ছোটবেলায় যে কয়টি উপন্যাস পড়ে বারবার ঝরঝর করে কেঁদে ফেলতাম তার মধ্যে অন্যতম হলো জাফর ইকবাল স্যারের "আমি তপু" । ঠিক অনেকটা সময় পেরিয়ে আজ আবার নতুন করে সেই অনুভূতি ফিরে পেয়েছি । বইটি পড়ার সময় চোখের কোণায় কিছু একটার উপস্থিতি লক্ষ্য করেছি বেশ কয়েকবার । লেখকের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা,কিছু সময়ের জন্য হলেও সেই অনুভূতিটা কে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
নিঃসন্দেহে ভালো উপন্যাস কিন্তু সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের ছোটদের লেখায় মাস্টারি ভাব প্রবল। (এর আগে "জিপুর যাওয়া আসা" পড়েও একই অনুভূতি হয়েছিলো।) নায়ক রবি সৎ, প্রতিভাবান, আপোষহীন, সাহসী ( একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না হাইস্কুল পড়ুয়া একটা ছেলের জন্য?) সে বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়ে কিন্তু নিজের যোগ্যতায় অতিদ্রুত সেসব কাটিয়ে ওঠে। রবি যেভাবে চায়, জগৎ সেভাবেই চলে। বইয়ের ঘটনাগুলো রবির নায়কোচিত ভাবটা প্রবল করার উদ্দেশ্য নিয়েই রচিত। ছিমছাম লেখা, একটানা আনন্দ নিয়ে পড়ে ফেলা যায় কিন্তু কাকতাল, মহত্ত্ব ও উপদেশ একটু কম থাকলে ব্যক্তিগতভাবে স্বস্তি পেতাম।
পলাশের কথা মনে আছে?আরে সেই যে সঞ্জীবের লেখনীর সঞ্জীবনী সুধায় সিক্ত যে ছেলেটির অদম্য মনোবলের মাত্রা দেখে মনের মনিকোঠায় যাকে জায়গা দিতে হয়েছিল অজান্তেই।
আজকে রবি আবার পলাশের কথাই মনে করিয়ে দিল।
স্বর্গ থেকে ছিটকে আসা স্বপ্নের মতো সুখের পরিবার যার ভেংগে গিয়েছিল বাবার হঠাৎ না বলে পরপারের পাড়ি জমানোর জন্য,যে বাবা তাকে শিখিয়ে ছিল আত্মকেন্দ্রিক হওয়ার চেয়ে আত্মভোলা মানুষের আত্মা পরিশুদ্ধ থাকে, আত্মসুখের জন্য আত্মসমর্পণের চেয়ে পরার্থে নিজেকে বিলিয়ে এক অপার্থিব অনুভুতির সন্ধান শৈশবেই দিয়েছিল তাকে যে জনক।
সেই বটগাছটাই যখন শেকড় আগলা করে রবির জীবনে হাহাকারের রব তুলে চিরতরে হারিয়ে গেল ,সেই সময়ের সম্মুখ সমরের সাথে অন্তর্দ্বন্দ্বের দুর্বিপাকে দুরাচারী না হয়ে বরং নিজে বেড়ে উঠে আশেপাশের সব অগোছালো স্বপ্নগুলো গড়ে তুলছে তিলোত্তমার মতো করে।
হাওড়ার ধোঁয়ায় ধূসর আকাশের অসূয়ার কাঁটা যাকে বিঁধতে পারেনি বরং মউদিঘীর সেই মেঘের পালকের মতো অম্বরে মিলিয়ে দিয়েছে যত দুঃখ প্রতিবন্ধকতা, সোনাঝরা রোদ্দুরের আঁচে জিইয়ে রেখে বাবার আদর্শ ,মায়ের শিক্ষা।মেঘ দেখে যে ভয় না করে আড়ালের সূর্যটাকে ঠিক জয় করে এনেছে , বিধুমুখীর নরম আলোয় ঝলমল করেছে তার নামের স্বার্থকতা
এমন মন ভালো করা ছেলের জন্য কি মায়ায় না পড়ে মন থেকে মুছে ফেলা যায়?!
অনেকদিন পর ভালো একটা কিশোর উপন্যাস পড়লাম। সর্বশেষ ছিল পাতাঝরার মৌসুমে। যদিও ওটা বড় পরিসরে আর পুরোপুরি কিশোর নয়। যাইহোক, মেঘ-ছেড়া রোদ, নিরীহ কিন্তু মন খারাপ করা একটা উপন্যাস। খুবই হালকা ধাঁচে লেখা। কৈশোরের নস্টালজিয়া, টানাপোড়ন, হালকা এডভেঞ্চার আছে। শেষটাও সুন্দর। সবমিলিয়ে ভালো লেগেছে। লেখকের অন্য বইগুলোও দেখতে হবে।
এই উপন্যাস টা অনেক আগে পড়েছিলাম। আজ goodreads এ পেলাম। ১৪২০ র আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকী তে প্রকাশিত হয়েছিলো। তখন ক্লাস 7 এ পড়তাম মনে হয়, সেই মনে আছে, পড়ছি আর ঝরঝর করে কাঁদছি। পুরোটা পড়ার সময় ই চোখে জল ছিল। উফফ শেষ টা পড়ার পর মনে হয়েছিল যে এর থেকে ভালো শেষ বোধহয় আর হতে পারে না। এর পরেও বহুবার বইটা খুলে নিয়ে পড়েছি উপন্যাস টা। একরাশ ভালোলাগা নিয়ে শেষ করেছিলাম। এও মনে আছে তারপর থেকে প্রত্যেকবার পূজাবার্ষিকী খুলেই দেখতাম সৌরভ মুখোপাধ্যায় র লেখা আছে কিনা! .😇😇.. মন ভালো করে দেওয়া একটা উপন্যাস।
কিশোর বয়সীদের তো বটেই, বড়োদেরও মন ছুঁয়ে যাবে এই গল্পটি।রবির বাবার মৃত্যুতে নিজের অজান্তেই আমার চোখের কোনও ভিজে এসেছিল।
কাহিনী সংক্ষেপ : মউদিঘি নামের এক মফস্বলের ছেলে রবি। বাবার আদর্শেই সে বড় হয়ে ওঠে।ক্লাস সেভেনে পড়াকালীন হঠাৎই তার বাবা গত হন। তখন সেই মফস্বল এলাকা, বন্ধু বান্ধব, প্রিয়জন সবাইকে ছেড়ে তাদের চলে যেতে হয় তার মামারবাড়ী। মফস্বল থেকে শহরের স্কুলে এসে ভর্তি হয় রবি।এরপর থেকেই তাদের জীবনের অনেককিছুই পাল্টে যায়। এতদিন তারা নিজেদের বাড়িতে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতো কিন্তু এখন তারা বলতে গেলে গৃহহীন, পরাশ্রিত। শুরু হয় তার আর তার মায়ের জীবনযুদ্ধ।
'বাবা-মা' নাম দুটো আক্ষরিক অর্থে খুবই ছোটো, কিন্তু এর বিস্তার, এর মাহাত্ম্য আমাদের প্রত্যেকের জীবনে অনেক। কিন্তু এই বিস্তৃত হওয়ার ক্ষমতা যখন বিঘ্নিত হয় তখন প্রকৃত অর্থে বোঝা যায় বাস্তব জীবন কতটা কঠিন।
মায়ায় জড়ানো ছবির মতো সুন্দর মউদিঘি নামের এক মফস্বলে বাবার শিক্ষায় এবং মায়ের জীবনদর্শনের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ক্লাস সেভেনের রবি মিত্রর জীবন বেশ ভালোই কাটছিল। খুব সুন্দর, সাজানো গোছানো পরিবার তাদের। কিন্তু বাঁধ ভেঙে যায় রবির বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলে। এরপর থেকেই শুরু হয় মা এবং ছেলের জীবনযুদ্ধ। রবির বাবার চাকরিসূত্রে পাওয়া কোয়ার্টারে তারা থাকত, কিন্তু এখন তিনি না থাকায় তাদের এই কোয়ার্টার ছেড়ে দিতে হবে। তাছাড়া তার বাবা তেমন কিছু সঞ্চয়ও করে যেতে পারেনি, যার দ্বারা তাদের সংসার চলবে। এমতাবস্থায় তাদের মউদিঘি ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।
মউদিঘির সুন্দর-শান্ত-নিরিবিলি জনপদ, গাছপালা, আকাশ, নদী, পাহাড়, মাঠ, স্কুল,বন্ধুবান্ধব এবং রামানুজ স্যার, এইসব কিছু ছেড়ে রবিকে চলে যেতে হবে তার মাকে নিয়ে হাওড়ায় তার মামাবাড়িতে। কিছুদিন আগেও তারা নিজের বাড়িতে থাকত, একদম নিশ্চিন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে। কিন্তু এরপর থেকে তারা গৃহহীন এবং পরাশ্রিত। অন্যের বাড়িতে,অন্যের উপরে নির্ভরশীল হয়ে জীবনযাপন করতে হবে তাদের। তবে যাওয়ার আগে "ফিসফিস করে যেন নিজের কাছেই প্রতিজ্ঞা করে, যতদিন লাগুক, যেভাবেই হোক.... শেষ পর্যন্ত সে ফিরবেই একদিন। এখানে। হ্যাঁ এই মউদিঘিতে।" সত্যিই কি রবি কোনোদিন আর মউদিঘিতে ফিরতে পারবে? নাকি নতুন পরিবেশ, নতুন স্কুল, নতুন মানুষজন এই সবকিছুর সাথে মানিয়ে নিয়ে পরিবর্তন হবে সে অন্য রবিতে? এরপর কোনদিকে মোড় নেবে তার জীবন?
সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের লেখা আগেও পড়েছি। খুবই ভালো লেগেছিল। এটিও তার ব্যতিক্রম নয়। খুব ভালো লাগলো বইটি পড়ে। সহজ সরল সাবলীল ভাষায় তিনি যেভাবে তাঁর লেখা ফুটিয়ে তোলেন, তা এক কথায় অমা��়িক। আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই কখনো না কখনো জমকালো মেঘের ঘনঘটা দেখা যায়। কিন্তু একসময় সেই মেঘ ছিঁড়ে রোদ ঝলমলিয়ে ওঠেই ওঠে। তবে সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন মেঘলা দিনে সঠিক পথে চলতে পারাটাই জীবনে আসল পরীক্ষা। রবি কি তার নিষ্ঠা, সততা বজায় রেখে বাবা-মায়ের আদর্শে বড়ো হতে পারবে নাকি অন্যান্য ছেলেদের মতো সেও বদলে যাবে?
উপন্যাসটি যদিও কিশোর পাঠ্য তবে বড়োরাও সমানভাবে উপভোগ করতে পারবেন। আমি তো অন্তত করেছি। তবে হ্যাঁ দু-একটা বিষয় একটু অতিরঞ্জিত লেগেছে রবির বয়স অনুপাতে। ১৩ বছরের ছেলের পক্ষে ওগুলো সম্ভব কিনা জানিনা। বাকি এটা বলতেই হবে উপন্যাসে যেভাবে লেখক কিশোরমনের সংশয়, আবেগ, সততা, বিবেক, মানবিকতা, বন্ধুত্বের প্রতি মর্যাদাকে ফুটিয়ে তুলেছেন তা সত্যিই এক কথায় অসাধারণ। যথেষ্ট শিক্ষনীয় এই বই। এই বই পাঠ করলে সত্যিই মনের ভাব উন্নত হয়। বইটাতো পাঠ করে ভালোই লেগেছে, তবে সাথে উপরি পাওনা ছিল বইয়ের ভেতরের অলংকরণগুলো।
পাঠকদের বলবো পড়ে দেখতে পারেন বইটি একবার। আশা করি ভালো লাগবে।
শুরুটা মন্দ ছিল না। লেখকের নিপুণ লেখনশৈলীতে মৌদিঘির নদীর মিষ্টি স্রোতের মতোই এগোচ্ছিল। এই সহজ সরল লেখনীর জন্যই রেটিং এ বাড়তি একটা তারা দিয়েছি।কিশোর উপন্যাস তাই লাইট রিড হিসাবেই পড়ছিলাম । বাদ সাধল শেষের দিকে এসে। কিশোর উপন্যাস অধিকাংশ জায়গাতেই একটা আদর্শকে তুলে ধরতে চায় কিশোরদের কাছে। এই জায়গাতেই এই উপন্যাস হয়ে গেছে ছোটা ভীম সুলভ। না আমি শুধুমাত্র পাঁজা লড়াইতে এক কিশোরের নিজের থেকে ৩-৪ বছরের বড় মস্তানমার্কা দাদাকে হারানোর কথা বলছি না।বা একাই একটা মাদক পাচারকারী চক্রকে ধরিয়ে দেওয়ার কথাও বলছি না। কিশোর উপন্যাস তাই এটুকু মন ভালো করা জিনিস থাকতেই পারে সেটা আমিও জানি। উপন্যাসের শেষের দিকে একটা ভ্রান্ত আদর্শ দিয়ে তরুণদের প্রভাবিত করার এই প্রচেষ্টা মেনে নিতে পারি না।
প্রশ্ন - ক্লাসের বদমাস ছেলেরা পরীক্ষায় টুকলি করছিলো সেটা ক্লাসে নতুন ভর্তি হওয়া ছেলেটা ওদের বুঝিয়ে বলতে গেলে ওরা ওকে ফাঁসায়, ভাগ্যক্রমে সেই নতুন স্কুলের হেডমাস্টার ওই ছেলেটার পুরনো স্কুলের হেডমাস্টারের বন্ধু হওয়ায় নতুন ছেলেটা সে যাত্রা বেঁচে গেলো। ছেলেটার বাড়ি ফেরার পথে আড়াল থেকে লুকিয়ে ওই বদমাশ ছেলেদের দল ওকে মারতে শুরু করল, ওকে পুকুরের জলে ছুড়ে ফেলার উদ্দেশ্যে। এই অবস্থায় আর বদমাস বলব না এবার সোজা ক্রিমিনালই বলছি তা সে হোক না যতোই নাবালক । তো ওই ভালো ছেলেটাকে জলে ছুড়ে ফেলার সময় ক্রিমিনাল দলের একটা ছেলেকেও ছেলেটা টেনে নিয়ে জলে পড়ে। ভাগ্যক্রমে ছেলেটা সাঁতার জানত কিন্তু ক্রিমিনাল ছেলেটা জানত না। ছেলেটা নিজেও যথেষ্ট আহত আর ক্লান্ত। এই অবস্থায় যেখানে সাঁতার জানলেও ক্লান্ত শরীরে নিজের প্রাণ বাঁচানোটাই দায় সেখানে ছেলেটার কি উচিত নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ওই ক্রিমিনালটাকে বাঁচানো?
উত্তর - না ,না এবং না। এখানে মেকি ভালো মানুষী দেখানোর জন্য লেখক একজন ক্রিমিনালকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে দুটো নিরীহ জীবন নষ্ট করাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। প্রথম অন্যায় এই ভালো ছেলেটার সাথে। একটা ক্রিমিনালকে আগে বাঁচানোর জন্য একটা ভালো ছেলে নিজের প্রবল সম্ভাবনা কে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে ক্রিমিনালটাকে আগে উদ্ধার করার মহত্ত্ব দেখাতে গিয়ে। এটা কিন্তু সমাজের সাথেও অন্যায়।ভাগ্যক্রমে আশেপাশে তখন লোক চলে এসেছে তারাই জলে ঝাঁপ দিয়ে ভালো ছেলেটাকে বাঁচায়। দ্বিতীয় অন্যায় হচ্ছে এই ভালো ছেলের বিধবা মায়ের সাথে যে তার দাদার সংসারে আশ্রিত হয়ে সব লাঞ্ছনা অপমান সহ্য করছে নিজের একমাত্র সন্তানকে একটা জীবন দেওয়ার জন্যে। আইনের দিক থেকে ভেবে দেখতে গেলে একজন ক্রিমিনাল কে আড়াল করার প্রচেষ্টাও কিন্তু অন্যায়ই গণ্য হয়। হ্যাঁ আইন অপরাধ এই সব কথাও বললাম কারণ গল্পের ওই ছেলেটার এই সেন্স বেশ টনটনে। কথায় কথায় শিক্ষক ছাত্র মামা পুলিশ সবাইকে জ্ঞান দিয়ে বেড়ায়। তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, ডিবেট এ বরাবর ফার্স্ট হয়। তাই আরেকবার বলতে চাই আদর্শ মানে শুধুই আত্মবলিদান নয়। অনেক লেখকই আদর্শের মধ্যে শুধু আত্মবলিদান দেখতেই ব্যস্ত। একটা খারাপের সাথে ভালো করার জন্য নিজের ভালোটাকে বলিদান করা সবসময় যৌক্তিক নয়।
পুনশ্চ - বেশ অনেকগুলোই পজিটিভ রিভিউ পড়েছে এই বইয়ের জন্য। যদিও স্ট্যাটিসটিক্স এর হিসাব করার জন্য এই স্যাম্পল সাইজ বেশ ছোট। তাও সাহস করে বলছি অধিকাংশ পসিটিভ রিভিউয়ার নিশ্চয় ছোটা ভীম দেখতে খুব ভালো বাসতেন। তাই আপনিও যদি ছোটা ভীম এর ফ্যান হন একবার পড়ে দেখতেই পারেন ভালো লাগবে।
tl;dr - কিশোরপাঠ্য উপন্যাসে আদর্শগত দিক থেকে ধূসর চরিত্র আমি আশা করি না।কিন্তু আদর্শটা যদি দেখানো হচ্ছে তবে সেটুকু ঠিকঠাক যাতে দেখানো হয় সেটুকু তো আশা করতেই পারি?
লেখক সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের লেখার সাথে প্রথম পরিচয় "মেঘ ছেঁড়া রোদ" এই বইটির হাত ধরে।গল্প শুরু হচ্ছে মউদিঘী নামের একটি সুন্দর সাজানো গোছানো একটি মফস্বল শহরে বসবাস করা একটি ছোট পরিবারকে কেন্দ্র করে। গল্পের প্রধান চরিত্র রবি, তার মা এবং বাবার সাথে থাকে। ছোট্ট, ছিমছাম , সাজানো গোছানো এই পরিবারে একদিন আকস্মিক ভাবেই ঝড় বয়ে যায়। রবি পিতৃহারা হয়। মা এবং ছেলের এর পরবর্তী জীবনযুদ্ধটা শুরু হয় মউদিঘী থেকে অনেক দূরের শহর হাওড়াতে রবির মামার বাড়িতে। কিন্তু মউদিঘীতে রবির পুরোনো স্কুল, বন্ধু এদের ছেড়ে যেতে খুব কষ্ট হয়। রবি তার বাবার আদর্শে বড় হয়ে উঠতে থাকে। তারপর?? এর পরে জানতে হলে গল্পটা পড়তে হবে। রবি কি তার পুরোনো জায়গায় ফিরে আসতে পারবে? তার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু অনীকের সাথে দেখা হবে?? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বইটা পড়তে হবে।
আমার মতামত: ১.কিশোর সাতিহ্যর বই হিসাবে এই ব ইটা শুধু ছোট কেন বড়রাও পড়তে পারে। ২.ভাষা প্রাঞ্জল।
৩. সহজ সরল ভাষায় লেখা কোনো ছোট গল্প কেউ পড়তে চাইছেন তাহলে নির্দ্বিধায় হাতে তুলে নিন।
This 3 words come into mind when reading this piece. Whether you are a teenager or an adult (like me) you would love this one. Reading about the ups and downs of Robi and his family brought even tears in my eyes. Hence, the author has meritoriously flowed the emotion of characters into the readers. You would definitely not want to miss this one, and can read it for free if you have the Anandamela 1420.
First the book প্রথম প্রবাহ and now this, I think mother Bangla has found another child who can flourish her literature into a new realm.
আনন্দমেলায় পড়েছিলাম। প্রথম পাঠে আবেগপ্রবণ হলেও, পরে সে-মোহ ঘুচে গেছে। সংক্ষিপ্ত পরিসর, জোর করেই যেন 'হ্যাপি এন্ডিং' এইসবের কারণেই আহামরি কিছু একটা মনে হয় না। তবে আগামী দিনে লেখকের এই ধরনের আরো ভালো লেখা ���সুক, সেই আশাতেই ইতি টানছি।
বেশ অনেকদিন পর এত সুন্দর একটি কিশোর উপন্যাস পড়লাম! এত সহজ সাবলীল লেখা এত সুন্দর হতে পারে ভাবিনি। কিন্তু শেষটা একটু তাড়াহুড়ো করে লেখা মনে হলো, but all over উপন্যাসটা বেশ সুন্দর, একবার পড়াই যায়।
মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাঁসে। আর কিছু বলছি না। আমি বাকরুদ্ধ। এই বই অনেক মেঘে ঢাকা তারাদের পাথেয় হয়ে থাকবে। প্রতিটি কিশোরের অবশ্যপাঠ্য এই বই।
গল্পের শুরু খুব সুন্দর, কিন্তু শেষে এসে রবিকে হিরো দেখাতে গিয়ে গল্পটার জন্য প্রথমে হওয়া অনূভুতি আর থাকেনি। জোর করে হ্যাপি এন্ডিং মনে হয়েছে। জিপুর যাওয়া আসা এটার থেকে ভালো।