What do you think?
Rate this book
হিমু #6
হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম
ফ্ল্যাপে লিখা কিছু কথা
‘যাবার আগে আপনি বলে যাবেন আপনি কে?
আমি বললাম,‘মারিয়া আমি কেউ না। I am Nobody."
আমি আমার এক জীবনে অনেককে এই কথা বলেছি-কখনো আমার গলা ধরে যায়নি, বা চোখ ভিজে ওঠেনি। দু’টো ব্যাপারই এই প্রখম ঘটল।
‘যাবার আগে আপনি বলে যাবেন আপনি কে?
আমি বললাম,‘মারিয়া আমি কেউ না। I am Nobody."
আমি আমার এক জীবনে অনেককে এই কথা বলেছি-কখনো আমার গলা ধরে যায়নি, বা চোখ ভিজে ওঠেনি। দু’টো ব্যাপারই এই প্রখম ঘটল।
112 pages, Hardcover
First published April 14, 1996
139 people are currently reading
2378 people want to read
About the author
Humayun Ahmed
456 books2,906 followersHumayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
Ratings & Reviews
Friends & Following
Create a free account to discover what your friends think of this book!
Community Reviews
Displaying 1 - 30 of 136 reviews
December 10, 2022
হিমুর এই বইটা আমি প্রথম পড়েছিলাম নীলক্ষেতে বসে। হ্যাঁ, পুরোটাই নীলক্ষেতে বসে পড়েছিলাম। ম্যাগাজিন গলির একদম পেছনে একটা বাংলা সেকেন্ডহ্যান্ড বইয়ের দোকান ছিল, এখন মালিকানা বদল হয়েছে। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে আটকে গেছিলাম। উপরে টিনের চালে ঝমঝম শব্দ। এক কাপ কনডেন্সড মিল্কের চা। হুমায়ূন আহমেদের মোহময় লেখনী। তাই এই বইটা দেখলেই সময় সকটে চেপে চলে যাই সেই দিনটায়। যখন জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল হাতে কিছু টাকা জমলে দৌড়ে নীলক্ষেত গিয়ে সেকেন্ডহ্যান্ড বই কিনে আনা।
হিমু সিরিজের ষষ্ঠ এই বইয়ে রূপার উপস্থিতি এক প্রকার নেই বললেই চলে। তার বদলে আছে মারিয়া। যে পনেরো বছর বয়সে একটা সাংকেতিক চিঠি লেখে হিমুকে। আর কিছু মনে না থাকলেও এই চিঠিটার কথা মনে আছে। প্রেমে পড়া তরুণ-তরুণী আর পদ্মফুল নিয়ে কিছু কথা আছে বইটায়। সেই বয়সে লেখাটা পড়ে যতটা মুগ্ধ হয়েছিলাম, এবারে ততটা হলাম না। বয়সের সাথে স্বাদ বদলায়, এই কথা আসলেও সত্য।
তারপরেও আদি ও অকৃত্রিম হিমুর কার্যকলাপ উপভোগ করেছি আগা-গোড়া।
হিমু সিরিজের ষষ্ঠ এই বইয়ে রূপার উপস্থিতি এক প্রকার নেই বললেই চলে। তার বদলে আছে মারিয়া। যে পনেরো বছর বয়সে একটা সাংকেতিক চিঠি লেখে হিমুকে। আর কিছু মনে না থাকলেও এই চিঠিটার কথা মনে আছে। প্রেমে পড়া তরুণ-তরুণী আর পদ্মফুল নিয়ে কিছু কথা আছে বইটায়। সেই বয়সে লেখাটা পড়ে যতটা মুগ্ধ হয়েছিলাম, এবারে ততটা হলাম না। বয়সের সাথে স্বাদ বদলায়, এই কথা আসলেও সত্য।
তারপরেও আদি ও অকৃত্রিম হিমুর কার্যকলাপ উপভোগ করেছি আগা-গোড়া।
Read
October 6, 2022পুরো বইটা স্বাভাবিক হিমু স্টাইল। কিন্তু নীল পদ্মের ব্যপারটা খুবই অভাবনীয়। নতুন প্রেমে পরা কেউ বা জীবনে একমাত্র প্রেমের অভিজ্ঞতা যার আছে অথবা যারা বিশ্বাস করেন যে জীবনে সত্যিকারের প্রেম একবারই আসে নীল পদ্মের ব্যপারটা তাদের কাছে অস্বাভাবিক ভালো লাগবে। তাদের কাছে মনে হবে সত্যিকারের প্রেমের এতো সুন্দর ব্যাখ্যা কেউ কখনো দেয়নি। আপনি কি জীবনের প্রথম এবং একমাত্র প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন? তাহলে চোখ বন্ধ করে পড়ে ফেলুন এই বই এবং উপহার দিন আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা কে।
প্রেম সম্পর্কে তিক্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষ বা প্রেমের মোহ থেকে বের হয়ে আসা মানুষরা এই নীল পদ্মের থিওরি পড়ে হাসতে হাসতে লুটুপুটু খাবে, তাদের মনে হবে এরকম ভুয়া থিওরি এই পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আর নাই।
সে অনুযায়ী প্রথম গ্রুপের পাঠকরা স্বাভবতই রেটিং দিবে ৪ অথবা ৫ আর দ্বিতীয় গ্রুপের পাঠকরা রেটিং দিবে ১ অথবা ২। আর প্রেম যাদের জীবনে কোন রকম উত্তেজনা দিতে পারে না তারা দিবে ৩। তবে এই পৃথিবীতে মনে হয় দ্বিতীয় গ্রুপের মানুষ কম তাই বই এর রেটিং ৩.৯৫। Goodreads এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৭% মানুষ আছে দ্বিতীয় গ্রুপে।
বইয়ের ভালো লাগার কিছু লাইনঃ
হঠাৎ কোন বড় সৌন্দর্যের মুখোমুখি হলে মানুষের স্নায়ু অবশ হয়ে যায়।
কিছু কিছু মানুষ থাকে যাদের নিজেদের তেমন কোন সমস্যা থাকে না, তারা নিজের সাথে সম্পর্কবিহীন অদ্ভুত সব সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে। নিজেকে কিছুতেই অন্যের সমস্যা থেকে মুক্ত করতে পারে না।
মেয়েরা তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল গুলো এডলোসেন্স পিরিয়ডে করে।
উচ্চ স্তরের ফিলোসফি আসলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন ঘাটতি জনিত সমস্যা।
যেসকল মানুষ সীমাহীন আবেগ নিয়ে জন্মেছেন তারা কক্ষনো তা প্রকাশ করেন না। যারা পৃথিবীতে এসেছেন মধ্যম শ্রেনীর আবেগ নিয়ে তাদের আবেগের প্রকাশ অতি তীব্র।
প্রেম সম্পর্কে তিক্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষ বা প্রেমের মোহ থেকে বের হয়ে আসা মানুষরা এই নীল পদ্মের থিওরি পড়ে হাসতে হাসতে লুটুপুটু খাবে, তাদের মনে হবে এরকম ভুয়া থিওরি এই পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আর নাই।
সে অনুযায়ী প্রথম গ্রুপের পাঠকরা স্বাভবতই রেটিং দিবে ৪ অথবা ৫ আর দ্বিতীয় গ্রুপের পাঠকরা রেটিং দিবে ১ অথবা ২। আর প্রেম যাদের জীবনে কোন রকম উত্তেজনা দিতে পারে না তারা দিবে ৩। তবে এই পৃথিবীতে মনে হয় দ্বিতীয় গ্রুপের মানুষ কম তাই বই এর রেটিং ৩.৯৫। Goodreads এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৭% মানুষ আছে দ্বিতীয় গ্রুপে।
বইয়ের ভালো লাগার কিছু লাইনঃ
হঠাৎ কোন বড় সৌন্দর্যের মুখোমুখি হলে মানুষের স্নায়ু অবশ হয়ে যায়।
কিছু কিছু মানুষ থাকে যাদের নিজেদের তেমন কোন সমস্যা থাকে না, তারা নিজের সাথে সম্পর্কবিহীন অদ্ভুত সব সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে। নিজেকে কিছুতেই অন্যের সমস্যা থেকে মুক্ত করতে পারে না।
মেয়েরা তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল গুলো এডলোসেন্স পিরিয়ডে করে।
উচ্চ স্তরের ফিলোসফি আসলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন ঘাটতি জনিত সমস্যা।
যেসকল মানুষ সীমাহীন আবেগ নিয়ে জন্মেছেন তারা কক্ষনো তা প্রকাশ করেন না। যারা পৃথিবীতে এসেছেন মধ্যম শ্রেনীর আবেগ নিয়ে তাদের আবেগের প্রকাশ অতি তীব্র।
January 22, 2014
"আমার সঙ্গে কি আছে জানিস? পদ্ম - নীলপদ্ম! পাঁচটি নীলপদ্ম নিয়ে ঘুরছি। কি অপূর্ব পদ্ম! কাউকে দিতে পারছি না। দেওয়া সম্ভব নয়। হিমুরা কাউকে নীলপদ্ম দিতে পারে না ........"
চরম একটা বই :)
June 6, 2016
মাঝে মাঝে মনে হয় প্রকৃতি আসলেই মানুষের হাতে ৫টা নীলপদ্ম দিয়ে পাঠায়।
আমি হিমু না তবে হিমুর মত নীলপদ্ম দিতে না পারা মানুষকে নিজের মহামূল্যবান নীলপদ্ম গুলো দিয়ে বসে আছি । এককালে খুবই প্রিয় বই ছিল এখনও প্রিয় তবে সময়ের সাথে সাথে বইটা নিয়ে অনুভুতিতে এখন আক্ষেপের অধ্যায়ও যোগ হয়েছে।
বইটা না থাকলে তো আর জানতে পারতাম না আমার নীলপদ্ম গুলো চুরি হয়ে গেছে। এই আক্ষেপটাও থাকতো না দূর ক্যান যে হিমু হলাম না নিজের নীলপদ্ম নিজের কাছেই রেখে দিতাম।
হূমায়ূন আহমেদ অসাধারন!!! এক রবিঠাকুর সব পরিস্থিতিতে মন খারাপ করা,মন ভাল করার জন্য গাদাগাদা কবিতা লিখে গিয়েছেন। আর এক হুমায়ূন আহমেদ, এক মানব জীবনে যত ধরনের আবেগ,আক্ষেপ,ভাললাগা,ভালবাসা প্রকাশ করা যায় সবগুলোই অসাধারন ভাবে লিখে রেখে গিয়েছেন পড়লে কেন জানি মনের ভিতরে শূন্যতার সৃষ্টি হয়ে যায়!!!
আমি হিমু না তবে হিমুর মত নীলপদ্ম দিতে না পারা মানুষকে নিজের মহামূল্যবান নীলপদ্ম গুলো দিয়ে বসে আছি । এককালে খুবই প্রিয় বই ছিল এখনও প্রিয় তবে সময়ের সাথে সাথে বইটা নিয়ে অনুভুতিতে এখন আক্ষেপের অধ্যায়ও যোগ হয়েছে।
বইটা না থাকলে তো আর জানতে পারতাম না আমার নীলপদ্ম গুলো চুরি হয়ে গেছে। এই আক্ষেপটাও থাকতো না দূর ক্যান যে হিমু হলাম না নিজের নীলপদ্ম নিজের কাছেই রেখে দিতাম।
হূমায়ূন আহমেদ অসাধারন!!! এক রবিঠাকুর সব পরিস্থিতিতে মন খারাপ করা,মন ভাল করার জন্য গাদাগাদা কবিতা লিখে গিয়েছেন। আর এক হুমায়ূন আহমেদ, এক মানব জীবনে যত ধরনের আবেগ,আক্ষেপ,ভাললাগা,ভালবাসা প্রকাশ করা যায় সবগুলোই অসাধারন ভাবে লিখে রেখে গিয়েছেন পড়লে কেন জানি মনের ভিতরে শূন্যতার সৃষ্টি হয়ে যায়!!!
August 25, 2018
one of most favourites from himu series!
August 27, 2014
This was usual Himu, in his unique style. Good Enough! This story talks about the atrocities of strikes and movements and rallies that different political parties let out to out-do each other and the severe impact that these type of things have in the lives of normal and poor people, even animals. This story is also a love story, though one-sided A Love Story of a girl's FIRST LOVE, that was never returned. There are gritty reality and tear-jerkers spread over the whole novel that you would be glad about, enjoying them with a smile on your lips and warmth in your heart. There are comedies as well, though a bit less, but that won't hamper anything for you. This tale also tells us that how priorities of human beings change rapidly and how no one is really satisfied. Even if one's own definition of HEAVEN is satisfied, after a certain time, it becomes a burden on the shoulder of that person. So, Change is necessary as well as evident. We should welcome it whenever life throw it our way and adjust to it. By embracing and being thankful to what we have and not by complaining what we don't or what we want to have or what we were denied of makes us only prisoner of our un-required wishes. We have to let-go as well as welcome the things that comes and goes around in our life, because after-all nothing is permanent!! A very enjoyable read. . . . Recommended to all! :)
October 23, 2021
একবার নয়, বহুবার পড়া।
কিছু কিছু দিনে,(এই যেমন শীতের শুরুতে,বাতাসে কেমন মন খারাপ করা গন্ধে) নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আবার পড়ি। নস্টালজিয়া দ্বিগুণ করে ফিরে আসি।........
.............................................................
.............................................................
হিমু, কী হতো মারিয়াকে নীলপদ্ম গুলো ফিরিয়ে দিলে? 😔
কিছু কিছু দিনে,(এই যেমন শীতের শুরুতে,বাতাসে কেমন মন খারাপ করা গন্ধে) নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আবার পড়ি। নস্টালজিয়া দ্বিগুণ করে ফিরে আসি।........
.............................................................
.............................................................
হিমু, কী হতো মারিয়াকে নীলপদ্ম গুলো ফিরিয়ে দিলে? 😔
August 30, 2024
হিমুরা কাউকে নীলপদ্ম দিতে পারে না। অথচ অপূর্ব পাঁচটা নীলপদ্ম সাথে নিয়ে আজীবন একা একা ঘুরতে হয়। তবে মাঝেমধ্যে তারা নীলপদ্ম নিতে পারে।
হিমু সিরিজের সবচেয়ে প্রিয় একটা বই।
"(এই সব ভালো লাগে) : জানালার ফাঁক দিয়ে ভোরের সোনালি রোদ এসে
আমারে ঘুমাতে দেখে বিছানায়,—আমার কাতর চোখ, আমার বিমর্ষ ম্লান চুল –
এই নিয়ে খেলা করে: জানে সে যে বহুদিন আগে আমি করেছি কি ভুল
পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমাহীন গাঢ় এক রূপসীর মুখ ভালোবেসে"
৪.৫*
হিমু সিরিজের সবচেয়ে প্রিয় একটা বই।
"(এই সব ভালো লাগে) : জানালার ফাঁক দিয়ে ভোরের সোনালি রোদ এসে
আমারে ঘুমাতে দেখে বিছানায়,—আমার কাতর চোখ, আমার বিমর্ষ ম্লান চুল –
এই নিয়ে খেলা করে: জানে সে যে বহুদিন আগে আমি করেছি কি ভুল
পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমাহীন গাঢ় এক রূপসীর মুখ ভালোবেসে"
৪.৫*
April 23, 2022
বইট�� দ্বিতীয়বার পড়লাম! আমার এই একজীবনে এখনো পর্যন্ত হাতে গোনা বোধ করি দুটো বইও পাওয়া যাবে না যেগুলা দ্বিতীয়বার পড়েছি!
বইটা শেষ করে ম��ে হলো না পড়লেই ভালো হত, শেষের দিককার হিমু-মারিয়া কথোপকথনের অংশটুকু বেশি নাড়া দিয়েছে, নীলপদ্ম থিওরি নিয়েও নিজের মত করে কিছুক্ষণ ভাবলাম!
বইটা প্রথমবার পড়ে যেমনটা অনুভব করেছিলাম দ্বিতীয়বার পড়ে মনে হলো অনুভূতি অনুভবের জায়গাটায় বেশকিছু পরিবর্তন দেখা দিয়েছে- নতুন করে মারিয়া উহ্য ট্রমা, আবেগ, খুব যত্ন করে মনের গহীনে দীপ্তিমান ভালবাসা সবটাই চোখের সামনে এসেছে এবার যেগুলো কিনা উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময়ে ধরা পরেনি আমার কাছে। শুধু তাই না, মায়ামুক্তির বিধান পালন করতে গিয়ে হিমুকে যে কী পরিমাণ মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে সেটাও দেখেছি, দেখেছি হিমু মারিয়ার হাত ধরার তীব্র বাসনা, মারিয়াকে আপন করে পাবার তীব্র বাসনাকে কতটা নির্মমভাবে মাটিচাপা দিলো!
"আমি বললাম,‘মারিয়া আমি কেউ না। I am Nobody."
আমি আমার এক জীবনে অনেককে এই কথা বলেছি-কখনো আমার গলা ধরে যায়নি, বা চোখ ভিজে ওঠেনি। দু’টো ব্যাপারই এই প্রথম ঘটল।"- প্যারার পুরো অংশটাই এখনো মাথায় গেঁথে আছে, ভীষণ নাড়া দিচ্ছে কথাগুলো!
হিমু সিরিজের এই বইটাতে হিমুকে কেন জানি আমার মহাপুরুষ, মহাপুরুষ মনে হয়নি, মনে হয়েছে খুব সাধারণ একজন যুবক, যে খুবই ট্রমাটাইজড, যে প্রাণপণ চেষ্টা করছে মায়ায় জড়িয়ে না পরার জন্য কিন্তু সে তো মানুষ!
ভালো লাগছে না! বইটা পড়ে বিষাদের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি এখন আমি!🙂
বইটা শেষ করে ম��ে হলো না পড়লেই ভালো হত, শেষের দিককার হিমু-মারিয়া কথোপকথনের অংশটুকু বেশি নাড়া দিয়েছে, নীলপদ্ম থিওরি নিয়েও নিজের মত করে কিছুক্ষণ ভাবলাম!
বইটা প্রথমবার পড়ে যেমনটা অনুভব করেছিলাম দ্বিতীয়বার পড়ে মনে হলো অনুভূতি অনুভবের জায়গাটায় বেশকিছু পরিবর্তন দেখা দিয়েছে- নতুন করে মারিয়া উহ্য ট্রমা, আবেগ, খুব যত্ন করে মনের গহীনে দীপ্তিমান ভালবাসা সবটাই চোখের সামনে এসেছে এবার যেগুলো কিনা উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময়ে ধরা পরেনি আমার কাছে। শুধু তাই না, মায়ামুক্তির বিধান পালন করতে গিয়ে হিমুকে যে কী পরিমাণ মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে সেটাও দেখেছি, দেখেছি হিমু মারিয়ার হাত ধরার তীব্র বাসনা, মারিয়াকে আপন করে পাবার তীব্র বাসনাকে কতটা নির্মমভাবে মাটিচাপা দিলো!
"আমি বললাম,‘মারিয়া আমি কেউ না। I am Nobody."
আমি আমার এক জীবনে অনেককে এই কথা বলেছি-কখনো আমার গলা ধরে যায়নি, বা চোখ ভিজে ওঠেনি। দু’টো ব্যাপারই এই প্রথম ঘটল।"- প্যারার পুরো অংশটাই এখনো মাথায় গেঁথে আছে, ভীষণ নাড়া দিচ্ছে কথাগুলো!
হিমু সিরিজের এই বইটাতে হিমুকে কেন জানি আমার মহাপুরুষ, মহাপুরুষ মনে হয়নি, মনে হয়েছে খুব সাধারণ একজন যুবক, যে খুবই ট্রমাটাইজড, যে প্রাণপণ চেষ্টা করছে মায়ায় জড়িয়ে না পরার জন্য কিন্তু সে তো মানুষ!
ভালো লাগছে না! বইটা পড়ে বিষাদের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি এখন আমি!🙂
March 13, 2021
হিমু চরিত্রের আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। লেখক হিমুর বাবাকে বর্ণনা করেছেন একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ হিসেবে; যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তিনি মহাপুরুষ তৈরির জন্য একটি বিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু।
হিমুর পোশাক হল পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী। হলুদ বৈরাগের রঙ বলেই পোশাকের রং হলুদ নির্বাচিত করা হয়েছিল। ঢাকা শহরের পথে-পথে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো তার কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম। উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না।
হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ। প্রেম ভালবাসা উপেক্ষা করা হিমুর ধর্মের মধ্যে পড়ে। কোন উপন্যাসেই কোন মায়া তাকে কাবু করতে পারে নি। মায়াজালে আটকা পড়তে গেলেই সে উধাও হয়ে যায়। হিমু উপন্যাসে সাধারণত হিমুর কিছু ভক্তশ্রেণীর মানুষ থাকে যারা হিমুকে মহাপুরুষ মনে করে। এদের মধ্যে হিমুর ফুপাতো ভাই বাদল অন্যতম। মেস ম্যানেজার বা হোটেল মালিক- এরকম আরও কিছু ভক্ত চরিত্র প্রায় সব উপন্যাসেই দেখা যায়।
এছাড়াও কিছু বইয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী ও খুনি ব্যক্তিদের সাথেও তার সু-সম্পর্ক ঘটতে দেখা যায়। হিমুর একজন বান্ধবী রয়েছে, যার নাম রূপা; যাকে ঘিরে হিমুর প্রায় উপন্যাসে রহস্য আবর্তিত হয়। নিরপরাধী হওয়া সত্ত্বেও সন্দেহভাজন হওয়ায় হিমু অনেকবার হাজতবাস করেছে এবং বিভিন্ন থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।
হিমু বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় ও কাল্পনিক। নব্বই দশকে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। হিমু ও মিসির আলি হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট সর্বাধিক জনপ্রিয় দু’টি কাল্পনিক চরিত্র। উদাসীন হিমু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের বাঙালি তরুণদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
হিমুর পোশাক হল পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী। হলুদ বৈরাগের রঙ বলেই পোশাকের রং হলুদ নির্বাচিত করা হয়েছিল। ঢাকা শহরের পথে-পথে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো তার কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম। উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না।
হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ। প্রেম ভালবাসা উপেক্ষা করা হিমুর ধর্মের মধ্যে পড়ে। কোন উপন্যাসেই কোন মায়া তাকে কাবু করতে পারে নি। মায়াজালে আটকা পড়তে গেলেই সে উধাও হয়ে যায়। হিমু উপন্যাসে সাধারণত হিমুর কিছু ভক্তশ্রেণীর মানুষ থাকে যারা হিমুকে মহাপুরুষ মনে করে। এদের মধ্যে হিমুর ফুপাতো ভাই বাদল অন্যতম। মেস ম্যানেজার বা হোটেল মালিক- এরকম আরও কিছু ভক্ত চরিত্র প্রায় সব উপন্যাসেই দেখা যায়।
এছাড়াও কিছু বইয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী ও খুনি ব্যক্তিদের সাথেও তার সু-সম্পর্ক ঘটতে দেখা যায়। হিমুর একজন বান্ধবী রয়েছে, যার নাম রূপা; যাকে ঘিরে হিমুর প্রায় উপন্যাসে রহস্য আবর্তিত হয়। নিরপরাধী হওয়া সত্ত্বেও সন্দেহভাজন হওয়ায় হিমু অনেকবার হাজতবাস করেছে এবং বিভিন্ন থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।
হিমু বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় ও কাল্পনিক। নব্বই দশকে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। হিমু ও মিসির আলি হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট সর্বাধিক জনপ্রিয় দু’টি কাল্পনিক চরিত্র। উদাসীন হিমু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের বাঙালি তরুণদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
April 7, 2022
৫ তারা কেন। আরও বহু তারা দেয়া গেলে দিয়ে দিতাম। এই বইটা অল্প বয়সে বার বার পড়ছি।
January 7, 2016
THE BEST (partly) LOVE STORY I EVER READ
Want to read
October 17, 2022রূপা জানে হিমু কখনোই ঠিক সময়ে আসবেনা। তারপরো অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে।
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর ঘুচলো। তবে আজ হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম 💛💙
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর ঘুচলো। তবে আজ হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম 💛💙
November 5, 2024
কোথায় যেনো শুনেছিলাম হিমু একেক বয়সে একেকরকম লাগে৷ এই বইটি প্রথম পড়েছিলাম ১৬ বা ১৭ সালে। তখন হিমু চরিত্রের প্রতি এক অন্ধ ভালো লাগা কাজ করতো। কিশোর বয়সে বইটি শেষ করে কেমন অনুভূতি হয়েছিলো স্পষ্ট মনে করতে পারি না। কিন্তু যুবক বয়সে এসে শেষটা খুব বিষণ্ণ করে দিলো।
December 28, 2021
হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম | হুমায়ূন আহমেদ
প্রত্যেক মানুষের কাছে ৫টি নীলপদ্ম থাকে, সে যদি কাউকে ৫টি নীলপদ্ম দিয়ে দেয় এবং যাকে সে নীলপদ্মগুলো দিয়েছে সে যদি তাকে ছেকা দেয় তাহলে যে নীলপদ্ম দিয়েছে সে আর প্রেম করতে পারে না, এটা মারিয়ার বাবার ধারণা। হিমুর বাবার প্রেম নিয়ে ধারণা অবশ্য উল্টো। তিনি এটাকে নিতান্তই জৈবিক বিষয় মনে করেন, তার মতে এটাকে মহামান্মিত্ব করার কিছু নেই।
১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী মারিয়া হিমুর প্রেমে পড়ে যায়। আবেগের বসে একখানা সংকিত ভাষায় (ক্রিপ্টোগ্রাফি) চিঠি হিমুকে উদ্দেশ্য করে লিখেও ফেলে। হিমু গনিতে ডিলা হওয়ায় চিঠির অর্থ উদ্ধার করতে পারে না এবং তাদের বাড়িতে আসাও বন্ধ করে দেয়। ৫ বছর পর হিমু তাদের বাসায় গিয়ে মেয়েটির চোখে সেই ১৫ বয়সী আবেগ দেখতে পায়।
মাঝখান দিয়ে বাদল দেশের জন্য নিজেকে রাস্তায় পুড়িয়ে আত্মহুতি দিতে চেয়েছিল, তবে সেই দুর্ভাগ্য তার হয় নাই।
পাঠপ্রতিক্রিয়া
চলনসই। বেশি আশা না নিয়ে টাইমপাস করার জন্য পড়তে পারেন।
Rating 🌟🌟🌟
প্রত্যেক মানুষের কাছে ৫টি নীলপদ্ম থাকে, সে যদি কাউকে ৫টি নীলপদ্ম দিয়ে দেয় এবং যাকে সে নীলপদ্মগুলো দিয়েছে সে যদি তাকে ছেকা দেয় তাহলে যে নীলপদ্ম দিয়েছে সে আর প্রেম করতে পারে না, এটা মারিয়ার বাবার ধারণা। হিমুর বাবার প্রেম নিয়ে ধারণা অবশ্য উল্টো। তিনি এটাকে নিতান্তই জৈবিক বিষয় মনে করেন, তার মতে এটাকে মহামান্মিত্ব করার কিছু নেই।
১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী মারিয়া হিমুর প্রেমে পড়ে যায়। আবেগের বসে একখানা সংকিত ভাষায় (ক্রিপ্টোগ্রাফি) চিঠি হিমুকে উদ্দেশ্য করে লিখেও ফেলে। হিমু গনিতে ডিলা হওয়ায় চিঠির অর্থ উদ্ধার করতে পারে না এবং তাদের বাড়িতে আসাও বন্ধ করে দেয়। ৫ বছর পর হিমু তাদের বাসায় গিয়ে মেয়েটির চোখে সেই ১৫ বয়সী আবেগ দেখতে পায়।
মাঝখান দিয়ে বাদল দেশের জন্য নিজেকে রাস্তায় পুড়িয়ে আত্মহুতি দিতে চেয়েছিল, তবে সেই দুর্ভাগ্য তার হয় নাই।
পাঠপ্রতিক্রিয়া
চলনসই। বেশি আশা না নিয়ে টাইমপাস করার জন্য পড়তে পারেন।
Rating 🌟🌟🌟
May 26, 2017
হুমায়ূন আহমেদ যদি বেঁচে থাকতেন বর্তমানে, তাহলে কি উনি এ রকম আরেকটা বই লিখতেন? তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে মাঠত এখনও গরম। যাই হোক আমি আপাতত নীলপদ্ধ থিউরি নিয়ে একটু গবেষণা করছি। :p থিউরিটা হলঃ
সৃষ্টিকর্তা বা প্রকৃতি প্রতিটি ছেলেমেয়েকে পাঁচটি অদৃশ্য নীলপদ্ম দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান। এই নীলপদ্মগুলি হলো- প্রেমভালোবা���া। যেমন ধরো তুমি । তোমাকে পাঁচটি নীলপদ্ম দিয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত তুমি কাউকে পাওনি যাকে পদ্ম দিতে ইচ্ছে করেছে। কাজেই তুমি কারোর প্রেমে পড়নি। আবার ধরো, একটা সতেরো বছরের তরুণীর সঙ্গে তোমার পরিচয় হলো । মেয়েটির তোমাকে এতই ভালো লাগলো যে, সে কোনোদিকে না তাকিয়ে ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে তার সবকটি নীলপদ্ম তোমাকে দিয়ে দিল । তুমি পদ্মগুলি নিলে, কিন্তু তাকে গ্রহণ করলে না। পরে এই মেয়��টি কিন্তু আর কারও প্রেমে পড়তে পারবে না । সে হয়তো একসময় বিয়ে করবে, তার স্বামীর সঙ্গে ঘর-সংসার করবে, কিন্তু স্বামীর প্রতি প্রেম তার থাকবে না ।’
থিউরিটার কোন ভিত্তি নাই। পছন্দ হয় নাই। :/ উপন্যাসেই এর কিছু প্রমাণও আছে।
সৃষ্টিকর্তা বা প্রকৃতি প্রতিটি ছেলেমেয়েকে পাঁচটি অদৃশ্য নীলপদ্ম দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান। এই নীলপদ্মগুলি হলো- প্রেমভালোবা���া। যেমন ধরো তুমি । তোমাকে পাঁচটি নীলপদ্ম দিয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত তুমি কাউকে পাওনি যাকে পদ্ম দিতে ইচ্ছে করেছে। কাজেই তুমি কারোর প্রেমে পড়নি। আবার ধরো, একটা সতেরো বছরের তরুণীর সঙ্গে তোমার পরিচয় হলো । মেয়েটির তোমাকে এতই ভালো লাগলো যে, সে কোনোদিকে না তাকিয়ে ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে তার সবকটি নীলপদ্ম তোমাকে দিয়ে দিল । তুমি পদ্মগুলি নিলে, কিন্তু তাকে গ্রহণ করলে না। পরে এই মেয়��টি কিন্তু আর কারও প্রেমে পড়তে পারবে না । সে হয়তো একসময় বিয়ে করবে, তার স্বামীর সঙ্গে ঘর-সংসার করবে, কিন্তু স্বামীর প্রতি প্রেম তার থাকবে না ।’
থিউরিটার কোন ভিত্তি নাই। পছন্দ হয় নাই। :/ উপন্যাসেই এর কিছু প্রমাণও আছে।
Read
March 1, 2015himu my best friand......on tani
January 29, 2018
চলনসই। খুব আহামরি কিছু না। হিমু সিরিজেই এরচেয়ে অনেক ভাল বই আছে।
January 4, 2022
সবচেয়ে পছন্দের একটা বই এটা। সবাইকে বলব পড়তে।
June 20, 2024
বৃহস্পতিবার, ২০ জুন
রাত ৯:২৬।
শেষ করলাম হিমু সিরিজের ষষ্ঠ বই "হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম"। এই বইটা গিফট পেয়েছিলাম আজ থেকে প্রায় ৬ বছর আগে। পড়া হয়নি। তখন বই পড়ার প্রতি আগ্রহ ছিলো না। পরবর্তীতে বই পড়া শুরু করলেও এই বইয়ে হাত দিইনি। শুধু এই বইয়ের জন্যে পুরো হিমু সিরিজ এতো দেরিতে শুরু করা আর কি! যাজ্ঞে! কাজের কথায় ফেরা যাক।
"হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম" বইটাও ঠিক আগের বইগুলোর মতো হিমু রেসিপি দিয়েই তৈরি। হিমুর হিমুসুলভ পাগলামি আগের বইগুলার মতো এটাতেও দেখা যায়। তবে, এই বইয়ে একটা আলাদা নতুনত্ব আছে। যেটার জন্য এই বইটা অনেকের খুব পছন্দের। এই বইয়ে একটা নীলপদ্ম থিওরি পাওয়া যায়। থিওরীটা অনেকেরই বেশ ভালো লেগেছে। (রিভিউ দেখে যা বুঝলাম)। এমনকি, যার থেকে আমি বইটা উপহার হিসেবে পেয়েছিলাম, তার-ও এই থিওরী ভীষণ ভালো লেগেছিলো। থিওরীটা হচ্ছে একজন মানুষের কাছে অদৃশ্য পাঁচটা নীলপদ্ম থাকে। এই নীলপদ্মগুলা হচ্ছে, প্রেম-ভালোবাসা। কেউ কাউকে যদি ভালোবাসে তাহলে এই নীলপদ্মগুলা তাকে দিয়ে দেয়। কেউ যদি পাঁচটি নীলপদ্মই কারো উপর খরচ করে ফেলে তবে সে আর অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারে না।
আমার কাছে থিওরীটা যে খুবই ভালো লেগেছে তা না। তবে, বইটা সবমিলিয়ে বেশ সুন্দর। সুন্দর হবে না কিভাবে? হিমু আছে বলে কথা। এই বইয়ে রূপাকে ভীষণ মিস করেছি। মারিয়ার বাবাকে ভীষণভাবে ভালো লেগেছে।
সবমিলিয়ে, সুন্দর।
রাত ৯:২৬।
শেষ করলাম হিমু সিরিজের ষষ্ঠ বই "হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম"। এই বইটা গিফট পেয়েছিলাম আজ থেকে প্রায় ৬ বছর আগে। পড়া হয়নি। তখন বই পড়ার প্রতি আগ্রহ ছিলো না। পরবর্তীতে বই পড়া শুরু করলেও এই বইয়ে হাত দিইনি। শুধু এই বইয়ের জন্যে পুরো হিমু সিরিজ এতো দেরিতে শুরু করা আর কি! যাজ্ঞে! কাজের কথায় ফেরা যাক।
"হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম" বইটাও ঠিক আগের বইগুলোর মতো হিমু রেসিপি দিয়েই তৈরি। হিমুর হিমুসুলভ পাগলামি আগের বইগুলার মতো এটাতেও দেখা যায়। তবে, এই বইয়ে একটা আলাদা নতুনত্ব আছে। যেটার জন্য এই বইটা অনেকের খুব পছন্দের। এই বইয়ে একটা নীলপদ্ম থিওরি পাওয়া যায়। থিওরীটা অনেকেরই বেশ ভালো লেগেছে। (রিভিউ দেখে যা বুঝলাম)। এমনকি, যার থেকে আমি বইটা উপহার হিসেবে পেয়েছিলাম, তার-ও এই থিওরী ভীষণ ভালো লেগেছিলো। থিওরীটা হচ্ছে একজন মানুষের কাছে অদৃশ্য পাঁচটা নীলপদ্ম থাকে। এই নীলপদ্মগুলা হচ্ছে, প্রেম-ভালোবাসা। কেউ কাউকে যদি ভালোবাসে তাহলে এই নীলপদ্মগুলা তাকে দিয়ে দেয়। কেউ যদি পাঁচটি নীলপদ্মই কারো উপর খরচ করে ফেলে তবে সে আর অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারে না।
আমার কাছে থিওরীটা যে খুবই ভালো লেগেছে তা না। তবে, বইটা সবমিলিয়ে বেশ সুন্দর। সুন্দর হবে না কিভাবে? হিমু আছে বলে কথা। এই বইয়ে রূপাকে ভীষণ মিস করেছি। মারিয়ার বাবাকে ভীষণভাবে ভালো লেগেছে।
সবমিলিয়ে, সুন্দর।
August 31, 2021
মনস্তত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা হুমায়ূন সাহেব করেছিলেন কি না এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই,তবে তিনি যে সাইকোলজির সমস্ত কিছু ঘেঁটে ঘুঁটে হিমু চরিত্র কে বানিয়েছিলেন এ বিষয়ে আমি নিঃসন্দেহ। এই গল্পে হিমুর প্রেমে পড়ে সাংকেতিক ভাষায় প্রেমপত্র দেয় কিশোরী মারিয়া, পাঁচ বছর পর যখন আবার তার হিমুর জবাব পায়,সে উচ্ছাস গোপন করে। তার বাবা আসাদুল্লাহ সাহেবের নীলপদ্মের থিওরী নিয়ে কোথাও যেন রয়ে যায় প্রশ্নচিহ্ন। অন্য দিকে চিঠি লেখক আসগর সাহেবের দেশের বাড়ি যাওয়া হয় না এক কমিটমেন্টের জন্য,আবার হিমুর ভাই বাদল আত্মহত্যা করতে চায় দেশের ভালোর জন্য। দশে সাড়ে নয় দেওয়াই যায়।
July 3, 2020
কিছুটা রাজনৈতিক আবহ, কিছুটা হিমুসুলভ পাগলামি বাদ দিয়ে প্রেমের উপন্যাস হিসেবে অসাধারণ মনে হয়েছে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে যে বিষয়টা, অন্যান্য হিমু গল্পগুলোতে যেখানে হিমু তার অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে সব ঠিক করে দেয় এখানে তা নেই।
আমি হিমু আমি কেউ নই- এর সঠিক উপস্থাপন।
আমি হিমু আমি কেউ নই- এর সঠিক উপস্থাপন।
January 20, 2019
পছন্দের তালিকাযুক্ত বইগুলোর মধ্যে একটি।
February 10, 2021
Perfect for finishing in a single sitting with some tea and light snacks. Enjoyed it quite a lot. Strong 6 to a light 7.
Read
November 20, 2023একজন মানুষের পাঁচটি অদৃশ্য নীলপদ্ম থাকে। এই নীলপদ্ম গুলো হলো প্রেম-ভালোবাসা। কেউ কাউকে ভালোবাসলে এই নীলপদ্ম গুলো দিয়ে দেয়। কেউ যদি পাঁচটি নীলপদ্ম একেবারে কাউকে দিয়ে দেয় সে দ্বিতীয়বার প্রেমে পড়তে পারে না। বিয়ে করে,ঘর সংসার করে কিন্তু প্রেমে পড়তে পারে না।
হিমুকে কথাগুলো বলেছিলেন মারিয়ার বাবা আসাদুল্লাহ সাহেব। হিমুর সাথে আসাদুল্লাহ সাহেবের পরিচয় একটা বইয়ের দোকানে। তিনি একটা বই পছন্দ করেছিলেন কিন্তু সাথে টাকা না থাকায় কিনতে পারছিলেন না। তখন হিমু ওনাকে টাকা ধার দেয়। আসাদুল্লাহ সাহেবের সূত্রে তার মেয়ে মারিয়ার সাথে পরিচয় হয় হিমুর। কিশোরী মারিয়া সাংকেতিক ভাষায় চিঠি লেখে হিমুকে। চিঠি পেয়ে হিমু মারিয়াদের বাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। মহাপুরুষ হতে গেলে কারো মায়ায় জড়ানো যাবে না। ঘটনাক্রমে অনেক বছর পর আবার মারিয়ার সাথে দেখা হয় হিমুর। হিমু সাংকেতিক চিঠির উত্তর দেয় সাংকেতিক ভাষায় লিখে। কী ছিলো সেই চিঠিতে? মারিয়া কী এখনো হিমুর জন্য অপেক্ষা করছে? হিমু কী মারিয়াকে তার নীলপদ্ম দিবে?
হিমুকে কথাগুলো বলেছিলেন মারিয়ার বাবা আসাদুল্লাহ সাহেব। হিমুর সাথে আসাদুল্লাহ সাহেবের পরিচয় একটা বইয়ের দোকানে। তিনি একটা বই পছন্দ করেছিলেন কিন্তু সাথে টাকা না থাকায় কিনতে পারছিলেন না। তখন হিমু ওনাকে টাকা ধার দেয়। আসাদুল্লাহ সাহেবের সূত্রে তার মেয়ে মারিয়ার সাথে পরিচয় হয় হিমুর। কিশোরী মারিয়া সাংকেতিক ভাষায় চিঠি লেখে হিমুকে। চিঠি পেয়ে হিমু মারিয়াদের বাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। মহাপুরুষ হতে গেলে কারো মায়ায় জড়ানো যাবে না। ঘটনাক্রমে অনেক বছর পর আবার মারিয়ার সাথে দেখা হয় হিমুর। হিমু সাংকেতিক চিঠির উত্তর দেয় সাংকেতিক ভাষায় লিখে। কী ছিলো সেই চিঠিতে? মারিয়া কী এখনো হিমুর জন্য অপেক্ষা করছে? হিমু কী মারিয়াকে তার নীলপদ্ম দিবে?
Read
June 13, 2020বইঃ হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১১২
প্রকাশনীঃ দিব্যপ্রকাশ
প্রথম প্রকাশঃ ১৪ এপ্রিল, ১৯৯৬
দামঃ ২০০ টাকা
হিমু সিরিজের ষষ্ঠ বই।
----
হিমু সিরিজের বেশিরভাগ কাহিনীর কঙ্কাল মোটামুটি একই। হিমু রাস্তায় বের হবে; গাড়ি থেকে খালা, ফুফু কিংবা কোন যুবতী "এই হিমু" কিংবা " আরে হিমু ভাই না?" বলে গাড়িতে তুলবে...এই উপন্যাসেও এভাবে এগিয়েছে।
উপন্যাসের শুরুতে মারিয়া নামের এক মেয়ের সাথে হিমুর দেখা হয়। মারিয়া কয়েক বছর আগে হিমুকে সাংকেতিক ভাষায় একটা চিঠি লিখেছিল। হিমু অনেক চেষ্টা করে সেই চিঠির অর্থোদ্ধার করতে না পারলেও তার শিষ্য ফুফাতো ভাই বাদল নিমেষেই অর্থোদ্ধার করে। পরে অবশ্য স্বভাবতই পুরো চিঠির অর্থ কি সেটা কখনো জানার মোটেও আগ্রহ হয়নি হিমুর।
.
মারিয়ার বাবা আসাদুল্লাহ সাহেবের সাথে হিমুর পরিচয় হয় ঢাকার নীলক্ষেতে পুরাতন বইয়ের দোকানে। শেষের দিকে আসাদুল্লাহ সাহেব অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তিনি 'নীলপদ্ম' হাইপোথিসিস দাঁড় করান। এই হাইপোথিসিস অনুযায়ী- প্রতিটি ছেলে-মেয়ে ৫টি করে নীলপদ্ম নিয়ে জন্মায়। কেউ চাইলে তার ভালবাসার মানুষকে একটি একটি করে নীলপদ্ম দান করতে পারে।। তবে কেউ ৫টি নীলপদ্ম কাউকে একেবারে দিয়ে ফেললে- সে ঐ ছেলে/মেয���ে বাদে আর কাউকে কখনো ভালবাসতে পারে না।
প্রথমবার যখন হাইপোথিসিসটা পড়ি ভাল লেগেছিল। যে পড়বে তার কাছেই এই হাইপোথিসিস খুবই বাস্তবসম্মত মনে হবে।
.
উপন্যাসের আরেকটা চরিত্র পত্রলেখক আসগর সাহেব। বয়স ৬০ বছরের মত। এই বৃদ্ধ জীবনের অন্তিম সময়ে তাঁর জীবনের সবচেয়ে দামী চিঠি লেখেন। মারিয়ার কাছে হিমুর চিঠি। সবচেয়ে দামি কাগজ, কলমে। এক লাইনের চিঠি। লাইনটা হলো- "* **** ***"
মারিয়ার সাংকেতিক চিঠির দূর্দান্ত জবাব! কত রকমের অর্থ হতে পারে!
মারিয়ার মত বুদ্ধিমতী মেয়েও এই চিঠির অর্থোদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়ে প্রশ্ন করে "হিমু ভাই, আপনি আসলে কে?"
"I am nobody" এই জবাবেই হিমুর স্বকীয়তা পুরোপুরি ফুটিয়ে তুলেছেন প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ।
.
কয়েকটি উক্তিঃ
১। মানুষ ভান করতে জানে, পশু জানে না - এই একটি বিষয় ছাড়া মানুষের সঙ্গে পশুর কোনো তফাত নেই।
২। মানুষ সহজে প্রতারিত হয় এরকম কথাগুলির একটি হচ্ছে - "আপনি বড়ই অভিমানী, নিজের কষ্ট প্রকাশ করেন না, লুকিয়ে রাখেন।"
৩। পাচটা নীলপদ্ম নিয়ে ঘুরছি। কি অপূর্ব পদ্ম। কাউকে দিতে পারছিনা। দেয়া সম্বব নয়। হিমুরা কাউকে নীলপদ্ম দিতে পারে না
.
সব মিলিয়ে হিমু সিরিজের মধ্যে এই উপন্যাসটা দূর্দান্ত লেগেছে। আমার মতে এটা হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম 'সেরা হিমু'র গল্প। কাহিনীও খুব ভাল ছিল। যারা এখনো পড়েননি দ্রুত পড়ে ফেলুন। যারা পড়েছেন আপনার কেমন লেগেছে জানাতে ভুলবেন না।
©Ahmed Miraz | 13.06.2020
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১১২
প্রকাশনীঃ দিব্যপ্রকাশ
প্রথম প্রকাশঃ ১৪ এপ্রিল, ১৯৯৬
দামঃ ২০০ টাকা
হিমু সিরিজের ষষ্ঠ বই।
----
হিমু সিরিজের বেশিরভাগ কাহিনীর কঙ্কাল মোটামুটি একই। হিমু রাস্তায় বের হবে; গাড়ি থেকে খালা, ফুফু কিংবা কোন যুবতী "এই হিমু" কিংবা " আরে হিমু ভাই না?" বলে গাড়িতে তুলবে...এই উপন্যাসেও এভাবে এগিয়েছে।
উপন্যাসের শুরুতে মারিয়া নামের এক মেয়ের সাথে হিমুর দেখা হয়। মারিয়া কয়েক বছর আগে হিমুকে সাংকেতিক ভাষায় একটা চিঠি লিখেছিল। হিমু অনেক চেষ্টা করে সেই চিঠির অর্থোদ্ধার করতে না পারলেও তার শিষ্য ফুফাতো ভাই বাদল নিমেষেই অর্থোদ্ধার করে। পরে অবশ্য স্বভাবতই পুরো চিঠির অর্থ কি সেটা কখনো জানার মোটেও আগ্রহ হয়নি হিমুর।
.
মারিয়ার বাবা আসাদুল্লাহ সাহেবের সাথে হিমুর পরিচয় হয় ঢাকার নীলক্ষেতে পুরাতন বইয়ের দোকানে। শেষের দিকে আসাদুল্লাহ সাহেব অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তিনি 'নীলপদ্ম' হাইপোথিসিস দাঁড় করান। এই হাইপোথিসিস অনুযায়ী- প্রতিটি ছেলে-মেয়ে ৫টি করে নীলপদ্ম নিয়ে জন্মায়। কেউ চাইলে তার ভালবাসার মানুষকে একটি একটি করে নীলপদ্ম দান করতে পারে।। তবে কেউ ৫টি নীলপদ্ম কাউকে একেবারে দিয়ে ফেললে- সে ঐ ছেলে/মেয���ে বাদে আর কাউকে কখনো ভালবাসতে পারে না।
প্রথমবার যখন হাইপোথিসিসটা পড়ি ভাল লেগেছিল। যে পড়বে তার কাছেই এই হাইপোথিসিস খুবই বাস্তবসম্মত মনে হবে।
.
উপন্যাসের আরেকটা চরিত্র পত্রলেখক আসগর সাহেব। বয়স ৬০ বছরের মত। এই বৃদ্ধ জীবনের অন্তিম সময়ে তাঁর জীবনের সবচেয়ে দামী চিঠি লেখেন। মারিয়ার কাছে হিমুর চিঠি। সবচেয়ে দামি কাগজ, কলমে। এক লাইনের চিঠি। লাইনটা হলো- "* **** ***"
মারিয়ার সাংকেতিক চিঠির দূর্দান্ত জবাব! কত রকমের অর্থ হতে পারে!
মারিয়ার মত বুদ্ধিমতী মেয়েও এই চিঠির অর্থোদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়ে প্রশ্ন করে "হিমু ভাই, আপনি আসলে কে?"
"I am nobody" এই জবাবেই হিমুর স্বকীয়তা পুরোপুরি ফুটিয়ে তুলেছেন প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ।
.
কয়েকটি উক্তিঃ
১। মানুষ ভান করতে জানে, পশু জানে না - এই একটি বিষয় ছাড়া মানুষের সঙ্গে পশুর কোনো তফাত নেই।
২। মানুষ সহজে প্রতারিত হয় এরকম কথাগুলির একটি হচ্ছে - "আপনি বড়ই অভিমানী, নিজের কষ্ট প্রকাশ করেন না, লুকিয়ে রাখেন।"
৩। পাচটা নীলপদ্ম নিয়ে ঘুরছি। কি অপূর্ব পদ্ম। কাউকে দিতে পারছিনা। দেয়া সম্বব নয়। হিমুরা কাউকে নীলপদ্ম দিতে পারে না
.
সব মিলিয়ে হিমু সিরিজের মধ্যে এই উপন্যাসটা দূর্দান্ত লেগেছে। আমার মতে এটা হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম 'সেরা হিমু'র গল্প। কাহিনীও খুব ভাল ছিল। যারা এখনো পড়েননি দ্রুত পড়ে ফেলুন। যারা পড়েছেন আপনার কেমন লেগেছে জানাতে ভুলবেন না।
©Ahmed Miraz | 13.06.2020
March 22, 2019
এই প্রথম #হিমু series এর কোনো বই পড়লাম। আমার একদমই ভালো লাগেনি বইটি। মনে হয়েছে গল্পের কোনো মাথা মুন্ডু নেই, বিনা কারণেই যেনো টেনে বাড়ানো হয়েছে। একটু বেশিই expectation করেছিলাম বলেই হয়তো হতাশ হতে হলো। যখন শুরু করি একটুও ইচ্ছা করছিল না শেষ করার, হুমায়ূন আহমেদের লেখা বলেই পুরোটা শেষ করলাম। যদিও বা
সবার পাঠানুভূতি আলাদা আলাদা রকম হয়, তবুও বলতে চাই যারা নতুন পড়তে শুরু করবে তারা যেনো হুমায়ূন আহমেদের আরও যেসব ভালো লেখা আছে সেগুলো আগে শেষ করে এটা পড়ে।
আর যারা বলে যে হিমুকে তাদের ভালো লাগে তারা যে কোন দিক দিয়ে বলে জানিনা আমার তো তাকে বদ্ধ পাগল মনে হয়েছে। গল্পটা শুরু হয়েছে চমৎকার একটা দিনের বর্ণনা দিয়ে (যদিও বা এটা হিমুর চোখে চমৎকার দিন), তারপর থেকেই শুরু হয়েছে হিমুর পাগলামি। সত্যি বলতে কি গল্পটা বড়ই খাপছাড়া লেগেছে, যেনো অযথা বাক্য নষ্ট।
তবে সব খারাপের মধ্যেও যেমন কিছু ভালো থাকে এখানেও তাই। গল্পে মারিয়ার বাবা আসাদুল্লাহ সাহেবের ' নীলপদ্ম থিওরি ' টা বেশ ভালো ছিল এটাই যা পাওয়ার। যদিও বা এর কোনো বাস্তবিক সত্যতা নেই। থিওরি টা হলো -
" সৃষ্টিকর্তা বা প্রকৃতি প্রতিটি ছেলেমেয়েকে পাঁচটি অদৃশ্য নীলপদ্ম দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান। এই নীলপদ্ম গুলি হল - প্রেম ভালবাসা। যেমন ধর তুমি। তোমাকে পাঁচটা নীলপদ্ম দিয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত তুমি কাউকে পাওনি যাকে পদ্ম দিতে ইচ্ছে করছে। কাজেই তুমি কারোর প্রেমে পড়নি। আবার ধর, একটা সতেরো বছরের তরুণীর সঙ্গে তোমার পরিচয় হল। মেয়েটির তোমাকে এতই ভালো লাগলো যে,সে কোনদিক না তাকিয়ে ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে তার সবকটি নীলপদ্ম তোমাকে দিয়ে দিল।তুমি পদ্ম গুলো নিলে কিন্তু তাকে গ্রহণ করলে না। পরে এই মেয়েটি কিন্তু আর কারোর প্রেমে পড়তে পারবে না।সে হয়ত এক সময় বিয়ে করবে,তার ঘর সংসার করবে কিন্তু স্বামীর প্রতি প্রেম তার থাকবে না।" - বইটা পড়ে ভালো লাগেনি তবে এই থিওরি টার জন্য ২ তারা দিলাম।
সবার পাঠানুভূতি আলাদা আলাদা রকম হয়, তবুও বলতে চাই যারা নতুন পড়তে শুরু করবে তারা যেনো হুমায়ূন আহমেদের আরও যেসব ভালো লেখা আছে সেগুলো আগে শেষ করে এটা পড়ে।
আর যারা বলে যে হিমুকে তাদের ভালো লাগে তারা যে কোন দিক দিয়ে বলে জানিনা আমার তো তাকে বদ্ধ পাগল মনে হয়েছে। গল্পটা শুরু হয়েছে চমৎকার একটা দিনের বর্ণনা দিয়ে (যদিও বা এটা হিমুর চোখে চমৎকার দিন), তারপর থেকেই শুরু হয়েছে হিমুর পাগলামি। সত্যি বলতে কি গল্পটা বড়ই খাপছাড়া লেগেছে, যেনো অযথা বাক্য নষ্ট।
তবে সব খারাপের মধ্যেও যেমন কিছু ভালো থাকে এখানেও তাই। গল্পে মারিয়ার বাবা আসাদুল্লাহ সাহেবের ' নীলপদ্ম থিওরি ' টা বেশ ভালো ছিল এটাই যা পাওয়ার। যদিও বা এর কোনো বাস্তবিক সত্যতা নেই। থিওরি টা হলো -
" সৃষ্টিকর্তা বা প্রকৃতি প্রতিটি ছেলেমেয়েকে পাঁচটি অদৃশ্য নীলপদ্ম দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান। এই নীলপদ্ম গুলি হল - প্রেম ভালবাসা। যেমন ধর তুমি। তোমাকে পাঁচটা নীলপদ্ম দিয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত তুমি কাউকে পাওনি যাকে পদ্ম দিতে ইচ্ছে করছে। কাজেই তুমি কারোর প্রেমে পড়নি। আবার ধর, একটা সতেরো বছরের তরুণীর সঙ্গে তোমার পরিচয় হল। মেয়েটির তোমাকে এতই ভালো লাগলো যে,সে কোনদিক না তাকিয়ে ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে তার সবকটি নীলপদ্ম তোমাকে দিয়ে দিল।তুমি পদ্ম গুলো নিলে কিন্তু তাকে গ্রহণ করলে না। পরে এই মেয়েটি কিন্তু আর কারোর প্রেমে পড়তে পারবে না।সে হয়ত এক সময় বিয়ে করবে,তার ঘর সংসার করবে কিন্তু স্বামীর প্রতি প্রেম তার থাকবে না।" - বইটা পড়ে ভালো লাগেনি তবে এই থিওরি টার জন্য ২ তারা দিলাম।
January 23, 2021
"হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম" হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট হিমু চরিত্রের তুমুল জনপ্রিয় বই গুলোর একটি। আমার পড়া হুমায়ুন আহমেদ এর ৫ম অথবা ৬ষ্ঠ বই খুব সম্ভবত। যখন বইটি প্রথমবার পড়েছিলান বইটির গভীরতা বোঝার মতো বোধবুদ্ধি তখন অবদি আমার ছিলনা। তবুও কেন জানি বই টা আমার ভীষণ পছন্দের ছিল। সেই অস্ফুট ভালোলাগা থেকেই আজ অবদি বইটি ১৩ বার পড়েছি। কখনো বিরক্ত হইনি। প্রতিবার মনে হয়েছে এবারই বুঝি প্রথম কোনো কিশোরীর নিস্বার্থ ভালোবাসতে পারার গল্প কান পেতে শুনছি আর সাথে ভেসে আসছে মারিয়া নামের সেই তরুণীর ভালোবেসে হৃদয় ভাঙা আর্তনাদ।
.
.
হিমু চরিত্র কেন্দ্রিক প্রতিটি লেখায় আমরা রুপা কে চিনেছি; সেই অপরুপ সুন্দর নারী চরিত্রে যার স্থান পেতে আজও প্রতিনিয়ত হাজারো নারী মরিয়া।সেই রুপাতে বুদ হয়েও আমি বারং বার মারিয়া চরিত্র কে ছুতে পেরেছি। রুপা তো সবাই হতে চায়। মারিয়া ক'জন হতে পারে? মারিয়ার মতো ক'জন নিজের জীবনের ৫ টি নীলপদ্ম হিমুদের হাতে সপে বাকি জীবন টুকু ভালোবাসাবিহীন কাটাবার দুঃসাহস করতে পারে?
.
.
সম্পূর্ণ বইটিকে বিশ্লেষণ করবার সামর্থ্য আমার নেই। তবে বইটি যে আমার মতো হাজারো পাঠককে ভালোবাসার অন্য মাত্রা বুঝিয়েছে সেটাই বোধয় আসাদুল্লাহ সাহেবের 'নীলপদ্ম থিওরি' এর সবচেয়ে বড় সার্থকতা অথবা জাদুকর লেখকের 'MAGIC CHARM'!
.
.
হিমু চরিত্র কেন্দ্রিক প্রতিটি লেখায় আমরা রুপা কে চিনেছি; সেই অপরুপ সুন্দর নারী চরিত্রে যার স্থান পেতে আজও প্রতিনিয়ত হাজারো নারী মরিয়া।সেই রুপাতে বুদ হয়েও আমি বারং বার মারিয়া চরিত্র কে ছুতে পেরেছি। রুপা তো সবাই হতে চায়। মারিয়া ক'জন হতে পারে? মারিয়ার মতো ক'জন নিজের জীবনের ৫ টি নীলপদ্ম হিমুদের হাতে সপে বাকি জীবন টুকু ভালোবাসাবিহীন কাটাবার দুঃসাহস করতে পারে?
.
.
সম্পূর্ণ বইটিকে বিশ্লেষণ করবার সামর্থ্য আমার নেই। তবে বইটি যে আমার মতো হাজারো পাঠককে ভালোবাসার অন্য মাত্রা বুঝিয়েছে সেটাই বোধয় আসাদুল্লাহ সাহেবের 'নীলপদ্ম থিওরি' এর সবচেয়ে বড় সার্থকতা অথবা জাদুকর লেখকের 'MAGIC CHARM'!
August 26, 2016
বেশ তাড়াহুড়ো করে লেখা হিমু। খাপছাড়া ঘটনা, একটা ঘটনা থেকে আরেকটাতে লেখক খুব দ্রুতই ঝাঁপ দিয়েছেন। মাঝেমধ্যে কোন কারন ছাড়াই কথা বলেছেন। তবে আগের হিমু থেকে যথেষ্ট উন্নত। এই প্রথম কোন হিমুতে প্রকাশ পেয়েছে হিমুদেরও আবেগ আছে, তাদেরকেও আবেগের সাথে লড়াই করতে হয়। কিন্তু তার হার মানে না, কারন তারা হিমু।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Displaying 1 - 30 of 136 reviews