গুপ্তধনের সন্ধানে : শামসুদ্দীন নওয়াব এবার ভেদ করতে হবে লেজকাটা বাঁদরের রহস্য । কিন্তু কাজটা অত সোজা নয় । শুরুতেই পেছনে লেগে গেল শত্রু । চলল গুপ্তধনের সংকেত লেখা কাঠের চাকতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলা । প্রথমে পেরু তারপর আর্জেন্টিনায় যেতে হলো তিন গোয়েন্দাকে । কিন্তু গুপ্তধনের হদিশ কি মিলল ?
শয়তানের জলাভূমি : রকিব হাসান দুর্গম ওয়াইল্ডক্যাট সোয়াম্পে এসে হাজির হলো তিন গোয়েন্দা । প্রাগৈতিহাসিক উটের ফসিল খুঁড়তে গিয়ে বেরোল ডাকাত । তারপর ? জমজমাট রহস্য ! সমাধান না করে পিছিয়ে আসার কোন ইচ্ছে নেই তিন গোয়েন্দার ।
সেরা গোয়েন্দা : শামসুদ্দীন নওয়াব তিন গোয়েন্দার প্রিয় অভিনেত্রী কিশোরী রিটা হাওয়ার্থ এসেছে রকি বিচে । ছবির শুটিং করতে । সঙ্গে এনেছে ওর প্রিয় কাছিম ডিককেও । তিন গোয়েন্দার জিম্মায় ডিককে রেখে মেকআপ করতে গেল রিটা । কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, নিখোঁজ হয়ে গেল কাছিমটা । রিটাকে এখন মুখ দেখাবে কী করে ওরা ? কিশোরের ধারণা, হারায়নি কাছিমটা- চুরি করা হয়েছে । কাজেই, সূত্রের সন্ধানে মাঠে নামল তিন গোয়েন্দা ।
রকিব হাসান বাংলাদেশের একজন গোয়েন্দা কাহিনী লেখক। তিনি সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তিন গোয়েন্দা নামক গোয়েন্দা কাহিনীর স্রষ্টা। তিনি মূলত মূল নামে লেখালেখি করলেও জাফর চৌধুরী ছদ্মনামেও সেবা প্রকাশনীর রোমহর্ষক সিরিজ লিখে থাকেন। থ্রিলার এবং গোয়েন্দা গল্প লেখার পূর্বে তিনি অন্যান্য কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি রহস্যপত্রিকার একজন সহকারী সম্পাদক ছিলেন।রকিব হাসান শুধুমাত্র তিন গোয়েন্দারই ১৬০টি বই লিখেছেন। এছাড়া কমপক্ষে ৩০টি বই অনুবাদ করেছেন। তিনি টারজান সিরিজ এবং পুরো আরব্য রজনী অনুবাদ করেছেন। তাঁর প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ ড্রাকুলা। রকিব হাসান লিখেছেন নাটকও। তিনি "হিমঘরে হানিমুন" নামে একটি নাটক রচনা করেন, যা টিভিতে সম্প্রচারিত হয়।