শাড়ি যেমন বিচিত্র, উপাদানের দিক থেকে, নক্সার দিক থেকে, বর্ণবিন্যাসের দিক থেকে, তেমনি বিচিত্র শাড়ি পড়ার ভঙ্গি এবং কৌতুহল উদ্দীপক শাড়ির উদ্ভব। আমাদের সংস্কৃতির একটি উল্লেখ্য পরিচয় বিধৃত এই বস্ত্রখন্ডটিতে। এ-বইয়ে সে পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
শাড়ি ব্যপার টা সবসময়ই ভালো লাগে, পালা-পার্বনে এই দেশে সবসময়ে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
একসকালে বাংলা একাডেমিতে ১৯৮৫ সালের দিকে বের হওয়া ভাষা শহিদ গ্রন্থমালা সিরিজের "শাড়ি" বইটা দেখে নিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু এতোকিছু আগলে রেখেছে এইটুকুন বইয়ে বুঝিনি।
লেখিকা শব্দ চয়নে,ভঙ্গি আর প্রকাশের প্রাঞ্জলতা জন্যে প্রশংসার দাবি রাখেন। শুরু দিকে শুধুই একপসরা তথ্য কেমন যেনো একঘেমিয়ে করে তুলছিলো। তবে তথ্যগুলো যে দরকার তা বুঝাতে সময় নেননি । ৯৪ পেজের এক মলাটে লেখিকা খুজেছেন শাড়ির উৎস্য, সৌন্দর্য্য সৌকর্যে শাড়ি, সাহিত্যে শাড়ির ভাগ, যুগে যুগে শাড়িকে নানা নামে ডাকার পিছনের মনস্তত্ত্ব, দেখিয়েছেন মসলিনের রূপের ঝাজ আর কারা এর হারিয়ে যাওয়ার সীমানা একে দিয়েছে, অন্তরালে থাকা কারিগরদের দুঃখ-দুর্দশা, ব্রিটিশ শাসন আমলে নীতি-নির্ধারনে শোষনের ছাপ, মেশিনের দাপটে ব্যাক্তি স্বাতন্ত্র এর পরাজয়ের গপ্পো, আধুনিকতায় গড়া সমাজে প্রাত্যহিক জীবনে শাড়ির বেমানান অস্তিত্ব।