Bangladesh is the last major nation-state to proclaim its identity. Here is a nation that changed its statehood twice in less than twenty-five years. The twists and turns of her recent history baffle the historians. This study explores the historical roots of this apparently enigmatic nation. Methodologically, it breaks new ground in Bangladesh studies in two ways. First, it makes explicit the underlying theories in the historical framework to explain the historical evolution of this hidden nation. Secondly, it explores the micro foundations of social and political institutions in this region. Starting with an analysis of micro institutions at the grass-roots level, this study examines the determinants of the structure of rural settlements in Bangladesh and suggests that the lack of corporateness of rural settlements contributed to political fragmentation, instability and factionalism in this region. It puts forward the hypothesis that the weakness of institutions in rural areas of Bangladesh provided a congenial environment for conversion to Islam while rural institutions in much of South Asia arrested the spread of Islam.
Akbar Ali Khan (Bengali: আকবর আলি খান) was a Bangladeshi economist and educationist who served as a bureaucrat until 2001. He was the SDO of Habiganj during the Bangladesh Liberation War, when he decided to join the war. Later he served as an official of the Mujibnagar Government. After the independence he joined back the civil serviceand reached to the highest post of Cabinet Secretary and also worked as a university teacher. His book Porarthoporotar Orthoniti (Economics of Other-minding) has been a popular book on economics à la Galbraith.
আমি প্রথম আকবর আলি খানের যে বইটি পড়ি তা হলো পরার্থপরতার অর্থনীতি। এরপর লেখকের যেকোনো বই পড়লেই সেই বইটির সাথে তুলনা এসে যায়। এরপর লেখকের আরও তিনটি বই পড়ার সুযোগ হলো। আকবর আলি খানের বই তথ্যসমৃদ্ধ হয়। এই বইটিকে অনায়াসে একাডেমিক বই হিসেবে চালানো যাবে। এতো বেশি কোটেশনের ব্যবহার শুরুতে আমার জন্য অনেক কঠিন করে তুলেছিল।
এই বই এর আলোচ্য বিষয় বাংলাদেশের সামগ্রিক ইতিহাস। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বাংলাদেশের গ্রামসমাজ ছিল ভিন্ন। বাংলাদেশের মানুষের মূল বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদের কথা। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক সংঘবদ্ধতা ছিল দুর্বল। এই দুর্বলতার কারণেই সুফি সাধকগণ কিভাবে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ইসলাম প্রচারে সাফল্য অর্জন করলেন তা ব্যাখ্যা করেছেন। ভারতবর্ষের যেসকল অঞ্চলে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে সংঘবদ্ধ গ্রাম রয়েছে সেখানে ধর্মান্তরিত হওয়ার ফলে মানুষকে সমাজচ্যুত করা হতো। এই সকল মানুষের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। অপরপক্ষে বাংলাদেশের উন্মুক্ত গ্রামসমাজে ব্যাক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের জন্য সমাজচ্যুত হওয়ার ফলেও মানুষের জীবন সেভাবে প্রভাবিত হয়নি। বাংলায় মধ্যবিত্তশ্রেণীর বিকাশ এবং তাদের স্বার্থের সংঘাতের ফলে পাকিস্তানের জন্ম এবং অবশেষে বাংলাদেশের জন্মের মাধ্যমে বই এর সমাপ্তি করা হয়েছে।
মেদহীন, সংক্ষিপ্ত কিন্ত পরিপূর্ণ, যুক্তিশীল এই বইটি ১৯৯৬ সালে “Discovery of Bangladesh : Exploration Into Dynamics of a Hidden Nation” নামে বের হয়। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে আমিনুল ইসলাম ভুইয়া বইটি বাংলায় অনুবাদ করেন। বাংলা একাডেমি ২০০৪ সালে বইটি প্রকাশ করে।
মূলত তিনটি বিষয়ে বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে —
১. বাংলার গ্রামব্যবস্থা, বাংলার গ্রামের সাথে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের গ্রামের তুলনামূলক বিশ্লেষণ; ২. বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারে সাফল্যের ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ; ৩. বাংলায় মুসলিম শাসনের সূত্রপাত (১২০৪) থেকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের ইতিহাস। অতি সংক্ষেপে বইটির ফাইন্ডিংস নিয়ে আলোচনা করছি।
অন্যান্য অঞ্চলের সাথে বাংলার গ্রামব্যবস্থার তুলনা করে লেখক এই সিদ্বান্তে উপনীত হন যে উপমহাদেশে পশ্চিম থেকে যত পূর্বে যাওয়া হয় গ্রামব্যবস্থা কেন্দ্রিক থেকে ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হয়ে যায়। কেন্দ্রিক গ্রামের বৈশিষ্ট্য হলো সেখানে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার কাঠামো বিদ্যমান থাকে, মানুষের মধ্যে বন্ডিং ভালো হয়, যৌথ কর প্রদান ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকে এবং অবশ্যই সামাজিক ধরাবাঁধা বেশি থাকে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে পানিস্বল্পতা থাকায় সেচের প্রয়োজনেও গ্রামগুলোকে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হতো। বেশিরভাগ গ্রামে একটি কেন্দ্রীয় পুকুর থাকতো — সেটিকে ঘিরে মানুষজন কাছাকাছি বসবাস করতো এবং সবার মাঝে একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা ছিল। বর্হিশত্রুর কিংবা বন্যপ্রাণীর আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সংঘবদ্ধ জীবনযাপন করতে হতো।
অন্যদিকে উপমহাদেশের যত পূর্বে আসা যায় — নদীনালার কারণে পানির অভাব কমতে থাকে। চলাচলের অপ্রতুলতার জন্যে বঙ্গে বহিশত্রুর আক্রমণ ছিল কম। এবং পানির আধিক্যের কারণে এখানে জন্ম নেয় উন্মুক্ত গ্রামব্যবস্থা — একক করপ্রথা, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের অনুপস্থিতি যার বৈশিষ্ট্য। নদীনালার তীর ঘেঁষে দূরে দূরে বাড়ি নির্মাণ হতে থাকে। বইটিতে বাংলায় ইসলাম প্রচারে সাফল্যের কারণ অনুসন্ধানে বেশ কিছু প্রচলিত ডিসকোর্সের যুক্তিখন্ডন করা হয়। বাংলায় ইসলাম প্রচারে সাফল্যের প্রচলিত চারটি ডিসকোর্স হলো —
১. আরব মুসলমানদের ব্যাপক হারে অভিবাসন এবং মুসলমান শাসকদের ইসলাম প্রচার; ২. ব্রাক্ষণদের অত্যাচারে নিম্নবর্গের হিন্দুদের ধর্মান্তর; ৩. হিন্দুদের অত্যাচারে বৌদ্ধদের ধর্মান্তর; ৪. বাংলায় পীরদের গৃহীত সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন পদক্ষেপ।
প্রথমতঃ প্রচলিত ডিসকোর্সে বলা হয়ে থাকে যে তুর্কি, মোঘল আমলে যেই সাড়ে তিন লাখ মুসলমান সৈন্য বাংলায় এসেছিল তারাই বাংলার মুসলমানদের বংশধর। বস্তত এরকম কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এর বাইরে কিছু আশরাফি মুসলমান বাংলায় আসলেও তা ছিল দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া এবং স্বল্পসংখ্যকের অভিবাসন। সে সময়কার বিভিন্ন পর্যটকদের বয়ান অনুসারে জানা যায় বাংলায় প্রায় ৪০০ বছর ধরে ধর্মান্তর অব্যাহত ছিল — এককভাবে বৃহৎ অভিবাসনের তত্ত্বটি গ্রহণযোগ্য নয়। উপরন্ত এভাবে একক অভিবাসনে বাংলার ভাষা ও সংষ্কৃতিতে যে ব্যাপক কিন্ত আকস্মিক প্রভাব পড়ার কথা তার কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
পাশাপাশি, দিল্লির মুসলমান শাসকেরা যদি ইসলাম প্রচারে পৃষ্ঠপোষকতা চালাতো — তবে স্বাভাবিকভাবেই যেখানে তাদের বসতি ছিল সেখানে মুসলমানের সংখ্যা বেশি হওয়ার কথা। কিন্ত বিভিন্ন ঐতিহাসিক পর্যালোচনায় দেখা যায় সেসব অঞ্চলেই বরং মুসলমানের সংখ্যা কম ছিল। মুসলমানদের আধিক্য ছিল প্রান্তিক অঞ্চলে। এরই সাথে মুসলমান শাসকদের রামায়ণ, মহাভারত প্রভৃতি অনুবাদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রমাণ করে তারা জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করেননি (আওরঙ্গজেবসহ কিছু ব্যতিক্রম আছে)।
'প্রদোষে প্রাকৃতজন' ঘরানার কিছু ঐতিহাসিক উপন্যাসের দরুণ মানুষের মনে এই ধারণা বদ্ধমূল যে বাংলার ব্রাক্ষণদের অত্যাচারে অনেক নিম্নবর্গের হিন্দু এবং বৌদ্ধ ইসলামধর্ম গ্রহণ করেছে। এই যুক্তিটি আপাতদৃষ্টিতে প্রাসঙ্গিক মনে হলেও সত্য নয়। বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল মোতাবেক বোঝা যায় যে বাংলায় ব্রাক্ষণদের আগ্রাসন অনেক কম ছিল। উপরন্ত ব্রাক্ষণদের অভাব থাকার দরুণ বাইরের অঞ্চল থেকে ব্রাহ্মণ 'আমদানি' করে আনা হতো। পাশাপাশি বাংলার ব্রাক্ষণদের অনেকেই ছিল বিভিন্ন দোষে দুষ্ট, শতভাগ ব্রাহ্মণ এ অঞ্চলে পাওয়া যেতো না।
পাশাপাশি ব্রাক্ষণদের মতন জাতভেদ তৎকালীন মুসলমানদের মধ্যেও ছিল। মুসলমানেরা মূলত তিন ধরনের ছিল —
ক.উচ্চবংশীয় আশরাফ (অভিবাসী উর্দুভাষী মুসলমান এবং উচ্চবর্ণের ধর্মান্তরিত হিন্দু); খ. আতরাফ (মধ্যবিত্ত ও নিম্নবর্গের হিন্দু, বৌদ্ধ যারা ধর্মান্তরিত হয়); গ. আরজল (আরো নিম্নবর্ণের হিন্দু, বেদে যারা ধর্মান্তরিত হয়)।
সুতরাং, হায়ারার্কি মুসলমানদের মধ্যেও ছিল। ফলস্বরূপ, বর্ণপ্রথা থেকে নিস্তার পেতে হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হয়েছে বললে অতিরঞ্জন করা হয়। উপরন্ত বৌদ্ধদের গৌতম বুদ্ধকে হিন্দুরাও পূজা করে কিন্ত মুসলমানেরা সরাসরি অস্বীকার করে — সেখানে বৌদ্ধরা হিন্দুদের অত্যাচারে ইসলাম গ্রহণ করেছে এই মত গ্রহণযোগ্য নয়।
এছাড়া ইটন এবং রায় প্রমাণ করতে চান যে বাংলার বিভিন্ন স্থানে (চট্টগ্রাম, নোয়াখালি ও সিলেট) নদীপথ বদলানোর দরুণ পীরদের নতুন গ্রাম ও বসতি নির্মাণ, দ্বীপ দখল, কৃষিকাজে সহায়তা, মসজিদ নির্মাণ প্রভৃতি কারণেও বাংলায় ইসলাম প্রচার বেড়েছে, যদিও এই অনুমানকেও লেখক 'অতিরঞ্জন' বলে অভিহিত করেছেন। কেননা বাংলার অভিবাসন, স্থানান্তর, বন কেটে নতুন বসতি নির্মাণ বহু সময় ধরেই চলে এসেছে — পীরেরা আসায় এর সূত্রপাত ঘটেনি। পাশাপাশি যেখানে এমন বসতি স্থানান্তর হয়নি (বগুড়া) ���েখানেও মুসলমানদের আধিক্য ছিল — তার কারণ এর মাধ্যমে ব্যাখা করা যায় না।
উপরিউক্ত বিষয়সমূহের আংশিক প্রভাব থাকলেও, বাংলায় ইসলাম প্রচারে সাফল্যের প্রধান কারণ হিসেবে লেখক বাংলার উন্মুক্ত গ্রামব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন। বাংলার গ্রামব্যবস্থা উন্মুক্ত হবার দরুন এখানে কোন গ্রাম প্রতিষ্ঠান ছিল না — পাশাপাশি মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার কারণে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ছিল প্রবল। কেন্দ্রিয় গ্রামে যেখানে ধর্মান্তরের শাস্তি হতো একঘরে করা কিংবা গ্রাম থেকে বিতাড়ন : এখানে তেমন কোনো ঝামেলা ছিল না। একি সাথে ব্রাক্ষণদের কঠোরতা নয়, বরং কঠোরতার অনুপস্থিতিই ধর্মান্তরের কারণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য কেননা উত্তর ভারতের কেন্দ্রীয় গ্রামসমূহে ব্রাক্ষণদের প্রবল অনুশাসনই ধর্মান্তর রোধ করে। এছাড়াও পশ্চিমবাংলা এবং পূর্ববাংলার গ্রামের মাঝেও এমন পার্থক্য ছিল, যার কারণে পশ্চিম বাংলা হিন্দু অধ্যুষিত কিন্ত পূর্ব বাংলা মুসলমান অধ্যুষিত। এছাড়াও বইটিতে লেখক নৃতাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় বিশ্লেষণের মাধ্যমে দিল্লির সালতামামি, মোঘল আমল, ব্রিটিশ শাসন হয়ে দেশভাগ এবং সর্বশেষ ১৯৭১ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতার কারণ ব্যাখা করেছেন। সবথেকে ইন্টারেস্টিং বিষয় আমার কাছে যা লেগেছে লেখক বহু আগেই ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ধারণা দিয়েছিলেন। বইটির ১৪১ নম্বর পৃষ্ঠায় তিনি বলেছেন,
“ ... স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে ভবিষ্যতেও একই ঐতিহাসিক শক্তির পুনরাবির্ভাব ঘটবে কি না।... ... গ্রামীণ ব্যাংকের অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে যে, ক্ষুদ্র দল তৈরি করার উদ্যোগ বাহির থেকে আসতে পারে। দ্বিতীয় সম্ভাবনা হচ্ছে, ভবিষ্যতে সহযোগিতার বাধ্যবাধকতা বদলে যেতে পারে। নগর-রাষ্ট্রসমূহ বিবেচনায় না নিলে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব সর্বোচ্চ। এ ধরনের পরিবেশে বিশ্বায়নের নীরব চাপের কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শূন্যতা পূরণের জন্য যৌথ সংগঠন গড়ে উঠতে পারে। পরিশেষে বলা যায় বাংলাদেশের মানুষ অতীত থেকে শিক্ষা না-ও নিতে পারে। যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না তাদের পরিণতি হচ্ছে ইতিহাসের ভ্রান্তির মধ্যে নিমজ্জিত থাকা।
ফরাসি বিপ্লবের প্রায় দুশ বছর পর মহান বিপ্লবী চৌ এন লাইকে বিপ্লবের তাৎপর্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হয়েছিল। জানা যায় তিনি বলেছিলেন, "এখনও মন্তব্য করার সময় আসেনি" (Schama, ১৯৮৯)। নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশ বিপ্লবের তাৎপর্য মূল্যায়ন করার জন্য পঁচিশ বছর অত্যন্ত স্বল্প সময়। এই বিপ্লব একই সাথে সামাজিক ও জাতীয় বিপ্লব। সামাজিক বিপ্লব হিসাবে গণ-প্রজাতন্ত্রের আওতায় সামাজিক রূপান্তরের মহান স্বপ্ন সারা বিশ্বে কেন্দ্র-নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির পতনের মধ্য দিয়ে নির্মমভাবে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। অবশ্য তা সামাজিক ন্যায়-বিচার, সমতা ও মানবিক মর্যাদার দাবির সমাধান, দেয়নি। ফলে, বাংলাদেশে সামাজিক ভারসাম্যের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
"
লেখক বইটির সমাপ্তি টেনেছেন বাংলাদেশের শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার গুরুত্ব বর্ণনা করে। গ্রামীণ ব্যাংকের উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন সরকার চাইলেই গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রামগুলোতে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নির্মাণ করতে পারে। কয়েকটি ঐতিহাসিক সূত্র ধরে তিনি বাংলার মানুষের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যকে দেখিয়েছেন — যেখানে জাপান, থাইল্যান্ড কি পশ্চিমবাংলার মানুষও বাঁধ ও গ্রাম রক্ষার্থে নিজেরাই দ্বায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় সেখানে বাংলার মানুষ অপেক্ষা করে থাকে কখন ব্রিটিশ সেনা বা জেলের কয়েদি এসে তাদের হয়ে কাজ করে দিবে। তার নিজের বিপদ জেনেও সে কাজে হাত দেয় না, স্বার্থপরতা যার সহজাত। মাত্র ১৫০ পৃষ্ঠা এবং ১৫০ টাকার বইটিতে বাংলার গ্রামব্যবস্থা, ধর্মান্তরের গতিধারা এবং রাজনৈতিক ইতিহাস আকবর আলি খান যেভাবে বিশ্লেষণ করেছেন লেখকের উপর এম্নিতেই শ্রদ্ধা চলে আসে। বাংলাদেশ নিয়ে জানতে ২৫ বছর বয়সী প্রতিটি শিক্ষিত ও সচেতন নাগরিকের এই বইটি পাঠ করা জরুরি।
বি.দ্র: বইটির দৈর্ঘ্য ছোট হলেও সব প্রসঙ্গের বিস্তারিত ও পূঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা করা হয়েছে। রিভিউতে আমি কেবল সারাংশ তুলে ধরলাম মাত্র। পরিপূর্ণ উপলব্ধির নিমিত্তে বইটি পাঠ করা আবশ্যক।