Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
নানুবাসায় শেলফে ছিলো বইটা, পেপারব্যাক সাইজের পাতলা একটা বই। অবশ্যই পেরজাপতি আঁকা মিলন/সমরেশ ঘরানায় এই দীন প্রচ্ছদ নয়, সম্ভবত মূল এডিশনের অলঙ্করণে ছিলেন কাইয়ূম চৌধুরী। মলাটের এককোণে ট্যাগলাইন লেখা ছিলো-- হুমায়ূন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস।
বড়দের সামনে বইটা হাতে নিতে একটু অস্বস্তিতেই ভুগতাম। মনে রাখতে হবে, নব্বইয়ের দশক সেটা, হালের মতো নানাচাচাখালামামার উপস্থিতিতেই ইন আ রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস আপডেটের জামানা নয়। কাছে এসো চুমু খাই ভঙ্গিমার পাউট করা মুখের ছবি তখন যত্রতত্র ভেসে বেড়ায় না, ভালোবাসা তখনো বুদ্ধদেব বসুর থিওরি মতো চলে-- তাই পবিত্র, যা ব্যক্তিগত..
এরপরের যুগের গল্প গ্লোবালাইজেশন থিম নিয়ে, ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী, বেডরুমে ঢুকে যাচ্ছে ক্যা্মেরা, সঙ্গে প্রশংসা, ভেজা ভেজা--সো কিউট কাপল মাশাল্লাহ, রাব নে বানা দি জোড়ি ইত্যাদি ইত্যাদি। এ উপন্যাস অন্য যুগের, ঢের আগের।
মানুষ এমন তয়, একবার পাইবার পর, নিতান্ত মাটির মনে হয় তার সোনার মোহর! মানুষের মন যদি কোথাও বসে যায় কিংবা উঠে যায়, কারো উপর থেকে, জোর করে তাকে শাসনে আনা খুব মুশকিল। চেষ্টা করাই যায়, তবে লাভ হয় না সবসময়। এমনটাই লিখেছিলেন রেণু, 'নীলু, বিলু আর সেতারা'র মা, মেয়েদের কাছে লেখা চিঠিতে। সংসারে স্বাচ্ছল্য ছিলো, সন্তান ছিলো, সম্ভবত আপেক্ষিক বলে নাম দেওয়া হয় যে বস্তুর, সেটি ছিলো অনুপস্থিত, সুখ। সাধে বলে, হ্যাপিনেস ইজ আ স্টেট অফ মাইন্ড?
প্রেসের ম্যানেজার প্রণব বোসের সঙ্গে যখন তিনি সে সংসার ছেড়ে যান তখন নীলু-বিলুর বয়স ১২, সেতারার ৭। জীবন কারো জন্যেই থেমে থাকে না, চাকা ঘুরেই চলে। কারো জন্য সে চক্রটি অনিচ্ছুক বহনের, কারো জন্য আনন্দিত যাপন। সেতারার সাধা রিনরিনে কন্ঠ কোন অলৌকিক জগত থেকে সুর খুঁজে আনে-- নহে নহে প্রিয়, এ নয় আঁখিজল...?
নীলুর সে জল মুছিয়ে দেন রকিব ভাই, অঙ্কের প্রফেসর। এমনভাবে কথা বলেন, যেন ওরা নিতান্তই বাচ্চা মেয়ে এখনো। ওরা, কারণ যমজ বোন তো। কে নীলু আর কে বিলু--আলাদা করা ভারি মুশকিল ছিলো ছোটবেলায়। বড়বেলায়ও। যদিও বিলু ভীষণ ভালো ছাত্রী, মফস্বলের স্কুল থেকে এসএসসিতে তৃতীয় হওয়া তো চাট্টিখানি কথা নয়।
তায় আবার সে সংসার থেকে, যেখানে মেয়েরা বড় হয়েছে খেয়াল করার জন্য মা নেই আর।
রকিব ভাই প্রায়ই চিঠি লেখেন নীলুকে। নীলুও। চিঠিতে দিনদিন অসুস্থ হয়ে পড়া বাবার গল্প থাকে, দোতলার নূতন ভাড়াটের গল্প থাকে, বহু বছরের পুরোনো ভাড়াটে নজমুল চাচার গল্প থাকে, থাকে ঢাকার কলেজে পড়তে যাওয়া হুবহু একই অবয়বের বিলুর কথাও। খসখসখস..নীল কাগজে চালাচালি হয় একশ একটা নীলপদ্ম।
সেতারাও চিঠি পায়। রুলটানা কাগজে, একটু বড় হয়ে উঠতেই। চিঠি যায় মা'র কাছেও, বাবাকে দেখতে আসার অনুরোধ জানিয়ে। রোগশয্যায়, শেষ দেখা? হয়তো।
যে চেনা মধ্যবিত্ত জীবনের আনন্দ-বেদনার চালচিত্র এঁকে একসময়কার আপামর বাংলাদেশি পাঠকসমাজের প্রিয়বরেষু হয়ে উঠেছিলেন হুমায়ূন, সেই ভীষণ সোনালি সময়ের রচনা, তোমাকে।
হা ঈশ্বর, সেই একই লেখক-ই ফুরিয়ে গিয়ে, শেষবেলায় প্রসব করে গেছেন 'হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী, দাঁড়কাকের সংসার কিংবা মাঝেমাঝে তব দেখা পাই, দেয়াল' জাতীয় বিষ্ঠা, ভাবলে এবং মনে পড়লে আন্তরিকভাবেই বড়ো দুঃখিত হই।
এই বইটির মধ্যে কেমন যেন একটা মন খারাপ করা ভাব আছে। বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি পৃষ্ঠাই সেই মন খারাপ ভাবকে সযত্নে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে, অন্তত আমার কাছে তাই মনে হল। এই উপন্যাসে মাঝে মধ্যে আনন্দদায়ক কিছু ঘটনা ঘটেছে, তবে সেই আনন্দময় ঘটনাগুলোও যেন আটকে ছিল বিষন্নতার প্রাচীরে। বিলুর জবানীতে কাহিনী বর্ণিত হলেও প্রাধান্য বেশি পেয়েছে নীলু চরিত্রটি।
বইটা নেওয়া ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি থেকে। ফ্ল্যাপে লেখা কথা পড়ে বইটি নেওয়ার লোভ সামলানো দায় হয়ে পড়ছিল।
চারদিকে সুনসান নীরবতা। আমি বসে আছি চুপচাপ। আমার পাশেই ভারবাসার একটি নীল চিঠি। আমি হাত বাড়িয়ে চিঠিটি স্পর্শ করলাম। ঠিক তখনি নিচ থেকে একটি তীব্র ও তীক্ষ্ম কান্নার শব্দ ভেসে এল।
চেষ্টা চরিত্র করেও চিঠির চর্চা ফিরে না আসার দুঃখবোধের দিনকালে দুদন্ড দুঃখবিলাস না মধ্যবিত্তের সাদাকালো সংসারে বেদনার নীল আঁচড়ের সাথে আড়ি কেটে বাড়ি বসে ভারাক্রান্ত হবো তা নিয়ে ভেবে বেশ কেটে যাচ্ছে এইসব দিনরাত্রি।
এরিমধ্যে যখন এহেন আরাধ্য বস্তু অকাল ব্লকের আকাল কাটাতে হাতে পাই তখনই মনে হয় ছুটে গিয়ে জিজ্ঞেস করি;
হিমু সমগ্র সহ আরো নানা নামে প্রকাশকদের প্রয়োজনে প্রকাশিত সেইসব রংচটা গল্পের হলদেটে পাতার মধ্যে কিভাবে হারিয়ে গেলো হুমায়ূন!
"যা কিছু সুন্দর,শুভ্র সত্য-এই অনুভূতি বড় পবিত্র,ব্যক্তিগত"এই বোধের সাথে যে মানুষটি মনের এপাড় ওপাড় যোগাযোগের যোগ বিয়োগের গুন এঁকে ভাগ করে দিয়েছেন সত্ত্বার সবটুকু কে,তার এহেন লেখনীর লভ্যাংশ দেখে মনে প্রশ্ন জাগে
"দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে,আসলেই কি জানি তাহার সৃষ্টির জোরে"!
এই প্রশ্নের জবাবের জটিলতায় না গিয়ে বরং সুখের একটা বিন্দু খুঁজি,সে বিন্দুতে ভরা সংসারে থেকেও শান্তি সুধার স্বাদ নিতে সব পার করে রেনু ছেড়ে চলে গেছে অজানার পথে,পরিনামে অক্লেশে অমৃত না অহর্নিশি অপমানের বাঁশি বেজে গেছে তার অনুভব একান্তই ব্যক্তিনির্ভর থাকুক।
কিংবা নীলুবিলু সেতারার সুরে বাঁধা শৈশবের তার কেটে গোল বেধে গোলকধাঁধায় হারিয়ে যাওয়ার মাঝে কিছু পাতায় হাতের লেখায় ফুটে ওঠা বিশ্বাস ভালোবাসার ভরসায় ভরে ওঠার গল্প কি না এ তার নিয়েও আমি দ্বিধায় পড়ে গেছি
শুধু এটুকুই জানি যাহা পেয়েছি,তা হারিয়ে যাওয়া হুমায়ূনের মায়ার মালায় বেঁধে রাখলো আরেকটু যত্ম করে।
অনাদরে মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা তিন বোনের গল্প- নীলু , বিলু আর সেতারা। নীলু আর বিলু যমজ, নীলু বিলুর থেকে ১১ মিনিটের বড়। এদের মা যখন বাড়ি ছেড়ে চলে যায় সেতারা তখন ৭ বছরে পা দিয়েছে আর যমজেরা ১২ তে।
ঠিক যেরকম কথা শোনার কথা ছিল ঠিক তেমন কথাই এরা শুনেছে পাড়া প্রতিবেশীদের থেকে। আকবরের মা, রমজান চাচা আর ভাড়াটিয়া নজমুল চাচা এরাই ছিল তিন বোনের আশপাশ। তবে অনাদরের ছোঁয়া আগেই লেগেছিল বোনদের মধ্যে। এই ছোট বয়সেই সেতারা হয়ে ওঠে গম্ভীর, বিলু আর নীলু আলাদা হয়ে যায়। তাদের বাবার আদরও তেমন পায় না তারা। ধীরে ধীরে এই মা বিহীন পরিবারে বড় হয়ে ওঠে তিনটি মেয়ে। মাঝে মাঝে চিঠি আসে তাদের নামে।
কি দুঃখ তাদের! কেউ কাউকে বলে না, সযতনে লুকিয়ে রাখে। সেতারা এক সন্ধ্যায় গেয়ে ওঠে,"নহে নহে প্রিয়, এ নয় আঁখি জল।"
হুমায়ূন আহমেদের ৬০+ বই শেলফে অ্যাড করেছি/পড়েছি। আমার ধারণা এর মধ্যে কয়েকটা আসলে পড়িনি। পরিচিত নাম দেখে রেটিং দিয়ে দিয়েছি। তো এর মধ্যে কোনটাই কিনে পড়িনি। সেদিন বাসা থেকে বেরোলাম, ফুটপাতে দেখলাম এটা, রিফাতাপুর পেরজাপতি উপমার কথাও মনে পড়ে গেলো, অতএব কিনে ফেললাম। বিক্রি করছিল পিচ্চি একটা ছেলে। জিজ্ঞেস করলাম কত? সে পৃষ্ঠা উল্টালো কিছুক্ষণ ধরে। আমি বললাম বাইশ টাকা লেখা আছে। জিজ্ঞেস করল কোথায়। দেখিয়ে দেয়ার পর বলল, তাহলে বিশ টাকা দেন। সেখানে দুর্ধর্ষ কিছু বই দেখলাম, আল-জি*দ, মও*দীর জীবনী, কাসেম বিন আবু বাকারের ‘আধুনিকা’ সহ আরো কিছু বই। লোভ সংবরণ করলাম। বইটা সি ইউর আবু হেনা * * এর। তারিখ লেখা আছে চৈত্র ২৮, ১৩৯১, মানে হচ্ছে ১৯৮৫ সালের।
*
অনন্যার সংস্করণের শেষ দুই পৃষ্ঠা দেখলাম, মূল ঘটনা ঠিক থাকলেও কিছু বাড়তি আলাপ আছে ওখানে।
মানুষের বেচে থাকার জন্য কোনো না কোনো একটা অবলম্বন থাকা দরকার। অনেকের কাছে এই অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায় অন্য আরেকটি মানুষ। ভুল মানুষকে জীবনে বাচার অবলম্বন করলে সে জীবন হারিয়ে যায়। নীলু বিলুর বাবা মা দুজনই হারিয়েছিলেন তাদের জীবনের অবলম্বন। এর প্রভাব পড়ে নীলু, বিলু, সেতারা তিন বোনের জীবনে। জীবনের কতো বড়ো একটা দিক লেখক কতো সহজভাবে এতো ছোট একটা বই এ দেখিয়ে দিলেন। একটা মানুষের একটা ইচ্ছা/চাওয়া আরেকটা মানুষের মাঝে কতো সহজেই এই অনুভূতি দিতে পারে যে, 'জীবন অসুন্দর' তা আমরা অনেক সময়ই বুঝি না। কারণ আমরা সবসময় নিজের কথা ভাবি, নিজের ভালো লাগার কথা ভাবি, নিজের ভালোবাসার কথা ভাবি। আমাদেরকে যারা ভালোবাসে, তাদের কথা আমরা কি খুব ভাবি?
নীলু,বিলু আর সেতারা তিন বোন।নীলু-বিলু যমজ দুবোন দেখতে অবিকল একই রকম।খুব সুন্দর গোছানো ছিল তাদের সংসার কিন্তু হঠাৎ তাদের মায়ের পলায়ন সমস্ত পরিবারকে দুমড়িয়ে মুচড়ে দেয়। তোমাকে,খুব ছোট একটি উপন্যাস যার ভাবার্থক অনেক বেশি। এক্সট্রা ম্যারিটাল সম্পর্ক কীভাবে একটি সংসারের সবার উপর প্রভাব ফেলে তার সুন্দর ছবি তুলে ধরেছেন লেখক। উপন্যাসের শেষটা বারেবারে মনে করিয়ে দেয়, শেষ হয়েও হইলো না তো শেষ!!! খুব জানতে ইচ্ছে করে রকিব ভাইয়ের সাথে নীলু-বিলুর শেষ পরিনতি কী হতো!!🤔🤔
একই ধরণের বই অনেক লিখেছেন লেখক। আমি পড়েছি কয়েকটি। কিন্তু তবুও ভালো না বেসে পারা যায়না। এখানেই লেখকের মৌলিকতা, বিশেষত্ব।
গল্পটি একটি একান্নবর্তী পরিবারের এক কন্যার জবানীতে পারিবারিক পরিবর্তনশীলতার কাহিনী। সব বদলে যায়। মা-বাবা, বোনের সাথে বোনের সম্পর্ক। প্রেম, কিংবা অভিমান বাসা বাঁধে মনের গহীনে অজান্তেই। অনেক সময় অনাত্মীয়ও হয়ে ওঠে আত্মীয়ের থেকে বেশি। ভালোমানুষ নানাবিধ সামাজিকতার জালে জর্জরিত হয়ে পা বাড়ায় কু-অভ্যাসে। এসব বিষয় অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় বর্ণনা করেছেন লেখক। আর কি মায়াময় লেখনী। আমার সামাজিক গল্প ভালো লাগেনা সেভাবে। কিন্তু ইদানীং লক্ষ্য করছি এই জাতীয় গল্প অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ি আমি। আমিও বদলে যাচ্ছি। কমবেশি। হাহাহা।
ভালো লেগেছে সম্পূর্ণ গল্পটি, বার বার পড়ার মতো উপাদান এতে রয়েছে।
আগেও পড়েছিলাম, আবার পড়লাম। হয়তো আগে যখন স্কুলে থাকতে পড়েছিলাম তখন অনেক ভালো লেগেছিল। এখন তেমন অসাধারণ মনে হয় নি। টিপিকাল হুমায়ূন আহমেদ টাইপ লেখা। তবে উনার খুঁটিনাটি তুলে ধরার ব্যপার টা অসাধারণ...
5 স্টার দিয়ার একটাই কারন কাহিনীটা পড়তে পড়তে ভাল লাগছিল যে শেষ প্যার��টা যখন পড়ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল যে শেষ না হোক বইটার কাহিনি এখানেই... আসলেই খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেছে :( ( এত তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য 4 স্টার দিয়া দরকার ছিল :))
বিলু, নীলু দুই মেরুর দুই যমজ বোন। তাদের মফস্বলের জীবন। ছোটবোন সেতারাকে নিয়ে নদীর পাড়ে হাঁটা। পাড়ার ব্রিলিয়ান্ট বড় ভাইয়ের সাথে দুই বোনের টেনশনের সম্পর্ক। ব্রোকেন ফ্যামিলি। পাড়া-পড়শিদের টিপ্পনি। অসহায় রাগী বাবা। এইতো।
আবেগে ভেজা ব্যথাতুর কাহিনী। কিন্তু পড়ার নেশা ছাড়া যায় না।
Book Review: Tomake by Humayun Ahmed Ratings: 5/5 stars ‘cause why not? [Spoiler Ahead]
Although this is the first time me reading a Humayun Ahmed novel, I’ve known him since forever. As a kid, I remember my family waiting for his Eid comedy telefilms to start up back in 2001-2006 so we could munch on the grand feast on our living room sofa and laugh heartily at all their one-liner jokes. We don’t get telefilms like that anymore after his death, but I’m glad he wrote so many books to get a feeling of the old times whenever we want to again.
Now, about the book, as I’m a slow Bangla reader, it took me a while to finish it, but it was so much fun. It is like his usual stories, at first it’s funny but before the end, one must die to break your heart.
In the most twisted way, the middle-grade version of me felt heard (for the first time in my entire life) through the characters of this story as it gave the reader a hint of the magnitude of nosiness of our society, about how much, just how much people suggest – no, oppose - their thoughts on you, how you should do this and that and what you shouldn’t be doing to a point you just want to run away.
So in short the story is about a happy family falling under the spotlight of chaos after the mother runs away with another man, leaving her husband and three little girls behind.
She gave her lust a way and left three little girls to fend for themselves while she still breathed under the same sky. The woman then sent a letter to them that said ‘when you grow up, you’ll understand,” lol, I’m a reader who’s old enough to know what she did was absolutely unacceptable, contradict the wall if you disagree I don’t give a f. Although this character is fictional and spoke very little, I hated her from the bottom of my heart from the beginning till the end. I felt the most for the girls; it isn’t easy growing up in our society with a history like that in peace, so those three girls seemed the strongest to me. The most heartbreaking part (for me) was when the husband was willing to forgive his wife even in his last breath… and you tell me all men are dogs. heh.
Alright so maybe because this is amongst my first Humayun Ahmed reads so I got a little too emotional and sucked into the story, either way, I hope u enjoyed this… very long review (I just noticed)
এক সপ্তাহের ও বেশি সময় ধরে কিছু পড়ছিলাম না। কেমন জানি বিরক্ত লাগছিল। ঠিক কিছু ই ভালো লাগছিল না। অনেক বুক রিভিউ দেখতাম এবং কোনোটাই পড়তে আর ইচ্ছে হত না। আমি আসলে খুজছিলাম হালকা চালে পড়ার মতো সহজ সরল কোনো গল্প। তবে আমি আরও একটা পণ করেছিলাম। হুমায়ুন আহমেদ আর পড়বো না। অনেক হয়েছে আর কতো.......! কিন্তু এই বইটা দেখে অনেক গুলা রিভিউ পড়লাম এবং ইচ্ছে হলো বইটা পড়ব। ভাবছিলাম সিদ্ধান্তে অটল থাকবো। কিন্তু পরে মনে হলো ভালো বইগুলা পরেই ফেলি। একদিন লেট করে পড়তে নিলাম। আসলে ভুলেই গিয়েছিলাম আমি যে কোনো বই পড়বো ভাবছিলাম.....
হঠাৎ সন্ধ্যার পর কিছু করার খুঁজে পাচ্ছিলাম না। বইটার কথা মনে পড়লো আর ডাউনলোড করে ফেললাম। ৭ঃ৩০ এ মনে হয় বসেছি পড়তে। নয়টার একটু বেশি লাগলো শেষ করতে। আমি আসলে খুব সুন্দর একটা বই ই বাছাই করেছিলাম। বইটার প্রধান চরিত্র নিঃসন্দেহে বিলু। সে নিঃসঙ্গ প্রকৃতির। কোনো বন্ধু বান্ধব নেই। জমজ বোন নীলুর সাথেই ছিল সক্ষ্যতা৷ কিন্তু আস্তে আস্তে নীলু তার থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। বিলুকে এভয়েড করে।বিলু একা হয়ে পরে। কারন স্কুলেও তার কোনো বন্ধু নাই। অদ্ভুত কারনে ক্লাস এর সব মেয়ে তাকে অপছন্দ করে। বাড়ি এসে যখন নীলুকেও কথা বলার জন্য পায় না তখন বাস্তবিক ই সে অসহায় বোধ করে.... পুরো গল্পে কেমন মন খারাপ করা একটা ব্যাপার বজায় ছিল। হয়তো বিলু গল্পের কথক হওয়ায় ই এমন হয়েছে। বিলুর দুঃখবোধ পুরো গল্পে ছড়িয়ে পরেছিল। আর না হয় নীলু কথক হলেও কাহিনি অন্যরকম হতে পারতো।....
আমার কাছে নীলুকে মনে হয়েছে চতুর টাইপ মেয়ে। যদিও সে পড়াশোনায় ভালো না। তবু সবকিছু খুব সহজে বুজে ফেলে এবং বুদ্ধি খাটিয়ে কিছু একটা করে ফলে। আর বুদ্ধি দিয়ে নিজের জন্য সবকিছু আদায় করে নিতে ও পারে আবার সবার ভালোবাসা পায়। আর বিলুর মতো মেয়েরা বাস্তবিক ই অগোচরে থাকে। এরা সবার মধ্যমণি হতে পারে না। নিজের ভিতরের অনুভূতি কাউকে বলতে পারে না৷ আর সবার নজর কেড়ে নিতেও পারে না। নিত্যান্ত সাদাসিধা ধরনের হয়। আমার কেন জানি মাঝে মাঝে বিলুর জন্য খারাপ ই লেগেছে। এরকম হওয়ার কারনটা কি???
ঠিক পড়লাম না, শুনলাম। 'গল্পকথন by কল্লোল' চ্যানেলে মিস্টার কল্লোল এত সুন্দর পাঠ করেন হুমায়ূন আহমেদ যে, বইটা হাতে থাকলেও পড়তে মন চাইলো না। উনার পাঠ করা গল্পই তার চেয়ে ঢের উপভোগ্য মনে হলো। আরও বেশকিছু অডিও শুনেছি তার থেকে এবং বারবারই মনে হয়েছে, উনি হুমায়ূন যত ভালো পাঠ করেন, বাকি সব তার তুলনায় ক্ষীণ।
যাইহোক, 'তোমাকে' ছোটো সাইজের ভেতরেও, ছোটো ছোটো বাক্যে, তিন বোনের জীবনের এক নাতিদীর্ঘ উপাখ্যান। গতানুগতিক হুমায়ূন আহমেদ আর সেই মনখারাপি শেষটা। যতই গতানুগতিক হোক, কেমন করে যেন ভালো লাগছে। মানুষের মনের ভেতরকার সমস্ত অনুভূতি লেখকের জানা ছিলো, তাই গল্পগুলো হয়ে উঠেছে সাধারণের ভেতরেও অসাধারণ।
" শহরের উষ্ণতম দিনে পিচগলা ���োদ্দুরে বৃষ্টির বিশ্বাস তোমায় দিলাম আজ "🌿 উপহার পেয়েছিলাম বইটা, দ্বিতীয়বার পড়া হলো। প্রথম পড়েছিলাম বোধহয় বছর দেড়েক আগে। বইটার প্রতি অন্যরকম একটা আবেগ কাজ করে। নামটা প্রচন্ড সুন্দর 'তোমাকে', দেখেই পড়া শুরু, প্রথমবার পাঠের তেমন কোনো স্মৃতি নেই, শুধু মনে আছে বইটা পড়ে প্রচন্ড বিষাদ মাখানো ভালোলাগা নিয়ে ঘুমুতে গেছিলাম। আবার বইটা পড়লাম, এক মধ্যবিত্ত পরিবারের কত সুখ, দুঃখের গল্প। নীলু, বিলু, সেতারা তিনবোনের গল্প। যাদের মা সংসার ছেড়ে অন্য একজনের ভালোবাসায় চলে গেলেন, বাবা হয়ে পড়লেন বিধ্বস্ত, মাতাল। বিলুকে খুব ভালোলাগে আমার, কিরকম নিঃসঙ্গ ছিমছাম একটা মেয়ে, নীলুকে বোধহয় সবারই বেশি পছন্দ, সেতারা সুন্দর গান করে। বইটার সবচেয়ে সুন্দর দিক হলো, শুধুমাত্র একজন সদস্য সরে যাওয়ার কারণে খুব ধীরে ধীরে পুরো পরিবারের পরিবর্তন আসে, সেটা এত সুন্দর অনুভব করা যায়৷ এমন যদি হতো! আহা এমন যদি না হতো! এসব ভেবে ভেবে এক বসাতেই বইটা শেষ করা যায়।এই সুন্দর বিষণ্ণতায় ঘেরা বইটা আমার প্রিয়।
পুনশ্চঃ বইটার ফ্ল্যাপে লিখা " চারদিকে শুনশান নীরবতা।আমি বসে আছি চুপচাপ। আমার পাশেই ভালোবাসার একটি নীল চিঠি। আমি হাত বাড়িয়ে চিঠিটি স্পর্শ করলাম।" আমার ক্ষেত্রে চিঠির জায়গায় শুধু এই বইটা হবে!