Jump to ratings and reviews
Rate this book

Humayun Ahmed (Chronological List) #148

ওমেগা পয়েন্ট

Rate this book
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
ওমেগা পয়েন্ট নিয়ে গুছিয়ে একটা গল্প দাঁড়া করাবার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের। বিষয়টা শুধু জটিল বললে ভুল বলা হবে-বেড়াছেড়া লেগে যাবার মত জটিল। শেষ পর্যন্ত জটিল চিন্তাগুলি লিখে ফেলতে পেরেছি এটাই বড় কথা। গল্প বলার সময় বিজ্ঞানের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেছি। পাঠকদের কাছে অনেক তথ্যেই উদ্ভট লাগতে পারে। তাঁরা ভুরু কুঁচকে ফেলতেও পারেন। ভুরু কুঁচকানো পাঠকদের সবিনয়ে জানাচ্ছি বিজ্ঞানে উদ্ভট বলে কিছু নেই। বিজ্ঞান রূপকথার জগতের চেয়েও অনেক রহস্যময়।
হুমায়ুন আহমেদ

112 pages, Hardcover

First published January 1, 2003

16 people are currently reading
317 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

456 books2,906 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
281 (25%)
4 stars
431 (39%)
3 stars
284 (25%)
2 stars
85 (7%)
1 star
16 (1%)
Displaying 1 - 30 of 40 reviews
6 reviews2 followers
November 22, 2014
হুমায়ূন আহমেদ এর "ওমেগা পয়েন্ট" পড়ার পর আমার নিজস্ব মতামতঃ

কিছুদিন রবীন্দ্রনাথ আর শরৎচন্দ্রের লেখা পড়েছি। এখনার সময় থেকে ১০০ বছর কিংবা কখনও কখনও এর চেয়েও বেশি সময় পিছিয়ে গিয়েছিলাম [বুঝার সুবিধার্থে]।
এখন পড়তেছি সায়েন্স ফিকশন। এখন আবার বর্তমান সময় হতে এক হাজার বছর কিংবা তার চেয়েও বেশি সময় এগিয়ে গিয়েছি! মনে হচ্ছে টাইম মেশিনে ঘুরে বেড়াচ্ছি।

আজ পড়লাম হুমায়ূন আহমেদ এর "ওমেগা পয়েন্ট"। স্যারের একটা বইয়ের ভূমিকায় পড়েছিলাম (বইয়ের নাম সম্ভবত "ইমা") যে, উঁনি সায়েন্স ফিকশন লিখতে গিয়ে মাঝে মাঝেই আবেগী বিষয় টেনে আনেন, এটাতে এই বিষয়টি লক্ষ্য করলাম।

যাই হোক, আমি যখন "ওমেগা পয়েন্ট" পড়তে শুরু করলাম, ভাবলাম "এটা সায়েন্স ফিকশন হল কিভাবে?" প্রথম পরিচ্ছদ নিতান্তই অন্যান্য উপন্যাসের মত। কিন্তু দ্বিতীয় পরিচ্ছদে পৌঁছেই আকস্মিক এমন লেখার পরিবর্তনে চমৎকৃত হলাম। আবার পরের পরিচ্ছদ সাটামাটা। এক পর্যায়ে বুঝলাম আমরা ইচ্ছে করলেই এটাকে ২ টা বই হিসেবে ধরে নিতে পারি। একটা সায়েন্স ফিকশন অন্যটা সাধারণ উপন্যাস [এক পরিচ্ছদ পরে পরে পড়তে হবে] (কোন জনরার ফেলাবো বুঝতে পারতেছি না), যদিও পরবর্তীতে "ওমেগা পয়েন্ট" আমার কাছে একটা সার্থক সায়েন্স ফিকশনই মনে হল।
স্যারের বেশীর ভাগ বইগুলোই শেষ পরিণতি কি বুঝা যায় না! এটাও এর ব্যাতিক্রম নয়।
"এই যা হারিকেন নিভে গেছে!" কোন সায়েন্স ফিকশনের শেষ লাইন নিশ্চয়ই কেউ এমনটা আশা করেননি। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ এর সায়েন্স ফিকশন "ওমেগা পয়েন্ট" এর শেষ লাইন এটাই। কিন্তু স্যারের যাদুকরী লেখায় এই লাইনই মনে হবে একদম পারফেক্ট। পড়ে দেখতে পারেন "ওমেগা পয়েন্ট" নিশ্চয়ইভালো লাগবে।

***স্যারের "ফিহা সমীকরণ" এবং এই বইটিতেও (ওমেগা পয়েন্ট) সময় সমীকরণ মিলানোর চেষ্টা দেখতেছি। স্যার কি সত্যিই সময় সমীকরণ নিয়ে আগ্রহী ছিলেন???
Profile Image for Akash.
446 reviews150 followers
May 21, 2024
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি আর কিছুটা ফ্যান্টাসির মিশেলে হুমায়ূন আহমেদের সবচেয়ে জটিল অথচ সরল অদ্ভুত ঘোরলাগা একটা বই। হুমায়ূন আহমেদের এমন আরও বই লেখার দরকার ছিল; যেমন দরকার ছিল ছোটোগল্পের।
Profile Image for K. R. B. Moum .
209 reviews17 followers
November 13, 2017
অন্যান্য লেখকের ক্ষেত্রে যেভাবে মিশে যাওয়া যায় লেখায়, তা ঘটে না এঁর ক্ষেত্রে আমার সাথে, কখনোই না।
বরং নিজেকে একজন আউটসাইডার মনে হয়, যেন ভেন্টিলেটর দিয়ে ঘরে যা হচ্ছে দেখে যাচ্ছি। সমস্ত কিছুর ব্যাখ্যা আপনাআপনি হাজির হতে থাকে।
ব্যাপারটা এরকম যে কেউ একজন তার গল্প বলে যাচ্ছে, কিন্তু সে জানে না যে আমি শুনছি।
সত্যি বলতে, কেমন যেন অদ্ভুত রকমের ভালোও লাগে।
Profile Image for Riju Ganguly.
Author 37 books1,860 followers
September 24, 2023
স্পেকুলেটিভ ফিকশনের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে যে সেটি পলায়নপর মানুষের সমাজবিচ্ছিন্ন ভাবনার পরিচায়ক। এই উপন্যাস— যা ক্ষেত্রবিশেষে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব বা কল্পনার মাধ্যমে তার সম্প্রসারণের কথা বলে— আদতে সমাজেরই, বা আরও সঠিকভাবে বললে জীবনের গল্প।
অথবা, আরও সঠিকভাবে বললে, এ এক জীবনতৃষ্ণার গল্প।
সহজ আখ্যান নয় এটি। কল্পবিজ্ঞান আদৌ বলা চলেই না হয়তো একে; বরং ফ্যান্টাসির কাঠামোই এটির জন্য লাগসই।
তবে এই লেখায় এমন কিছু বিশেষত্ব আছে যা মনে ছাপ রেখে যায়।
পলায়নপর মানুষের সমাজবিচ্ছিন্ন ভাবনা একে কোনোমতেই বলা চলে না— এ-বিষয়ে আমি নিশ্চিত।
Profile Image for Sk Sneho.
35 reviews5 followers
June 20, 2022
জীবনে পড়া অন্যতম জটিল সায়েন্স ফিকশন। একবার মনে হয় বুঝি, আবার মনে হয় বুঝি না। এতো জটিল একটা বিষয় পড়তে ভালো লেগেছে। ওমেগা পয়েন্ট নিয়ে আরেকটু জানতে পারলে ভালো হইতো। কিন্তু মনে হয় লেখক ইচ্ছা করেই একটু ধোঁয়াশা রেখেছেন। অনেক দিন পর পর পড়লে এই বইটা খুবই ভালো লাগে।
Profile Image for Ishra Maria.
101 reviews
June 23, 2021
রফিক একই সাথে দুইটা ভিন্ন স্পেস্টাইমে অবস্থান করছে।বর্তমান প্রেক্ষাপটে রফিক একজন হোম টিউটর।সে গ্রামেরই প্রভাবশালী লোকে বাড়িতে থেকে তার মেয়ে শেফাকে পড়ায় আর সেখানেই থাকে আর শেফা রফিকের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।অন্য টাইমলাইনে রেফ(রফিক) কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান পরিষদ নিয়ন্ত্রিত মেন্টাল হসপিটালে আটকা থাকে।এইখানে মূলত ভবিষ্যৎ ২১০০শতকের পৃথিবীর প্রেক্ষাপট ব্যাক্ত।আর্টিফিশয়াল ইন্টিলিজেন্স এর ব্যাপক উন্নতির ফলে রোবট মানুষের সমপর্যায়ে।চার বছর ধরে এখানে আটকা পড়ে আছে।তার পূর্বের স্মৃতি জোড় করে মুছে ফেলা হয়েছে।সে স্বপ্নে রফিকের জগতে চলে যায় আর জাগ্রত অবস্থায় ভবিষ্যতের দুনিয়াতে থাকে।রেফের দেখভালের জন্য একদম অবিকল মানুষের মতো রোবট শেফ আর বিজ্ঞান কাউন্সিলের প্রধান প্রফেসর ইমরান টি কেও গুরুত্তপূর্ণ চরিত্রে পাই।ইমরান টির পুর্বপুরুষ মুলত রেফ।একসময় রেফ পালিয়ে আসে এবং তার রফিকের জীবনে চলে যায় যেখানে তার সাথে সেফার বিয়ে হয়।
Profile Image for Sarah Haque.
427 reviews105 followers
November 13, 2019
হঠাৎই আবার পড়ার খুব ইচ্ছে হল। শেষ পড়েছি প্রায় দশবছর আগে, তখন অভিযোগ খুব একটা ছিল না। আজকে পড়ার পর মনে হলো, বইটায় সাইফাই আসলে কতটুকু? এরপরও অদ্ভুতভাবে মিলে যায় পুরোব্যাপারটা, খাপছাড়া লাগে না।
Profile Image for Pritom Mojumder.
36 reviews25 followers
May 3, 2019
ছোটবেলায় পড়ছি। স্কুলে থাকতে। তখন ভালই লাগছিল। সময় সম্পর্কিত জটিলতা সাই-ফাইতে ভাল জমে। আর হুমায়ূন আহমদের সাই-ফাইতে একটা আলাদা ব্যাপার থাকে। তার যে সাই-ফাইগুলো পড়ে ভাল লেগেছে তার মধ্যে এইটা একটা।
Profile Image for আহসানুল শোভন.
Author 39 books91 followers
April 22, 2021
সায়েন্স ফিকশন কোনো উপন্যাসের আলোচনা আমার পক্ষে করা সম্ভব না। তবে পড়তে ভালো লেগেছে। মানবী শেফার চাইতে রোবট শেফকেই বেশি ভালো লেগেছে।
Profile Image for Anika Tabassum .
88 reviews17 followers
July 9, 2023
বহুদিন বাদে সাই ফাই পড়লাম। বেশ ভালো!
Profile Image for Arkit Kar.
11 reviews1 follower
August 29, 2020
উপন্যাসের শেষটা ঝপ করে হয়ে গেল। সেটা বাদ দিলে,পড়তে ভালই লেগেছে!
Profile Image for Israt Sharmin.
274 reviews1 follower
December 12, 2025
ফরাসি ধর্মযাজক ও দার্শনিক পিয়েরে টেইলহার্ড ডি চার্দিন (Pierre Teilhard de Chardin) প্রবর্তন করেন ওমেগা পয়েন্ট (Omega Point) নামক তাত্ত্বিক ধারণার।

এখানে মূলত মহাবিশ্বের সকল সচেতনতা ও জটিলতা একটি চূড়ান্ত, সমন্বিত ও সর্বোচ্চ স্তরের দিকে অগ্রসর হয়। এটিই হল মহাবিশ্বের বিবর্তনের শেষ বিন্দু এবং জ্ঞানের চূড়ান্ত পর্যায়।
আর এখান থেকেই হুমায়ূন আহমেদের এই উপন্যাসের নামকরন করা হয়েছে।

ওমেগা পয়েন্ট নিয়েই এই উপন্যাসের কাহিনী রচিত হয়েছে। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র রেফকে নিয়ে ওমেগা পয়েন্ট একটি গবেষণা চালায় যার মূল লক্ষ্য সময় সমীকরণের সমাধান। ওমেগা পয়েন্ট নিয়ে গুছিয়ে একটি গল্প দাড় করাবার চেষ্টা থেকেই হুমায়ুন আহমেদ বইটি লিখেছেন। আমার অসম্ভব পছন্দের একটা উপন্যাস এটা। বিশেষ করে এর শেষটুকু অসাধারণ লেগেছিল।
Profile Image for Tahsin Ahmed Ayon.
13 reviews
February 11, 2020
ঝাপসা ঝাঁপসা ব্যাখ্যার বিজ্ঞানে আর হুমায়ুনীয় গল্পশৈলি তে সময় কাটানোর মতন একটা গল্প।

প্লট:
আমরা দেখতে পাই রফিক একই সাথে দুইটা ভিন্ন স্পেস্টাইমে অবস্থান করছে।মানে ভিন্ন সময় আর জগতে আর কি। তো বর্তমান প্রেক্ষাপটে রফিক একজন হোম টিউটর।সে গ্রামেরই প্রভাবশালী লোকের মেয়েকে পড়ায় আর সেখানেই থাকে। তো যেমনটি আমরা বহু হমায়ুন আহমদের গল্পে দেখি যে টিনএজ বয়সী ছাত্রী তার শিক্ষকের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে এই খানেও তার ব্যতিক্রম নয়।বিষয়টা শেফালীর(ছাত্রী) মা জানতে পারেন।যদিও প্রথমে আমরা তাকে একজন বোকা টিপিক্যাল বাঙালি নারী হিসেবে দেখতে পাই,তার আসল চরিত্র গল্পের সামনে এসে বিকশিত হয়।

আর অন্য টাইমলাইনে রেফ(রফিক) কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান পরিষদ নিয়ন্ত্রিত মেন্টাল হসপিটালে আটকা থাকে।এইখানে মূলত ভবিষ্যৎ(২১০০শতকের মত)এর পৃথিবীর প্রেক্ষাপট ব্যাক্ত।এই পৃথিবীতে রোবট আর আর্টিফিশয়াল ইন্টিলিজেন্স এর ব্যাপক উন্নতির ফলে মানুষের সমপর্যায়ের রোবট বর্তমান। চার বছর ধরে এখানে আটকা পড়ে আছে।তার পূর্বের স্মৃতি জোড় করে মুছে ফেলা হয়েছে ।সে স্বপ্নে রফিকের জগতে চলে যায় আর জাগ্রত অবস্থায় ভবিষ্যতের দুনিয়াতে থাকে।সে এই নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব যে কোন জগৎটা বাস্তব আর কোনটা মায়া।আমরা তাকে পরবর্তীতে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দেখতে পারি।আর রেফের দেখভালের জন্য একদম অবিকল মানুষের মতো রোবট শেফ আর বিজ্ঞান কাউন্সিলের প্রধান প্রফেসর ইমরান টি কেও গুরুত্তপূর্ণ চরিত্রে পাই।আমার কাছে সবচাইতে মজার লেগেছে ইমরান টির সাথে রেফ(রফিক) কিভাবে যুক্ত তার ঘটনায়।আরো আমরা দেখি এর চেয়েও ভবিষ্যতের সত্তা যারা ওমেগা পয়েন্টের সন্ধানে রেফ এর সাথে যোগাযোগ করে চলেছে আর তারা ঠিক কিই বা চায়?
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Shamik.
216 reviews7 followers
May 18, 2019
এমনিতেই আমি এই ভদ্রলোকের লেখার বিরাট ভক্ত।এটা পড়ে সেই মুগ্ধতা বাড়লো বই কমলো না।জটিল বৈজ্ঞানিক বিষয়কে অদ্ভুত সারল্যের সাথে উপস্থাপন করার এক বিরল ক্ষমতা আছে হুমায়ুন সাহেবের।একেবারে সাধারণ এক উপন্যাস হিসেবে শুরু হয় বইটি।ওঁনার আর পাঁচটা লেখার মতোই।সেখান থেকে রফিক আর শেফা কি করে রেফ আর শেফ হয়ে ওঠে সেটাই এই উপন্যাসের উপজীব্য।দারুণ লেগেছে।প্রসঙ্গত বলি, হুমায়ুন সাহেবের বেশিরভাগ কাহিনীই খুব অদ্ভুতভাবে শেষ হয়, একেবারে 'শেষ হয়ে হইলো না শেষ'।এই কাহিনীর শেষ লাইন 'এই যা হ্যারিকেন নিভে গেছে।'
Profile Image for Rahat Rubayet.
109 reviews8 followers
June 20, 2020
খুব সম্ভবত আমার পড়া সবচে পছন্দের হুমায়ূন সাইফাই।
ফিহা সমীকরণ ও খুব ভালো লেগেছিল। দুটোকে পাশাপাশি রাখা যায় বোধ হয় ভাল লাগার দিক থেকে।
আরেকটা বিষয় ভাল লেগেছে, তার অন্যান্য বই এর মতন ধপ করে শেষ হয়ে যাবার ব্যাপারটা ছিল না এ বইটায় (if that makes any sense)।
Profile Image for Tawheeda Rufah Nilima.
294 reviews58 followers
September 25, 2021
অদ্ভুত রকমের সুন্দর! এতো ভালো লেগেছে বলার মতো না। বইটা খুব প্রিয় হয়ে গেল। রফিক, শেফা ভালো। এই বইটা ভালো। এটা সবসময় আমার পড়া সুন্দর সায়েন্স ফিকশন এর তালিকায় থাকবে। আপাতত আর কিছু বলতে পারছিনা।
Profile Image for I. A. Myeesha.
63 reviews3 followers
April 10, 2022
I LOVE THE BOOK!
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Ishaq Niloy.
16 reviews
October 4, 2022
'ওমেগা পয়েন্ট' আমার পড়া হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম জটিল একটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। কী নেই এই বইটাতে! কোয়ান্টাম ফিজিক্স, প্যারালাল ইউনিভার্স, টাইম ট্রাভেল। আগেই বলে রাখা ভালো 'ওমেগা পয়েন্ট' হচ্ছে, মানব সভ্যতার সেই পর্যায় যেখানে প্রকৃতির কোনো রহস্যই মানুষের আর অজানা থাকবে নাহ।

একদিকে রয়েছে রফিক। ইয়াসিন সাহেবের বাসায় বসবাসরত একজন সাধারন শিক্ষক। সাধারণ বললে অবশ্য ভুল হবে। তার আছে একটা অসাধারণ গুণ। সেটায় পরে আসি। ছেলেবেলার কোনো কথাই মনে নেই রফিকের। সে বড়ো হয়েছে এতিমখানায়। রফিক এর প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে ইয়াসিন সাহেবের মেয়ে শেফাকে পোড়ানো। কিন্তু পড়াশোনার প্রতি শেফার একেবারেই মনোযোগ নেই। বরং সে ভালোবেসে বসেছে তারই শিক্ষক রফিককে। এখন আসি রফিকের অসাধারণ সেই গুণটায়। যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগের বিশাল বিশাল অঙ্ক চোখের নিমিষেই মুখে মুখে করে ফেলতে পারে রফিক।

অপরদিকে রয়েছে রেফ্। যার উপরে চালানো হচ্ছে অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা। রেফ্ এর নিজের অতীত সম্পর্কে কিছুই মনে নেই। সে শুধুমাত্র এতটুকুই জানে যে, সে ছিল একজন প্রব্লেম সলভার। রেফ্ এর দেখাশোনা করছে অষ্টম ধারার কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এক রোবট। তার নাম শেফ্। অষ্টম ধারার রোবটগুলোর ভিতরে এমন একটা প্রোগ্রাম রয়েছে যা তাদেরকে দিয়েছে মানবিক অনুভূতি। আর এই মানবিক অনুভূতির বলেই সে রেফ্ এর প্রতি মায়া আর ভালোবাসা অনুভব করে।

এই গল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হচ্ছে মহান বিজ্ঞানী এমরান টি। উনি হচ্ছেন বিজ্ঞান কাউন্সিলের সভাপতি। কাউন্সিলের সভাপতি হওয়ার দরুন উনাকে প্রায়ই রেফ্ এর সাথে কথাবার্তা বলতে হ���়, দেখা সাক্ষাৎ করতে হয়। এমরান টি কাজ করছিলেন সময় সম্পর্কিত কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ সমীকরণের উপর। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। উনি উনার সব কাজ বাদ দিয়ে উঠে পড়ে লাগেন ছড়া রচনা করতে। এখন উনি ছড়া রচনা করা ছাড়া আর কিছুই করেন না।

এখানে অবাক করার মতো ব্যাপার হচ্ছে, রফিক এবং রেফ্ কিন্তু দুটো আলাদা সত্তা নয়। বরং তারা এক। যে রফিক গ্রামের এক গণিত শিক্ষক হিসেবে ভূমিকা পালন করছে সেই একই রফিক রেফ্ হিসেবে অন্য এক অতি আধুনিক সময়ে অংশগ্রহণ করছে নানা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষায়। কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব! একজন ব্যক্তির পক্ষে কীভাবে একই সময়ে দুটো ভিন্ন জায়গাতে থাকা সম্ভব? সাব এটমিক পার্টিকেল একই সময়ে দুটো ভিন্ন জায়গাতে থাকতে পারে। কিন্তু মানুষতো আর কোনো সাব এটমিক পার্টিকেল নাহ। তাহলে? এখানেই আসে টাইম ট্রাভেলিং এর ধারণাটা। টাইম ট্রাভেলিং এর মাধ্যমে রফিককে একবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইয়াসিন সাহেবের বাসায় আবার এই টাইম ট্রাভেলিং এর মাধ্যমেই তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেনেটেরিয়ামে (যেখানে রোগীদেরকে রাখা হয়)। কিন্তু কে বা করা এমন করছে? এর পিছনে উদ্দেশ্যটাই বা কী? এখানে সব কিছু হচ্ছে 'ওমেগা পয়েন্ট' এর নির্দেশনায়। 'ওমেগা পয়েন্ট' এর যেকোনো মূল্যেই হোক এমরান টির সময় সম্পর্কিত সমীকরণগুলোর সমাধান লাগবে। কিন্তু তা কী করে সম্ভব! এমরান টি তো ব্যস্ত ছড়া রচনা নিয়ে। 'ওমেগা পয়েন্ট' প্রতিবার শেফাকে ঠিক রেখে রফিককে বদলিয়ে এমরান টির ডিএনএ তে সূক্ষ সূক্ষ পরিবর্তন নিয়ে আসছে যাতে করে এমরান টি সময় সম্পর্কিত সমীকরণগুলোর সমাধান দিতে সক্ষম হোন। এখানে শেফা আর রফিকের ভূমিকাটা কী? শেফা আর রফিকই হচ্ছে এমরান টির আদি পিতা-মাতা! লিখতে লিখতে হটাৎ করেই একটা চিন্তা মাথায় এলো। আমি যে এই লেখাটা লিখছি এটা কি ইতোমধ্যেই কেও অতীতে লিখে রেখেছে! আমি কি শুধুই এর পুনরাবৃত্তি করছি! উফফফ...... মাথাটা ঝিমঝিম করছে। আর লিখতে পারছি নাহ। আজকের জন্য এতটুকুই থাক।
Profile Image for Kamol Uddin.
51 reviews1 follower
December 28, 2023
সায়েন্স ফিকশনের সাথে আমার তেমন বনিবনা হয় না। পড়ার আগ্রহ থাকলেও পুরো বই শেষ করতে পারতাম না। তারপরও দুই-একটা বই পড়েছি। আসিফ মেহেদির একটা বই, বইয়ের নামটা মাথায় আসছে না। মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ‘এলিনুষ’ পড়েছি। এগুলো পড়ার চেষ্টা ছিল।

জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন পড়তে গিয়েও হোঁচট খেয়েছি। এখানে লেখার দুর্বলতার কারণে এমনটা হয়নি। আমি আসলে এই জনরার মধ্যে ঢুকতেই পারতাম না। যদিও আমার লেখাপড়ার ব্যাকগ্রাউন্ড সায়েন্স। পরবর্তীতে ভাবলাম, এর সাথে ম্যাচিং হওয়াটা সময়ের ব্যাপার হবে।

এর মধ্যে ‘কথানক’ ও ‘কথানক-২’ পড়তে গিয়ে দুটো সায়েন্স ফিকশন গল্প পেয়েছিলাম- ‘ওরা’ ও ‘সাইরাস-৩৭’। উভয় গল্পের লেখক বিনিয়ামীন পিয়াস। লেখা দুটো ভালো লাগে। এর মধ্য দিয়ে সায়েন্স ফিকশন পড়ার দিকে একধাপ এগিয়ে যাই বলা চলে। পরবর্তীতে বিনিয়ামীন পিয়াসের সায়েন্স ফিকশন গল্প সংকলন ‘দি ইকুয়েশন অব ডেথ’ পড়লাম। বইটা আমার ভালো লেগেছে। সুতরাং লেখককে ছোট-খাটো ক্রেডিট দেওয়াই যায়। আমি বিশ্বাস করি, লেখালেখিতে ভালো অবস্থান তৈরি করবেন।

বেশ কিছুদিন ধরে সায়েন্স ফিকশন গল্প জমা দেওয়ার আহ্বান পোস্ট পাচ্ছি। আমার জানার আগ্রহ বাড়ছে। কখনো সায়েন্স ফিকশন লিখতে পারব কি-না সন্দেহ আছে। তাড়াহুড়ো করছি না। ব্যাপারটা বুঝতে থাকি। অন্তত পঠিত বইয়ের তালিকায় কিছু সায়েন্স ফিকশন বইয়ের নাম থাকবে আশা করা যায়।

তারই ধারাবাহিকতায় হুমায়ূন আহমেদের ‘ওমেগা পয়েন্ট’ পড়লাম। অনেক সহজে শেষ করতে পারলাম। যাহোক, রিভিউ লিখতে পারলাম না বলে কিছুক্ষণ বকবক চালিয়ে গেলাম।

কমল উদ্দিন
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
Profile Image for Hussain M Farabi.
73 reviews1 follower
September 12, 2020
ভিন্নধর্মী সাই-ফাই। শুধু সাই-ফাই হিসেবে চিন্তা করলে অনেকেই এই বই পড়ে ভ্রু কুঁচকে ফেলতে পারেন কেননা এতে সাধারণ উপন্যাস এবং একটা সার্থক সাই-ফাই এর কাহিনি সমান্তরালে এগিয়েছে।
কিন্তু হুমায়ূন স্যার পুরো বিষয়টাকে একটা পয়েন্টে চমৎকারভাবে সন্নিবেশ করে দিয়েছেন যা ভালো লাগতে বাধ্য!
Profile Image for Masfiq Reza.
127 reviews3 followers
October 10, 2025
অনেক দিন পর বেশ ভালো ফিকশন পড়লাম। হুমায়ুন আহমেদের সায়ন্স ফিকশন টানা অনেকগুলা পড়লে একটা একঘেয়েমি চলে আসে। অনেক গুলো সায়েন্স ফিকশনের কাহিনী আলাদা হলেও গল্পের আইটেম, প্যাটার্ন একই রকম(মূল কম্পিউটার সিডিসি :D)। এই ফিকশনটা এই দিক থেকে একটু আলাদা আর কাহিনিও এক টানে পড়ে ফেলার মত।
Profile Image for Golam Ahmed Pasha.
22 reviews29 followers
November 23, 2017
One of the creepiest science fiction book I have ever read. just love it. I may have read this three or four times.
Profile Image for Kazi Md. Al-Wakil.
297 reviews5 followers
October 6, 2020
"বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। রফিক একইসাথে ২ টি Universe এ বাস করে। এটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের পরীক্ষা নিরিক্ষা চলতে থাকে।
"
Displaying 1 - 30 of 40 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.