দারুচিনি দ্বীপ জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ এর শুভ্রকে নিয়ে লেখা উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি একটি বহুল পঠিত উপন্যাস।
উপন্যাসে কানাবাবা নামে খ্যাত শুভ্র এবং তার বন্ধু-বান্ধবরা প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার আয়োজন করে। পুরো উপন্যাসটিতে তাদের সমুদ্রে যাওয়ার আয়োজন বর্ণিত হয়েছে।
দারুচিনি দ্বীপ উপন্যাসটি নিয়ে ২০০৭ সালে অভিনেতা এবং নির্মাতা তৌকির আহমেদ ইমপ্রেস টেলিফিল্ম থেকে একই শিরোনামে দারুচিনি দ্বীপ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
যেসব পাঠকেরা তাঁদের যৌবনে এই সব আকাশের রং মেশানো আর শিউলির গন্ধ মাখা গদ্য পড়ে তাঁদের দিনরাত্রি অতিবাহিত করার সুযোগ পেয়েছিলেন, তাঁদের প্রতি এত-এত হিংসে হচ্ছে যে না ঘুমিয়ে এই রিভিউ পোস্ট করছি! গল্প, তার বিভিন্ন চরিত্র, তাদের চারপাশে ঘটতে থাকা ঘটনা আর অঘটন: এই সব নিয়ে আমি প্যাচাল পাড়তে আগ্রহ বোধ করছি না| এই স্বপ্নিল গদ্যের টানেই মনে হচ্ছে আমাকে এই লেখা পড়ে চলতে হবে আরও অনেক-অনেক বই ধরে! ইশ, আজ থেকে কুড়ি বছর আগে যদি এই লেখাগুলো পড়তে পেতাম, তাহলে না-বলা যে কথাগুলো মোটা-মোটা বইয়ের তলায় চাপা দিয়ে কলেজের সময়টা কাটিয়েছিলাম, সেগুলো হয়তো বেরোবার পথ পেত!
শুভ জন্মদিন, হুমায়ুন আহমেদ! এক বিশাল জনগোষ্ঠীকে তাদের তারুণ্যে মোটিভেশনাল বই আর স্পোকেন ইংলিশের বই থেকে আগলে রাখার জন্য ততোধিক বিশাল ধন্যবাদ গ্রহণ করবেন। আশা করি যেখানেই আছেন, ভালোই আছেন।
যথেষ্ট ভালো লেগেছে বইটি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সীমাবদ্ধতা, ছেলে-মেয়েদের জন্য বাবা-মার চিন্তা, নিম্নবিত্তদের আশ্রিতদের পরাধীনতা, বড়লোকের সন্তানদের বিলাসিতা ইত্যাদি খুবই সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। বইটা পড়ার সময় একটুও বিরক্তিবোধ করি নি একবারের জন্যও। পুরোটা সময় মুগ্ধ হয়ে পড়েছি। আর বাস্তবতার অনেকাংশই বেশ ভালোভাবেই ফুটে উঠেছে বইটিতে। যা বেশ ভালো লেগেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একদল তরুণ-তরুণী। সমাজের নিম্ন-মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত সব শ্রেণীর প্রতিনিধিই আছে এই দলে। সবাই মিলে ঠিক করে, একসাথে ঘুরতে যাবে সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে। কিন্তু প্ল্যান করলেই কি তা সফল করা যায়? যে গল্পের শুরুটা হয়েছিল এক দল বন্ধুর গল্প নিয়ে, ধীরে ধীরে সেই গল্পে চলে আসে তাদের সবার পরিবার। পারিবারিক দ্বন্দ্ব, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব, ছোট ছোট ভাল লাগা আর অনেক স্বপ্ন; সব কিছুই এই এক বইয়ে উঠে এসেছে।
বহুদিন ধরে শুভ্রর নাম শুনে আসছি। সিরিজ কেন্দ্রিক যেহেতু, ভাবছিলাম হিমু-মিসির আলীর মতন জর ফিকশন হবে। কিন্তু না। কিছুটা আজগুবি, তবে ভীষণ মায়াময়। ভালো লাগলো। কষ্ট পেলাম, হাসলামও আবার। পরবর্তী অংশ পড়বো শীঘ্রই, পারলে ছবিটাও দেখে ফেলব।
পড়ার সময় সমরেশ মজুমদারের গর্ভধারিনী বইয়ের শুরুর দিকের কথা মনে পড়তেছিলো। বিভিন্ন শ্রেণীর পরিবারে একেক যুবক-যুবতীর অবস্থা, আশা, আকাঙ্খা, চাওয়া-পাওয়া, লুকনো ভালোবাসা, বাবার স্নেহ, মায়ের নিরব ভালোবাসা – ছিলো আরো অনেক কিছু। একটা ট্যুর, ট্যুর প্লান, ট্যুরের আবেগ অনেক কিছু উঠে এসেছে। সুখপাঠ্য ছিলো। শেষটাও ভালো। বইয়ের ভালো লাগা লাইন: তুমি মানুষ হয়ে জন্মেছো, মানুষ শুধু একার জন্য বাঁচে না। মানুষ অন্যদের জন্যও বাঁচে। এইখানেই মানুষ হয়ে জন্মানোর আনন্দ। এইখানেই মানুষ হয়ে জন্মানোর দুঃখ।.... তোমার আনন্দ তুমি সবাইকে দেখাবে, দুঃখ কাউকে দেখাবে না।
বই পড়ার আগেই ছবি দেখে ফেলেছি অনেক আগেই। ছবি দেখার সময়েও, এখন বই পড়ার সময়েও সোবাহান সাহেব আসলেই নিজের বাবার অনেক মিল খুঁজে পাই, তখন মায়া হয় প্রচুর।
এই বইটা আমার ৫-৬ বার পড়া। একদল বন্ধু বান্ধব টাকা পয়সার টানা পোড়ন এ ও কিভাবে বেড়াতে যায় এরকম গল্প আমি প্রায় আমার বন্ধু দের সাথে করি। প্ল্যান করি আরেকটু বড় হলে আমরা ও যাব। কিন্তু তার আগে সবার সাথে যোগাযোগ এর তার কেটে যাচ্ছে। সবাই দূরে চলে যাচ্ছে। দারুচিনি দ্বীপ একটা সুন্দর স্বপ্ন হিসেবে রয়ে আছে মনে।
একদল তরুণ-তরুণীর সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার পরিকল্পনার গল্প। মূল গল্পের থিম দ্বীপে যাওয়া নিয়ে হলেও উপন্যাস শুরুর একটু পরেই গল্পের মোড় ঘুরে যায়। চলে আসে যারা দ্বীপে বেড়াতে যাবে তাদের নানা সমস্যার গল্প। পারিবারিক সমস্যা, অর্থনৈতিক সমস্যা, ব্যক্তিগত সমস্যা, সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি। একই সাথে লেখাপড়া করা একদল ছেলেমেয়েদের মাঝে কত বিচিত্রতাই না থাকে। কত পার্থক্য তাদের মাঝে, একজনের জীবন আর আরেকজনের জীবন একদমই যেন নদীর দুই পার। কেও বড়লোক, টাকা রাখার জায়গা নেই। ব্যাঙ্কে কত টাকা আছে তার হিসাব নেই। কেও গরীব, শীতে একটা সুয়েটার কিনে পড়তে পারে না। একটা শার্ট দিয়ে শীত কাবার করে ফেলে। কেও লম্বা, কেও বাঁটু; কেও হাবা, কেও চতুর। কিন্তু একটা জায়গাতে ওরা সবাই একইরকম, সবাই একসাথে। সেন্ট মার্টিন যাবার জন্য টাকা যোগার করতে কারোর হিমশিম খেতে হয়, কিন্তু হিমশিম থাকা সত্ত্বেও আশা ছাড়ে না। কোনো একভাবে টাকাটা পেয়ে যাবে। সে স্টেশনে গিয়ে বসে থাকে। সেজন্যই তো এই উপন্যাসের নাম “দারুচিনি দ্বীপ” । লেখক হুমায়ুন আহমেদের নামকরণ অত্যন্ত সার্থক। দারুচিনি দ্বীপ শব্দটার মানে কিন্তু সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নয়। এর মানে স্বপ্নময় অতি আকাঙ্ক্ষিত দ্বীপ, যে দ্বীপের মত সুন্দর আর হয়না।
সব জটিলতা সীমাবদ্ধতা শেষে তাদের সবাইকে যাবার জন্য ট্রেনে চড়ানোর মাধ্যমে ঘটে উপন্যাসের সমাপ্তি।
পুনশ্চ- ১ : এই উপন্যাসকে ভিত্তি করে একই নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সে চলচ্চিত্রের পরিচালক তৌকির আহমেদ। উপন্যাসে অনেক কিছুই আছে যা চলচ্চিত্রে নেই আবার চলচ্চিত্রেও অনেক কিছু আছে যা উপন্যাসে নেই। দুইটা দুই জিনিস। আলাদা। দুইটাই সাহিত্যমানে উত্তীর্ণ। দুটাই উপভোগ করার মত।
বইটিতে, সমাজের বিভিন্ন স্তর তথা উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তে বাস করা পিতা-মাতারা কীভাবে ���াদের সন্তানদের প্রতি তাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটান তা লেখক সুচারুভাবে উপস্থিত করেছেন। কিন্তু বইটিতে, লেখক সবচেয়ে সুন্দরভাবে যেই জিনিসটি ফু্টিয়ে তুলেছেন তা হচ্ছে "বন্ধুত্ব”।
বইটিতে, দেখা যায়, সমাজের উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তে বাস করা কয়েকজন তরুণ-তরুণী ঘুরতে যায় দারুচিনি দ্বীপে তথা সেন্ট মার্টিন দ্বীপে এবং সেই তরুণ-তরুণীরা তাদের বন্ধুদের তথাকথিত সোশ্যাল স্ট্যাটাস নিয়ে একটুও ভাবিত নয় বরং তারা সকলে ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণিতে ওঠে মজা করছে ও তাদের এই দ্বীপ ভ্রমণে যাওয়ার সময়টা উপভোগ করছে।
আমরা হয়ত অনেকেই চলন্ত ট্রেনে প্রেমিকাকে হাত ধরে প্রেমিককে উঠাতে দেখেছি, অনেকে আবার এর বিপরীতটাও দেখতে পারেন। কেউ কেউ আবার দুটোই দেখে থাকতে পারেন, তবে কেউ কি বন্ধুকে বন্ধুর জন্য এরূপ করতে দেখেছেন?
বইটিতে, কিশোরী মনের প্রথম প্রেম, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের কষ্ট, এক তরুণীর ছোটবেলার সঙ্গীকে হাঁরানোর বেদনা, অন্য এক তরুণীর বিয়ের পিঁড়ি থেকে পালিয়ে আসা সহ আরও কিছু মানব মনের অনুভূতির উল্লেখ আছে। তবে বইটিতে "বন্ধুত্বের" যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা বড়ই আনন্দদায়ক এবং বইটি পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল বাস্তবে "বন্ধুত্ব" নিশ্চয়ই কোনো স্বর্গীয় অনুভূতি।
তবুও বইটিতে কিছু এরকম জিনিস আছে যা বড়ই বেমানান লেগেছে আমার কাছে। আমি জিনিস গুলি উল্লেখ করে বইটি পড়ার মজা নষ্ট করতে চাই না।
পরিশেষে বলি, বইটি আসলেই সু-পাঠ্য বলে মনে হয়েছে আমার কাছে।
ব্যক্তিগতভাবে বইটা আমার খুব যে ভালো লেগেছে তা না। মোটামুটি টাইপের। এমনকিছু আছে যা স্টুডেন্টলাইফের সাথে রিলেট করা যায়। শুভ্র সিরিজ এই প্রথম পড়লাম, শুভ্রকে জানার আগ্রহ রইলো।
কতকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়েপড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার ভার অতিক্রম করে একসাথে বেড়াতে যাওয়াই এই গল্পের মূল থিম। টাকাপয়সার টানাপোড়েন, কারো স্বাধীনতার অভাব এসমস্ত জটিলতা পেরিয়ে সবাই কিভাবে বেড়াতে যেতে পারে সেটাই দেখার। মোতালেব, শুভ্র, অয়ন, নইমা, নীরা, ইলোরা, জরী, আনশুকা এদের ওপর হিংসে হচ্ছে, এরা অন্তত পারল অভিভাবক ছাড়া কটা দিন স্বাধীন ভাবে ঘুরতে যেতে, কাশ আমরাও কলেজলাইফে এই সুযোগটা পেতাম। আমরা বন্ধুরা তো প্ল্যান করলেও গার্জেনরা যেতে দেয় না😔, ইনফ্যাক্ট এখনও বাড়ি থেকে ছাড়ে না😔। আনশুকাদের পোষ্য কুকুর মেঘবতীর মৃত্যুতে খুবই কষ্ট পেয়েছি, জরীর জীবনের যে কাহিনী সেটা জেনেও খুব খারাপ লাগছিল। এই বইটি নিয়ে নাকি সিনেমাও আছে, কোনোদিন সুযোগ পেলে অবশ্যই দেখবো।
ফিল্ম দুইবার দেখা হয়েছে। বই এই নিয়ে ২ বার পড়লাম। আলাদা আলাদা কিছু চরিত্র উঠে এসেছে গল্পে। নিজেকে সাঞ্জু ভাববো নাকি বল্টু ভাববো সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি। তবে যদ্দুর মনে হয়, আমি বল্টুর মতোই ছিলাম ঠিক ইন্টারের সময়। ভ্রমণে যেতে কতো ইচ্ছে থাকা স্বত্বেও যেতে পারতাম না শুধু মাত্র টাকার কারণে। কত কত প্লান করতাম বন্ধুদের সাথে শেষে আমার টাকা জোগাড় হতো না। মেসে থাকতাম সাথে দুইটা টিউশনি করিয়ে মেস ভাড়া আর খাবার খরচ চালাতাম। তখন ভ্রমণের চিন্তা করাটা বিলাসিতা ছিলো। তাও স্বপ্ন ছিলো যাওয়ার,বন্ধুদের প্লানে যোগ দিতাম। সেই দিনগুলো বেশ মনে পড়লো গল্পটা পড়ে। মুনা নামে এমন একজন আমারো ছিলো,সে অবশ্য এখন বেশ সুখি সংসার করছে বিয়ে শাদি করে।
আর এখন কত জায়গায় একা একা বেড়াতে যাই। কেনো জানি শূন্যতা থাকে ভিতরে।
আমার কাছে যেই কপিটা আছে সেটা বেশ পুরোনো। আব্বু খুব সুন্দর করে স্বাক্ষর দিয়ে আম্মুকে আম্মুকে দিয়েছিলো। স্মৃতিবিজরিত বলে কিনা জানিনা , গল্পটা আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছিলো।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একদল তরুণ-তরুণী ঠিক করল সেন্ট মার্টিন দ্বীপে জোছনা উপভোগ করতে যাবে। এই সফরের নাম হবে "প্রজেক্ট দারুচিনি দ্বীপ"। বন্ধুদলটির ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি নিয়েই গড়ে উঠেছে "দারুচিনি দ্বীপ" বইটির কাহিনী। গল্পের শুরুতে সমাজের উঁচুতলায় বাস করা পরিবারের ছেলে শুভ্রকে লেখক হাজির করেছেন আমাদের সামনে। একে একে নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে সঞ্জু, টিউশানির স্বল্প আয়ে চলা অয়ন, বাড়িতে সপরিবারে আশ্রিতা জরি, বিত্তশালী নাবিক বাবার নিঃসঙ্গ কন্যা আনুশকাসহ অন্যান্য বন্ধুদের কথা লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন দক্ষ শৈলীতে। শুভ্র, অয়ন, মোতালেব, নইমা, জরি, রানা আনুশকা, নীরা,সঞ্জু -ওরা সবাই বন্ধু। কিন্তু গল্পের কাল্পনিক চরিত্র হলেও বাস্তবজীবনের মতোই ওদের মধ্যেও আছে বৈচিত্র্য। বিত্তের খাঁচায় বেড়ে ওঠা শুভ্রর নেই সাধারণ জীবনঘনিষ্ঠ অভিজ্ঞতা। অন্যদিকে আর্থিক সংকটে সঞ্জু আর অয়নের সেন্ট মার্টিন যাত্রার সম্ভাবনা দারুণ দোলাচলে। চাচার পরিবারে আশ্রিতা জরি এক ব্যবসায়ীর বাগদত্তা হওয়ায় তার পক্ষে এই ভ্রমণে যোগ দেওয়া অসম্ভবই বলা চলে। আবার, রক্ষণশীল পরিবারের নীরা বাড়িতে "শিক্ষাসফরে যাবে"- এই মিথ্যে বলেবন্ধুদের সাথে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাওয়ার ব্যবস্থা করে নেয়। ওদের এই পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির ফাঁকে ফাঁকেই উঠে এসেছে নানা খুঁটিনাটি বিষয়। দেশের তৎকালীন রাজনৈতিক অবস্থা, সন্তানের চাহিদা পূরণ নিয়ে পিতা-মাতার উদ্বেগ, ক্ষমতাশীল ব্যক্তির প্রভাব বিস্তার করার মনোভাব, স্বাধীনচেতা বিবেকসম্পন্ন তরুণের স্বাতন্ত্র্যচেতনা, আনুশকাদের বাড়ির বুড়ো কুকুর মেঘবতীর মৃত্যু,অয়ন আর সঞ্জুর ছোট বোন মুনার অন্যরকম সম্পর্ক, বন্ধুমহলে প্রচলিত মজার ডাকনাম -ইত্যাদি উপাদান গল্পটিকে করে তুলেছে ভরাট। এত পরিকল্পনা, এত উৎসাহ, এত উত্তেজনা! শেষ পর্যন্ত কী ওরা সবাই যেতে পারবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে? সফল হবে প্রজেক্ট দারুচিনি দ্বীপ? জানতে হলে পড়তে হবে দারুচিনি দ্বীপ উপন্যাসটি। উল্লেখ্য, হুমায়ূন আহমেদের "দারুচিনি দ্বীপ" উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাতা তৌকির আহমেদ ২০০৭ সালে একই নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
মুভিটা কেন জানি বেশি ভালো লেগেছে। জরি আর শুভ্রকে ভালো লাগে। জরি আর তার বাবার সেই দৃশ্যটা হুমায়ুনের অন্যতম সৃষ্টি। ভয়ানক প্রিয় আমার। পৃথিবীর সব জরি তার শুভ্রকে খুঁজে পাক। সব শুভ্রের হারানো চশমা জরি খুঁজে দিক,পেয়ে যাওয়া চশমা পকেটে পুরে হাত ধরে হাঁটুক তারা।
হুমায়ুন আহমেদ সাহেবের শুভ্র সিরিজটা আমার অতোটা পছন্দের নয়। তার হোলিয়ার দ্যান দাউ হাবভাবের জন্য হিমু বা মিসির আলির মতো এই চরিত্রটা কোনোদিনই সেই অর্থে প্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি! শুভ্র-সিরিজ হলেও এই উপন্যাসটা কিন্তু দারুণ লাগলো,তার একটা বড় কারণ শুভ্র এখানে শুধুই অনেক চরিত্রের মাঝে একজন, জগৎ শোধরানোর বিশেষ সুযোগ সে পায়নি।
দেশের টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে একদল কলেজপড়ুয়া ছেলেমেয়ে সেন্ট মার্টিন আইল্যান্ডে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। এই হলো 'এক লাইনে' মূল কাহিনীর বিষয়বস্তু। বন্ধুরা দল বেঁধে বেড়াতে যাওয়ার মধ্যে একটা অদ্ভুত অ্যাডভেঞ্চার আর রোম্যান্টিকতা আছে। সেই সূত্রেই তারা এর নাম দিয়েছে প্রজেক্ট দারুচিনি দ্বীপ। কাহিনীর শুরুতেই আমরা তাদের নানান পরিকল্পনার সাক্ষী হই। । কে টিকিট কাটবে, কে গানবাজনার দায়িত্বে এসব নিয়ে চায়ের দোকানে বসে তাদের আলোচনা চলতে থাকে। মেয়েদের সঙ্গে নেওয়া হবে কিনা, শুভ্র ওরফে 'কানাবাবা' (শুভ্রর হাই পাওয়ারের চশমা যা সে প্রায়ই হারিয়ে ফেলে অন্ধের মতো হয়ে যায় বলে এই ডাকনাম) সঙ্গে গেলে বাকিদের অসুবিধা হবে কিনা এসব নিয়ে তর্কাতর্কি চলতে থাকে। এখানে লক্ষনীয়, প্রায় সবাই-ই যাওয়া না যাওয়া নিয়ে একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেটা আর্থিক, যেমন সঞ্জু বা অয়ন ওরফে বল্টু। আবার শুভ্রর ক্ষেত্রে সেটা তার বাবা-মায়ের অসম্মত হওয়া। জরি বলে মেয়েটির বেলায় আবার তার আসন্ন বিয়ের কারণে যাওয়া অসম্ভব। নানা বাধা বিপত্তি কাটিয়ে কি করে শেষ অবধি তাদের সবারই যাওয়া হয় সেই নিয়েই দারুণ এই উপন্যাসটি।
হুমায়ুন আহমেদের লেখনীর শক্তি তাঁর চরিত্র চিত্রণে। একেবারে জীবন্ত মানবিক চরিত্র কি করে তৈরী করতে হয় এবং পাঠককে তাদের ভালো মন্দের শরিক কি করে করে নিতে হয় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে থাকতে পারে এই উপন্যাস। সঞ্জু, বল্টু, জরি বা শুভ্র কি শেষ অবধি পারবে তাদের স্বপ্নের দারুচিনি দ্বীপে যেতে? এই উৎকণ্ঠার মধ্যে পাঠককে লেখক রেখে দিয়েছেন শেষের পাতা পর্যন্ত। আর তার মধ্যেই কোথা থেকে যেন লেখকের তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণে এই উপন্যাস হয়ে উঠেছে এক সার্থক সামাজিক দলিল।
"শুভ্র সমগ্র" হুমায়ূন আহমেদের সবচেয়ে Underrated Creation. অনেক শখ করে শুভ্র সমগ্র বইটা কিনি। শুভ্র সমগ্রের প্রথম উপন্যাসটি ছিল,দারুচিনি দ্বীপ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বন্ধুবান্ধবদের মিলে এক ট্যুরের প্লান করার মাধ্যমে উপন্যাস শুরু হয়। রয়েছে বেশ কয়েকটা চরিত্র। তবে উপন্যাসের মূল প্রোটোকনিস্ট "শূভ্র" হলেও এখানে অনান্য সব চরিত্রগুলাকে সমান ভূমিকায় রাখা হয়েছে। সবার জীবনে রয়েছে উঠানামা, বাধা বিপত্তি। সবকিছু পেড়িয়ে তাদের দারুচিনি দ্বীপ ভ্রমণে যাওয়ার বাসনাই মূল উপজীব্য হিসাবে ফুটে উঠেছে এখানে। উপন্যাসে সন্জ্ঞু'র বাবার চরিত্রটাকে আমার দারুণ লেগেছে। এছাড়াও জরীর নিজস্ব গল্পটাও খুব সুন্দর লেগেছে। হুমায়ুন আহমেদ প্রেক্ষাপট সাজিয়েছেন অতুলনীয় ভাবে৷
উপন্যাসটা পড়া শেষ করেই, YouTube এ বসে হুমায়ুন আহমেদের এই উপন্যাসের উপর ভিওি করে নির্মিত সিনেমা, দারুচিনি দ্বীপ দেখা শুরু করেছি। আহ, কতকালবাদে আবার বাংলা সিনেমা দেখছি...
দারুচিনি দ্বীপ পড়ার আগেই আমি এই উপন্যাস নিয়ে লেখকের বানানো সিনেমা দেখে ফেলার কারণে প্রতিটি চরিত্র আমার চোখে ভাসছিল। আসলে এই গল্পের মুখ্য চরিত্রে শুভ্র আর জরি থাকলেও গল্পের প্রতিটি চরিত্র তাদের নিজ নিজ অবস্থানে এতটাই সবল যে আমার কাছে প্রতিটি চরিত্রকেই মুখ্য মনে হচ্ছিল। যাইহোক, শুভ্র আমাকে গল্পের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অসাধারণ ভাবে মুগ্ধ করেছে। তার কানাবাবা নাম,চশমা হারিয়ে জরির হাত ধরে স্টেশনে পৌঁছানো, তার সহজ সরল বোকাবোকা ভাব সবকিছুই তার প্রতি মায়া সৃষ্টি করতে যথেষ্ট। আনুশকা,সন্জু,রানা,মোতালেব,শুভ্রর বাবা মা সবাই নিজ নিজ চরিত্রের প্রয়োজন মিটিয়েছেন যোগ্য ভাবে। আর জরি নিজের বিয়ে থেকে পালিয়ে গিয়ে দারুচিনি দ্বীপে চলে যাবে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে লেখক তাকে সবচেয়ে সাহসী মেয়ে হিসেবে প্রমাণ করেছেন। আর হ্যাঁ এদের মধ্যে অয়ন আর মুনার বিপরীত ধর্মী সম্পর্ক সবার মনোযোগ আকর্ষণ করবে নিশ্চিত।
ট্রেনের গতি বাড়ছে । গতি বাড়ছে অয়নের । পাশাপাশি ছুটছে অয়ন আর ট্রেন । দারুচিনি দ্বীপ আসলে হুমায়ুন আহমেদের গল্প নয়, আমাদের গল্প। ভার্সিটি পড়ুয়া একদল ছেলে মেয়ে যখন প্রাণ খুলে আড্ডা দেয় তখন সেখানে ধনী বা দারিদ্র্যের কোনো ভেদ থাকে না । কত হাসি তামাশা, প্লান প্রোগ্রাম চলে। কিছু পরিকল্পনা সফল হয় আবার কিছু হয় না । ঠিক এই ছেলে মেয়ে গুলোই যখন ভার্সিটে শেষে বাড়ি ফেরে তখন আশ্চর্যরকম ভাবে মিশে যায় পরিবারে । কেউ নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, কেউ উচ্চবিত্ত ; সবাই স্ব স্ব পরিচয় বহন করে। লালন করে আলাদা আলাদা চিন্তা ধারা । নিত্যদিনের এইসব অতি সাধারণ ঘটনারই অসাধারণ পরিবেশনা যেন দারুচিনি দ্বীপ। ছোট, সুন্দর, পরিশীলিত, প্রাণবন্ত, জীবনমুখি এবং অনবদ্য একটি বই এই দারুচিনি দ্বীপ ।
একদল তরুণ-তরুণীর সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে গল্প। শুভ্র সিরিজের প্রথম গল্প, যেখানে থে���ে শুভ্রর প্রতি মুগ্ধতা শুরু। মধ্যবিত্ত পরিবারের সীমাবদ্ধতা, ছেলেমেয়েদের জন্য বাবামার চিন্তা, নিম্নবিত্তদের আশ্রিতদের পরাধীনতা, বড়লোকের সন্তানদের বিলাসিতা ইত্যাদি খুবই সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। বইটা পড়ার সময় একটুও বিরক্তিবোধ করি নি। এই গল্পের মুখ্য চরিত্রে শুভ্র আর জরি থাকলেও গল্পের প্রতিটি চরিত্র তাদের নিজ নিজ অবস্থানে এতটাই সবল যে আমার কাছে প্রতিটি চরিত্রকেই মুখ্য মনে ��চ্ছিল। যদিও শুভ্র আমাকে গল্পের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অসাধারণ ভাবে মুগ্ধ করেছে।
হুমায়ূন আহমেদ শুভ্রর মত একটা চরিত্রের প্রতি এত উদাসীন কেন ছিলেন কে জানে? শুভ্রকে আরো অনেক বই থাকা উচিত ছিল। এমন চরিত্র না আগে ছিল, না কোনদিন আসবে।
মনে হচ্ছে সহস্র বছর পর কোন বই পড়লাম। লাস্ট কয়েক মাস অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু কারণে বই পড়ার সময় পাইনি । যাই হোক আলহামদুলিল্লাহ আবার বই পড়া শুরু করতে পারলাম।
এখন আসি গল্পে___ দারুচিনি দ্বীপ হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদের শুভ্র সমগ্রের প্রথম উপন্যাস। যেখানে শুভ্র নামে মোটাসোটা,বই পড়ুয়া, চশমা পরা একটি সহজ সরল ছেলে মূল চরিত্রে রয়েছে। যা রয়েছে ভ্রমণ বেশি বন্ধু মহল। হঠাৎই একদিন তারা সিদ্ধান্ত নিল বন্ধুরা সকলে মিলে একটা ট্রিপ দিবে। আর তাদের গন্তব্য স্থান ছিল দারুচিনি দ্বীপ।
সমুদ্রে উত্তল ঢেউ,রাতের আকাশ, সমুদ্রের কিনারে বসে থাকা আরও কত জল্পনা কল্পনা.. সে সবকিছু কি পূরণ হবে? আদৌ শুভ্র আর তার বন্ধুগণ - বল্টু, সঞ্জু,জরি, আনুশকা,নাইমা,নিরা শেষ পর্যন্ত কি দারুচিনি দ্বীপ যেতে পারল?
This entire review has been hidden because of spoilers.
"আমি তোমাকে অসম্ভব ভালোবাসি বাবা। এই ভালোবাসার মধ্যে কোনো রকম খাদ নেই। একজন মানুষ অন্য এক জনকে তার গুণের জন্যে ভালোবাসে। আমি ভালোবাসি তোমার দোষগুলোর জন্যে। তুমিই আমার দেখা একমাত্র মানুষ যার দোষগুলোকে গুণ বলে মনে হয়। ইয়াজউদ্দিন সাহেব ছেলেকে রিকশায় তুলে দিয়ে রিকশাওয়ালাকে বললেন, খুব ধীরে টেনে নিয়ে যাও। বলেই তাঁর কি মনে হলো তিনি বললেন, না ঠিক আছে তুমি যে ভাবে যাও সেভাবেই যাবে। ধীরে যেতে হবে না। রিকশাওয়ালা উল্কার বেগে ছুটল।"
প্রথমে মনে হচ্ছিলো যে এটা হুমায়ুন আহমদের অরদিনারি কোন বই হবে। তবে, বইয়ের পৃষ্ঠা যতই পালটাই, ততই গল্পের সকল চরিত্রের সাথে একটা টান অনুভব করতে লাগি। বুঝতে পারলাম এটা শুধুই একটা ভ্রমণ গল্প না। এটাই মনে হয় হুমায়ুন স্যারের ম্যাজিক। হাইলি রেকোমেন্ডেড!
This was my first ever Suvra story. After reading a few pages I was already drawn to the character and wanted to know his whole story. For me, this is the best Shuvra story. This story nicely narrates young people from various classes of society. The story upbrings the struggle of every class from society and their interaction amongst each other. The story mainly is about going on a trip with friends.