Kalo Vromor is an epic detective novel written by Nihar Ranjan Gupta. It is the very first book of his popular Kiriti Roy detective series, and his most famous one. The novel circles around the central mysterious character of Kalo Bhromor, one genius of a Doctor, turned criminal for circumstances, and his long running cat & mouse game with detective Kiriti Roy.
Nihar Ranjan Gupta was popular Bengali Author and Physician. He was born on 06 June 1911 in Jessore, Bangladesh and died on 20 February 1986 in Kolkata, India
Dr. Nihar Ranjan Gupta (Bangla: নীহাররঞ্জন গুপ্ত) was an Indian dermatologist and a popular Bengali novelist. He is the creator of the fictional detective character Kiriti Roy.
Gupta came from a prestigious Kabiraj family of Itna village under Lohagara police station, in the district of Jessore, presently in the Narail district of Bangladesh. During the Second World War, Gupta served as an army doctor and was posted in different parts of the world. He was posted in Chittagong, Burma and Egypt. After the war, he completed post-graduation in medicine from the United Kingdom, specializing in dermatology. On his return he joined the Calcutta Medical College. In his career as a physician he was associated with several hospitals in India. After the Partition, his family permanently migrated to Kolkata in 1947.
As a child Gupta always dreamed of becoming a writer. He once went to Shantiniketan to seek the blessings of Rabindranath Tagore and took his autograph. At the age of eighteen he composed his first novel, Rajkumar. During his stay in England he developed a keen interest in detective stories and met Agatha Christie. After coming back to India, he composed his first detective novel, Kalo Bhramar [কালো ভ্রমর] where his launched his detective character Kiriti Roy [কিরীটী রায়].
বইটা পড়তে বড়জোর দুইদিন সময় লাগার কথা, অথচ শেষ হলো প্রায় দেড় বছর পর। এত ঢিলেমির কারণটা হচ্ছে বিরক্তি। মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করেছিলাম প্রথমবার; একের পর এক পৃষ্ঠা উল্টিয়ে যাচ্ছি আর ভ্রূর ভাজ-ও বেড়ে চলেছে ক্রমাগত। দস্যুদলের এক সদস্য আরেক অপহৃত ব্যক্তির মুখে ভাই ডাক শুনে তৎক্ষণাৎ ভালো মানুষ হয়ে যাচ্ছে, মা'র সাথে দেখা করিয়ে ভাই-ভাই সম্পর্ক গড়ে তুলছে- এতো মেলোড্রামা হজম করা কঠিন! তবুও আশা ছিল, সামনে হয়তো ভালো কিছু পাব!
বইটা মোট চার পর্বে ভাগ করা। আশার সাগরে দাড় বাইতে বাইতে দেড় পর্ব এগিয়েছিলাম। পরে আর না পেরে বাধ্য হয়ে নামিয়ে রাখতে হয়েছিল। প্রায় দেড় বছর পর আবার শুরু করলাম গত সপ্তাহে। দ্বিতীয় পর্ব টেনেটুনে শেষ করার পর, তৃতীয় পর্ব সত্যিই কিছুটা জমে উঠেছিল। শার্লক হোমস গোছের লকড রুম মিস্ট্রি: অভিনব কায়দায় খুন, কিরীটী রায়ের দৃঢ় অবস্থান, অতীত উন্মোচন। শুধুমাত্র তৃতীয় পর্বের জন্যই গুডরিডসে তিন তারা দেয়া যেত।
অতঃপর চতুর্থ পর্বে এসে আবার সেই মেলোড্রামা, সমাপ্তিতে এসে তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছে গেল। কিরীটী রায় নায়ক হলেও এই বইয়ে মুখ্য চরিত্র হচ্ছে খলনায়ক কালো ভ্রমর; বুদ্ধি, ধীশক্তি আর সূক্ষ্ম পরিকল্পনায় সে সবাইকে হার মানায়। কালো ভ্রমরের অতীত, বর্তমান, উত্থান, পতন - সবই বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তবুও সেই ওভার ড্রামাটিক এন্ডিং!! আফসোস!
তারা কমল এক, রইল বাকি দুই!
সেকেলে ধাঁচের লেখা বলে ভাল লাগেনি, এ কথাটা আমি মানতে নারাজ। ব্যোমকেশও সেকালের-ই সৃষ্টি (এমনকি বেশির ভাগ সাধু ভাষায় লেখা), অথচ হা করে গিলেছি নির্দ্বিধায়। এরকুল পোয়ারো, মিস মার্পল, এলোরি কুইন, ফাদার ব্রাউন, লর্ড পিটার উইমসে, ফিলিপ মার্লো - সবাই তো সেকালেরই প্রডাক্ট!
কী আর করা! ভালো লাগলো না কালো ভ্রমর। এবার কিরীটী অমনিবাস শুরু করা যাক।
ক্লাস এইটে থাকতে (১৯৯৭ সালে) এক ক্লাসমেটের কাছ থেকে ধার নিয়ে বইটা পড়েছিলাম, আর সে অস্থির প্রগলভ বয়সে বহু আগেকার আউটডেটেড বিস্মৃত এক যুগের প্রায় বিস্মৃত এক লেখকের জানা শোনা নেই এমন এক প্রাথমিক (স্বীকারে লজ্জা নেই, কিছুটা অবজ্ঞাসূচক) ধারণায় আপাতঃ আউটডেটেড রহস্যোপন্যাস পড়ে যে কী ভীষণ রকমের স্তম্ভিত স্তব্ধ বিস্ময়ের মুখোমুখি হয়েছিলাম তা প্রকাশের ভাষা তখনো ছিল না এখনো নেই। সেসময় এবং পরবর্তিতেও বহুবছর সোচ্চারে ঘোষণা দিয়ে এসেছি যে বাংলা গল্পের বইয়ের মধ্যে নীহাররঞ্জনের 'কালো ভ্রমর' আমার জীবনে পড়া শ্রেষ্ঠ রহস্যোপন্যাস!
এখন এই পরিণতবয়সে পরিণতমনষ্কে এহেন আবেগতাড়িত ঘোষণা দেয়ার আগে অনেক হিসেবনিকেশ আপনা থেকেই মাথায় চলে আসে, সারা দুনিয়ার তাবৎ মিস্ট্রি-থ্রিলার তো কম পড়লাম না। তারপরেও এটুকু এখনো দ্ব্যর্থহীনতার সাথেই স্বীকার করা যায়, আমি যা পড়েছি দেখেছি শুনেছি তারমধ্যে 'কালো ভ্রমর' নিঃসন্দেহে বাংলা সাহিত্যে বাংলা ভাষায় লেখা অন্যতম শ্রেষ্ঠ মৌলিক রহস্যোপন্যাস। কেননা এ তো শুধুই একটি রহস্যোপন্যাস নয়, এ যে রীতিমত এক মহাকাব্য! এমন সুবিশাল বিস্তৃতিতে সুবিশাল চিত্রপটে বিশ বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত করা চার-চারটি পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্বে সমাপ্ত মহাজটিল সুদীর্ঘ রহস্যকাহিনি শুধু বাংলাসাহিত্যে নয় বোধকরি বিশ্বসাহিত্যেও বিরল। আর সেটা যখন কেবল আকারে নয়, ঘটনার ঘনঘটায় পাঠককে রহস্য-রোমাঞ্চ-গতিময়তা-উত্তেজনা-নাটকীয়তায় চমকের পর চমক দিতে পারে, একের পর এক দূর্ভেদ্য ঘটনার প্যাঁচে হাবুডুবু খাওয়াতে পারে, এবং শেষপর্যন্ত অপ্রত্যাশিত কিন্তু নিখুঁত পরিসমাপ্তি এনে দিতে পারে... তখন তাকে যুগে যুগের শত-সহস্র রহস্যকাহিনির ভিড়ে আলাদা মর্যাদা দিতেই হয়।
তবে 'কালো ভ্রমর'কে বাংলা রহস্যসাহিত্যে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পেছনে আমার মতে প্রধান কারণ নামভূমিকার মূল চরিত্রটি - কালো ভ্রমর। গল্পের ভিলেন হলেও রহস্যময় ভীতিকর দস্যু কালো ভ্রমর নিশ্চিতভাবেই কাহিনির মূল চালিকাশক্তি, প্রাথমিকভাবে যাকে আর দশটা নৃশংস খুনে ডাকাতের মতো মনে হলেও ঘটনা যতই এগুতে থাকে ক্রমে ক্রমে সর্বদা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা অন্ধকার চরিত্রটির অননুমেয়তা পাঠকের কাছে উন্মোচিত হয়, সেই সাথে অননুমেয় হতে থাকে ঘটনাপরিক্রমাও। শার্লক হোমসের চিরশত্রু যেমন প্রফেসর মরিয়ার্টি, ব্যাটম্যানের জোকার, বা ফেলুদার মগনলাল মেঘরাজ, তেমনি গোয়েন্দা কিরীটি রায়ের গোয়েন্দাজীবনের সর্বসেরা প্রতিপক্ষ হিসেবে কালো ভ্রমর বিশ্বসাহিত্যের যেকোন অমর খলনায়কের মতই অনন্য লার্জার দ্যান লাইফ। বরং তুলনামূলকভাবে নায়ক কিরীটি রায় বা তার বন্ধু সুব্রত রায়ের চরিত্রগুলি অনেকাংশেই ম্লান হয়ে গেছে কালো ভ্রমরের দুর্ধর্ষতার সামনে।
আরেকটা বিষয় না বললেই নয়, যদিও চার পর্বের কাহিনিটি এই বইতে অখণ্ড সংস্করণ হিসেবে একত্রে আছে, তবে তার মানে এই না একটি অবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিক গল্পই যথেচ্ছভাবে চার ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। চারটি পর্ব একেবারে চার রকমের, চার ধরনের ঘটনাবলি ও পটভূমি, একসূত্রে গেঁথেছে শুধু কালো ভ্রমর, কিরীটি আর সুব্রতর জন্য। পূর্নাঙ্গরূপে উপন্যাসটি এমন এক বৈচিত্র্যময় রহস্যকাহিনির বিস্তীর্ণ বিশদ চিত্র ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলে যা রহস্যপাঠক হিসেবে অন্তত আমার কাছে বাংলা ভাষায় প্রায় তুলনাহীন।
শেষবার পড়েছিলাম অন্তত ১৬-১৭ বছর আগে, ভাবছি শিঘ্রই আরেকবার রিভাইজ দেয়াটা বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে।
বই কেমন লাগলো তা না বলে বরং বইটা কিনবার গল্প বলি, কেমন? ২০১১ সালের একুশে বইমেলা। শুক্রবার সকালে মেলায় গিয়েছি ৮ ভাইবোন, ফুপি-ফুপা মিলে। মেলায় ঢুকেছি ১০টায়, বের হতে হতে জুম্মার আযান দিয়ে দিয়েছে। আমাদেরকে মেলার বাইরে রেখে ফুপা আর ছেলেরা গেছে নামাজে। তা মেলার বাইরে ফুটপাতে পাইরেটেড বইয়ের মেলা। ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকার মধ্যে সব দাম। আমরা যে কজন ছিলাম তাদের সবার ব্যাগ-পকেট মেলার ভেতরের বই কিনে আর বাইরের ঝালমুড়ি, ফুচকা, আনারস মাখানো খেয়ে একদম ধানমন্ডি আবাহনী মাঠ। তাও সময় কাটাবার জন্য পাইরেটেড বইয়ে চোখ বুলাচ্ছি। তাও আবাহনী মাঠের কাঁকড় কুড়িয়ে বাড়িয়ে যা হয় সেভাবে দুইখান বই কেনা হলো। চলে আসবার সময় এই কালোভ্রমর চোখে পরলো। সম্ভবত ৮০ টাকা দাম চেয়েছিল। এখনো চোখে ভাসে ব্যাগ এর সব চেইন খুলে রীতিমতো ঝাড়াঝাড়ি করে ১০, ৫, ২০ টাকার নোট বের হলো। সাবাব আসলে তার পকেটের চিপা থেকে কিছু ভাংতি পয়সা গড়ালো। আমার আর নুসফাকের পকেট থেকে আরও এরকম খুচরা খাচরি। এভাবে ৬০ টাকা দিয়ে বইটা কেনা হয়েছিল। তাই মালিকানার ক্ষেত্রে বইয়ে একজনের নাম লেখা হয়নি। বাড়ির নাম লেখা হয়েছে কিনবার তারিখ দিয়ে।
বই ভাল লাগেনি। তবে বই কেনার পিছের স্মৃতি সুন্দর বলে সমালোচনা বাতিল করা হলো।
This is not your typical detective story. Here antagonist is vibrant and stronger than the hero, yet hero is enough witty to discover the mystery on time. You might get disappointed if you only in for mystery, but as a social biography of a villain its quite fascinating. I liked it, specially the end part. Truly, this book is a unique land mark in Bangla thriller genre. It might remain timeless.
অবশেষে এই দী-ই-ই-ই-র্ঘ যন্ত্রণার অবসান হলো। নীহারঞ্জনের দীর্ঘসূত্রী উপন্যাসসমূহের ব্যতিক্রম না কিরীটী রায়ের প্রথম উপন্যাস। সমাজ, দর্শন, মহামানব, আদর্শ, পথভ্রষ্ট দুরাচারী, তার প্রতিই সুশিক্ষিত আদর্শ চরিত্রদের স্নেহপরায়ণ দুর্বলতা, ব্লা ব্লা মিশ্রণের সেই সময়ে লেখা এই জগাখিচুড়ি নীহারঞ্জনের পক্ষেই সম্ভব।
চার খণ্ডের প্রথমটায় কিরীটী অনুপস্থিত। অনেকটা বিভূতিভূষণের কিশোর অ্যাডভেঞ্চারের মতোই ঘরকুনো বাঙালির দু:সাহসিক অভিযান সেই প্রথম অংশ।
যদি বা কিরীটী রায়ের আগমন ঘটলো, তার নিজের চরিত্র, পোশাক, কাজকর্ম এত কিম্ভুত, যে সে আরেক আশ্চর্য!
দুই খণ্ড ধৈর্য্য ধরেই পড়ছিলাম, অ্যাডভেঞ্চারও সময়ের প্রেক্ষিতে মন্দ ছিলো না। কিন্তু ৩য় খণ্ডে এসে ঐ সেই রিপিটিশন চরিত্র, দর্শন, জ্ঞানগুণ পড়ে মেজাজ খিঁচড়াতে শুরু করলো আর এ ৪র্থ খণ্ডের অসাড়তা স্রেফ বিরক্তিকর ছিলো।
জনাব কালোভ্রমর অগত্যা দেশের (?) জন্যে প্রাণ দেয়ায় প্রেম ও নবীন আত্মাদের জয় হলো।
নটে গাছটি অবশেষে মুড়োলো।
আমিও বাংলা সাহিত্যের অসাধারণ এই কৃতকর্ম দেড় বছর ধরে পাঠ করে সমাপ্ত করতে পেরে কৃতার্থ হলাম।
বড্ড নাটুকে। এমন গা ছাড়া গোয়েন্দা দুটো দেখিনি। গোয়েন্দার বন্ধুরাও বুদ্ধিতে তথৈবচ। মোটেই তেমন ভালো লাগেনি। গোয়েন্দা কাহিনী না করে এটা কালোভ্রমরের জীবন কাহিনী হিসেবেই লেখা উচিত ছিল।
এ বই পড়ার গল্পটা বলা যাক। স্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ি তখন। স্যারের বাসা থেকে হেটে ফেরার সময় কেনো জানি চট্টগ্রাম চকবাজারের এক ষ্টেশনারী দোকানে ঢু মারলাম। পকেটে তখন টাকা থাকত না ওইদিন কি কারণে জানি ১০০ টাকা ছিল। ঘেটে এই বই পেলাম। ৯২ টাকা দাম নিল। বাসায় এসে ফেলে রাখলাম। কয়েকদিন পরে হঠাৎ এ বই পড়তে বসে আর নামাতে পারি নি। আপ্যাচাল অনেক হইল। এবার বইয়ে আসি। এক কথায় চমৎকার বই। সুব্রত একজন ছাত্র যেকিনা এক বিচিত্র চিঠি পায়। তার এক মামা যিনি সুদূর বার্মাদেশে মারা যান এবং উইল করে যান যাতে লিখা ছিল একটি নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে এসে সুব্রত এসে সম্পদ দাবী করলে এর উত্তরাধিকার হবে সুব্রত, নচেৎ তা চলে যাবে ট্রাস্টে। যাত্রার পূর্বে কালোভ্রমর নামক দুর্ধর্ষ এক অপরাধীর কাছ থেকে হুমকি আসে যেন সম্পদ দাবীর জন্য সুব্রত না যায়। বাকিটা বইয়ের পাতায় জেনে নেবেন। গল্পটি চমৎকার। লেখা সাবলীল যে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমার কাছে বাংলা গল্পের দুর্ধর্ষতম ভিলেন হিসেবে কালোভ্রমরকেই মনে হয়েছে।
I just finished it !! এত আগে এই মাপের ডিটেকটিভ উপন্যাস ছিল ভাবতেও অবাক লাগে! কালোভ্রমর কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে কিরাটী এর সমপর্যায়ে তুলে ধরা হয়েছে কতকটা সময় আমার কাছে মনে হয়েছে উপন্যাস টাই মনে হয় কালোভ্রমর কে নিয়ে কিরাটী এখানে তার সহযোগী মাত্র
"Kalo Bhramar." There is no exact english word for this, at least to my knowledge. However a close approximation can be taken as "Black Bee" This is a bengali novel written in 1930s. This is a detective novel and this is my second reading. First time I have read the book around 20 to 25 years back. The book circles around one Dr. Sanyal a great physician turned to a murderer under circumstances beyond control and eventually the addiction to murder had taken over him, making him a psycho murderer. Detective Kiriti Roy had a long fight with him and ultimately it resulted in nothing. With time Dr. Sanyal gradually turns to be again the old and original Dr. Sanyal, leaves the city and tries his luck as one Mr. Sanyal in a remote village and starts his long fight against all in humanities and tries a divine life amidst missionaries. People forgot by Kiriti ultimately recognizes him. However he hands over the police the details and resigns, saying knowing the details of changes he can not stand to see Dr. Sanyal getting caught and trialled.What happens to Dr. Sanyal????? A thoroughly gripping novel and can not be turned down. This time also I was forced to complete the book in one night. I could have given 5 star rating if it was me 20 or 25 years back.
কালোভ্রমর যত ছোটবেলায় পড়ার কথা ছিল তত ছোট বেলায় পড়িনি। পড়েছি ২০০৫ সালে। আজ থেকে ঠিক দশ বছর আগে। এটা ২০১৫। তারপরেও নিত্যান্ত বাচ্চাই ছিলাম সে সময়। যদিও থ্রিলার এর বদলে ক্লাসিক ধরেছিলাম তারও অনেক আগে কিন্তু কোন এক যায়গায় কিরীটী কালোভ্রমর এর উল্লেখ দেখেই উৎসাহী হয়ে সংগ্রহ করেছিলাম। গল্পটা ভালো লেগেছিল। আমার ক্ষেত্রে খানিকটা ভিন্নতা শর্তেও যে বয়সের জন্য লেখা পড়া হয়েছে সে বয়সেই। তবে মনে দাগ কেটে আছে নতুন সংস্করণের ভূমিকাতে নীহারঞ্জনের কিছু কথা। যেখান থেকে অদ্ভুত এক ধরণের দর্শন পেয়েছিলাম। লিখলে লেখা যায়, পুরনো লেখা দেখলে লেখক হিসেবে মনে হয় কি সব ছেলেমানুষী ভাষা ব্যাবহার করেই না কতো কিছু লিখেছিলাম। শব্দ চয়ন বা বাক্য সংশোধন করে নতুন করে লেখার ইচ্ছে কাজ করে পিছনে ফিরে তাকালে। কিন্তু পরে মনে হয় থাক না। যেটা যেভাবে আছে সেভাবেই থাক। যে সময়ে যেটা লিখেছি সেটা সেই সময়ে বন্ধী হয়ে থাক। অথবা সেই সময়ের মায়া টায়া বলে কিছু না, আলসেমির জন্য পুরনো লেখা ঠিক করে ছাচে ফেলায় অনীহা। লাইন গুলো কি নীহারঞ্জনের! অবশ্যই না, আমার। তবে চিন্তাটা উনার কাছ থেকে পাওয়া। আর শেষের অংশটুকু যেখানে আলসেমির কথা বলা হয়েছে সেটা পুরোই আমার। আমি নিতান্তই 'কুইড়া'।
নিজস্ব সংক্ষিপ্ত মতামত প্রথম পর্ব: হিন্দি সিরিয়ালের মতো মেলোড্রামাটিক। দ্বিতীয় পর্ব: প্রথম পর্বের তুলনায় অনেকটাই ভালো। কালোভ্রমরের ব্যাকস্টোরি দিয়ে ভালোভাবেই ঘটনা টেনে নিয়ে গিয়েছেন লেখক। তৃতীয় পর্ব: চার খন্ডের মধ্যে সবচেয়ে ভালো লেগেছে এটিই। লকড রুম মার্ডার মিস্ট্রি। চতুর্থ পর্ব: তৃতীয় পর্বের শেষে কালো ভ্রমর পালিয়ে যাওয়ার পরের ঘটনা। অপরাধ থেকে কালো ভ্রমরের বেঁচে থাকার চেষ্টা। কাহিনীও সুন্দর ভাবেই এগিয়েছিলো। কিন্তু শেষে গিয়ে সেই প্রথম পর্বের মতো সিরিয়ালের মেলোড্রামা। দ্বিতীয় আর তৃতীয় পর্বের জন্য ৩.৫/৫ রেটিং
This entire review has been hidden because of spoilers.
চমৎকার একটা বই। শেষের দিকে গিয়ে একটু ম্যাড়ম্যাড়ে বাংলা সিনেমার মত হয়ে গেছে। আমি পড়ার সময় যে উত্তেজনা ফিল করেছি তাতে মনে হয়েছে এই বইটা ইন্টার লাইফে পড়া উচিৎ ছিল। কিছু ক্যারেক্টর কেন জানি হারিয়ে গেছে গল্পের প্রয়োজনে মনে হয়েছে তাদের থাকা লাগতো। বার্মা অভিজান ভাল লেগেছে। তবে বার্মায় যেভাবে বাঙালি লোকজন এর কথা বলা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে বার্মা ঘুরে আসলে ভাল হোতো। অনুর্দ্ধ বিশ যারা আছে তাদের জন্য এই বইটা সাজেস্ট করব। এর চেয়ে যারা বড় তাদের সময় নষ্ট হবে।
মোট চার পরবের বই এইটা, প্রথম পরব শেষ করসি,ভালো লাগে নাই একদম,একেবারেই সাদাসিধা কাহিনি,বাংলা সাহিত্যের একদম শুরুর দিকের গোয়েন্দা কাহিনি বলেও হতে পারে অথবা বরতমানের মুখোরুচোক থ্রিলার পড়তে পড়তে ক্লাসিক এই বইটা ভালো না লাগার কারন হতে পারে...
অতিরিক্ত নাটকীয় না হলে কাহিনী নিয়ে আরো বিস্তারিত লেখা যেত। তবে এ লেখা অনেক পুরানো তাই নাটকীয় ব্যাপারটা গা সওয়া করে নিতে পারলে ভালোই লাগবে। টম এবং জেরির মত কিরীটি এবং কালো ভ্রমরের ক্যাট মাউস চেজ ভালোই লাগে। উপভোগ্য রচনা,বিশেষ করে কিশোরদের জন্য।
প্রথম পর্ব : মেলোড্রামায় ভর্তি। এছাড়া সবকিছু পাঠককে মুখে তুলে খাওয়ানোর চেষ্টা ছিল। পাঠকের বুদ্ধিমত্তার ওপর বিন্দুমাত্র ভরসা নেই লেখকের। দ্বিতীয় পর্ব : অনেক দৌড়াদৌড়ি আছে কিন্তু কোন ডিটেকটিভ ওয়ার্ক নাই। শেষ পর্যন্ত কাকতালীয় ভাবে রহস্য উন্মোচন। তৃতীয় পর্ব : জমজমাট লকড রুম মার্ডার মিস্ট্রি। যদিও কিছু প্লট হোল রয়ে গেছে। এছাড়া কিরীটী এবং সুব্রত প্রথম দিকে পরস্পরকে তুই বলে সম্বোধন করলেও কয়েক পৃষ্ঠা পর সেটা তুমি হয়ে যায়। চতুর্থ পর্ব : ডিটেকটিভ বই হিসেবে ট্র্যাশ। সাধারণ বই হিসেবে বেশ ভালো। তবে ফিনিশিং অতি নাটকীয়।
কেউ যদি আমারে আইসা কয়, "একটা বোকাচো* গোয়েন্দা গল্পের বই সাজেস্ট করেন তো।" আমি তৎক্ষণাৎ কমু, "আজই কালো ভ্রমর বইটা পইড়া দেখেন। গোয়েন্দাগো সম্বন্ধে আপনার ধারণা বদলাইয়া যাইবো!"
কালো ভ্রমর বইটি আসলে সামাজিকতা ও দার্শনিকতা নিয়ে আলোচনা এবং আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে তার ব্যবহারিকতা যাচাইমূলক একটি বই, যার প্রতি পাতায় পাতায় আপনার ধৈর্যশীলতা ও মনস্তাত্ত্বিক দৃঢ়তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। এই বইটি পড়ে উত্তীর্ণ ব্যক্তিগণ বর্তমান বাজারে সোনার হরিণ বলে খ্যাত একটি মহামূল্যবান চাকরী অবশ্যই বাগিয়ে নিতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, এই বই পড়ে আপনি গোয়েন্দাগিরির 'গ' সম্পর্কেও জানতে পারবেন না।
যেখানে গোয়েন্দাপ্রবর (!) জনাব কিরকিটি (!) রায় বইয়ের তৃতীয় ভাগে স্বয়ং বলে ওঠেন, "সুব্রত, ওকে যেতে দাও। আমরা চাইলেও ওকে ধরতে পারবো না। ভুলে যেও না, ও কালো ভ্রমর। Better luck next time." সেখানে আমি আপনি কোথাকার কোন পাণ্ডু!
শালার কিরীটী রায় একটা পিওর মাল। কখন, কোন চিপা দিয়ে জ্যোতিষচর্চা করে সব তথ্য বের করে ফেলে, পাঠকদের জানতেই দেয় না! কিরীটী রায়ের পাশাপাশি সুব্রত, রাজু, কালো ভ্রমর এবং অন্যান্যরাও এক একজন মালবিশেষ। এরাও দৈবযোগে অনেককিছু জানতে পারে। ও হ্যাঁ, এদের সবাই একেকজন আবেগের একটা ডিব্বা। আরেকটা কথা, ভায়েরা সবাই কইলাম সাড়ে ছয়ফুটের উপ্রে লম্বা! ৬০/৭০ বছর আগে ওইটাই নূন্যতম উচ্চতা ছিলো কিনা! বিশ্বাস করলে করেন, না করলে নাই। ওইটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার!
"Kalo Bhramar." There is no exact english word for this, at least to my knowledge. However a close approximation can be taken as "Black Bee" This is a bengali novel written in 1930s. This is a detective novel and this is my second reading. First time I have read the book around 20 to 25 years back. The book circles around one Dr. Sanyal a great physician turned to a murderer under circumstances beyond control and eventually the addiction to murder had taken over him, making him a psycho murderer. Detective Kiriti Roy had a long fight with him and ultimately it resulted in nothing. With time Dr. Sanyal gradually turns to be again the old and original Dr. Sanyal, leaves the city and tries his luck as one Mr. Sanyal in a remote village and starts his long fight against all in humanities and tries a divine life amidst missionaries. People forgot by Kiriti ultimately recognizes him. However he hands over the police the details and resigns, saying knowing the details of changes he can not stand to see Dr. Sanyal getting caught and trialled.What happens to Dr. Sanyal????? A thoroughly gripping novel and can not be turned down. This time also I was forced to complete the book in one night. I could have given 5 star rating if it was me 20 or 25 years back.
দশ বছর আগে পড়লে হয়ত চোখ বন্ধ করে ফাইভ স্টার দিতাম, কাহিনিতে অতিরিক্ত মেলোড্রামার জন্য দুই স্টার কম দেয়ার পর মনে হল কালো ভ্রমরের মত চরিত্রের আরেকটু বেশি প্রাপ্য। বাংলা সাহিত্যে আরও অনেক ধূর্ত, নিষ্ঠুর খলনায়ক আছে, তবে কালো ভ্রমের মতো ভিলেনের অরিজিন, ট্র্যাজিক ব্যাক স্টোরি , কিভাবে সে সামান্য একজন থেকে নিষ্ঠুর কালো ভ্রমরে পরিণত হল - এই বিশ্লেষণগুলো অন্য বাংলা খলনায়কদের ক্ষেত্রে পাই নি আমি। এই অমর চরিত্রের জন্য চার তারাই হওয়া উচিত তাই।