ফ্ল্যাপে লিখা কথা ‘আমার রাতের ট্রেন মা বলিলেন, ঘুমো তুই! ডেকে দেব সময়ের আগে’। বহুদিন কেটে গেছে এখনো সময়ের আগে আমাকে সবাই কেন ডাকে?
ভূমিকা ট্রেন দেখলেই আমার ট্রেনে চড়তে ইচ্ছা করে। ঢাকা শহরে অনেকগুলি রেল ক্রসিং। গাড়ি নিয়ে প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। চোখের সামনে দিয়ে ট্রেন যায় আর দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ভারি ট্রেনের যাত্রীরা কি সুখেই না আছে।
আমার এই উপন্যাসটা ট্রেনের কামরায় শুরু, সেখানেই শেষ। কাহিনী শেষ হয়ে গেছে-ট্রেন চলছেই। মনে হচ্ছে এই ট্রেনের শেষ গন্তব্য অপূর্ব লীলাময় অলৌকিক কোনো ভুবন। উপন্যাসের নাম ‘কিছুক্ষণ’ ধার করা নাম। ধার করেছি আমার প্রিয় একজন লেখক বনফুলের (বলাই চাঁদ মুখোপা্ধ্যায়) কাছ থেকে।
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
যাতায়াত সুবিধার উন্নতির এই যুগে বাস ট্রেন রিকশা প্লেন লঞ্চের মধ্যে রিকশা,আর দূরের যাত্রায় সঙ্গী হিসেবে ট্রেনের সাথে সখ্যতা আমার ছোটবেলা থেকেই,একটা লম্বা গাড়ি সাপের মত এঁকেবেঁকে যাচ্ছে শহর থেকে গ্ৰামে,নগর থেকে জঙ্গলে,কুউউউউ ঝুকঝুক শব্দ নিয়ে,যেন একটা গানের ছন্দের তালে ক্লান্তিকর যাত্রা সুললিত না হলেও বিরক্তিতে থেকে যে মুক্তি দিচ্ছে তাই বা কম কি!
ট্রেন নিয়ে আমার অভিজ্ঞতার ঝুলি এতটাই সমৃদ্ধ যে বলতে শুরু করলে আরব্য রজনীর এক হাজার এক রাত্রি পার না হলেও বেশ কিছুটা সময় অন্তত আরামসে চোখ বন্ধ করে কেটেই যাবে।
তো হুমায়ুন সাহেব সেই স্মৃতির চোরাগলির অজস্রভীড়ের থেকে ঠিক যে ঘটনাটা মনে করিয়ে দিলেন তা হলো চেইন টেনে নেমে যাওয়ার,চেইন টেনেনামতে হয়নি,তবে উঠার জন্য থামাতে হয়েছে অবশ্য, দীর্ঘ যাত্রার মাঝে ঈশ্বরদীতে আধঘন্টার জন্য যাত্রাবিরতি তে ট্রেন থেকে নেমে ঘুরতে ঘুরতে যে কখন সময় হাতের ফাঁক গলে বের হয়ে গেছে তা তো বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গিয়েছিল ,সে বার ট্রেন টাও ছুটে যেত যদি না জননী দয়াপরবশ হয়ে চেইন টেনে না থামাতেন, পুরস্কার স্বরূপ যে উত্তম মধ্যম এবং পানীয় রূপে তিরস্কারের মাত্রাটা উল্লেখ করা নিস্প্রয়োজন 😑একটি গ্লাস ভাঙলে বা দুটো পয়সা হারালেই যেখানে বাঙালি মাতৃসমাজ চোখের দৃষ্টি দিয়ে ভস্মীভূত করে দেওয়ার অলৌকিক ক্ষমতা রাখেন , সেখানে তো এ গুরুপাপ,লঘুদন্ড আশা করাই দিবাস্বপ্ন।
হুমায়ূন আহমেদ কে নিয়ে আর কি বলবো!হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার বাঁশির সুর নিয়ে কি কখনো সন্দেহ থাকে?
একটি ট্রেন ,ভিন্ন পেশার বিভিন্ন মানুষ,টুকরো কিছু ঘটনা যেখানে শিশু ভুমিষ্ঠ হওয়া থেকে ম্যাথমেটিসিয়ানের ম্যাজিশিয়ান বনে যাওয়া,ক্ষমতাধর মন্ত্রী থেকে ক্ষমতাহীন হয়ে পুনরায় ক্ষমতাসীন হওয়া,প্যারানয়েড মাতার বাধ্য সন্তান আশহাবের সাথে চিত্রার বাক্যালাপ,সবই যেন মাপমতো এক এক খাপে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে
যাত্রাটা কিছুক্ষণের ছিল কিন্তু এর আবেশ বহুদিন মনে রইবে
গতোকাল বেশ মন খারাপ ছিলো। কোনকিছু করেই শান্তি পাচ্ছি না, কোথাও মন লাগছে না। মন ভালো করতে আশ্রয় খুঁজছি পিডিএফ এর দ্বারে দ্বারে। বাকি সকল সময়ের মতোই হুমায়ুন আহমেদের বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজে তবেই শান্তি মিললো। অথচ, লোকে কতোকিছু বলে! "তাঁর লেখায় কোন প্লট থাকে না, মিডল ক্লাস সেন্টিমেন্ট নিয়ে লেখা, আগা নাই, মাথা নাই।" আরে মার গুলি তোর প্লটকে! যে বইয়ে মুখ ডুবালে কয়েক মিনিটে মন ভালো হয়ে যায়, সে বই আমি মাথায় তুলে রাখি। সেই লেখককে আমার অন্তরে জায়গা দেই। তোমার ভারী ভারী প্লট ওয়ালা লেখকের বইয়ে ধুলো জমুক।
রফিকুন্নবী'র পেইন্টিং অবলম্বনে বইটির প্রচ্ছদ ভীষণ সুন্দর। পুরো গল্প একটি ট্রেনে। সেই চিরায়ত হুমায়নী ক্যারেকটারর্স, হিউমার, বইপত্রের দারুণ রেফারেন্স আর মানুষ সম্পর্কে গভীর কিন্তু চমকপ্রদ পর্যবেক্ষণ। রি-রিড দিতে গিয়ে বুঝলাম হুমায়ুন পড়তে সবসময় ই ভালো লাগবে আমার।
গল্পের থিম টা সুন্দর। ভালো লেগেছে। কিছু মানুষের জীবনে ক্ষমতাই সব। ক্ষমতার সাথে জীবনের বাকি সব আসে। ক্ষমতা চলে গেলে বাকি সব কিছুই ক্ষমতার সাথে সাথেও চলে যায়। এধরনের থিমে সবাই গল্প লিখতে পারে না, হুমায়ূন আহমেদই পারে।
Wonderful background of story and a lots of interesting characters. Author was completely abled to hold the whole attention all the time. Just loved it.
পড়া শুরু করার আগে প্রচ্ছদ এবং ফ্ল্যাপ দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম ‘কিছুক্ষণ’ এর গল্প ট্রেনে যাত্রাকারী কিছু মানুষজন নিয়ে। একটি ট্রেন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, ভিন্ন গন্তব্য, ভিন্ন সংকট নিয়ে তৈরি গল্পের প্লট। যা অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গল্পের শুরুটা চিত্রার সিদ্ধান্তহীনতার মধ্য দিয়ে শুরু হলেও এখানে সামনে এসেছে এক মাওলানা সাহেবের ধর্মীয় গোড়ামি; যে তার মুমূর্ষু স্ত্রী'র চিকিৎসা কোনো পুরুষ চিকিৎসক দিয়ে করাতে নারাজ। অথচ তার স্ত্রী মৃত্যুর সাথে লড়াই করছিল। বাস্তব জীবনে কিন্তু এরকম কাণ্ডকারখানার বলি হচ্ছেন অনেকেই। এছাড়াও সামনে এসেছে মন্ত্রী সাহেবের ক্ষমতার এপিঠ-ওপিঠ। ‘ক্ষমতা থাকলে হিরো, আর না থাকলে জিরো’ ব্যাপারটা এখানে স্পষ্ট ছিল। খারাপ সময়টাতেই সবার আসল রুপ দেখতে পেয়েছেন মন্ত্রী সাহেব। তাই সবার উচিত ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করা, কারণ ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। গণিতবিদ রশিদ সাহেব, যার কর্মকাণ্ড আপনাকে গল্পের ভেতর বুঁদ করে রাখবে। চিত্রা এবং ডাক্তার আশফাকের দায়িত্বশীলতা প্রশংসনীয়। তাদের প্রণয় হবে কী হবে না; তা নিয়ে পাঠকমনে দ্বিধার সৃষ্টি করে৷ যেটার উত্তর মিলবে গল্পের শেষে। আমরা মানুষ, আর মানুষ মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকলে সবই সম্ভব। গল্পের একটি প্রিয় লাইন: "মিথ্যা বলতে আরাম এই জন্যে মানুষ মিথ্যা কথা বলে। সত্যি কথা বলতে বেআরাম।" ‘কিছুক্ষণ’ এর সাথে যাত্রা হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষ হয়ে আসবে, কিন্তু মনে হবে যাত্রার সময় আরও দীর্ঘ হলেও মন্দ হতো না। সময় সুযোগ করে বইটি পড়তে পারেন৷
হুমায়ুন আহমেদ লেখা যেকোনো গল্পই হলো এক অসাধারণ মায়ার জগতের হাতছানি। এই বইটি সেটার ব্যতিক্রম নয়। ট্রেনের যাত্রা কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। এরকমই ট্রেন যাত্রার মাঝে কিছু মানুষের পরিচয় হয় এবং গল্প এগিয়ে যায়। শেষের দিকে আমাদের সমাজের ভয়াবহ বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। আমার কাছে বইটি অসম্ভব ভালো লেগেছে।
আচ্ছা এই যে শান্তি শান্তি বইগুলা? এগুলা কেনো মানুষের ভালো লাগে না? এগুলা নিয়ে কেনো অনেক কথা হয় না? খুব বেশিই কি যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে সবাই?
রাত বাজে ১২.৩০ টা। বেশ তৃপ্তি নিয়ে শেষ করলাম আমার পছন্দের লেখকের আরো একটা সুন্দর বই 'কিছুক্ষণ'। 'কিছুক্ষণ' বড় কোনো উপন্যাস না, কিন্তু এইটা পড়ার পরে মনে হলো এই ছোট্ট একটা বই-ই অনেককিছু। একটা ট্রেন, বেশ কিছু চরিত্র, ছোট ছোট অনুভূতি, তাদের মধ্যে কথা হচ্ছে, মজা হচ্ছে, ঝামেলাও হচ্ছে আবার নীরবতাও রয়েছে। সবকিছু মিলে বেশ চমৎকার একটা আবহ।
শুরুটা হয় চিত্রাকে দিয়ে। যার ট্রেনের কামরায় জুটেছে এক বুড়ো, যাকে নিয়ে চিত্রা বেশ বিরক্ত। কিন্তু সে জানে না কোন ট্যালেন্টেড লোকের উপর বিরক্ত হচ্ছে সে! যাইহোক, কামরা চেঞ্জ করার সুযোগও চলে আসে চিত্রার। আশহাব নামক এক ডাক্তারের সাথে পরিচয় হবার পরে আশহাব সাহেব চিত্রাকে তার নিজের কামরাটা ছেড়ে দেন। কামরায় রয়েছে আশহাব সাহেবের মা সাজেদা বেগম। চিত্রা সেখানে গিয়ে ওঠে। তারপর কি হয়? তা জানতে হলে তো বইখানা পড়তে হবে বন্ধু। শুধু এরাই না, সামনে আরো অনেকগুলা মজার মজার চরিত্র দেখা যায় বইয়ে। যা আপনার অশান্ত জীবনে একটু শান্তির মুখ দেখাবে।
সত্যি বলতে কি, এই বইয়ে টুইস্ট এ্যান্ড টার্ন নাই। হইচই নাই, নাটক নাই। এসব যদি আপনি চান তাহলে আগেই বলছি শতহাত বা পারলে তার চাইতেও দূরে থাকুন। কিন্তু যারা শান্তি শান্তি লিখা ভালোবাসেন তাদের জন্যে এই বইখানা মাস্টরিড একটা বই। হুমায়ূন আহমেদের লেখার জাদুতে আপনি জড়িয়ে যেতে বাধ্য হবেন।
সবমিলিয়ে, খুব পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিলো হুমায়ূন স্যারের আরো একটি বই। 'কিছুক্ষণ' শুধু একটা বই না, এইটা একটা অনুভূতি। যা দুই কথায় প্রকাশ করা সম্ভব না। অবশ্যই পড়বেন।
এই তো বছরের প্রথম বই পড়ে শেষ করলুম এই সকাল সকাল। যদিও এই বই প্রথম বই হওয়ার ছিলনা তাও সবার শুরু হুমায়ুন আহমেদের বই দিয়ে করতে মন্দ ছিলনা। গল্পের শুরু এবং শেষ ট্রেনের এক লম্বা বগিতে। যেখানে এক নতুন প্রেম হয়, নতুন জীবনের সূচনা হয় আবার যেখানে কিছু কিছু সম্পর্কের মাঝে ফাটলও দেখা দেয়। মানুষ বুঝে ক্ষমতায় সব, আবার এই ক্ষমতায় এক সময় অর্থহীন।
হুমায়ুন আহমেদের গল্পের চরিত্র'রা বেশ অদ্ভুত হয়। কেন এমন বলছি? তা আর হবে না কেন, আপনার সাহায্য না করাতে মন্ত্রীর মতো ক্ষমতাধর ব্যক্তিকে মুখের উপর কেউ বলে, তুই গু খা। তিনদিনের বাসি গু! এত হাসি পেয়েছি যদিও লাইনটা পড়ে।
'উৎসব' এর তানিম নূরের কল্যাণে গত এক মাস যাবত বইটা বেশ হাইপে আছে। পড়বো কী না ভাবছিলাম। গুডরিডসে রিভিউ পড়তে এসে অবাক হয়ে আবিষ্কার করলাম এ বই গত বছর আমি পড়ে ফেলছি তবে তারচে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এটাকে আমি ১ স্টার দিয়ে রেখেছিলাম। মোটামুটি বিরল ব্যাপার। একে তো হুমায়ূন আমার প্রিয় তার উপর আমার মতো ট্রেন অবসেসড মানুষ এ বইকে এত অপছন্দ করেছিলো কেনো? হুমায়ূন আহমেদের কোনো বইকে এযাবৎ কালে এক স্টার দিয়েছি বলে মনে পড়েনা। কারণটা বোঝার জন্য আবারো পড়লাম। পড়তে পড়তে কারণটা বুঝলাম। আমার অপছন্দের বেশ কিছু এলিমেন্ট এ বইতে উপস্থিত-
এলিমেন্ট নং ১: নায়কের মা। এই টাইপ টক্সিক মা টাইপ চরিত্র আমার কাছে খুব ডিস্টার্বিং লাগে। বাংলাদেশের পুরুষ জাত যে দুনিয়ার অন্যতম লুথা পুরুষ জাতির একটা তার একটা কারণ হলো ওভার-পসেসিভ মায়েরা। খুবই বিরক্ত লাগে এসব চরিত্রের কাহিনী পড়তে।
এলিমেন্ট ২: 'ধর্ষণ' টপিকের অপপ্রয়োগ। কেন যেনো খুব সহজে, বিনাপরিশ্রমে একটা চরিত্রকে খারাপ দেখানোর জন্য ধর্ষণ টপিকটাকেই বেছে নেওয়া হয়। সাহিত্যিকরা অনায়াসে, অবলীলায় ধর্ষণকে তাদের লেখায় নিয়ে আসেন স্রেফ এটেনশন সীকের জন্য। কেন আর কোনো উপাদান নাই? ওভার অল এ ব্যাপারটা আনইথিকাল তো বটেই, বিরক্তিকরও।
এলিমেন্ট ৩: মাম্মি'স কিড টাইপ নায়ক। এলিমেন্ট ৪: গল্পের রিপিটেডনেস। একই ধারার কাহিনী, একই টাইপ চরিত্র গুলোকে এক্টু পুনর্বিন্যাস করে কত কত বই যে ভদ্রলোক লিখেছেন তার হিসেব করা কঠিন। গতবছর টানা অনেকগুলো হুমায়ূন পড়ার সময় তাই এ ব্যাপারটা আমাকে বেশি বিরক্ত করেছিলো।
এছাড়া, অনেকগুলো চরিত্রের সম্মেলন ঘটানো কিন্তু কারো চরিত্রকেই পরিপূর্ণতা না দেওয়া- এটাও আরেকটা কারণ। যাহোক, আমার মনে হয় মুভিটা কিছুটা হলেও বইয়ের চেয়ে বেটার হবে। দেখা যাক।
এই বইটা দেখে স্কুল জীবনের কিছু মধুর স্মৃতি মনে পড়ে গেল! আহা কি সময় ছিল। তখনও হয়তো অনেক কিছু নিয়ে দুঃখ বোধ হতো। হয়তো বাজে সময় ও গেছে তারপরও কেমন খারাপ লাগা কাজ করে। আসলে হু.আ. এর কথাই ঠিক, "স্মৃতি সে আনন্দের হোক আর বেদনার, স্মৃতি সবসময় বেদনার;"🙂 কোনো একটা ক্লাস হয়নি সম্ভবত সেই টাইমে চট করে গ্রন্থাগারে চলে গেছিলাম। এই বইটা নিয়ে আসি আর স্কুলেই গাছের গুরির উপর যেখানে সবাই আড্ডা দিচ্ছিল সেখানেই বসে শেষ করে ফেলেছিলাম আর মনে আছে ম্যাডাম এর সেই সুক্ষ্মআর তীব্র চাহনির কথাও😄 আহা আজ কত কথা মনে পড়ে 🔴🔵
প্রফের মরশুম চলে,সারাক্ষণ প্রচুর টেনশন মাথায় ঘুরপাক খায়,হোস্টেলে প্রচুর না পড়া নতুন বই কিন্তু বই ধরে পড়ার মতো মানসিক স্টেবিলিটি নাই,একটু রিলাক্স হওয়ার জন্য আজকে এই বইটা অডিওবুকে শোনা,তিনটা পার্টে ছিলো,বলা চলে আমার ব্রেইন রিলাক্স করে দিয়েছে এই বইটা,ভীষণ নির্ভার লাগছে,হালকা লাগছে।ধন্যবাদ স্যার, এমন সরল ভাষায় লিখেও মানুষের মনে দাগ কাটার জন্য।
বর্তমান যুগে যে সকল যানবাহন বিদ্যমান তার মধ্যে প্লেনে এখনো চড়া হয়নি আর ট্রেন আমার প্রথম পছন্দের বাহন। ট্রেনে ভ্রমণের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ভ্রমণক্লান্তির হাত থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যায়। টুপ করে ঘুমিয়ে নেয়া যায়। জানালা দিয়ে গ্রাম বাংলার সবুজ শ্যামল ফসল ভরা মাঠের দৃশ অবলোকন করে চোখ জুড়ানো যায় অথবা বই পড়তে পড়তে হারিয়ে যাওয়া যায়।
আমি ট্রেন ভ্রমণে প্রায় ১/২ টা বই সঙ্গে রাখি। এবার তাড়াহুড়ো করে বেড় হতে গিয়ে বই নিতে ভুলে গেছিলাম। তাই স্টেশনে গিয়ে একমাত্র বুকশপে চোখ বুলালাম। অল্প কিছু বই রয়েছে সেখানে। তার মধ্যে থেকে Cal Newport এর লেখা Deep Work ও আমাদের প্রিয় হুমায়ুন আহমেদের লেখা "কিছুক্ষণ" বইটা নিলাম।
বুক রিভিউ তে দেখেছিলাম যে, এই বইটাও ট্রেন ভ্রমণের কাহিনী তবে পড়তে গিয়ে দেখা হলো চিত্রা, আশহাব ডাক্তার এবং তার প্যারানয়েড মা, বিখ্যাত মাথেমেটিশিয়ান রশিদ সাহেব এবং ক্ষমতার সাগরে হাবুডুবু খাওয়া একজন মন্ত্রী ও তার পরিবার সাথে এক মাওলানা ও তার পরিবার এর সাথে, যাদের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে গল্পের দারুণ এক প্লট। যে প্লটে আপনি হারিয়ে যেতে পারবেন অনায়াসে।
বইটা পড়তে পড়তে অনেকবার বই বন্ধ করে হেসেছি। হুমায়ুন আহমেদ ছোট্ট এই গল্পেও এক একটা চরিত্রকে এতো সুন্দর, সাবলীল এবং মোক্ষম ভাবে তুলে ধরেছেন যে আপনি পড়ে অবশ্যই মজার এক অনুভূতি পাবেন।
একটি ট্রেন,ভিন্ন পেশার মানুষ, টুকরো কিছু ঘটনা। যাত্রাটা "কিছুক্ষণের" হলেও কিন্তু এর আবেশ পাঠক মনে আজীবন থেকে যাবে!
এই উপন্যাসটি ট্রেনের কামরায় শুরু,এখানেই শেষ। এখানে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকে শুরু করে ম্যাথমেটিসিয়ানের ম্যাজিশিয়ান বনে যাওয়া,ক্ষতাধর মন্ত্রী থেকে ক্ষমতাহীন হওয়া এবং পুনরায় ক্ষমতাসীন হওয়া,প্যারানয়েড মাতার বাধ্য সন্তান চিত্রার সঙ্গে ব্যাকালাপ। কি সুন্দর থিম💖। এধরণের থিমে হুমায়ুন আহমেদ ছাড়া আর কে পারে গল্প লিখতে.??
অথচ, লোকে কতকিছু বলে। তার লেখার কোনো প্লেট থাকে না, মিডল ক্লাস সেন্টিমেন্ট নিয়ে লিখা, আগামাথা নাই। আরেএএএ মার গুলি তোর প্লটকে! যে বইয়ে মুখ ডুবালে কয়েক মিনিটে মন ভালো হয়ে যায়, যে বই হৃদয়ে আনন্দ দেয়, সে বই আমি মাথায় তুলে রাখি। সেই লেখককে আমার অন্তরে জায়গা দেই💖। তোমার ভারী ভারী প্লটওয়ালা বইয়ে ধুলো জমুক।
পরশু বাংলা ১ম আর আমি কিনা হুমায়ুন পড়তেছি। কিন্তু পড়ে ভালো লাগলো। হুমায়ুন আহমেদের ভ্রমণ কাহিনী পড়তে ভালোই লাগে, রং বেরঙের চরিত্র দিনশেষে এক বিন্দুতেই আসে গল্পের শেষে। কিছু কিছু্ উপন্যাস থাকে যেগুলো লেখা হয় কয়েক ঘন্টার ঘটনাকে নিয়ে। কিছুক্ষণ উপন্যাসটা ঠিক সেই রকম প্রেক্ষাপটে রচিত। "কিছুক্ষন" এর শুরুও ট্রেনের কামরায়, শেষও ট্রেনের কামরায়। এই ট্রেন ভ্রমণের কাহিনী পড়তে গিয়ে আপনি দেখা করবেন সে ট্রেনের সবচেয়ে বুদ্ধিমান লোক রশিদ সাহেব, সবচেয়ে ক্ষমতাধর লোক একজন মন্ত্রী, সবচেয়ে ধার্মিক এক মাওলানা, এক ডাক্তার এবং তার প্যারানয়েড মা এবং হুমায়ুন গল্পের খুবই কমন এক আবেদনময়ী চরিত্র চিত্রার সাথে যাদের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে গল্পের দারুণ এক প্লট। যে প্লটে আপনি হারিয়ে যেতে পারবেন অনায়াসে। পড়ে খুব ভালো লেগেছে, মাথা থেকে একটা বোঝা নেমে গেছে।
ট্রেনে বাসায় আসার সময় যখন দেখলাম পাশের রো তে একজন ভদ্রলোক ট্রেনের সিটেই নামাজ পড়ছেন, তখন আমার মনে হলো আরে ট্রেন বাক নিলে যদি কিবলা চেঞ্জ হয়ে যায়, তখন নামাজ হবে তো!? সাথে সাথেই মনে পড়লো আরেহ কদিন আগেই তো! বইয়ের গল্পে হুজুরকে তার বউ এই কুয়েশ্চন করছিলো🤣
ছোটবেলার ঈদগুলাতে হুমায়ুন আহমেদ এর নাটক/ সিনেমার জন্যে অপেক্ষা করা আর বাসার সব্বাই মিলে একসাথে দেখাটা মনে হয় আমার সব থেকে সুন্দর ঈদ মেমোরিগুলোর মধ্যে একটা। বহু বছর পর তাই আবারো যখন "উৎসব" এর টিম এই বই এর উপর সিনেমা বানানোর ঘোষণা দিলো i wass thrilled and couldnt wait to read it! " উৎসব" দেখার জন্যে Chirstmas Carol পড়েছিলাম, সেটা নিয়ে উৎসব টিমের প্রতি মুগ্ধতার কথা আরেকদিন৷ তবে এক্সপেকটেশান আমার আকাশ্চুম্বি হয়ে আছে।
পুরো গল্পটাই ট্রেনে। হুমায়ুন আহমেদ আমার মতো ট্রেন ভালোবাসতেন জেনে গল্প পড়ার আগেই তো আমার ডগোমগো অবস্থা। গতানুগতিক হুমায়ুন আহমেদ এর ই ধারায় লেখা। তবে কমিক রিলিফ এর ছায়াতেও বেশ কিছু সামাজিক অসংগতি উঠে আসছে। লো বাজেট সিনেমার জন্যে পারফেক্ট গল্প হতে পারে এটা। খুবই প্রাসংগিক।
প্রথম বারের মতো স্ক্রিনে চঞ্চল চৌধুরী আর মোশাররফ করিম এর ফেইস অফ টাও দেখার অপেক্ষায়। 🤞
গল্পটি পুরোটাই একটি ট্রেনের মধ্যে। গল্পের প্রধান চরিত্র, চিত্রার হাতে প্রথম শ্রেণির স্লিপিং বার্থে টিকেট। চিত্রার বান্ধুবী লিলি এই টিকেটের ব্যবস্থা করে দিয়েছে তার মামাকে বলে। কথা ছিলো চিত্রা সেই স্লিপিং বার্থে একা যাবে, কিন্তু কোথা থেকে এক বুড়ো তার সংগী হয়ে গেলো। এই বুড়োকে খুবই অসহ্য লাগছিলো চিত্রার, সিগারেট খাচ্ছিলো অনবরত আর চিত্রাকে উপদেশ দেয়ার ভংগী করছিলো, তাই চিত্রা বুফে কারে এসে বসে রইলো, সেখানে চা-কফি খেয়ে সময় কাটানোর চিন্তা ছিলো। সেখানেই তার সাথে পরিচয় হয় আশহাব এর। আশহাব একজন ডাক্তার, সে তার মা কে নিয়ে দেশের বাড়ি যাচ্ছে। সমস্যা হলো তার মা খুবই জ্বালাতন করে আশহাবকে, এখনো বাচ্চাদের মতো ট্রিট করে, তাই আশহাব চাচ্ছিলো চিত্রা ও আশহাব তাদের টিকেট অদল বদল করে। আশহাব যাবে বুড়োর সাথে আর চিত্রা যাবে আশহাব এর মা সাজেদা বেগম এর সাথে। চিত্রার এই প্রস্তাব মনে ধরে।
আশহাব এর মা মোটেও কোনো সহজ সহযাত্রী নয়। তিনি ভালোই বিরক্তিকর। সবসময় তার মধ্যে হৈ চৈ থাকে। ট্রেনে উঠার পর তার প্রধান সমস্যা হলো, কেনো ট্রেনে একটি ডেডবডি যাচ্ছে। চিত্রাকে প্রথম দেখাতেই সাজেদা বেগম এর ভালো লেগে যায়, মনে মনে আশহাব এর সাথে চিত্রার বিয়ের একটা স্বপ্ন দেখে কিন্তু জল ঘোলা হয় যখন তিনি জানতে পারেন চিত্রা এতিম। এতিম মেয়ের কাছে ছেলে বিয়ে দেয়া যায় না।
আশহাব এর সাথে বুড়োর খুব ভালোই জমে গিয়েছিলো। বুড়ো হলো বিখ্যাত ম্যাথম্যাটিশিয়ান। নাম রশীদ সাহেব।
ট্রেনে আরো যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল খায়ের খান। তার সাথে আছে স্ত্রী সুরমা, সদ্য বিয়ে করা শালী ও জামাই। তারা খুব আমোদ ফূর্তি করছে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন ভালো নেই কারণ তিনি আর মন্ত্রী নয়। তাকে তার পদ থেকে ছাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এই খবর কেউ জানে না। তিনি কয়েকজন ক্ষমতাধর লোককে ফোন করেন, তাদের থেকেও কোনো খবর তিনি পেলেন না। তিনি বুঝতে পারলেন, ক্ষমতা না থাকলে কেউই দাম দেয় না। অথচ মন্ত্রীথাকাকালীন সবাই তোষামোদ করতো। অন্যের দোষ দিয়ে লাভ কি? তিনি নিজেই কতবার এরকম করেছেন অন্যদের সাথে।
সেলুন কারের গান বাজনা চলছিলো, সেখানে খায়ের সা���েব এর স্ত্রী সুরমা এক ট্রেন এটেন্ডেন্ট এর সাথে বাজে ব্যবহার করে বসে। তার কারণে ট্রেনের লোকেরা সেলুন কারের লাইট নিভিয়ে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করে। তারাও জেনে গেছে , সেলুন কারে মন্ত্রি নয়, সাধারণ এক মানুষ যাচ্ছে। এই ভয়াবহ খবর যখন ছড়িয়ে পড়ে তখন ট্রেনের শেকল টান দিয়ে ট্রেন থামিয়ে এক এক করে মন্ত্রীর কাছের সব মানুষ ট্রেন ছেড়ে পালিয়ে যায়। শুধু খায়ের সাহেব রয়ে যান। তারপরই তার কাছে কল আসে, মন্ত্রিত্ব যাওয়ায়র ব্যাপার পুরোটাই গুজব ছিলো। এক এক করে ক্ষমতাধর মানুষদের কল আসা শুরু করে। মৌমাছিগুলো মধুর সন্ধান পেয়ে গেছে।
সাজেদার মাথা খারাপ এর মতো অবস্থা হয় যখন তিনি জানতে পারে তার ছেলে মদ্যপান করেছে। যা তা বলে আশহাবকে। তার কিছুটা মাথা খারাপ এর মতোও হয়। তিনি ভাবতে থাকেন আশহাব ফেল করা ডাক্তার আর তার বউ হলো চিত্রা।
এদিকে ট্রেনে মাওলানা ও তার গর্ভবতী স্ত্রীর অবস্থা খারাপ। ট্রেনেই বাচ্চা হবে, মাওলানা কোনো নারী ডাক্তার ছাড়া তার বউ এর চিকিতসা করাবে না। কিন্তু চিত্রা তার সিদ্ধান্তে অটল যে, বাচ্চার ডেলিভারে ট্রেনেই হবে, আশহাবই করবে সেই ডেলিভারি। এদিকে রশীদ সাহেব মাওলানাকে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করলেন অনেক কিছু। কিন্তু মাওলানা তার সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত অটল ছিলো। সব কিছু ঠিক থাকলো, মাওলানার একটি পুত্র সন্তান হলো। তবে মাওলানার স্ত্রীর অবস্থা ভালো না, প্লেসেন্টা এখনো বের হয়নি। রক্তপাত হচ্ছে খুব। হাসপাতালে না নেয়া গেলে খুব সমসযা হবে। এদিকে জঙ্গলে ট্রেন থেমে আছে। এই অকাজ করেছে মন্ত্রির স্ত্রী সুরমা। মাঝপথে ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছিলো, এখন আবার ট্রেনে উঠার জন্য ট্রেন থামিয়ে রেখেছে।
হেলিকপ্টার আনার ব্যবস্থা হয়েছে। হেলিকপ্টার আনিয়েছে ডেডবডির মা। তার ক্ষমতা ট্রেনে থাকা মন্ত্রীর থেকেও বেশি। হেলিকপ্টারে মাওলানার স্ত্রীকে উঠানো হয়েছে। সাথে যাচ্ছে আশহাবের মা সাজেদা বেগম।
ট্রেন অন্ধকারে ছুটে চলছে। সেলুন কারে গান হচ্ছে। আজ জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে।
This entire review has been hidden because of spoilers.
গতবছর মার্চের শেষের দিকে অনেকটা তাড়াহুড়োর মধ্য দিয়ে "কিছুক্ষণ" উপন্যাসটা পড়ে শেষ করেছিলাম। ভালই লেগেছিল। এরপর কেটে গেল দীর্ঘ এক বছর। অলমোস্ট ভুলেই গেছিলাম কাহিনি। শুধু এতটুকু মনে ছিল গল্পটা একটা ট্রেন ভ্রমণকে ঘিরে। সে যাইহোক, একটু আগে ফেসবুকে দেখলাম তানিম নূর হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের উপর ভিওি করে ফিল্ম বানাবেন। আর সেই উপন্যাসটা হচ্ছে, "কিছুক্ষণ"। তখন হুট করে মনে পড়ল, আরে এই বইটা তো পড়েছি আমি। কিন্তু কাহিনি যেহেতু ভাসা ভাসা মনে ছিল তাই, জোহরের নামাজ পড়েই আবার বসে গেলাম পড়তে। এক বসায় পড়ে কভার করলাম ৮৮ পৃষ্টার ছোট্ট এই উপন্যাসটি।
ট্রেন ভ্রমণ আমার কাছে সবসময় একটা ফ্যাসিনেশনের মতন। ট্রেনে জানালার পাশে বসে ট্রাভেল করে যে মজা, তা কী অন্য কিছুতে আছে?! আমার ট্রেনে ঘোরার প্রতি আগ্রহের অন্যতম বড় একটা কারণ হচ্ছে এখন অব্দি তেমন ট্রেনে ঘোরার সুযোগ হয় নাই আমার। তিন বার মাত্র ট্রেন ভ্রমণ হয়েছে, এই ২৩ বছরের জীবনে। আর মানুষের যা নাই তার প্রতি সবসময় আগ্রহ বেশি থাকে, ইতিহাস সাক্ষী আমারো তাই। যদি রিপিটেডলি ট্রেনে ঘুরতাম তবে হয়ত এই ফ্যাসিনেশনটা সেভাবে থাকত না। যাইহোক, ট্রেন ভ্রমণ রিলেটেড সবকিছুই তাই আমার ভাল লাগে। হোক গল্প/উপন্যাস কিংবা নাটক/মুভি।
যদি উপন্যাসের কথা বলি, আহামরি কিছু না। বরং খুবই সাধারণ একটা টিপিক্যাল হুমায়ূন লেখনী। হুমায়ূন আহমেদের লেখা টপ ৫০ এর মধ্যে হয়ত শেষের দিকে রাখলেও রাখা যেতে পারে এমন ধরণের। হুমায়ূন আহমেদের স্টোরি টেলিং এলগরিদম একবার কারো নলেজে এসে গেলে তার কাছে আসলে বাকি সব সেমই লাগতে শুরু করে, আমার অবস্থা হইছে এখন তেমনই। একটা ট্রেন ভ্রমণ, আছে অতিরূপবতী এক মেয়ে (চিত্রা), একজন জ্ঞানী গুণী বয়স্ক যার উদ্ভট সব কাজ কারবার, একজন গোবেচারা ডাক্তার যে গল্পের শেষে গিয়ে হুট করে ইস্মার্ট হয়ে যায়, একজন মাওলানা যে আবার ধর্ম নিয়ে সাংঘাতিক সিরিয়াস, একজন মন্ত্রী আর তার পত্নী, যারা আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের পারফেক্টভাবে রিপ্রেজেন্ট করে। এই তো, এই হচ্ছে গল্প। সিম্পিল, নাথিং স্পেশাল। একবার পড়বেন, এরপর সাজিয়ে বুকশেলফে রেখে দিবেন আর ঘন্টাখানেক পর ভুলেও যাবেন এই টাইপের অনেকটা। বেশি নেগেটিভ বলে ফেললাম বুঝি?!
তানিম নূর ভাইয়ের, "উৎসব" আমার কাছে এততততত এততত ভাল লাগছিল, বহু দিন পর একটা বাংলা সিনেমা দেখে মন শান্তি পেয়েছিল। তার উপর যখন লেভেল ফাইভের "তুমি" বেজেঁ উঠে তখন তো 😭। স্বাভাবিক ভাবে তার প্রেজেন্টেশনের প্রতি আমার এক্সপেক্টেশন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে... স্টোরী হিসাবে কিছুক্ষণ না নিয়ে, অন্য কিছুও নেওয়া যেতে পারত। হুমায়ূন আহমেদ বিশাল এক সমুদ্র খনন করে রেখে গেছেন, এখানে জলের অভাব নেই। তবুও লেখক যেহেতু এটাই চয়েজ করেছেন তখন কী আর করার, কী আর বলার। আশা থাকবে, প্রত্যাশা থাকবে বাদবাকি যতটা তারা ডেলিভার দিতে পারে। ২০২৬ এর ঈদুল ফিতরে আসতে চলেছে। এবারো একটা Bangla Band music এ্যাড করে দিকক সেই রিকুয়েষ্ট থাকবে। yeah that's it...!