Hasan Mehti oglu Seyidbeyli (Azerb. Həsən Mehdi oğlu Seyidbəyli) - Soviet, Azerbaijani writer, playwright, film director, screenwriter, People's Artist of the Azerbaijan SSR (1976).
Hasan Seyidbeyli was born on December 22, 1920 in the city of Baku, Azerbaijan SSR. In 1938-1939 he studied at the Leningrad Institute of Film Directors. In 1942 he began his literary career. In 1943 he continued his education at the directing department of VGIK (workshop of S. Eisenstein and G. Kozintsev).
Hasan Seidbeyli is the author of scripts for documentaries "From Baku to Goygol", "In the Gardens of Cuba", "Soviet Azerbaijan", "Perfection".
From 1963 to 1980 he was the chairman of the Union of Cinematographers of Azerbaijan.
অতি সাধারন একটি মেয়ে মেহরিবান। ছেট্টখাটো চেহারায় নাই কোন চটক। কিন্তু তার অতলান্তিক বিষন্নতায় ঘেড়া চোখের দিকে লোকে দ্বিতীয়বার তাকায় বা তাকাতে বাধ্য হয়। তার একটাই চাওয়া সে যেন লোকের কাজে লাগতে পারে, পারে লোককে সাহায্য করতে। হয়তো কাজে নয়তো কথায়। তার মিষ্টি ব্যবহারে সবাই তাকে ভালোবাসে।
এভাবেই জাকির তার প্রেমে পরে যায়। কিন্তু মনের চাইতেও মাঝে মাঝে চোখের আবদার বেশি হয়ে দাঁড়ায়। জাকির চলে যায় অন্য একটি মেয়ের কাছে। কিছুদিন যেতেই সে বুঝতে পারে দুটো মেয়ের মধ্যে আকাশ-পাতাল প্রভেদ। ঝড়ের দিনে মাথায় পরা বজ্রপাত আর শীতের দিনের আগুনের উষ্নতা এক নয় যদিও দুটোই আগুন। তবে কি জাকির ফিরবে মেহরিবানের কাছে? তখনো কি মেহরিবান তাকে ফিরে আসার সুযোগ দিবে?
মেহরিবানকে ভালো লেগেছে। ভালো থেকো আমার চারপাশের চেনা-না চেনা মেহরিবানরা।
বই: টেলিফোনের মেয়ে লেখক: হাসান সেইদবেইলি অনুবাদ: সমর সেন ধরন: রোমান্টিক প্রচ্ছদ: আ. ইয়েরাসভ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠাণ: বিদেশী ভাষার সাহিত্য প্রকাশালয়, মস্কো
কাহিনী সংক্ষেপ: অল্প কিছুদিন আগে তেল শোধন কারখানার টেলিফোন এক্সচেঞ্জে টেলিফোন অপারেটর হিসেবে যোগ দিয়েছে মেহরিবান। আপাতত একমাসের ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করবে সে। একমাসের কাজ দেখেই তাকে চাকরিতে স্থায়ীভাবে বহাল করা হবে।
মাঝারি গড়নের, দেখতে কিছুটা রোগা, চোখ জোড়ায় বিষন্নতার রেখা, টেলিফোন অপারেটিং সম্মন্ধে আগে থেকে না জানায় সবকিছুতে তালগোল পাকিয়ে ফেলে। চাকরি হারানোর ভয়ে সবসময় থাকে তটস্থ। কিন্তু তার সহকর্মীরা তাকে অভয় দেয়।
ঠাকুমাকে কিছুদিন আগে হারিয়েছে মেহরিবান। মা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন তার জন্মের পরপরই। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে থাকেন অন্যত্র। কারখানার কাজের সাথে আস্তে আস্তে খাপ খাইয়ে নিচ্ছিল সে।
হঠাৎ একদিন তার টেলফোন বেজে ওঠে। জিজ্ঞেস করতেই ওপাস থেকে পুরুষকন্ঠ জানায় চার নং ডিপার্টের ম্যানেজার সে। কথামত কাজ করতে না পারায় ডিপার্টের ম্যানেজার তার বিরুদ্ধে নালিশ জানায়। এবং তাকে কিছু কটুকথা শুনিয়ে দেয়।
একদিন মেহরিবান এক্সচেঞ্জে কাজ করছিল। হঠাৎ জানতে পারে তার সঙ্গে ডিপার্টের ম্যানেজার দেখা করতে এসেছে। ম্যানেজারের কাছে কারণ জিজ্ঞেস করলে, সে জানায় সেদিনের ব্যবহারের জন্য সে ক্ষমা চাইতে এসেছে। ম্যানেজার মেহরিবানকে তার পরিচয় বলে। তার নাম জাকির । এভাবেই জাকির ও মেহরিবানের সম্পর্ক পরিচয় থেকে রুপ নেয় প্রণয়ে।
আলোচনা: আজারবাইজনের প্রখ্যাত লেখক হাসান সেইদবেইলির লেখা একটি পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস এটি। গল্পে লেখক সোভিয়েত আজারবাইজানের সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে এনেছেন। উপন্যাসটি মূল রুশ ভাষা থেকে অনুবাদ করেছেন সমর সেন।
রোমান্টিক গল্পগুলোর সংলাপ সাধারণত একঘেয়ে টাইপের হয়। কিন্তু এই উপন্যাসে সংলাপগুলো মোটেও একঘেয়ে লাগেনি। একটা সাদামাটা গল্পকে লেখক তার লেখনী দিয়ে বিশিষ্ট করে তুলেছেন।
গল্পে একজন নারীর সংগ্রাম, সাধারণ অভিমানী মেয়ে থেকে দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠাকে তুলে ধরেছেন। গল্পের প্রধান দুই চরিত্রের মানসিক টানাপোড়েন গল্পকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। যেমন: জাকির যখন মেহরিবানকে দেখা করতে বলে। তখন মেহরিবান একটা দ্বিধার মধ্য দিয়ে যায়। তার যুক্তি তাকে বাধা দেয়, কিন্তু মন তো সায় দেয়। গল্পের এক পর্যায়ে জাকিরও এমন মানসিক দ্বন্দে পড়ে।
সমর সেনের করা অনুবাদ পড়ে মনেই হচ্ছিল না যে কোন অনুবাদ বই পড়ছি। বইয়ে একটি ত্রুটি চোখে পড়েছে। যেটা হল প্রথম দিকে অনুবাদক মূদ্রার নাম হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন 'রুবল'। কিন্তু পরের প্রায় সবখানেই মূদ্রার নাম 'টাকা' ব্যবহার করেছেন।
তাছাড়া সে সময়কার সামাজিক প্রেক্ষাপট ও লেখকের দর্শনের কারণে বইটি আমার কাছে ভালো লেগেছে।