মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম এর জন্ম ১৯৮১ সালে নরসিংদী জেলায়। বাবার চাকরির সুবাদে শৈশব ও কৈশোর কেটেছে দেশে-বিদেশে। একজন সফল উদ্যোক্তা ও স্বপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানির সিইও হিসেবে বর্তমানে প্রবাসজীবন যাপন করছেন লিবিয়াতে। শিক্ষাজীবনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে ২০০৩ সালে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতক। লিখছেন দীর্ঘদিন থেকে। 'শান্তির দেবদূত' ছদ্মনামে সামহোয়ারইনব্লগে সায়েন্স ফিকশন লিখে যথেষ্ট জনপ্রিয়। অনলাইন জগতে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দুই ডজন বিপুল পঠিত ও আলোচিত সায়েন্স ফিকশন গল্প-উপন্যাস ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার। লেখকের প্রথম সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস প্রজেক্ট প্রজেক্টাইল যথেষ্ঠ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। ‘ও-টু’ লেখকের দ্বিতীয় সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস। বিজ্ঞান, মানবতা, প্রেম আর প্রখর রসবোধের মিশেলে অনবদ্য লেখনিবৈশিষ্ট্য লেখককে বিশিষ্টতা দিয়েছে। তার লেখাগুলো সুখপাঠ্য ও চুম্বকধর্মী। লেখকের সায়েন্স ফিকশনগুলো বিজ্ঞানের নীরস কচকচানি নয়, বরং জীবনের প্রেম-কাম ও হাসি-কান্নার রসে সিক্ত। -- By Tasruzaman Babu
ভিন্ন স্বাদের ১৫টি ছোট সাইন্স ফিকশন গল্প নিয়ে বইটি। বেশিরভাগ গল্পই মন ছুয়ে যাওয়ার মতন, কয়েকটি ছাড়া। সর্বোপরি, প্রায় প্রতিটি গল্পই এক একটা বার্তা দেয়, আর যোগায় চিন্তার খোরাক।
🎇কলম্বাসের মহাজাগতিক প্রেতাত্মা: মহাজাগতিক কলোনাইজেশন নিয়ে কাহিনী। মানুষের সভ্যতা গড়ে উঠেছে একে অপরের ওপরে কর্তৃত্ব ফলানোর মাধ্যমে। আর দূর ভবিষ্যতেও তা বাদ নেই। চিরন্তন সাম্রাজ্যবাদীতার এক চিত্র এখানে। একই সাথে চিন্তারও খোরাক জোগায়। ৫/৫ 🎆 ফিনিক্সের হাসি: এক বিজ্ঞানী বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন মানুষকে মানসিকভাবে পংংু করে দেয়া প্রযুক্তির বিরুদ্ধে। আসলেই, দিন দিন আমরা প্রযুক্তির ওপরে এতটাই নির্ভরশীল হয়ে উঠছি, যে সন্তানকে চিনতেও কি প্রয়োজন হবে প্রযুক্তির? চিন্তার বিষয়। ৫/৫ 🎊বেটা ট্রনিক্সে একটি সকাল, এবং অকুলাস রোবোটিকা: সাই ফাই গোয়েন্দা কাহিনী। গাথুনি ভালো হলেও উপভোগ করি নি তেমন। ২.৫/৫ 🎆ক্লোরোপ্লাস্টিক মেসেজ: দূরের এক গ্রহে আলো হচ্ছে খাদ্য। কিন্তু সেই মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে, তাই তারা সাহায্য চায় পৃথিবীবাসীর কাছে। অত্যন্ত সরল কিন্তু ভালোবাসাময় এক কাহিনী। চোখ ভিজে যায়।৫/৫ 🎆ফিউশন ট্রাকিং: মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করছে এক ট্রাকিং ডিভাইস। অনেকটা জর্জ অরওয়েলের ১৯৮৪ এর আভাস দেয়। ৪/৫ 🎊বিজ্ঞানী খাস্তগীর সম্পর্কিত তিনটি গল্প: পাগলা বিজ্ঞানী খাস্তগীরের কীর্তিকলাপের ৩টি হালকা চালের কাহিনী। ভালো লাগেনি। ১/৫ 🎆কয়েদি: প্রচলিত সিস্টেমের বিরুদ্ধে যাওয়ায় ব্লাসফেমির অভিযোগে শাস্তি দেয়া হয় মায়াংককে। বর্তমান সময়েও কি আমরা এভাবেই বেচে আছি, তাই না? সময়ের দারুন প্রতিফলন। ৪/৫ 🎇কৃত্রিম মা:পুরো বইয়ের সর্বাপেক্ষা শশক্তিশালি গল্প। যন্ত্রমানবের মা হবার আকুতি। সব মায়েরাই কি এমন? জানতে ইচ্ছে করছে। ৫/৫ 🎆 দ্যা পেইনি: আবেগের আতিশয্য কি ডেকে আনতে পারে চরম সিদ্ধান্তকে? নাকি এক মাদক এই অনুভূতি। একই সাথে উপভোগ করেছি, এবং ভেবেছি। ৪/৫ 🎆রোবোস্যাপিয়েন্সের ভালোবাসা: ভালোবাসা অন্ধ। হো তা মানুষের প্রতি কিংবা যন্ত্রের প্রতি। এক মনস্তাতিক বিশ্লেষণ। ৩/৫ 🎇আরবে-দ্যা-ভেই: একটি বৃক্ষের বদলে একটি মানব জীবন। নিজের বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরার ইচ্ছা। সন্তানের জন্য মায়ের ত্যাগ। হয়তো আমদেরই এক ভবিষ্যতের চিত্র। অসাধারণ। ৫/৫
বেস্ট সাই-ফাই রাইটার ইন দ্যা হাউস। শুধু এটা পড়েই বলছি না। লোলার জগৎ, পার্পেচুয়াল আতঙ্ক পড়া হয়েছে। এই দুটা পড়ে এতটাই ভক্তি জেগেছে এনার লেখার প্রতি যে এই গল্প সংকলনটিও পড়ে ফেললাম। দারুন সব কিছু সাই ফাই গল্প রয়েছে। যেগুলার কনসেপ্ট-ই মাথা নষ্ট। দু-একটা বাদে সবগুলো গল্পই ব্যাপক। তবে কিছু কিছু জাগায় লেখার হাতটা একটু পাকা হওয়া দরকার ছিল। হাইলি রেকমেন্ডেড!!