জেগে জেগে দেখা স্বপ্ন কাউকে মহামানব করে তোলে, আবার কাউকে করে তোলে দানব। এ গল্পটা কার? কোনো মহামানবের, নাকি কোনো নৃশংস দানবের? কী অপরাধ করেছিলো সমীর আর রূপা? কী অপরাধ করেছিলো রবীন্দ্র সরোবরে আড্ডা দিতে বসা সেই চার তরুণ-তরুণী? আর শাহেরপুরের দাসপাড়ার বাসিন্দারা? তাদেরই বা কী অপরাধ ছিলো? কে এই শফিউর? কেন তার জন্মান্ধ দুই চোখের বিষ হয়ে উঠলো চোখে দেখতে পাওয়া মানুষগুলো? এই সব প্রশ্নের উত্তর এক এক করে খুঁজে বের করতেই আরো একবার মাঠে নেমেছে ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের জাঁদরেল গোয়েন্দা। উত্তর মেলে সব প্রশ্নেরই, তবু শেষ হয় না গল্প। কারণ এই গল্পের শেষ বলে যে আদতে কিছুই নেই...!
লিখনশৈলী দূর্দান্ত লেভেলের দূর্বল। লেখায় কোন সৌন্দর্য নেই। মনে হচ্ছে কোন একজন রিপোর্টারের রিপোর্ট টানা পড়ে গেলাম। ওদিকে নতুন অফিসার ময়ূখ আপাকে ডিবির জাঁদরেল গোয়েন্দা রায়হান সিদ্দিকী কেন এত ভরসা করলেন সে সায়েন্স বুঝতে পারলাম না। আমি অবশ্য দুধভাত পাঠক, এরকম লেখার মাহাত্ম্য হয়তো অন্য কেউ ধরতে পারবে। এই ধরুন, কোন এক লেখক। তবে আমি ধরতে পারলাম না এবং ধরতে না পারার দরুন ভালো লেগেছে বলতে পারলাম না।
এই গল্প পড়লে আপনার মনে হবে তদন্ত প্রক্রিয়া একদম ডালভাত রকমের সহজ জিনিস। ক্ষুরধার মস্তিষ্কের কোন প্রয়োজন নাই। শুধু পলিটিক্যাল পাওয়ার সংশ্লিষ্ট বাধাবিপত্তি যদি না থাকে তাহলে পৃথিবীর যেকোন হত্যা রহস্য জলের মতো তরতর করে সমাধান করা পুলিশের পক্ষে সম্ভব। আস্ত একটা টিভি চ্যানেল হ্যাক করার কথা নাইবা বললাম।
“Bad men need nothing more to compass their ends, than that good men should look on and do nothing”— John Stuart Mill - ❛যে গল্পের শেষ নেই❜ - রায়হান সিদ্দিকী, ডিবির একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। 'একটা গল্প শুনবেন?' এর ঘটনাবলীর কিছুদিন পরে তার টিমের কাছে এসে পড়ে এক চাঞ্চল্যকর কেস। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে থাকে কোন ধর্মীয় ফ্যানাটিকের কাজ সেগুলো। - কিন্তু কেসের তদন্ত প্রক্রিয়া যত আগাতে থাকে রায়হান আর তার টিম ততই বুঝতে পারে যে ষড়যন্ত্রের জাল কতটা বিস্তৃত। এখন কারা এই নাশকতাগুলো ঘটাচ্ছে আর তাদের আসল উদ্দেশ্য কী তা জানার জন্য পড়তে হবে লেখক তানভীর আহমেদ সৃজন এর সাসপেন্স থ্রিলার ঘরানার উপন্যাস ❛যে গল্পের শেষ নেই❜। - ❛যে গল্পের শেষ নেই❜ বইটি লেখকের গল্প সিরিজের ২য় পর্ব। টাইমলাইন অনুসারে এটি গল্প সিরিজের 'একটা গল্প শুনবেন?' এর কিছুদিন পরে শুরু হয়। বইয়ের কাহিনিশৈলী এবং তদন্ত প্রক্রিয়া অনেকটা সিরিজের প্রথম বইয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। বইয়ের লেখনশৈলীও সিরিজের আগের বইয়ের মতোই, তবে এবারে কলেবরে বেশ খানিকটা কমে এসেছে। - ❛যে গল্পের শেষ নেই❜ বইয়ের চরিত্রের বেশিরভাগই পুলিশ সদস্যই ছিলো, তার ভেতরে রায়হান আর ময়ূখ বাদে বাকিদের আলাদা করে চোখে পড়েনি। এবারের গল্পের নাশকতার মূল হোতাদেরও আগের গল্পের চেয়ে দুর্বল লাগলো। রায়হানের টিমে এত মানুষ থাকার পরেও একেবারে নতুন রিক্রুট হিসেবে ময়ূখ যেভাবে রায়হান সিদ্দিকীর ভরসার পাত্র হয়েছিলো তা কতটা বাস্তবসম্মত হয়েছে বলা মুশকিল। ❛যে গল্পের শেষ নেই❜ বইতে বিগত কয়েক বছরের চাঞ্চল্যকর কিছু ঘটনার ফিকশনালাইজড ভার্শন দেখানো হয়েছে তাই সেই এস্টার এগগুলো ধরতে পারলে বইটা আরো ভালো লাগার কথা। - এক কথায়, এই সিরিজের প্রথম পর্বের লেভেলে না গেলেও স্ট্যান্ড অ্যালোন স্টোরি হিসেবে ❛যে গল্পের শেষ নেই❜ একবার পড়াই যায়। তাই যারা সিরিজের প্রথম বইটি পড়েছেন এবং ভালো লেগেছে তারা ❛যে গল্পের শেষ নেই❜ বইটিও পড়ে ফেলতে পারেন।
তানভীর আহমেদ সৃজনের গল্প সিরিজের দ্বিতীয় বই এটি। প্রথম বই "একটা গল্প শুনবেন?" ছিল অনবদ্য। সেটার জনরা ছিল রেপ রিভেঞ্জ। কলেবরে ছিল ৪০০ পৃষ্ঠা। সিরিজের দ্বিতীয় বই সাইজে অর্ধেক হলেও, প্রথম বইয়ের রেশ ভালোভাবে টানতে পেরেছে। সিরিজে ডিবি'র তদন্ত এবং কার্যকলাপ খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। মূল চরিত্র রায়হান সিদ্দিকী ডিবিতে কর্মরত একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। গত বইয়ের মতো ওরকম ঠান্ডা মাথার সিরিয়াল কিলার নয়, এবার তার যুদ্ধ ভয়ংকর এক ক্ষমতাশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।এই বইটা স্ট্যান্ড অ্যালোন হিসেবে পড়া যাবে, কিন্তু তাহলে পাঠক পুরোপুরি বঞ্চিত হবে রায়হান সিদ্দিকীর চারিত্রিক বিবর্তনটুকু থেকে। পলিটিকাল, পুলিশ প্রসিডিউরাল, মিস্ট্রি, সাস্পেন্স... অনেকগুলো জনরাতেই ফেলা যায় বইটা। এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রেই "যে গল্পের শেষ নেই" সফল। উচ্ছ্বাসিত রেকমেন্ডেশন থাকল পুরো সিরিজটার ব্যাপারে।
কাহিনি সংক্ষেপঃ বিইউও বাংলার সাংবাদিক তাশিক কবির খুন হয়ে গেলেন। নৃশংসভাবে তাঁকে খুন করার পর খুনি তাঁর ঘরের দেয়ালে লিখলো 'তৌহিদী জনতা অস্ত্র ধরো, কাফিরদের কতল করো'। কোন ধর্মান্ধ উগ্রবাদীর কাজ? এর কিছুদিন আগে ঠিক একইভাবে খুন হয়েছিলেন মুক্তমনা লেখিকা শৈলী আফসানা। দুটো খুনের পেছনের মোটিভ আর খুনি কি একই? ডিবি'র এসি রায়হান সিদ্দিকীকে দেয়া হলো এই কেস। নিজের টিম নিয়ে তদন্তে নামলো সে।
কয়েক বছর আগে নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন সাংবাদিক সমীর আনোয়ার ও শাহরীন রূপা দম্পতি। কে বা কারা এসে একেবারে দিনেদুপুরে খুন করে রেখে যায় তাঁদের। কি এমন ঘটেছিলো, যে কারণে অমনভাবে মরতে হয়েছিলো এই সাংবাদিক দম্পতিকে? তাঁরা কি এমন কিছু জেনে ফেলেছিলেন, যা জেনে যাওয়া তাঁদের মোটেও 'উচিৎ' হয়নি? সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাংবাদিক তাশিক কবির আর লেখিকা শৈলী আফসানার খুনের সাথে এর কি কোন কানেকশন আছে?
তেরো বছর আগে ঢাকার অদূরে অবস্থিত শাহেরপুর এলাকায় জ্বলেছিলো হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার আগুন। এই আগুনে আসলে ঘি ঢেলেছিলো কারা? ওই দাঙ্গায় বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু হিন্দু মারা যায়। আর রাতারাতি পূরণ হয়ে যায় কিছু সুযোগসন্ধানী মানুষের উদ্দেশ্য। প্রমাণিত হয়ে যায়, ক্ষমতার নেশার মতো বড় নেশা আর হয় না।
রবীন্দ্রসরোবরে গানে আর আড্ডায় মশগুলো ছিলো কয়েকজন তরুণ-তরুণী। হঠাৎ-ই এক উটকো লোক এসে তাদেরকে ধর্মীয় জ্ঞান দেয়া শুরু করলো। তারপর কি ঘটেছিলো? কেনই বা ব্রেইনলেস শফিউর পেছনে পড়ে আছে কিছু মানুষের? কি চায় আসলে সে? প্রশ্ন করা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে, বুঝতে পারছি। কিন্তু আরো একটা জিনিসও আমি সেই সাথে বুঝতে পারলাম। সেটা হলো, ক্ষমতার লোভে মানুষ নিচে নামতে নামতে সেই নামাটা একটা সময় পাতালে পৌঁছেও শেষ হয় না।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ সাংবাদিক দম্পতি সাগর-র���নি হত্যাকাণ্ডের কথা মনে আছে আপনাদের? ১১ বছর আগে ঘটে যাওয়া এই জঘন্য ঘটনার আজও কোন সুরাহা হয়নি। ৯৫ তম বারের মতো পেছানো হয়েছে এর তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার তারিখ। ১০০ হয়ে যাবে শীঘ্রই। হঠাৎ সাগর-রুনির প্রসঙ্গ টানলাম কেন, তাই ভাবছেন? তানভীর আহমেদ সৃজনের 'যে গল্পের শেষ নেই' পড়তে শুরু করলে আপনিও এটা নিয়েই ভাবা শুরু করবেন, আমি নিশ্চিত৷ লেখক তাঁর এই উপন্যাসের তুলে এনেছেন এমন কিছু ব্যাপার যেগুলো সত্যিকারের ক্রাইম ইন্সিডেন্ট থেকে অনুপ্রাণিত। বিচারবিহীন এই ক্রাইম ইন্সিডেন্টগুলোর প্রতি সুবিচার করার চেষ্টা করেছেন তিনি। হোক সেই সুবিচার কাল্পনিক, তবুও। তানভীর আহমেদ সৃজনের এই চেষ্টাটা আমার ভালো লেগেছে।
গল্প সিরিজের দ্বিতীয় বই 'যে গল্পের শেষ নেই'। সিরিজের প্রথম বই 'একটা গল্প শুনবেন?' পড়েছিলাম আগে। তানভীর আহমেদ সৃজন ওটাও লিখেছিলেন কিছু ট্রু ক্রাইম ইন্সিডেন্ট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। গল্প বলার ধরণ তাঁর ভালোই। কিন্তু কিছু সমস্যা ছিলো। কয়েক জায়গায় ডিটেইলিং মাত্রাতিরিক্ত বেশি মনে হয়েছে, কয়েক জায়গায় একেবারেই কম। ব্যালেন্সটা প্রোপারলি মেনটেনড হয়নি মনে হয়েছে আমার কাছে। কিছু কিছু জায়গায় বেশ দীর্ঘ বাক্য ব্যবহার করেছেন লেখক। যে কারণে ওই লাইনগুলো একাধিকবার পড়তে হয়েছে পুরোপুরি বোঝার জন্য। ডিবি'র এসি রায়হান সিদ্দিকীকে বারবার 'জাঁদরেল' গোয়েন্দা লেখাটা বিরক্তির উদ্রেক করেছে। আর চন্দ্রবিন্দু জনিত বানান ভুলের মাত্রাটা থেকেই গেছে অনেক জায়গায়, যেটা নিয়ে আমি 'একটা গল্প শুনবেন?'-এর রিভিউয়ের পাঠ প্রতিক্রিয়াতেও আলোচনা করেছিলাম।
'যে গল্পের শেষ নেই'-এর এন্ডিংটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। তানভীর আহমেদ সৃজনের গল্প সিরিজের আরেকটা বই 'গল্প শুরুর আগে' ২০২৩-এর বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। এটা সম্ভবত প্রিকুয়েল। পড়বো হয়তো কোনদিন। আমি মনে করি, নিয়মিত লেখালেখি করলে লেখকের লেখার আরো উন্নতি হবে। আর ভালো করার সুযোগ তো সবসময়ই থাকে, তাই না? 'যে গল্পের শেষ নেই'-এ কৌশিক জামানের করা প্রচ্ছদটা মোটামুটি ভালো লেগেছে।
ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৩.২৫/৫ গুডরিডস রেটিংঃ ৩.৮২/৫
#Review_of_2023_06
#Review_JGSN
সমাপ্ত!
(২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, শুক্রবার, বিকাল ৪ টা ৪৩ মিনিট; নাটোর)
বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া বেশকিছু সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং তার সাথে নিজের কল্পনাশক্তি দিয়ে লেখক তানভীর আহমেদ একটি জনপ্রিয় সিরিজ রচনা করেছেন, “গল্প সিরিজ”। সেই গল্প সিরিজের তৃতীয় বই এইটি.. “যে গল্পের শেষ নেই”। আর পাঁচটা সাধারণ থ্রিলার গল্পের মতো কিন্তু এই গল্পটা শুধুমাত্র আমাদের টানটান থ্রিল দিয়েই শেষ হয়ে যায় না। এর বিস্তৃতি তার চেয়েও বেশি। লেখক এই উপন্যাসের মাধ্যমে আমাদের সমাজের একটা অন্ধকারতম দিক তুলে ধরেছেন। একশ্রেণী মানুষের লোভ-লালসা, ঈর্ষা, প্রতিহিংসা, ক্ষমতার প্রতি লোলুপতা এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষ যে কিভাবে সমাজের আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের উপর কতটা নির্মম আকার নিতে পারে তার জলজ্যান্ত দলিল হলো এই বই। এই উপন্যাসটি মূলত অন্ধকারের কথাই বলে, কথা বলে ক্ষমতায় বসে থাকা একদল মানুষের স্বার্থ-চরিতার্থতার, কথা বলে ধর্মের নামে অধর্মের, আর সর্বপরি কথা বলে আমাদের জঙধরা নড়বড়ে সিস্টেমের। লেখক বলেছেন, “যেই সত্য ঘটনাগুলোর অনুপ্রেরণা এই উপন্যাসটির পেছনে কাজ করেছে, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে সেই ঘটনাগুলোর ভুক্তভোগীরা কেউই ন্যায় বিচার পাননি। বরং দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে সীমাহীন অন্যায়ই হয়ে আসছে তাদের সঙ্গে। সেই অন্যায়ের যাতাকলে পিষ্ট হতে হতে কেউ কেউ হয়তো ইহলোকে ত্যাগ করেছেন, আবার কেউ কেউ আজও দাঁতে দাঁত চেপে বেঁচে আছেন এই ভেবে যে এটাই হয়তো তাদের নিয়তি।” এই গল্পের মাধ্যমে লেখক সেই সমস্ত নিপীড়িত মানুষদের ন্যায় বিচার পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কারণ লেখক তার কল্পনার রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি সে নিজেই, এবং সেখানকার আইনকানুনও তার হাতে।
গল্পটা যদি একটু করে বলি, হঠাৎ করেই ঢাকা শহরে এক লেখিকা আর একজন সাংবাদিককের খুন হয়ে যায়। দু'জনকেই গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর খুনি খুন করার পর দেওয়ালে লিখে রেখে গেছে “তৌহিদী জনতা অস্ত্র ধরো, কাফিরদের কতল করো” । এই হত্যা রহস্যের তদন্তে নামেন ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের জাঁদরেল গোয়েন্দা রায়হান সিদ্দিকী। তদন্তের শুরুতে এই হত্যাকে নিছক কোনো ধর্মান্ধ উগ্রবাদীর কারনামা মনে হলেও পরবর্তীতে এই হত্যার তদন্তে রায়হান সিদ্দিকীর কাছে এমন কিছু এসে পড়ে যার দ্বারা তার সমস্ত হিসাব নিমেষে বদলে যায়। এক ভয়ংকর অতীত উঠে আসে সামনে। শুধুমাত্র এই দুটো হত্যাই নয় আরও একাধিক নৃশংস হত্যা রয়েছে এর পিছনে যা এতদিন ছাইচাপা ছিলো। কথায় আছে না পাপ কখনো চাপা থাকে না। - কী ঘটনা ঘটেছিল অতীতে যা বছরের পর বছর ধরে অন্ধকারের আড়ালে রয়েছে! এবং কেনইবা এতগুলো মানুষদের প্রাণ দিতে হলো! কে বা কারা রয়েছে এর পেছনে! রায়হান সিদ্দিকী কি পারবে সমস্ত কিছুর মীমাংসা করতে!!! এর বেশি জানতে হলে বইটা পড়তে হবে...
প্রসঙ্গত বলে রাখি এই সিরিজের প্রথম দুটো বই হলো “গল্প শুরুর আগে” এবং “একটা গল্প শুনবেন”-দুটো বই-ই বর্তমানে বেনজিন প্রকাশনী থেকে বের হয়। …………………………………………………… “যে গল্পের শেষ নেই” লেখক- Tanvir Ahmed SrijOn প্রকাশনী- বেনজিন (নতুন সংস্করণ) মূল্যঃ ৩০০/-
বইটা শুরু থেকেশেষ পর্যন্ত টান টান উত্তেজনায় ভরপুর! কাহিনীর ঘনঘটা যে রোলার কোস্টার গতিতে আগিয়েছে আসলেই প্রশংসনীয়! গল্প সিরিজ আমার প্রিয় সিরিজের তালিকায় চলে এসেছে! সমাজের বিভিন্ন বাস্তব ঘটনাবলীর প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠছে এই সিরিজে!
A must read for all thriller lovers!
নামঃ যে গল্পের শেষ নেই লেখকঃ Dewan Tanvir Ahmed Srijon জনরাঃ থ্রিলার পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৭৬ প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশকঃ Mohammad Nazim Uddin রেটিংঃ ৫/৫ প্রকাশকালঃ বইমেলা ২০২২ মুদ্রিত মূল্যঃ ২২০
ভালো লেগেছে। এর আগে লেখকের একটা গল্প শুনবেন পড়েছিলাম যেটা অনেক ভাল লাগে। তার তুলনায় এটা একটু কম ভাল লাগে। আর আফসোস ছিল গল্প বড় হল না কেন তাই। তবে মৌলিক লেখার মধ্যে অনেক জোস একটা বই।