মুক্তিযুদ্ধের দিনলিপি হিসেবে সবচেয়ে বিখ্যাত সম্ভবত জাহানারা ইমামের লেখা, “একাত্তরের দিনগুলি’’। নিঃসন্দেহে, বইটা ভালো, রোমহর্ষক কিন্তু একইসাথে এটি মুক্তিযুদ্ধকে যে একচক্ষু এলিট লেন্সে দেখে সেটাও অস্বীকার করার উপায় নেই। সুফিয়া কামালের, “একাত্তরের ডায়েরীও” অনেকটা একই ঘরানার।
এইদিক থেকে বেগম মুশতারী শফীর, “স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন” বইটি ব্যতিক্রম। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন অ্যাসপেক্ট আমাদের সামনে বইটি উন্মোচন করে, যেগুলো সচরাচর অন্য বইগুলোতে পাওয়া যায়না। তবুও, বইটি পূর্বোক্ত বইদুটোর মত ব্যাপক প্রচারিত না হবার কারণ সম্ভবত কিছু ঘটনা বা তথ্যের প্রকাশ যেগুলো তৎকালীন এবং বর্তমান আওয়ামী ন্যারেটিভের জন্য বিব্রতকর।
যুদ্ধের শুরুরদিকেই স্বামী,ভাই এবং সাজানো-গোছানো সংসার হারানোর পর থেকে লেখিকা যে সংগ্রাম করেছেন, যেভাবে নিজেকে এবং নিজের আপনজনদের টিকিয়ে রেখেছেন তা তুলনারহিত। অবশ্যপাঠ্য!
শহীদের স্ত্রী এবং শহীদের বোন বেগম মুশতারী শফির লেখা এই স্মৃতিকথা শুধু স্মৃতির কথাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে স্বাধীনতার ডাক, ঘোষণা, ২৫ মার্চের গণহত্যা, ঘর ছেড়ে প্রাণভয়ে ভারতে শরণার্থী জীবন , সেখানকার রাজনৈতিক বিভাজন এবং সবশেষে বিজয়ের পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন - এসবের এক প্রামাণ্য বিশ্বাসযোগ্য দলিল যা এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করার মতো রোমহর্ষক ও সুখপাঠ্য । বেশ কিছু তথ্য চমকে যাবার মতো