The fascinating, intriguing and stunning book by Masudul Haq unravels a wide variety of facts relating to the mischievous role of CIA and RAW in this work. He is however, meticulous enough to trace the background to as far back as the early 1960s... The author has demonstrated a remarkable skill in handling delicate sources of information relating to a highly intriguing phenomenon quite objectively . Absorbingly interesting the book provides a unique addition to the not too a rich collection of our Liberation War literature. ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জার্নাল অব দি এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ।
লেখক মাসুদুল হক অন্যান্য লেখকদের মত নিজস্ব মনগড়া তথ্য ও মতামত পরিবেশন করেন নি। পুস্তক ও যথার্থ সূত্রের উল্লেখ করে প্রমাণ খাড়া করেছেন বক্তব্যের অনুকূলে। লেখককে ধন্যবাদ যে তিনি আমাদের স্বাধীনতার নেপথ্যে অতিগুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো গ্রন্থাকারে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। জিয়াউল হক, দৈনিক ইত্তেফাক।
পুস্তকখানিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি এবং ১৯৭১ পরবর্তী সময় সম্পর্কেও এমন সব তথ্য পাওয়া যায়, যা শুধু অজানাই নয়, অভাবিতপূর্বও। বইখানি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল বলে বিবেচিত হবার দাবীদার। এহন একখানি গ্রন্থ রচনা করে জাতীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। অধ্যাপক আবদুল গফু্র, দৈনিক ইনকিলাব।
যারা পরীক্ষায় পাশ করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ে অভ্যস্ত তাদের জন্য এই বই না। এই বইটা তাদের জন্য যারা নিজেকে জানতে যায়, নিজের দেশের ইতিহাস বুঝতে চায়। সাংবাদিক সাহেব বামঘেষা হলেও নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছেন বলে আমার মনে হয়েছে। চিন-ভারত দ্বন্দ্ব, আমেরিকা-পাকিস্থান বিরোধ, এসবের ফলশ্রুতিতে সিআইএ-র নিলনকশায় দেশ এগিয়েছে স্বাধীনতার দিকে, যদিও সিয়াইএ (এবং শেখ সাহেব নিজেও) স্বাধীনতা চায় নি, স্বায়ত্তশাসন চেয়েছে। সিআইএ-এর প্ল্যানকে কাজে লাগিয়ে ভিন্নদিকে নিয়ে গেছে মূলত র। ফসল সিআইএ লাগালেও ফল ভোগ করেছে র। ইন্দিরা গান্ধী চেয়েছিলেন বাংলাদেশকে ভারতের প্রদেশ বানিয়ে রাখতে। গোপনে সাত দফা চুক্তিও করেছিলেন প্রাদশিক সরকারের সাথে। শেখ সাহেব এই চুক্তি বাস্তবায়ন হতে দেন নি। অনেক অজানা কথা আছে বইতে। সুখপাঠ্য বলা যায়।
যারা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নিরপেক্ষ ভাবে জানতে চান এবং মুজিবের আসল মোটিভ কি ছিল সেটার বিষয়ে অবগত হতে চান তাদের বলব বইটি পড়ে দেখুন।চমকপ্রদ এত এত তথ্য উপাত্তে ঠাসা যে আক্কেলগুড়ুম হওয়ার অবস্থা হবে।
"বাংলাদেশকে জানি" #৭ অনেক তথ্য আর রেফারেন্সবহুল একটা বই। ভালো দিক, স্বাধীনতার পূর্বের আর পরের রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে বেশ ভাল একটা ধারণা পাওয়া যায়। প্রি স্বাধীনতা পিরিয়ড নিয়ে এখনো ধারণা সীমিত থাকায় সব পয়েন্টের সত্য মিথ্যা এখনো যাচাই করার মত অবস্থা আমার নিজের ই নাই। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বইয়ের শেষের পরিশিষ্ট অংশে মুজিব বাহিনীর ৩ জন সদস্যের ইন্টারভিউ দেয়া আছে, যেখানে উনারা নিজেরাই একে অন্যকে কন্টিনিউয়াসলি কন্ট্রাডিক্ট করসেন। স্পেশালি তোফায়েল আহমেদ বেশিরভাগ পয়েন্টে অন্য সবার থেকে ভিন্ন গল্প বলসেন। সকল রাজনৈতিক ইতিহাস ই বায়াসড ইতিহাস এই বই থেকে এই ধারণা আরো অনেক বেশি প্রবল হয়।
"র" আর "সি আই এ" এর প্রভাব কিছু জায়গায় লেখক জোর করে দেখানোর চেষ্টা করসেন বলে মনে হয়। যেমন ৬ দফার পিছনে, অথবা গণবাহিনী সৃষ্টির পিছনে সি আই এ এর হাত আছে বলা হয়েছে, কিন্তু সেরকম কোন সলিড রেফারেন্স চোখে পড়ে না। অসং্খ্য অজস্র রেফারেন্সের মধ্যে ২-১ টা পয়েন্ট এস্টাবলিশ করার সময় রেফারেন্স মেনশন না করলে চোখে পড়ে না, লেখক ঐ সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করে নিজস্ব মতামত দাড় করানোর চেষ্টা করসেন বলে মনে হয় কয়েক জায়গায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বাংলাদেশ নামক নতুন রাষ্ট্রের জন্ম কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। ইতিহাসে এমন অনেক রাষ্ট্রই নিজেদের মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আধুনিক বিশ্বে শুধু অভ্যন্তরীণ রাজনীতিই একটি দেশকে সৃষ্টি করে না, বহির্বিশ্বের রাজনীতিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের রাজনীতি এবং মুক্তিযুদ্ধে ভারত, চীন, আমেরিকা ও রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) সকলেই নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেছে। তারা তাদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়েছে। তবে সবচেয়ে কাছাকাছি ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র এবং আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং তৎপূর্ববর্তী সময়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অংশগ্রহন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভূমিকা রেখেছে।
১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির পট পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেন। আইয়ুব খানের ক্ষমতা দখলের পেছন মার্কিন সহায়তা ছিল বলে দাবি করা হয়। কিন্তু চীন-ভারত যুদ্ধের পরে আমেরিকা আইয়ুব খানের মাথার উপর থেকে হাত সরিয়ে নিতে শুরু করে। কমিউনিস্ট চীনকে রুখতে পাকিস্তানকে ভারতের সাথে সামরিক চুক্তির প্রস্তাব দেয় আমেরিকা কিন্তু আইয়ুব সরকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। বস্তত পাকিস্তান তখন চীনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির দিকে এগোয়। এই টানাপোড়নের জেরে আমেরিকা আইয়ুব খানকে উৎখাতের পরিকল্পনা নেয়; অন্যদিকে ভারত চায় পাকিস্তানকে ভেঙে ফেলতে। পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো রাজনৈতিক নেতাদের সাথে পর্দার আড়ালে আলোচনা চালায় এবং আইয়ুব সরকারকে উৎখাত করতে সফল হয়।
আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরে তখন কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় ছিল। তবে এদের মধ্যে চরমপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিল স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ। এরাই আওয়ামীলীগ নির্বাহী কমিটিকে ছয় দফায় সমর্থন দিতে ব্যপক প্রচারণা চালায়। আইয়ুব খানের পতনের ক্ষেত্র সিআইএ তৈরি করে দিয়েছিল কিন্তু তার ফল ভোগ করেছিল র। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আইয়ুবের পরে ইয়াহিয়া ক্ষমতায় গিয়ে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। নির্বাচনে আশা করা হচ্ছিল আওয়ামীলীগ বড়জোড় ৮০ টি আসন পাবে কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় পরিষদের দুইটি আসন ব্যতীত সকল আসনে জয় লাভ করে। আওয়ামীলীগের এহেন জয়ে সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার পায়তারা শুরু করে। গোলটেবিল বৈঠকের নামে শুরু করে আর্মি নামানো। সিআইএ ছয় দফাকে আইয়ুব উৎখাতের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করলেও সত্তরের নির্বাচনের পরে তা বাঙালির এক দফায় চলে যায় এবং এই ঘটনা সিআইএ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ঠিক এখানেই বাজিমাত করে র।
২৫ মার্চের ক্র্যাকডাউনের পরে চীন ও আমেরিকা একই সুরে কথা বলা শুরু করে। তারা কোনোরকম দায়সারা বিবৃতি দিয়ে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। মূলত তারা পাকিস্তানের পক্ষেই পর্দার আড়ালে কাজ করছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নও চাচ্ছিল ভারত-পাকিস্তান আরেকবার যুদ্ধে লিপ্ত না হোক; তারা চাচ্ছিল রাজনৈতিক সমাধান। কারণ ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে তারাই মধ্যস্থতা করেছিল। পাকিস্তানের চিন্তা ছিল লাখ লাখ হিন্দুকে ভারতে পাঠিয়ে তাদের উপর অর্থনৈতিক চাপও সৃষ্টি করা যাবে এবং কোনো একটা সমোঝোতায় তারা আসবে। কিন্তু তাদের অত্যাচার হিন্দু-মুসলিম সবার উপরেই হয় বিধায় হিন্দুদের সাথে মুসলিমরাও দেশ ছাড়তে শুরু করে। এই ব্যাপারটাই পাকিস্তানি বাহিনীর জন্য বুমেরাং হয়ে যায়। ভারত সরকার র'কে মুক্তিবাহিনীর মধ্যে নিজেদের মতাদর্শের লোক প্রবেশ করানোর দায়িত্ব দেয় । র এর সাহায্যে মেজর জেনারেল উবান কাজ করেন মুজিববাহিনী নিয়ে। মুজিববাহিনী ছিল মূলত শেখ মণি, সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বাধীন। এই বাহিনী অস্থায়ী সরকারের অধীনতা অস্বীকার করে , যার ফলে যুদ্ধে দ্বৈত অধিনায়কত্ব সৃষ্টি হয়। অক্টোবর মাসে অস্থায়ী সরকার ভারত সরকারের সাথে গোপনীয় সাত দফা চুক্তি সম্পাদনা করেন। এই চুক্তির শর্তগুলো এমন ছিল যে, বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হলেও ভারতের অধীন হিসেবেই রয়ে যেত এবং এই চুক্তি স্বাক্ষর করে সৈয়দ নজরুল ইসলাম অজ্ঞান হয়ে পড়েন। যুদ্ধের পরে এই চুক্তি মুজিব বাস্তবায়ন হতে দেন নি এবং কোনো ���রকারই চুক্তির ব্যাপারে আর কোনো সাড়াশব্দ করেনি।
র যেমন সক্রিয় ছিল, তেমনি সিআইএ সক্রিয় ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে। মুজিববাহিনীর ��িরাজুল আলম খানের যোগাযোগ ছিল সিআইএ এর সাথে; যা ভারত সরকারকে চিন্তার মধ্যে রেখেছিল। মুজিববাহিনী প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে দেশের মধ্যে বামপন্থীদের টার্গেট কিলিং শুরু করে। মূলত শেখ মণি গ্রুপের লোকেরাই বামপন্থী নির্মূল করাকে তাদের যুদ্ধ হিসেবে বিবেচনায় নেয়। এটা কি ভারতের শিখিয়ে দেওয়া কোনো নীতি ছিল? হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কারণ ভারতের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে বামপন্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছিল। শেখ মণি গ্রুপের লোকেরা নিজ বাহিনীর বামপন্থীদেরকেও হত্যা করেছে বলে জানা যায়।
গোপন সাত দফা চুক্তিতে আধা সামরিক বাহিনী সৃষ্টির শর্ত ছিল। ভারতের র সেই কাজটি করে মুজিববাহিনী ভেঙে দিয়ে রক্ষীবাহিনী সৃষ্টির মাধ্যমে। মুজিব স্বাধীনতার পরে প্রতিপক্ষকে নির্মূলের ঘোষণা দেন এবং সেই প্রতিপক্ষ ছিল বামপন্থীরা। ভারত ও বাংলাদেশ সরকার উভয়েরই লক্ষ্য ছিল নতুন করে কোনো নকশালবাদের জন্ম যেন না হয়। কিন্তু ছাত্রলীগের প্রথম সম্মেলনেই বামপন্থীদের সাংগঠনিক উত্থান নতুন করে চিন্তায় ফেলে দেয় ভারত ও বাংলাদেশের ডানপন্থীদের। সৃষ্টি হয় জাসদ, যা আওয়ামীলীগের বিরোধীদল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। জাসদ নেতারা যখন আওয়ামীলীগের গুণ্ডাবাহিনী রক্ষিবাহিনীর নির্যাতন থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারছেন না তখন তারা অস্ত্র হাতে তুলে নেন এবং সৃষ্টি হয় গণবাহিনী। দুই বাহিনীর যুদ্ধে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে অনেক রক্ত ঝড়েছে। দুই পক্ষেই ছিল মুক্তিযোদ্ধা, তাই ক্ষতিটা হয়েছে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রেরই।
বইটা কেমন? আমার মতে বইটা পড়া ইতিহাসবোদ্ধা পাঠকের জন্য জরুরি। এমন না যে বইটা একেবারে নির্ভূল। কিছু কিছু জায়গায় লেখক দূর্বল রেফারেন্স দিয়েছেন আবার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ক্রেডিট বেশি দিয়ে কন্সপিরেসি থিওরি প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। এই ব্যাপারটা একটু বেশিই ছিল। তবে সর্বোপরি বলা যায়, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি সৃষ্টির পেছনে বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার পর্দার আড়ালে কলকাঠি নাড়ানোর গল্পটার চিত্র বইটির মাধ্যমে পাঠকের সামনে উন্মোচিত হবে। হ্যাপি রিডিং।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যেকটি বিষয়কেই কিছু কন্সপিরেসি এর ছকে আনা হয়েছে। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে সিআইএ এর ভূমিকা, জেনারেল আইয়ূব খানের প্রতি মার্কিন প্রশাসনের বিরুপতার কারণ, আইয়ুব সরকার পতনের চক্রান্ত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আইয়ুব সরকার পতনের ঢাল হিসেবে ব্যবহার, এসব কিছুর সুবিস্তর ব্যাখ্যা এখানে পাওয়া যায় শুরুর দিকে। একের পর এক কন্সপিরেসি থিওরি, এবং সেগুলো সিনেমার মত সুসজ্জিত। লেখক এ ব্যাপারে অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখেন।
তবে "ছয় দফা হলো সিআইএ এর তৈরি, আইয়ুব সরকার পতনের জন্য তাদের সৃষ্ট 'রাজনৈতিক চাপ'.." এই কথাটার ভ্যালিডেশনে লেখকের যুক্তি দূর্বল মনে হয়েছে আর তিনি হয়তো ভ্যালিড রেফারেন্স এরও উল্লেখের প্রয়োজন বোধ করেননি। হয়তো তিনি মনে করেছেন, ৩-৪ বার একই কথা বলতে থাকলে পাঠকের মনে এটার ভ্যালিডেশন অটোমেটিক্যালি চলে আসবে!
বইয়ের শেষের দিকের তৎকালিন রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত কয়েক বিশিষ্টজনের সাক্ষাৎকার সংযুক্ত করা আছে, যা এই বইয়ের অন্যতম আকর্ষণ।
স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫০ বছর পরে এসে ওই সময়ের ইতিহাস পড়া বা জানার চেষ্টা বেশ কঠিন, বিশেষত, আমাদের ইতিহাসে যেহেতু অনেক মতভেদ আছে। কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা, কোনটা বায়াসড, কোনটা নয়, কোনটা বিশ্বাসযোগ্য, কোনটা বানোয়াট, এগুলো সম্ভবত পরের প্রজন্মের আর কোনদিনই জানা হবে না। এই বইয়ের ভালো দিক হল তথ্য গুলো ডাবল-চেক করবার চেষ্টা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের ইন্টার্ভিউও এখানে সংযোজিত আছে, তবুও তাদের বায়াসডনেস, মোটিভেশান এই ব্যাপারগুলো নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। কতটুকু র-সিআইএ'র ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত, কতটুকু আমাদের চেতনা বোধ, কতটুকু পাকিস্তানের শাসন-শোসন আর অত্যাচারের ইতিহাস বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের, জাতীয়তাবাদের সূচনা করে, সে ব্যাপারটা আরো পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা হলে বইটির গ্রহণযোগ্যতা আরো বৃদ্ধি পেত।