Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
হুমায়ূন আহমেদের সাথে কার্ট কোবেইনের একটা মিল আছে। যারা রক মিউজিক-টিউজিক শোনে তাদের মধ্যে একটা কথা চালু আছে: সব রক প্রেমীদের জীবনেই একটা সময় আসে যখন নিরভানা হয় তাদের প্রিয় ব্যান্ড। কারো কারো জীবনে এ সময়টা বেশিদিন থাকে না, আবার কারো জন্য সারাজীবন টিকে যায়। তবে সময়ের দৈর্ঘ্য যা-ই হোক, নিরভানার একটা প্রভাব থাকে ঠিকই।
বাংলা গল্পের বেলায় হুমায়ূন আহমেদের ব্যাপারটা হচ্ছে অনেকটা এরকম। বর্তমানে যারা বাংলা সাহিত্য পড়ে বা লেখে, তাদের সবার জীবনে হুমায়ূন আহমেদের একটা প্রভাব থাকবেই—তা সংক্ষিপ্ত হোক কী বিস্তৃত, পজিটিভ হোক বা নেগেটিভ। সবারই একটা মতামত আছে হুমায়ূন আহমেদের ব্যাপারে।
আমার জীবনে বোধহয় তিনি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছেন একটা গল্প দিয়ে। গল্পটার নাম চোখ। কোনো একটা মিসির আলি অমনিবাসে ছিলো গল্পটা, ঠিক কোনটায় তা আমার মনে নেই। তবে এটা মনে আছে যে গল্পটা শেষ করার পর আমি পুরো পাঁচ সেকেন্ড স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম। সাইকোলজিকাল থ্রিলার আমি আগেও পড়েছিলাম, কিন্তু সে ধরনের গল্পকে যে এতোটা পলিশ্ড, এতোটা সাবলীলভাবে লেখা যায় আমার ধারণা ছিলো না।
গল্পটা হচ্ছে মিসির আলির একজন পেশেন্টকে নিয়ে। তার এক চোখ কৃত্রিম। তার স্ত্রী একজন বিদেশিনী। এই জুটিকে নিয়েই রহস্য। আমি ডিটেইলসে যাবো না, কারণ তাহলে মজা নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। এমনিতেও গল্পটা বেশি লম্বা নয়, আগ্রহীদের পড়ে ফেলা উচিত। আর গল্পটা যে বেশি লম্বা নয় সেটাও গল্পের চমৎকার দিকগুলোর একটা। একটা বাক্যও অপ্রয়োজনীয় নয় এই গল্পে, একটা শব্দও ফেলে দেয়ার মতো নয়। টানটান, টাইট থ্রিলার কিভাবে লিখতে হয় সেটা নিয়ে কোনো পাঠ্যবই হলে এই গল্পটা সে বইয়ের প্রথম উদাহরণ হওয়া উচিত। মাত্র তিনজন চরিত্র এই গল্পে, কিন্তু তাও শেষের টুইস্টটা আগে থেকে বুঝে ফেলা প্রায় অসম্ভব। আর এই স্বল্প পরিসরেও হুমায়ূন আহমেদ তৈরি করেছেন নতুন একজন স্মরণীয় চরিত্র। তুলির মাত্র কয়েকটা আঁচড়েও যেমন একজন সম্পূর্ণ মানুষ আঁকা যায়, তেমনি কয়েকটা মাত্র ঘটনা আর কিছু ডায়ালগ দিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এই পেশেন্ট-এর চরিত্রটাকে অসম্ভব বাস্তব করে তুলেছেন।
‘চোখ’ গল্পটা আমি প্রথম পড়েছিলাম বোধহয় পনেরো বছর আগে। ভাগ্য ভালো যে পড়েছিলাম, কারণ তারপর আমি এ ধরনের আরো গল্প খুঁজে বের করেছি, যখন লিখেছি তখন চেষ্টা করেছি গল্পটার শক্তিগুলো নিজের লেখাতে প্রয়োগ করতে। কয়েক দিক দিয়ে দেখলে গল্পটা এখনো আমাকে প্রভাবিত করে।
তিন বছর আগে যখন মিসির আলি পড়ি তখন আমি অনেকটা প্রভাবিত হয়েছিলাম এই সিরিজটা থেকে এবং হুমায়ূন আহমেদের প্রায় সব লেখাকেই তখন থেকে সপ্রশংস দৃষ্টিতে দেখা শুরু করি৷ এখন আবার যখন পড়লাম তখন মনে হচ্ছে প্রথমবার এমন কোন লেখা পড়তে গিয়ে বেশি প্রভাবিত হয়ে গিয়েছিলাম। বৃহন্নলা এবং মিসির আলি অমীমাংসিত রহস্যের জন্য তিন স্টার দিলাম।
মিসির আলির প্রথম নয়টি উপন্যাস নিয়ে এই সমগ্রটি।আগে আলাদা আলাদা ভাবে ৫/৬ টি মিসির আলি উপন্যাস পড়া হলেও এবার পড়লাম সিরিয়ালি।মিসির আলিকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস লিখেছেন বিশটি।যা স্থান পেয়েছে মোট তিনটি সমগ্র বা অমনিবাসে।এখানে প্রথম খন্ডের নয়টি গল্প নিয়ে অল্পকথায় কিছু বললাম -
১.দেবী - ⭐⭐⭐⭐ (থ্রিল,হরর,সাইকো - সবমিলিয়ে পরিপূর্ণ প্যাকেজ) ২.নিশীথিনী - ⭐⭐⭐ (দেবী সিক্যুয়েল হিসেবে এই বইটা না লিখলেই ভালো হতো) ৩.নিষাদ - ⭐⭐ (ভজঘট পাকানো।ভাল্লাগে নাই) ৪.অন্যভুবন - ⭐⭐⭐⭐ (অসাধারণ।লজিক্যাল ফিনিশিং এর অভাব) ৫.বৃহন্নলা - ⭐⭐⭐⭐ (অবশেষে একটা সুন্দর ফিনিশিং পেলাম) ৬.ভয় - ⭐⭐⭐ (গল্পগ্রন্থ হিসেবে ভালোই।প্রথম গল্পটা বেশ ভালো) ৭.বিপদ - ⭐ (বিরক্তিকর।না আছে গল্প না আছে মিসির আলির ক্ষুরধার যুক্তি) ৮.অনীশ - ⭐ (মিসির আলির আরও একটি বাজে উপন্যাস) ৯.মিসির আলির অমীমাংসিত রহস্য - ⭐⭐⭐⭐ (মিসির আলি এবার ডিটেকটিভ।সব মিলিয়ে বেশ ভালো!)
সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ্য অভিজ্ঞতা।মিসির আলির যুক্তিপূর্ণ কথা যেমন ভালো লাগে তেমনি অতিরিক্ত রহস্যপ্রিয়তা বা প্রকৃতির কাছে আত্মসমর্পণ ভালো লাগে না।তাছাড়া বেশ কয়েকটা বইয়ে হুমায়ূন আহমেদ কোন লজিক্যাল ফিনিশিং দেন নি।যা দৃষ্টিকটু।
হুমায়ুন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের শুধুমাত্র যে জনপ্রিয় উপন্যাসিক তা নয় বরং একজন গল্পের জাদুকর ছিলেন। কয়েক জেনারেশন থেকে শুরু করে আজ অবধি সাহিত্য অংগনে রাজত্ব করে আসছেন। আমি এই লেখকের বিশেষ ভক্ত। হয়তো গুটিকয়েক বই ছাড়া ওনার সব বই আমার পড়া। শেষের দিকের কিছু বই খুব বেশি ভালো না লাগলেও ওনার বই কেনা এবং পড়া এক ধরনের অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল।
তাঁর অনবদ্য সৃষ্ট চরিত্র হিমু, শুভ্র এবং মিসির আলি। তিন চরিত্রই তিন রকম ভালো লাগে। তবে মিসির আলির প্রতি বাড়তি দূর্বলতা আছে। আজ আমি মিসির আলির একটা গল্প নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আমার কাছে যে কোনো কিছু বুঝতে, পর্যবেক্ষণ করতে, ভালো লাগাতে, খারাপ লাগাতে এমন আরও কিছু ব্যাপার আছে যার পরিমাপক সংখ্যা অর্থাৎ একজন মানুষের বয়স। একটা সময়ে সেবা প্রকাশনীর বইগুলোর জন্য যে আকুলতা ছিল সময়ের সাথে সাথে তা পরিবর্তন হয়েছে। এক ধরনের আবেগ কাজ করলেও এই প্রকাশনীর বইগুলো পড়ার সময় পার করে ফেলেছি। এর অন্যতম কারণ বয়স।
হুমায়ুন আহমেদ এর গল্পসংকলন 'ভয়' এর একটি গল্প 'জ্বীন-কাফিল' গল্পটি প্রথমবার কবে পড়েছিলাম আমার ঠিক মনে নেই। প্রথমবার বলছি কারণ একই বই বারবার পড়ার বদঅভ্যাস আমার আছে। তবে প্রথমবার পড়া হয়েছিল আজ থেকে দশ কী পনেরো বছর আগে হয়তো। বলাই বাহুল্য গল্পটি আমার খুবই ভালো লেগেছিল। আবেগে আপ্লূত হয়েছিলাম। আবারও পড়লাম এই তো কয়েকদিন আগে। পড়ার পর অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম গল্পের বড় রকম অসংগতি আমার চোখে পড়ছে। এর কারণ কী বয়স। হয়তোবা, কারণ যে অংশটুকু পড়ে আমি হয়েছিলাম আবেগে আপ্লূত ঠিক সেই অংশটুকুতে আমার সমস্যা মনে হচ্ছে।
যেহেতু অনেক পুরোনো বই তাই প্রসঙ্গক্রমে কিছু স্পয়লার চলে আসাটা দোষের কিছু মনে করছি না। পিওর সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার গল্পটি একজন অল্প বয়সী নারীকে নিয়ে। মেয়েটি তার স্বামীর সাথে অজপাড়াগাঁতে থাকে। গ্রামের মূল বসতি থেকে বেশ খানিকটা দূরে তাদের বাসস্থান। এই মেয়ের জ্বীনের সমস্যা। মাঝে মাঝে তার ওপর জ্বীন ভর করে। বিশেষ করে মেয়েটি যখন নিজের মধ্যে আরেকজনের অস্তিত্ব ধারণ করে তখনই এই জ্বীনের উপদ্রব বেড়ে যায়। এই মেয়ে পুরুষালী কন্ঠে কথাবার্তা বলে। যার সারমর্ম হলো তার গর্ভের বাচ্চাকে মেরে ফেলবে। জ্বীন কাফিল শুধু যে হুমকি দিয়েছে তা নয়। এই মেয়ের দুইটি বাচ্চাকে মেরেও ফেলেছে। তিন নম্বর বাচ্চার গর্ভকালীন অবস্থায় মিসির আলি খবর পান এবং অত্যন্ত জোরালো যুক্তির মাধ্যমে চমৎকারভাবে আসল ব্যাপারটি উন্মোচন করেন। বাচ্চাটিও বেঁচে যায়। ভয়ংকর ব্যাপার হলো বাচ্চাগুলোর হত্যাকারী ছিল স্বয়ং জন্মদাত্রী। এই পর্যন্ত গল্পটি দুর্দান্ত।
কিন্তু এর পরের অংশটুকুতে অসঙ্গতিটি চোখে পড়ে। এরকম ভয়ংকর একজন অসুস্থ নারী মিসির আলির ব্যাখ্যা শোনার পর তার হাত ধরে কাঁদতে কাঁদতে সুস্থ হয়ে যায়। ব্যাপারটা কেমন যেন খাপছাড়া। কোনো রকম মেডিকেশন, কাউন্সেলিং ছাড়া মিসির আলি মেয়েটির হাত ধরে ঘোষণা করলেন আপনি এখন সুস্থ। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের জন্য এটা আবেগঘন হতে পারে কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের জন্য ব্যাপারটা মোটেও বোধগম্য নয়। আমি নিজে এই বিষয়টিতে মোটামুটি হতাশ। এত চমৎকার একটা গল্পের এই সমাপ্তিতে পুরো থ্রিল নষ্ট হয়ে যায় অন্তত আমার ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছে।
আরেকটা বিষয় add করেন নাই ; রিডিং ব্লকে পড়লেই সে মাথা থেকে হুমায়ূন আহমেদের বই ভালো লাগে। কারণ পড়তে গিয়ে তেমন মাথা খাটাতে হয় না, রিডিং পড়ে যাওয়ার মতোই অনুভব করা যায় ফলে ব্রেনের রেস্ট হয় সঙ্গে বই পড়াও। অন্যতম কারণ হচ্ছে সাধারণ সময়ে হুমায়ূন আহমেদের গল্প পড়লে মাত্রাতিরিক্ত কাল্পনিক এবং অবাস্তব গল্প মনে হয়, বাস্তবমুখী বলতে কিছুই থাকে না। কয়েকটা বই পড়ে ফেললে পরবর্তী গুলোয় নতুনত্ব পাই না, কিংবা জানা শোনা বিষয়গুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আসে গল্পে। গল্পের ব্যাখ্যায় থাকে না*স্তিকতা (নিষাদ গল্প, ভয় গল্পের 'সঙ্গিনী' অংশ)। ধর্মীয় বিষয়ে আমরা সাধারণ মানুষ কিছু বললেই রেফারেন্স খুঁজে। অথচ হুমায়ূন আহমেদ তার বইয়ে আবোল-তাবোল লিখে সেটায় রেফারেন্স খোঁজা নেই, ভ্রুক্ষেপ নেই। হুমায়ূন ভক্তের পাঠকেরা যে পরিমাণ গিলে এতেই বুঝা যায় কেমন অন্ধভক্ত। হুমায়ূন আহমেদের মতো লেখনিতে সীমিত হয়ে ভক্ত হওয়া, সাধারণ বিষয়গুলোতেই মনোরঞ্জন পাওয়া এবং টপক্লাস গল্প ভাবা...তাদের অবশ্যই বিচার ও সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য মস্তিষ্কের একটি অংশ Frontal Cortex যাচাই করা উচিত। কারণ এর ঘাটতিতে শারীরিক ভাবে বয়স বৃদ্ধি পেলেও মানসিক ভাবে শিশু থাকে। ফলে শিশু কালের মতোই অবাস্তব(কার্টুন), বাস্তবমুখী নয়(গ্রহনের সময় হয়ে উঠে না বলে) এসব বিষয়ে আকর্ষণ পায়। হুমায়ূন আহমেদের খুব সীমিত কয়েকটা বই শুধু ভালো লেগেছে।
হুমায়ূন আহমেদ প্রিয় লেখকদের একজন। তাঁর সৃষ্ট বিপুল জনপ্রিয় চরিত্র হিমু আর মিসির আলির মাঝে আমি মিসির আলিকেই এগিয়ে রাখবো। তখন খুব সম্ভবত ক্লাস নাইনে পড়ি। আমি কৌতুহলী হয়ে বইটা হাতে নিলাম। সেই থেকেই মুগ্ধতার শুরু, এবং এর রেশ এখনো চলছে। এখানে প্রথম খন্ডের নয়টি গল্প নিয়ে অল্পকথায় কিছু বললাম - • দেবী - ৫/৫ • নিশীথিনী - ৪/৫ • নিষাদ - ৩/৫ • অন্যভূবন - ৪/৫ • বৃহন্নলা - ৫/৫ • ভয় (গল্পগ্রন্থ) - ৩/৫ • বিপদ - ২ /৫ • অনীশ - ৪/৫ • মিসির আলির অমীমাংসিত রহস্য - ৫/৫ উনি উপন্যাসের রোমান্টিক নায়ক নন, গোয়েন্দা গল্পের ডিটেকটিভ নন, উনি একজন যুক্তিভিত্তিক মানুষ, উনি মিসির আলি। বাংলা সাহিত্যের অন্যসব চরিত্রগুলো থেকে মিসির আলিকে খুব সহজেই আলাদা করা যায়। সমস্যার জট খুলায় মিসির আলির চমৎকারিত্বে মুগ্ধ হয়েছি বারবার। প্রতিটি গল্পেই মিসির আলি নিজের ক্ষুরধার বুদ্ধি, মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে দারুণ মুন্সীয়ানা দেখিয়েছেন; তবে তার যে ব্যাপারটি সবচেয়ে অনন্য তা হলো, মানুষকে পর্যবেক্ষণ করার অসাধারণ ধৈর্য ও কৌতুহল। বাংলা গল্পের বেলায় হুমায়ুন আহমেদের ব্যাপারটা হচ্ছে অনেকটা এরকম।
তখন খুব সম্ভবত ক্লাস নাইনে পড়ি। ভাইয়াকে দেখলাম খুব গম্ভীর মনোযোগের সাথে বইটা পড়তে। আমিও কৌতুহলী হয়ে হাতে নিলাম। সেই থেকেই মুগ্ধতার শুরু, এবং এর রেশ এখনো চলছে। হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ায় প্রথম হাতেখড়ি এই প্রিয় চরিত্র মিসির আলিকে দিয়েই।
বইটিতে সবচেয়ে প্রিয় উপন্যাস দেবী, বৃহন্নলা ও মিসির আলির অমিমাংসিত রহস্য, আর ছোটগল্পের মাঝে "ভয়" সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। প্রতিটি গল্পেই মিসির আলি নিজের ক্ষুরধার বুদ্ধি, মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে দারুণ মুন্সীয়ানা দেখিয়েছেন; তবে তার যে ব্যাপারটি সবচেয়ে অনন্য তা হলো, মানুষকে পর্যবেক্ষণ করার অসাধারণ ধৈর্য ও কৌতুহল।
সবমিলিয়ে যেকোন বৃষ্টিস্নাত ঝুম ঝুম শ্রাবণ বিকেলে হিমেল বাতাসের সাথে ধূমায়িত চা হাতে নিয়ে পড়তে বসার মত আদর্শ একখানা বই এটি।
উনি উপন্যাসের রোমান্টিক নায়ক নন, গোয়েন্দা গল্পের ডিটেকটিভ নন, উনি একজন যুক্তিভিত্তিক মানুষ, উনি মিসির আলি। বাংলা সাহিত্যের অন্যসব চরিত্রগুলো থেকে মিসির আলিকে খুব সহজেই আলাদা করা যায়। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এই চরিত্রটাকে শক্তিশালী করেছেন। সমস্যার জট খুলায় মিসির আলির চমৎকারিত্বে মুগ্ধ হয়েছি বারবার।
তবে নীলুর সাথে বিয়ে হওয়ার ব্যাপার মেনে নিতে পারিনি(হুমায়ূন আহমেদ মনে হয় নিজেও এই ভুল বুঝতে পেরেছিলেন)। আবার নীলুকে একবারে বাদ দিয়ে দেয়াতেও অভাব বোধ হয়েছে কি যেন একটা নেই!
প্রত্যেকটা গল্পে এমন অদ্ভুত অদ্ভুত সমস্যা নিয়ে প্লট সাজিয়েছেন যে এক বসাতে পুরোটা শেষ করে উঠতে হয়েছে।
মিসির আলি পড়ার আগে জানতাম, মিসির আলি যুক্তিবাদী একজন মানুষ। কার্যকারণ ছাড়া কিছু ঘটে তিনি বিশ্বাস করেন না। কিন্তু এই বইয়ের প্রথম তিনটি উপন্যাস (দেবী, নিশীথিনী ও নিষাদ)-এ দেখলাম মিসির আলি রহস্যের সমাধান করতে পারেননি। অমীমাংসিত অবস্থায়ই শেষ হয়েছে। তবে যে আধিভৌতিক একটা জগতের সঙ্গে লেখক পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন, সেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এই জঁনরা বাংলা সাহিত্যে অনুপস্থিত ছিল। হুমায়ূন আহমেদ সেটা পূরণ করেছেন।
এই সংকলনের ‘ভয়’ গল্পগ্রন্থের গল্পত্রয় ও ‘বৃহন্নলা’ ব্যক্তিগতভাবে আমার পছন্দ হয়েছে।
মিসির আলীর বই এবার উল্টোদিক থেকে পড়া শুরু করলাম। প্রথমে অমনিবাস ৩ তারপর ২ শেষে এসে ১। লোকটার মধ্যে একটা যাদুকরী ব্যাপার আছে- মিসির আলি না, হুমায়ুন আহমেদের কথা বলতেসিলাম। এবারের একমাসব্যাপী পা মচকানো উপলক্ষ্যে কি মনে করেই অমনিবাস পড়া শুরু করলাম। গতবছর দেশে থাকতেও এই সময়টাতেই অনেক মিসির আলি পড়ছিলাম আর হুমায়ুন আহমেদের নাটক বের করে বন্ধুরা মিলে দেখছিলাম। আর এবার পড়তে পড়তে নক্ষত্রের রাত নাটক দেখতে শুরু করলাম আমরা দুই বন্ধু। ভাবছি সব বইয়ের সাথের স্মৃতি গুডরিডসে লিখে রাখব।
মিসির আলি মানেই অন্যকিছু, অন্যরকম কিছু গল্প, অভিজ্ঞতা৷ মানুন আর না মানুন মিসির আলি বাংলা সাহিত্যের একটা কাল্ট চরিত্র৷ হুমায়ুন আহমেদ যদি আরেকটু মনোযোগ দিয়ে সাজাতেন, খুব ভালো হতো৷ মিসির আলির মতো নিঃসঙ্গ মানুষদের জন্য ভালোবাসা
"মানুষ কখনো চক্র সম্পূর্ন করতে চায় না । সে চক্র ভাঙতে চায় , কিন্তু প্রকৃতি নামক অজানা অচেনা একটা কিছু বারবার মানুষের চক্র সম্পূর্ন করে দেয় । কেন করে ?"
মিসির আলির জীবনদর্শন এক অদ্ভুত আলোআঁধারির খেলা, হুমায়ূন আহমেদের এই সৃষ্টি এককথায় অনবদ্য।
Best book of my life until now.The blend of psychology,supernatural,mystery is so perfectly done in these stories..every story was unpredictable and blew me away.
Ps. if you plan on reading Himu someday then please read Himu first and then Misir Ali. Otherwise you’ll regret a lot like me.
I had heard a lot about Mishir Ali and thus started reading this book. I was sceptical at first about what to expect, but to my delight, it was worth it. The stories were really unique, and each story brought a new aspect of psychological mystery. The best part of the stories was the unpredictable factor. The concept of a protagonist who is not an alpha is also refreshing to read. The following are the stories I liked in descending order: 1. অন্যভুবন 2. বৃহন্নলা 3. নিষাদ 4. দেবী 5. মিসির আলির অমীমাংসিত রহস্য 6. বিপদ