একালের বাংলা কথাসাহিত্যে নগর-কাহিনীর জয়ধ্বনি সর্বত্র। বাংলার যে কয়েকটি সৃষ্টি এদেশের রসিক পাঠক-পাঠিকাকে বিমুগ্ধ করেছে তার প্রথম সারিতে রয়েছে লেখক শংকর-এর বিশিষ্ট সৃষ্টি ঘরের মধ্যে ঘর। শংকর-এর বৃহত্তম এই উপন্যাসের পটভূমি ভুবনবিদিত পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলের একটি সরু রাস্তা, যার অদূরেই জন্মেছিলেন ইংরিজি সাহিত্যের খ্যাতনামা লেখক উইলিয়ম মেকপিস থ্যাকারে। তাঁরই নামাঙ্কিত থ্যাকারে ম্যানসন সাড়ে-আটশ পৃষ্ঠার এই বিচিত্র উপন্যাসের অবিস্মরণীয় পটভূমি, যেখানে পূর্ব ও পশ্চিম মুখােমুখি হয়েও কখনও দ্বিধায়, কখনও লজ্জায়, কখনও কারণে এবং কখনও অকারণে থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছে। নগর সভ্যতার এই নব-রামায়ণ স্বাধীনতা-উত্তর বাংলা সাহিত্যকে অতুলনীয় বিশিষ্টতা দিয়েছে। লেখক থ্যাকারে বেঁচে থাকলে এই বিচিত্র ম্যানসনের ঘরগুলি দেখে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে আবার হয়তাে নতুন করে লিখতে শুরু করতেন। বঙ্কিম পুরস্কারে সম্মানিত শংকর-এর এই উপন্যাসের ইংরিজি অনুবাদের জয়যাত্রা আসন্ন। চৌরঙ্গী ও কত অজানারের মতন ঘরের মধ্যে ঘর এবার সারা বিশ্বের পাঠকসমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চলেছে।
Shankar's real name is Mani Shankar Mukherjee. Sankar is a very popular writer in the Bengali language. He grew up in Howrah district of West Bengal, India. Shankar's father died while Shankar was still a teenager, as a result of which Shankar became a clerk to the last British barrister of the Calcutta High Court, Noel Frederick Barwell. The experience of working under Mr. Barwell provided the material for his first book Koto Ojanare (কত অজানারে), translated as The Great Unknown. During 1962, Shankar conceived the idea of writing the novel Chowringhee on a rainy day at the waterlogged crossing of Central Avenue and Dalhousie - a busy business district in the heart of Kolkata. Many of Shankar's works have been made into films. Some notable ones are - Chowringhee, Jana Aranya (জন-অরণ্য, translated as The Middleman) and Seemabaddha (সীমাবদ্ধ, out of which the last two were directed by Satyajit Ray.
একই ত্যানা একটু বেশি প্যাচানো হয়ে গেল। শংকরের সহজ লেখনীর এই একটা সুবিধা যে পড়া শুরু করলে একটানে শেষ করে ফেলা যায়। নাহয় এই বই নির্ঘাত মাঝপথে ছেড়ে দিতাম।
"কত অজানার", "চৌরঙ্গী" যাঁরা এই উপন্যাসদুটো পড়েছেন, তারা জানেন শংকর মণিশংকর মুখোপাধ্যায়ের জাদুমাখা লেখা একবার ধরলে শেষ না করে ওঠা মুশকিল৷ এই সিরিজেরই তৃতীয় উপন্যাস ঘরের মধ্যে ঘর৷ আটশো পাতার বৃহৎ কলেবরের বইটি অবশ্য অন্যদুইটির তুলনায় খানিকটা ম্রিয়মাণ।
" ঘরের মধ্যে ঘর, নাচে কন্যা-বর। "
এই প্রবাদটির অন্তর্নিহিত মানে খুঁজতে চাইলে আপনাকে ঘুরে আসতে হবে চার্নক সাহেবের কলকাতার থ্যাকারে ম্যানশনে৷ যেখানে ম্যানেজারের চাকরি করছেন কত অজানারে'র কলকাতার শেষ ইংরেজ ব্যারিস্টার বারওয়েল সাহেবের বাবু শংকর, হোটেল শাজাহানের সহকারি রিসিপশনিস্ট শংকর। যে শাজাহান হোটেলের চাকচিক্য ছেড়ে পথে নেমেছে। কর্পদকহীন শংকর। আশ্রয়হীন শংকর। এই শংকর আর কেউ নয়, সে ঔপন্যাসিক মণিশংকর মুখুজ্যে নিজেই। বিচিত্র জীবনের অধিকারী মণিশংকর মুখোপাধ্যায়ের আত্মপ্রতিকৃতির ছবিই এঁকেছেন এই উপন্যাসে।
বেকার শংকর আশ্রয় পেলেন হোটেল শাহাজানের সাবেক এক টিবয়ের রুমে। যে এখন অন্যএক প্রতিষ্ঠানে দারোয়ান। সুখের সময়ের বন্ধু,পরিচিতজন সহায় হয়নি শংকরের। সাহায্যে এগিয়ে এলেন শংকরের বাবারই এক শিষ্য গণপতিবাবু৷ এই ব্যক্তিকে পূর্ববঙ্গে থাকতে শংকরের পেশায় উকিল পিতা পথ দেখিয়েছিলেন রুটি-রুজির। সেই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেই পেশায় উকিলের মুহুরি গণপতিবাবু বেকার শংকরের চাকরি জুটিয়ে দেন বিধবা বিলাসিনী দেবীর থ্যাকারে ম্যানশনে।
অদ্ভুত এক ফ্লাটবাড়ি থ্যাকারে ম্যানশন। কলকাতার সাহেব পাড়ায় এর অবস্থান। ইংরেজ আমলে বিখ্যাত ঔপন্যাসিক উইলিয়াম ম্যাকপিস থ্যাকারের এক ভক্ত জনসন সাহেব এই ম্যানশনের প্রতিষ্ঠাতা৷শংকর শুধু থ্যাকারে ম্যানশনের নামকরণ আর অতীত মালিকদের কথাতেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেন নি। কাহিনির সাথে সঙ্গগতি রেখেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের একসময়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কলকাতার ইতিবৃত্ত জানাতে চেয়েছেন পাঠককে৷ অনেকটাই সুন্দর লেগেছে সে বর্ণনা। ইতিহাস পড়লাম, অথচ ইতিহাসগন্ধী ভাব একদম নেই! নানা হাত ঘুরে ইংরেজ, বাঙালি বাবুদের উত্থান-পতনের সাথে জড়িত থ্যাকারে ম্যানশনের মালিকানা এবার বিধবা বিলাসিনী দেবীর হাতে। যিনি ধর্মকর্ম নিয়ে অধিক ব্যস্ত। আর তার কিশোরী কন্যা পমা দেবী পড়াশোনায় ব্যস্ত। আছেন ধুরন্ধর গৃহশিক্ষকও। থ্যাকারে ম্যানশনের ম্যানেজারের দায়িত্বে এলেন শংকর৷ বারো রকমের মানুষের আবাস এই থ্যাকারে ম্যানশন৷ আছেন তেলকালি বাবু।যিনি পুরনো এই বাড়ির তালা-চাবি ঠিকঠাক রাখেন। কলকালিও আছেন। ইনি বাড়ির কলকজাকে দেখে রাখেন৷ হরিজন পুত্র মদনা আছে। যে পেশায় টিকিট ব্লাকার। বাড়ির দারোয়ান রামসিংহাসন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।
এই থ্যাকারে ম্যানশনেই ম্যানেজার শংকরের সাথে অপ্রস্তুত মুহূর্তে সাক্ষাৎ সুলেখা সেনের৷ চৌত্রিশ নম্বরের এই বাসিন্দা পেশায় পতিতা। জেঠমালানি নামক ধনাঢ্য ব্যক্তিই তার কোম্পানির বিভিন্ন কাজ বাগিয়ে নিতে ব্যবহার করে চৌত্রিশ নম্বর রুমটি৷ সুলেখা সেনের সাথে অদ্ভুত এক সম্পর্ক গড়ে ওঠে শংকরের। সব ছেড়ে ছুড়ে বদলে যেতে চায় সুলেখা ওরফে সীমা৷ সীমারা চাইলেই কি মূলস্রোতে ফিরতে পারে? দারিদ্র্যের শাপগ্রস্ত সীমাদের সাথে শংকরদের মিল কি কখনও সম্ভব?
বিরাট এই ভাড়াটে বাড়ির প্রতিটি রুমের বাসিন্দাই যেন একএকটি উপন্যাস। মিস ডরেথি, মিসেস সামতানির কথা যেমন খোঁচা দিয়েছে মানবিকতার মুখোশ পড়া সমাজব্যবস্থাকে। তেমনি ড্রাগন কোম্পানির মতো লোভীদের পতনের গল্প শুনিয়েছেন শংকর।
পপি বিশোয়াস নামে হাইক্লাস পতিতা যেন নিজের অজান্তেই প্রতিনিধিত্ব করছিল তাদের যারা স্ট্যাটাস বজায় রাখতে নেমে পড়েন পঙ্কিলতার সাগরে।ডেকে আনেন সর্বনাশ। কিন্ত তবুও ভালো থাকতে চায় পপি বিশোয়াসরা৷ অন্ধকার জীবনের অধ্যায়ের ইতি টানতে চাওয়ার ইচ্ছা হয়তো পূরণ হয় অপ্রত্যাশিতভাবে।তাতে শংকরের কি?থ্যাকারে ম্যানশনের এসব ঘরের দখল পেলে তো ম্যানেজার শংকরেরই লাভ। বেশি টাকায় ভাড়া দিতে পারবে। তবুও শংকরের মনের সেই উদ্বেগ, অনির্বচনীয় অনুভূতি উদাস করে দিবে পাঠককে।
শংকর থ্যাকারে ম্যানশনের কাহিনি লিখতে গিয়ে অনর্থক টেনে লম্বা করেছেন ঘটনা। পপি বিশোয়াস নামক চরিত্রটিকে বেশি ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে হ-য-ব-র-ল করে ফেলেছেন ঔপন্যাসিক শংকর। কিছু ঘটনা তো বুঝতেই পারছিলাম না। শুরুটা গতিময় ছিল। কিন্ত পপি বিশোয়াস, মদনা,তেলকালি, কলকালিকে দিয়ে উপন্যাস আগাবার প্রচেষ্টা জমেনি। বিরক্ত লাগছিল। কত অজানারে কিংবা চৌরঙ্গী কোনোটাই ঢাউস সাইজের নয়। পড়লে গেলে মনে হয় জমে ক্ষীর। সে হিসাবে শংকরের সহজাত প্রতিভার প্রকাশ ঘরের মধ্যে ঘর-এ নেই। তবুও শেষের দিকে কিছু হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা উপন্যাসের মোড় বদলে দেয়। পাঠককে বাধ্য করে মন খারাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে। জীবনে অনেককিছুই ঘটে যার হিসাব মেলে না। চর্মচক্ষুতে মনে হয় এমন তো হওয়ার ছিল না৷ ঠিক তখনই ঔপন্যাসিক ধন্ধে ফেল দেন।মানতে শেখান জীবন কখনও মানুষের পরিকল্পনা, ভাবনা মতো চলে না,জীবন সে তো সময়ের দাস বৈ কিছু নয়!
শংকর-এর ট্রিলজি'র প্রথম পর্ব 'কত অজানারে' উপহার পেয়েছিলাম ২০১৫ সালে, ২ বছর ফেলে রেখেছিলাম। ২য়টা পড়েছি সবার আগে, 'চৌরঙ্গী', ২০১৯ সালের শেষ দিকে। এরপর ২০২০ সালে 'কত অজানারে' পড়ার পর আজকে শেষ করলাম 'ঘরের মধ্যে ঘর'। ধারাবাহিকতা না মানায় কোন সমস্যা হয়নি অবশ্য; মূল চরিত্রটি (শংকরবাবু) এক হলেও কাহিনীগুলো বিচ্ছিন্নই বলা যায়। তিনটি গল্পের মাঝে মিল হলো--সবক'টিই শেষ হয়েছে ট্রাজেডি দিয়ে। আরেকটা মিল হলো, তিনটিরই কাহিনী আবর্তিত হয়েছে এমন একেকটি স্থান জুড়ে যেখানে সমাজের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তরা এসে মিলে যায়--যথাক্রমে কোর্ট, হোটেল আর ফ্ল্যাটবাড়ি বা আমরা যাকে বলি আজকাল এপার্টমেন্ট হাউজিং। শংকরের কৃতিত্ব হলো, এত রকম ধরণের এতগুলো চরিত্রকে বিশাল একেকটা ক্যানভাসে ধারণ করেও তিনি গল্পকে কখনো বাহুল্য হতে দেননি। উঁচুমানের গল্পবলিয়ে না হলে সেটা সম্ভব নয়। একই সাথে, প্রত্যেকটা চরিত্রই আমাদের পরিচিত, আমাদের চারপাশেই ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু তাদের আলোকিত আর অন্ধকার দিকগুলো যেভাবে তিনি তুলে এনেছেন, বহুদর্শী অভিজ্ঞ না হলে সেটা সম্ভব নয়।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যে আগ্রহী মাত্রেই এই ট্রিলজিটা পড়া উচিত, এবং শংকরের অন্যান্য অনেকগুলো লেখা পড়ার পরে এটা বলতে পারি, এই ট্রিলজি নিঃসন্দেহে তাঁর সেরা কীর্তি। পাঠক বিনোদন পাবেন, আনন্দ পাবেন, দুঃখটা আরো বেশি পাবেন, নিজের জীবনের সাথেও মিলিয়ে ফেলবেন অনেক সময়ই, একজন লেখকের কাছে এরচেয়ে বেশি আর কি প্রত্যাশা করা যায়? মানের কথা যদি বলি, প্রথমটাকে দেব সাড়ে চার, ২য়টাকে ৪, আর এই শেষটাকে দেব সাড়ে ৩। শেষটা কম কেন? অন্য দু'টোর তুলনায় এখানে নাটকীয়তা একটু বেশি, আর এত বড় একটা বইয়ের শেষটা এত তাড়াহুড়ো যে, মাত্র ২-৩ পৃষ্ঠাতেই সবকিছুর পরিণতি পেয়ে যায়। লেখকের কি পুজোসংখ্যা বা বইমেলার তাড়া ছিল? কে জানে! তবে গল্পবলার গুণের কারণেই, একটানেই পড়ে যাওয়া যায়, কোথাও আটকাবে না। রিডার'স ব্লকে ভুগলে ব্লক ছাড়ানোর ভাল ওষুধ হতে পারে এই তিনটি উপন্যাস। হাতে সময় থাকলে শুরু করে দিতে পারেন।
আর হ্যাঁ, তিনটি উপন্যাসেই সবরকমের মানুষের যে আলোকিত দিকগুলো তুলে এনেছেন শংকর, সে আলোর দেখা আমি নিজের জীবনের ঘোরতর অমানিশার সময়েই পেয়েছি। মানুষের উপর আমার বিশ্বাস তাই এই কলিকালেও কমে যায়নি, যদিও সতর্ক হতে শিখেছি। তার কারণ যে অন্ধকার দিকগুলো তিনি দেখিয়েছেন, দূর থেকে সেগুলোরও অনেককিছু দেখেছি, জেনেছি; সৌভাগ্যক্রমে মুখোমুখি হতে হয়েছে খুব কম। সৃষ্টিকর্তাকে এই সৌভাগ্যের জন্য তাই সর্বদা ধন্যবাদ না জানিয়ে পারি না। সব্বে সত্তা, সুখিতা ভবন্তু। জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
বেচারা শংকর! বেচারা ছাড়া আর কি, হাইকোর্টে বাবুগিরি করা এরপর কপাল পুড়লে কিছুদিন বেকার জীবন যাপন করা। সৌভাগ্যক্রমে চাকুরি হয়ে যায় হোটেল শাহজাহানে। আবারও কপাল খারাপ, শাহজাহান হোটেল তার প্রাচীন আভিজাত্য বাদ দিয়ে ঝাঁ চকচকে হতে থাকে, মালিকানাও হয় হাতবদল। ফলাফল আবারও বেকারত্ব, পথে পথে ঘুর ঘুর।
শংকরের জীবনের এইটুক অংশ যারা যারা আগের দুটো বই পড়েছেন তাদের সবার জানা। স্বাভাবিক কৌতুহল থেকেই যায়। কী হলো শংকরের? শংকরের হোটেল শাহজাহান পরবর্তী ধাপ, জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু হয় এই বই, ট্রিলজির শেষ পর্ব ঘরের মধ্যে ঘর বইটিতে।
লেখক শংকরের এই ট্রিলজির একটা বিশেষত্ব আছে। এই বই মানুষের কথা বলে। মানুষের জীবনের গল্প বলে। সমাজের উঁচুতলা থেকে নীচুতলা, উচ্চ বংশ কি হরিজন.. সবার। কপর্দকহীন, আশ্রয়হীন যুবক শংকর এক সুহৃদের সহযোগীতায় চাকুরি পায় থ্যাকারে ম্যানসনের ম্যানেজার হিসেবে। চলতে থাকে জীবন বিচিত্র সব মানুষের সাথে সাথে। কলকালি, তেলকালি, মদনা, বরদাপ্রসন্ন, সুলেখা সেন, পপি বিশোয়াস, জেঠমালানিরা পালন করেছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। সঙ্গে অবশ্য ছিল আরও অনেকে। এই ট্রিলজিটা ভালো, কিন্তু অনাবশ্যক রকমের দীর্ঘ। যা পড়তে পড়তে কিছুটা বিরক্তি নিয়ে আসে। তো এই আর কি। আপাতত শেষে হলো শংকরের সাথে পথচলা। তবে ট্রিলজির মাঝে চৌরঙ্গী বইটাই বেশ লেগেছে।
"কত অজানারে" দিয়ে যে গল্পের শুরু, "চৌরঙ্গী'তে" যার বাক বদল, "ঘরের মধ্যে ঘর-এ" এসে সেই গল্পটা পূর্ণতা পেল যেন। বাংলা সাহিত্যের অসামান্য একটা ট্রিলজি এই বই ত্রিদয়। বইটি হাসাবে,ভাবাবে এবং কখনো কখনো হয়তো চোখের কোণটা ভিজেও আসতে পারে। ঘরের মধ্যে ঘর পড়ে খুব আগ্রহী হয়েছিলাম এরপর শঙ্করের কী হলো সেটা জানার জন্যে। কিন্তু আমি যতদূর জানি,লেখক এই ট্রিলজকে এখানেই সমাপ্ত করেছেন। তবুও এই বইয়ের অন্য কোনো খণ্ড থাকলে আমাকে দয়া করে কেউ জানাবেন।
This is the third book of the Shankar series. The manner of storytelling of this series is exceptionally good, but at the same time lengthening the stories too much may lower its charm; at least that's what happened in this book. Can't deny some parts were pure delight to read but some were hard to even skim through. 2.75
I had been a fan of Sankar’s works, but in this book, I found the objectification of women and rampant misogyny too offputting no matter how well he spins a tale.
The third in a series that traces the life of Shankar, this time we found our protagonist being the naive ‘manager’ of Thackeray Mansion. It was interesting enough to read how finely Sankar sketches the happenings in this mansion, but there were too many machinations and dead bodies piling up to hold my interest. And, in Sankar’s eyes, women were the cause of misery, the tyrannical ones who ruled their poor husbands. It was around the 300-page mark that I had enough and sort of skimmed through to the end.
শংকরের সুবিখ্যাত ট্রিলজির প্রথম দুটি বই কত অজানারে এবং চৌরংগী আগে পড়া হয়ে থাকলে এ বই সম্পর্কে নতুন করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করবার কিছু থাকে না। তবে, উপন্যাসটির কলেবর সুবৃহৎ। কিছু কিছু ক্যারেক্টার বিল্ড আপের জন্য উপন্যাসে তাদের দিয়ে প্রচুর কথা বলানো হয়েছে, অত কথা না বলালে মনে হয় কোন ক্ষতি ছিলনা বরঞ্চ উপন্যাসটি আকারে কিছুটা ছোট হতে পারত, তাতে ভালই হোত।
As I arrived at the end of what was the final instalment of the trilogy of Shankar's adventures, I couldn't help but wonder how true Sankar's (the author) depiction of life is. It is indeed waging everyday battles to get by - a constant struggle for survival in the face of sorrow & despair, punctuated only by fleeting moments of happiness.
And that is pretty much how I'll leave this review of "Thackeray Mansion", the tale of stories within stories unravelling in homes within homes. Certainly compulsive reading for everyone who invests oneself in the travails of Sankar's eponymous protagonist in the city of Kolkata.
ঘরের মধ্যে ঘর আর সেই সব ঘরের মধ্যের গল্পের মধ্যে গল্প। একটা ম্যানসন বাড়িকে কেন্দ্র করে কত বাস্তব-অবাস্তব কাহিনি। বাড়ির ভাড়াটে কর্মচারীদের নানান সুখ-দুঃখ, উত্থান পতনের নানান আখ্যান।
Another brilliant Sankar novel. I have always loved Bengal and Sankar has only increased my love for the state and my longing to visit Calcutta one day...
ঘরের মধ্যে ঘর যেন জীবনের একটি নির্দিষ্ট সময়ের ছবি। শংকরের সরলতার আচ অনেকাংশেই ঠুনকো মনে হয়, এযুগে এমন মানুষ খুজে পাওয়া যায় না বলেই হয়তো। অনেক জায়গায় দীর্ঘ বিবরণ বিরক্তির উদ্রেগ করেছে। কিন্তু শেষটা করেছেন অসাধারণ। খুব সহজে দুঃখের কথা মনের মতো করে গুছিয়ে লেখার যে গাটস তা কতোজনের থাকে? একারণেই উপন্যাসটি অনেকদিন মনে থাকবে।
Mani Sankar Mukherji's third book after The Great Unknown and Chowringhee is on par with the other two. Mukherji presents another emotional and realistic view of urban life. His detailed character sketches take the reader into the story. Another must-read book.
Thackeray Mansion - Sankar Translator - Sandipan Deb Rating 3.75/5
2024 read.
I often incline to Sankar's writing owing to the simplicity. There may be many serious issues being described or discussed in his books, yet, the simplicity of his writing never fails to impress me.
Thackery Mansion is the third part of the trilogy comprised "The Great Unknown" and "Chowringhee". The book took off where Chowringhee had ended, Sankar being jobless tries his luck finding a new job. It is then he lands as a manager at the Thackeray Mansion. Sankar seamlessly changes the enterprise of enactmet but the nucleus of the story telling remains more or less same.
Though at 500 pages the book may seem a big ask, but it sure is a fast burner. There is not too much to introspect, not too much words which are new and not too many sentences or paragraphs which need a re-read.
There are books which transport you to another world as a citizen, over here it is more the case of a you staring from the window as the world around you happens. Even though I admire the simplicity of writing, the overdoing of things is clearly visible. Sankar, though writes with immense clarity, fails to capture each and every emotion of the character, and doesn't observe (and write) about each and every smallest pieces of the picture. The nitty gritty part needed to acquaint the reader - are all there.
Many of the plots of the book, seem to have been directly inspired by Chowringhee, just that Sankar has added a little extra - like example having two hostess against one. There are various social issues many of which look similar and familiar - poverty, unemployment, bureaucracy, prostitution, pimping, corruption, diplomacy, politics, struggles of people / foreigners post independence etc.
Sankar randomly sends people out of the plot and brings them back when he needs them to add a twist to the plot. The characters of the book go on pilgrimage, go abroad as in case of British people/ Anglo Indians, go out of town - suddenly becoming obscure. Imagine a character being lost at page 60 making a come back at page 390.
A nice book to enjoy in terms of story telling. But in terms of language, vivid observations I suppose, I woudn't rate extra-ordinarily.
The book is a mega saga of modern changes in our society. Whats make is great....is in spite the mammoth size of the book.....it still holds you to see what happened next to them. Hats off to Sankar