বান্দরবনের গহীনে ডাইনোসরের ফসিলের সন্ধানে চলেছে তিন কিশোর - টোপন, রাজু আর খালেদ। সাথে আছে ভীতু ছোট চাচা আর সাহসী আদিবাসী কিশোর থোয়াংসা চাই। কিন্তু যাত্রা সহজ নয়, পদে পদে বিপদ। অপেক্ষা করছে ধূর্ত ফ্রেডরিখ সাহেব আর শয়তান কাচু মিয়া। টোপন খালেদরা কি পারবে এদের ধোঁকা দিয়ে দেশের অমূল্য সম্পদ ফসিলগুলো উদ্ধার করতে?
Muhammed Zafar Iqbal (Bengali: মুহম্মদ জাফর ইকবাল) is one of the most famous Bangladeshi author of Science-Fiction and Children's Literature ever to grace the Bengali literary community since the country's independence in 1971. He is a professor of Computer Science & Engineering at Shahjalal University of Science and Technology (SUST). Before that, Iqbal worked as a research scientist in Bell Communication Research for six years until 1994.
Birth and Family Background: Iqbal was born on 23 December 1952 in Sylhet. His father, Foyzur Rahman Ahmed, was a police officer. In his childhood, he traveled various part of Bangladesh, because of his father's transferring job. Zafar Iqbal was encouraged by his father for writing at an early life. He wrote his first science fiction work at the age of seven. On 5 May 1971, during the liberation war of Bangladesh, the Pakistan's invading army captured his father and killed him brutally in the bank of a river.
Education: Iqbal passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1968 and HSC exam from Dhaka College in 1970. He earned his BSc in Physics from Dhaka University in 1976. In the same year Iqbal went to University of Washington to obtain his PhD and earned the degree in 1982.
Personal Life: Iqbal married Dr. Yasmeen Haque in 1978. Yasmeen is the Dean of the Life Science Department, Head of the Physics Department, Provost of the Shohid Janoni Jahanara Imam Hall and a researcher at SUST. They have two children - son Nabil and daughter Yeshim. Yeshim translated the book Amar Bondhu Rashed (Rashed, My Friend) written by her father. Iqbal's elder brother, Humayun Ahmed, was the most popular author and film-maker of Bangladesh since its independence. Humayun died after a nine-month struggle against colorectal cancer on the 19 July 2012. His younger brother, Ahsan Habib, is the editor of the satirical magazine, Unmad and one of the most reknowned cartoonist of Bangladesh.
Academic Career: After obtaining PhD degree, Iqbal worked as a post-doctoral researcher at California Institute of Technology (CalTech) from 1983 to 1988. He then joined Bell Communications Research (Bellcore), a separate corporation from the Bell Labs (now Telcordia Technologies), as a Research Scientist. He left the institute in 1994 and joined the faculty of the Department of CSE of SUST.
Literary career: Iqbal started writing stories from a very early age. Iqbal wrote his first short story at the age of seven. While studying in the Dhaka University Iqbal's story Copotronic Bhalobasa was published in a local magazine. But, a number of readers at that time felt that the story was based on a foreign story. To answer this allegation, he later rewrote the story and published the story in collection of stories named Copotronic Sukh Dukkho. Since then he is the most popular writer both in Bengali Science-Fiction and in Juvenile Leterature of the country.
Other Activities and Awards: Zafar Iqbal won the Bangla Academy Award, the highest award in literature in Bangladesh, in 2004. Iqbal also played a leading role in founding Bangladesh Mathematical Olympiad. In 2011 he won Rotary SEED Award for his contribution in field of education.
টি-রেক্সের সন্ধানে আমার পড়া প্রথম মুহাম্মাদ জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাস। তখন কেবল পড়তে শিখেছি। কিন্ত আজকে এত বছর পরে যখন বইটা আবার পড়লাম, একদম ঠিক প্রথমবারের মত সেই নির্মল, নির্ভেজাল আনন্দ পেলাম।
টি-রেক্সের সন্ধানে লেখা হয়েছে টোপনের জবানিতে। টোপনরা থাকে একান্নবর্তী পরিবারে। যেখানে বাসার পুরুষ মানুষের কথা-ই শেষ কথা। ছোটদের কথার কোন দাম নেই। বাসার মহিলাদের কথার আরও দাম নেই। টোপনের একমাত্র সঙ্গী ফুপাত ভাই রাজু। একদিন হঠাৎ আমেরিকায় থাকা হীরা চাচার চিঠি আসে যে তাঁর ছেলে খালেদ বাংলাদেশ দেখতে আসছে। খালেদ আসার পর ঠিক হয় বাসার বাচ্চারা কক্সবাজার ঘুরতে যাবে। সাথে যাবে ছোটচাচা। কিন্ত ঘটনাক্রমে কক্সবাজার যাওয়ার বদলে টোপনরা যায় বান্দরবান। আর এরপর থেকেই শুরু হয় একের পর এক কাহিনী। যেই কাহিনীর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে টি-রেক্স।
রহস্যোপন্যাস হলেও এই বইয়ের মত এত সুন্দর বান্দরবানের বর্ণনা আমি আর কোথাও পাইনি। থোয়াংসা চাই কিংবা মুসলিম ভাইয়ের মত মানুষ দুনিয়াতে আছে বলেই এখনো “মনুষ্যত্ব” শব্দের সংজ্ঞা হারিয়ে যায়নি। আর ছোটচাচার মত মানুষ আছে বলেই বাচ্চারা এখনো বড় মানুষদের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেনি।
টি-রেক্সের সন্ধানে বইটার সব চাইতে ভালো দিক হচ্ছে, বইটা কোন ছাঁচে ফেলে লেখা হয়নি যেটা আমরা অনেক সময়ই মুহাম্মাদ জাফর ইকবালের বইগুলোতে দেখে থাকি। অত্যন্ত সুখপাঠ্য এই বইটা যে কোন বয়সের, যে কারোর জন্যে। নিঃসন্দেহে পড়ে দেখতে পারেন।
কিশোর উপন্যাস আমার সবসময়কার প্রিয় জনরা। আর প্রিয় লেখক জাফর ইকবালের হাতে যেন তা আরো জীবন্ত হয়ে ওঠে। চাচাদের বর্ণনা যখনি পড়েছি হেসেছি তেমনি শিউরে উঠেছি এ কেমন ধারার মানুষ? এদের কোন গ্রহে পাওয়া যায়?
ভালো লেগেছে লেখকের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু চরিত্রকে তিনি গল্পে এনেছেন এবং বইয়ের শেষে তা উল্লেখ করে দিয়েছেন। কোন অযথা বর্ণনা বা অপ্রয়োজনীয় শব্দের আতিশয্য নেই, শ্রেফ আনন্দের একটা ভরপুর প্যাকেজ।
বুড়ো বেলায় এসে ছেলেবেলায় বারবার ফিরে যাওয়ার নির্লোভ চিন্তা ইদানিং ক্ষণেক্ষণে অনুরণে ফিরে আসছে বারবার, কিন্তু উপায় তো আর নেই,থাকলে বোধহয় বিধাতা পুরুষের কাছে চেয়েচিন্তে আবার ছোট্ট হয়ে মায়ের কোলেই ফিরে যেতাম(যদিও এখনো আমার খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে জামা কাপড় কি পড়বো তাও মা ঠিক না করলে দিশেহারা হয়ে যাই, তারপরও কোলে ওঠার লোভ যে ছেড়ে দেওয়া বড্ডো শক্ত).তা যেহেতু সম্ভব নয় তখন ছেলেভুলানো জন্য বই আমার শেষ সম্বল এখন পর্যন্ত।
সেই মনভোলানো কাজটাই এই বইটা খুব সুন্দর করে করেছে,এক দম বন্ধ অসহ্যকর সব মানুষের মাঝে কাটানো কৈশোরের দুর্দান্ত দিনগুলো যখন ম্যাড়ম্যাড় ভাবে কাটছিলো টোপনদের তক্ষুনি সুদূর আমেরিকা থেকে এক পশলা বৃষ্টির মতো শান্তি আর স্বাধীনতার সুখ নিয়ে খালেদের আগমন.
এরপর কি হলো?ঐ যে যা হয় অন্যান্য বইগুলোতে, রুদ্ধশ্বাস অভিযান, পথিমধ্যে কিছু ভালো লোকের সাথে পরিচয় আর শেষে সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলোর মত চিরায়ত সেই চেনা সমাপ্তি দিয়ে এ গল্পের ও নটে গাছটি মুড়েছেন লেখক
টি-রেক্সের সন্ধানে আমার পড়া মু.জা.ই-এর দ্বিতীয় বই। প্রথম বইটা ছিল 'দুষ্টু ছেলের দল'। তখন কোন ক্লাসে পড়তাম ভুলে গেছি। সবে তিন গোয়েন্দা, গোয়েন্দা রাজু সিরিজ পড়া শুরু করেছি বোধহয়। কিন্তু অ্যাড্রেনালিন রাশ কাকে বলে, এই বইটা পড়ে টের পেয়েছিলাম সেবারই। বিশেষ করে গল্পের শেষ দিকটায়। কেন জানি না, টোপন নামটাও মনে গেঁথে গেছিল বহুদিনের জন্যে। থোয়াংসা চাই, মুসলিম ভাইয়ের নামের উৎপত্তি পড়ে মন খারাপ হয়েছিল ভীষণ। বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এরকম ভয়ংকর সুন্দর বর্ণনা খুব কমই পেয়েছি পরবর্তীতে। আজ এতদিন পড়ে বইটা নস্টালজিয়ায় ডুবিয়ে দিল।
ইহা আমার কৈশোরে পড়া অন্যতম শ্রেষ্ঠ বই। আমাকে বই পড়ার দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার পেছনে জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাস বহুলাংশে দায়ী। কিছু কিশোরের বেড়াতে গিয়ে এডভেঞ্চারের কবলে পড়া নিয়ে গল্পটা সাজানো। শেষের অংশে শুধুমাত্র ভয় দেখিয়ে দুষ্টলোকদের কাবু করার পন্থা আমার কাছে আজো ছেলেবেলার সুন্দর স্মৃতিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
সেই ক্লাস নাইন-টেনের কথা মনে পড়ে গেল বইটা পড়ে। সেই সময় জাফর ইকবালের এই এডভেঞ্চার গল্পগুলা পড়ে খুব মজা পেতাম। এই সব বই এখনো আমাকে নিস্টালজিক করে দেয়। তাই জাফর ইকবালের না পড়া বই গুলা ফাক পেলেই পড়ে ফেলি। গল্পটা বেশ ভালো। অন্য গল্পের মতই। তবে ডাইনোসর নিয়ে এডভ্যঞ্চার বাংলায় পড়া প্রথম গল্প আমার। ভালো লেগেছে।
কৈশোরে পড়া সবচেয়ে প্রিয় বইগুলোর একটা। নিঃসন্দেহে মুহম্মদ জাফর ইকবালের সেরা পাঁচটা কিশোর উপন্যাসের ছোট্ট তালিকার উপর দিকেই থাকবে 'টি-রেক্সের সন্ধানে'। বইটা যখন পড়েছি, গল্পকথক টোপনের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে নিয়েছি অনায়াসে, ছোটচাচা, ড়াজু (রাজু) আর কাহলেদ (খালেদ) এর সঙ্গ অ্যাডভেঞ্চার করে বেড়িয়েছি রহস্যময় পার্বত্য চট্রগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে আর গহীন অরণ্যে। রাতের বেলা নৌকায় রান্না করা মুসলেম মাঝির খিচুড়ির স্বাদও যেন পাচ্ছিলাম জিহবাতে! গল্পের কিছু চরিত্র নিজের ফ্যামিলি সারাউন্ডিংস এর সাথে কাকতালীয় ভাবে মিলে যাওয়ায় পড়ার সময় মনে হয়েছিল, সব বড়চাচাই মনে হয় এই রকম বিরক্তিকর হয় আর সব ছোটচাচাই এই রকম চমৎকার হয় :D । কিশোর বয়সে সবারই পড়া উচিত বইটা। না পড়লেই যে কৈশোরের পাঠকজীবন বৃথা যাবে, এমন না, তবে কিছুটা হলেও রং হয়তো হারাবে। :)
গল্পটি মূলত টোপনের ভাষায় লিখা। যার কিনা বাবা মারা গিয়েছে। আর মা তার পর থেকেই একটু অন্যরকম হয়ে গিয়েছেন। নিজের ছেলেকে আদর করেন না, কারো সাথে কোন কথাও বলেননা। সারাক্ষন রুমে বসে গল্পের বই পড়েন। টোপনদের একান্নবর্তী পরিবার। টোপন ছাড়াও পরিবারের টোপনের বয়সী আরো ছেলে আছে, নাম রাজু। অনেকটা রীতিমত মন খারাপ করা বদ্ধ এক পরিবেশে বেড়ে উঠছিল টোপন। এমন একদিন এক চিঠি এসে হাজির হল। বড় চাচার ছেলে খালেদ দেশে বেড়াতে আসবে। যার কিনা জন্ম বেড়ে ওঠা সবই এমেরিকায়। হুলুস্থুল কান্ড বেধে যায়। দেশে এসে পৌছায় খালেদ আর অদ্ভুত সব কান্ড ঘটতে থাকে। একসময় ঠিক হয় খালেদ , টোপন রাজু আর ছোট চাচা মিলে কক্সবাজার ঘুরতে যাবে। কিন্তু সেখানে রাস্তায় দেখা হয় অদ্ভুত এক হকারের যে কিনা তাদের পাহাড়ের দানোর সন্ধান দেয়। তাড়া ফসিল দেখে বুঝতে পারে এটি আসলে প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসরের ফসিল। খুজতে বের হয়ে পড়ে তারা কক্সবাজার না গিয়ে। পথে দেখা হয়ে যায় আরেক বিদেশী ফেড্রিক সাহেবের। কিন্তু কিই বা তার উদ্দেশ্য? শেষ পর্যন্ত তারা খুজে পাবে তো তাদের আরোধ্য টি রেক্সের ফসিল?
"বড় চাচার সাথে আমি বেহেশতেও যেতে রাজি না। যদি সত্যি সত্যি বড় চাচা বেহেশতে যান (আমার খুব সন্দেহ আছে) তাহলে মনে হয় মানুষজন খুন করে আমি দোজখেই যাবো।"
"মুসলিম ভাই (মাঝি) গামছা দিয়ে তার ভেজা শরীর মুছে নিচ্ছিল। আমি বললাম, তোমার ভেজা কাপড় বদলাবে না? মুসলিম ভাই হেসে বলল, এই তো, দেখতে দেখতে শুকিয়ে যাবে। আমি বুঝতে পারলাম তার আর কোন কাপড় নেই।"
"যে আমেরিকায় থাকতে পারে সে পৃথিবীর যেখানে ইচ্ছে সেখানে থাকতে পারে। সেখানে প্রতি তিন মিনিটে একটা মানুষ খুন হয়। পাঁচ মিনিটে - খালেদ হঠাৎ থেমে গেল। পাঁচ মিনিটে কি? নাহ। কিছু না।"
"থোয়াংসা চাই মাঝে মাঝে আকাশে প্লেন উড়তে দেখেছে, তার ধারণা ব্যাপাটায় কোন ধরনের যাদু আছে। তার কী ধর্ম সে জানে না। বড় হয়ে তার ঘর সংসার করার ইচ্ছে। অনেকগুলো ছেলেমেয়ে হবে। তাদের নিয়ে সন্ধ্যাবেলা ঘরের দাওয়ায় বসে গান গাইবে।"
- প্রথম পড়েছিলাম তাও ১৮-১৯ বছর আগে, স্কুলের কারও থেকে ধার নিয়ে। কেন জানি না তখন এই বইটা অতটা ভালো লাগেনি, ছোট চাচাকেও ভালো লাগেনি, কাহিনিটাও এমন কিছু মনে হয়নি। নিজের সংগ্রহে ছিলো না, গতবছর দোকানে দেখে কিনেছিলাম। আজকে আবার পড়া হলো, এবং এবার বে-এ-এ-শ ভালো লাগলো। সবটাই।
শেষ কবে পড়েছি মনে নেই। অনেক দিন পর পড়লাম। এগুলোকে এখন শুধু ইতিহাস মনে হয়।
স্কুলে থাকতে টোপনের এই তিন চাচার বর্ণনা প্রথম যখন পড়েছিলাম হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এইসব চরিত্র গল্পেই মানায় শুধু। বাস্তবে দেখলে মনে হয় এদেরকে ধরে ধরে মঙ্গলে পাঠিয়ে দিতে পারলে খুব ভালো হত। এদের হাত থেকে টোপন আর রাজুর কোন নিস্তার নেই, নিরানন্দ জীবন তাদের। কিন্তু এর মাঝে এই নিরানন্দ জীবনে খালেদের আবির্ভাব তাদের জীবনে নতুন মোড় সৃষ্টি করে। ছোটবেলায় মনে হত টোপনের মত আমাদের লাইফে হঠাৎ এমন সুন্দর কিছু হয় না কেন?!
যাই হোক, যখন টোপন, রাজু, খালেদের থ্রি মাস্কেটিয়ার্স বাহিনী ছোট চাচার সাথে মিলে বান্দরবানের পাহাড়ে আ্যডভেঞ্চার শুরু করে, তখন মনে হয় এই মুহূর্তে বান্দরবান না গেলেই যেন জীবন বৃথা। বই পড়তে পড়তে তাদের সাথে সাথে আমি নিজেও যেন বান্দরবানে চলে যাই। সাথে নৌকার মাঝি মুসলিম ভাই আর থোয়াংসা চাই তো আছেই। ডাইনোসরের ফসিল নিয়ে পড়া এটাই প্রথম গল্প ছিল আমার। বাংলায় এটা নিয়ে আর কোন গল্প আছে কিনা মনে পড়ছে না। যদিও এর আগে সুকুমার রায়ের 'জীবজন্তুর কথা' বইতে ডাইনোসর নিয়ে পড়েছিলাম। এই বইটা আমার ছোটবেলা থেকেই খুব প্রিয়, কিন্তু এটা ফিকশন ছিল না।
'টি-রেক্সের সন্ধানে' নামটা দেখেই মূলত বইটা পড়ার আগ্রহ শুরু হয়েছিলো।আমার জানার জগৎ একেবারেই সীমিত তাই নাম দেখে ভেবেছিলাম নিশ্চয়ই সিলেট,মৌলভীবাজার এবং চা বাগান সম্পর্কিত কোনো অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনী হবে এটা।গল্প এগোতেই বুঝলাম টি রেক্স হলো ভয়ংকর প্রজাতির বিলুপ্ত ডাইনোসর টাইরানোসোরাস রেক্স এর সংক্ষিপ্ত রুপ।
জাফর ইকবাল স্যারের লেখনীর ভক্ত নিতু আর তার বন্ধুরা পড়ার পর থেকে এবং নীতু আর তার বন্ধুরার মুগ্ধতার কাটায় কাটায় দশ বছর পর এই বইটা পড়লাম।কিন্তু একই রকম টানটান, রুদ্ধশ্বাস অনুভূতি হয়েছে যেমনটা ছোটবেলায় জাফর ইকবাল স্যারের কিশোর অ্যাডভেঞ্চার পড়লে হতো।যাক,ভিতরের কিশোর মনের চাপা উত্তেজনার অনুভূতিগুলো এখনো অক্ষত আছে বুঝতে পেরে একটু নির্ভার লাগছে আপাতত।ছোট কলেবরের বই, মোটামুটি এক ঘন্টার একটু বেশি সময় লেগেছে পড়তে কিন্তু এই পুরো সময় জুড়ে যেনো ছবির মতো বান্দরবান চোখের সামনে ভাসছিলো,নৌকায় রাত্রীযাপন,খাওয়া-দাওয়া সহ সমস্ত বিষয় গুলোর বর্ননা এতো জীবন্ত ছিলো যেনো টিভির পর্দায় কোনো অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা দেখছি। জাফর ইকবাল স্যারের রচনায় বরাবর কিছু উদ্ভট বর্ননা থাকে, তেমন একটা উদ্ভট ব্যাপার হলো সুন্দর চাচার আঙুল দিয়ে টেনে টেনে নাকের লোম ছেড়া এরকম কিছু উদ্ভট বর্ননা নীতু আর তার বন্ধুরার খোরাসনী ম্যাডামের চরিত্রে ও ছিলো।কয়েকদিন আগে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের প্রেত পড়ে যতোটুকু হতাশ হয়েছিলাম টি রেক্স এর সন্ধানে পড়ে তার ঠিক দ্বিগুণ আনন্দ পেয়েছি।
আমাদের ছেলেবেলা ফিরে আসুক এমন সব চমৎকার বইয়ের হাত ধরে,বড়বেলার ভারী ভারী মুহুর্ত গুলো হাফ ছেড়ে বাঁচুক বইয়ের পাতার অ্যাডভেঞ্চারে।
প্রথম প্রকাশ ১৯৯৫ সালে। Setting হলো তখনের বান্দরবান যখন জাফর ইকবাল ছোট ছিলেন। উনার জন্মসাল ১৯৫২। ধরে নিতে পারি, অবশ্যই ১৯৭০ য়ের আগের বান্দরবানকে তিনি এখানে এনেছেন৷ এখনো ২০২২ য়ে এসেও বান্দরবান-গহীনে ভ্রমণ করে মানুষ শিহরিত হয়। অর্ধশতক বছর আগে তাহলে কেমন ছিল! সাঙ্গু নদী পার করা, দুই পাশে পাহাড় মাঝখানে নদী, ঝুপ করে নামা পাহাড়ি রাত, বন্য প্রাণীর ডাক, অন্ধকার জঙ্গল, নৌকায় রাতে থাকা, মশাল জ্বালানো, মাঝিদের সৌজন্যতা, পাহাড়ে ওঠা-নামা, পাহাড়ির সাথে বন্ধুত্ব.... সব, সব ছিল এখানে। এত সুন্দর! এত স্নিগ্ধ!
ফান্টা খেয়ে ভেলাখুমে বোতল ভাসিয়ে আসার যুগ ছিল না তখন। ড্যান কেক খেয়ে ছেঁড়া প্যাকেটটা কেওক্রাডংয়ে রেখে আসার মত মানুষরাও তখন ছিল না। চিঁড়া-গুড়, পানি, মাঝির রান্না করা ডাল-ভাত ছিল! but not woman-friendly at all. কেননা, দৃষ্টিভঙ্গি অতটা উদার ছিল না তখন। স্বভাবতই "যে যুগের যে নিয়ম " পলিসি খাটে সবখানে।
যাই হোক, কিশোর কল্পকাহিনী হলেও early 20s কম মজা পাবে না৷ কারণ মানুষ বড় হয়, তবু ভেতরে একটা জায়গায় রয়ে যায় বাচ্চামি যেটা সারাজীবন ঘঁষাঘঁষি করলেও যায় না।
বি: দ্র - টি-রেক্সের 3D দেখেছি। হুংকারে কর্ণ পাতা দায়। উত্তর আমেরিকার বাসিন্দা ছিল। আর টার্বোসোরাস এশিয়ার।
এই বইটা নিয়ে একটা টিভি সিরিজ করা হয়েছিল। ইউটিউবে এভেইলেবল। বইটার একদম ফর্দাফাই করে দিয়েছে। চমৎকার একটা বই। তবে বিদেশীকে যেভাবে শায়েস্তা করা হয়েছে, তা কেবল বইয়ের পাতাতেই সম্ভব। ফসিল বা প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয়গুলো নিয়ে যাদের কারবার, তাদের এত সহজে কাবু করা যায় না। থোয়াংসা চাই চরিত্রটা চমৎকার। মুসলিম মাঝিকেও ভালো লেগেছে।
I read many of the writer's childrens' thriller books. Among them, this is really at a high quality reading. The story takes place in the hills and lake regions of our country Bangladesh. I think the settings made it vividly imaginable. It felt real and everything turned out to be really exciting.
ছোট্ট সুন্দর চনমনে কিশোর এডভেঞ্চার। বান্দরবানের গহীন পাহাড়ে টিরেক্সের ফসিল খুঁজতে যায় তিন কিশোর, তাদের সাথে যোগ দেয় বোকাসোকা ছোট চাচা ও আদিবাসী কিশোর থোয়াংসা চাই। কিন্তু গোল বাঁধে শুরুতেই, ভিলেন হিসেবে হাজির এক শ্বেতাঙ্গ। অতঃপর অনেকখানি এডভেঞ্চার, একটু মারামারি এবং অবশেষে হ্যাপি এন্ডিং।
হালকা ওভার হয়েছে আর বাকি সব ঠিক আছে।এটা আসলেই বিশ্বাস করা কঠিন বাংলাদেশে টি-রেক্সের কঙ্কাল পাওয়া যাবে।তবে ছোটদের জন্য সময় কাটানোর জন্য ভালো একটা বই।
টি-রেক্সের সন্ধানে বইটার সব চাইতে ভালো দিক হচ্ছে, বইটা কোন ছাঁচে ফেলে লেখা হয়নি যেটা আমরা অনেক সময়ই মুহাম্মাদ জাফর ইকবালের বইগুলোতে দেখে থাকি। ভালোই লেগেছে স্যারের এই এডভেঞ্চারাস কিশোর উপন্যাসটি।
I read this book for the first time when I was a teenager. I remember coming home from school, picking up the 3rd edition of Zafar Iqbal's teen novels collection, and this novel was in that edition. I remember putting my legs up in a chair, sitting curled up with this book by my window and staring out the window over the sprawling city, completely devoid of wilderness. I remember the distinct sensation of becoming the protagonist Topon, and looking at the monotonous urban environment around me, desperately searching for an adventure in the woods...
Rereading this book as an adult, many years later, I can feel those sweet memories coming back. I'd forever hold this book close to my heart since regardless of its simplicity, it made a bored urban teenager dream of adventures that she never got to have. I thank Iqbal Sir with all my heart for writing up this novel. It is full of plot holes and consists of overly simplistic narratives, and yet in all its flaws it still is a work of art- simply because it managed to make a reader dream!
ইহা আমার অইত্যান্ত পিরিয় বই! মাঝেসাঝেই মন খারাপ হইলে রিভিশন মারি! টোপন, খালিদ, রাজু, থোয়াংসা চাই, মুসলীম আই, ছোটচাচা আমার বড় প্রিয় মানুষ! প্রথমদিকের বই বলেই বোধহয় মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখা বেশ ধারালো ছিলো, এখন তো বহুব্যবহারে জীর্ণ হয়ে গেছে। বইটা বাচ্চাদের, তাই বদমাশদের শায়েস্তা করার কাজ কারবার খুব সহজ মনে হইলেও আসলে নিশ্চয়ই এতো সহজে কাউকে হার মানানো যাবে না। বিশেষত জিনিসটা যদি ফসিল হয়। বইটার মধ্যেও ঈশপের গল্পের মতো কিছু হিডেন ভালো ভালো কথা আছে, তবে মিষ্টির ভিতরে বিচির মতো ওষুধ না ঢুকিয়ে ময়ানের সময়েই গুড়া ওষুধ মেশানোতে বইটা তিতা হয়নাই, রান্না ভালো হইসে। আপসোস এই যে আজকালের মুজাই এর বই পড়তে গেলে বিচিটা বের করে নিলেও মিষ্টি তিতা লাগে। :(