রকিব হাসান বাংলাদেশের একজন গোয়েন্দা কাহিনী লেখক। তিনি সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তিন গোয়েন্দা নামক গোয়েন্দা কাহিনীর স্রষ্টা। তিনি মূলত মূল নামে লেখালেখি করলেও জাফর চৌধুরী ছদ্মনামেও সেবা প্রকাশনীর রোমহর্ষক সিরিজ লিখে থাকেন। থ্রিলার এবং গোয়েন্দা গল্প লেখার পূর্বে তিনি অন্যান্য কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি রহস্যপত্রিকার একজন সহকারী সম্পাদক ছিলেন।রকিব হাসান শুধুমাত্র তিন গোয়েন্দারই ১৬০টি বই লিখেছেন। এছাড়া কমপক্ষে ৩০টি বই অনুবাদ করেছেন। তিনি টারজান সিরিজ এবং পুরো আরব্য রজনী অনুবাদ করেছেন। তাঁর প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ ড্রাকুলা। রকিব হাসান লিখেছেন নাটকও। তিনি "হিমঘরে হানিমুন" নামে একটি নাটক রচনা করেন, যা টিভিতে সম্প্রচারিত হয়।
অনেকদিইন পরে তিন গোয়েন্দা পড়লাম। এক ঝটকায় যেন সেই পুরনো সময়ে চলে গিয়েছিলাম। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কম্বল মুড়ি দিয়ে বই পড়ার সময়টাতে । চার তারা এই অনুভূতির জন্য। বইএর জন্য তিন তারা। ঘটনা অনেক আগে থেকেই আঁচ করা গিয়েছে ।
কাহিনি যেভাবে জমাট বেধেছিল, শেষটা সেভাবে হয় নি। বইটা ভলিউমে কিনেছিলাম, উইতে খেয়েছে। আবার সিঙ্গেল বইও কিনেছিলাম নীলক্ষেত থেকে। এবার সেটাই পড়লাম। আফ্রিকার বুনো প্রকৃতির বিবরণ কিশোর পাঠককে মোহাচ্ছন্ন করে রাখবে। ১৯৬৬ সালে লেখা বইয়ের এডাপশন।
আফ্রিকা বরাবর আমার প্রিয় বিষয়। তাই আফ্রিকা নিয়ে যা পাই তাই পড়ে ফেলি। এই বইটা অনু ভাইয়ের রেকমেন্ডে পড়া। আফ্রিকার শিকার, কারণ ও তার প্রতিকার নিয়েই বইটা লেখা। কিন্তু আগে থেকেই ঘটনা বুঝতে পেরেছিলাম বলে। ফিনিশিং নিয়ে খুব একটা আগ্রহ পাইনি।