উত্তমপাড়ার ডাল ব্যবসায়ীরা সেনাপ্রধানের সাথে লাঞ্চ খেতে খেতে আলাপ করলো যে, “ডাল রপ্তানি বৃদ্ধি করা গেলে রাষ্ট্রের আয় ৩ গুণ বেড়ে যেতো। সেই বাড়তি আয়ে কৃত্রিম দ্বীপ বানানো সম্ভব।” কিন্তু মনোহরগঞ্জের সাথে লাগতে যাবে কে? সেনাপ্রধান চিন্তিত। সভাপতি বললেন, “আজ্ঞে একটা বুদ্ধি শুনেন, আমরা সেই দেশের সারকারকে গিয়ে বলি, আগামী ৩ বছর আমাদের থেকে ডাল না নিলে সকল রপ্তানি পণ্যের উপর ৪০ পার্সেন্ট শুল্ক দিতে হবে।” এই বুদ্ধি শুনে সেনাপ্রধান বললেন, “আমরা একটা ভাইরাস আবিষ্কার করেছ। সেটা যদি ঐ দেশে ছড়িয়ে দেই, পুরো ব্যবসায় ধস নামবে এবং এক চান্সেই আমরা বাজার দখল করতে পারব।” তাদের গোয়েন্দা বাহিনী যতদিনে আবিষ্কার করবে ডালের এই রোগ কোথা থেকে আসলো, ততদিনে আন্তর্জাতিক বাজার তাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে।
দীর্ঘ দশ বছর দেশে-বিদেশে অধ্যয়ন শেষে মােহাইমিন পাটোয়ারী বর্তমানে অর্থনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ সম্পন্ন করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক 'চার্টার্ড ফাইনান্সিয়াল এনালিস্ট প্রােগ্রামে যুক্ত হন। অর্থনীতি এবং ফাইনান্সের পাশাপাশি গণিতের প্রতি রয়েছে তাঁর ঝোঁক। সিএফএ অধ্যয়নরত অবস্থায় দ্বিতীয় স্নাতক প্রােগ্রামের জন্য তিনি গণিত বিভাগে নাম লেখান উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ২০১৬ সালে স্নাতকোত্তর গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের সেরা দশে অবস্থানের পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৭ সালের জুন মাসে তিনি সিএফএ পরীক্ষার তৃতীয় এবং শেষ ধাপ সম্পন্ন করেন। তাঁর জীবনের ক্ষুদ্র একটি অপূর্ণতা হচ্ছে গণিতে স্নাতক সম্পন্ন করতে না পারা। স্নাতক করা অবস্থাতেই নরওয়ে স্কুল অফ ইকনমিক্সে মাস্টার্স প্রােগ্রামের জন্য তার ডাক পড়ে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি নিশীথ সূর্যোদয়ের দেশে পাড়ি জমান। অতঃপর নরওয়ে স্কুল অব ইকনমিক্স থেকে দ্বৈত মাস্টার্স প্রােগ্রামের জন্য তিনি যন্ত্রের দেশ জার্মানির স্বনামধন্য মানহাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। পড়াশােনার পাশাপাশি খেলাধুলা, ভ্ৰমণ, শিক্ষকতা এবং ভাষা শিক্ষার জগতেও তিনি একজন সক্রিয় ব্যক্তিত্ব। ২০১৮ সালে চাইনিজ ব্রিজ কম্পিটিশনে জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থানসহ খেলাধুলার জগতেও রয়েছে তাঁর একাধিক পুরস্কার। বর্তমানে অর্থনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বাংলা ভাষায় অর্থনীতির জগতকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। বই লেখার পাশাপাশি সংবাদপত্রেও তিনি নিয়মিত কলাম লিখেন। সরল বাংলায় এবং গল্পের ভঙ্গিমায় তাঁর লেখাগুলাে ইতােমধ্যেই পাঠকদের মন কেড়ে নিয়েছে।