Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
এক কথায় অসাধারণ একটি বই। একেবারেই স্যারের নিজস্ব ভঙ্গীমায় লেখা। প্রতিটা পাতায় মুগ্ধতা। এমন বৃষ্টির রাতে বইটা যদি আপনার সঙ্গী হয়ে থাকে তবে আপনি যেমন ভাগ্যবান। ভাগ্যবান আপনার সময়টাও।
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের অনবদ্য এক সৃষ্টি 'মিসির আলী।' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মিসির আলী যুক্তির সাহায্যে প্রতিনিয়ত কাটাকুটি করেন ভ্রান্ত ধারণা, অযাচিত জমে থাকা ভয়। সবসময় প্রচারবিমুখ এই মানুষের কাছে আসে নতুন এক রোগী। রানু। রানু এবং আনিস। সদ্য বিবাহিত। কাহিনীর শুরুতেই দেখা যায় এক ভয়াবহ রাতে হঠাৎ ভয় পায় রানু। এমন ব্যাপার প্রথম না। বেশ কবার।
আনিস যোগাযোগ করে প্রফেসর মিসির আলীর সাথে। মিসির আলী টের পান রানুর উচ্চ মাত্রার ইএসপি ক্ষমতা। কাহিনীসূত্রে এগিয়ে আসে রানুর বাড়িওয়ালা এবং তার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে নীলু। বেশ শান্ত মেয়েটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া এক অজ্ঞাত যুবকের সাথে জড়িয়ে পড়ে বন্ধুত্বে। সেই বন্ধুত্ব নীলুকে নিয়ে যায় একাকী এক ঘরে। ইতিমধ্যে মিসির আলী রানুর ব্যাপারে জানতে গিয়ে আবিষ্কার করেন রানুর কৈশোরকালের দূর্ঘটনাকে। বেরিয়ে আসে একটি ভাঙা মন্দির আর একজন দেবীর সংশ্লিষ্টতা। নীলুর সাথে কি ঘটেছিল সে রাতে। কেন রানু একই রাতেই পড়ে যায় ভয়াবহ অসুস্থতায়। রানু কে? দেবী? নাকি মানবী? জানার জন্য আছে 'দেবী' বইটা .......
খুব সম্ভবত অনেক আগে, স্কুলেটুলে পড়তে একবার পড়া। কিন্তু তখন সাইকোলোজিকাল থ্রিলার হিসেবে এর গুরুত্ব উপলব্ধি করিনি।
'কালো' তাই অসুন্দর, বাংলাদেশের মেয়েদের মজ্জায় ঢুকায়ে দেয়া এই সামাজিক বাণী কীভাবে একটা মেয়ের মানসিক ম্যাচিরিউটি/বুদ্ধিমত্তায় প্রভাব ফেলে তার বেশ ভালো উদাহরণ এই বইতে হুমায়ূন আহমেদ লিখে দিয়েছিলেন।
সমস্যা হলো চর্বিত চর্বণ করা পারমিউটেশন কম্বিনেশন চরিত্র আর গল্পের তোড়ে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা আড়ালে চলে গিয়ে, তিনি নিজে যে বাকি ঐ কমার্শিয়াল একগাদা বস্তাপচা জিনিসের মধ্যে কচি মেয়ে হলেই রূপবতী, ফর্সা হলেই সুন্দরী প্যাচাল পেড়ে গেছেন অগণিত থার্ডক্লাস চরিত্রের মুখ দিয়ে, সেগুলাই জেনেরালাইজড হয়ে মনে থেকে যায়, নীলুর চরিত্র না।
মজার ব্যাপার হলো, রানু রানু শুনে হয়রান হয়ে গেলাম 'দেবী' সিনেমা রিলিজ হওয়া থেকে, অথচ বই পড়তে গিয়ে আমার মনে দাগ কেটে গেলে 'কালো তাই অসুন্দর' নীলু। বইটা এখন যে সবাই আবার রিভিশন দিচ্ছে, ভালো করছে।
বাংলাদেশের মেয়েরা ইদানীনহ সাদা চামড়া প্রীতি যে সুখকর নয় সেটা উপলব্ধি করে নিজেরা একটু চিল্লাফাল্লা করছে। মেয়ে হিসেবে না শুধু মানুষ হিসেবে আমি আমার ইচ্ছা মতো চলবো, মিশবো, কাপড় পরবো, কাজ করবো - অন্যের ইচ্ছা মতো নয়, এসব কথাবার্তা বলছে। বাংলাদেশের পুরুষদের অবশ্য এটা মেনে নিতে আরও দীর্ঘদিন লাগবে। ফর্সা, সাদা চামড়ার বিদেশীনি, বউ-বান্ধবি কী পরবে টু কত ওয়েট হবে তা বেন্ধে দেয়া, চিকনা মেয়েদেরকে দেখলেই কাইত হয়ে যাওয়ায়া এত অগণিত ছেলে চারিদিকে দেখি এখনো, যে নিজের বিশ্বাস করতে দেরি হবে আরকি অবস্থা পাল্টালেও।
Remember girls, if you don't believe in yourself, you are an easy target - of the society, of the women relaives close to you who gain sickly pleasure humiliating you at the expenses of your cherished choices, and of the wild beasts out there waiting to tear you apart. Cheers!
প্রথমবার যখন পড়েছিলাম তখন আহামরি কিছু মনে হয়নি । কিন্তু আজকে যখন আবার পড়লাম আসলেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম । সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার স্যাপার মনে হয় তখন ভালো বুঝতাম না (যদিও এখনো ভালো বুঝি না ।) । এখন পড়ে দারুন লাগলো ।
জানি না কতবারের মত পড়া হলো। তবে এটুকু বলতে পারি আগের দশবারের থেকে এবার ও একটুও কম ভালো লাগে নি। তবে এইবার রেটিং দিতে এসে গুড রিডস এর রিভিউ সেকশনটা বেশ জমজমাট লেগেছে! বই পড়ুয়া আর মুভিখোর দের মাঝে একটা দারুন সমন্বয় ঘটেছে।
দীর্ঘদিন পর হুমায়ূন আহমেদের কোনো বই পড়লাম। 'দেবী' মিসির আলি সিরিজের প্রথম বই। এটি একটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার উপন্যাস। বইটি পড়ার আগেই আমার মুভিটি দেখা ছিল তাই পুরো গল্পটাই আমার জানা। তবুও বইটি একঘেয়েমি লাগেনি।
মাস ছয়েক আগে বিয়ে হয়েছে রানু এবং আনিসের। রানুর বয়স ১৬-১৭, অন্যদিকে আনিসের ৩৭। আনিস একটি বেসরকারি কোম্পানির ডিউটি অফিসার হিসেবে কর্মরত। মাত্র ছয়শত টাকায় তিন রুমের একটি নতুন ফ্ল্যাটে উঠেছে কিছুদিন আগে। বাড়ির তিনতলায় তাদের ফ্ল্যাট। রানুর একটি অসুখ আছে। সে অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখে এবং অদৃশ্য কারো ডাকে সাড়া দিয়ে কথা বলে। অথচ দিনেরবেলা সব ভুলে যায়।
বাড়িওয়ালার দুই মেয়ে। নীলু ও বিলু। বিলু হলিক্রস কলেজ এবং নীলু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বিলু যেখানে অত্যধিক সুন্দরী, নীল সেখানে গায়ের ময়লা রং নিয়ে আফসোস করে। একদিন পত্রিকায় অদ্ভুত এক বিজ্ঞাপন দেখে নীলু। এক ব্যক্তি একাকীত্ব কাটানোর মানুষ খুঁজে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। নীলু অনেক চিন্তাভাবনা করে সেই বিজ্ঞাপনদাতার ঠিকানায় চিঠি লিখে এবং ফিরতি চিঠিও পায়। পরিচিত হয় আহমেদ সাবেত নামের এক ব্যক্তির সাথে। সময়ের ব্যবধানে ভাবের আদানপ্রদান হয় দু'জনের মধ্যে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির শিক্ষক মিসির আলি। যার নীতি হলো 'যুক্তিতে মেলায় বস্তু, বিশ্বাসে বহুদূর।' তিনি সকল ঘটনাকে যুক্তি দিয়ে বিচার করেন। সহকর্মীর থেকে মিসির আলির সম্পর্কে জানতে পেরে রানুকে নিয়ে আনিস তার বাসায় যায়। রানু তার সাথে ঘটে যাওয়া সবকিছু বিস্তারিত বলে। সমস্যার সমাধান করতে রানুর ব্যাপারে খোঁজখবর নেন মিসির আলি এবং একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন। নীলু আবার কিনা মিসির আলিরই ছাত্রী। রানু ও নীলুকে মিসির আলির মাধ্যমে এক সুতোয় বেঁধে কাহিনির সমাপ্তি টেনেছেন লেখক।
এককথায় বলতে গেলে বইটি আমার ভালো লেগেছে। হুমায়ূন আহমেদের বইগুলোতে আমার যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর লাগে সেটা হলো, বিভিন্ন চরিত্রের ধুপধাপ সব সংলাপের ব্যবহার। ছোটখাটো চরিত্রের গম্ভীর সব সংলাপ আমার পছন্দ হয়না। এদিক দিয়ে এই বইটি স্বস্তি দিয়েছে। সুন্দর-সাবলীল সব বর্ননা ও সংলাপের মাধ্যমে গল্প এগিয়েছে। আর কম বয়সী মেয়ে মানেই অসাধারণ সুন্দরী এই ব্যাপারটা যেন বাধ্যতামূলক হুমায়ূন আহমেদের বইতে। বইটিতে দুইটি তথ্যের গরমিল আছে সম্ভবত। এক জায়গ��য় রানু-আনিসের বিয়ের বয়স ছয় মাস এবং আরেক জায়গায় তেরো মাস উল্লেখ করা হয়েছে। আবার নীলু সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে আবার কয়েক পৃষ্ঠা পরেই থার্ড ইয়ার দেওয়া। যেহেতু বইটির কাহিনির ব্যপ্তিকাল অল্প, তাই এত দ্রুত সময় অতিবাহিত হয়েছে এটা ধরা যায়না। হয়তো লেখকের ভুল কিংবা প্রকাশনীর; আবার এমনও হতে পারে ঘটনা অনেকদিন পরপর ঘটেছে, তবে সেক্ষেত্রে লেখকের বর্ননা অন্যরকম হওয়া উচিৎ ছিল। যাইহোক দারুণ উপভোগ্য একটি বই। এক বসায় পড়তে পারবেন। হ্যাপি রিডিং।
বইটা পরা শুরু করেছিলাম রাতের বেলা, তাই প্রথমেই একটু ভয় পেয়েছিলাম। পরার কিছুদুর মনে পরে জয়া আহসান আর চঞ্চল চৌধুরী এর দেবী মুভিটা দেখেছিলাম। বই এবং মুভি ২ টাই ভালো লেগেছে। তবে বইটা তে ভৌতিক/আধ্যাত্মিক ফিল টা বেশি ছিল।
Humayun Ahmed-এর বই পড়ার ব্যাপারে আমি যথেষ্ট সর্তক থাকি। উনার প্রথম দিকের লেখাগুলোর সাথে শেষ জীবনের লেখার কোন মিল পাওয়া যায় না। ঠিক তেমনি প্রথম দিককার লেখাই হচ্ছে দেবী।
মূলত বইটি পড়বার ইচ্ছা যাগে "দেবী" মুভির ট্রেইলার দেখার পর। মুভি বের হবার আগে বই পড়লাম কেননা যাতে মুভি নিয়ে সঠিক সমলোচনা করা যায়।
বইটার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরাই থ্রিল, সাসপেন্স ছিল। এক বসায় পড়ে শেষ করবার মতন একটি বই। আর শেষ করবার সাথে সাথেই তো এখন নিশীথিনী পড়বার জন্য লোভ সামলাতে পারছি না।
আমাকে যে বইটি সাজেস্ট করেছিল, তার ভাষ্যমতে বইটির কাহিনি আধিভৌতিক ধরনের। সুপারন্যাচারাল বিষয় রয়েছে। পড়ার সময় নাকি শরীর শিউরে ওঠে।
আমারও শরীর শিউরে উঠেছিল। কিন্তু ভয় বা আতঙ্কে নয়৷ এক ধরনের চাপা কষ্টে, ঘৃণায়। লেখক তাঁর মজ্জাগত প্রক্রিয়াতেই কাহিনি সাজিয়েছেন, গল্প বলেছেন৷ আর তাতে এক সময় উঠে এসেছে চিরায়ত গ্রাম সমাজের অপরাধ কীর্তি, কুসংস্কার, নৃশংসতা, সাধারণ ও নিরপরাধ মানুষের অসহায়ত্ব। পড়তে গিয়ে গা রিনরিন করেছে৷ সারাটাক্ষণ ভাবিয়েছে আমাকে৷ জীবন কত অদ্ভুত।
বইটি শুরু করেছিলাম মিসির আলি চরিত্রকে আরও গভীরভাবে জানার জন্য। কিন্তু ঘটনা ও বর্ণনার চক্রে পথ হারিয়ে রানুর পেছন ছুটলাম। তার মাঝে লুকিয়ে থাকা দেবী সত্তাকে অনুসরণ করতে গিয়ে মধুপুর, বিষ্ণুমন্দির, রুকমিনী দেবী... আরও কতকিছুর সন্ধান মিলল৷ অথচ মিলল না কেবল সেই অসহায় নিষ্কলঙ্ক মেয়েটির পরিচয়, যাকে রাতের অন্ধকারে নির্মমভাবে বলি দেওয়া হয়েছিল দেবীর তুষ্টি অর্জনের জন্য।
বইয়ের শেষ অবধি আমি কাহিনিতে ডুবে ছিলাম। হুমায়ূন আহমেদের লেখনশৈলী নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। বইটি নিঃসন্দেহে আমার পছন্দের তালিকায় জায়গা দখল করে রাখবে। রানু, নীলুফারের কথা সহজে ভুলব না।
কিন্তু একটা প্রশ্ন আজীবন রয়ে যাবে- রানু ও নীলুফার মাঝে যার অস্তিত্বের দেখা মেলে, সে কে? স্বয়ং রুকমিনী দেবী? নাকি নাম-পরিচয়হীন সেই অভাগী মেয়ে, যাকে বলি হতে হয়েছিল?
হুমায়ূন আহমেদের লেখাগুলো এমন যে শেষ করে মন ভরে না। মনে হয় আরও পড়ি, আরও পড়ি। মাত্র 'শঙ্খনীল কারাগার' শেষ করেছি, এবং সাথে সাথেই 'নন্দিত নরকে' ও 'দেবী'কে নামিয়েছি। 'নন্দিত নরকে'র চরিত্রগুলো 'শঙ্খনীল কারাগার' এর সাথে মিলে যায়। শঙ্খনীলের রুনু,ঝুনু, রাবেয়া আপা আমার অনেক দিনের পরিচিত, তাদের নতুন রূপ দেখতে এই মুহূর্তে প্রস্তুত নই। তাই দেবী'কেই পড়া শুরু করলাম।
Humayun Ahmed introduced his iconic lead Misir Ali in this book and I believe it started a unique trend in Bangladesh literature of having a rationalist solve apparently supernatural incidents in Ahmed's inimitable writing style.
'দেবী' প্রথমবার পড়েছিলাম আজ থেকে বছর চার-পাঁচ আগে।তখন কেমন লেগেছিলো তার কিছুই আজ মনে নেই।আজ আবার পড়লাম এবং বেশ লাগলো।বাংলা সাহিত্যে সাইকো থ্রিলার জনরার একটি দুর্দান্ত সংযোজন 'দেবী'।যদিও সেই একই হুমায়ূনীয় 'মায়াবতী,রূপবতী' ফ্রেজ এতেও আছে।যা যথেষ্ট বিরক্তিকর।তাছাড়া আহমেদ সাবেতের চরিত্রটার আরেকটু ডিটেইলিং প্রয়োজন ছিলো!
প্রথমেই বলি, এই বইটা আরেকটু বড় হইলে পারতো, পড়তে বসলাম হুট করেই দেখি পড়া শেষ। :"(
এই পুরো বইটাতে লেখক ভিন্ন ধরনের একটা ব্যাপার উপস্থাপন করেছেন, সেটা হচ্ছে "রঙ"।
রানু, একজন সুন্দরী তরুনী। মাত্র ছয় মাস আগে বিয়ে হয়েছে আনিস নামের একজনের সাথে। তারা পুরান ঢাকায় এক ভাড়া বাড়িতে থাকেন।
বাড়িওয়ালার দুই মেয়ে (নীলু ও বিলু)। বিলু হলিক্রস কলেজে আর নীলু ঢাকা ভার্সিটি পড়ে। ভার্সিটির শিক্ষক মিসির আলী, একজন যুক্তিবাদী মানুষ।
রানু অসুস্থ, হঠাৎ করেই সে মাঝে মাঝে কি সব দেখে ভয় পাই। সে যা দেখে তা সত্যি সত্যিই ঘটে যায়। বাড়িওয়ালার দুই মেয়ের সাথে ��ানুর খুব সক্ষাৎ হয় কয়েক দিনেই। অন্যদিকে আনিস রানুর ব্যাপারে মিসির আলির সাথে আলাপ করেন। মিসির আলি ব্যাপার টা নিয়ে অনেকদুর আগান।
বিলু খুবই সুন্দরী, আর নীলুর গায়ের রঙ একটু আন্ধার।
নীলু হঠাৎ করেই একজনের সাথে চিঠি চালাচালি শুরু করে। কিন্তু পরক্ষনে এই ব্যাপার টা তার কাল হয়ে দাঁড়ায়৷ আর এই ব্যাপার গুলা রানু সব বুঝতে পারে।
পরবর্তী তে গল্প টা একদম অন্যদিকে মোড় নেই। রানু আর নীলু দুজনকে লেখক সরলরেখায় রেখে গল্পের ইতি টেনেছেন।
দেবী ছিল আমার পড়া হুমায়ুন স্যারের প্রথম বই, কোনো এক গ্রীষ্মে, ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় বাসার মানুষদের থেকে লুকিয়ে দুপুর বেলাতে পড়তাম। সেসময় হয়তো অতশত বুঝতাম না, তবে বইটা শেষ করার পরে কেন যেন একটু ভয় পেয়েছিলাম। আর ঠিক করেছিলাম যে করেই হোক নিশিথিনী বইটা পড়তে হবে, সৌভাগ্যজনকভাবে সে বছরই ঈদের ছুটিতে বইটা পড়ার সুযোগ হয়ে যায়। ঢুকে পড়ি মিসির আলি নামক আজব এক ব্যক্তির দুনিয়ায়। আস্তে আস্তে পরিচয় হয় হিমু, শুভ্রদের সাথে। এরপরেও মিসির আলি সিরিজের প্রায় বেশিরভাগ বই-ই পড়া। কিন্তু প্রথম জিনিসটার টেষ্ট সবসময়ই আলাদা। হুট করেই নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলাম। এই দেবী বইটি ছিল আমার শিশু সাহিত্যে ছেড়ে বড়দের সাহিত্যে পদার্পনের প্রথম ধাপ☺️☺️☺️...
এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মত গল্প, রহস্য আর রোমাঞ্চের এক সুন্দর মেলবন্ধন। গল্পের পরতে পরতে অলৌকিকতার আভাস রয়েছে, পাশাপাশি আছে ঘটনাসমূহের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্য। লেখার ধরন একেবারে ঝরঝরে , নির্মেদ, চরিত্রায়ন যথাযথ এবং রূপকের ব্যবহারটিও চমৎকার।
মিসির আলি সিরিজের প্রথম গল্প এটি, বেশ ভালো লাগল। আশা করি বাকি গল্পগুলোও পড়া হবে আগামীতে।
রানু খুব সুন্দরী আর রূপবতী একজন মেয়ে, মাস ছয়েক হবে তার বিয়ে হয়েছে আনিস নামক এক যুবকের সাথে। রানুর কিছু অস্বাভাবিকতা রয়েছে,যা আনিসকে ভাবায়!! রানু বলে,সে যা স্বপ্নে দেখে তা বাস্তবে রূপ নেই।আনিস সেটা আমলে নেই নি।কিন্তু রানু তাদের বাসর রাতে বলেছিল,তার সাথে যে আনিসের বিয়ে হবে সেটা সে স্বপ্নে আগে দেখছে, আর আনিসের পেটে কাটা দাগ আছে এটা শুনার পর আনিস কিছুটা ভ্যাবাচেকা খায়।কিন্তু কাকতালীয় ঘটনা ভেবে সব কিছু ভুলে যায়।পরবর্তীতে এমন অনেক ঘটনা হয় যেমন -রানুর হঠাৎ ভয় পাওয়া, অসুস্থ হওয়া ইত্যাদি যা প্রমাণ করে সে অন্যদের মত স্বাভাবিক নয়। সেজন্য আনিস মিসির আলীর কাছে সাহায্য চায়। তারপর নানা ঘটনার অবতারণা। রানু সাথে নীলু(বাড়িওয়ালার বড় মেয়ে) নামের মেয়ের সখ্যতা হয়।নীলু শ্যামলা বর্নের মেয়ে,তার চরিত্রটি অনবদ্য।এটি একটি সাইক্রোলজিকাল উপন্যাস তাই অনেক কিছুর হিসাব সহজ ভাবে মিলবে না এটাই স্বাভাবিক। ছোট ছোট ইন্সিডেন্ট বড় ধরনের প্রভাব ফেলে আমাদের জীবনে।উপন্যাসেই এই জিনিসটা বারে বারে দেখা যায়। #ভালো লেগেছে,দেবী, মিসির আলী সিরিজের প্রথম উপন্যাসটি। তবে সিনেমাতে পুরো গল্পটা সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে পারেন নি,পরিচালক ।মূল উপন্যাসটি এক কথায় অনবদ্য। যদি ও কিছু প্রশ্ন মনে জাগে কেন নীলুর চেহেরা রানুর মত হয়ে গেল!!আমার মতে,হয়তো লেখক রানু কে বাচিঁয়ে রাখতে চেয়েছেন নীলুর মধ্য কিংবা দেবী কে!!😉😉
সিনেমা দেখে বেশ কয়েকদিন বিরতি নিয়ে তারপর বইটা পড়লাম। বইয়ের চেয়ে সিনেমা দুর্বল, তা বলাই বাহুল্য। যা হোক, এই বইতে মিসির আলি রহস্যের সমাধান করতে পারেননি। . দেবী প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালে, সিরিজের পরবর্তী বই নিশীথিনী প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। বোঝা যাচ্ছে, লেখক হয়তো দেবী বইটিকে ১৯৮৫ সালেই শেষ করে দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত বদলে দীর্ঘ বিরতি নিয়ে ১৯৮৮ সালে দেবী’র সিক্যুয়েল নিশীথিনী লিখেছেন (নিশীথিনী পড়েছি কিনা মনে পড়ছে না)। . দেবী খুব তাড়াহুড়ো করে লেখা একটি বই। এক পৃষ্ঠায় নীলু অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছে তো ৩-৪ পৃষ্ঠা পরেই সে থার্ড ইয়ারে পড়ছে! মিসির আলির চরিত্রেও দৃষ্টিকটু বৈপরীত্য দেখা গেছে একাধিক জায়গায়। অসংলগ্ন কিছু বর্ণনা আছে যেগুলোর ব্যাপারে কমন সেন্স প্রশ্ন তুলবে। বইয়ের শেষটা রহস্যময় করতে গিয়ে জোড়াতালির গন্ধটা প্রকট। আবার বিনা বর্ণনায় অন্ধের মতো (বর্ণনা ছাড়া পৃষ্ঠা ভর্তি সংলাপের বিষয়টা আমার কাছে পাঠক হিসেবে অন্ধ হয়ে স্রেফ কানে কথা শোনার মতো মনে হয়) শুধু সংলাপ দিয়েই পৃষ্ঠা ভরে গেছে কখনও কখনও। . মিসির আলি আমার খুব পছন্দের চরিত্র। সিরিজের বেশ কয়েকটা বইয়ে (যেমন: কহেন কবি কালিদাস, বৃহন্নলা ইত্যাদি) তিনি খুব বুদ্ধিমত্তা ও চতুরতার সাথে কেস সলভ করেছেন। কিন্তু এখানে সেই মিসির আলি নেই। অতএব, আমি হতাশ। . অচিরেই নিশীথিনী পড়ব। আশা করছি, সেটা আমায় হতাশ করবে না। দেবীতে থাকা খটকাগুলো দূর করে দেবে।
পৃথিবীতে বোধহয় মহাবোকা লোক নিজেকে মহা বুদ্ধিমান ভাবে। আমার বেলায়ও তাই হয়েছে। আমি বুঝতে পারলাম আমার বিশেষ বুদ্ধি নেই। বুদ্ধিমান ভাবার ভান বা নিজেকে অন্যর সামনে বুদ্ধিমান করার প্রচেষ্টা মূলত আমার নির্বুদ্ধিতাকে আড়াল করার প্রচেষ্টা মাত্র।
যৌক্তিক মিসির আলিকে আমি খুব সমীহ করি। আমি পৃথিবীতে অস্তিত্বহীন যে ক'জন মানুষকে পছন্দ করি, এর মাঝে মিসির আলি সাহেব অন্যতম।
এই মিসির আলি নিজেকে খুব যৌক্তিক মনে করেন। তিনি ভাবেন পৃথিবীতে সব কিছু ব্যখ্যা করা যায়। এই কথা বা মনোভাব একটা প্রপাগাণ্ডা। যুক্তিবাদী মিসির আলি সাহেবও অযৌক্তিক অনেক বিষয়ে। তবু তাকে আমার ভালো লাগে। তার অবজারভেশনে ক্ষমতা অসাধারণ
আমার বিষয় বলি, আমি পাঠক হিসেবে খুবই নিম্নমানের। আমার ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা নাই। আমি শুধু পড়ি, কিন্তু পড়াকে বিশ্লেষণ করতে পারিনা। পারলে আমি রানুর রহস্য ধরতে পারতাম।
আমি অনেক কিছুই ভাবি। খুব গুছিয়েই ভাবি। কিন্তু যখন লিখতে বসি তখন বিরক্ত হয়ে যাই অল্পতে। এবং সব গোলমেলে হয়ে যায়।
মিসির আলিকে আমি আগেও পাঠ করেছি। এখনও পাঠ করছি। ভবিষ্যতেও করবো।
আমি প্রতিবার নিজেকে ��কটু একটু করে বুদ্ধিমান হিসেবে আবিষ্কার করবো। বুদ্ধির স্থর ধীরে ধীরে ওঠতে থাকবে।
কেবল আবহতেই ভীষণ ভয়ের অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে পারার সহজাত একটা ক্ষমতা আছে তাঁর। তাঁকে নিয়ে বেশি বলা বাতুলতা। শুধু আবহ তৈরিতে কেন, চরিত্র চিত্রণ, চরিত্রের সরণ, গল্পের বিষয়বস্তু সবই তার সহজাত, ভীষণ সাবলীল। আলাদা করে মেইক বিলিভের দরকার পড়েনা।
গল্পের গতি-প্রকৃতি তিঁনি তাঁর মতো করেই নিয়ন্ত্রণ করেন, পাঠকের কথা ভাবেন না একদম। নিজেকে নিয়ে কতোটা আত্নবিশ্বাসী হলে এমন করতে পারেন লেখক! পাঠক তাতে মন খারাপও করেনা। চমকে যেতে, অপ্রত্যাশিত মোড়ের সামনে দাঁড়াতেই তো ভালবাসে সে বা তারা।
বড় অদ্ভুত এক মেয়ে রানুকে নিয়ে লিখা কাহিনী।মিসির আলি সিরিজের এটিই প্রথম বই। রানুর ভেতরে হয়তো কোনো দেবীর বাস ,পরে তা স্থানান্তরিত হয় মিসির আলির ছাত্রী নীলুর দেহে। খুনির হাত থেকে নীলুকে বাঁচাতেই হয়ত এমন স্থানান্তর! দেবীর প্রস্থানকালে মারা যায় রানু।
This entire review has been hidden because of spoilers.