ফ্ল্যাপে লিখা কথা মিসির আলির ক্লাসের বক্তৃতার অংশ ”একজন মানুষ সারাদিনে কতগুলি শব্দ ব্যবহার করে জান? ষোল হাজার শব্দ। একটা বিড়াল দিনে দশ বারোটার বেশি শব্দ করতে পারে না। যদিও তার মুল আবেগ মানুষের মতই। আমরা বিড়ালকে আবেগশূন্য প্রাণী মনে করি। কেন মনে করি জান? মনে করি কারণ বেচারার ভুরু নেই। তোমরা মনে রেখো আমরা এবং অনুভূতি প্রকাশের জন্যে সবসময় ভুরু ব্যবহার করি। এখন বলতো এই গ্রন্থের অতি বিখ্যাত এক মহিলার ভুরু নেই। তিনি তাঁর আবেগ বিড়ালের মতই প্রকাশ করতে পারেন না। বল তার নাম কি? “মোনালিসা!” ভাল করে ছবিটা দেখ। বিড়ালের মত আবেগশূন্য মোনালিসা কিন্তু পৃথিবীর মানুষদের আবেগ ধারণ করছে। কে হাত তুলব? তুমি? বল কি বলবে?
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
প্রায় একই ধরণের প্লটে মিসির আলির পুরোনো আরেকটি বই রয়েছে- "অন্যভুবন"। অন্যভুবনের মেয়েটির বয়স ছিলো কম, তবে মানুষের মস্তিষ্কে প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা ছিলো এই বইয়ের আয়না মেয়েটির মতই। মিসির আলি সেই মেয়েটির রহস্যও ভেদ করতে পারেনি, এই বইতে আয়না মেয়েটির রহস্যও ভেদ করতে পারলো না। রহস্যভেদ করতে না পারলে হুদাই পুরা বইতে যুক্তির ঝুড়ি ডালা মেলে কী লাভ? শেষে গিয়ে তো যেই লাউ সেই কদু। মিসির আলির শেষের দিকের বইগুলো পড়ে আমি হতাশ। মিসির আলি সমগ্র একটানা পড়ে গেলে যে কেউ ব্যাপারটা ধরতে পারবে। শেষের দিকে হুমায়ূন আহমেদ প্লট সঙ্কটে ভুগছিলেন।
আসলে হুমায়ুন স্যারের সব গল্পের প্যাটার্নই প্রায় একই। এর ফলে এখন তাঁর গল্প গুলোতে মজা কম পাই, কারণ জানি শেষের দিকের প্যাটার্নটাও একই থাকবে। তবুও বলব, যারা নতুন পাঠক তাদের জন্য বইটা অত্যন্ত ভালো হবে।
মিসির আলির এবারের সমস্যা আয়নার জগৎ। সে জগৎ ভিন্ন একটা ডাইমেনশনে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য মিসির আলি এসেছেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার কইলাটিতে। আতিথ্য নিয়েছেন কইলাটি হাইস্কুলের হেডমাস্টার তরিকুল ইসলাম সাহেবের বাড়িতে। ভিন্ন ডাইমেনশন, অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা, ও হিপনোটিজমের ব্যাপার এই উপন্যাসে এসেছে। হিপনোটিজম নিয়ে আরও জানতে আগ্রহ হয়।
মিসির আলি সিরিজের এই বইটা আমি মনে রাখব তরিকুল ইসলাম চরিত্রটার জন্য। লোকটা খেতে ভালোবাসেন, আরও বেশি ভালোবাসেন মানুষকে খাওয়াতে। তার আতিথেয়তা তুলনাহীন। শুরু হয় ভোরবেলায় মিসির আলিকে খালি পেটে খেজুরের রস পান করিয়ে (খেজুরের রস নাকি খালি পেটে পান করলে তৃপ্তি বেশি পাওয়া যায়)। তারপর ভাপা পিঠা, দুধ পিঠা এসব। সকালে পরোটার সাথে ঝাল মুরগির মাংস। দুপুরবেলা বিলের চিতল মাছ, যার দৈর্ঘ্য তিন ফুট সাড়ে সাত ইঞ্চি। আরেকদিন উচ্ছে ভাজি দিয়ে খাওয়া শুরু, মুখটা তেঁতো করে নেবার পর কৈ মাছের ভর্তা, কৈ মাছ ভাজা, মটরশুঁটির ঝোল (যে সে কৈ না, রানী কৈ, মাছের পেটের আশে থাকে চকচকে লাল আভা)। রাতের বেলা রাজহাঁসের সালুন, রাতে খেতে না পারলে সকালে খাওয়া যেতে পারে। তরিকুল ইসলাম ভূত প্রেতের ভোগেরও ব্যবস্থা করেন। ভূতের জন্য বড় সাইজের আগুনে পোড়ানো গজার মাছ, আর পেত্নীর জন্য ইলিশ মাছ। ভোজনরসিক হেডমাস্টার সাহেব আরও অনেকরকম মাছ নিয়ে আলাপ করেন। পড়তে খুব ভালো লাগে। বোয়াল মাছের সাইজের পাবদা মাছ, অত্যন্ত সুস্বাদু রিঠা মাছ, মহাশোল মাছ; মহাশোল নাকি এতই স্বাদের মাছ যেটা শ্বশুরবাড়িতে রান্না হলে শ্বশুর নিজেই খেয়ে নেয়, জামাইকে দেয় না। বিলের ফ্রেশ ছোট মাছ, কালি বোয়াল, খলিশা মাছ, ট্যাংরা মাছের ঝোল,...। মাছে ভাতে বাঙালি প্রবাদের সৃষ্টি কেন হয়েছে সেটা তরিকুল ইসলামের মত মানুষদের খাদ্যাভ্যাস দেখলে বোঝা যায়। উপন্যাসের লাস্ট সাপারে মিসির আলি খেয়েছেন খিচুড়ি, ঝাল গরুর মাংস (মাটির হাড়িতে রান্না করা)।
হুমায়ূন আহমেদ পড়তে গেলে প্রায়ই এমনটা হয়- গল্পের মূল বিষয়ের চেয়ে অপ্রাসঙ্গিক আলাপটা বেশি ভালো লাগে। "মিসির আলি, আপনি কোথায়?" উপন্যাসটার ক্ষেত্রেও একই অভিজ্ঞতা।
"গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয়ে দেয়। প্রেমিক প্রেমিকার হাতের পুতুল হন কিংবা প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল। দুজন একসঙ্গে কখনো পুতুল হয় না। কে পুতুল হবে আর কে হবে সূত্রধর তা নির্ভর করে মানসিক ক্ষমতার উপর।"
এই গল্পের গরু লজিকের সিঁড়ি ভেঙে ওঠেনি, সোজা গাছের মগডালে উঠে গিয়ে ডাল ভেঙে খাদে পড়ে গেছে। মিসির আলি মানেই লজিক একথা লেখক বললেও মিসির আলির অনেক গল্পতেই এক্স মেন টাইপ ক্যারেক্টারের উপস্থিতি পাওয়া নিয়েছে যারা মাইন্ড কন্টোল, থট রিডিং এ পারদর্শী। লজিকের প্রাসাদে এরকম চার্লস জেভিয়ার মার্কা ক্যারেক্টারের উপস্থিতি বিসদৃশ ঠেকলেও লেখকের অসামান্য লেখনীর জন্য অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এই গল্পটা একেবারেই আজগুবি। মিরর মুভিটাও দেখা থাকার দরুণ কনসেপটুয়্যাল চমকটাও পেলাম না।মিসির আলির কয়েকটা গল্প আলাদা বলে একেবারেই বোঝার উপায় নেই। মনে হয় শুধু চরিত্রগুলোর নাম পাল্টে দেওয়া হয়েছে, এটিও তারই দলে পড়ে। নতুন কোনো চরিত্র নেই, শুধু রয়েছে নতুন নাম। আলি সাহেব শেষমেশ হতাশই করলেন।
গায়ের লোম খাড়া করা একটা ভয়ের গল্প পড়লাম অনেকদিন পর। সাধারণত ঘুম ঘুম চোখে বিছানায় একটা বই নিয়ে শোয়ার পর ৩/৪ পাতা পড়তে না পড়তেই ঘুমিয়ে যেতে হয়। এখানে ৩/৪ পাতা পড়তে না পড়তেই ঘুম একদম চলে গেল। সেই ঘুম বই শেষ করার অনেক্ষণ পরেও আসল না। বই শেষ না করে ঘুমাতে না দেওার জন্য এখানে লেখকের মুন্সিয়ানার তারিফ করতেই হয়। এই গল্পের রহস্য আর ১০টা মিসির আলির কাহিনির মত পুরোপুরি উদ্ঘাটিত হয় নি - এই ব্যাপারটাও বইটাকে সিরিজের অন্যান্য বই থেকে আলাদা করেছে।
মিসির আলি সিরিজটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। মিসির আলি চরিত্রটি এমন একটি চরিত্র যে বিজ্ঞানের বাহিরে যেতে চায় না। সবকিছুতেই সে যুক্তি খুঁজে বেড় করতে চায়। তবে সে সবসময় তা পারে না আর এটা অসম্ভবও না।
Misir Ali is undoubtedly my most favorite character so far created by Humayun sir. And this story… is… too…freaking…interesting…!!! Faruq’s (one of Misir Ali’s students) wife Ayna ( mirror) is related to the mirror world and Misir Ali has to find out what is happening actually… the suspense, the thrilling vibes…everything is so genuine… loved it…
মানুষের মনোজগতে ঢুকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার, চমকে দেওয়ার বেশ ভালো দক্ষতা আছে হুমায়ূন আহমেদের। মিসির আলির বইগুলোর মাধ্যমে এই কাজটি তিনি আরো বেশি করেছেন। এই বইটিতে সেটির ব্যতিক্রম হয়নি। যুক্তি, রহস্যময়তা, মনোস্তাত্ত্বিক টানাপোড়ন সব মিলিয়ে বইটি পড়ে চমৎকৃত হয়েছি।
বইটা শেষ করে আপনার মধ্যে দুটো বিষয়ে আগ্রহ কাজ করবে, ▪️তরিকুল ইসলামের বাড়ির খাবার ▪️আয়না জগৎ নিয়ে ভিন্ন ডাইমেনশন, অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা, হিপনোটিজম এই ব্যাপার গুলো নিয়ে লেখকের উপস্থাপন খারাপ না। তবে শেষটায় মিসির আলী সাহেব রহস্যের সমাধান করতে পারেন নি।
আমার অতিপ্রাকৃত বিষয়ের উপর আগ্রহ বরাবরই অনেক বেশি।এই বিষয়ে গল্প করতেও ভাল লাগে,শুনতেও ভাল লাগে,মুভি দেখেও ভাল লাগে,বই পড়েও শান্তি।এক কথায় বলা যায় আমার খুবই ইন্টারেস্ট আছে অতিপ্রাকৃত বিষয়ে।আর দুইটা পছন্দের জিনিস যখন একই জায়গায় পাওয়া যায়,তখন আর কি লাগে!মিসির আলি হচ্ছেন আমার বইয়ের জগতের সবথেকে পছন্দের চরিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।তার চরিত্র থাকলেই একটা অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে আমার।এক কথায় এই চরিত্রের আমি হিউজ ফ্যান।
এই বইটা আয়নাজগতকে কেন্দ্র করে।আমার স্পয়লার পেতেও ভাল লাগে না,দিতেও ভাল লাগে না।আমি গল্পের ব্যাপারে কিছুই বলবো না।তবে,অবাস্তব কিছু প্রশ্ন করি(যার উত্তর সবার জানা), আয়নাজগত বলে আসলেই কি কিছু আছে?যাওয়া যায় কোনোভাবে আয়নাজগতে?জানি নেই।অথবা থাকলেও থাকতে পারে।থাকলে অবশ্য মন্দ হয় না।
যাইহোক,গল্পের ব্যাপারে বলতে গেলে,গল্পের প্রায় পুরোটাই উপভোগ্য।তবে শেষে যদি সব রহস্যভেদ হতো,তবে অনায়াসে ৫/৫ দিয়ে দিতাম।সবমিলিয়ে ভালো সময় পার করেছি।
গল্পটা অনেক আগে একবার পড়েছিলাম সেটা আজকে পড়ার পর বুঝতে পারলাম। যদিও কাহিনী খুব ভালভাবে মনে ছিল না। সত্যি বলতে হিমু, মিসির আলী কিংবা তিন গোয়েন্দা এ টাইপের বইগুলার নামের সাথে স্টোরি আমার কদাচিতই মনে থাকে। বাকিদেরও এরকম? 😟 মিসির আলির একটি অমীমাংসিত কেস বলা যেতে পারে এই বইটিকে। যেখানে মিসির আলি তার লজিকে আয়না নামক মেয়েটির সমস্যা সমাধানে পুরোপুরি ব্যর্থ হন। শেষমেশ কিন্তু তিনিও মেনে নেন যে ব্যাপারটা ইহজাগতিক না। বাকিটুকু বললে স্পয়লার হয়ে যেতে পারে। কৌতুহল থেকে পড়ে ফেলা উচিত বইটা। ভালোই লাগবে আশা করি....
আয়না আর তার স্বামীকে নিয়ে কাহিনী।আয়নার স্বামী মিসির আলির ছাত্র ফারুক।তারা উভয়ে এক অদ্ভুত ক্ষমতার অধিকারী। তারা উভয়ে যে কোনো ভাবে একটু চেষ্টা করলে আয়নার ভেতরে এক জগতে যেতে পারেন। ফারুক তার স্ত্রী আয়নাকে আয়নার ভেতর ঢুকে যেতে দেখে একদিন।তার মাথা কাজ করে না।তাদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েই চলে, তারা আলাদা থাকা শুরু করে।একসময় এমন হয় যে আয়নাকে ফারুক বাড়িতে রেখে আসে। পরে সে মিসির আলির কাছে চিঠি লিখে পাঠায় এই ব্যাপারে,যেন মিসির আলি আয়নার গ্রামে গিয়ে থাকে এবং পর্যবেক্ষণ করে।মিসির আলিও যান। অতপর ঝামেলার অবসান ঘটান।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Another unique piece . . Parallel worlds of MIRRORS, where more dimensions are talked about. Usual Mishir Ali elements are scattered as well. . from the comical one-liners by the School Headmaster to the Beautiful and Mystical Damsel to the Good Natured Helping Hand and a half-baked male character. Along with those, the dynamic character of Mishir Ali. What more do you want??
একটা সময় পর্যন্ত কোনো কেরেক্টার এর ডেভলপমেন্ট ঘটে তার পর বেশি লিখতে গেলে পড়ে মজা পাওয়া যায় না। ইউড়ি গেলার এর কথা যখন বলেছে তাহলে জেমস্ রেন্ডি এর বিষয়ে ধারণা থাকা উচিৎ! উনি চামুচ বদল করায় ইউরি আর চামুচ বাকাতে পারে নি। আর তাছাড়া আয়না জগৎ!? ১২ বছর বয়সে পড়ে আনন্দিত হয়েছি। এখন উদ্ভট মনে হয়!
প্রায় একই প্লটে মিসির আলির আরেকটি বই রয়েছে- "অন্যভুবন"। এই পুরো বইটিতে ধরা হয় মিসির আলির ছাত্র ফারুকের স্ত্রী আয়নার মধ্যে অস্বাভাবিকতা বা আয়নার সাথে যোগাযোগ আছে কিন্তু শেষে দেখা যায় অস্বাভাবিকতা ফারুকেরই।আয়না তাকে শুধু কভার করেছে।বইটি মিসির আলির অমিমাংসিত রহস্যের আওতায় পরে।শেষের দিকে মনে হয়েছে হুমায়ূন আহমেদ প্লট সঙ্কটে ভুগছেন।
মিসির আলির বেশিরভাগই বইয়ের মতই প্রথমদিকে কৌতুহল তৈরি করে শেষে কৌতুহলের স্বাদ অসম্পূর্ন রেখেই গল্প ফুরিয়েছে। জীবন যেমন সকল আশা পূরণ করে না, মিসির আলির বেশির ভাগ গল্পও তেমন।
এই বইটা... মানে, এর প্রতিটা পৃষ্ঠা যেন আমার মনের ভেতর কোথাও গিয়ে ধাক্কা মারছিল। লেখা ছিল সহজ, সাবলীল, আর সেই জন্যই এত গভীর মনে হয়েছে। এই বই আমাকে শিখিয়েছে যে ভ্রম (delusion) কতোটা বাস্তব, কতোটা বিপজ্জনক — আবার একই সাথে কতোটা রোমাঞ্চকরও হতে পারে। মিসির আলীর চিন্তা, তার ডায়ালগ, আর প্রত্যেকটা ঘটনা যেন আমাকে আরেকটা জগতের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল।
💭 এই বই শুধু পড়া হয় না, অনুভব করা হয়। যদি তুমি কখনো নিজের মন নিয়ে প্রশ্ন করো, নিজের আশেপাশের মানুষদের আচরণ বুঝতে চাও — এই বই তোমার দরকার। একটা বই যখন জ্ঞান দেয়, বিনোদনও দেয়, তখন সেটাই হয় রত্ন।
মিসির আলী, আপনি কোথায়? কারণ আপনি আমার চিন্তায় থেকে গেলেন।