Jump to ratings and reviews
Rate this book

Humayun Ahmed (Chronological List) #316

লীলাবতীর মৃত্যু

Rate this book

96 pages, Hardcover

First published February 1, 2014

12 people are currently reading
314 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

456 books2,913 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
103 (18%)
4 stars
216 (37%)
3 stars
189 (33%)
2 stars
53 (9%)
1 star
10 (1%)
Displaying 1 - 30 of 45 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
April 24, 2019
৯৬ পৃষ্ঠার একটা বই, যতো সময় পড়তে লাগার কথা, তার থেকেও তাড়াতাড়ি সময়ে আমি শেষ করে ফেলেছি। শেষ করার পর মনে হলো একটু একটু করে পড়লে ভালো হতো।আফসোস হচ্ছিল অনেক । বই পড়ার পর আমি পৃষ্ঠা গুলো আরো কয়েকবার চেক করেছি। সত্যি শেষ হয়ে গেল, গল্পকথক এর গল্পগুলো!

এখানে আমার মূল আকর্ষণ ছিল "নবীজী" এবং "লীলাবতীর মৃত্যু" এই দুটি গল্পের প্রতি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, 'নবিজী' লেখাটি যদি হুমায়ুন আহমেদ সম্পূর্ণ করে যেতে পারতেন, তবে হয়তবা সেটি হত তার লেখকজীবনের অন্যতম বড় কাজ। যেটুক তিনি লিখে যেতে পেরেছেন, সেটুকু পড়ে আমার এমনটাই মনে হয়েছে।

আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে মহানবীর এই পৃথিবীতে আগমনের মহিমা বা মাহাত্ম্য যে কতখানি সুদূরপ্রসারী ছিল, সেটি অসাধারণ ভঙ্গিমায় ফুটিয়ে তুলেছেন হুমায়ুন আহমেদ। এজন্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন মহানবীর পৃথিবীতে আগমনের পূর্ববর্তি যুগের অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়ের এক চরম ভয়াবহতার কথা বর্ণনাকে। আগেই বলেছি যে রচনাটি লেখক শেষ করতে পারেন নাই। তাই তিনি ভিন্ন ধরণের ন্যারেটিভ স্টাইলে যে বিষয়টার ওপর ফোকাস করতে চাচ্ছিলেন, সেটিও অসমাপ্তই রয়ে গেছে। অবশ্য সচেতন পাঠক সহজেই বিষয়টি আঁচ করতে পারবেন বলে আমি মনে করি। '
Profile Image for Muhammad .
152 reviews11 followers
July 18, 2016

‘লীলাবতীর মৃত্যু’ হুমায়ূন আহমেদ এর শেষ কিছু লেখার একটি সংগ্রহ। বৃদ্ধবয়সে মৃত্যুকালে মানুষ ধর্মচিন্তা নিয়ে বেশী ভাবিত থাকে, এটি হুমায়ূন আহমেদের নিজের পর্যবেক্ষণ। পূর্ববর্তী বিভিন্ন বইতে একাধিক বার এ বিষয়টি তিনি দেখিয়েছেন। এ বইটির উপকরণগুলো তাঁর এ পর্যবেক্ষণেরই প্রতিফলন। বইতে সংকলিত সবগুলো লেখাতেই ঘুরেফিরে এসেছে তাঁর ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাস ও মৃত্যুচিন্তার কথা। অনেকটাই আত্নচরিতমূলক বইটির নাম নির্বাচন করা হয়েছে ‘লীলাবতীর মৃত্যু’ শিরোনামের লেখাটিকে অনুসরণ করে। লীলাবতী হুমায়ূন আহমেদ ও মেহের আফরোজ শাওনের প্রথম সন্তান, গর্ভাবস্থায়ই যার মৃত্যু হয়। কন্যার বয়েসী শাওনকে বিয়ে করে হুমায়ূন প্রেমিক না লম্পট, নিজের কোন সত্ত্বাটির পরিচয় দিলেন, এটি একটি অনর্থক বিতর্কের বিষয়। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁরা একে অপরকে চেয়েছেন, এটাই মুখ্য। তাঁদের প্রথম সন্তানের আগমন সংবাদ তাই অন্য আর যে কোন দশটি দম্পতির প্রথম সন্তান আগমনের মতই সুখকর। সন্তান হবার সম্ভাবনায় শাওনের যে উচ্ছ্বাস সেটি অত্যন্ত চিরন্তন, ঠিক যেরকম চিরন্তন লীলাবতীর অকালমৃত্যুতে তাঁদের অনির্বচনীয় কষ্টে ভেঙ্গে পড়া। পৃথিবীব্যপী সব বাবা-মা’দের এই অনুভূতিগুলোই বোধহয় আসলে হুবহু এক। নিজেদের একান্ত ব্যক্তিগত এই গল্পগুলোই হুমায়ূন আহমেদ পাঠকদের শুনিয়েছেন। গল্পের শেষে বলেছেন “নিতান্ত ব্যক্তিগত কাহিনী লিখে ফেললাম। লেখকদের কাজই তো ব্যক্তিগত দুঃখবোধ ছড়িয়ে দেয়া"। প্রিয় লেখক এবং প্রিয় মানুষ হুমায়ূন আহমেদ এর দুঃখবোধে শরীক না হয়ে পারিনি। আমার চেয়েও বহুগুণে বড় হুমায়ূন ভক্ত নিশ্চয় আছেন, যারা তাঁকে আরো কাছ থেকে অনুভব করেছেন। জীবনের শেষবেলায় এই লেখার মাধ্যমে অগণিত সেইসব ভক্তের মাঝে তাঁর দুঃখবোধ ছড়িয়ে হালকা হতেই তিনি সম্ভবত চেয়েছিলেন। সে সুযোগ তাঁর হয়নি। লেখাটি তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়।

বইতে ‘নবীজি’ শিরোনামে একটি অসমাপ্ত লেখাও সংকলিত হয়েছে। বইমেলায় দেখা হয়ে যাওয়া কোন এক মাওলানার অনুরোধে নবীজি’র জীবনী লিখতে বসেন হুমায়ূন। বইয়ের মলাট দেখে বই বিচার করতে নেই, তবুও, ৫ পৃষ্ঠার এই অসমাপ্ত লেখাটি মনে বিশাল সম্ভাবনার কথাই জাগায়। ১৪০০ বছর আগে জন্ম নেয়া নবীজি’র জন্মতারিখের অস্পষ্টতা সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে হুমায়ূন স্বভাবসিদ্ধ ভাবে লিখেছেন “বিতর্ক বিতর্কের মত থাকুক। একজন মহাপুরুষ জন্মেছেন, যাঁর পেছনে একদিন পৃথিবীর বিরাট এক জনগোষ্ঠী দাঁড়াবে-এটাই মূল কথা।” আধুনিক যুগ কারো মহাপুরুষত্ব মেনে নিতে চায় না। সবাই নাকি দুরাচার, ভন্ড ছিলেন! (দীর্ঘদিন আমার ওয়ার্ডরোবে একটি টি-শার্ট পড়ে ছিলো, গোটা গোটা অক্ষরে বড় করে লেখা ছিলো তাতে “Jesus Is A Cunt”! ) বিশ্বাস-অবিশ্বাস এর নিতান্ত বালখিল্য যুদ্ধ যুদ্ধের জায়গায় থাকুক। হুমায়ূন এর লেখনীতে নবীজি’র জীবন কাহিনী পাওয়া হল না, এটাই মূল কথা!

অসুস্থতা আর বয়সজনিত কারণেই (যদিও খুব বেশী বয়েস তাঁর হয়নি!) সম্ভবত লেখাগুলো কিছুটা খাপছাড়া, তবুও পড়তে ভালো লেগেছে। যে মানুষটি আমার শৈশবকে সারাজীবনের জন্য চিরস্থায়ী ভাবে রঙিন করে দিয়েছেন, ‘শঙ্খনীল কারাগার’ এর খোকার কষ্টে হু হু করে কাঁদিয়েছেন, পকেট বিহীন হলুদ পাঞ্জাবী পরে খালি পায়ে রাস্তায় হাঁটার পাগলামি শিখিয়েছেন, ক্যান্সার আর মৃত্যুর কাছে চিরতরুণ সেই সবজান্তা গল্পের জাদুকরের অসহায় আত্নসমর্পন মন মেনে নিতে চায় না, এই যা।

পাদটীকা: এই গল্পটি হুমায়ূন আহমেদ 'মহেশের মহাযাত্রা' লেখাটির পাদটীকা হিসেবে লিখেছেন। বইটি যাঁরা পড়েননি, তাঁদের গল্পটি বলে দেয়ার লোভ সামলাতে পারছিনা! পাদটীকা হিসেবে এখানেও তাই উল্লেখ করছিঃ
"রাতের অন্ধকারে এক অতি ধার্মিক বাড়িঘর ছেড়ে পথে নেমেছেন। তাঁকে একজন জিজ্ঞেশ করল, আপনি কোথায় যাচ্ছেন? তিনি বললেন, ঈশ্বরের সন্ধানে। সেই লোক অবাক হয়ে বলল, সে-কী! ঈশ্বর কি হারিয়ে গেছেন যে তার সন্ধানে বের হতে হচ্ছে?"
Profile Image for Rafia Rahman.
416 reviews214 followers
February 7, 2023
বই: লীলাবতীর মৃত্যু
লেখক: হুমায়ূন আহমেদ
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
প্রকাশনী: অন্যপ্রকাশ
প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০১৪
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৯৫
মুদ্রিত মূল্য: ২০০/-

উনিশটি লেখার সংকলন রয়েছে বইয়ে। অধিকাংশই লেখকের জীবনের খন্ড খন্ড স্মৃতি। চ্যালেঞ্জার, সে, নারিকেল মামা, আমার বন্ধু সফিক, তিনি, মৃত্যু, আমার বাবার জুতা, হোটেল আহমেদিয়া বেশি ভালো লেগেছে। হুমায়ূন আহমেদের লেখা ভালো লাগার একটা কারণ হলো চরম কষ্টের ঘটনাও গল্পচ্ছলে বলেন তো আবার কখনো কৌতুকও করেন। এখানেও ব্যতিক্রম হয়নি। পড়তে পড়তে কখনো মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে তো আবার কখনো নিজের অজান্তেই ফিক করে হেঁসে ফেলছি।
Profile Image for Anika Tabassum .
88 reviews17 followers
August 2, 2025
"এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে!
এই দিনেরে নিবে তোমরা সেই দিনেরো কাছে...."

নিজ জীবনের টুকরো টুকরো ঘটনা দিয়ে সাজানো বই, প্রায় সবকটা গল্পই মৃত্যুকে ঘিরে। প্রতিটা গল্পের শেষে কি চমৎকার বিষন্নতা! 🥀
Profile Image for Avishek Bhattacharjee.
370 reviews79 followers
December 7, 2020
নির্দিষ্ট সময় ধরে হুমায়ুন আহমেদের বই পড়ার পরে বোঝা যায় লোকটা অসম্ভব বুদ্ধিমান। এ বইটি লেখকের জীবনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে লেখা। এসব ঘটনাতে আমার বুঝ আসল যে উনি একটা পিকিউলিয়ার জীবন যাপন করে গিয়েছেন। তার জীবনের ঘটনাগুলোও এমনই যে এসব দিয়েই অনেক বই লিখে ফেলা যায়। আমার লেখককে অনেস্ট বলে মনে হয়। মুক্তিযুদ্ধে যে উনি ভয়ে যোগ দেন নাই তা অকপট স্বীকার করেছেন।
ভাললা���ার সময় কাটানোর জন্য একটা চমৎকার বই।
Profile Image for Nusrat Mahmood.
594 reviews737 followers
January 9, 2017
মেমরি খুব বাজে আমার, প্রায় প্রায়ই বিভ্রান্ত করে। পড়তে গিয়ে মনে হলো আগে পড়িনি এই বই কিন্তু মাঝামাঝি আবার মনে হলো নাতো, এইতো এই জায়গাটা আগেও পড়েছি। পুরো বইটাকে একমাত্র 'লীলাবতীর মৃত্যু' লেখাটার জন্যই পাঁচ তারা দিয়ে দিতে ইচ্ছা করে- কি কষ্ট, কি কষ্ট!
Profile Image for Ësrât .
515 reviews85 followers
May 9, 2023
হুমায়ূনের নিতান্তই ব্যক্তিগত কাহিনী তার আত্মসীমানা ছাড়িয়ে ছবির মতো মানসপটে গেঁথে যাওয়ার গল্পগুলোর সংখ্যা গুনে শেষ করা সম্ভব নয়।

মৃত্যু!

ছোট একটা শব্দ,কি ধীরে আসে! নিঃশব্দে চুপিচুপি জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিয়ে নির্মম পরিহাসের হাহাকারের কান্নার গুঞ্জন ছড়িয়ে দিয়ে মিলিয়ে দেয় বহুদিনকার চেনাজানার সেই রাস্তাগুলো।

শুধু স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়ায়,নাড়িয়ে দেয় সময়ের বাস্তবতা কে।

তিনদিন ধরে আমার শৈশব কৈশোর আজন্মের আত্মার অতি আপন নানুকে হারিয়ে বুঝতেছি;যে গেছে চুরি করে নিয়ে গেছে আদর স্পর্শ আবেগের সবটুকু জায়গা জুড়ে থাকা হরেক রঙের বাহারি বিচিত্র ঘটনার স্মৃতিগুলোকে।

রেটিং:✨🌟⭐🌠.৬০
৯/০৫/২৩
Profile Image for Miraj.
27 reviews39 followers
November 29, 2020
হুমায়ূন আহমেদের ব্যাক্তিগত স্মৃতি সংকলের এই বইটি একদম মনটা দুমড়েমুচড়ে দিয়ে গেলো। জানি না এতটা আবেগাক্রান্ত হবার কারণ কী! বইটা পড়ে হুমায়ূন আদমেদকে যেনো বড্ড বিষণ্ণ একজন মনে হলো।

বিশেষ করে 'লীলাবতীর মৃত্যু' বেশ মর্মস্পর্শী। লেখকের বিষণ্ণতা যেনো আমাকেও ছুঁয়ে গেলো। কী কষ্ট! কী কষ্ট!

বাকি লেখাগুলোও কমবেশি প্রভাবিত করেছে। তবে আফসোস হচ্ছে 'নবিজী' লেখাটি আজীবনই অসমাপ্ত রয়ে যাবে।
Profile Image for Farzana Raisa.
41 reviews4 followers
February 24, 2025
বইটায় ছোট ছোট বেশ কতগুলো গল্প আছে৷ আমি ট্রেনে এক বসায় পুরো বইটা শেষ দিয়েছিলাম। শেষ করার পর মনে হলো, এত তাড়াতাড়ি শেষ করা উচিত হয়নি।

গল্পগুলো লেখকের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কিত। বেশিরভাগই বিষণ্ণ প্রকৃতির।
Profile Image for ANGSHUMAN.
229 reviews7 followers
August 24, 2021
ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে হুমায়ুন আহমেদের এই গদ্যসংগ্রহ, পড়তে একবার শুরু করলে শেষ না করে থামা যায় না। উঠে এসেছে তাঁর জীবনের নানা অধ্যায়,নানান বাধাবিপত্তি সামলে ওঠার গল্প। মনে হয় যেন চোখের সামনে ঘটনাগুলি একটার পর একটা ভেসে উঠছে। যেন একজন সাধারণ মানুষ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় দিচ্ছেন। খুবই ভালো লেগেছে।
Profile Image for সম্পা  হালদার.
71 reviews10 followers
March 6, 2022
বছর পাঁচেক আগে বাসাবাড়ি ছেড়ে তল্পিতল্পা গুটিয়ে কলেজের এক ম্যামের মেসে উঠেছিলাম।ওই মেসে আমার কোনো ভালো স্মৃতি নেই,তবুও যেদিন সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে মেস ছেড়ে চলে আসতে হয়েছিলো তখন অজানা কারণে চোখ আর্দ্র হয়েছিলো,চোখের সামনে ভেসে উঠছিলো ছোট-বড় সব মুহুর্ত গুলো।
এই এইখানেই তো বাবা মাকে ছেড়ে থাকার প্রথম হাতেখড়ি হয়েছিলো,প্রথম রাতেই দুঃস্বপ্ন দেখে চিৎকার করে জয়তী দি'কে মা ভেবে জড়িয়ে ধরার মিনিট খানেক পরে যখন বুঝেছিলাম আরে আমি তো বাড়িতে নেই,এখানে দুঃস্বপ্ন দেখলেও আলো জ্বালিয়ে ভয় ভাঙানোর কেউ নেই এমন শক্ত অনুভুতিগুলোর আতুড়ঘর ছিলো তো এই তিনকামড়ার রুমটা,সেদিন রাতেই পাশের রুমে মিতা আর শিফা যখন রাত বারোটার দিকে জেগে আছে (রাত ৯ টায় ঘুমানো আমি কাইন্ড অফ শকড হয়েছিলাম)আর হিন্দী গান চালিয়ে (হিমেশের Wafa ne bewafai) মনের আনন্দে আডডা দিচ্ছিলো পাশের রুমে পাড়াগাঁয়ের হিন্দী না বোঝা আনাড়ি আমি তখন ফিজিক্সের শামীমা ম্যামের খাতার পাতা ছিড়ে টাটকা চোখের জল মিশিয়ে বাবা মাকে বেনামী চিঠি লিখছি(সেই চিঠি এখনো সযত্নে আমার কাছে রাখা আছে,এখন যখন মেডিকেলের হোস্টেলে এসে এক্সট্রিম হোমসিক মুনা বারবার টেপরেকর্ডার এর মতো করে বাসা ছাড়া আমি থাকতে পারিনা বলতে থাকে,আর আমাকে তুই তো সবকিছু মানিয়ে নিতে পারিস বলে গালভরা তকমা দেয় তখন আমি নিজের অজান্তেই চুপ হয়ে যাই,আমার পুরনো,জলের দাগ ভরা একটা চিঠির কথা মনে পরে যায়,আমি মনেমনেই হাসি,ভাবি তোর ও এই সময়টা একদিন কেটে যাবে, তোকেও কেউ বলবে আরে তুই তো সব মানিয়ে নিতে পারিস।)আমার মনে পরে এখানেই তো প্লেট ধুঁতে ইচ্ছা করেনা বলে যখন না খেয়ে থাকতাম, টুম্পা এসে বলতো তুই নিশ্চিন্তে খা আমি প্লেট ধুঁয়ে দেবো।এখানেই তো বৃষ্টি আমার চোখের জলকে ট্যাপের পানি আখ্যা দিয়েছিলো।এরপর কতোকিছু এলো,গেলো,হোস্টেল পাল্টালাম বারকতক,বাসা ছাড়লাম,সর্বশেষ শহর ও ছাড়লাম কিন্তু সেদিনের মতো এতো হৃদয় দুমড়ে মুচড়ে দেয়ার মতো অনুভূতি আর হয়নি।
-
'লীলাবতীর মৃত্যু'র শিকড় গল্পটা পড়ে আবার যেনো ফ্লাশব্যাকে চলে গিয়েছিলাম।ছেড়ে যাওয়ার মতো তীব্র অনুভূতির জন্ম নিশ্চয়ই এই নশ্বর পৃথিবীতে নয়,এই সূক্ষ্ম কিন্তু তীক্ষ্ণ বোধের জন্ম নিশ্চয়ই অন্য কোনো জগতে।
Profile Image for পটের দুধের কমরেড.
209 reviews25 followers
July 28, 2021

"জন্ম-সময়ের স্মৃতি মানুষ অন্যকে বলতে পারে না,আবার মৃত্যুর কথাও বলতে পারে না। জন্ম-মৃত্যু দুটা স্মৃতিই এমন যা অন্যকে দেওয়া যায় না। দুটোই সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত স্মৃতি"

হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর 'নবিজী' এবং আরও আঠারোটি লেখার সংকলনে প্রকাশিত হয় লীলাবতীর মৃত্যু। বইয়ের সব লেখাজুড়েই রয়েছে লেখকের নিজস্ব মৃত্যুচিন্তা আর আশেপাশের প্রিয়মুখের মৃত্যুতে তার মনে মৃত্যুভীতির গভীর ছাপের স্পষ্টতা।

ফ্ল্যাপের লেখা দেখে ভেবেছিলাম হয়ত বিখ্যাত ভারতীয় গণিতজ্ঞ শংকরাচার্যের কন্যা লীলাবতীর নামেই বইয়ের নামকরণ। কিন্তু লেখাটি পড়তে গিয়ে ধাক্কা খেলাম। এই গল্প হুমায়ূন আহমেদ এবং মেহের আফরোজ শাওনের যৌথজীবনের এক বিয়োগান্ত অধ্যায় নিয়ে লেখা। যে অধ্যায় অনেকের কাছেই অজানা। লীলাবতী ছিলো তাদের প্রথম কন্যাসন্তানের নাম- দুঃখজনকভাবে গর্ভাবস্থায়ই যার মৃত্যু হয়। হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন, 'নিতান্তই ব্যাক্তিগত কাহিনি লিখে ফেললাম। লেখকের কাজই তো ব্যাক্তিগত দুঃখবোধ ছড়িয়ে দেওয়া।' এখানেই লেখক হুমায়ূনের সার্থকতা। কয়েক পৃষ্টার এই লেখায় লেখকের হাহাকার আর দুঃখবোধ একজনের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারে করুণ বিষন্নতা। আর ব্যাক্তি হুমায়ূনের মুখে কাদা লেপ্টানোর পূর্বে এই লেখা অবশ্য পাঠ্য। আহা হুমায়ূন!

বইয়ে সংকলিত হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের অসম্পূর্ণ 'নবিজী' লেখাটি। বাংলাবাজারেঅন্যপ্রকাশ-এর নতুন বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক মাওলানার কথায় প্রভাবিত হয়ে তিনি নবিজীর জীবনী লেখা শুরু করেন। কিন্তু আফসোস! হুমায়ূনের নিজস্ব ভাষায় নবিজির জীবনী শুনার সৌভাগ্য হলো না। This Sadness Will Last Forever

অন্যসব লেখাগুলোতে উঠে এসেছে লেখকের মৃত্যুভাবনা অথবা ভীতি। নশ্বর এই মানবসংসারে মায়া ছেড়ে যখন যেতে হবে অন্য এক অসীম জগতে। এই অনন্ত নক্ষত্রবীথির সাথে থাকবে না কোনও যোগ। আমরা হবো অমর!

Profile Image for Hosneara Ami.
97 reviews13 followers
November 30, 2018
I still can't stop my tear while reading "লীলাবতীর মৃত্যু"😢😢😢
Profile Image for Rashik Reza Nahiyen.
106 reviews14 followers
May 21, 2015
হুমায়ূন আহমেদকে আমার একজন বিষণ্ণ মানুষ বলে মনে হয় সবসময়। তাঁর মাঝে যে বিষণ্ণতা ছিল, পাঠকের মনের কোন এক বিষণ্ণতার সাথে তা জড়িয়ে যেত সবসময়। এ জন্যই হয়ত তাঁর মত পাঠকের কাছাকাছি আর কেউই আসতে পারেন নি। আমার ধারণা এমন কেউই নেই যে তাঁর লেখা শেষ না করে উঠে আসে! তাঁর লেখনীর এমনই আকর্ষণ!

শেষ বয়সে সবাই ধর্মকর্মের দিকে একটু ঝুঁকে যায়, এ লেখা পড়ে আমারও তাই মনে হল উনাকে নিয়ে। তবে খটকা লাগল বইটার নামটা পড়েই। এটা উনার বেশ কিছু লেখার সংকলন এবং প্রকাশকাল মৃত্যুর পরে। তাই এটার নাম নিশ্চয়ই তিনি দেন নি। যিনি দিয়েছেন সেটায় কিছুটা ব্যক্তি-স্বার্থ সম্পর্কিত বলে আমি মনে করি। কারণ আমি নিজেই বইটি পড়েছিলাম এই ভেবে যে লীলাবতিকে নিয়েই হয়ত পুরোটা লেখা! তাই নামটা এটা না হয়ে অন্যকিছু হওয়াটাই বেস্ট ছিল।

ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদের বেশ কিছু জিনিস আমার পছন্দ না। আমরা যারা কারো ভক্ত তাঁদের একটা সমস্যা হল আমরা আমাদের সেই প্রিয় মানুষের দোষটার পক্ষেই সাফাই গাইতে পছন্দ করি। আমাদের প্রিয় ব্যক্তিও যে ভালমন্দ মিলিয়েই একজন মানুষ এটা বুঝতে চাই না। হয়ত এ জন্যেই রবীন্দ্রনাথকে আমরা দেবতার আসনে বসিয়েছি। আর তাঁকে নিয়ে কিছু নেতিবাচক মন্তব্য করলেই রবীন্দ্রভক্তরা ক্ষেপে উঠবে নিশ্চিত। তবে আমিও যে তাদের মতই, কিংবা তাদের থেকে বেশি কবিগুরুকে শ্রদ্ধা করি এটা এখানে না বললেও চলে।

প্রসঙ্গ থেকে অনেকটা সরে এসেছি, এসব বলার কারণ হল এই বইটায় স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় যে হুমায়ূন আহমেদ কিছুটা আত্মকেন্দ্রিক ও সুবিধাবাদী প্রকৃতির মানুষ। অশ্রদ্ধা করছি না, কিন্তু আমার মনে হয়েছে। মনে হয়েছে যেকোন কিছু হলে আগে সেখানে নিজের অবস্থানটাই আগে দেখে নিতেন তিনি।

সেটা হতেই পারে, তিনিও আমাদের মতই একজন। আমরা তাঁর কোন কাজের প্রশংসা যদি করতে পারি তাহলে তাঁর কোন কাজের জন্য সমালোচনাও ককরতে পারি। এটা মানতেই হবে।

হুমায়ূন আহমেদ একজন আবেগপ্রবণ মানুষ। তাঁর আবেগ তিনি ছড়িয়ে দিতে পারেন খুব সহজেই। যেকোন হুমায়ূন-ভক্তের মন খারাপের একটা মুহূর্ত এই বইটার জন্য দেওয়া যেতে পারে।
Profile Image for S M Rafiuddin Rifat.
62 reviews
December 21, 2017
বেশ কয়েকটি ছোট গল্পের সংকলন এই বইটি। শুরুতে একটি অসমাপ্ত গল্প 'নবীজী' দিয়ে শুরু। সম্ভবত লেখক বড় উপন্যাস লেখার জন্য শুরু করেছিলেন, কিন্তু শেষ করে যেতে পারেন নি। গল্পগুলোর বেশীর ভাগেই মৃত্যুচিন্তা প্রাধান্য পেয়েছে। তবুও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা গল্পগুলো বেশ সুখপাঠ্য। এক বৈঠকেই শেষ করার মত বই।
Profile Image for Alfie Shuvro .
239 reviews58 followers
July 29, 2016
আত্মজীবনীটা বেশ ভালই লেগেছে। কিছু সরল স্বীকার উক্তি । বেশ ভাল লেগেছে। বেশ কিছু ছোট গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন কিছু ক্ষুদ্র জীবনের ঘটনা ।
Profile Image for Zakaria Minhaz.
260 reviews23 followers
November 30, 2023
#আড্ডাখানায়_রকমারি
#রিভিউ_২০২৩

বইয়ের নাম: লীলাবতীর মৃত্যু
লেখক: হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশনী: অন্যপ্রকাশ

জন্ম, মৃত্যু, আত্মা, ঈশ্বর, রোগ, চিকিৎসা এমন কিছু বিষয় নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের অনেকটা আত্মজীবনী ধরণের ছোট কিছু গল্পের সংকলন লীলাবতীর মৃত্যু। এই বইয়ের সব গল্পই উনার আত্মজৈবনিক রচনাসমগ্রতে থাকলেও স্রেফ অসমাপ্ত "নবিজী" লেখাটির জন্যই আমি বইটা আলাদা করে কিনেছি। মাত্র ৭ পৃষ্ঠার এতোটুকু লেখাই প্রমাণ করে কিনে ভুল করিনি।

বইয়ের শুরুটাই নবিজী (সা:) কি নিয়ে উনার অসমাপ্ত লেখাটা দিয়ে। আমি এর আগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর রেইনড্রপসের সীরাহটা পড়েছিলাম। সেখানে নবিজী (সা:) এর সম্পর্কে অনেক অনেক কিছু জানতে পারলেও সেই সময়ের আরবের ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে খুব একটা অনুধাবন করতে পারিনি। এখানে হুমায়ূন আহমেদ লেখা শুরুই করেছেন আরবের এক গোত্রের এক অসহায় পিতার নিজের কন্যা সন্তানকে জীবিত কবর দেয়ার গল্প নিয়ে। কি যে ভয়াবহ আর হৃদয়বিদারক ভাবে সেই গল্প লিখেছেন পড়লেই বুক ভেঙ্গে আসে। এরপরই নবিজী (সা:) এর প্রসঙ্গ আনেন। উনার জন্মের সময়কাল নিয়ে ঐতিহাসিক যে বিতর্ক সেটাকে নিয়ে লিখেছেন,

বিতর্ক বিতর্কের মতো থাকুক। একজন মহাপুরুষ জন্মেছেন, যাঁর পেছনে একদিন পৃথিবীর বিরাট এক জনগোষ্ঠী দাঁড়াবে -- এটাই মূল কথা।

কি সুন্দরভাবেই না বিতর্ককে উড়িয়ে দিলেন তিনি। এরপর আর বেশীদূর লিখা হয়নি। তবে অতোটুকু লেখাই বিশাল আফসোসের জন্ম দিয়েছে আমার মনে। একজন পাঠক এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসাবে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের জাদুকরি লিখনীর মধ্য দিয়ে নবিজী (সা:) এর জীবনী পড়তে পারলাম না এই আফসোস আমার আজীবন থাকবে। অনেক অনেক ভালো ভালো লেখা না পড়েই হয়তো আমি এই পৃথিবী থেকে চলে যাবো। তবে মৃত্যুর ওপারের দুনিয়াতে যদি আমাকে সুযোগ দেয়া হয় অন্তুত একটা কিছু পড়ার, তাহলে আমি এটাই পড়তে চাইবো করুনাময় সৃষ্টিকর্তার কাছে।

পরের লেখাটি লীলাবতীর মৃত্যু। লেখকের ভয়াবহ এক দুঃসময়ের একান্ত ব্যক্তিগত দুঃখগাঁথা। তবে সেটা উনার ব্যক্তিগত থাকেনি। কেনো না লেখাটা পড়ার সময়ে আমার চোখেও জল চলে এসেছিলো। এতো এতো বছর পর যেখানে লেখক নিজেই নেই, সেখানে তার কষ্টের কথা ভেবে, শাওনের কষ্টের কথা ভেবে আমার চোখে পানি চলে আসাটা বোধহয় একটু বাড়াবাড়িই। কি করবো! উনি লিখেছেনই এমনভাবে। লীলাবতীর কবর হবে আজিমপুরে গোরস্থানে। সেখানে তার বড় ভাই আছে। বোন খেলবে ভাইয়ের হাত ধরে। পিতৃ-মাতৃস্নেহ বঞ্চিত এই দেবশিশু আর নিঃসঙ্গ বোধ করবে না। এই ধরণের লেখা পড়ে কিভাবে ঠিক থাকা যায়!!

অমরত্ব নিয়ে লেখাটায় আমরা খুঁজে পাই কিভাবে যুগে যুগে বড় বড় রথি মহারথী হতে আধুনিক বিজ্ঞানীরাও অমরত্বের সন্ধান করে যাচ্ছেন সেই গল্প। পৃথিবীতে ফিনিক ফোটা জোছনা আসবে। শ্রাবণ মাসে টিনের চালে বৃষ্টির সেতার বাজবে। সেই অপূর্ব অলৌকিক সংগীত শোনার জন্য আমি থাকবো না। কোনো মানে হয়!

বিভিন্ন সময়ে আত্মার অস্তিত্ব নিয়ে বিজ্ঞানীদের করা বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষার কথা লেখা প্রসঙ্গ:আত্মা লেখাটি। লেখকের আস্তিকতার অসংখ্য উদাহরণের একটা হয়ে থাকবে এই লেখাটা।

মহেশের মহাযাত্রাটাও উপরের দুইটা লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে। এবং যথারীতি লেখকের নান্দনিক লিখনশৈলীর ছোঁয়া রয়েছে এখানেও।

হাসপাতাল লেখাটা বইয়ের অন্যতম প্রিয় লেখাগুলোর একটি। এই লেখাটিতে লেখক তিনটি গল্প এবং দুইটি পাদটীকা দিয়েছেন। প্রতিটা লেখা অত্যন্ত মুগ্ধতা নিয়ে পড়েছি। পাদটীকা গুলোতে তসলিমা নাসরিনের মায়ের চিকিৎসা বিষয়ক গল্প পড়ে হতবাক হয়েছি। এবং তসলিমা নাসরিনের প্রতি লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি পড়ে উনার প্রতি শ্রদ্ধাও জেগেছে।

পরের লেখাটি শক্তিমান অভিনেতা চ্যালেঞ্জারকে নিয়ে। চ্যালেঞ্জারের তরুণ বয়সের গল্প পড়ে লোকটার প্রতি প্রবল শ্রদ্ধাবোধ তৈরী হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেয়া অন্যতম জঘন্য এক ঘটনার সময়ে লেখকের অনুভূতিগুলো ফুটে উঠেছে এরপরের মানব ও দানব লেখাটিতে।

ছোট ভাই আহসান হাবীবকে নিয়ে লেখা উন্মাদ-কথা পড়তে গেলে লেখক এক সময় কিভাবে নিদারুণ কষ্টের মাঝে দিয়ে বিরাট এক সংসার টেনেছেন তার একটু ধারণা পাওয়া যায়। এই লেখাটিতে অবাক হয়েছি আহসান হাবীব সাহেবের শব্দের রঙ দেখতে পাওয়ার বিরল ক্ষমতার ব্যাপারে জানতে পেরে।

সে লেখাটি শেষ করে মন খারাপ হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের মতো দেখতে এক তরুণের স্বপ্ন পূরণ ���া হওয়াটা বেশ আক্ষেপের জন্ম দিয়েছে মনে।

আমার বন্ধু সফিক এই লেখাটি কি বাস্তব লেখা? এমন মানুষও আছে দুনিয়াতে যে নিজের সংসারের পিছনে একটা টাকাও খরচ না করে সেই টাকা খরচ করে পথশিশুদের চিকিৎসার পিছনে? নিজেকে তুচ্ছ মনে হয়েছে এই লেখা পড়ে। জীবনে কি করতেছি আমরা!!

মানুষ কোনো একটা জায়গায় দীর্ঘদিন বসবাস করলে সেখানেই তার মায়া জন্মে যায়। সেই মায়ার শেকড় ছাড়তে কি নিদারুণ কষ্ট হয় সেটাই উঠে এসেছে শিকড় লেখাটিতে। আমার মনে আছে আমাদের নিজেদের বাড়ি করার পর সেখানে সব নিয়ে আসার সময়েও, নিজেদের একটা বাড়ির আনন্দের চেয়ে পুরোনো ভাড়া বাসা ছেড়ে আসার দুঃখে বেশী ব্যথিত ছিলাম। পুরোনো স্মৃতিটাকেই জাগিয়ে তুলেছেন লেখক।

মৃত্য লেখাটি বইয়ের আরেকটা গল্প যা মনে দাগ কেটে গিয়েছে। এই লেখার শেষ লাইনগুলো উল্লেখ করার লোভ সামলাতে পারলাম না। পবিত্র কোরআনে সূরা আল-ওয়াকিয়া, আয়াত ৮৪ ও ৮৫ তে বলা হয়েছে, একজন মানুষ যখন মারা যায়_ তোমরা তখন তাকে ঘিরে বসে থাকো। কিন্তু তোমরা জানো না, তোমরা ওই মৃত্যুপথযাত্রীর যতটা কাছে বসে থাকো আমি তারচেয়েও অনেক কাছে থাকি। ভদ্রলোক শান্তস্বরে বললেন, মৃত্যুর সময় পরম করুণাময় যদি আমার পাশে থাকেন, তাহলে আর ভয় কি?

বিজয় দিবসের সময়ে নিজের বাবার স্মৃতিচারণ করে লেখা আমার বাবার জুতা৷ যুদ্ধে নিজের বাবার মৃত্যু নিয়ে খুব করুণ মন খারাপ করিয়ে দেয়ার মতো একটা লেখা।

মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতা চেতনাকে বর্তমানে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে এখনকার জেনারেশন আর এই বিষয়গুলোকে আগের মতো শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে না। হোটেল আহমেদিয়া লেখাটি পড়লে সেই সময়ের ভয়াবহতার সামান্যতম আঁচ হলেও করতে পারবে পাঠক।

এছাড়া অসুখ, নারিকেল মামা, তিনি, একদিন চলিয়া যাবো এই লেখাগুলো পড়তে ভালোই লেগেছে। জাদুকরের লেখনীতে সবই পড়া যায় মুগ্ধতা নিয়ে। যদিও বেশীরভাগ লেখা আমার অনেক অনেক আগেই পড়া ছিলো, তবুও নতুনভাবেই উপভোগ করেছি।

ব্যক্তিগত রেটিংঃ ০৮/১০ (উনার বইয়ের রেটিং কিভাবে দেয়া যায় সে ব্যাপারে এখনো বুঝে উঠতে পারছি না। আমার তো উনার সবই ভালো লাগে। তাই স্বাভাবিকভাবেই রেটিং থাকবে বেশী)

🔮 প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
🔮 পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৯৬
🔮 বর্তমান মূদ্রিত মূল্য: ৩০০ টাকা
Profile Image for Mubtasim  Fuad.
318 reviews41 followers
December 10, 2024
আমি লীলাবতী বইটি যখন কিনেছিলাম, তখন এক ফ্রেন্ডের কাছে শুনেছিলাম, লীলাবতীর মৃত্যু নামেও নাকি হুমায়ুন আহমেদের একটি বই রয়েছে। আমি তখন ভেবেছিলাম, হয়ত এটা লীলাবতী উপন্যাসের কোন প্রিকুয়াল হবে। এই বইটাও সময়ের আবর্তনে অর্ডার করে ফেলি। মূলত আমি কোন বই অর্ডার করলে না করার পূর্বে সেই বইটা নিয়ে গুডরিডসে রিভিউ পড়ি, অন্যদের মতামত জানার চেষ্টা করি তারপর যদি আমার টেস্টের সাথে মেশে তবেই বইটা অর্ডার করে ফেলি।
তবে এই বইটা অর্ডার করার পরেই বইটা নিয়ে রিভিউ পড়তে আসি এবং সবচেয়ে অবাক হই এটা জেনে এটা কোন লীলাবতীর পরবর্তী পার্ট না বরং এটা ওনার একটা জীবনী বলা চলে।
আমি বিশাল অবাক হই এবং ভীত হই সেম টাইমে কারণ আমার কাছে হুমায়ুন আহমেদের আত্মজৈবনিক রচনা সমগ্র অলরেডি রয়েছে, আমি একই বই ডাবল ডাবল কিনে ফেললাম কিনা এই ভয়টা ও ছিল। কিন্তু পরে খুঁজে দেখলাম এই বইটা রচনাসমগ্রের মাঝে নাই। এবং এই বইটার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে হুমায়ূন আহমেদের লেখা সর্বশেষ এবং অপ্রকাশিত গল্প নবিজী রয়েছে।
আমি সাংঘাতিক এক্সাইটেড হয়ে যাই বইটা পড়ার জন্য। অতঃপর বই হাতে পাওয়ার পর পড়া শুরু করি কিন্তু এক বসায় শেষ করতে পারি নাই। ক্রমান্বয়ে পরীক্ষার চাপে থেকে থেকে পড়তে হয়েছে। এতে মজা কিছুটা কম পয়েছি ঠিক কিন্তু, এট দ্যা ইন্ড বইটা শেষ করে খুববই ভাল লেগেছে। বইটিতে সর্বমোট উনিশটি জীবন গল্প রয়েছে। যেখানে আমি জানতে পারি হুমায়ূন কন্যা লীলাবতী সম্পর্কে যে জন্মের সময় মারা যায় (এটা আমি আগে জানতাম না), আমি জানতে পারি চ্যালেন্জার সম্পর্কে এবং তার নাটকে কিভাবে প্রবেশ ঘটে সেটাও এছাড়াও জাহানারা ইমাম, হুমায়ূন আহমেদের বাবার মৃত্যু, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা স্থান পেয়েছে এই দুই মলাটের বইয়ের মাঝেই।

আমার কোন এক অদ্ভুত কারণে, হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের চাইতে তার নিজের জীবনী পড়তে বেশি ভাল লাগে। তার জীবনটাই উপন্যাসকে হার মানাতে সক্ষম!!!
Profile Image for readwithlogolepsy || AFNAN.
176 reviews3 followers
June 22, 2023
Ei boiti likha hoyeche shudhu matro 1-2 ta chapter erjonno. Baki chapter guli shob onno boi theke copy pasted kora hoyeche jeta khuboi disappointing.

Ami 3 theke 4-5 ti chapter peyechi jeta onno boi e ache. Muloto Humayun Ahmed er "Rongpencil" boitir shathe tulona korle reader ra bujhte parbe ami ki bolchi.

Anyaprakash publication theke eta amar asha chilona. Eta shudhumatro publish kora hoyeche ek notun boiyer fondi khatiye. Kintu ashole eta kono notun boi e na, age likha puran chapter shongroho kore ekta boi publish kora khali.

Totally disappointed about this book and towards the publication.
Profile Image for Habiba   Sultana Maria.
21 reviews
December 7, 2023
টিউশনে স্টুডেন্টকে লিখতে দিয়ে কোন ফাঁকে বইটা পড়ে শেষ করে ফেলেছিলাম খেয়াল ছিলোনা!৪/৫ দিন পর মনে পড়লো!

হুমায়ূন আহমেদের "লীলাবতী" নামের একটা বই আছে!আমি ভেবেছিলাম ওই বইটার কাহিনীর পরের অংশই হয়তো "লীলাবতীর মৃত্যু" বইতে থাকবে!কিন্তু পড়তে গিয়ে দেখলাম আসলে সেরকম কিছু না!কাঠপেন্সিল, বলপয়েন্ট বইয়ে যেরকম তিনি নিজের আত্মকথা বা দৈনন্দিন জীবনের কথা লিখেছিলেন, সেরকমই "লীলাবতীর মৃত্যু" বইয়ে তার জীবনের খন্ড খন্ড ঘটনার উল্লেখ তিনি করেছেন!যেমন, মুক্তি যুদ্ধের সময়কার লেখকের পরিবারের অবস্থা, লেখকের বাবার শহীদ হওয়া,লেখকের নানার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে মৃত্যু, লেখকের মেয়ে লীলাবতীর মৃত্যু, গুলতেকিন আহমেদকে ডিভোর্স দেয়ার পর তার সাথে তার পরিবারের দূরত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি!
Profile Image for Azoad Ahnaf.
117 reviews
October 25, 2025
চিরাচরিত হুমায়ূনীয় ঢং এর লেখনী। অধিকাংশই আগে অন্যান্য বইতে প্রকাশিত, তাইতো পড়ার সময় চেনা লাগছিল। তাঁর কলমে সাধারণ কথাও হয়ে ওঠে গল্প, অথবা তার জীবনটাই গল্পময়। তাঁর লেখার চরিত্ররা ঘুরে বেড়িয়েছে তাঁর আশেপাশে সেকারণেই এদের শব্দবন্দী করেছেন সহজেই। কিছু কিছু কাহিনী ঠিক যেন তার উপন্যাসের মতো, অবশ অনুভূতির দেয়ালে ভোঁতা আঘাতে চোখ যেন ভিজে উঠতে চায়।

বেঁচে থাকার অকুলতা, রবির আবির্ভাব, নারিকেল মামার ছোট কিছুর জন্য মরে যাবার ইচ্ছা, বন্ধু সফিকের অসুখ, হাসিমুখে মৃত্যুর প্রতীক্ষা এসব নাড়া দিয়ে যায় অনুভূতির গভীরতম শিকড়ে।
Profile Image for Oroni Imroz.
12 reviews
April 7, 2021
এই বইটা পড়ার সময়ে যে অনুভূতিগুলি আমি অনুভব করেছি, স্মৃতিশক্তির বিভ্রাট না ঘটলে আজ থেকে আমৃত্যু মনে থাকবে। যথেষ্ট অনেস্ট একজন লেখক ছিলেন। বাক্যালঙ্কারের জন্যেও মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যোগদান করার, এমনকি নিজের পুত্র বিচ্ছেদের সময়েও "ভয়"-কেও তিনি লুকান নি। গল্পের কিছু জায়গায় শোক বর্ননার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কেঁদেছি। মনে থাকুক লেখক, মনে থাকুক তার লেখা.. <3
Profile Image for Palash Ray.
46 reviews14 followers
September 29, 2021
এই বইয়ের গল্পগুলো "কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই" গানটির মতো।

স্মৃতিচারণ করেছেন, তবে এই স্মৃতি সোনার কলেবরে বাঁধাই করে রাখার মতো। হুমায়ুন আহমেদের নিজের কোন এক লেখায় পড়েছিলাম,
"সোনাবাঁধা কলম পাওয়া যায়, কিন্তু সোনামোড়া মানুষের বড়ই আকাল।"

তাঁর প্রতিটি শব্দই মিশে থাকুক এই বাংলার আকাশে-বাতাসে। ছড়িয়ে যাক প্রকৃতির কোণায় কোণায়।
Profile Image for Adnan Kamali.
3 reviews
August 12, 2020
বইটি এমন নয় যে বড় কোনো গল্পের সমন্ময়ে লেখা। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের জীবনের গুচ্ছ গুচ্ছ কিছু সময়কেই তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে । অসাধারণ মানুষদের জীবনের এরকম অসাধারণ গল্প গুলোই কিন্তু মাঝে মাঝে আমাদের অনুপ্রেরণা দেয় বেচে থাকার ,জীবনকে উপভোগ করার ,জীবনকে ভালোবাসার <3
Profile Image for Mousumi Maya.
89 reviews
March 6, 2023
ছোট ছোট বেশি কিছু স্মৃতিচারণ নিয়েই হুমায়ূন আহমেদ স্যারের এই বই। ভালো লেগেছে, লেখকের আবেগীয় মুহুর্ত গুলো জানতে ভালো লাগে।

যার লেখা আমাদের আবেগ নিয়ে খেলা করে তার নিজের আবেগ জানতে কার না ইচ্ছে করে?
Profile Image for Shahnewaz Shuvo.
46 reviews4 followers
September 6, 2020
প্রত্যেকটা গল্পই ভালো & উপভোগ্য। তবে "লীলাবতীর মৃত্যু" আর "আমার বন্ধু সফিক" এই দুইটা গল্পে রীতিমতো বুকের ভিতর হাহাকার করেছে।
Displaying 1 - 30 of 45 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.