Jump to ratings and reviews
Rate this book

শুভ্র #3

রূপালী দ্বীপ

Rate this book
হুমায়ুন আহমেদের 'দারুচিনি দ্বীপ' উপন্যাসের পরবর্তি কাহিনি ।

96 pages, Hardcover

First published February 1, 1994

12 people are currently reading
389 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

458 books2,881 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
313 (19%)
4 stars
612 (37%)
3 stars
521 (32%)
2 stars
135 (8%)
1 star
33 (2%)
Displaying 1 - 29 of 77 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,082 reviews1,057 followers
December 23, 2020
রূপালী দ্বীপ মূলত দারুচিনি দ্বীপের পরবর্তী পর্ব। দারুচিনি দ্বীপ উপন্যাসটি শেষ হয়েছিলো ট্রেন স্টেশনে। দারুচিনি দ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুতেই এই উপন্যাস শেষ হয়েছিলো। কারণ হুমায়ূন আহমেদ নিজেও তখন সেন্ট মার্টিন যাননি। হুমায়ূন আহমেদ সেন্ট মার্টিন যাওয়ার পরে লিখলেন রূপালী দ্বীপ। যাওয়ার পথে তাদের নানা ধরনের ঝামেলায় পড়তে হয়। কারণ জরী বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে আসলে তার হবু স্বামী তাদের পুরো দলের উপর মামলা করে। ফলে সেন্ট মার্টিনের পুরো দলটিকে পুলিশ হাজতে নিয়ে আসে। এই মুহূর্তে শুভ্রের বাবার ক্ষমতা তাদের কাজে আসে। আমরা রূপালী দ্বীপে শুভ্রের অন্য একটা দেখতে পাই। এখানে শুভ্র তার বন্ধুদের চাপাচাপিতে পরে সিগারেট খায়। কিংবা ট্রেনের বুফে কারের ম্যানেজারের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে যায়। কারণ সে তার গায়ে থুতু দেয়। এরকম অনেক কাজই শুভ্র করে যা তার সাথে এমনিতে যায় না।

প্রথম বইতে মনিরুজ্জামানের উপর যথেষ্ট বিরক্ত হয়েছিলাম। এই লেখায় তার পরিণতিতে আমি অন্ততঃ শান্তি পেয়েছি। অন্যদিকে রন্জুর জন্য খুব খারাপ লেগেছে। বেচারা এত আশা করে ছিল। শেষ হয়েও শেষ রক্ষা হলনা। উপন্যাসের শেষটা কেন জানি আবার নতুন একটা হাহাকার রেখে গেল। ফিনিক ফোটা জোছনায় দারুচিনি দ্বীপের যাবার একটা তৃষ্ণা রেখে গেল।
Profile Image for Tiyas.
441 reviews112 followers
January 1, 2023
সিক্যুয়েল হিসেবে কিছুটা হতাশাজনক। বেশ কিছু হুমায়ূনী অসঙ্গতি এবং চিরাচরিত কন্টিনিউটি এরর উপেক্ষা করতে পারলে, এমনিতে মজাদার।

এবং অবশ্যই মায়াময়!
Profile Image for Raisa Chowdhury.
25 reviews6 followers
July 20, 2023
৩.৫/৫
খুব সম্ভবত আমার পড়া দ্বিতীয় হুমায়ূন আহমেদের বই। এই বইয়ে ওনার অটোগ্রাফ আছে। অবশ্য সেটা আমার মার নামে। আম্মু বলেছিল উনি নাকি একবার দিনাজপুরে এসেছিলেন জ্যোৎস্না দেখতে (সে সাথে একটা প্রোগ্রামও ছিল মনে হয়)। তখনই আম্মু ওনার অটোগ্রাফ নেয়। কিন্তু সেবার ওনার জ্যোৎস্না দেখা হয়নি বৃষ্টির কারণে।
Profile Image for Maliha Tabassum (back from hiatus) Tisha.
127 reviews398 followers
January 22, 2025
- "গাধাগুলোকে" নিয়ে রানার বিরক্তি দেখে ভারি মজা লেগেছে।
- শুভ্রর জন্য দু-চার জায়গায় মায়া লেগেছে।
- আনুশকা ও জরীকে দারুচিনি দ্বীপ-এ খানিকটা ভালো লাগলেও এ বইয়ে একেবারেই লাগেনি।
- বেশ কিছু চরিত্র যেমন সন্জু, ইলোরা ও নীরা কাহিনীতে থেকেও যেন ছিল না। বেশিরভাগ সংলাপ ও ঘটনা শুধু রানা, আনুশকা, জরী ও শুভ্রকে ঘিরে আবর্তিত হয়। যার ফলে, দারুচিনি দ্বীপ-এর লেজ ধরে শুরু হওয়া সত্ত্বেও উপন্যাসটি অপেক্ষাকৃত নির্জীব হয়ে পড়েছে।
- কিছু প্লট কনভিনিয়েন্স ছিলো যা হজম করা সম্ভব না।
- টুকটাক কিছু হাস্যকর জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও বইটির বেশিরভাগই ছিল ম্যাড়মেড়ে।
- ব্যক্তিগতভাবে আমি ঘুরতে-বেড়াতে তেমন পছন্দ করি না, তবুও চাচ্ছিলাম চরিত্রগুলো দ্বীপটিকে এক্সপ্লোর করুক, সে সময়কার কিছু ঘটনা বইটাতে থাকুক। কিন্তু লেখক তা চান নি। ওরা একটা দ্বীপে বেড়াতে এসেছে, কিন্তু সেখানকার কোনো আবহ পাওয়া যায় না। এ ব্যাপারটা খুব হতাশাজনক।

সবমিলিয়ে প্রচন্ড বিরক্তিকর একটি বই। এই বই না লিখলেও কারো কিছু আসতো যেতো না।
Profile Image for Samiha Kamal.
121 reviews114 followers
March 16, 2023
আমার ধারণা ছিলো শুভ্র সিরিজের সব আমার পড়া শেষ। এখন দেখলাম এটাই বাদ পড়ে গিয়েছিল। আমার ভালো লাগে নাই। রাত ৪ টায় চায়ের কাপ হাতে বইটা পড়লাম, মনে নাড়া দিতে পারে নাই। কিন্তু দুঃখে মন ভরে যাচ্ছে এটা ভেবে হুমায়ূন আহমেদ আর নাই।
মাথায় এই লাইনটা আসছে বারবার, "এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে, এসো করো স্নান নবধারাজলে॥"

জানি প্রচন্ড এলোমেলো লিখছি, কিন্তু পরিপাটি কাজে সুখ নাই, শান্তি নাই লাগে মাঝে মাঝে। এলোমেলো ভাবনার মধ্যে সেটা আছে, কারণ সেই ভাবনারা আসলে pretentious না। তারা শুদ্ধ এবং স্বতঃস্ফূর্ত।
Profile Image for momo ✉️.
35 reviews53 followers
September 4, 2022
'দারুচিনি দ্বীপ' এর যে সিকুয়েল আছে জানতামনা! হুট করে গল্প ট্রেন পর্যন্ত শেষ করে দেয়ার যে খালি খালি অবস্থা হয়েছিল তা পূরণ করে দিল এই গল্পটা। চরিত্রগুলোকে অনেক মনে পরবে আসলে, আর কোনো গল্পে আবার আসতো যদি। আনুশকা চরিত্রটা বেশ রিলেটেবল লাগলো।
Profile Image for Anika Tabassum .
81 reviews12 followers
October 23, 2021
শুভ্র সিরিজের সব বইই এত্ত ভাল্লাগে!
Profile Image for Mahabubur Rahman.
36 reviews8 followers
June 9, 2016
বইটা শুভ্র সিরিজের হলেও কাহিনিতে শুভ্রের খুব একটা প্রভাব দেখলাম না । বরং বইটা শুধু তরুণদের ভ্রমণ কাহিনির মত লাগল । এর বেশি কিছুই না । অন্য পাঠকরা শুভ্রকে কিভাবে নিয়েছেন জানি না । তবে আমার কাছে শুভ্রকে শক্তিশালী কোন চরিত্র বলে মনে হল না ।
Profile Image for শাহ্‌ পরাণ.
258 reviews74 followers
November 22, 2022
৩.২৫/৫

দারুচিনি দ্বীপের পরের অংশ। একটু বেশি নাটকীয় লেগেছে। তবে দলটা দ্বীপে পৌচেছে। ফিনিক ফোটা জোছনা সবাই মিলে দেখছে। এ জোছনা যে দেখেনি তার পক্ষে কখনো বোঝা সম্ভব না এ জোছনা কতটা সুন্দর। আমার নিজের সেন্ট মার্টিনের দেখা জোছনার বর্ণনা লেখার লোভ সামলাতে পারছি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। পাচ জনের একটা দল রেডি হলাম সেন্ট মার্টিন যাওয়ার জন্য। বাসায় ট্যুর দেওয়ার জন্য টাকা চাওয়ার সাহসটাও নাই। একটা অতিরিক্ত টিউশন নিয়েছিলাম, বেতন পেয়ে বাসায় টাকা না দেওয়ার সেকী অপরাধবোধ! নিজেকে চোর চোর লাগতেছিলো। বাসায় বললাম, ঋণ করে ট্যুরে যাচ্ছি।

বাস থেকে নেমে দেখলাম নাফ নদী, ঐ পারে মায়ানমার। জানতে পারলাম, নদীতেও জোয়ার ভাটা হয়। এখানে নদীর পানির উচ্চতা কমে আবার বাড়ে। জাহাজে উঠলাম। জাহাজ কতদূর যাওয়ার পর ডান পাশে বাংলাদেশ আর বাম পাশে মায়ানমারের পাহাড় রেখে নাফ নদীর বুক চিড়ে আমরা যাচ্ছি। এক সময় নদী শেষ হলো, সমুদ্র শুরু হলো। জীবনে প্রথমবার সমুদ্র দেখলাম। নীল না, সবুজাভ নীল। ছবির মতো না, ছবির চেয়ে সুন্দর। কল্পনার মতো না, কল্পনার চেয়েও রঙিন। আকাশের নীল আর সমুদ্রের নীল মিলে মিশে একাকার। মাসটা ছিলো নভেম্বর মাস। পরিষ্কার আকাশ। এত নীল আর পরিষ্কার আকাশ আমি এর আগে কখনো দেখিনি মনে হয়।

আকাশ আর সমুদ্রের এরকম অসহ্য সৌন্দর্য দেখে বারবার মনে হচ্ছিলো, এতো সুন্দর জিনিষ না দেখেই কতো মানুষ ম’রে যায়! আমার কতই না ভাগ্য যে এই অসহ্য সৌন্দর্য দেখে মরতে পারবো। আর কতই না দুর্ভাগ্য যে মরে যাওয়ার পর আর দেখতে পারবো না!
কাকতালীয়ভাবে��� আমরা যে হোটেলে উঠলাম সেই হোটেলের পাশেই ছিলো হুমায়ূন আহমেদের সমুদ্র বিলাস। তখনও হুমায়ূন আহমেদ খুব বেশি পড়া হয়নি, জানতাম না দারুচিনি দ্বীপ আর রুপালী দ্বীপ নামে দুটো বই আছে এই সেইন্ট মার্টিন দ্বীপকে কেন্দ্র করে।
হোটেলে ব্যাগ রেখেই গেলাম সমুদ্রে। নীল। গাঢ় নীল। আকাশ পানি সব নীল। সমুদ্রের তীরে প্রচুর কোরাল উঁকি দিচ্ছে, সূর্যের আলোয় চিকচিক করছে পানি। হাটু পানিতে নামার পর পায়ের তলা দেখা যাচ্ছিলো। পানি এতো স্বচ্ছ হয়! ডিসকভারিতে দেখেছি পানি এতো স্বচ্ছ হতে কিন্তু বাস্তবেও হয়! বিশ্বাস করতেও যেন আনন্দ। এতো আনন্দ! এতো ভালো লাগা! এতো সুন্দর চারদিকে! আনন্দে ম’রে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিলো যেনো।
একটু পরেই কোরালে আঘাত পেয়ে আমার রক্তারক্তি অবস্থা হয়ে গেলো। বা পায়ের মাঝের তিনটা আঙ্গুল ছিলে গিয়ে রক্তারক্তি কারবার। আমি উঠে এলাম পারে, বাকি সবাই পানিতে ঝাপাঝাপি করলো। আমি দেখলাম, শরীর আর মন উভয়েই ব্যাথা। প্রচন্ড ব্যাথা।
দুপুরে খেয়ে সন্ধায় তীরে ঘুরাঘুরি করে সূর্যাস্ত দেখলাম। আকাশের লাল যে এতো সুন্দর হয়, এই দৃশ্য না দেখলে কীভাবে জানতাম? সন্ধ্যা আর রাত দ্বীপের ভেতর ঘুরাঘুরি করে কাটালাম। রাতে খেয়ে বিচে আসলাম। রাত তখন ১১ টা। আকাশে দশমী বা একাদশীর চাঁদ। জোছনা গলে গলে পড়ছে আমাদের শরীর, সমুদ্রের উপরে। কিন্তু সমুদ্র চলে গেছে অনেক দূরে। ভাটায় পানি নেমে গেছে অনেক দূর। প্রায় ৩০০-৪০০ মিটার দূরে। ভাটায় যে পানি এতো দূরে চলে যায় তা জানতাম না। পানি চলে যাওয়ায় জেগে উঠেছে কালচে কোরাল। জোছনার আলোয় সেই কোরাল চিকচিক করছে। দূরে সমূদ্রের ঢেউগুলো রূপার আগুনের মতো জ্বলজ্বল করে আছড়ে পড়ছে। আদুরে বাতাসে শরীর অবশ হয়ে যাচ্ছে। দুইটা কিটকট চেয়ার জোরা লাগিয়ে পাচজন বসে, আধ শোয়া হয়ে আছি। সাথে কত্ত রকম গান যে হলো তার হিসেব নেই। মনে হচ্ছিলো হঠাৎ করেই একটা আনন্দের ঝর্ণার নিচে দাঁড়িয়ে সেই আনন্দে স্নান করে চলছি।

এই ছিলো আমার জীবনে প্রথমবার সমুদ্র দর্শন। প্রথমবার সমুদ্রে নামা। লবনাক্ত জানা সত্ত্বেও প্রথমবার সমুদ্রের পানি মুখে নিয়ে দেখা যে, পানি কতটা লবণাক্ত। প্রথমবার সমুদ্রের পাশে এভাবে জোছনা দেখা। প্রথমবার বাসা থেকে এতো দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া। প্রথমবার জাহাজে ওঠা।

এরপর সমুদ্র দেখেছি আরো ৭ বার। কিন্তু প্রথম সেই অনুভূতি আজও রয়ে গেছে। মৃত্যুর ঠিক আগেও যেন থাকে সেই ইচ্ছা আমি আজও বুকে ধারণ করি। জীবনে আনন্দের মুহুর্ত অনেক এসেছে এবং আসবে, কিন্তু সেই ট্যুরের যে আনন্দ আমার জীবনে এসেছিলো তার সমান বা কাছাকাছি আনন্দ জীবনে খুব বেশি আসেনি, আসবেও না বলে আমার ধারণা। সবার জীবনেই এমন আনন্দ আসুক, যেই আনন্দ বুকে নিয়ে ঠোটের কোনায় হাসি নিয়ে মৃত্যুকে অভিবাদন জানানো যায়।
বইয়ের ভালো লাগা লাইনঃ

এ পৃথিবীতে খুব অল্প সংখ্যক মানুষই আছে যারা জীবনের মোহের কছে পরাজিত হয় না।
Profile Image for HR Habibur Rahman.
283 reviews55 followers
April 7, 2023
সমস্যা হলো একটাই হুমায়ূন আহমেদের গল্পে বা উপন্যাসে অনেক সময় বড় বড় ভুল বের হয়। যেটা খুবই অস্বস্তিকর। আগে পড়ার সময় মনে হতো আমারই ভুল হচ্ছে। হয়তো আমি আগে ভুল পড়েছি। কিন্তু এখন দেখি তেমন না। উনিই ওমনে লেখেন। যেমন এখানে মা চলে যাওয়ার বিষয় টা আবার শুভ্রর মায়ের নাম টা।

তাছাড়া এই বই আর এর আগের পার্ট দুইটাই উপভোগ্য অনেক।
Profile Image for Riju Ganguly.
Author 36 books1,835 followers
January 5, 2015
এই উপন্যাসটা আগেরটার তুলনায় ঠিক জমল না। আগের উপন্যাসের চরিত্ররা এখানে ফিরেছে, তাদের সংলাপ এবং অনুভূতিরা আগের চেয়ে আরও স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু অস্পষ্টতা আর অচেনা ভাবের যে ককটেল এর আগে এই চরিত্রদের এত কাছের মানুষ করে রেখেছিল, সেটা এবার গায়েব হয়েছে। শেষটাও কেমন একটা ইচ্ছাপূরণ আর "শেষ হয়ে হইল না শেষ" (মানে ছোটগল্পে যেমনটা হয়) গোছের হয়ে রইল, আর আমার হাতে রইল পেন্সিল, মানে বইটা।
Profile Image for শুভঙ্কর শুভ.
Author 11 books51 followers
June 23, 2016
অনেক দিন পরে পড়লাম বলেই হয় ত, দারুচিনি দ্বীপের মত, এতো ভালো লাগল না!
Profile Image for Siam.
41 reviews
February 21, 2025
শুভ্র আমার পড়া হয় নাই একদমই। এর আগে দারুচিনি দ্বীপ পড়ছি। এটা তার সিক্যুয়াল।

হুমায়ূন এখানে তার ক্যারেক্টার বিল্ডআপ করছেন সাইড ক্যারেক্টার দিয়ে , তাদের কথা বেশী, সমস্যা হচ্ছে সবার এনাফ গল্প নাই, আর বইটা মূলত জার্নি বেইসড তাই গল্প হতে হইতো স্মৃতিকথা, এতো সময় মনে হয় ওনার ছিলো না।
হুমায়ূন এজন্য তার উইট হিউমারের ব্যবহার করছেন, শুভ্র, রানা, মোতালেব রীতিমতো উইটের সাথে চায়ের ব্যবস্থা করছে ।
হুমায়ূনের স্ট্রং লেডি ক্যারেক্টারের প্রতি ঝোক আছে, তাই তিনি মুনার মতো নারী ক্যারেক্টার বিলড করেন৷ রানার লিডারশীপের অদক্ষতা যার কাছে ফুটে ওঠে। হুমায়ূন এদিকদিয়ে প্রাচ্যের জন্য সহীহ স্ট্রং নারী তৈরী করতে দক্ষতা দেখান।

হুমায়ূন পুলিশ ও রাজনীতির মধ্যে তার সরল উপন্যাসকে চালিত করতে ভালোবাসেন। রাজনীতি বিশেষ করে একেবারে মাঠের তৃণমূল - থানা কীভাবে উপরের এলিট মহল থেকে পরিচালিত হয়ে থাকে তা নিয়ে হুমায়ূন এর সীমাহীন আগ্রহ। এরজন্য ইয়াজউদ্দিন শুভ্রের বাবা, এমন চরিত্র তার দরকার হয়ে যায়। এখানে যা আছে৷ হুমায়ূন নিজেও হয়তো এমন চরিত্র হতে চেয়েছিলেন বা তার আশেপাশে এমন চরিত্রই ঘুরঘুর করতো!

বইটাতে হুমায়ূন এর সমুদ্র অভিজ্ঞতার বর্ণনা ক্লিশে লাগছে।
Profile Image for Ali Ahnaf Zunayed .
21 reviews2 followers
December 5, 2021
শুভ্র হঠাৎ আতঙ্কিত গলায় বলল, 'আচ্ছা, জোছনা হঠাৎ কমে গেল কেন?'
জোছনা কমে নি, জোছনা আরো তীব্র হয়েছে। মনে হচ্ছে সারা দ্বীপে হঠাৎ করে সাদা রঙের আগুন লেগে গেছে। কিন্তু শুভ্র কিছু দেখতে পাচ্ছে না কেন? শুভ্রের হাত ধরে জরী দাড়িয়ে-এত কাছে, কিন্তু কই-জরীকে সে তো দেখতে পাচ্ছে না?'
Profile Image for Tisha.
40 reviews59 followers
January 4, 2024
কিছু খাপছাড়া ব্যাপারগুলো আশাহত করেছে বরাবরের মতোই। কিন্তু প্রচুর ঝামেলা শেষে দ্বীপে পৌঁছানোর যাত্রাটা বারবার মনে করে দিয়েছে গতবছর বান্ধবীসহ আমার কক্সবাজার যাওয়ার ঘটনার। প্রথম দিকের এগারোজন থেকে শেষে পাঁচজনের যাত্রার সব কষ্ট ভুলে গিয়েছি সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে। এ বছর আবার সমুদ্র দেখার সৌভাগ্য হোক আমার।
Profile Image for Shoaib Rehman.
4 reviews1 follower
February 2, 2021
জানি না শেষের দুইটা লাইনে কেন অসম্ভব কান্না পাচ্ছে।
Profile Image for Muntasir Dhip.
163 reviews3 followers
January 3, 2025
দারুচিনি দ্বীপের পর রূপালী দ্বীপ পড়ছিলাম। সে হিসেবে শুভ্র সিরিজের ২ টা বই-ও পড়া হয়ে গেলো। বছরের শুরুটা সুন্দর কেটে যাচ্ছে তবে।
Profile Image for N. SezaN.
32 reviews4 followers
May 29, 2024
দারুচিনি দ্বীপ + রূপালী দ্বীপ
দুটোয় মিলিয়ে বেশ ভালো একটা জার্নি হলো।
তবে প্রথমটা তুলনামূলক ভালো লেগেছে।

আধুনিক স্টাইলে একটা মুভি হওয়া দরকার বইদ্বয় নিয়ে। ঝকঝকে ফ্রেমের সাথে অনবদ্য লোকেশন।🖤🖤
Profile Image for Amit Das.
175 reviews116 followers
June 27, 2020
'দারুচিনি দ্বীপ' এর পরবর্তী অংশ। মোটামুটি লাগলো।
Profile Image for Aysha Chowdhury.
10 reviews11 followers
February 14, 2019
It was a good start but felt very rushed towards the end. Not as good as its prequel Daruchini Dip, but still worth a read.
Profile Image for S Tausif.
19 reviews1 follower
June 3, 2021
হুমায়ুন আহমেদ এর শুভ্র সিরিজ এর একটি বই। দারুচিনি দ্বীপ যাওয়া কে কেন্দ্র করে এই গল্পটি লেখা। গল্পটি সরল ও সুন্দর। গল্পে তেমন কোনো বাক বা ক্লাইম্যাক্স নেই। এই গল্পের শেষ দিকের কিছু কথাবার্তা আমার কাছে অদ্ভুত সুন্দর লেগেছেঃ

অয়ন ভাই আসুন তো আমার সঙ্গে। সমুদ্র কোমর পর্যন্ত ডুবিয়ে দাড়াই। আমার কেমন যেন ভয় ভয় লাগছে। আপনি আমার হাতটা ধরুন তো। আপনি হাত ধরবেন আর সঙ্গে সঙ্গে আমি বলবো অয়ন ভাই আমি আপনাকে নিয়ে এত ঠাট্টা তামাশা করি, আমি জানি আপনি রাগ করেন। তবে আপনি কি জানেন আপনাকে কতটা ভালোবাসি আমি?..............
Profile Image for Abid.
125 reviews23 followers
September 18, 2024
দারুচিনি দ্বীপের সিকুয়েল হিসেবে বেশ এক্সপেকটেশন ছিলো। বইয়ের শুরুটাও ভালো ছিলো, কিন্তু শেষপর্যন্ত আর সেই 'ভালো লাগা'টা স্থায়ী হয়নি। কিছুটা হতাশ হয়েছি বলা চলে।
Profile Image for Aniqa | Bibliolater_Artistry.
6 reviews3 followers
May 18, 2020
রুপালি  দ্বীপ এ লেখক শুভ্রর সাহসের  পরিচয় দিয়েছেন বারবার, মনিরুজ্জামানের মতো মন্দ লোকের বিরুদ্ধে যে রুখে দাঁড়ায়,জরিকে রক্ষা করে।তবে  শেষমেশ এত ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে কাঙ্খিত দারুচিনি দ্বীপে পৌছে শুভ্রর  চোখের দৃষ্টি সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলার ঘটনার মাধ্যমে লেখক পাঠকের মনে বিষাদ সৃষ্টি করতে সফল হয়েছেন পুরোপুরি ভাবে। হয়ত এখানেই লেখককের সার্থকতা...🥺
Profile Image for ফরহাদ নিলয়.
191 reviews61 followers
December 7, 2015
দারুচিনি দ্বীপের পরের পার্ট, ভাল লেগেছে। তবে দারুচিনি দ্বীপ ছিল মাস্টারপিস!

শেষে শুভ্রের জন্য খারাপ লাগে, খুব খারাপ লাগে।
Profile Image for Miss Ira.
56 reviews
June 21, 2022
দ্বারুচিনি দ্বীপ পড়ার পর যত জল্পনা কল্পনা করেছিলাম, সব ভেস্তে গেল। :')
Profile Image for Minhajur Rahman Jihad.
12 reviews2 followers
October 5, 2025
❝একুশ খুব অদ্ভুত একটা বয়স।এই বয়সে মাথায় বিচিত্র সব পাগলামি ভর করে।বুকের ভেতর থাকে এক ধরনের অস্থিরতা। সেই অস্থিরতার একটি রুপ হল-“কী যেন নেই", “কী যেন নেই" অনুভূতি। সেই “কী যেন নেই "-কে খোঁজার চেষ্টাও এই বয়সেই প্রথম দেখা দেয়।পৃথিবীর বেশির ভাগ সাধু-সন্ত এই বয়সে গৃহত্যাগ করেন।❞

বইটার শুরুর প্রস্তাবনাতে হুমায়ূন আহমদে এভাবে শুরু করলেন।তখন হুট করে মাথায় আসলো এখনো একুশ পূর্ণ হয় নি।তবে পূর্ণ হতেও খুব বেশি দিন নেই।

কখনো কখনো আমার ইচ্ছে হয়,ভরা পূর্ণিমার রাতে আমি একটা দ্বীপে গিয়ে বসে থাকি।জোছনার আলোয় সমুদ্রের ফেনা জ্বলজ্বল করছে। শো শো শব্দে বাতাস বইছে, সাগরের ঢেউয়ের গর্জন শুনছি।আমি নামলাম সেই সমুদ্রে।যে দুঃখগুলো,চাপা কষ্ট, আফসোস আমি তাদের সমুদ্রে বিসর্জন দিয়ে হালকা হবো।

আচ্ছা বন্ধুদের নিয়ে দ্বীপে গেলে কী হবে?
দারুণ হবে।আমরা ক্যাম্প ফায়ার জ্বালিয়ে গোল হয়ে বসবো।ঘুমানো নিষেধ। ঘুমাতে দিল তো ঘুমাবে!চায়ের ব্যবস্থা করে রাখা চাই।সাথে হালকা নাস্তা।আমরা সবাই সবার গল্প বলছি।আকাশে আলো ছড়িয়ে আছে থালার মতন চাঁদ।হুট করে একজন কীংবা আমিও হতে পারি বলে উঠলাম,চল সমুদ্রে নামি।উঠে সবাই দৌড়।আরে! আরে! তারা তো রেস শুরু করে দিলো।অতঃপর উত্তাল সমুদ্র বক্ষে আমরা নামলাম।

রুপালী দ্বীপ বইয়ে একদল বন্ধু-বান্ধব তারা সবাই মিলে প্ল্যান করলো ঘুরতে যাবে সেন্টমার্টিনে।লেখক সেই দ্বীপকে বলছেন রুপালী দ্বীপ।বইটা কোথাও না কোথাও গিয়ে আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে।বইয়ের চরিত্রগুলোর মাঝে পাঠক খুঁজে পেতে পারেন নিজেকে।
শুভ্র, অয়ন,জরী,অনুশকা,রানা,সঞ্জু, নইমা, শুভ্রর বাবা ইয়াজউদ্দিন সাহেব,সঞ্জুর বাবা সোবহান সাহেব চরিত্রগুলো নিজের নিজের অবস্থানে এতো দারুণভাবে ফুটে উঠেছে যে বইটা পড়ার সময় তাদের জীবন্ত মনে হয়।
Profile Image for Sanjana Bhuiyan.
29 reviews4 followers
October 31, 2023
শুভ্র একেবারে ব্যতিক্রমধর্মী চরিত্র। এই চরিত্রের সাথে হিমু কিংবা মিসির আলীর কোন মিল নেই।
শুভ্র পাপ-পঙ্কিতা থেকে মুক্ত একজন সাদামাটা মানুষ।
কিন্তু একশো ভাগ শুদ্ধ মানুষ কি আছে.? হয়তো নেই।

কিন্তু লেখকরা তোহ কল্পনাবিলাসী। কল্পনার জাল হুমায়ুন আহমেদের মতো খুব কম লেখকই বুনতে পেরেছেন। শুভ্র চরিত্র কে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম আছেন!? (বিশেষ করে মেয়েদের ড্রীম বয় শুভ্র টাইপ ছেলে😅)

ব্যক্তিগত মতামত -
শুভ্র উপন্যাস লিখতে গিয়ে লেখক কিছু গড়মিল করেছেন। প্রতিটা উপন্যাসে বাবা মা সহ সব চরিত্র পাল্টে ফেলেছেন। বন্ধু বান্ধবী পাল্টে গেলে মানা যায় কিন্তু বাবা মায়ের নাম সহ তাদের চরিত্র পাল্টে যাবে এটা মানা যায় না 😞! এক উন্যাসে যে মারা গেছে পরের উপন্যাসে সে জীবিত। চরিত্রগুলো সম্পর্কে মাইন্ডসেট বারবার পরিবর্তন করাটা বেশ বিরক্তিকর লাগছিলো আমার কাছে।

হুমায়ুন আহমেদ বলেছিলো শুভ্র বইয়ে শুভ্র চরিত্রকে ছাড়া অন্য কোনো চরিত্রকে ধারাবাহিক ভাবে ব্যবহার করা হয়নি,তবুও বইটি যেহেতু সমগ্র আকারে প্রকাশ করা হয়েছে সেহেতু কিছুটা ধারাবাহিকতা রাখা দরকার ছিলো!

শুভ্র সমগ্রে আমার সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে -
১.রুপালী দ্বীপ।
২.দারুচিনি দ্বীপ।
৩.শুভ্র।
৪. এই শুভ্র এই
৫. শুভ্র গেছে বনে।
এখন থেকে শুভ্র মানে আমার কাছে একগুচ্ছ সাদা ভালোবাসা 🤍
Profile Image for Emdadul Hoque Afnan.
18 reviews3 followers
October 31, 2024
রূপালী দ্বীপ
(হূমায়ুন আহমেদ)

দারুচিনি দ্বীপের পরের কাহিনী। ট্রেনে উঠার পর সামনে কী হলো না হলো তা বলা হয়েছে। শুভ্র চরিত্রটি এই বইতে আরেকটু ডেভেলপড হয়েছে, শুভ্রর বাবার ক্যারেক্টারে কিছুটা আলোকপাত করা হয়েছে। তবে বাকি চরিত্রগুলোর আর তেমন কোনো ডেভেলপমেন্ট নজরে পড়ে নি। ট্রেনের জার্নির এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে কিছুটা বর্ণনা এসেছে। এরপর ট্রেন থেকে নেমেই সবাই আরেক বিপদে পড়ে, এটাই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। পজিটিভ দিক হিসেবে বইতে বোরড হই নি, পুরোটা এঞ্জয় করেছি, হূমায়ুনের লেখার বৈশিষ্ট��যই এটা।

বইয়ের নেগেটিভ দিকগুলা:
এই বইতে সেন্টমার্টিনের রূপের অসাধারণ বর্ণনা পাবো আশা করেছিলাম, তেমন কিছুই লেখকের বর্ণনায় উঠে আসে নি। তাড়াহুড়া করে শেষ করেছেন মনে হয়েছে। শুভ্র আর তার বাবা বাদে বাকি চরিত্রগুলোর তেমন ডেভেলপমেন্ট হয় নি। এটা কাইন্ড অফ হিমু সিরিজের বইগুলার মতো। পড়ে মজা আছে, তবে শেষ করে মনে হয় -কী পড়লাম আসলে/কী লাভ হলো।

পার্সোনাল রেটিং : ৭.৫/১০ (আশানুরূপ না হওয়ায়, তবে ডেফিনেটলি এঞ্জয়েবল)
Displaying 1 - 29 of 77 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.