার ব্যক্তিগত মতামত। পাঠক টু পাঠক মতামত ভ্যারি করতেই পারে। তো আর কি... এই তো রিভ্যু লেখা শ্যাষ হইল।
বই : রিটিন লেখক : মুহাম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনী : তাম্রলিপি
অনেকদিন পর আবার টিপিক্যাল মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের সত্যিকার সায়েন্স ফিকশনের ফ্লেভার। যদিও আগের মত একটানে পড়ে শেষ করতে পারিনি। ৩ থেকে ৪ দিন লেগেছে পুরোটা শেষ করতে। বয়সের সাথেসাথে পুরোনো অভ্যাসগুলো নতুন মাত্রা পাচ্ছে। . গ্রানাইটের টেবিল, স্বচ্ছ কোয়ার্টজের জানালা, ট্রাকিওশান, মেটাকোড, উত্তেজক পানীয়, ভিডি টিউব, টাইম ক্যাপস্যুল, যবের রুটি এবং বনমোরগ (যদিও অন্যান্য সায়েন্স ফিকশানে যবের রুটির সাথে ঝলসানো তিতির পাখির মাংস থাকতো!!) মানুষের ক্যাটাগরি প্রায় সবই ছিলো এই গল্পে। . অন্য একটা জগৎ তৈরীর প্রয়াশ আগের মতই ভালো ছিল। জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ত্বত্ত্বের সাথে আরো কিছু বিস্তৃত প্লট তৈরী করা যেত, যেটা হয়তো চরিত্রগুলোকে আরো উন্নত করতো। . বইটা শেষ করে সন্তুষ্ট!!
স্যারের আরেকখানা ট্যিপিকাল সায়েন্স ফিকশান। গল্পের ভিত্তি হল পৃথিবীর মানুষদের এ, সি দুই ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ফেলে এক পক্ষকে অন্যরা শোষণ করছে। একই কনসেপ্ট নিয়ে স্যারেরই লেখা বই- "সুহানের স্বপ্ন", আমার কিশোরীকালের অন্যতম প্রিয়। মাঝের জায়গাটাতে টাইম ট্রাভেলসহ আরো অনেক কিছু হওয়ার পর একদম শেষদিকে একটা রোমান্টিক আবহ আনার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে বইয়ের রোমান্টিক সংলাপগুলো যত না রোমান্টিক তার থেকে অনেক বেশি কমেডি লেগেছে। আসলে একা স্যারের পক্ষে আর কত মৌলিক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লিখা সম্ভব! বইয়ের গ্রাফিক্স নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ।
এ পর্যন্ত জাফর ইকবাল স্যারের অনেক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পড়েছি। কিন্তু আগের গল্পগুলো যতটুকু চমকপ্রদ হত, সদ্যপ্রকাশিত গল্পগুলো সে হিসেবে খুবই সাধারণ, ঘুরে ফিরে মনে হয় আগের কোনো না কোনো গল্পের ধারাবাহিক। কাহিনীর মাঝপথেই অনুমান করা যায় সামনে কি হতে যাচ্ছে। আগের সেই চমকপ্রদ গল্পের মত নতুন গল্পের সন্ধানে আছি!
এই বইটা পড়ে আমি হতাশই হয়েছি । গল্পের কাহিনী আগে বলি । ভবিষ্যতের বিশ্বে সব মানুষের শরীরের একটা ট্রাকিওশান থাকবে । মূলত এটা হচ্ছে সেই মানুষটির যাবতীত তথ্য সম্বলিত একটা ডিভাইস যেটা তার শরীরের ভেতরে থাকে এবং এটার সাহায্য যে পৃথিবীর নানান কাজ করতে পারে । এটা অনেকটা আইডেন্টিটি কার্ডের মত । এটা শরীর থেকে বের হয়ে গেল সে দুনিয়া থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে । সে কোন কাজ করতে পারবে না । সেই পৃথিবীতে দুই শ্রেণীর মানুষ থাকবে । ক্যাটাগরি এ আর সি । এ ক্যাটাগরির মানুষদের বিশেষ ভাবে জন্ম দেওয়া । তাদের জেনেটিক কোড আগে থেকে সেট করে নিখুত ভাবে জন্ম দেওয়া হয় ! পড়ালেখা সুযোগ পায় সব ভাল ভাল চাকরি, সমাজের উচ্চ অবস্থান এদের জন্য । সি ক্যাটাগরির মানুষ এসবের সুযোগ নেই । তারা কেবল কাজ করে । রিটিন নামের ছেলেটা সি ক্যাটাগরির । তবে সে পড়ালেখা করতে চায় । সে একা একা অনেক কিছু শিখে নে্য । সে মেটাকোচ দিয়ে যে কোন রোবট কে অচল করে দিতে পারে । এমন ভাবে একটা রোবট কে অচল করে দেওয়ার জন্য তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় । তার মস্তিস্ক স্কেন করে দেখা হয় সে কোন অপরাধ করেছে কি না । কোন অপরাধ না পাওয়ার কারনে তাকে ছেড়ে দেওা হয় ! পরে সে বিপ্লবী দলের সাথে যুক্ত হয় । যেকোন ভাবেই হোক সমাজ থেকে এই শ্রেণী বৈষম্য দুর করতেই হবে । এটা করতে হলে ট্রাকিওশান সে তথ্য ভান্ডার আছে সেটা ধ্বংশ করতে হবে । সেটা ধ্বংশ করতে পারলেই সব বৈষম্য দুর হয়ে যাবে । কিন্তু সেই তথ্য ভান্ডার এমন একটা বিল্ডিংয়ে আছে যেটা কোন ভাবে ধ্বংশ করা সম্ভব না । এমন কি এই পৃথিবীটা ধ্বংশ হয়ে গেলেও সেটা ধ্বংশ হবে না এমন ভাবেই তৈরি করা হয়েছে । তাই ঠিক হয় রিটিনকে পাঠানো হবে অতীতে । অতীতে এমন একটা সময়ে গিয়ে সে হাজির হবে যখন এই ভবনটা তৈরি হয় । প্লান হচ্ছে সেই ভবনটা যেখানে তৈরি হবে ঠিক সেটার নিচে মাটির নিচে গিয়ে সে শীত নিদ্রায় চলে যাবে । তারপর একটা ভেতর থেকে উঠে ভেতর থেকে ধ্বংশ করে দিবে । অতীতে যখন সে ফিরে আসে তখন তার পরিচয় হয় তানুষ্কা নামের একটা মায়ের সাথে । তানুস্কার একটা চার বছরের ছেলে থাকে । তার স্বামী মারা গেছে আগে । রিটিন নীল রক্ষা করে এক দূর্ঘটনার হাত থেকে । এভাবেই তানুস্কার সাথে তার পরিচয় । তাদের বাসাতেই সে থাকতে শুরু করে । এবং একটা সময়ে ভবিষ্যৎ থেকে রিটিনকে হত্যা করতে রোবট পাঠনো হয় । সত্যিই কি শেষ পর্যন্ত রিটিন তার মিশনে সফল হয় ? নাকি তানুষ্কার সাথে নতুন জীবন শুরু করে ভবিষ্যতের সেই পৃথিবীর কথা ভুলে যায় !
এই গল্প আমাকে খুব বেশি আকর্ষিত করতে পারে নি । সায়েন্স ফিকশন হিসাবে এর কাহিনী খুবই কমন । বর্তমানের কোন থ্রেটকে অতীতে গিয়ে জন্মের আগেই ধ্বংশ করে দেওয়া দেওয���া যাতে সেটা আর নাই সৃষ্টি হতে পারে । গল্পে নতুন কিছু ছিল না আসলে । জাফর ইকবালের প্রায় প্রতিটা সায়েন্স ফিকশনে ভবিষ্যতের পৃথিবীর বিভিন্ন শ্রেনী কথা থাকে । এটা তার লেখার একটা কমন ব্যাপার। গল্পের একটা বিরাট ফাঁক রয়েছে । সে বিল্ডিং কোন নিউক্লিয়ার বোমা দিয়ে ধ্বংশ করা সম্ভব না কেউ তার ভেতর থেকে বের হতে পারে না কিংবা ঢুকতে পারে রিটিন সেই বিল্ডিংয়ের নিচের মাটিতে গর্ত করে একটা ক্যাপস্যুরে শুয়ে ছিল এবং পরে এক সময়ে মাটি খুড়ে বের হয়ে এল ? যে বিল্ডিংয়ের দেওয়াল নিউক্লিয়ার বোমা দিয়ে ভাঙ্গে না সেই বিল্ডিংয়ের মেঝে এতো সহজে কেটে বের হয়ে গেল ?
সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে মুহাম্মাদ জাফর ইকবালের লেখার মান কমতেই আছে । এটা আরও কমবে । এই বই না পড়াই ভাল ! সময় নষ্ট কেবল ।
This entire review has been hidden because of spoilers.
বিজ্ঞান, কল্পনা ও রিটিন ৮০’র দশকের শেষ কিংবা ৯০ দশকের মাঝামাঝি হবে। সঠিক খেয়াল নেই। প্রতিমাসে তখন ‘বিচিত্রা’র সংখ্যা রাখা হতো বাঙ্গালীর অনেকের ঘরে। অনেকেই পড়তেন সেই ম্যাগাজিন। বিশেষ করে ঘরের গৃহিনীরা সারাদিনের সংসারের কাজ শেষে অবসর সময়ে বসতেন বিচিত্রা নিয়ে। সেরকমই একটি বিচিত্রা সংখ্যায় একদিন প্রকাশিত হলো এক গল্প। নাম “কপোট্রনিক ভালোবাসা”! যেমন অদ্ভুত নাম, তেমনি অদ্ভুত তার বিষয়বস্তু। কি না কি এক রোবটের প্রেম কাহিনী। স্বাভাবিকভাবেই শুনতে বেশ হাস্যকর শোনাল। কিন্তু অবাক কান্ড! বাংলাদেশের তৎকালীন সেই মধ্যবিত্ত সমাজে হঠাৎ করেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠল সেই গল্প। সবার কাছে ভালো লেগেছে সেটা। ব্যাস! লেখক পেলেন উৎসাহ! পরপর কয়েকটি বিচিত্রা সংখ্যায় আরো বের হলো কয়েকটি গল্প! এভাবেই লেখক লিখতে লিখতে একদিন বিদেশে গেলেন পড়াশোনার খাতিরে। তখন অন্যদিকে এদেশে বের হলো তাঁর প্রথম গ্রন্থ “কপোট্রনিক সুখ দুঃখ”! জী হ্যাঁ! আমি কথা বলছি এই সময়ের জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল’কে নিয়ে! জাফর ইকবাল স্যার আমেরিকায় গিয়েও লেখা থামাননি। নিয়মিতই লিখে গেছেন ও যাচ্ছেন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী! স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে বাংলাদেশীয় সাহিত্যে প্রথম সফল বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বা সায়েন্স ফিকশন লেখেন হুমায়ুন আহমেদ (তোমাদের জন্য ভালোবাসা)! তবে বাংলা সায়েন্স ফিকশন যার হাত ধরে হাইপার স্পিডে ছুটে গেছে, তিনি হচ্ছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি তার প্রথম সায়েন্স ফিকশন গল্প 'কপোট্রনিক সুখ দুঃখ' লিখেছেন। রোবটিক মস্তিষ্ক 'কপোট্রন'-এর প্রবক্তা তিনি। যে কপোট্রন ফিকশনের দেয়াল টপকে স্থান পেয়েছে দেশের অনেক বিখ্যাত কবির কবিতাতেও। দেশজুড়ে তার সায়েন্স ফিকশনের রয়েছে অগণিত ভক্ত। টুকুনজিল, বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার, সায়রা সায়েন্টিস্ট, জলমানব, ওমিক্রনিক রূপান্তর, ক্রোমিয়াম অরণ্য, নয় নয় শূন্য তিন, যারা বায়োবোট ও পৃ তার জনপ্রিয় কয়েকটি সায়েন্স ফিকশন। ২০১৭ সালে তাম্রলিপি থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নতুন সায়েন্স ফিকশন গ্রন্থ “রিটিন”! সায়েন্স ফিকশন কি? ইংরেজি শব্দ Science Fiction শব্দের বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। অর্থাৎ যেধরণের কাল্পনিক রচনায় বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়গুলো বেশী থাকে তাকে সায়েন্স ফিকশন বলে। তবে মজার ব্যাপার হলো, সত্যিকারে ব্যাপারটা অত সোজা না। আমাদের দেশে সায়েন্স ফিকশনের অত প্রচলন না থাকলেও আন্তর্জাতিক সাহিত্যে সায়েন্স ফিকশনের চর্চা বহুবছর ধরে হয়ে আসছে। এমনকি কেউ কেউ সায়েন্স ফিকশনকে ভবিষ্যত দর্শানোর রচনা বলেও মনে করে থাকেন। সায়েন্স ফিকশন লেখা অন্য সকল লেখা থেকে কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। থ্রিলার, গোয়েন্দা, হরর, এডভেঞ্চার... এরা প্রায় সমগোত্রীয় হলেও সায়েন্স ফিকশন এদের সবার থেকে আলাদা! লেখক তাঁর কল্পনাশক্তি ও শিক্ষাগত প্রতিভার একটা বিশাল অংশকে কাজে লাগিয়ে সায়েন্স ফিকশন লিখে থাকেন। তাছাড়া এই ধরণের লেখার দু একটি বৈশিষ্ট্যও থাকে। যেমনঃ বিজ্ঞানের নীতিমালার উপস্থিতি, সহজবোধ্যতা ও যৌক্তিক কল্পনা। বাংলা সাহিত্যে সায়েন্স ফিকশন লেখার গল্পটা ছোট হলেও, ইতিহাসটা ছোট না। অনেক আগে থেকেই এই সাহিত্যের চর্চা হয়ে আসছে আমাদের সাহিত্যে। কিন্তু সে গল্প আজ না, অন্য কোন দিন বলবো! প্রসঙ্গ-রিটিন রিটিন বইটি এই বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় “তাম্রলিপি” প্রকাশনী থেকে বের হয়েছে! গল্পটির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে এক অদ্ভুত পৃথিবীকে ঘীরে। সেই পৃথিবীতে রোবটের পাশাপাশি ২ ধরণের মানুষ বাস করে। ক্যাটাগরী এ মানুষ ও ক্যাটাগরী সি মানুষ। বাবা মা জেনেটিক ডিজাইনের মাধ্যমে তাঁদের সামর্থ অনুযায়ী বাচ্চার ক্যাটাগরী তার জন্মের আগে থেকে ঠিক করে ফেলতে পারেন। ক্যাটাগরি এ মানুষেরা সমাজের সকল সুযোগ সুবিধা পায়। কিছুটা উচ্চবিত্ত ধরণের হয় তাঁরা। আর ক্যাটাগরি সি মানুষেরা হয় কিছুটা নিম্নবিত্ত। তাঁরা কোন সামাজিক সুবিধা পায় না। মৌলিক অধিকারও তাঁদের ক্ষুণ্ণ হয়! লেখাপড়া করার, কোন ভালোকাজে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ার অধিকার তাঁদের থাকে না। ঠিক এমনই একটি পৃথিবীতে জন্ম হয় রিটিনের। উপন্যাসে তাঁর বয়স ২৫ এর মত। মানুষ হিসেবে সে সি ক্যাটাগরির। কিন্তু তাঁর আইকিউ লেভেল অনেক বেশি। তাঁর খুব পড়াশোনা করার ইচ্ছা! গল্পের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই রিটিন একটি বড় অফিসে বসে আছে। তাঁর সাথে কথা বলছে একজন মানুষরূপী রোবট। রোবটটিকে সে বোঝানোর চেষ্টা করে, তাঁকে কাট্যাগরি এ তে ট্র্যান্সফার দিতে। কিন্তু রোবট কোনমতেই রাজী হয় না। রিটিন তখন জেদের বসে মেটাকোড দিয়ে রোবটটিকে অচল করে ফেলে। তারপর ঘটনাক্রমে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। তাকে খুজে পায় তার শরীরের মধ্যে থাকা ট্রাকিওশান নামক ট্র্যাকিং ডিভাইসের মাধ্যমে। বন্দি হয় রিটিন। জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখিন হয়। তারপর সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে সে যোগ দেয় এক অদ্ভুত বিপ্লবী দলের সাথে। সেখান থেকে রিটিন পায় এক মহান দায়িত্ব। কি সেটা? জানতে হলে পড়তে হবে পুরো বইটি! রিটিন-পাঠ-প্রতিক্রিয়া কোন বইই ১০০% ভালো হয় না। আবার ১০০% খারাপও হয় না। মিশ্রতা নিয়েই বই। তবে রিটিনের ক্ষেত্রে একটা কথা না বললেই না, মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার অনেকদিন পর পুরানো ফর্মে ফিরেছেন। ভালো লাগা দিকগুলো... ১. বইটির কাহিনী ভালো। অনেক পরিণত প্লট। ২. বেশ চমৎকার গতি ছিল কাহিনীতে। ৩. জাফর ইকবাল স্যারের গত কয়েকটি সায়েন্স ফিকশন বইয়ের গল্প কিছুটা কিশোরোপন্যাস ধরনের হলেও এবারেরটা সব বয়সী পাঠকদের জন্যই গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। ৪. গল্পে কিছু মারামারির জায়গা আছে, সে সব জায়গাতে লেখকের বর্ণনাগুলো বেশ ভালো লেগেছে। ৫. অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার, সায়েন্স, প্রেম... সবমিলিয়ে গল্পে মশলা ভালো ছিল। ৬. বইটির প্রচ্ছদটি বেশ আকর্ষণীয়। ৭. বাঁধাই, কাগজের মান, ছাপাও বেশ চমৎকার। খারাপ লাগা দিকগুলো... ১. জাফর ইকবাল বা হুমায়ুন আহমেদ স্যারদের বইয়ের সব থেকে বড় দূর্বল দিক হচ্ছে তাঁদের বইয়ের দাম। মোটামোটা অফসেট কাগজে ১২ইঞ্চি ফন্টের লেখা ও চমৎকার প্রচ্ছদের ফলে তাঁদের বইয়ের দাম খুব বেশি রাখা হয়। অথচ তাঁদের, বিশেষ করে জাফর ইকবাল স্যারের পাঠকভক্তদের ভেতর প্রায় ৮০%-ই স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী। যাদের পক্ষে ১৫০ পৃষ্ঠার একটি বই ৩০০ টাকা দিয়ে কেনা শুধু কঠিনই না, কারও কারও কাছে অসম্ভবও হয়ে পড়ে। ঢাকা শহর বাদে বাংলাদেশের মফঃস্বল শহরের অনেক বইপড়ুয়া ছেলেমেয়ে তাঁর বই কিনতে পারে না শুধুমাত্র এই অতিরিক্ত দামের কারণে। এই দূর্মূল্যের বাজারে ৩০০টাকা দিয়ে ১৫০ পৃষ্ঠার বই কেনা অনেকটাই বিলাসীতার উদাহরণ। এই বেশি দাম হওয়ার কারণেই আজকাল পাঠক সমাজের অনেকেই বই পড়তে চায় না। যারাও বা পড়ে তাদের একটি বড় অংশ পিডিএফ বা ই-বুক পড়ে। আর সেজন্য প্রকাশন ব্যবসাও মার খায়! ২. সায়েন্স ফিকশন গল্পের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট হচ্ছে লজিকের ব্য���হার। তবে এই গল্পে জাফর স্যার লিখতে লিখতে কয়েক জায়গায় লজিক গোলমাল করে ফেলেছেন বলে মনে হয়েছে। যেমনঃ গল্পের এক জায়গায় আমরা দেখতে পাই যে রিটিন হাজার হাজার গুলির সামনে থেকে বেঁচে ফিরে আসে। এটাকে ব্যাখ্যা করা হয়, প্রকৃতি রিটিনকে বিশেষ একটা কাজের জন্য বাঁচিয়ে রাখে। বিশেষ সে কাজের কথা পরে জানতে পারি। তবে এ প্রকৃতি জিনিসটা কী তা বইয়ে স্পষ্ট না। আবার এখানে আরেক জায়গায় রেখা যায় য��� সময় পরিভ্রমনের মাধ্যমে রিটিন একই সময়ে ২ জায়গায় অবস্থান করে। এরকম একটি কথা পড়েছিলাম আমি হ্যারি পটার গল্পে। যেখানে হ্যারির বন্ধু হারমাইনি একটি সময় পরিভ্রমনের লকেট ব্যাবহার করে যার ফলে সে একই সময় ২ জায়গায় অবস্থান করতে পারে। কিন্তু গল্প অনুযায়ী রিটিন সেরকম কোন জাদুর দুনিয়ার লোক না। তারপরেও যদি আমরা যুক্তির খাতিরে মেনে নিলাম যে বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে সময় পরিভ্রমণ করা সম্ভব হবে কোন একদিন। কিন্তু প্রকৃতির ব্যাপারটা কি? সায়েন্সের ভিত্তি অনুসারে প্রকৃতির কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই বলেই জানি! ৩. রিটিন উপন্যাসটি জাফর ইকবাল স্যারের বিগত উপন্যাসগুলোর তুলনায় কিছুটা ছোট মনে হয়েছে। ৪. বইয়ের কয়েকটি জায়গায় বানান ও ছাপার ভুল চোখে পড়েছে। এক নজরে রিটিন... বইয়ের নামঃ রিটিন বইয়ের ধরণঃ সায়েন্স ফিকশন/বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বইয়ের লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশকালঃ অমর একুশে বইমেলা ২০১৭ প্রকাশনীঃ তাম্রলিপি প্রকাশনী প্রচ্ছদ ও অলংকরণঃ মেহেদী হক পৃষ্ঠাঃ ১৫৮ মূল্যঃ ৩০০ টাকা (মূদ্রিত)
গল্পটা আজ থেকে ৫০০ বছর পরের। ভবিষ্যতের। পৃথিবীতে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষ এখন কৃষি কাজ করে না। কোনো ধরনের জৈবিক খাবার খায় না, যা খেতে চায় তা সিনথেটিক উপায়ে তৈরি করে খায়। মানুষের কাজগুলো রোবটেরা করে দেয়। এই রোবট এবং মানুষ দেখতে প্রায় একইরকম। আর এখানে শুরু হয়েছে বিভাজন। মানুষের মধ্যে বিভাজন। এই পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ বাস করে। ক্যাটাগরি এ মানুষ এবং ক্যাটাগরি সি মানুষ। ক্যাটাগরি এ মানুষগুলো পড়ালেখা করে, গবেষণা করে; তারা সকল ধরনের সুবিধা পায়, তারা উচ্চ শ্রেণীর। আর ক্যাটাগরি সি মানুষগুলোকে বানানো হয়েছে নিম্ন শ্রেণীর। তারা কী কাজ করবে, তাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী— সেসব আগে থেকেই নির্ধারিত। পড়ালেখা বা গবেষণা করার অধিকার নেই তাদের। অল্পসংখ্যক ক্যাটাগরি এ মানুষ কর্তৃত্ব ফলায় বিশাল সংখ্যক ক্যাটাগরি সি মানুষদের উপর। এই পৃথিবীতে জন্ম হয় রিটিনের। রিটিন ক্যাটাগরি সি মানুষ। কিন্তু রিটিন চায় পড়ালেখা করতে, সময় পরিভ্রমণ নিয়ে গবেষণা করতে। ক্যাটাগরি সি মানুষ হওয়ায় তার সেসবের অধিকার নেই। মানুষের মধ্যে এই বিভাজন এবং বৈষম্য দূর করতে কিছু ক্যাটাগরি সি মানুষ গোপনে কাজ করে। রিটিনও যোগ দেয় তাদের দলে। তারা এই বৈষম্য দূর করার জন্য মিশনে নামে আর রিটিনকে পাঠায় অতীতে, ৫০০ বছর আগের পৃথিবীতে।
বইয়ের এক জায়গায় দেখা যায়, রিটিন অসংখ্য গুলির মধ্য থেকে বেঁচে আসে। তাকে নাকি প্রকৃতি বাঁচিয়েছে। কিন্তু প্রকৃতি বলতে আসলে কী বোঝানো হয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। আর সময় পরিভ্রমণ বা টাইম ট্রাভেলের বিষয়টাও বেশ গোলমেলে লেগেছে। তবুও কাহিনিটা ইন্টারেস্টিং।
লেখক জাফর ইকবালের বর্তমান সময়ের সায়েন্স ফিকশনগুলোর তুলনায় 'রিটিন' বেশ উপভোগ্য, তেমন একঘেয়ে ভাব নেই।
সেদিন নীলক্ষেতে বইটার প্রচ্ছদ এবং ছাপা দেখেই পড়তে ইচ্ছা হলো। পড়তে পড়তে অনেক জায়গায় বৈজ্ঞানিক অসঙ্গতির যুক্তিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে কৈশোরের সেই মুগ্ধতা নিয়ে পড়তে চেষ্টা করেছি। বয়স নামক সময় চক্রের ফাঁদে পরে হয়তো মুগ্ধতা সম্পুর্নতা পায়নি, তবে যার হাত ধরে কল্পবিজ্ঞানের জগতে প্রবেশ, অনেকদিন পর তার লেখার পুরনো ছন্দে বন্দী হয়ে শেষ না করে উঠতে পারিনি। গল্পটা ভালো লেগেছে, রিটিনকেও বেশ ভালো লেগেছে।
জাফর ইকবাল স্যারের সেই উড়ন্ত বাইভার্বাল, প্রযুক্তির অকল্পনীয় উৎকর্ষতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপদজনক উত্থানের বিরুদ্ধে মানুষের সংগ্রাম, মানুষে-মানুষে বিভেদ, মমতা-ভালোবাসা, পরিশেষে মানুষের জয়, সবই তো পেলাম। তবে সময় পরিভ্রমন নিয়ে এই চমৎকার গল্পটা আরো খানিকটা বড় হতে পারতো। কিংবা হয়ত সময় পরিভ্রমন এর মত এত কঠিন একটা বিষয় নিয়ে নির্দিষ্ট পাঠকশ্রেনীর জন্য এটুকুই যথেষ্ট রোমাঞ্চকর। সেই রোমাঞ্চের খানিকটা আমাকেও মাঝের বেশ কয়েকটা বছর যে কল্পবিজ্ঞাগুলো পড়া হয়নি সেগুলোও পড়তে উৎসাহিত করেছে!
কত বছর পর তাঁর বই পড়লাম বলা কঠিন,লাস্ট পড়েছিলাম এনিম্যান,ওটা ভালই লেগেছিল। মুহম্মদ জাফর ইকবালের অন্য অনেক লেখার মতই এটাও দু'ভাগে বিভক্ত মানবজাতি নিয়ে,তবে এরপর একটু অন্যদিকে গেছেন,সময় পরিভ্রমণ খুব গোলমেলে জিনিস,সেটাকে বড্ড হেলেফেলা করা হল কিনা!!!পুরো বই এর ৭০ শতাংশ সময় গেছে বিল্ড আপে,এরপর ধুম করে শেষ,মেলা ধরা লাগত বোধহয়। বহু বছর আগে সিস্টেম এডিফাসে ছোট একটা গল্প পড়েছিলাম লেখকের সময় ভ্রমণ নিয়ে,একই টপিক নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ লিখে গেছেন আরেক মাস্টারপিস-"ফিহা সমীকরণ"।রিটিন এদের ধারে কছেও যেতে পারল না,অথচ একটু সময় নিয়ে লিখলে বোধহয় পারত। বই এর পেজ,বাইন্ডিং,প্রচ্ছদের অবশ্য প্রশংসা করতে হবে,তাম্রলিপি এইগুলো অনেক মনোযোগ দিয়েই করে,দামটাও সেরকম নেয় অবশ্য। বি.দ্রঃআমি নাহয় লেখকের বহুল ব্যবহৃত সব টার্ম(যেমন-বাইভার্বাল,নিওপলিমার) দেখে অভ্যস্ত,কিন্তু নতুন একজন পাঠকের তো এইগুলো বুঝতে বেশ সমস্যা হবে।একটা পরিশিষ্ট থাকা দরকার ছিল না আগেকার দিনের বইগুলোর মত?
To be frank, it might not be the best of the best science fictions by Zafar Sir but undoubtedly close. After a long time I have started reading science fictions by Zafar Sir and so far this one surpassed my last read one “Prodigy” and a close call to “Krenial”. The character Ritin is an interesting one and the story is filled with twists and turns. It was great to read “Metacode” again to nullify the robots. A solid 4 Star.
'প্রেডিক্টেবল' এর বাংলা যদি 'সহজেই অনুমেয়'( খটমটে হয়ে গেল) করি, তবে এই বইটি তাই-ই। তবু পড়ে ভালো লাগল । অনেকদিন জাফর ইকবাল স্যারের লেখা পড়া হয় না । একদম নৈর্ব্যক্তিক রিভিউ করলে একে হয়ত ৩ স্টার দেয়া চলত । তবে সেই ছোট থেকে যার সাইন্স ফিকশন এর সাথে বড় হওয়া, সেই আগের জমজমাট প্লট আর গল্প না থাকলেও তার লেখাটির প্রতি অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করল।
সময় পরিভ্রমণ নিয়ে সহজ ধাচের এই বইয়ের সাথে সময় মন্দ কাটেনি!