Jump to ratings and reviews
Rate this book
Rate this book
ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
তার নাম রূপা। ইংরেজিতে Silver তবে Silver না হয়ে Quick Silver নাম হলে ভাল হল। কুইক সিলভার হল ‘পারদ।’ পারদ রূপার মতই উজ্জ্বল কিন্তু তাকে ধরা যায় না।

128 pages, Hardcover

Published February 1, 2010

74 people are currently reading
1197 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

456 books2,906 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
331 (19%)
4 stars
649 (37%)
3 stars
541 (31%)
2 stars
142 (8%)
1 star
50 (2%)
Displaying 1 - 30 of 79 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
August 8, 2018
রুপা, এই মেয়েটা একটু অন্য রকম, তার এক আলাদা জগৎ আছে সেই জগৎ যেন জল রঙ এ আঁকা, নানান রঙ এর মিতালী তে তার জগৎ পূর্ণ, বাবা হারুনুর রশিদ, মা শায়লা খানম, সুলতান চাচা, কাজের মেয়ে মলিনা এবং এক রহস্যময়ী মেয়ে মদিনা এই কজন মিলেই রুপা নামের মেয়েটির জগৎ, এই জগতের একেক মানুষ একেক রঙ এ রুপা কে অবিরাম রাঙিয়ে দিচ্ছে, হঠাৎ কারো আগমন রুপার এই রঙিন জীবনে, অন্য এক রঙ এ রুপাকে সাজাতে। সেই ছেলেটি রাশেদ, ভুল বাড়িতে চলে আসা ছেলেটি রুপার জীবনে তুলির ছোঁয়া দিলো, সেই তুলিতে ছিল এক অনন্য এক রঙ, ভালোবাসার রঙ। রুপা নামের মেয়েটির জীবন এভাবেই রঙ এর খেলায় চলতে থাকে এক রহস্যে আবরণে, যেই রহস্য টেনে নিয়ে যাবে বই এর শেষ পাতা পর্যন্ত, কিন্তু তাও রহস্যের কিনারা হবেনা, এক রহস্য চাদরে মুড়িয়ে শেষ হবে রুপা |
Profile Image for Dystopian.
434 reviews228 followers
October 14, 2023
বয়স বাড়ে, বাড়ে মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা। সব গল্প সব সময়ের না। কিশোর বয়সে পড়া রূপা যুবক বয়সে এসে আগের আপিল টা না ধরে রাখাটা স্বাভাবিক।
Profile Image for Susmita Sarker (বাচ্চা ভূত).
193 reviews11 followers
January 29, 2023
অদ্ভূত সুন্দর! প্রচন্ড অদ্ভূত লেগেছে:' হুমায়ূন স্যারের বই পড়ার সময়ই এমনটা হয়, একটা ঘোরের মধ্যে থাকি! কোথা থেকে কি হলো,কি হবে:' শেষের একটা এন্ডিং! অদ্ভূত!
Profile Image for Mehedi Hassan.
46 reviews19 followers
May 2, 2025
হুমায়ূন আহমেদের গল্প বলার কৌশলটা আরও একটু নিবিড়ভাবে বোঝার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো ‘রূপা’ উপন্যাসটা পড়লাম। 
.
আগাগোড়া। 
.
প্রথমবার পাঠে আর সবার মতো, আমিও কেবল পড়ার খাতিরেই পড়ে গিয়েছি বইটা। অর্থাৎ পড়ে মজা পেয়েছি এবং এরপর (হুমায়ূনের আর সব উপন্যাস পাঠের পর যা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা) ভুলে গিয়েছি। কিন্তু কেন মজা পেলাম আর কেনইবা ভুলে গেলাম এর সুলুক সন্ধানে এই দ্বিতীয়বারের পাঠ-ভ্রমণ। 
.
রূপা উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে। অর্থাৎ লেখকের মৃত্যুর মাত্র ২ বছর আগে। তখন পর্যন্ত খ্যাতির শীর্ষে হুমায়ূন আহমেদ। তুমুল জনপ্রিয় বলতে যা বোঝায়, তাই। আমার এখনও মনে আছে, এই উপন্যাসটি প্রকাশের পরপর আমাদের পাঠক মনে বেশ আলোড়ন তুলেছিল বইটি। বলাই বাহুল্য সেটি ছিল উপন্যাসের নামকরণের জন্য। 
.
রূপা। 
.
এই নামটি হুমায়ূন আহমেদের কালজয়ী চরিত্র হিমুর সাথে এমন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে যে, স্বয়ং হুমায়ূন আহমেদ বহু আগে ‘রূপা’ নামে একটি প্রেমের গল্প লিখে আর কোথাও এই নামটি ব্যবহার করেননি। যদিও আমরা জানি হুমায়ূন আহমেদ একই নাম ঘুরে ফিরে তাঁর গল্প-উপন্যাসে ব্যবহার করতেন। এই যেমন আনিস, শওকত, হাসান, জরী, তিতলি, ফুলি, মতি ইত্যাদি। 
.
ফলে কোনো বইয়ের নামকরণে ‘শুভ্র’ নামটি দেখলে পাঠক যেমন ধরে নিত এটি শুভ্র বিষয়ক কোনো বই, তেমনি ‘রূপা’ নামটি দেখার সাথে সাথে আমাদের পাঠক-মনে এই আকাঙ্ক্ষা জন্মেছিল যে, এটি বুঝি হিমুর রূপার সম্পর্কিত বই। 
.
সেই রূপা, যে কিনা গভীরভাবে ভালোবাসত হিমু নামের এক উড়নচণ্ডী যুবককে। হিমু যখনই বলত, তখনই সেই মেয়েটি নীল শাড়ি পরে ভরা জোছনায় দাঁড়িয়ে থাকত বারান্দায়। মজার ব্যাপার হলো, রূপাকে কিন্তু খুব একটা দেখা যেত না হিমুর উপন্যাসগুলোয়। কেবল ফোনালাপে ওর কথা শুনতাম কিংবা কল্পনায় দেখতাম রূপা দাঁড়িয়ে আছে কোথাও। অথচ হিমুর কিছু সংকটময় মুহূর্তে ঠিকই হাজির হত রূপা। এই প্রায় অদেখা আবার একইসাথে হৃদয়ের খুব কাছে থাকা মেয়েটিকে আরও একটু স্পষ্ট করে চিনে নিতে পাঠকের মনে আকুতি ছিল। তখন তো আমরা এও ভেবে বসেছিলাম যে, এতদিন হিমুর বয়ানে আমরা রূপাকে চিনে এসেছি, এখন হয়তো রূপার বয়ানে হিমুকে জানার একটা সুযোগ লেখক আমাদের করে দেবেন।
.
আর এ কারণেই কিনা জানি না, এক মেলাতেই এই বইয়ের দশটি মুদ্রণ হয়েছিল [আমার ভুলও হতে পারে, হয়তো বইটাই আসলে ভালো ছিল, তাই এত বিক্রি হয়েছিল (আমার হাতে যে বইটা দেখা যাচ্ছে, সেটা এই বইয়ের সপ্তদশতম মুদ্রণ, সাল ২০২৪। অর্থাৎ প্রথম বছরে বইয়ের দশটি মুদ্রণ হলেও পরের চৌদ্দ বছরে ৭টি মুদ্রণ হয়েছে)]। অবশ্য রকমারি, গুডরিডস আর ফেসবুকের বিভিন্ন বইয়ের গ্রুপের রিভিউকারীদের রিভিউ পড়ে জানা গেল, অনেকেই আমার মতো হিমুর রূপা ভেবেই বইটা কিনেছিলেন কিংবা পড়া শুরু করেছিলেন। 
.
কিন্তু হায়, এই বইয়ের রূপা, হিমুর রূপা নয়! এই রূপা অন্য আরেক মেয়ে। 
.
কিন্তু অন্য রূপা হলেও এর স্বভাবচরিত্র হুমায়ূন আহমেদের অপরাপর নায়িকাদের মতোই। অর্থাৎ অতি রূপবতী (রূপবতী বলাটা কি ঠিক হলো? বইয়ে কোথাও কিন্তু রূপার রূপের বর্ণনা নেই। অবশ্য হুমায়ূন আহমেদের নায়িকা যেহেতু তাই রূপবতী হিসেবে ধরে নিলে খুব একটা দোষ হবে না), অতি গুণবতী [গুণের মধ্যে একটাই গুণ আছে, ছবি আঁকে (ওহ না, আরেকটা গুণ আছে। খুব ভালো আমের জ্যুস বানাতে পারে) যদিও সেসব ছবি বিক্রি হয় কিনা কিংবা তা নিয়ে আলোচনা হয় কিনা সেটার কোনো উল্লেখ বইতে পাওয়া যায় না], অতি বুদ্ধিমতী (বুদ্ধি চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে টাইপ বুদ্ধি। পু বললে পুঁটি থেকে পুলিশ সব বুঝে ফেলে) এবং অতীব পাকনা (চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলে, সব কিছুই আগে থেকে জেনে বুঝে বসে থাকে, সেগুলো আবার প্রকাশও করে নির্দ্বিধায়)। 
.
তবে হিমুর রূপার সাথে এই রূপার বিশেষ একটা পার্থক্যও রয়েছে। আর তা হলো, হিমুর রূপা একদম সাধারণ একটি মেয়ে, আর এই রূপা খানিকটা আধ্যাত্মিক ক্ষমতাসম্পন্ন। হিমু যেমন আগেভাগে অনেক কিছু বলে দিতে পারে, রূপাও তেমন কিছু একটা বলতে পারে (যদিও সে কথা সত্যি হয় না), আবার মাঝেমধ্যে ভূতও দেখতে পায় সে। রূপার বাবা হারুন সাহেব সারা দেশে অলৌকিক কর্মকাণ্ড খুব উৎসাহের সঙ্গে খুঁজে বেড়ান, এদিকে নিজের ঘরেই যে এরকম একটা আদিভৌতিক ক্ষমতাসম্পন্ন নারী বাস করছে, সেই খবর রাখেন না (এই কথাটা কিন্তু আমার না, রুপা নিজেই এই ডায়লগ দিয়েছে তার বাবাকে)
.
হুমায়ূনের বইয়ে এইরকম ক্লিশে সংলাপ আর সস্তাদরের রসিকতা থাকে। তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু  তারপরেও লোকে কেন হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ে? হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের মধ্যে এমন কী ছিল বা আছে, যা পাঠক নিমেষেই পড়ে ফেলতে পারে? 
.
অনেকেই হয়তো বলবেন, হুমায়ূনের সহজবোধ্য ভাষা কিংবা কথোপকথনের ভিত্তিতে কাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতাকে। এই দুইটি বৈশিষ্ট্য ছাড়াও আর-একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য এবারের পাঠে লক্ষ করা গেল। আর তা হল, হুমায়ূন আহমেদ মূলত গল্পের ভেতরে অসংখ্য গল্প বলেন। মানুষ গল্প শুনতে পছন্দ করে। কিন্তু বিশাল একটা বইয়ে কেবল একটি গল্প থাকলে পাঠক স্বভাবতই বিরক্ত হয়ে যায়। হুমায়ূন আহমেদ করেন কী, মূল গল্পের পাশাপাশি আরও অসংখ্য ছোট ছোট গল্প চরিত্রদের মুখ দিয়ে বলতে থাকেন। এর ফলে লেখার মধ্যে একধরণের গতিময়তা প্রকাশ পায়। আর এই গল্প শোনার আগ্রহেই পাঠক কখন যে বইয়ের শেষে চলে আসেন তা বুঝতে পারেন না। 
.
যেমন, ‘রূপা’ উপন্যাসের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, রাশেদ নামের এক যুবক আমেরিকা থেকে রূপাদের বাসায় এসে রূপার বাবার খোঁজ করছে। এদিকে রূপার বাবা গিয়েছে ‘ঘড়ি না দেখেই সময় বলতে পারা’ এক অদ্ভুত মেয়ের সন্ধানে। ফোনালাপের মাধ্যমে রূপা জানতে পা��ে, রাশেদ নামের কাউকে রূপার বাবা চেনেই না। তাহলে কে এই ব্যক্তি? ঠিকানা ভুল করে চলে এসেছে রূপাদের বাড়িতে? সে কথা জানাতেই লোকটি নিজের ব্যাগ-লাগেজ সবকিছু ফেলে রূপাদের বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। 
.
প্রথম অধ্যায়েই এই ঘটনাটি ঘটে, কয়েক পৃষ্ঠার মধ্যে। আর এরই মাঝে আমরা বেশ কিছু গল্প লক্ষ করি। এক, রাশেদের গল্প [(কে এই রাশেদ? বিদেশ থেকে সে কেন সরাসরি এলো রূপাদের বাসায়? রূপাকেই বা প্রথম দেখায় এমন তুমি তুমি করে বলছে কেন? রূপাকে কি সে চেনে? রূপা তো তাকে চেনে না। তাহলে রূপার সাথে রাশেদের সম্পর্কটা আসলে কীসের?) এই প্রশ্নগুলো পাঠকের মনে চলতে থাকে] দুই, হারুন সাহেবের গল্প [হারুন সাহেব রূপার বাবা। হুমায়ূনের সৃষ্টি করা আর সব বাবার মতো হারুন সাহেবও খানিকটা অদ্ভুত ধরণের (ছিটিয়াল বললেই বুঝি ভালো মানায়)। পেশায় ছিলেন ইতিহাসের অধ্যাপক। বর্তমানে বাংলাদেশের ইতিহাস ছন্দাকারে লেখার চেষ্টা করছেন আর মাঝে মাঝে বন্ধু সুলতান সাহেবের সাথে করে আলৌকিকতার সন্ধান করে বেড়াচ্ছেন। হারুন সাহেবের স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে অন্য আরেকজনের সাথে চলে গেছেন, কিন্তু লোকটি এখনও তাঁর স্ত্রীকে ভুলতে পারেননি। ক্ষণে ক্ষণে তাঁকে নিয়ে কবিতা লেখেন আর প্রায় প্রায়ই স্ত্রীর কাছে ফোন করেন। পাঠকের কৌতূহল থাকে রূপার মায়ের প্রতি]। তিন, রূপাদের বাড়ির গল্প (রূপাদের বাড়ি ঢাকা শহরের মধ্যে থেকেও মফস্বলের একটা বাড়ি মতো ভাইব দেয়। বাড়িটি রূপার দাদার কেনা। এই দাদারও একটা গল্প আছে। একবার বাথরুমে গিয়ে আটকা পড়েছিলেন তিনি। সেই থেকে জানা যায় এই বাড়িতে অশরীরী কিছু একটা আছে। রূপা অবশ্য সেসব নিয়ে চিন্তিত না। কিন্তু পাঠকের কৌতূহল ধরে রাখার জন্যে এই ব্যাপারটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ)। চার, কাজের মেয়ে মলিনার গল্প (হুমায়ূনের সৃষ্ট কাজের মেয়েরা বেশি কথা বলে, এই মলিনা মেয়েটাও তাই। মুহূর্তের মধ্যে রাশেদকে সে আপন করে নেয়। আবার রূপার সাথে বাঁকা বাঁকা কথাও বলে, মলিনার ব্যাপারেও আগ্রহ জাগিয়ে রাখেন হুমায়ূন আহমেদ)। এভাবে নানা চরিত্রের বলা বিভিন্ন গল্পের মধ্যে দিয়ে কৌতূহল জারি থাকতে থাকতে আমরা ধীরে ধীরে গল্পের অন্যসব পার্শ্বচরিত্রের সাথে পরিচিত হতে থাকি। 
.
কিন্তু শুধু কি এই গল্পের পর গল্প বলেই হুমায়ূন আহমেদ তাঁর পাঠককে লেখার সাথে আটকে রাখেন? আমার কাছে তা মনে হয়নি। খেয়াল করে দেখলাম, হুমায়ূন আহমেদ গল্পে প্রচুর চমকে যাওয়ার মতো তথ্য দেন। যেমন ল্যুভর মিউজিয়ামে কোন বাঙালি চিত্রশিল্পীর ছবি রয়েছে আবার কোন দুইটি পূর্ণসংখ্যার গুণফল ৭ হয়, এমন সব অদ্ভুত এবং বিচিত্র ধরনের তথ্য তিনি কথোপকথনের ভঙ্গিতে লেখায় উপস্থাপন করে পাঠককে সর্বদা লেখার প্রতি মনোযোগী করে রাখছেন। আবার ছোট ছোট প্রবাদ-বাক্য কিংবা গ্রামদেশে প্রচলিত ছড়া সেগুলোও উপস্থাপন করছেন তিনি চরিত্রদের মুখে। আমার কাছে মনে হয়েছে এটাও হুমায়ূন আহমেদের পাঠক ধরে রাখার একটি কৌশল (এখানে একটা প্রশ্ন আছে। আচ্ছা, হুমায়ূন আহমেদকে কপি করে যেসব লেখক লেখা লেখেন, তারা কি এই কৌশলগুলো কখনো ব্যবহার করেন? কারো জানা থাকলে বলতে পারেন)।
.
হুমায়ূন আহমেদের বিস্তৃত পাঠের নমুনাও আমরা দেখতে পাই বইয়ের মাঝে। বিভিন্ন বইয়ের রেফারেন্স টানছেন তিনি অহরহ। যেমন এই উপন্যাসে দুইটি বইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। একটি হল Maths in Rhyme (আচ্ছা, এই বই পড়েই কি হুমায়ূন আহমেদ তাঁর বিখ্যাত ‘অংকশ্লোক’ গল্পের আইডিয়া পেয়েছিলেন?) অপরটি Into Thin Air। 
.
এইভাবে পাঠককে নানা ধরনের তথ্য উপাত্ত এবং একটার পর একটা ছোট ছোট গল্প দিয়ে হুমায়ূন তাঁর লেখাকে পরিণতির দিকে নিয়ে যান। এটা হুমায়ূন আহমেদের যেমন অনন্য বৈশিষ্ট্য তেমনি আমার কাছে মনে হয়েছে, ঠিক এই কারণেই হুমায়ূনের কোনো গল্প-উপন্যাস পাঠ শেষে পাঠকের আর মনে থাকে না। কারণ এখানে এত এত গল্প থাকে যে, পাঠক কোনটা রেখে কোনটা মনে রাখবে তাই ঠাহর করতে পারে না। গল্প শোনার আনন্দে সে হয়তো তরতর করে পড়ে যায়, কিন্তু পড়া শেষে তা আবার ভুলেও যায়। ঠিক যেরকম অজস্র গল্প শুনে আমরা যেভাবে ভুলে যাই তেমনটা। 
.
শেষ কথা বলি, ‘রূপা’ আহামরি কোনো উপন্যাস নয়। কিছুটা রহস্য, হালকা আদিভৌতিক ব্যাপার-স্যাপার, বেশ খানিকটা রোম্যান্টিকতা আর একরাশ ক্লিশে ঘটনার সমাহার এই উপন্যাস। পুরো দুই পৃষ্ঠা জুড়ে লেখক একটা ফালতু টিভি নাটকের ঘটনা লিখে রেখেছেন। কিছু ঘটনার ব্যাখ্যা যেমন নেই বইতে, তেমনি নেই ওই ঘটনার কোনো পরিণতিও। পড়া শেষে মনে হয়েছে লেখক বুঝি শুধু লেখার খাতিরেই লিখে গেছেন। হয়তো সেগুলো নিয়ে কোনো পরিকল্পনা ছিল লেখকের কিন্তু শেষমেশ তা আর গোছানো হয়ে ওঠেনি তাঁর। তারপরেও এই উপন্যাসের পরিণতি অনেকেরই ভালো লেগেছে। অন্তত গুডরিডস আর ফেসবুকের পাঠকদের রিভিউ তাই বলছে। যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয়েছে, উপন্যাসের নানান অসঙ্গতি ঢাকবার জন্যে লেখক তড়িঘড়ি করে এমন জ্যোৎস্নাশোভিত রোম্যান্টিক পরিণতি দিয়েছেন। আর উপন্যাসে বাঙালিকে জোছনা আর রোম্যান্টিক সমাপ্তি দিলে যে সাত খুন মাফ হয়ে যায়, সেটা হুমায়ূন আহমেদের চাইতে আর কেইবা ভালো জানতেন!
.
সবাইকে ধন্যবাদ।
Profile Image for Sourav Das.
42 reviews76 followers
October 31, 2016
"The universe is not only queerer than we suppose,but queerer than we can suppose" -J. B. S. Haldane (an evolutionary biologist, you may check out his other words if you would like to :p )
বইয়ের ভিতরে রাশেদের ডায়রিতে এই লাইনটা লেখা ছিল।পুরো বইটার ভেতরে লেখক একটা রহস্যের কুয়াশা তৈরী করতে চেয়েছেন। আমার মতে তিনি সফল!

"প্রকৃতি লীলাময় , তার লীলা বোঝা বড়ই কঠিন। সে তার সব রহস্য কখনোই প্রকাশ করে না!" আমরা মানুষেরা নিজেদের সুবিধা মত একটা মানে করে নিই আরকি।

বইটার সাথে বেশ একটা চমৎকার স্মৃতি জড়িয়ে থাকবে। একদম ভোর বেলায় বৃষ্টিভেজা বাতাসের মাঝে করিডোরে বসে বসে এক কাপ চা, বইটা আর আমি। কাহিনীর আদলটা একটু গৎবাঁধা হুমায়ূনীয় ছাপ ছিল।তবে কিছু ঠু হাই কথাবার্তা ছিল! ভাল লেগেছে বইটা। :)
Profile Image for Salman Mahmud Rasel.
60 reviews29 followers
June 28, 2017
কিছু ক্যারেক্টারের সমাপ্তি টানা দরকার ছিল, শেষে এসে এতটা তাড়াহুড়া করে অসমাপ্ত না রাখলে বইটা আরও উপভোগ্য হত।
Profile Image for Linking Saßßir.
33 reviews3 followers
January 27, 2022
যখন কিছুই পড়তে ভালো লাগে না তখন হুমায়ুন আহমেদ পড়ি। অনেকটা রিডিং ব্লক কাটানোর অস্ত্র এইটা।
Profile Image for Maharab Ope.
13 reviews15 followers
March 6, 2023
বেশ কয়েকদিন বই পড়া হচ্ছিল না। এই সমস্যা সমাধানের অব্যর্থ অস্ত্র হুমায়ূন আহমেদ। রুপা হাতের কাছেই ছিল, পড়া শুরু করলাম। হুমায়ূনের গল্প বলার সেই চিরচেনা ভঙ্গি, সহজ সরল। তেমন আহামরি কিছু না তারপরও মুগ্ধ, শুরু করলে শেষ করা ছাড়া উঠতে মন চাইবে না। স্রেফ সময় কাটানো কিংবা বিনোদনের জন্য হলে এই ধরণের বই গুলো সেরা। গল্পের গভীরতা খুঁজতে আসলে হতাশ হবেন।
Profile Image for Maharaj Mahmud.
7 reviews
February 19, 2022
কিশোর বয়সে যখন শরীরে হরমোন টগবগ করত তখন একবার বইটি পড়েছিলাম। আজ বাইশ বছর বয়সে এসে আমাকে পছন্দ করে এমন একটি মেয়ে বইটি আমাকে পড়তে বলে তাই বইটি আবার পড়লাম। মূল উদ্দেশ্য ছিলো কিশোর বয়সের পাঠক মানসের সাথে আমার যুবক বয়সের পাঠক মানসের কোনো আমূল পরিবর্তন হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করা। উদ্দেশ্য সফল। কিশোর বয়সে উপন্যাসটি পড়ে আমার মন আবেগের উচ্ছ্বাসে উদ্বেলিত হয়নি�� বরং হুমায়ুন আহমেদ এর কাছ থেকে এমন অগভীর উপন্যাস পেয়ে কিছুটা বিরক্ত হয়েছিলাম।
বাইশ বছর বয়সে এসে সেই বিরক্তির সাথে আরো নতুন কিছু জিনিস যুক্ত হলো।
হুমায়ূন আহমেদ এর উপন্যাস পর্যালোচনা করতে বসলে বইয়ের প্রকাশকাল লক্ষ্য করা আবশ্যক। 'রূপা' বইটি প্রকাশ পাবার সময় লেখক খ্যাতির তুঙ্গে অবস্থান করছেন এবং বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতের কিংবদন্তির আসনে সমাসীন রয়েছেন। এমতাবস্থায় যেকোনো লেখকের উপরেই প্রকাশনী গুলোর চাপ থাকবেই এবং সবার প্রত্যাশা পূরণ করতে গিয়ে লেখক নিজের লেখক মনকে পুরোপুরি মেলে ধরতে না পারাটাই স্বাভাবিক। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস গুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই বেশিরভাগ উপন্যাস কলেবরে ক্ষুদ্র এবং ২০০ পৃষ্ঠার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এর সাথে অর্থনৈতিক একটি ব্যাপারও যুক্ত। হুমায়ূন আহমেদ এর ভক্তবৃন্দের দিকে যদি আমরা লক্ষ্য করি, তারা প্রায় সবাই উঠতি বয়সি তরুণ তরুণী। স্বভাবতই তারা ছাত্র। এই বয়সের মানুষগুলোর সাইকোলজি হুমায়ূন আহমেদ বেশ ভালোভাবে ধরতে পেরেছিলেন। এ প্রজন্মের পাঠকরা ৪০০-৫০০ পাতার উপন্যাস পড়তে খুব একটা আগ্রহী না। তাদের কাছে আদর্শ উপন্যাস বলতে একদিনে পড়ে ফেলা যায় এবং পাঠ শেষে মনের মধ্যে একটা দুষ্ট মিষ্টি অনুভূতি থাকবে এটাই এ যুগের পাঠকদের প্রত্যাশা। এক্ষেত্রে আমরা পাঠকদের খুব বেশি দোষ দিতে পারি না। তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বইগুলো তাদের প্রিয়জনদের থেকেই পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে যিনি বইটি দিচ্ছেন এবং যিনি বইটি নিচ্ছেন উভয়েই চাইবেন তাদের প্রিয়জনের সাথে বইয়ের মিল খুঁজতে।
বইটি সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয়, এটি আরেকটি হুমায়ূন ধারার বই। আর দশটি হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের সাথে এর বিশেষ পার্থক্য নেই। নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, হুমায়ূন আহমেদের সব বইয়ের মত এই বইটিতেও উপন্যাসের মূল চরিত্রের বাবা 'হারুন সাহেব' একটি উদ্ভ্রান্ত চরিত্র। তার চরিত্রের মধ্যে কিছু পাগলামী ঢুকিয়ে দিয়ে চরিত্রটিকে অতিরঞ্জিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলস্বরূপ উপন্যাসের লেজেগোবরে অবস্থা। বাবা -মা এর ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর বাবার সাথে বড় হওয়া একটি মেয়ের হুট করে প্রেমে পড়ে যাওয়ার মাধ্যমে উপন্যাসের সূচনা। এখানে চরিত্র বিনির্মাণ নেই বললেই চলে। একটার পর একটা চরিত্র শুধুমাত্র কাহিনীর প্রয়োজনেই সামনে আসছে এবং যাচ্ছে। এবং পরিশেষে একটা প্রাকৃতিক বর্ণনার মাধ্যমে ক্লাসিক হুমায়ূন সমাপ্তির মাধ্যমে উপন্যাসটি শেষ করার একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা করা হয়েছে।
বই হচ্ছে বই ই। কোনো বইকে তাই বাজে বলতে নেই। হুমায়ূন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক ছিলেন। মানুষের প্রিয় জিনিসের পরিবর্তন ঘটে বয়সের সাথে, আমারও ঘটেছে। আর বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হুমায়ূন আহমেদের লেখার পরিবর্তন ও চোখে পড়ার মত। উপন্যাসটি 'রূপা' নামের কারণে একটু বেশি প্রচার পায়। কার্যত এই 'রূপা' আমাদের 'হিমু'র 'রূপা' নয়। সেই 'রূপা' আমাদের সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে আজীবন এবং তাই থাকা উচিত। এই উপন্যাসটির পাঠকদের বয়সসীমা আমি বলবো ১৬-১৮। এরপর যদি কেউ এই বই পড়ে তাহলে আমি তাকে সময়ের অপচয়ই বলবো। তবে ঢাকা শহরে যেই জ্যাম সেই জ্যামে বসে এমন উপন্যাস দিনে দুই তিনবার পড়ে ফেলা যায়। শেষে বলবো, যিনি প্রথমেই 'নন্দিত নরকে' ও ' শঙ্খনীল কারাগারে' এর মত উপন্যাস লিখে ফেলেন‌ তাঁর জন্য জীবনের শেষ বয়সে এসে লিখার মান ধরে রাখতে পারাটা বেশ শক্ত কাজই বটে।
Profile Image for Humayun Kabir.
12 reviews1 follower
August 22, 2020
বই_রিভিউ

বই :- রুপা
লেখক :- হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশক :- অন্বেষা প্রকাশনী
মুদ্রিত মূল্য:- ২০০ টাকা

রুপা নামটা শুনলেই স্বাভাবিকভাবেই হিমু নামটা চলে আসে।যেন রুপার সাথে হিমু কিংবা হিমুর সাথে রুপা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।হিমু ও রুপা জুটি একত্রে অনেক বইয়ে থাকলেও এই বইয়ে হিমু নেই।এখানকার রুপা জোসনা রাতে নীল শাড়ি পরে হিমুর জন্য অপেক্ষা করেনা।এ রুপাও রুপবতী এবং বুদ্ধিমতী(beauty with brain🤓)।এখানে রুপার জন্য হিমু না থাকলেও অন্যকেউ আছে!
অন্যকেউ টা কে? পরে বলছি...

কাহিনী সংক্ষেপ :- কলাবাগানের বাগানঘেরা একটি দ্বিতল বাড়িতে রুপা ও তার অদ্ভুত চিন্তাধারার বাবার বাস।রুপার বাবা ইতিহাস লিখছেন কিন্তু সেটা পদ্যের ছন্দে।ছাদে রয়েছে দেশী মাছের ছোট্ট পুকুর।সেখানে আবার তিনি বড়শী দিয়ে মাছও ধরেন।ছোটবেলায় রুপার মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হলে রুপা ওনার কাছেই থেকে যায়।আর উনি পত্রিকায় পীরফকিরের খোঁজ পেলেই গাড়ি নিয়ে দৌড়ান।সাথে থাকে তার বন্ধু সুলতান।রুপা তাকে সুলতান চাচা বলে ডাকে।এই চাচার অদ্ভুত সমস্যা উনি এক কথা দুইবার করে বলে,কখনোবা তিনবার।
সাথে কাজের মেয়ে মলিনা যার অতিরিক্ত কথা বলার বাতিক রয়েছে।রুপার ধারনা এই মেয়েকে সুযোগ দিলে সে কথা বলার ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করবে।
এভাবেই সব অদ্ভুত মানুষ আর কাজকর্ম নিয়ে চলছিল রুপার দিনরাত্রি।হঠাৎ করেই অপ্রত্যাশিত ভাবে আমেরিকা থেকে ভুল ঠিকানায় রাশেদ নামের একজন চলে আসে রুপাদের বাসায়।হ্যাঁ,আপনি ঠিকই ধরেছেন।এই অপ্রত্যাশিত অতিথিই হচ্ছে গল্পের নায়ক।
রাশেদ রুপার বাবার খোঁজে আসে কিন্তু রুপার সাফ জানিয়ে দেন তিনি রাশেদ নামের কাউকে চেনেনা যে আমেরিকায় থাকে।সেই রাতে ঝড় ওঠে আর রাশেদ ঝড়ের মধ্যেই এক চায়ের দোকানে আশ্রয় নেয়।সেখানকার দোকানদারের ছেলের অদ্ভুত ক্ষমতা আছে।আসলেই কি অদ্ভুত?

সে রাতের পর রাশেদ অনেকটা নিখোঁজ হয়ে যায়।রুপার বাবা রাজশাহী থেকে আসার সময় মদিনা নামে এক অদ্ভুত মেয়েকে নিয়ে আসে।এভাবে সব অদ্ভুত মানুষের কার্যকলাপ নিয়ে এগোতে থাকে গল্প।

শেষপর্যন্ত কি সঠিক ঠিকানা পাওয়া যায়?
পাওয়া গেলেও কি হয়?
এ গল্পে কি রুপা আর রাশেদের মিলন হয়?
সেই মদিনা মেয়েটির অদ্ভুত মেয়েটি কেন অদ্ভুত?
অনেক প্রশ্ন থেকে যায়..যদি উত্তর জানতে চান তাহলে সময় করে পড়ে ফেলতে পারেন।

পাঠপ্রতিক্রিয়া :- আপনার কাছে যদি অফুরন্ত সময় থাকে এবং আপনি সাময়িক বিনোদনের জন্য কিছু পড়তে চান তবে পড়তে পারেন বইটি।আমি আবারো বলছি অফুরন্ত সময়..নইলে বইয়ের পাশে ডিমের মত আপনার রিয়্যাকশন হবে।বইয়ে অদ্ভুত রুপার সাথে অনেক অদ্ভুত চরিত্র দেখানো হয়েছে।রুপার বাইরেও বিশেষ করে তার মা-বাবার ডিভোর্সের পরের সম্পর্কটা ইন্টারেস্টিং!তবে রুপার সাথে মদিনা মেয়েটার একটা দিক মিল আছে।যা পরে অবশ্য লেখক ব্যাখা করেছেন।
এটি হুমায়ূন আহমেদের শ্যালো বইগুলোর মধ্যে অন্যতম।যারা মোটামুটি বিশ্বসাহিত্য ও বাংলা সাহিত্য পড়েন তাদের কাছে বইটি যথেষ্ট শ্যালো মনে হবে।ভালোও না,খারাপও না,মোটামুটিও না!জাস্ট চলনশীল।আপনার ইচ্ছে হলে পড়ুন,নইলে নয়।

পার্সোনাল রেটিং : 2/10
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Mubtasim  Fuad.
316 reviews41 followers
August 15, 2025
আহামরি অনেক expectation নিয়ে যে পড়া শুরু করেছিলাম ঠিক তা না, আমি আর দশজনের মতনই শুরুতে ভেবেছিলাম হয়ত হিমুর রূপাকে ঘিরেই হয়ত গল্প। হিমুর উপন্যাসে শুধু হিমু আর তার অদ্ভুতুড়ে কার্যবলিকে নিয়েই ঘটনার আবর্তন হয়, রূপা ততটা গ্লোরিফাই হয় না তো আমি ভেবেছিলাম হুমায়ুন আহমেদ হয়ত রূপাকে একটা ট্রিবিউট দিয়ে এই উপন্যাসটা লিখেছেন। উপন্যাসের মধ্যমণী রূপা।
কিন্তু আমার প্রেডিকশন পুরাপুরি সঠিক হল না। বিষয়টা দুঃখজনক।

রূপা, ইংরেজিতে সিলভার। আর্ট পাগলা এক মেয়ে। হঠাৎ তাঁদের বাসায় এসে হাজির আরেক আধ-পাগলা ক্যারেক্টার। বিদেশ থেকে এসেছে, সাথে করে নিয়ে এসেছে চকলেট, লাই ডিটেক্টর সহ আরো অনেক কিছু কিন্তু এই আগন্তুক আসলে কে? কেন এল রূপাদের বাড়িতে? অপরদিকে রূপার বাবা, হুমায়ুন আহমেদের আর দশটা বড়লোকি প্রোটাগনিস্টের বাবার মতন পাগলাটে স্বভাবের। অদ্ভুত সব বিষয় নিয়ে এদের ইন্টারেস্ট আকাশ সমান। এখানেও তেমনই হবহু।
উপন্যা���ে আরো ছিল বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং ক্যারেটক্টারস। সায়লা, মদিনা, কেনতু, সামছু আপাতত একয়জনের নামই মনে পড়ছে। তারাও যার যার অদ্ভুত আচার-আচরণ দিয়ে উপন্যাসে জান ধরে রেখেছে শেষ অব্দি।

আমার কাছে আহামরি লাগে নাই। স্পেশাল কিছুই না, এক বসায় পড়ে শেষ করার মতন, সময় ভাল কাটবে৷ পড়া শেষ বই চলে যাবে সেলফে অনন্ত কালের জন্য, আমার ক্ষেত্রে ঘটনা অনেকটা এমন। এ বই আর পড়ার ইচ্ছা নাই। 😴
62 reviews49 followers
September 25, 2013
The book is based on an upper middle-class family living in Dhaka. Said family consists of Rupa (the main character), her father—Mr. Harun and their servant. One day, however, an unexpected guest arrives at their door, whose name is Rashed and who is a lecturer in an American university. The story therefore begins, revolving around Rupa, Rashed, Harun and others.



Poorly written.
Profile Image for Prionty - প্রিয়ন্তী.
37 reviews20 followers
March 12, 2018
#পুতুলের_রিভিউ
বইঃরূপা
লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ।
প্রকাশনীঃঅন্বেষা প্রকাশন।
মূল্যঃ২০০টাকা
সংস্করণঃ ১৭ফেব্রুয়ারি,২০১০ইং

'রূপা'-উপন্যাসের 'রূপা ব্যানার্জি' চরিত্রটিই প্রধান চরিত্র।রূপার বাবা হারুনুর রশিদ শিক্ষক ছিলেন।বর্তমানে লেখালেখি আর পীর-ফকিরের অনুসন্ধানে ঘুরে বেড়ান।মাঝেমাঝে তার বাল্যবন্ধু সুলতান ও তার সাথী হয়।
আর শায়লা'-রূপার মা।রূপার যখন সাত বছর বয়স তখন তিনি হারুনুর রশিদের যন্ত্রমানবের মতো আচরণের জন্য তার সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।আর নতুন সংসারে চলে যায়। শেষ দিকে অবশ্য সে আবার রুপাদের সংসারে ফিরে আসে।
এই উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র 'রাশেদ'।সে আমেরিকার এক ভার্সিটির ম্যাথের টিচার। দেখতে খুবই সুদর্শন। রূপার বাবার সাথে দেখা করতে এসেছে সে।কিন্তু রূপার বাবা হারুনুর রশীদ সাহেব বললেন, তিনি রাশেদ নামে আমেরিকায় থাকে এমন কাউকে চিনেন না। একসময় রাশেদ নিজেও বুঝতে পারলো, সে ভুল ঠিকানায় এসেছে।

ঝড়-বৃষ্টির রাতে রুপার উপর রাগ করে চলে যাওয়া,দোকানে আশ্রয় নিয়ে থাকা,অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর দুয়ার থেকে অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে রূপাদের বাসায় আবার আসা এবং শেষে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাওয়া এই বিষয়গুলো অনেকটা নাটকীয় মনে হয়েছে।
মদিনাকে রুপার বাবা বাড়িতে নিয়ে আসে ঘড়ি কন্যা ভেবে কিন্তু সে অনেক কিছু ভবিষ্যৎ আগে ভাগেই বলে দিতে পারে।মদিনা বাড়িটিতে আসার পর থেকেই 'ভুত' আছে বলে বারবার দাবী করে কিন্তু সেটা একপ্রকার হেলুসিনেশন বলে সাইকিয়াট্রিস্ট ব্যাখ্যা দিয়েছন।কিন্তু এক প্রকার টিউমারের কারণেও অনেক সময় এমন হয়।

বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হওয়ার কারনেই রূপা কৈশোর কাল থেকেই একাকী বেড়ে উঠেছে।সে আপন মনে ছবি আঁকতে ভালোবাসে।রুপাও মদিনার মতো ভবিষ্যৎ দেখতে পারে কিন্তু তা সে কখনোই কাউকে বলেনি,,, তাহলে কি রুপা'রও টিউমার আছে?? কি হয় রূপার পরিনতি??জানতে হলে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে।

আমার লেখাটা অবশ্য তেমন ভালো হয়নি।তবে বইটা পড়তে বেশ ভালো লাগবে।অন্যদের কথা বলতে পারবো না আমার খুব ভালো লেগেছে।
বইয়ের_রেটিংঃ৪.৫/৫
Profile Image for Ishtiyak Fahmi.
133 reviews24 followers
July 5, 2024
আমি ৫ স্টার দিবো শুধুমাত্র এন্ডিং এর জন্য নাহলে ৪ স্টার দিতে পারতাম!
হুমায়ূন আহমেদ এমন একজন লোক যার বেশির ভাগ বইয়েই এন্ডিং নেই, অথচ পড়ে ভালো লাগে কিন্তু যেগুলোর এন্ডিং আছে সেগুলো আরেকটু বেশিই ভালো লাগে!
এইজন্যই হয়তো উনাকে জাদুকর বলা হয়ে থাকে অনেকক্ষেত্রে।

গল্পের মধ্যে রুপা মেয়েটাকে বেশ চটপটে রাখা হয়েছে। তার যখন যা মনে হচ্ছে তা 'ই করে যাচ্ছে। এই ভালো না লাগায় রাশেদকে বিদেয় করে দিতে বলছে, তো এই আবার তার মনে চাইছে সময় বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসছে! আকাআকির ক্ষেত্রে তার ট্যালেন্টটা ভালোভাবেই বুঝানো হয়েছে।

ঐদিকে তার মা তার বাবাকে ছেড়ে অন্য একজনের সাথে বিবাহ করায় রুপার তার মায়ের প্রতি যেই আচরণটা ছিলো এটা আমাদের সবারই থাকা উচিত। যেমন মা হিসেবে কথা ঠিকই বলছিলো যতই বিরক্ত হোক না কেন, অন্যদিকে তার কর্মকান্ডের জন্য তাকে একটু হার্ট করে কথা বলে বুঝিয়ে দেওয়া যে কাজটা সে ভুল করেছে তার বাবা ঠিকই ছিলো!

কাজের মেয়ে মলিনার চরিত্র একদম পারফেক্ট, কাজ করার মানুষরা সাধারণ এমনই চকলেট বা কিছু পাওয়ার খুশিতে একজনের মান্য হয়ে যেতে থাকে বা অনেক বেশি কথা বলার অভ্যাস থেকে থাকে ইত্যাদি।

অন্যদিকে মদিনা চরিত্রের মেয়েটির রহস্য উৎঘাটন হলো না, সে বলছিলো মারা যাবে বাট এমন কিছু দেখানো হয়নি বা তার মাথায় আসলেই কোনো সমস্যা নাকি সত্যিই কোনো এক দেহ ছাড়া মাথা ওয়ালী পরী তাকে এসে এসব জানিয়ে যায় এই বিষয়েও বলা হয়নি! রুপাকে তার মনের কথা বারবার বলতে যেয়েও বলা হয়ে উঠেনি।


যাইহোক শেষটা জোস ছিলো। রুপা যে শেষ পর্যন্ত নিজে গিয়ে ধরা দিবে রাশেদের কাছে ত সত্যিই অকল্পনীয় ছিলো! এক অন্যরকম মিলন...
Profile Image for Mehnaz.
233 reviews51 followers
June 7, 2020
I liked the plot and the two stars are for that. That's it.

It would be one gem of a story if:

a) it was a full-length novel and the main characters got a chance to fall in love in a NORMAL way,
b) if Rupa wasn't an annoying piece of crap, and,
c) if the father was not a full-time lunatic. Did he even have a job? I don't remember.

Found the typical Humayun Ahmed spices in the book: unrealistic dialogues between characters, unrealistic scenario, loner main character with no depth, no friends, no life and no ambition. Love at first sight trope. One annoying maid trope. No character development. Etc.

Hated a few body-shaming and sexist remarks in the book. Will write a full length review someday.
Profile Image for Ehsan Nabil.
46 reviews4 followers
August 10, 2021
হুমায়ূন কেন এত জনপ্রিয়? তিনি খুব ভালো লেখেন তাই? আমার মতে তিনি জনপ্রিয় তার মিথ্যে গল্পের কারণে। এখন হয়ত বলবেন সকল লেখকই কম বেশি মিথ্যে বলেন। কিন্তু হুমায়ূন এর মিথ্যে আধ্যাত্বিক পর্যায়ের। আমাদের সকলের মনে, জীবনে কিছু স্পিরিচুয়াল অভাব আছে, হুমায়ূনের মিথ্যে সেই স্পিরিচুয়াল অভাবে কিছুটা প্রশান্তির যোগান দেয়। ঠিক যেন দিবাস্বপ্ন, মনে যেটা অভাব, আয়েশ মিটিয়ে উপভোগ করা যায়।

অবশ্য মাঝে মাঝে দুয়েক লাইন সত্যের খোচা দিয়ে পাঠককে বাস্তবতা মনে করিয়ে দেন, যেন বোঝাতে চান, দেখ তোমরা, আমার জগৎ কত মজার।

রূপা এমনি এক শুন্যতা, আধ্যাত্বিক মিথ্যে।
Profile Image for Sanjana Bhuiyan.
29 reviews4 followers
September 11, 2023
আমি হুমায়ূন স্যারের ভক্ত বটে। তবে সত্যি কথা বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই।
হুমায়ুন স্যার এমন কিছু বই লিখেন যেগুলো পড়তে গেলে মনে হয় উনি লিখাটা দয়া করে লিখেছেন আর আমরা দায়ে পড়ে পড়ছি। 'রুপা' বইটা কিনেছিলাম ২০২২ এর বইমেলা থেকে অনেক কৌতুহলী মনে। কিন্তু বইটা পড়ে আমি টোটালি হতাশ 🤦‍♀️। বইয়ের শুরুটা উনার আর দশটা বইয়ের মতোই পাঠকের মনে কৌতূহল তৈরি করে। তবে শেষটা একেবারে দায়সারা সরকারি কাজের মতো মনে হয়েছে।
Profile Image for Saif9795.
53 reviews1 follower
July 24, 2024
হুমায়ুন আহমেদ এর বই এর সব প্যাটার্ন এক রকম :)
Profile Image for #HOSSAINJOYB.
17 reviews
September 22, 2024
"The universe is not only queerer than we suppose,but queerer than we can suppose" -J. B. S. Haldane
কথাটা ভালো লেগেছে।একেক জন একেক ভাবে অর্থ করেছেন।
এই অর্থটা অনেক মন মতো হয়েছে।ধন্যবাদ সৌরভ দাস।
"প্রকৃতি লীলাময় , তার লীলা বোঝা বড়ই কঠিন। সে তার সব রহস্য কখনোই প্রকাশ করে না!"
স্পেশাল ধন্যবাদ হাসু আপা (হাসিব) যে পড়ার জন্য বলেছে।
আর একজন কে ধন্যবাদ না দিলেই নয়।যিনি খুব যত্ন করে রাত ১২.৪৫ এ পড়ে শুনিয়েছেন।
------
হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর লেখা "রূপা" একটি মনোমুগ্ধকর উপন্যাস, যা মানব সম্পর্কের জটিলতা, প্রেম এবং জীবনের নানান দিক তুলে ধরে। বইটি কাহিনীর মাধ্যমে পাঠকদের মধ্যে একধরনের আবেগময় পরিবেশ সৃষ্টি করে।"রূপা" উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র রূপা, একজন সুন্দরী এবং স্বাধীনচেতা মেয়ে। গল্পে রূপার জীবন ও তার আশেপাশের মানুষের সাথে সম্পর্কগুলো এক অসাধারণ চিত্র তুলে ধরে। লেখক বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে প্রেম, ত্যাগ, এবং জীবনের বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। রূপার জীবন ও তার প্রেমের কাহিনী পাঠকদেরকে গভীর ভাবনায় নিমজ্জিত করে।
হুমায়ূন আহমেদের লেখা সাধারণত সরল এবং সাবলীল। "রূপা" উপন্যাসেও তিনি এ ধারার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। ভাষা বোধগম্য এবং চিত্রকল্প অত্যন্ত জীবন্ত। লেখক যেভাবে চরিত্রগুলোকে উপস্থাপন করেছেন, তা পাঠকদের মনে একটি গভীর ছাপ ফেলে। প্রতিটি পাতা পড়তে পড়তে পাঠক যেন রূপার সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। রূপা শুধুমাত্র একটি প্রেমের গল্প নয়; এটি জীবনের মানে ও সম্পর্কের জটিলতাকে ব্যাখ্যা করে। লেখক প্রেমের সৌন্দর্য এবং তার কষ্টকে একসাথে তুলে ধরেছেন। এ উপন্যাসটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে, সম্পর্কের মধ্যে যতই জটিলতা থাকুক না কেন, ভালবাসা সবকিছুই অতিক্রম করতে পারে।
"রূপা" একটি অসাধারণ সৃষ্টি যা পাঠককে ভাবায় এবং আবেগপ্রবণ করে। হুমায়ূন আহমেদের অসাধারণ দক্ষতার কারণে, এটি আজও পাঠকদের মনে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। যারা প্রেম এবং মানব সম্পর্ক নিয়ে আগ্রহী, তাদের জন্য এই উপন্যাসটি পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি গল্প নয়, বরং জীবনযাত্রার একটি প্রতিফলন, যা আমাদের হৃদয়ে চিরস্থায়ীভাবে রয়ে যাবে।
Profile Image for Mueed Mahtab.
344 reviews
July 3, 2025
First read review: এটা হিমুর রূপা না,এই রূপা ক্যাসাকণ্যা রূপা,বই পড়ে কারও প্রেমে পড়া যায়।রূপার প্রেমে পড়া আমি।

2nd read review: হুমায়ুন আহমেদের সুন্দর বইগুলার একটা। আগে বাংলা বইগুলা খুব মন দিয়ে পড়তাম না। জাপানের বইগুলার প্রতিটা শব্দ মন দিয়ে পড়া লাগে। অভ্যাস হয়েগেছে। সেরকম মনোযোগ দিয়ে পড়ার পর দেখলাম, বইটা সুন্দর।
Profile Image for Ibrahim Khalil.
51 reviews1 follower
May 29, 2017
মনে আছে বইটা এক বড় ভাই থেকে নিয়া পড়ছিলাম।ওইসময় সকল বইই পড়তে ভাল লাগত যার ব্যত্রিক্রম হয়নি রূপার ক্ষেত্রেও।
31 reviews
November 21, 2022
সুখপাঠ্য প্রেমের উপন্যাস। বাদল দিনে এক বাটি ঝাল মুড়ি মাখিয়ে প্রত্যাশা কমিয়ে বইটা হাতে নিলে মন্দ লাগবে না। 🖤
Profile Image for Kazi Md. Al-Wakil.
297 reviews5 followers
August 6, 2024
আমেরিকা থেকে অংকের উপর PhD করা রাশেদ ভুল করে রূপাদের বাসায় চলে আসে একদিন। সেখান থেকে ভুল বুঝাবুঝি হয়ে রাশেদ অনেকটা রাগ করেই বাসা থেকে বের হয়ে যায়। সেকারণে রূপার অনেক খারাপও লাগে। মনে মনে খুঁজতেও থাকে রাশেদকে। কিন্তু রাশেদ এর কোনো এড্রেস রূপার জানা নেই।

এদিকে রাশেদ বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। ওর ফুসফুস পুরাটাই নষ্ট।

রুপার বাবা হারুণ সাহেব মাঝে মাঝেই তার বন্ধু সুলতান সাহেবকে নিয়ে সুপার নেচারাল মানুষ এর সন্ধানে বের হয়ে যায়। এইবার তিনি ঘড়ি কন্যা মদিনাকে নিয়ে আসে বাসায়। এই মেয়ে ঘড়ি না দেখে সময় বলতে পারে।

মদিনার সাথে রূপার পরিচয় হওয়ার পর রূপা মদিনার কিছু বিষয় খেয়াল করা শুরু করলো। যেমন মদিনা মেয়েটি রূপার রুমের মধ্যে একটি ভূতকে দেখতে পায়, তার সাথে কথাও বলে। মদিনা রাশেদ সাহেব এর ব্যাগ দেখেই বলে দিয়েছিলো যে এই লোক এর অবস্থা ভালো না, যেকোনো সময় মারা যাবে। রূপা এগুলা সব ইগ্নোর করে গিয়েছে।

এদিকে রাশেদ সুস্থ হয়ে ফিরে আসে রূপাদের বাসায়। রূপাই তাকে নিয়ে আসে। রাতের খাবার খেয়ে বের হয়, আসল বাসার খোঁজে, যেখানে রাশেদ আসলে যেতে চেয়েছিলো। রাশেদ তার ওয়াইফ রুনার বাসায় যায়, সেখানে তাকে জানানো হয় রুনার সাথে ফোনের বিয়ে তারা মানে না। সেখান থেকেই রাশেদ চলে আসে তার বাড়ি নেত্রোকোনায়। পুরানো একটি বাড়িতে একা থাকা শুরু করে রাশেদ।

রূপার মা অনেক আগে রূপার বাবাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলো কারণ রূপার বাবা বোকা ধরণের মানুষ। কিন্তু রূপার মা যার সংসারে গিয়েছেন, তার প্রচুর গুনগান রূপার সাথে গাইতো। বড়াই করতো। রূপা তার মা এর বড়াই ভেঙ্গে দেয় পরকীয়ার ঘটনা জানিয়ে দিয়ে। তারপর রূপার মা তার ছেলে টগরকে নিয়ে আবার তাদের বাড়িতে এসে উঠে।

রূপা মদিনার চিকিৎসা করিয়ে জানতে পারে মদিনার ব্রেনে টিউমার আছে। চিকিৎসা করাতে হবে। এদিকে মদিনা বুঝতে পারে রূপারও স্পেশাল এবিলিটি আছে। রূপাও স্বীকার করে নেয়। অনেক কিছুই আগে আগে বুঝতে পারে রূপা। কিন্তু সে একটি সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করতে চেয়েছিলো। মদিনার এই এবিলিটির দরুন টিউমার থাকলে রূপারও তা আছে। এই এবিলিটির কারণে রূপা বুঝতে পারছিলো যে রাশেদ এর সাথে তার বিয়ে হবে।

মাইক্রো ভাড়া করে রূপা, হারুন সাহেব, সুলতান সাহেব নেত্রোকোনায় এসেছে। রাশেদ ভাঙ্গা বাড়িটিতে একা থাকছে। রূপা বাইরে শব্দ করতেই হতভম্ব হারুন বাইরে আসলো। রাশেদ রূপাকে জিজ্ঞেস করলো “আমি মাত্র স���বপ্নে ���েখছিলাম আপনি আমার জন্য ফুল নিয়ে এসেছেন, ফুল কোথায়?”
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Adrita.
10 reviews
July 18, 2024
“রূপা” নাম দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম এটা মনে হয় হিমুর রূপা। তারপর পড়ে বুঝলাম আমার ধারণা ভুল। এই বইটা পড়ার জন্য এত বেশি এক্সাইটেড ছিলাম যে একদিনেরও কম সময়ে পড়ে শেষ করেছি। তা কাহিনী যদি আমি বলে দেই, তাহলে পড়ে মজা পাবেন না। এই জন্য স্পয়লার দিচ্ছি না। হুমায়ূন আহমেদের এরকম উদ্দেশ্যহীন কথাবার্তা আমার খুব ভালো লাগে। পড়ার সময় একটা সুন্দর সময় কাটে। আর শেষটাও তিনি স্পষ্ট করে দেন না এই জন্য আরো ভালো লাগে। মনে মনে কাহিনী চলতেই থাকে। তবে জোছনা ও জননীর গল্পে তিনি শেষটা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তাও বইটা আমার সবচেয়ে প্রিয় বইয়ের একটা। রূপা বইটা মাস্ট রিড কোনো বই না। তবে আপনি পড়তে পারেন। পড়ার সময় ভালো লাগবে। একটা ভালো সময় কাটবে। হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের এইদিকটাই আমার চমৎকার লাগে। একটা বই শেষ হলেও তা যেন শেষ হয় না।
Profile Image for Shahadat Shamim.
22 reviews1 follower
July 8, 2025
"রূপা" একটি আবেগময়, হৃদয়ছোঁয়া গল্প—যেখানে সম্পর্ক, ভালোবাসা আর না-পাওয়ার বেদনা মিশে আছে গভীরভাবে । হুমায়ূন আহমেদ বরাবরের মতোই সরল ভাষায়, কিন্তু তীব্র আবেগে ভরপুর করে তুলে ধরেছেন চরিত্রগুলোর জটিল অনুভূতি ।
রূপা নামের মেয়েটি যেন এক প্রতীক—নির্ভরতা, মমতা এবং কোথাও একটা চাপা বিষণ্নতার । তার উপস্থিতি গল্পে একটা নীরব অথচ প্রবল শক্তি হয়ে কাজ করে। আর লেখকের অনবদ্য বর্ণনায় এই চরিত্রটি পাঠকের হৃদয়ে স্থায়ী ছাপ ফেলে ।
2 reviews
Read
December 6, 2023
সবটুকু বুঝতে পারি নাই। বিশেষ করে ভূত এবং পীর এবং শেষ অংশে প্রকৃতির জুটি মিলিয়ে দেয়া, আগে থেকেই বুঝে যাওয়া যে তারা দুইজন জুটি হবে, রুপার বাবার পীর খুঁজে বেড়ানো, রাশেদের সত্য মিথ্যার মিশেল এবং দ্বিচারিতা। রেটিং কি দিব, এমন রহস্যের নামে বেশ খাপছাড়া এবং গায়েবিয়ানা গল্পের রেটিং দেয়া সম্ভব হয় না...
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Arafat.
4 reviews
July 16, 2025
মাঝে মধ্যে মনে হয় আমিও আগে থেকে বুঝতে পরি কি হতে যাচ্ছে এবং কিছু কিছু সময় হুবহু মিলে যায়। আবার অল্প কিছু ঠিক থাকে। কিন্তু এর মনে এই নয় যে আমার কোনো ক্ষমতা আছে।

বইটা পড়ার পর শুধু এই কথাই মাথায় আসে কি হবে সেইটা আন্দাজ করে জীবনে উদ্দেশ্য ঠিক করাটা কতটুকু যৌক্তিক? তার কোনো উত্তর নাই তবুও যদি ডিসিশন নিতে হয় তাহলে কিসের ভিত্তিতে নেয়া উচিত?
Profile Image for Masfia Karim.
31 reviews
August 15, 2023
২.৫
অবাক করা বা ভালো লাগার মতো কিছুই পাই নি।গতানুগতিক ধাচেঁর লেখা।
Displaying 1 - 30 of 79 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.