Travels and Adventures - of Turkish Admiral Side Ali Reis is an unchanged, high-quality reprint of the original edition of 1899. Hansebooks is editor of the literature on different topic areas such as research and science, travel and expeditions, cooking and nutrition, medicine, and other genres. As a publisher we focus on the preservation of historical literature. Many works of historical writers and scientists are available today as antiques only. Hansebooks newly publishes these books and contributes to the preservation of literature which has become rare and historical knowledge for the future.
Today, we Muslim suffering from identity crisis. We don't know our own history. Today we hear that American ship is patrolling in this sea, Russian in that sea, Chinese in another sea and so on. However, once upon a time the Ottoman's ships used patrol in the seas and oceans. They used to cast out fears in the heart of the Portuguese and Spanish invaders. Seydi Ali Reis, the author of this book was One of the Admiral of the Ottoman Sultan Sulaiman the magnificent. In this book he describes his adventurous journey through Arab sea and Indian Ocean. Because of Natural disaster they get lost in the sea and reached India. Then they returned to Turkey through land route. In their whole Journey they have to face many danger. Every Muslim should read this awesome book in search of their glorious past.
"দ্য অ্যাডমিরাল" বইটি মূলত "The Travels and Adventures of the Turkish Admiral Sidi Ali Reis: In India, Afghanistan, Central Asia" বই থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে। কিন্তু সত্যি বলতে অনুবাদের মান যথেষ্ট খারাপ। যদিও ইংরেজি অনুবাদটিও অনেকটা দুর্বোধ্য তার পরও বাংলার চেয়ে বহুগুনে ভালো। তাই যাদের পক্ষে সম্ভব তাদেরকে ইংরেজিটাই পড়তে অনুরোধ করবো।
লেখক এবং অনুবাদক পরিচিতিঃ সাইয়িদি আলি রইস বা সিদি আলী জন্ম গ্রহন করেন ১৪৯৮ সালে তুরস্কের গালাতা অঞ্চলে। কর্মজীবনে তিনি উসমানি খেলাফতের খলিফা সুলতান সুলেমানের একজন এডমিরাল (নৌসেনাপতি) ছিলেন। পর্তুগীজ দস্যুদের তাড়া করতে গিয়ে তিনি ভারত মহাসাগরেও উপস্থিত হয়ে গিয়েছিলেন। এবং এরই কোন এক ফাকে তার পা পড়েছিলো বাংলাদেশেও। সফলতাই ভরা এবং পদে পদে রোমাঞ্চে পূর্ণ বিশাল এই জীবনযজ্ঞ শেষ হয় ১৫৬৩ সালের জানুয়ারিতে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বইটি অনুবাদ করেছেন তরুণ লেখক এবং আলিমে দ্বীন সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর। কর্মজীবনে প্রধান সম্পাদক ছিলেন ইসলামিক মিডিয়া সেন্টারে। সাড়াজাগানো সাপ্তাহিক লিখনীর সহযোগী সম্পাদকও ছিলেন বেশ কিছু দিন। বর্তমানে তিনি মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।
বিষয়বস্তুঃ দ্য এডমিরাল বইটি সায়্যিদি আলি রইস এর আত্মজীবনী মূলক। এতে যেমন একাধারে রয়েছে আলি রইসের বীরত্ব ও সাহসগাঁথা অন্যদিকে রয়েছে ইতিহাসপ্রেমী ব্যক্তিদের আত্মার খোরাক। মধ্যএশিয়ার বৃহদাঞ্চল চষে বেড়িয়েছে তার নৌবহর। তার সেই সব ভ্রমন কাহিনী নিয়েই আমাদের এইবারের বই মিরআতুল মামালিক: দ্য অ্যাডমিরাল।
রিভিউঃ মিরআতুল মামালিক বইটি তদানিন্তন উসমানি খেলাফতের একজন নৌসেনাপতির ভ্রমণকাহিনী। বিধর্মী পর্তুগীজ দস্যুদের তাড়া করতে গিয়ে ভারত মহাসাগরে কিভাবে তিনি ভাগ্যবিড়ম্বনার সম্মুখীন হন, পনেরো শতকের সেই বিস্তর সফরনামা বিবৃত হয়েছে এডমিরালের নিজ জবানিতে। এর প্রতিটি বাক্যে বাক্যে রয়েছে টান টান উত্তেজনা, একজন সৈনিকের দৃঢ় মনোভাব, কাব্যের বিস্ময়কর ক্ষমতা, সর্বোপরি কঠিন বিপদেও আল্লাহর সাহায্যের বাস্তবিক নমুনা। পাঠক হারিয়ে যাবেন ইতিহাসের প্রাচীনতর তৃপ্তিদায়ক পাতায়। এ এক নতুন ভুবন যা ইতিহাসপ্রেমী সকল পাঠককে দিবে এক অদ্ভুত তৃপ্তি। এতে বর্ণিত হয়েছে কিভাবে তিনি ভাগ্যগুণে নিশ্চিত মৃত্যু হতে ফিরে এসেছেন, কিভাবে ভাগ্যক্রমে ভারত মহাসাগরে পৌঁছেছেন এবং শেষে তিনি বেঁচে ফিরে যেতে পেরেছিলেন কিনা এমনসব প্রশ্নের উত্তরও রয়েছে এই বইটিতে। সায়্যিদি আলি রইসের এই বইটি এমনিতেই বিখ্যাত। মুল তুর্কি থেকে আরবী ইংরেজী রাশান স্প্যানিশ পর্তুগীজ সহ প্রায় পনেরোটি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। তাছাড়া নৌপথের বিভিন্ন রেফারেন্স হিসেবে বইটি পৃথিবীর অনেক নৌবাহিনীর বিশেষভাবে পাঠ্য। যে সময়টাতে তিনি ভারতসহ বিস্তীর্ণ মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া সফর করেন সে সময়টা রাজনৈতিক নানা কারনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ। যেমন হিন্দুস্থান তিনি এমন সময় সফর করেন যখন সম্রাট হুমায়ুন তার হারানো দিল্লির সিংহাসন পুনর্দখল করেন। আবার তিনি দিল্লির শাহী প্রাসাদে মেহমান থাকাকালীন সম্রাট হুমায়ুন মৃত্যুবরণ করেন। হুমায়ুন এবং তার পুত্র আকবরকে তিনি সিংহাসনে সমাসীন দেখেছেন খুব কাছ থেকে। দেখেছেন সিংহাসন রক্ষার অনেক শাহী কূটচাল। যা ইতিহাসে আগ্রহী সকল পাঠককে বইটি অধ্যয়নে আগ্রহী করে তুলবে।
বইটির তেমন কোন নেতিবাচক দিক আমার চোখে পড়েনি। তবে একটি বিষয়, কাহিনী খুব দ্রুত এগোয়েছে। অর্থাৎ লেখক বলেছেন এই এই জায়গায় গিয়েছি কিন্তু জায়গার বর্ণনা তেমন একটা করা হয়নি। এবং মুল বাক্যের নির্দেশিত স্থানগুলোর সাথে টিকার অসমঞ্জস্য হওয়ায় খানিকটা খারাপই লেগেছে।
এছাড়া অনুবাদ প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে সবকিছুই বেশ ভালো হয়েছে।
আশাকরি বইটি সাহিত্যপ্রেমি বিশেষ করে ইতিহাসপ্রেমীদের আনন্দ জোগাবে। এবং আত্মার খোরাক হয়ে রইবে।
বই : মিরআতুল মামালিক : দ্য এডমিরাল মূল : সাইয়িদি আলি রইস অনুবাদ : Salahuddin Jahangir প্রকাশনী : নবপ্রকাশ প্রচ্ছদ : কারুকাজ পেজ : ১১৯ মুদ্রিত মূল্য : ১৫০
কাহিনী সংক্ষেপ : সাইয়িদি আলি রইস বা ইংরেজিতে সিদি আলি রেইজ একজন উসমানী খেলাফতের তুর্কী নৌসেনাপতি। তদানীন্তন উসমানী সাম্রাজ্যের অধীশ্বর সুলতান সুলেমান সাইয়িদি আলি রইসকে ভারত মহাসাগরের এডমিরালের পদে নিযুক্ত করেন। মূলত পর্তুগিজ দস্যুর মূলৎপাটন করাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। বসরা থেকে বিশাল রণতরী নিয়ে বেরিয়ে পড়েন খোলা সাগরে। একটি দ্রুতগামী সতর্কীকরণ জাহাজ তাদের আগে আগে হরমুজ প্রণালী ঘুরে এসে খবর দেয় সেখানে কোন পর্তুগিজ জাহাজ দেখা যায়নি। কিন্তু ভাগ্য বলে একটা ব্যাপার আছে। মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। এডমিরাল সাইয়িদি আলি রইসের ভাগ্যেও ঠিক এরকমই ঘটল। হরমুজ প্রণালী পার হতে না হতেই সম্মুখীন হলেন পর্তুগিজ দস্যুদের। উভয় দলের মাঝে সে কী ভয়াবহ যুদ্ধ! সমুদ্রের বুক যেন ভয়ঙ্কর কোন উন্মত্ত খেলায় মেতেছে। সেবার পর্তুগিজ দস্যুরা পিছু হটলেও পরের বার ঠিকই ক্ষিপ্র চিতার ন্যায় হামলে পড়ে। একদিকে পর্তুগিজ দস্যু আরেক দিকে উত্তাল সমুদ্রের রুদ্রঝড়। কোনটাকে সামলাবেন? পর্তুগিজ দস্যু না হয় গেল কিন্তু সমুদ্রের এ ভয়াল রুপ আর ভয়ঙ্কর ঘূর্ণির প্যাচ থেকে বাঁচবেন কিভাবে?
পাঠ প্রতিক্রিয়া : কাহিনী আসলে উত্তেজনাকর ঐ ভয়াল সমুদ্র পর্যন্তই। পরে যখন এডমিরাল সাইয়িদির রণতরী অচল হয়ে যায় তখন তিনি স্থলপথে ফিরে আসেন তার নিজ বাসভূমি ইস্তাম্বুলে। এই ফিরে আসার দীর্ঘ জার্নিতেও ঘটে গেছে বহু অপ্রীতিকর আর রাজনৈতিক ঘটনা যেগুলো কিসের কারণে যানি আমার কাছে খুবই বিরক্ত লেগেছে। মনে হয়েছে বর্ণনা ভঙ্গী আরেকটু সাবলীল বা সহজিয়া বা গতিময় যাই হোক হলে এ সফরটাও উত্তেজনাকর হতে পারত। এটা লেখক বা অনুবাদক কার ব্যাপার তা আমি বলতে পারব না, আমার কাছে যা মনে হয়েছে তাই বললাম। এই স্থলপথের সফরে বিভিন্ন রাজ্য তাকে ঘুরে যেতে হয়েছে, প্রতিটা রাজ্যেই কোন না কোন সমস্যার কারণে থামতে হয়েছে। এর সাথে সামাঞ্জস্য রেখেই হয়তো লেখক বইটির নামকরণ করেছেন মিরআতুল মামালিক ( রাজ্য দর্শন) একটা ব্যাপার বুঝিনি, সাজা ভাই নাকি চট্রগামের ইতিহাস ঘাটতে গিয়ে পেয়েছেন এই সাইয়িদি আলি রইস চট্রগামেও এসেছিলেন। তার ভ্রমণকাহিনীতে কিন্তু এদিকে আসার বিবরণ নাই। মন্দ ভাল যাইহোক কিছু উপকার তো পেয়েছি বইটিতে। যেমন এই এডমিরাল ধার্মীক ছিলেন, তার ভ্রমণের মাঝেই বিভিন্ন স্থানে বড় বড় মনীষী দিকপালদের মাজার জিয়ারত করেছেন। অনেকের মাজার কোথাই আছে এর আগে জানতামই না। অন্যদিকে তার খলিফা সুলতান সুলেমানের ব্যাপারেও জানার আগ্রহ মনের ভিতর উঁকি দিচ্ছে।
বইটির একটি অমর বানী
বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে শান্তি স্থাপিত হয় দুটি বিষয়ের উপর ভর করে - বন্ধুর প্রতি সৌজন্যতা এবং শত্রুর প্রতি সম্মান।
তুর্কি সুলতানের ভারত মহাসাগরের কাপুদান পাশা (এডমিরাল) হয়ে আসা সাইয়্যিদি আলি রইসের অর্ধ-পৃথিবী ভ্রমণের উপাখ্যান এটি। কখনো সমুদ্র-ঘুর্ণিতে পড়া জাহাজ কিংবা ইচ্ছার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার আখ্যান এ বই। শত পৃষ্ঠাব্যাপী তার চার বছর দীর্ঘ ভ্রমণের সারকথা। বাদশাহ হুমায়ুন থেকে ইরানের শাহ— সমুদ্রযুদ্ধ থেকে তুষারশুভ্র পাহাড়ি অঞ্চলে রোমাঞ্চকর যাত্রা, কী নেই এ বইতে? পুরো ভারতবর্ষ-আফগান হয়ে ইরান, ট্রান্সওক্সিয়ানা পুরোটাই ভ্রমণ করেছেন এই তুর্কি কাপুদান পাশা। টুকটাক অনুবাদের গলতি বাদে কোন সমস্যাই নেই বইতে। খুবই উপভোগ্য ও রোমাঞ্চকর। ইতিহাসের বীরপুরুষের হাতে প্রথম পুরুষে বিশদ বর্ণনা অতীত কালের। এতটুকুই যথেষ্ট আগ্রহীদের উন্মাদনা জাগাতে।
বইটির বাংলা নাম এবং প্রচ্ছদ অসাধারণ, মূলত এইটি দেখে বইটি পড়ার আগ্রহ ছিল।
নৌ সেনাপতি হিসাবে প্রথম দিকে কিছুটা কাহিনী আছে, তারপর বাকীটুকু মূলত ভ্রমণ কাহিনী বলা যেতে পারে। যেহেতু তাঁর ভ্রমন ইসলাম ও ভারত উপমহাদেশের ইতিহাস সম্পর্কিত, তাই বাঙ্গালী হিসাবে বইটি ভাল লেগেছে।
অনুবাদ সাবলীল, মূল লেখক যতটুকু লিখছেন অনুবাদ তার থেকে বেশী হবে না, এইটাই স্বাভাবিক। মূল লেখক তাঁর ভ্রমন সময়ে ডায়েরী আকারে লিখে গেছেন, পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ পেয়েছে। যার কারনে কাহিনীর বর্ণনা, একটা স্থান থেকে আর এক স্থানে ঘটনার সংযোগ, পারিপার্শ্বিক অবস্থা সবকিছুতে একটা অপূর্ণতা আছে। পড়তে যেয়ে সবথেকে বেশী অভাববোধ করেছি ঘটনা মনের চোখে ভেসে উঠে না, এক স্থান থেকে অন্য স্থান গিয়েছেন, কিছু ঘটেছে, সাথে ইতিহাসের সমন্বয়। তবে এইটুকু অবলীলায় বলা যায়, বইটি একবার পড়া শুরু করলে শেষ করা না পর্যন্ত একটা আকর্ষণ কাজ করে, এই দিক থেকে মূল লেখক অনেক সফল।
Note: I am reading the 1899 edition, not a modern reproduction. The existence of a translation is nice, yet I will take Valery's translation with a grain of salt, since in the introduction he admits to having "omitted all superfluous, flowery speeches, synonyms, and bombast non-essential to the right understanding of the text" (x)!
(about bangla translation)... রইস সাহেব একজন আড্ডাবাজ কবি, ব্যর্থ সেনাপতি কিন্তু সফল কুটনৈতিক। যাগায় যাগায় ঘুরে ঘুরে উনি মাজার যিয়ারত করছেন আর খুশিতে বিপদে কবিতা লিখে সবার মন জিতে নিছেন। সেই সময়ের ভারতে মুসলমান মুসলমান ক্ষমতার রক্তারক্তি, অমুসলিম মানেই নিরীহ পথচারীদের উপর ডাকাতি আর পর্তুগিজ মানেই বিধর্মী সন্ত্রাসী - এইসব বর্ণনা বেশ revealing.