‘জীবন অথবা’ উপন্যাসের বুনট বহুরৈখিক। আছে প্রেম-অপ্রেমের দ্বন্দ্ব, সৎ-অসতের সংঘাত, নীতি ও রাজনীতির টানাপোড়েন। কিন্তু শেষ অবধি থাকে শুধু অন্ধকার। থাকে চরাচরব্যাপী অনন্ত হিম নৈঃশব্দ্য-যার মধ্যে চিরকাল মুখোমুখি বসে থাকে জীবনের বিষাদ আর জীবনানন্দ।
ডিসেম্বরের আবহমান শীত। রাত অনেক হলো। মখমল আকাশে কুয়াশা আগল। ঠান্ডা আমি। ভেজা, একা। ওই দূরে কলকাতা শহর। ঐখানে বসে থাকে জীবনানন্দ দাশ। আমি খুঁজি শবদেহদের। ঘেঁটে বেড়াই মৃতদেহের আবরণ। বেয়াড়া মানুষের জৈবিক সমীকরণ। খুঁজে পাই জীবনানন্দ ভাব। বা জীবনের আরক। বা দুইয়ের মাঝে খটমট কিছু। বিষাদের আনন্দে, নৈঃশব্দ সই। সুস্থ আঁধারে উপন্যাস পড়ি তাই। পড়ে ঘুম পায়। আমেজি হই। নিস্তেজ ঘুমে হারিয়ে যায় সকল সঙ্গতি।
আমি জানি, এই বইটিকেও লেখক নিজের 'বাণিজ্য-ব্যর্থ উপন্যাস'দের দলে ফেলে দিতে চাইবেন। চাইবেন কি, ফেলে দিয়েছেন ইতিমধ্যে। কিন্তু কেবল বাণিজ্যের হিসেবে উপন্যাসের মূল্যায়ন করাটা অন্যায়। এ জিনিস যে ঠিক প্রথাগত পন্থায় বাজারে ঢেউ তোলেনি, সেটা আশ্চর্য করে না। প্লট বাছাইয়ে অসম্ভব ভিন্নতা না রইলেও, লেখকের উপন্যাস রচনায় নিরীক্ষণের প্রয়াস স্পষ্ট। বিশেষত, আনন্দ গোষ্ঠীর পূজাবার্ষিকিতে লেখা তথাকথিত শারদ উপন্যাস হয়েও 'জীবন অথবা'র স্বাতন্ত্র্য মোহিত করে।
একাধারে প্রাক্তন কবি, দ্বৈপায়ন। সে ব্যর্থ। কবি হিসেবে, ব্যর্থ। স্বামী হিসেবে, আরও। অপর প্রান্তে, দেবিকা। উচ্চাকাঙ্খী দেবিকা। তিতিবিরক্ত, রুথলেস দেবিকা। আর আছে মলয়। আদর্শ ও আকর্ষণের দ্বন্দ্বে বিভ্রান্ত আরেক যুবক। যার সান্নিধ্যে পূর্ণ হয় এক আজব ত্রয়ী। তৈরি হয় সাহিত্যের ট্রায়াঙ্গেল। যেখানে শীর্ষে বসে পা দোলায় বাংলার বোকাসোকা ভূত। অন্যমনস্ক জীবনানন্দ!
উপন্যাসটিতে প্রথম ও উত্তম পুরুষের সমান্তরাল ব্যবহার প্রশংসনীয়। হয়তো বা নায়ক হিসেবে স্পটলাইটটা পায় দ্বৈপায়নই বেশি। তবে তার কোনো হুশ নেই সেদিকে। সে বকে যায়, নিজের তালে। হাতড়ে বেড়ায়। আঁধার ঘাটে। নায়কোচিত আস্পর্ধার ধারেকাছে না ঘেষে সে আড্ডা মারে ভবিতব্যের সাথে। মলয়ের ট্র্যাক ভিন্ন। তাতে রাজনীতির ছোবল বেশি। নীতি, আদর্শ ও দুর্নীতির টানাপোড়নে পুষিয়ে যায় 'অ্যাকশন'এর অভাব। মুখোমুখি হই চিরাচরিত প্রশ্নপত্রের। ভারতীয় পলিটিক্সে ঠিক-ভুলের হিসেব। পঙ্কিল সংঘাত। গ্রেটার ইভিল। লেসার ইভিল!
তবে, পুরোনো বনাম নতুনের অন্তর্দ্বন্দ্বে মলয়ের ডেটেড চিন্তাধারা খুব একটা আগ্রহী করে তোলে না। লেখাটির ফাঁকফোকর এখানেই। এই একই রাস্তায় হেঁটে পাওয়া যায় বায়স্কোপের সুবাস। যা উপন্যাসটিকে শেষমেশ ভিজিয়ে তোলে যেন। সার্বিক প্রভাব গিয়ে পড়ে শেষের কটা পাতায়। এছাড়াও মনে হয়, দেবিকার (লালচে-ধূসর) রং প্যালেটে কয়েকটা শেড অনন্বেষিত রয়ে গেলো। কামনা, অপরাধবোধ ও উচ্চাশার বাইরেও, আরও কিছু। সমতার সূক্ষ্ম হিসেব। অঙ্ক মেলানোর সূত্র সন্ধান।
পেলে বুঝি, উপন্যাসটি এক ত্রিমাত্রিক উপসংহারের খুব কাছাকাছি এসে পৌঁছত। তবুও, এই সই। কাঙ্খিত অ্যাড্রেস ফস্কালেই বা কি... বিচ্ছিরি রকমের ভালো হওয়াটাও খুব একটা ভালো নয়। বলে না, দাগ আচ্ছে হ্যায়? এও ঠিক তাই। এক্কেবারে তাই।
দ্বৈপায়ন কবি।বলা যায় প্রাক্তন কবি।সারাদিন নিজের বাসায় নিজের ধ্যানে থাকে।মাঝেমধ্যে জীবনবাবু মানে কবি জীবনানন্দ আসেন তার কাছে।দ্বৈপায়ন স্বরচিত কবিতা শোনায় জীবনবাবুকে,"জন্মিয়াছে যারা এই পৃথিবীতে/ সন্তানের মতো হয়ে..." আর জীবনবাবু সন্দিগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকেন। দেবিকা দ্বৈপায়নের স্ত্রী।দুজনের সম্পর্ক প্রায় মৃত।দেবিকা চাকরি করে,সফল হতে চায় আর এর জন্য সবকিছু করতেই সে প্রস্তুত।।দু'এক জায়গায় ওর আচরণ ভ্রু কুঁচকে যাওয়ার মতো(যেমন-বাসে মলয়ের সাথে পরিচয়ের দৃশ্যে।) মলয় দেবিকার প্রেমিক।আদর্শবাদী ছাত্রনেতা সে।তার গুরু দীপ্তেশের কথা বিশ্বাস করে সে বিপ্লবের স্বপ্ন দ্যাখে। এই তিনজনের অতীত আর বর্তমান মিলিয়ে "জীবন অথবা।"তিনজনের জীবনদর্শন ভিন্ন,জীবনের কাছে প্রত্যাশা ভিন্ন কিন্তু এরা সবাই কোনো না কোনো ফাঁদে বন্দি যা থেকে মুক্তির উপায় এদের জানা নেই।সৌরভ মুখোপাধ্যায় এর লেখা এই প্রথমবার পড়লাম।সুন্দর, সাবলীল গদ্য তার। উপন্যাসের উন্মুক্ত উপসংহার বেশ নাটকীয় হলেও মনে দাগ কেটে যায়।
এই প্রথম সৌরভ মুখোপাধ্যায় পড়া। উপন্যাসটির লেখনশৈলী বেশ সাবলীল এবং গতিময় হওয়ায় এক দিনে পড়ে ফেলা গেছে। অবশ্য উপন্যাসটির প্লটের অভিনবত্ব ও এর অন্যতম কারণ।
আমার কেনো যেন মনে হয় উপন্যাসের নায়কের মতো অবস্থা আমারও একদিন হবে। এমনটা মনে হওয়াটা বেশ অদ্ভুত কারণ আমার জীবনের সাথে উপন্যাসের ঘটনাবলীর বিন্দুমাত্র মিল নেই। সৃজনের প্রতিভা নিয়ে জন্মাইনি কিন্তু অক্ষমতার একটা মুক বেদনা মাঝে মাঝে অনুভব করি। তখন জীবানানন্দ নামক লোকটি আসে, তাঁকে আমি বিপন্ন বিস্ময়ের কথা বলি আর সে শুধু চেয়ে থাকে বাঁকা চোখে নির্জন নীল দিগন্তে।
হৃদয়েষু, কখনো এমন কবিতা পড়েছ সৌমু,যা পড়লে মনে হয় কোনো একটা অদৃশ্য শক্তি তোমাকে একবার এপাশ থেকে ওপাশে একবার ওপাশ থেকে এপাশে তুলে এনে ফেলছে!আর তুমি তলিয়ে যাচ্ছ কোনো এক অতলান্ত জলরাশির গভীরতম অংশে।যেখানে ডুবে যেতে যেতে অন্ধকারের ঘ্রাণ তোমার চেতনায় প্রবেশ করে তোমার সমস্তটুকুকে ঝাঁকিয়ে,ধাক্কা দিয়ে,এলোমেলো করে দিচ্ছে। কি বললে সৌমু? বুঝলে না? কখনোও কি সমুদ্রে ডুবে গেছ? কিশোরিবেলায় আমি একবার সমুদ্রে ডুবে গেছিলাম। প্রথমে না ভয় পেয়েছিলাম,খুব ভয়! আমার এটা কি হচ্ছে! অগাধ জলরাশি, ঢেউএর পর ঢেউ এসে আমাকে উলটেপালটে খেলা করছে।ঠিক তারপরেই জানো কেমন যেন সম্মোহিতের মত মনে হয়েছিল।আমি অন্ধকার দেখছিলাম,গভীর গভীর অন্ধকার।সমুদ্রজ তরঙ্গ আমার শরীরের বাইরে থেকে যেন ভেতরেরও ভেতরে প্রবেশ করছিল।সেই প্রথম আমি মৃত্যুর সাথে সহবাস করেছিলাম। জানো, আজ আবার কবিতার সঙ্গে, চেতনাময় অন্ধকারে সঙ্গে,অশ্বত্থগাছের আড়াল দিয়ে দেখতে পাওয়া ক্ষীণ চাঁদেদের সঙ্গে আমি চরাচরব্যাপী অনন্তহিম নৈশব্দএর মধ্যে সহবাস করলাম। যেদিন হেমন্ত কুয়াশায় মানুষেরা পাশাপাশি বসেছিল অতলান্ত আকাশের নীচে আর দূর থেকে দেখেছিল বাতাস কেমন হলদে পথ আলোদের ডেকে নিয়ে আসে--এই কবিতার জন্ম সেই মাহেন্দ্রক্ষণে। তুমি রবি ঠাকুরের মত বলবে এত উপন্যাস, কবিতা নয়! আমি বলব এ কোনো উপন্যাস নয়,এ এক সীমাহীন কবিতার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলা,অথবা আবার সমগ্র সত্তাকে খুঁজে পেয়ে অতল গভীরে ডুবে যাওয়া।এই কবিতা অথবা মন্ত্রোচ্চারণ করতে করতে স্মৃতি থেকে চুপিসারে উঠে আসে কবে যেন একদিন আমিও চিলেকোঠার অন্ধকারে ছেঁড়া ঘুড়িদের সাথে,ঘুমন্ত শীতলপাটিদের সাথে বিকেল যাপন করেছিলাম। মানুষকে মহাশূন্য এর নি:সীম দোলার মধ্যে একবার এদিকে একবার ওদিকে তোলপাড় করার ক্ষমতা যদি ঈশ্বর নামক কোনো ব্যক্তির থেকে থাকে; তাহলে সৌমু, যে মুহূর্তে তুমি এই কবিতা স্পর্শ করবে,সেই মুহুর্তে সৌরভ মুখোপাধ্যায় নির্দ্বিধায় সেই ঈশ্বরের পদটি গ্রহন করলেন। এই কবিতা নামেই দ্বৈ���ায়নের-আসলে এ মানুষের-প্রত্যেকটি মানুষ জানলার কাছে দাঁড়িয়ে স্বগতোক্তি করে-হে হৃদয় নিস্তব্ধতা? বলি আমি এই হৃদয়েরে,সে কেন জলের মত ঘুর��� ঘুরে একা কথা কয়!!
জানো সৌমু ঠিক এইখানটায়,এইখানে এসে মানুষ অন্ধকারের ঘ্রাণ পায়।তার চারপাশে বিছানো কংক্রিট সম্পর্কটুকরোদের অস্তিত্ব ভুলেকচি লালচে নরম শালপাতা জড়িয়ে ধ্যানমগ্ন হয়-আবার জেগে ওঠে জীবনের যে পথগুলো সে ফেলে এসেছে খালি পায়ে দেখতে যায় সেই চেনা পথের পাশে আজও সেই বকুল গাছ টা আছে কিনা! নিশিতে পাওয়া মানুষের হৃদয়ে কখনো হাত রেখে দেখো,সে আসলে সেই অন্ধকার গর্ভজলে ভাসমান ভ্রুনের মত,যার সব ভাবনা জুড়ে আছে সূর্যের নীচে যে লাল-নীল ছককাটা ক্যালেন্ডার-ওল্টানো অস্তিত্ব আছে,সেই পথ বেয়ে কোথায় এগোয় শেষ অবধি? আমিও সেই উপলব্ধি না উপলব্ধিময় অগাধ জিজ্ঞাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছি সৌমু! আর লেখক মশাই যিনি ঈশ্বরের আরামকেদারাটি তে জুত করে বসে আছেন,তিনি চিবুকে পেন্সিল ঠেকিয়ে মৃদুমৃদু হাসছেন আর ঋক মন্ত্র উচ্চারণ করে চলেছেন-- সব পাখি ঘরে আসে-সব নদী.....।। সৌমু, একবার কবিতাটা পড়ে দেখো।
সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের জীবন অথবা।। ভালোবাসা নিও তোমার-সু। সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৫
লেখার শুরু তে একটি কথা বলতে চাই এই উপন্যাসটি পড়বার সময়ে আমার মনে হয়েছে যে গল্প,উপন্যাস,প্রবন্ধ পড়বার পাশাপাশি কবিতাও পড়া দরকার।সত্যি কথা বলতে কি , কবিতা সেই ভাবে আমার পড়াই হয়না। মনের ভাব আনন্দ,দুঃখ,প্রেম,হতাশা কবিতার মাধ্যমে যে কত সুন্দর ভাবে প্রকাশ করা যায় তার এক অন্যতম দৃষ্টান্ত এই উপন্যাস। "জীবন অথবা" কি ধরনের উপন্যাস সেটা এক কথায় বলা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।কারন বিভিন্ন রকমের চরিত্রের উপস্থিতি,তাদের মধ্যে ঘটে চলে নানাবিধ ঘটনা প্রবাহ, আর সমসাময়িক রাজনৈতিক অবস্থা সবমিলিয়ে এ এক বহুরৈখিক সৃষ্টি বলেই মনে হয়। উপন্যাসের বেশ কিছু অংশ জুড়ে কবিতার উপস্থিতি যাদের মাধ্যমে মানুষের মনের জগতের বিভিন্ন দিকের কথা উঠে এসেছে যা আমি পুরোপুরি না পারলেও কিছুটা হলেও অনুধাবন করতে পেরেছি।মুখ্য চরিত্রদের উত্তম পুরুষে কথা বলা এই উপন্যাসের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য।এর মাধ্যমে প্রত্যেকটি চরিত্রের মনস্তাত্ত্বিক দিক, তাদের নিজস্ব চাওয়া পাওয়া একে অপরের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সুন্দর ভাবে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন।সাথে যুক্ত হয়েছে বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক অবস্থা।কিভাবে চতুর নেতারা ছলে ,বলে, কৌশলে ক্ষমতা দখলের জন্যে তরুণ সমাজকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের কাজ হাসিল করে নেয় তার চিত্র নিপুণ ভাবে মেলে ধরা হয়েছে। তবে শেষ দিকে চরিত্রগুলির কথোপকথন ও পরিনতি আমার মনে হয়েছে যেনো খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো। তাও বলবো বিভিন্ন রকমের চরিত্র, তাদের মানসিক টানাপোড়েন, রাজনীতি সবমিলিয়ে আমার ভালোই লাগলো। সব কবিতার সারমর্ম না বুঝলেও উদাসীন কিন্ত প্রতিভাবান কবি দ্বৈপায়ন এর জন্যে কষ্টই লাগলো। শ্রদ্ধেয় লেখক সৌরভ মুখোপাধ্যায় এর অন্যান্য লেখাগুলিও এবার পড়বার চেষ্টা করবো ।
ভীষণ অস্বস্তিকর বইটা. একপ্রকার বইয়ের নাম দেখেই বইটা আমি কিনেছিলাম, আর নামটা দেখে বইটার বিষয় বস্তু কেমন হতে পারে! তার চিন্তাভাবনা আমার অন্যরকম হয়েছিল, কিন্তু বইটা পড়ার পর আমার পুরো ভাবনাটাই বদলে গেলো.
বেশ কিছু চরিত্র আছে. তাদের মধ্যে কোনো চরিত্রের মাটি শক্ত নয়. বড্ড দুর্বল লাগলো চরিত্র গুলো. অনেক গভীর ভাবনাচিন্তায় লেখা বইটা. বেশ জটিল.
প্রেম - অপ্রেম, ছাড়াছাড়ি, অসৎ উদ্দেশ্য, রাজনীতি সব কিছুই আছে.
বইটার নাম "জীবন অথবা" এই নামের ভিত্তিতে পুরো গল্পটা/ উপন্যাস. মানুষের নয় জীবন অথবা কিছু একটা বেছে নিতে হবে. কিন্তু তা পুরোপুরি নির্ভর করে মানুষের ওপর. নিজের ওপর. ওপরের সাপোর্ট নিতে গেলে নিরাশ হয়েই ফিরতে হবে.
মোটামুটি ভালো গল্প, পড়া যেতেই পারে. বেশ জটিল শব্দ আছে. চরিত্রের হঠাৎ এদিক থেকে ওইদিক হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা ভালো লাগেনি. রাজনীতি বিষয়টা ভালো লাগেনি. এবং
মহিলা চরিত্র দেবিকা বড্ড বোকা মেয়ে. মলয় বিশ্বাস অতিরিক্ত সাদাসিদে. দ্বৈপায়ন এককথায় অন্যমনস্ক লোক অথবা পাগল বলা চলে. জীবনবাবু চরিত্রটা তবুও কাজের এবং ভালো. যদিও আমার জীবন বাবু চরিত্রটা কোনো চরিত্র লাগেনি, মনে হয়েছে জীবনবাবু দ্বৈপায়ন নিজস্ব তা যাই হোক সব থেকে খারাপ চরিত্র দীপ্তেশ অধিকারী. পলিটিশিয়ান একদম চিন্তা ভাবনা নোংরা.
Exploring themes such as societal betrayal, emotional turmoil, and poetic beauty, Mukhopadhyay mirrors the tensions in contemporary Bengali life. This makes the novel both timely and timeless.