মানুষের জীবন কি চক্রের মত? চক্রের কোন শুরু নেই, শেষ নেই। মানব জীবনও কি তাই? রহস্যময় চক্রের ভেতর এই জীবন ঘুরপাক খেতে থাকে? শুরু নেই, শেষ নেই। চক্র ঘুরছে। এই চক্রের ভেতরে ঘুরপাক খেতে খেতে অপেক্ষা করে কেউ কেউ। কিংবা সকলেই কিসের অপেক্ষা?
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
সার্জারি লেকচার খুব বোরিং চলছিলো, তাই লেকচার বাদ দিয়ে বইটা পড়ছিলাম। এমন সময় সুপ্রভার অংশটুকু শেষ হয়ে গেল। আমি বসেছি থার্ড বেঞ্চে, একেবারে স্যারের মুখোমুখি। বইটা বন্ধ করলাম। স্যারের দিকে তাকিয়ে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদতে শুরু করলাম। স্যার অপ্রস্তুত হয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে পড়ানো চালিয়ে গেলেন। এরপর বইয়ের বাকি অংশ শেষ করলাম কলেজের লাইব্রেরিতে বসে। শেষ করেও কাঁদলাম। জানি, এটা কোনো রিভিউ হলো না। না হোক। আমি কান্নাকাটি করেছি, লিখে ভালো লাগলো।
এইরকম একটা গল্প মন খারাপ করিয়ে দিতে বাধ্য।সুরাইয়ার স্বামী হাসানুজ্জামানের নিখোঁজ হওয়ার মাধ্যমে গল্পের শুরু। সুরাইয়া এই ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারে না। আমাদের বাস্তব জীবনে ও কথাসাহিত্যে প্রায় উপেক্ষিত মানসিক অসুস্থতা, ট্রমার দীর্ঘমেয়াদি প্রতিক্রিয়া লেখক "অপেক্ষা" উপন্যাসে সুন্দরভাবে ধারণ করেছেন। সুরাইয়ার মানসিক বৈকল্যের কারণে তার দুই সন্তান স্বাভাবিক জীবন পায় না (যা তাদের ভিতরে আত্মবিনাশের বীজ বুনে দেয়।) এদের মধ্যে মেয়ে সুপ্রভার পরিণতি চাইলেও ভুলতে পারবো না।ছেলে ইমনের জীবনের ঘটনাপ্রবাহ পুরো উপন্যাসে প্রায় নিখুঁতভাবে এলেও শেষের কষ্টকল্পিত উপসংহার পুরো গল্পের আবহ নষ্ট করেছে। সুরাইয়ার সাথে তার স্বামীর কাল্পনিক কথোপকথনগুলো মন বিষণ্ণ করে দ্যায়। পুরো গল্পটাই অসাধারণ কিন্তু শেষের "অতঃপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো" অংশটা একেবারেই হুমায়ূনীয় এবং একেবারেই সাধারণ। লেখকের শক্তি ও সীমাবদ্ধতা দুইটার জন্যই "অপেক্ষা" মনে থাকবে (প্রথমবারের মতো এইবার ভুলবো না মোটামুটি নিশ্চিত।)
বাংলাদেশে হুমায়ূন আহমেদ ঠিক কি কারণে বিখ্যাত শুধুমাত্র এই বইটা পরলেই বুঝা যায়। একদম নিরেট, নির্মল আবেগ দিয়ে হয়তো বইটা লেখা :) নিজের আরেকটা জন্মদিনের ঠিক আগেরদিন বইটা পড়ে শেষ করার পর মনে হচ্ছে নিজেকে নিজে জন্মদিন উপলক্ষে বিশাল একটা উপহার দিলাম :D
প্রায় দু'বছর পর হুমায়ুন আহমেদ পড়লাম। আগামী ৩/৪ দিন বুকের মধ্যে একটা হাহাকার থাকবে। যে কারনে হুমায়ুন আহমেদ পড়তে ইচ্ছে করে নাহ। কষ্ট হয়। এ কষ্ট ভালো লাগে নাহ খারাপ লাগে বুঝার উপায় নেই।
বইটা চব্বিশ বছর বয়সে এসে পড়ার কথা ছিল না আমার, পড়তে হতো কৈশোর পেরোনোর আগে। হয়তো কোনো চরিত্রের জন্য কাঁদতে পারতাম, কারো ওপর রাগে চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসতো। এই বয়সে এসে গল্পের কিছু আর আমার কাছে অভিনব নাই, প্রতিটা চরিত্রের সাথেই জীবনে দেখা হয়ে গেছে। গল্পটাও তেমন অভিনব কিছু না, গল্পের জন্য সেঁটে থাকার কথা না আমার, রুদ্ধশ্বাসে পড়ার প্রশ্নই নেই। অথচ, অনায়াসে শুরু থেকে আটকে ছিলাম বইটাতে। যখন পড়ার সময় পেয়েছি, কখন শত পৃষ্ঠার বেশি পড়েছি খেয়াল করিনি। যখন ঘুম পেয়েছে, বই বন্ধ করে উঠে গেছি। বইয়ে ফেরত আসার তীব্র আকর্ষণ কখনো বোধ করিনি, কেবল সময় পেলেই পড়তে নিয়েছি, তবুও পড়ার সময়টুকু কখনো মনেই হয়নি, যে, পড়তে ভালো লাগছে না।
বলেছিলাম বইয়ের চরিত্রদের সাথে দেখা হয়েছে বাস্তবে। সত্যি। মানুষের মনস্তত্ত্ব কিভাবে এত নিখুঁত করে বুঝতে পারতেন হুমায়ুন আহমেদ, ভাবা যায় না। চরিত্র হোক আর গল্প, কোথাও অতিরঞ্জন মনে হয়নি।
২৫ বর্ষপূর্তি বিশেষ মুদ্রণ সংস্করণে বইটা পড়লাম। ২১৭ পৃষ্ঠা, মুদ্রিত মূল্য ৫০০ টাকা। সংগ্রহে রাখার মতো একটা কাজ। সংগ্রহ করতে পারেন আফসার ব্রাদার্সের পেইজে নক করে।
হুমায়ুন আহমেদ এর অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস অপেক্ষা। বইটা যে কাউকে মন খারাপ করাতে বাধ্য, মন খারাপের সেই অপেক্ষার চক্র বেশ সময় নিয়ে পড়লাম। বইটা আসলেই বেশ ভালো।❤️
আর সবার মতো আমারো হুমায়ুন আহমেদ দিয়েই বাংলা উপন্যাসের মুগ্ধ পাঠকের যাত্রা শুরু। পাঠক জীবনের শু��ুর দিকে উপন্যাস মানেই হুমায়ুন আহমেদ। হুমায়ুনের ঘোর কাটতে বেশ সময় লেগেছে। এই ঘোরের একটা নেতিবাচক দিকও আছে ; পাঠক সাহিত্যের পাঠক না হয়ে শুধু হুমায়ুন-পাঠক রয়ে যায়। তবে আমার মতে হুমায়ুন-ঘোর কাটিয়ে সাহিত্যের অন্যান্য অলিগলি পেড়িয়ে আবার হুমায়ুন পড়লে প্রকৃত হুমায়ুন আহমেদ কে বোঝা যায়। তিনি যে গল্পকার হিসেবে কত শক্তিমান ও গল্পের কলকব্জা নিয়ে তিনি কতটা কৌশলী তা নিরপেক্ষতার সাথে উপলব্ধি করা যায়।
হুমায়ুনের প্রায় সব লেখা ই আমার পড়া। তবে সেই পাঠে ছিলো শুধু মুগ্ধতার রঙ। তাই নতুন করে ফাঁকেফাঁকে হুমায়ুন পড়ছি কিছুটা সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই। সাহিত্যের ছাত্র হিসেবে গল্প-কবিতা-উপন্যাসের হাড়মাংস কাটাকুটি করার বিদ্যা শিখতে হয়েছে কিছুটা, সেই স্বল্প বিদ্যা খাটিয়ে বোঝার চেষ্টা করছি গল্পকার হিসেবে তিনি কতটা গ্রেট কিংবা মিডিওকার। কৈশোরে যে বই পড়ে খুব মুগ্ধ হয়েছিলাম এখন পড়ে খুব বিব্রত হয়েছি।
' অপেক্ষা' এক নারীর অন্তহীন অপেক্ষার গল্প ; সেই অপেক্ষা'র রোমান্টিসাইজ করা হয়নি উপন্যাসে। বরং মানসিক ট্রমা কাটিয়ে উঠতে না পারার দরুণ একজন নারীর জীবন কিভাবে দুর্বিষহ হয়ে উঠে সেই ট্র্যাজিক কাহিনী হুমায়ুন বিবৃত করেছেন। মধ্যবিত্ত জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষার এতো মনোরম বিবরণ বাংলা সাহিত্যের আর কোথাও পাওয়া যাবেনা। ' সুপ্রভা' চরিত্রটি দীর্ঘদিন মনে থাকবে। কাল্পনিক কথোপকথনগুলো ছিলো হ্নদয়স্পর্শি। হুমায়ুন আশি-নব্বই দশকের বাংলাদেশি মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধ,আহ্লাদ আর মনোবেদনা সার্থকতার সাথে চিত্রায়ন করেছেন তাঁর উপন্যাসে।
হুমায়ূন আহমেদের সবচেয়ে ভালো বইগুলোর একটা। এতদিন শুনেই এসেছি কিন্তু বিচিত্র কারণে পড়া হয়নি। আজ একবসায় শেষ করে ফেললাম। এটা দিয়ে রিডার্স ব্লকও হয়তো কাটিয়ে উঠতে পারি।
বইটা হলো "আরো কয়েক বছর আগে পড়লে ভাল হতো" টাইপের। তবে এবার তেমন ভাল লাগলো না। ভাল লাগলে খুশি হতাম। কারণ সেই কবে থেকে বইটি পড়ব পড়ব করছিলাম এবং পড়ার সময় বেশ উত্তেজিত ছিলাম। তবে এতবেশী আশা-আকাঙ্ক্ষার অর্ধেকখানিও পূরণ হয়নি বলে আমার ধারণা।
আসলে আমার খুব বেশি ভাল লাগেনি... কেমন যেন গল্প চলতেই আছে, চলতেই আছে টাইপ... তাছাড়া চরিত্রগুলোর আলাপ-আলোচনা কেমন যেন রোবোটিক লাগছিল!! লেখা কেমন যেন জীবনহীন মনে হচ্ছিলো(ঐ রোবোটিক ই লাগছিল)। আর তেমন সুন্দর কোনো অংশও পাইনি বইটি থেকে।
হুমায়ূন বাস্তব লিখতেন, অবাস্তবও লিখতেন। তবে যাই লিখতেন না কেন, সবই স্বাভাবিক লাগে, বাস্তব লাগে। মনে হয়—এমন তো হইতেই পারে। এইটাও তেমন বই। এমন হয়তো হয় না, কিন্তু হইতেই পারে। মানুষ তো অদ্ভুততম জীব, তাই না? হুমায়ূন এখন তেমন পড়া যাবে না। ধ্বংস হয়ে যাব। তাই আপাতত ইতি টানছি। আপক্ষায় রইলাম আবার শুরু করার।
উপন্যাসের বিষয় ও উপস্থাপনা যথেষ্ট ম্যাচুর্ড। অপূর্ণতা, অতৃপ্তি, নিয়ন্ত্রণহীন রাগ-ক্ষোভ নিয়ে মানসিক জটিলতার সুন্দর একটা পরিবেশ উপস্থাপন করেছেন। সাধারণত এ ধরনের বিষয়ে গল্প উপন্যাস কমই দেখা যায়। লেখক যদি এটাকে সময় নিয়ে আরো পলিশ করতেন, তাহলে এটি আরো নিখুত হতো এবং ক্রিটিক দৃষ্টিকোণ থেকে আরো সমাদর পেতো। ৩.৫/৫
স্বামী হাসানুজ্জামান হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর পাঁচ বছরের ছেলে ইমন আর গর্ভে মেয়ে সুপ্রভাকে নিয়ে অকূল পাথারে পড়েন সুরাইয়া। তার অপেক্ষায় দিন কাটাতে গিয়ে নিজেদের জীবনগুলো কীভাবে অনিশ্চয়তায় অসহনীয় হয়ে পড়ে তারই গল্প 'অপেক্ষা'।
হুমায়ুন আহমেদের পাঠকপ্রিয় বইগুলো আরো কম বয়সে পড়িনি কেন ভেবে খুব আফসোস হতো। কয়েকটা বই পড়ার পর আর হচ্ছে না। কিশোরী বয়সে বইগুলো পড়ে হয়তো শুধু চরিত্রের সাদা-কালো দিকগুলোই দেখে সুপ্রভার জন্য কেঁদে বালিশ ভিজাতাম আর সুরাইয়ার প্রতি রাগে অন্ধ হয়ে যেতাম। কিন্তু এই বয়সে এসে, এহেন চরিত্রগুলোকে নিজের চারপাশে, বইয়ের পাতায়, রূপালী পর্দায় বারবার দেখার পর এখন সাদা-কালো দাগের মাঝের বিস্তর ধূসর প্রান্তরটাও দেখতে পাই।
এখনো বইটা পড়ে মারাত্মক অসহায় বোধ করেছি। সবাই ট্রমা কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে না এটা উপলব্ধি করার পরও সুরাইয়াকে কখনো ক্ষমা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বইটা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পরেও সুপ্রভা, শোভন, টোকনের কথা মনে করে শিউরে উঠছি। ফিরোজ চাচার অপরিসীম স্নেহের কথা মনে করে মন খারাপ করে ফেলছি। চরিত্রগুলোর শেষ পরিনতি - সুখের হোক আর দুঃখের - কোনোটাই মেনে নিতে পারছি না। পরক্ষণেই মনে হচ্ছে, হ্যা এটাই তো হওয়ার ছিলো, বাস্তবতা এমনই নিষ্ঠুর হয়। এজন্যই নিষ্ঠুর মন খারাপ করা বইগুলো পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নেয়।
একটা পরিবার, একজন মানুষের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া আর তারপর অনাদিকাল থেকে অপেক্ষা, একজন স্ত্রীর তার স্বামীর ফিরে আসার অপেক্ষায় সন্তানদের প্রতি অনীহা, সন্তানদের বাবা ফিরে আসলে আবার মাকে আর শৈশবের দিনগুলো ফিরে পাওয়ার যে অপেক্ষা তা বোধহয় বেঁচে থাকার টনিক, অপেক্ষা আছে বলেই বোধহয় জীবনের কোনো না কোনো বাঁকে আমরা আশা বেঁধে রাখি ঠিক যেন এখনো জাদুর কাঠি দিয়ে সব কিছু ভোলবাজির পাল্টে যাবে, কিন্তু পাওয়ার আনন্দ বেশি না তাকে না পেয়ে চিরন্তন আশা বেঁধে থাকা এ এক বড় শক্ত প্রশ্ন চিহ্ন জীবনের?!
I'm going to be very hopeful here and conclude he came back.. just thinking about that sensation Suraiya might feel seeing him after so many years would have been worth it all or would it not? However it'd be one of those " I've won but at what cost" kinda situation...and it would be hard to forget the years of tragedy Imon, Shuprova suffered because of Suraiya's undying hope..you almost want to be sinister and think No..on the other side of the door.. it's not him. You hope it's not him but then you also hope it's him. I've liked the ending..how it leaves it to you to decide what Suraiya gets at the end...if the fruit of her hope is as sweet as she has anticipated for all these years..or if it has come bearing the bitter taste of avoidance of truth and acceptance. You're the one responsible for that.
শুনেছি অপেক্ষাও নাকি মধুর হয়। অনেকের অপেক্ষা করতে ভালো লাগে প্রিয় মানুষের জন্য। কিন্তু সুরাইয়ার অপেক্ষা তাদের অর্থাৎ ইমন সুপ্রভা'র জীবনটা বিষাদ করে তুলে সাথে তাদের চাচা ও নানীও সে কষ্টের বিস্বাদতা পায়। সুরাইয়া সেসময়ে নিজেকে শক্ত না করে বরং তার একরোখামি বা অসুস্থতার প্রভাব তার বাচ্চার উপর পড়ে। যেন আতংকের ও মায়াহীন পৃথিবীতে বেড়ে উঠা ইমন ও সুপ্রভা'র।
সুন্দর গল্প। ক্লাসের ফাঁকে ক্যাম্পাসে সকালের রোদে হাঁটতে হাঁটতে পড়ে ফেলেছি। আসলে অপেক্ষা উপন্যাসটা শেষ করার একটু তাড়াও ছিল। ধার করে এনেছিলাম। আর পড়ার টাইমও পাচ্ছিলাম না। এত সুন্দর বই কি মনে করে কেন এতদিন ফেলে রেখেছিলাম কে জানে! . অপেক্ষা হুমায়ুন আহমেদের অন্যান্য উপন্যাসের মত না। একটু ভিন্ন। . তবে একটা জিনিস..হুমায়ুন আহমেদের সব উপন্যাসের মেয়েরা হয় অংকে তেরো পায় নাহলে উটকো কোন লোকের প্রেমে পড়ে, যারা প্রায়ই অসমবয়সী কিংবা নিকটাত্মীয় । আর...এখানেও তাই হলো। . উনি বেঁচে থাকলে জিজ্ঞেস করতাম, উনি স্বাভাবিক কোন মেয়েকে নিয়ে লেখেননি কেন যারা অংকে, একশ না হোক আটানব্বই.. আচ্ছা নব্বই অনায়াসে পায় আর পছন্দও করে স্বাভাবিক একটা ছেলেকে যার মহাপুরুষ হওয়ার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। . এমন গল্পগুলোও তো সুন্দর হয়।
অপেক্ষা কারও জন্য কখনও শেষ হয় না। বইটিতে প্রত্যেকেরই কার না কার জন্য অপেক্ষা রয়েছে।স্ত্রীর তাঁর স্বামীর জন্য, সন্তানদের তাঁর পিতার জন্য, আর কত অপেক্ষা।অপেক্ষার অবসানের আগে বই অবসান হয়ে যায়। কার কার অপেক্ষা কক্ষনো শেষ হয় না, শেষ হবার ও নয়।
বইটা পড়ার সময় ভাবছিলাম কি রিভিউ লিখবো,কারণ আমার তেমন বই পড়া নাই।আমি বাপ্পী ভাই এর কাছে থেকে অনুপ্রেনিত হয়ে বই পাড়া সুরু করি।এবং বই টা পড়লাম।বইটা অসম্ভব সুন্দর, তবে সুপ্রভার মৃত্যুটা মানতে পারছিলাম না।যা অনেক ভাবিয়েছে আমাকে।
পৃথিবীতে সৌন্দর্যের হরেক রকমের রূপ আছে। অপেক্ষা হচ্ছে তার যন্ত্রণাময় রূপ!
গল্পের শুরুতেই ইমনের বাবা হঠাৎ একদিন উধাও হয়ে যান। অতঃপর শুরু হয় অপেক্ষা। পুরো বই জুড়েই ছিলো এক বিষণ্ণতা। এক অনুভূতিকে সঙ্গে নিয়ে শেষ অব্দি অপেক্ষার প্রহর গুনা হয়েছে।
সেরা একটা উপন্যাস পড়লাম!সেরার সেরা, কিচ্ছু বলার নাই! মাস্টারপিস ^_^ ছোট্ট সুপ্রভা! তোমার প্রসঙ্গ অপেক্ষা উপন্যাসে আর আসবে না।মৃত মানুষদের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না। আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিত মানুষদের জন্য।এই চরম সত্যটি না জেনেই তুমি হারিয়ে গেলে?
আমার মতে বইটিকে অসাধারণ বা এ জাতীয় কোন শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা সম্ভব না । এই বই এর মত আর কোন বই আমার হৃদয় ও আবেগকে এত বেশি স্পর্শ করেছে বলেও মনে হয় না । বইটির কভারে লেখা আছেঃ মানুষের জীবন কি চক্রের মত? চক্রের কোন শুরু নেই, শেষ নেই। মানব জীবনও কি তাই? রহস্যময় চক্রের ভেতর এই জীবন ঘুরপাক খেতে থাকে? শুরু নেই, শেষ নেই। চক্র ঘুরছে।এই চক্রের ভেতরে ঘুরপাক খেতে খেতে অপেক্ষা করে কেউ কেউ। কিংবা সকলেই কিসের অপেক্ষা? হ্যাঁ । বই এর নাম ও কভারের এই লেখাটির সার্থকতা যথার্থ। মুলত ইমনের বাবার হঠাৎ নিখোঁজ হওয়ার মাধ্যমে এই অপেক্ষার সূত্রপাত। তবে এর মাধ্যমে ইমনের মা সুরাইয়ার হাস্যজ্জল সংসার এর কিভাবে পরিবর্তন হওয়া শুরু করে তার স্পষ্ট চিত্রায়ন পাওয়া যাবে । বইটিতে আমার সবচেয়ে প্রিয় চরিত্রটি হল সুপ্রভা ( ইমনের ছোট বোন ) । খুব সহজেই যে কেউ তাকে নিজের ছোট বোনের আসনে বসাবে । তবে বই টির ঠিক মাঝে হুমায়ন আহমেদ ( এখান থেকে এই প্যারায় কিছু spoiler আছে) এই আবেগময় চরিত্রটির মৃত্যু টি এমন ভাবে দেখান যা আমাকে ভেতর থেকে কাঁদিয়েছে। এমন কি এই অংশ পড়ে আমার এত অভিমান হয় যে আমি ঠিক করি যে আমি এই বই এর বাকি অংশ পরব না । এরপর দুই দিন আমি শুধু এই পৃষ্ঠা টিই পড়েছি আর ভেবেছি কেন এমনটি ই হওয়ার ছিল ? কেন? কোন বই আমাকে এতটা কাঁদায় নি। যাই হোক বাকি অংশও না পড়ে থাকতে পারিনি। হুমায়ুন আহমেদ ২২০ পৃষ্ঠার এই বই টি এত আবেগ নিয়ে লিখেছে যা না পড়লে বিশ্বাস হবে না। আমার মনে আছে, যখন ছোট্ট ইমনের ছোট বোন টির জন্ম হল তখন ইমনের চাচা ইমনকে বলল, তোর একটা ছোট বোন হয়েছে । ইমন জিজ্ঞেস করল, বোন টার নাম কি? “নাম এখনো রাখা হয়নি ।“ “ নাম রাখা হয় নি কেন? “ ���িরোজ ( ইমনের চাচা) সেই প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলল –আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না । সে বেঞ্চে লম্বা হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। তার একটা বোন হয়েছে অথচ তার নাম রাখা হয় নি এই চিন্তাটাই তাকে অভিভূত করে। সবার ই নাম আছে শুধু তার বোনটার কোন নাম নেই।যদি নাম রাখতে ভুলে যায়। যদি কোনদিনই তার নাম না রাখা হয় তাহলে কি হবে? মন খারাপ করে বেচারি ঘুরে বেড়াবে। কেউ তাকে খেলতে ডাকবে না । ডাকবে কি করে মেয়েটারত�� নামই নেই।আজ সারাদিন নানা রকম ভয়াবহ সমস্যা ইমন পার করেছে , তার চোখে এক ফোঁটা পানি আসে নি- এখন এই ভোর রাতে বোনটার দুঃখে তার চোখে পানি এসে গেল । সে যতবারই সার্টের হাতায় চোখ মুছে ততবার ই চোখ পানিতে ভরতি হয়ে যায় ।তার একটা বোন হয়েছে সেই বোনটার নাম নেই কেন? তবে ইমনের বাবা হারিয়ে যাওয়ার পর সুরাইয়া ( ইমনের মা) র ভেঙ্গে পড়া আর তার ফলস্বরূপ ইমন ও সুপ্রভার উপর তার মার শাসন পাঠকদের কাছে অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আমি বলব এটি আমার পড়া হুমায়ুন আহমেদের শ্রেষ্ঠ বই।আমি নিশ্চিত এই বইটি পড়ার সময় আপনি বই এর ভুবনে এমনভাবে ঢুকে যাবেন যে বাইরের জগতের সাথে তার কোন সংযোগ থাকবে না।আর হুমায়ুন আহমেদ কেন এত জনপ্রিয় এই বইটাই তা বোঝার জন্য যথেষ্ট। My Rating: এই বইটির প্রতি আমার অনেক অভিমান আছে তাই আমি বইটির কোন rating করতে চাই না।
'অপেক্ষা' বইটার শব্দগুলো খুব হালকা এবং বহমান। অনেকটা নদীর স্রোতের মতো। রবীন্দ্রনাথ নদীর গতিতে মনুষ্যত্বের বেদনা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। এ বইয়ের শব্দগুলোও ঠিক তাই। কলকল শব্দে বয়ে চললেও কী নিদারুণ যন্ত্রণা নিয়ে বয়ে চলেছে তা গভীরভাবে অনুভব করা যায়। পুরো বইটাই বিষাদের মোড়কে জড়ানো। কারও জন্য অপেক্ষা করার যন্ত্রণা প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন রূপে। কখনও চাপা ক্ষোভ, কখনও রাগ, কখনও ক্রোধ, পাগলামি কখনওবা আবার আত্মঅভিমান। 'মানুষ বেঁচে থাকার জন্যে অপেক্ষা নামের ব্যাপারটির খুব প্রয়োজন। অপেক্ষা হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার টনিক।' সত্যিই কী তাই? সব অপেক্ষাই কী বাঁচতে সাহায্য করে? নাকি নিজের জীবন সহ আশেপাশের সবকিছুকেই বিষাক্ত করে তোলে? সব অপেক্ষা নিয়ে বেঁচে থাকাকে কি প্রকৃত অর্থে বাঁচা বলে?
বই শেষ করার পর একটা গানের দুটি লাইন আর Fyodor Dostoevsky এর একটা কথা মনে পড়তেছিলো, সেগুলো শেয়ার করছি, আসা করি বই সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাবেন। গানের লাইন: 'এমনও তো প্রেম হয় ও চোখের জলে কথা কয়' Fyodor Dostoevsky এর এই কথাটা: 'Man is sometimes extraordinarily, passionately, in love with suffering.'