ভূমিকা ‘অনীশ’ প্রথম ছাপা হয়েছিল ঈদসংখ্যা বিচিত্রায় (১৯৯২)। গ্রন্থাকারে প্রকাশের সময় কিছু পরিবর্তন করেছি। অনীশের নায়িকা রূপা’র স্বামী সম্পর্কে মিসির আলির ধারণার কথা মূল বই- এ বলা হয়েছে, যা আগে বলিনি। মিসির আলির যুক্তিনির্ভর এই ধারণা হয়তো অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য মনে হবে না। আমার কথা হচ্ছে ‘যুক্তি’ গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে মাথা ঘামায় না, সে চলে তার সরল পথে। জালালুদ্দিন রুমির চার লাইনের একটি কবিতা ব্যবহার করেছি। মূল বইয়ের সঙ্গে এই কবিতার তেমন সম্পর্ক নেই। জালালুদ্দিন রুমির এই স্তবকটি আমার অত্যন্ত প্রিয়। পাঠক-পাঠিকাদের কাছে প্রিয় স্তবকটি উহার দেবার লোভ সামলানো গেল না।
হুমায়ূন আহমেদ শহীদুল্লাহ হল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২৫-৫-৯২
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
‘অনীশ’ আগে পড়ি নি। তাঁকে স্মরণ করে এমনিই বইটা পড়া শুরু করেছিলাম গতকাল। মিসির আলী সিরিজের বই, সেটাও তুলে নেবার আগে জানতাম না। এখানে নায়িকার নাম রূপা। গল্পটি শুরু হয় হাসপাতালে। সেখানেই মিসির আলীর সাথে মেয়েটির দেখা হয়। ঘটনাক্রমে তাঁর মেয়েটির দিনলিপি পড়ার সুযোগ হলে মিসির আলীর সাথে আমরাও সেটা পড়তে থাকি। জানতে পারি অদ্ভূত এক জীবনের গল্প। বুঝতে পারি যে কিছু কিছু মানুষের মধ্যে আরেকজনকে হাতের মুঠোয় রাখার প্রবল ইচ্ছা থাকে আর সেটা সমাজে কিছুটা সহজ চোখেও দেখা হয়। কিন্তু, এই দেখাটা মানসিক অসুস্থতাকে সুগারকোট করার চেষ্টা বাদে কিছু না। এর ফল ভালো হয় না। জেনারেশনাল ট্রমার জন্ম দিতে পারে এটি।
বইটিতে কাহিনীর যেভাবে ইতি টানা হয়, তাতে একটা ‘ক্লোজার’ পাওয়া যায়। সাধারণত, সেটা না করার একটা প্রবণতা হুমায়ূন আহমেদের ছিল। মিসির আলীর বইগুলোতে অবশ্য এই কাজ উনি কম করতেন। কারণ, বইয়ের ধরনই এমন যে খোলসা করে সবকিছুর গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা না থাকলে পাঠককে এই সিরিজের প্রতি আটকে রাখা মুশকিল হয়ে পড়তো। আর সেই ব্যাখ্যায় চমক রাখাও জরুরী ছিল। গোয়েন্দাগল্প না হয়েও মিসির আলীর গল্পগুলোতে যুক্তিনির্ভর মানসিক ও মাঝে মাঝে অতিপ্রাকৃতিক রহস্যের সমাধান যেভাবে আসে, তা শেষে এসে ভালোই ধাক্কা দেয়। আর এই বইয়ের শেষটাও ব্যতিক্রম নয়। হুমায়ূনের নতুন পাঠক এই বই পড়লে অবশ্যই মিসির আলীর বাকি বইগুলো পড়তে চাইবে।
রূপার জামাইকে নিয়ে মিসির আলীর ব্যাখ্যা পছন্দ হয় নি। তিনি এখানে তাঁকে ‘হৃদয়বান’ বলেছেন কোন যুক্তিতে, আমি জানি না। যেই লোক দিনরাত স্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং রাতে সুর পাল্টে ফেলে নিজ প্রয়োজনে, সে শুধু সাইক্রিয়াটিস্টের কাছে নিয়ে যাবার কারনে হৃদয়বান হয়ে গেল কেমনে, বুঝি নাই। বাস্তবে অবশ্য ‘হৃদয়বান’ হবার বারটা আরো নিচে। সুতরাং, খুব অবাক না হলেও বিরক্ত হয়েছি এই অংশ পড়ে।
এই একটা জায়গা বাদে ‘অনীশ’ এর প্রতি কোন অভিযোগ নেই। কারন, এই বাড়তি ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট গল্পে যেই বিষয়টা প্রমাণ করতে চেয়েছে, তা এখন ধোপে টিকে না।
[এখানে ‘অনীশ’ এর রিভিউ শেষ। এরপর আর না পড়লেও চলবে। বাকিটা নিজের বইপড়া আর তাঁর সাথে হুমায়ূনপ্রীতির সম্পর্ক নিয়ে কিছু বকবক]
আমি হুমায়ূনের না পড়া বই খুঁজে পেলে খুব উৎফুল্ল হয়ে পড়ি। আর সেই বইটা যখন এই বইয়ের মতো দারুন কিছু হয়, তখন এক সময়ের হুমায়ূনের একনিষ্ঠ পাঠক হিসেবে মনে হয়, ভালোই কাটতো দিনগুলো। মনে জটিলতা অনেক কম ছিল। দশরকম বই পড়ার লোভ ছিল না। এক বই হাজারবার পড়তাম। খারাপ লাগতো না। বই পড়াটাই মূখ্য ছিল। এখন যে নেই, তা না। কিন্তু, খারাপ লাগে যখন টের পাই যে ঠিকই ফাঁকে ফাঁকে ফোনটা কই, এরকম চিন্তা এসেই যায়। আগের মতো নিবিষ্টতা নেই। সেটা কম সময় ধরে পড়লেও নেই। আর দশরকমের বইয়ের প্রতি লোভ এখন হয়েছে বলে অবশ্য আফসোস নেই। কারন, ঘুরেফিরে ঠিকই হুমায়ূন এক অপার স্বস্তির উৎস হিসেবে আজো এই পাঠকজীবনের অংশ।
না। আসলেই মাঝে মাঝে মনে হয় হুমায়ূন আহমেদের মতো আরেকজন লেখক আর কোনদিন আসবে না। আর তাঁর মতো বলতে, তাঁর কপিক্যাটদের অভাববোধ করি, এমন না। তাঁর মতো বলতে এমন লেখককে মনে মনে খুঁজি যিনি নিজের মতো হতে ভয় পান না। লিখতে গিয়ে অমুক অমুক কেউকেটার বাহ্ বাহ্ পাবার ইচ্ছা ত্যাগ করাটা এই দেশে বিরাট সাহসের কাজ, যা তাঁর মধ্যে ছিল। আর তিনি বুঝতেন যে, যা মন থেকে আসে, তা যত্নের সাথে লেখা হলে পাঠককে ঠকানো হবে না। আর এই পাঠককে ঠকাতে না চাওয়ার সততাটা যেসব লেখায় তিনি আনতে পেরেছেন, সেসব লেখার পাঠকপ্রিয়তা কমবার নয়। আর জগতের কোন লেখকের সব লেখা ভালো হয় না। সেটা শেক্সপিয়রেরও হয় নি।
নতুন কারো লেখায় নিজের মতো হবার বিনীত সাহসের যখন ছিঁটেফোঁটাও পাই, তখন তাঁকে ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছা করে। কারন, নতুন লেখকদের লেখা পড়ে মন খুলে তারিফ করতে মন চায় আর সেই সুযোগটা একজন দিলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে যাই।
হুমায়ূনের মতো সহজতম গদ্য লিখতে চেষ্টা করে যাওয়াটা আসলে জরুরী না। কারো লেখায় যখন ‘আমি কি হনু রে’ পাই না, তখন তা মন ভালো করে দেয়। পাঠক হিসেবে বাহাদুরিপূর্ণ লেখা পড়লে বুঝে ফেলি আজকাল যে লেখক মনে করেন যে আমরা মনে হয় ঘাস চাবাই আর এই মনে করাটা কারোর লেখা নিয়ে একবার মাথায় ঢুকে পড়লে আর সেই লেখকের কিছুই পাতে তুলতে মন চায় না। আর নিজের এই দোষের কারনে দেখা যায় অনেক লেখক পরে ভালো লিখছেন জেনেও পড়তে পারি না।
খুব প্রিয় একজন চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্রকারের কথা দিয়ে লেখাটা শেষ করছি। সাধারণত, কোন লেখাতে কোট ব্যবহার করি না.. কিন্তু, এটা যেহেতু রিভিউর পাশাপাশি প্রিয়তম লেখকের প্রতি এক ধরণের শ্রদ্ধাঞ্জলি, তাই জরুরী মনে করছি।
“Your writing will be a record of your time. It can't help but be that. But more importantly, if you're honest about who you are, you'll help that person be less lonely in their world because that person will recognise him or herself in you and that will give them hope.” — Charlie Kauffman.
(এই কথাটির আরেকটি ব্যাখ্যা হল মস্ত ক্যানভাসে নিজের স্বরূপ লুকানো কঠিন। ফাঁপা হলে পাঠক বা দর্শকের কাছে সেটা ধরা পড়বেই। )
হুমায়ূনকে ধন্যবাদ যে তিনি তাঁর সময়কে ধরে রেখে আমাদের সহজ জীবন উঠানামার মাঝেই যে কতো সুন্দর, তা বুঝিয়ে দিয়ে যেতে পেরেছিলেন তাঁর বেশিরভাগ লেখায়। একারনেই, তাঁর গদ্যে আমরা বারবার ফিরে যাই। তাঁর গদ্য আসলেই সহজ চিন্তায় অভ্যস্ত একজনকে একটু কম একাকীত্ব বোধে ভোগায় এবং আশা দিয়ে যায় যে জীবনে হরহামেশা হাতী ঘোড়া মারা জরুরী না।
দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছর, লক্ষ্মীপুজো সন্ধ্যায় বৃষ্টিবাদলার মাঝে একটা করে মিসির আলী পড়ে ফেলি। পরবর্তী ৩৬৫ দিন আর তাকে পড়া হয় না কেন, সেটা আরেক রহস্য। তবে এই গল্পখানা আদতেই দারুণ। গোছানো, জটিল এবং চিন্তার খোরাক জোগাতে সক্ষম। আলী সাহেবের বাকি সমস্ত গল্পের মতই, এটারও শেষ ব্যাখ্যাটা খটমট। টুইস্টখানি হয় আপনার ভালো লাগবে, নয় খারাপ। নো ইন বিটুইন। তবে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার হিসেবে উপন্যাসিকাটি উৎরেছে ভালো।
রূপার খাতা পড়ে মিসির আলি যেসব নোট তৈরি করেছিলেন তার মধ্যে দুয়েকটা জিনিস মানতে পারলাম না; আমার ধারণা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত এবং মিসির আলির সঙ্গে কিছুতেই একমত হতে পারছিলাম না। মিসির আলির জ্ঞান, পর্যবেক্ষণশক্তি ও বিশ্লেষণ-ক্ষমতার সিকিভাগও আল্লাহ তা'আলা আমাকে দেননি বলেই আমার বিশ্বাস। অতএব ধরে নিলাম আমারই ডিডাকশনে ভুল আছে।🙃 কিন্তু শেষ দিকে মান্ধাতার আমলের যে ব্যাখ্যা ও সমাধানটি তিনি দিলেন, সেটি ক্ষমা করা আমার পক্ষে অসম্ভব।
এভারেজ টাইপ এর লেগেছে সত্যি বলতে। স্যারের লেখা অতিসাধারণ প্লট এর গল্প গুলোও অসাধারণ হয়ে আমার ভেতর ঘোরাফেরা করে। কিন্তু অনীশ কেন জানি অনেক বেশি দুরত্ব রেখে গেছে!
মিসির আলির আরেকটা সুন্দর নভেলেট। খুবই ছিমছাম, সাদামাটা ভাবে গল্পের শুরু। মাঝামাঝি পর্যন্তও উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ��েই। মিসির আলি ডায়েরি পড়া আরম্ভ করার পর ঘটনার শুরু। একটু একটু করে অস্বস্তি লাগতে আরম্ভ করে। মনে হয়, এভাবেও কোনো মা নিজের মেয়েকে মানসিক নির্যাতন করতে পারে। গল্প শেষ হয়ে যাচ্ছে তবুও পরিণতি নাই দেখে অবাক হচ্ছিলাম। কিন্তু শেষে একটা ভালো ঝটকা দিয়ে গল্পের ইতি টেনেছেন হুমায়ূন। ভালো লাগলো সবমিলিয়ে। হুমায়ূন আহমেদ পাঠকদের সাথে মাইন্ডগেম খেলতেন মিসির আলি সিরিজে।
অনীশ,পড়ে শেষ করেছি গতকাল তারপরে মাথার মধ্যে কিছু প্রশ্ন ঘুরঘুর করছিল।এই কারণে বইটির পাঠপ্রতিক্রিয়ার লেখা হয়নি গতকালকে। এইবার বই নিয়ে কিছু বলি.. অনীশ,আমার ভালো লেগেছে। মিসির আলী অসুস্থ তাই সে হাসপাতালে ভর্তি আর সেখানে তার দেখা হয় রূপা চৌধুরীর সাথে। মূলত মিসির আলী আর রূপাকে নিয়ে কাহিনি অগ্রসর হয়।রূপা একজন অভিনেত্রী যার এক অতীত আছে।মিসির আলীকে রূপা একটা খাতা দিয়ে যায় যেখানে তার জীবন কাহিনী লেখা।মিসির আলী চরম অসুস্থ তবুও তার খাতার কিছু অংশ পরেই রূপার সমস্যার সমাধান করে ফেলেন। মোট কথা এইখানে মিসির আলী খুব করিৎকর্মার পরিচয় দেন। এইবার আসি আমার যে প্রশ্ন মাথায় ঘুরছিল তা হলো.. রূপা যখন বাসা থেকে পলায়ন করে বান্ধবীর বাসায় গেছিলো তখন তার মা পুলিশের সহায়তা না নিয়ে এক ছেলেকে(রূপার বিয়ে যার সাথে হয়) ডেকে নিয়ে আসেন কেন!!! আর রূপা নিজে থেকে তার স্বামীর ভুল ভাঙানোর চেষ্টা করেনি কেন!! #খারাপ লাগেনি,ভালোই ছিল।
সাধারণত রূপবতীরা মানুষকে আকর্ষণ করে না, একটু দূরে সরিয়ে রাখে। - হুমায়ূন আহমেদ
অনীশ' চমক তৈরি করার সকল আবহ সৃষ্টি করে ব্যর্থ হওয়া একটি বই। মিসির আলি সিরিজের কিছু বই অন্যমাত্রায় ভালো। আবার, কোনো কোনো বই একবারের বেশি পড়া চলে না। তেমনই একখানা মিসির আলি 'অনীশ'।
বইয়ের শুরুতেই দেখা যায়, অসুস্থ মিসির আলি ভর্তি হয়েছেন সরকারি হাসপাতালে। যকৃৎ কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছে। যার প্রভাবে সারা শরীর অকেজো হওয়ার পথে। তীব্র যন্ত্রণায় বোধশক্তি ও চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা মাঝেমধ্যে লোপ পাওয়ার উপক্রম। এমন পরিস্থিতিতে একজন বয়স্ক ডাক্তারকে অনুরোধ করলেন কেবিনের ব্যবস্থা করে দিতে। মিসির আলিকে অবাক করে দিয়ে ডাক্তার সাহেব অনুরোধ রাখলেন। ৪০৯ নম্বর কেবিন পেলেন। এক-দুইদিন পরে একজন ডাক্তার এসে তাকে অন্য কেবিনে যাওয়ার অনুরোধ করে। ডাক্তার জানায়, একজন রোগী বিশেষভাবে এই রুমে থাকতে চাইছেন। কারণ ৪+০+৯= ১৩ এই সংখ্যাটিকে ভদ্রমহিলা নিজের জন্য শুভ মনে করেন। মিসির আলি কখনোই কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেন না। তাই তিনি কেবিনটি ছাড়তে রাজি হলেন না। একপর্যায়ে ডাক্তার বললেন, মিসির আলি নিজেই রোগীর সাথে কথা বলে যেন সিদ্ধান্ত নেন।
অসম্ভব রূপবতী একজন চিত্রনায়িকা সেই রোগী। অবশ্য মিসির আলি তাকে চেনেন না। কারণ তার বাসায় টিভি নেই এবং বাড়িওয়ালার বাসায় গিয়ে মাঝেমধ্যে টিভি দেখলেও চেনা হয়নি এই অভিনেত্রীকে। একপর্যায়ে মিসির আলির সাথে একটি হৃদ্যতার সম্পর্ক তৈরি হয় অভিনেত্রীর। যিনি নিজের নাম প্রথমে আসমানি ও পরবর্তীতে বুড়ি নামে পরিচয় দেন।
এই বুড়ি জটিল একটি মানসিক পরিস্থিতির শিকার। যা অত্যন্ত গুছিয়ে তার ডায়েরিতে লেখা। মিসির আলিকে সেই ডায়েরি পড়তে দেন বুড়ি।
ইতোমধ্যে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে সেই হাসপাতালের একজন ডাক্তারের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে বেড়াতে যান মিসির আলি। সেখানে বসেই পড়তে শুরু করেন আসমানি, বুড়ি ওরফে রূপা চৌধুরীর বিচিত্র জীবনকাহিনি।
এই বইতে মিসির আলির স্বভাবসুলভ বুদ্ধির ঝিলিক অনুপস্থিত। বরং আচমকা আন্দাজ করে কেস সলভ্ করার তুঘলকি কারবার দেখতে পাই। রূপা চৌধুরী ও তার বিধবা মায়ের তাকে নিয়ে অস্বাভাবিকভাবে বড় করে তোলার মাধ্যমে বেশ জমজমাট প্লট তৈরি হচ্ছিল। রূপার স্বামী আমদানি করে বেশ সাসপেন্স ও যৌনতা। যা আগ্রহ বাড়ায়। কিন্তু কোনো ধরনের যৌক্তিকতা ছাড়াই যেভাবে মামলা সামলে নিলেন তাতে ঠিক জমতে গিয়ে সব সাসপেন্স বরবাদ হয়ে গেল।
হুমায়ূন আহমেদ চটজলদি করে কাহিনির সমাপ্তি টেনেছেন। ফলে বইটি সিরিজের অন্যতম দুর্বল বইয়ের খেতাব পেতেই পারে৷
হুমায়ূন আহমেদের লেখা নিয়ে বক্তব্য নিষ্প্রয়োজন। তার সবচেয়ে কমজোরি লেখাও গদ্যের গুণে তরতরিয়ে পড়ে ফেলা যায়।
This has to be my least favourite Misir Ali book so far. The solve of the mystery at the end felt very much like something out of an indian soap. And I could not disagree more with Misir Ali's judgement. Rupa's husband literally physically and verbally abused her and he completely ignored that and pretended that he (Rupa's husband) is actually a good person?
মিসির আলি সিরিজের অষ্টম বই 'অনীশ'। অনীশ শব্দের অর্থ 'নাস্তিক'। বইটিতে মানসিক সমস্যার হেতু কল্পনাকে বাস্তবে রূপায়িত করার বিষয়টি নিয়ে গল্প ফেঁদেছেন লেখক।
মিসির আলি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। জেনারেল বেড থেকে তাঁকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার আগেই তাঁকে ডাক্তার অনুরোধ করেন অন্য কেবিনে চলে যাওয়ার জন্য। মিসির আলি কারণ জানতে চাইলে ডাক্তার বলেন একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী এই কেবিনে থাকতে চান অপারেশনের আগে। কেবিনের বিশেষত্ব হলো কেবিন নাম্বারের অংকগুলোর যোগফল ১৩; অভিনেত্রীর কাছে যা ভাগ্য সংখ্যা। মিসির আলি যুক্তিবাদী মানুষ। এই ধরনের কুসংস্কার প্রথমে প্রশ্রয় দিতে না চাইলেও কেবিনটি ছেড়ে অন্য কেবিনে চলে যান। পরবর্তীতে সেই অভিনেত্রী যার ডাকনাম 'বুড়ি' তার সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে মিসির আলির।
সখ্যতার এক পর্যায়ে বুড়ি মিসির আলিকে একটি খাতা দেয়। সে বলে, যদি অপারেশন ঠিকঠাকমতো হয় তাহলে খাতাটি যেন মিসির আলি পড়েন। অন্যথায় পড়তে বারণ করে দেয়। বুড়ির অপারেশন ঠিকঠাকমতো মতো হওয়ার খবর পেয়ে মিসির আলি খাতাটি পড়তে শুরু করেন। খাতাটিতে বুড়ির মানসিক অসুস্থতার ইতিহাস জানতে পারেন। মিসির আলি এই অসুস্থতাকে দূর করার প্রয়াস নিয়ে দেখা করেন বুড়ির সাথে। কী সেই সমস্যা? মিসির আলি কি পারবেন সমস্যা দূর করতে?
এই বইটা একেবারেই ভালো লাগেনি। বইটি পড়ে মনে হয়েছে এটা মিসির আলির সাথে মানানসই না। বুড়ির স্বামীর আচরণ নিয়ে লেখকের দ্বিমুখী বক্তব্য এবং সমস্যার সমাধান হিসেবে তুলে ধরা যুক্তি অযৌক্তিক লেগেছে। তবুও সিরিজের বই হিসেবে পড়া যায়। হ্যাপি রিডিং।
মিসির আলি ভর্তি ছিলেন সরকারি হাসপাতালের কেবিনে। এই সময় এক অভিনেত্রীর সাথে তার আলাপ হয়, অভিনেত্রী তাকে তার ডাইরি পড়তে দেন। এবং বর্ণনা করেন তার জীবনের এক দুঃখজনক অতীতের কাহিনী। শেষ পর্যন্ত মিসির আলি তার নিজস্ব যুক্তি দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন কি না সেই নিয়েই এই গল্প,শেষের ট্যুইস্টটি ভালো লেগেছে।
মিসির আলি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে পড়ে আছে।ডাক্তারের বদৌলতে পেয়েছেন ৪০৯ নাম্বার কেবিন।আশ্চর্য এর দেয়ালে সবুজ রঙের মার্কার দিয়ে লেখা আছে এখানে যে থাকবে সে মারা যাবে।তিনি আইডিয়া করলেন এটা এক বাচ্চা মেয়ের লেখা যে এই কেবিনে ছিল আর মারা গেছে। একদিন এক ডাক্তার এসে মিসির আলিকে বলেন যে তার এই কেবিনটি ছেড়ে দিতে হবে,এখানে এক মহিলা থাকতে চান এবং তার অপারেশন করাতে চান।মিসির আলির সাথে মহিলার পরিচয় হল- বিশিষ্ট অভিনেত্রী রূপা চৌধুরী, বয়স ত্রিশের মতো।অপারেশন শেষে নিজের একটা খাতা দিয়ে গেলেন মিসির আলির কাছে।মিসির আলি মানুষটাকে তার পছন্দ হয়েছে,তাই তার কাছ থেকে সাহায্য আশা করছেন।মিসির আলি খাতা খুলে পড়া শুরু করেন। রূপা মানুষ হয়েছে তার মার সাথে,বাবা মারা যায় তার জন্মের ১৫ মাস পরে। তার মা তখন তার বাবার কোনো স্মৃতি চিহ্নটুকু পর্যন্ত রাখেন নি।লিখা পড়ে মিসির আলি বুঝতে পারেন মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল রূপার মা। রূপার সাথে বিয়ে দেন নিজের ঠিক করা এক দরিদ্র ছেলের সাথে। বিয়ের কিছুদিন পর কনসিভ করলে তার স্বামী বলেন এটা তার বাচ্চা না, অন্য কারো। তিনি বাচ্চাকে মেরে ফেলতে বলেন। পরে দেখা যায় বাচ্চা জন্মের কিছুদিন পর মারা গেছে,কবর হয়েছে বাড়ির আঙিনায়। এক সময় রূপার মা মারা যায়। রূপা ধীরে ধীরে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে, বাচ্চার কান্না শুনতে থাকে, কিছু দিন পর মা ডাক শোনে।আবার কিছু দিন পর ছেলের কথাও শুনতে পায়।মিসির আলি ঘটনা বুঝতে পারেন। রূপার সাথে দেখা করেন আর বলেন বাচ্চা বেঁচে আছে, খোঁজ করলেই পাওয়া যাবে। কিছুদিন পর রূপার চিঠি আসে মিসির আলির কাছে,সে তার ছেলেকে খুঁজে পেয়েছে!
মিসির আলি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।সেখানে তার সাথে পরিচয় হলো রূপা চৌধুরী নামক এক অভিনেত্রীর,যার অতীত জীবনে আছে এক রহস্য।মিসির আলির সাথে কিছুক্ষণের আলাপচারিতার পরপরই তিনি বুঝতে পারলেন একমাত্র মিসির আলিই পারবেন তার সমস্যার সমাধান করতে (টিপিক্যাল হুমায়ূনীয়,না?)।সেই মতো তিনি তার জীবন কাহিনী লিখা খাতা মিসির আলিকে দিলেন এবং মিসির আলি সেই খাতা পড়েই এক নিমিষেই তার সমাধান করে দিলেন।ব্যস,গল্প খতম।
এখন পড়ে কেমন লাগছে তা বলি।
মিসির আলির গল্প ফালতুর দিকে যাচ্ছে।হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলি সিরিজের আরও একটি মানহীন উপন্যাস।কোন চরিত্রের ক্যারেক্টারাইজেশনের কোন ঠিক নাই।সবমিলায়া এইটা একটা ফালতু বই।বিরক্তিকর এক অভিজ্ঞতা 'অনীশ'!
Another psychological mystery solved by Misir Ali. Wonderfully it depicts the strength of a mother's love and affection towards her lost child that reunites the mother and her child in a paranormal psychological process.
বইটা পড়লে মনে হবে, হুমায়ুন আহমেদ তার গোটা জীবনে শুধু সাইকোলজি নিয়েই গবেষণা করেছেন। ঘুণাক্ষরেও পাঠক কল্পনা করতে পারবে না, লেখকের পড়াশোনা আর অধ্যাপনার বিষয় ছিল রসায়ন। 'অনীশ' নাম শুনে কেউ নাস্তিক ভাবলে, সে করবে চরম ভুল। হুমায়ুন আহমেদ ছিলেন তাঁর লেখায় নিরপেক্ষ। উভয়পক্ষেই সূক্ষ্ম কিছু প্রশ্ন তিনি ছুড়ে দিয়েছেন। উত্তর খুঁজে বের করার দ্বায়িত্ব পাঠকের। ৫ পৃষ্ঠা পড়েই ভেবে নিবেন না কাহিনীর আদ্যোপান্ত। কারণ শেষটা সাইকোলজিকেও হার মানায়🙃
অসুস্থ হয়ে মিসির আলি যখন হাসপাতালের বিছানায়, নিজের অসুস্থতা ভুলার জন্য নিজেকে ব্যাস্ত রাখার উপায় খোঁজতেছিলেন, তখন রুপা নামের এক চিত্র নায়িকার সাথে দেখা। একপর্যায়ে, রুপা তার ডায়েরি খাতাটি, মিসির আলিকে দিলে, সে একের পর রহস্যময়ী ঘটনার মধ্য হতে গিয়ে, রহস্য উন্মোচন করেন। ভালোই ছিল। অনেকদিন ওর হুমায়ুন আহমেদের বইয়ে রেটিং ৫ দিলাম!
Rupa (Buri) is quite an interesting character who had a tough time dealing with her single mother's strange and unbearable behavior since childhood. Things got even worse when her mother forced her to marry a boy of her choice. And if that wasn't enough, Rupa became pregnant once but was forced not to give birth to her child for some irrational reasons. It all fell apart when she found out that her newborn child was no more. But, she started feeling the existence of her child often, and that's when she met Misir Ali while getting treatment in a clinic. With Misir Ali's help, she finally found happiness in her life.
This story shows how a single parent's strange behavior can shatter a child's childhood. It can negatively impact their life, and their existence can become an unwanted consequence of such facts. While reading this book, I could truly feel the grief that Rupa went through. It's really heartbreaking.
যেই বুদ্ধি, বিবেচনা দিয়ে মিসির আলী ডিডিউস করলেন যে নায়িকা একটি 'দুঃখী' মেয়ে, সেই একই লজিকাল রিসনিং টুলস খরচ করে যে উনি এই মতামত প্রদান করলেন যে, যেই মানুষটি মেয়েটির সমগ্র যন্ত্রণার অন্তত ৫০% এর জন্য দায়ী- সে আদতে একটি 'হৃদয়বান' ছেলে- গল্পের মোড় এবং মোচড়ের চেয়ে এই ব্যাপারটিতেই বরং আমি অধিক আশ্চায্য এবং বিনোদিতো হয়েসি। সবার সকল আচরণের ভিতর হৃদয় খুঁজতে চাওয়ার ব্যারাম হুমায়ুন আহমেদের থাকতে পারে, তবে আলী সাহাবের থাকাটা জরুরী এবং বাঞ্ছনীয় নয়- সঙ্গত কারণে।
মিসির আলী সিরিজের অষ্টম বই। পড়ে খুবই হতাশ হয়েছি। কেবলই মনে হয়েছে নিছক একটি গল্পকে অযথাই টেনে টুনে দীর্ঘ করা হয়েছে। গল্পের কাহিনী একদমই আনাড়ি মনে হলেও বরাবরের মতই হুমায়ুন আহমেদের লেখনী ছিল চমৎকার।
This one was complex, with an intriguing and much more social and family tale, that picturises the plight of an actress and her life. . . . A very good one indeed. . . . !
প্রিয় লেখকের চমৎকার উপস্থাপনের জন্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অনুভব করতে পেরেছি। শেষের দিকে একটু দূর্বল লাগলেও এক কথাই আমি অসাধারণ বলব।
অন্যান্য বইয়ের মত এই বইয়েও একটা লাইন আমাকে বেশ আকর্ষণ করেছে ,
"প্রকৃতি শুধুমাত্র মেয়েদের মধ্যেই বিপরীত গুণাবলীর দর্শনীয় সমাবেশ ঘটিয়েছে। মেয়েকে যেহেতু সবসময়ই সন্তান ধারণ করতে হয়, সেহেতু প্রকৃতি তাকে করল— শান্ত, ধীর, স্থির। একই সঙ্গে ঠিক একই মাত্রায় তাকে করল—অশান্ত, অধীর, অস্থির। প্রকৃতির এইসব হিসাব-নিকাশ খুব মজার। দেখে মনে হয় পরিহাসপ্রিয় প্রকৃতি সবসময়ই মজার খেলা খেলছে।"
একইসাথে আটটি বই পড়তেছি. একবার এটা পড়ি, আরেকবার ঐটা পড়ি.
কিভাবে যে আমি রিডিং ব্লকে চলে গেছি, বুঝতেছিনা. পড়ার অবস্থা খুবই শোচনীয়.
অনীশ শুরু করেছিলাম অনেক আগে. প্রায় ৬০% পড়ে রেখে দিছিলাম. আজকে হুট করে পড়তে ইচ্ছা করলো, দেখলাম সব ভুলে গেছি.
একদম শুরু থেকেই আবার পড়লাম. মোটামুটি একটা ঘোরের মধ্যে চলে যাওয়ার উপক্রম. এই গল্পের মেইন চরিত্র রুপা, তার একটা ডায়েরি মিসির সাহেবের হাতে পৌছায়. সেই ডায়েরি নিয়ে যত সব আলাপ.
মিসির সিরিজের সব বই আমার ভালো লাগে, খারাপ লাগবে এই এই চিন্তা মাথায় ই আনি না.
aaa, Misir Ali don't do that, don't do that to me! I just became a fan and now you're lowering the level of your story? what even was this book! disappointing in one word. but the fact that I continued to read it and could finish it and storytelling was ok no matter how bad the actual story was- the two stars persist.
হয়ত বইটা আগে পড়ছিলাম কিন্তু তখন হয়ত জানতাম না এটা মিসির আলি সিরিজের বই। শেষটায় একটু কান্না কান্না পাইতেছিলো এইটা ভেবে যে রুপার মা রুপার সাথে অনেক অন্যায় করলেও বাচ্চাটাকে বাচিয়ে রেখে তিনি সব অন্যায়ের মাফ পেয়ে গেছেন।
গল্পটি এত সুন্দর করে উনি লিখেছেন যেন বেশ কিছু অংশ পড়ে যখন কল্পনা করেছি তখন নিজেই প্রতিটি ধাপ অনুভব করেছি । একমাত্র গল্পের শেষ আমার এই অনুভূতিটাকে নাড়া দিয়ে আপত্তিতে পরিণত করে বিধায় কিছুটা অসন্তুষ্টি থেকে যাবে :' )
গল্পটি শুরু হয়েছিল বেশ আকর্ষণীয় একটি পটভূমি নিয়ে, কিন্তু শেষ হয়েছে খুবই সাধারণ অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার ব্যবহারের মাধ্যমে। টেলিপ্যাথীর বিষয়টি হুমায়ূন আহমেদের বহু পরিচিত একটি থিম, এবং তিনি আবারও এটি এখানে ব্যবহার করেছেন। মনে হয়েছে, গল্পটি এই ধরনের বিশেষ ক্ষমতার মাধ্যমে শর্টকাটে শেষ করা হয়েছে, যা কাহিনীর স্বতন্ত্রতা কমিয়ে দিয়েছে।
This entire review has been hidden because of spoilers.