আজকের প্রজন্ম রাজাকারের বিচারের দাবীতে সোচ্চার। কয়জন বলতে পারবে মৃত জামাতকে কে হাতে ধরে এনে জীবন দিয়েছিলো? কে আল বদর কম্যান্ডারকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলো? বঙ্গবন্ধুর খুনিরাও যেই কাজটি করার মত ধৃষ্টতা দেখায়নি, সেই আল-বদর রাজাকারদের বাংলার মাটিতে পুনর্জন্ম দেয় কে? দালাল আইন বিলুপ্ত করে কে? ১১,০০০ গ্রেফতার হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দেয় কে?
এই বই অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর দেবে বলে আশা রাখি। পড়তে পড়তে দেখবেন খালকাটা সদাহাস্য দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট জিয়ার হাতে কত হাজার হাজার সেনা কর্মকর্তা/অফিসারদের রক্ত লেগে আছে। দেখবেন সারাদিন খাল কেটে এসে রাতের বেলা বিভিন্ন সামরিক জেল খানায় একটা চিকন স্টিলের তারে এক সাথে পঞ্চাশজন মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসারের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে কি না সেটা হাত দিয়ে টিপেটুপে দেখা একজন অপরিচিত জেনারেলকে। দেখবেন অর্ধ-মৃত অবস্থায় জীবন্ত কবর দেয়ার দৃশ্য দেখতে হাজির হয়ে যাওয়া এক জেনারেলকে। জানতে পারবেন জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করতে কতগুলো প্রচেষ্টা চলেছে দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে (সংখ্যাটা অবিশ্বাস্য, ২১টি)। আর ক্যু -এর মিথ্যা অভিযোগে কত শত শত নিরীহ মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ সামরিক অফিসার/কর্মকর্তা/কর্মচারি প্রাণ দিয়েছেন।
বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষত বইটিতে উল্লেখ করা রেফারেন্স গ্রন্থগুলো পড়ার আগ্রহ জেগেছে। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ এবং মেজর জিয়া সম্পর্কে জানতে এই বইটি সহায়ক।
"বাংলাদেশকে জানি" #৬ এর থেকে বাজে প্রোপাগান্ডা মূলক বই বাংলার ইতিহাসে মনে হয় লেখা হয় নাই। যেই বইয়ে "অমি রহমান পিয়াল" এর ২ টা লেখা সংকলিত হয়, সেই বইয়ের ক্রেডিবিলিটি নিয়ে কথা বলাই বাহুল্য। আমজনতার জ্ঞাতার্থে, অমি রহমান পিয়াল এমন এক ব্যাক্তি যে পুরা জুলাই গণহত্যার সময় আনন্দ, সরকার সমর্থন এবং এত চাটুকারিতা মূলক পোস্ট কন্টিনিউয়াসলি দিয়ে গেসে (এবং এখনো দিয়ে যাচ্ছে), যে আরাফাত, নিঝুম মজুমদার লেভেলে নিয়ে যাইতে পারসে নিজেকে। সারপ্রাইজিংলি এর ২ টা লেখাই ইক্টু জাতের হইসে, বাকিগুলার অবস্থা আরো তথৈবচ।
জিয়া দুধে ধোয়া তুলসিপাতা ছিলেন না। বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে জিয়ার অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ, ৩, ৭ নভেম্বর এবং এর পরবর্তীকালে সেনাবাহিনীর সাথে তার বিশ্বাসঘাতকতা, প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে প্রায় ১২০০ সৈনিকের মৃত্যুদণ্ড এগুলা প্রশ্নাতীত সত্য। কিন্তু তাই বলে একটা সেক্টর কমাণ্ডারকে পাকিস্তানের চর, তার যুদ্ধে অবদান, স্বাধীনতার ভাষণ নিয়ে প্রতিনিয়ত বানোয়াট রেফারেন্স দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা খুবই চোখে লাগে।
এরকম থার্ডক্লাস একটা বায়াসড বইয়ের ভূমিকায় লেখক কয়েকবার এই বইকে "নির্মোহ বিশ্লেষণ" বলে যে হিপোক্রিসির পরিচয় দিয়েছেন এটা ক্লাস ৫-৬ এর বাচ্চা পড়লেও বুঝবে।
মুদ্রণজনিত কিছু সমস্যা বাদ দিলে বেশ সুখপাঠ্যই ছিল বইটা। অধ্যায়গুলো সংযোজিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকা ও ব্লগপোস্ট থেকে। এই বইটা পড়ে আমার সবচেয়ে বেশি উপকার যেটা হয়েছে সেটা হলো, বেশ কিছু রেফারেন্স বইয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে (থাকারই তো কথা!)। যেগুলো এখন পড়ার ইচ্ছে জেগেছে।
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ইতিহাস ব্যালেন্সিংয়ের যে ভ্রান্ত ধারণা সমাজে প্রচলিত আছে, তা বইটি পড়ে সম্যক ধারণা লাভ করেছি।বইটি পড়ার রেফেরেন্স দেখে আরো বই পড়ার উৎসাহ পেয়েছ।বেশ কিছু অপ্রিয় সত্য উন্মচিত করা হয়েছে বইটতে।স্বাধীনতার পূর্বে এবং পরে জিয়াউর রহমানের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ উঠে এসেছে বইটিতে।